লালন ফকীরের গান গানের উপর ক্লিক করলেই তা আপনার কাছে পৌঁছে যাবে |
||||||||||
১। সব লোকে কয় লালন কি জাত ২। খাঁচার বিতর অচিন পাখি ৩। আরবী ভাষায় বলে আল্লা ৪। আমি এক দিন না দেখিলাম তারে ৫। ঘরের মানুষ আছে ঘরে ৬। এমন সৌভাগ্য আমার কবে হবে |
||||||||||
সব লোকে কয় লালন কি জাত সব লোকে কয় লালন কি জাত এ সংসারে। লালন বলে জাতের কি রূপ দেখলেম না এ নজরে।। কেউ মালা কেউ তসবী গলে তাইত রে জাত ভিন্ন বলে যাওয়া কিম্বা আসার বেলায় জাতের চিহ্ন রয় কারে।। ছুন্নত্ দিলে হয় মুসলমান নারীর তবে কি হয় বিধান বামন চিনি পৈতেয় প্রমাণ বামনী চিনি কি প্রকারে।। জগত্ বেড়ে জাতের কথা লোকে গল্প করে যথা তথা লালন বলে, জাতের ফাত্ না ডুবিয়েছি সাধ বাজারে।। ******** |
||||||||||
উপরে |
||||||||||
খাঁচার বিতর অচিন পাখি খাঁচার বিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়। তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি দিতাম তাহার পায়। আট কুঠুরি নয় দরজা আঁটা মধ্যে মধ্যে ঝলকা কাটা তার উপর আছে সদর কোঠা আয়না মহল তায়। মন তুই রইলি খাঁচার আশে খাঁচা যে তোর তৈরি কাঁচা বাঁশে কোনদিন খাঁচা পড়বে খসে লালন কয় খাঁচা খুলে সে পাখি কোনখানে পালায় ******** |
||||||||||
উপরে |
||||||||||
আরবী ভাষায় বলে আল্লা আরবী ভাষায় বলে আল্লা ফরাসীতে হয় খোদাতালা গড্ বলছে যিশুর চ্যালা ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভাবে।। মনের ভাব প্রকাশিতে ভাষার উদয় এ জগতে মনাতীত অধরে চিনতে ভাষাবাক্যে নাহি পারে।। আল্লাহরি ভজন পূজন সকলি মানুষের সৃজন অনামক অচিনায় কখন বাগীন্দ্রিয় না সম্ভবে।। আপনাতে আপনি ফানা হলে তারে যাবে জানা সিরাজ সাঁই কয় লালন কানা স্বরূপে রূপ দেখ সংক্ষেপে।। ******** |
||||||||||
উপরে |
||||||||||
আমি এক দিন না দেখিলাম তারে আমি এক দি না দেখিলাম তারে আমার বাড়ির কাছে আরশী নগর এক পড়শী বসত করে গেরাম বেড়ে অগাধ পানি ও তার নাই কিনারা নাই তরণী পারে। আমি বাঞ্ছা করি দেখব তারে আমি কেম্ নে সে গাঁয়ে যাইরে।। কি কব সেই পড়শীর কথা তার হস্ত পদ স্কন্ধ মাথা নাইরে। ও সে ক্ষণেক থাকে শূন্যের উপর আবার খনেক ভাসে নীরে। পড়শী যদি আমায় ছুঁতো আমার যম যাতনা যেত দূরে। আবার সে আর লালন একখানে রয় তবু লক্ষ যোজন ফাঁক রে।। ******** |
||||||||||
উপরে |
||||||||||
ঘরের মানুষ আছে ঘরে ঘরের মানুষ আছে ঘরে তারেও চিনলাম না---- চিনে ভালবাসলে পরে বিচারের ভয় রবে না, তোমার মরনের ভয় রবে না।। দুশছয়টি টুকরো কাঠে বিনা পেরেক সেইঘর আঁটে তিনশ ষাটটি তার লাগিয়ে চালায় মালিক কারখানা।। আট কুঠুরী ঘরের নয় দরজা তিনজন উজির তিনজন রাজা তিনতলা ঘর বড়ই মজার পাঁচজনার ঐ বারামখানা।। সাততলা ঘর সিংহাসনে বসে আছে মালিক নিজের ধ্যানে লালন বলে অন্যমনে কর গুরুর সাধনা।। ******** |
||||||||||
উপরে |
||||||||||
এমন সৌভাগ্য আমার কবে হবে এমন সৌভাগ্য আমার কবে হবে দয়াল চাঁদ আসিয়ে আমায় পার করিবে।। আমার সাধনের বল কিছু নাই কেমনে সে পারে যাই কূলে বসে দিচ্ছি দোহাই অপার ভেবে।। পতিতপাবন নামটি তার তাই শুনে বল হয় আমার আবার ভাবি এ পাপি আর সে কি নিবে।। গুরু পদে ভক্তিহীন হয়ে রইলাম চিরদিন লালন বলে কি করিতে এলাম ভবে।। ******** |
||||||||||
মিলনসাগর লালন সাগরে ডুব দিতে চাইলে এখনে ক্লিক করুন... |
||||||||||
উপরে |
||||||||||