কবি শ্রীঅরবিন্দের কবিতা
www.milansagar.com
*
.              সদাই আকুল মন |

আঁধারে ঈষদ্ হাস,          তনুর কিরণ ভাস,
.              ঘুরিছে অদৃশ্য কেহ |
প্রেমে তার প্রাণ মম         কারায় বন্দিনী সম,
.              খুঁজি প্রেমখানি দেহ |

অধরে অধর ছুঁয়ে       ক্ষণে হাত হাতে থুয়ে
.              মুহূর্তের বৃথা স্পর্শ |
বিফলি’  বাড়ায়ে লোভ,     নিরাশি’ মধুর ক্ষোভ,
.              থাকি হরষে বিমর্ষ |

কবে ধরা দিবে আসি’       হাসিয়া অপূর্ব হাসি
.              ঢালিয়া হৃদয়- ধন,
অল্পস্পর্শে বিশ্বানন্দ,         অখিল সৌন্দর্যবন্ধ--
.             এক দেহে উদ্ ঘাটন |

.               ************************     
.                                                                                           
সূচিতে . . .    




মিলনসাগর
*
শিবের গৃহীণী কালী স্বজনী আমার |

স্বরগ হইতে শুনি’ আসি ধরাতলে,
কি বা অমূল্য নিধি পেয়েছে মানব,
এত কথা, এত নেশা দুঃখ দুঃখ বলে,
আঁকড়ি ধরিয়া বসে টানিলে কেশব |

দুঃখ-অভিমানী জীব জগৎ-সংসারে
বিচরে স্বপন-ঘোরে বিষাদ-নেশায়,
ক্রন্দন-মদিরা যেন পান করিবারে
দুঃখ দুঃখ বলে মত্ত তৃষ্ণার্ত্ত ধরায় |

কাছে প্রেমময় সিন্ধু, ডাকে মৃদুস্বরে---
ছাড় তৃষ্ণা, ছাড় দুঃখ. সখা তোর আমি,
তুলিয়া নিজ অঞ্চলে ফেলে দিতে দূরে
অন্ধ প্রকৃতির ক্রোড়ে আসিয়াছি নামি |

যাই স্বর্গধামে ফিরি | পবনে প্রকাশি
দীপ্ত পক্ষদল, শুনি সনাতন তান |
আনন্দ-বিহগ আমি ব্রহ্মান্ড-নিবাসী
আনন্দ-আকাশে গাহি অমৃতের গান |

.          ************************     
.                                                                                           
সূচিতে . . .    




মিলনসাগর
*
বোঝ তুমি বাঁশী, বোঝ তুমি বৃন্দাবন,
বোঝ নাই কংস হত্যা, কুরুক্ষেত্র রণ |
পরম বৈষ্ণব তুমি, কর বুদ্ধ-স্তব |
বিষ্ণু রুদ্র এক দেহে, ভিন্ন অবয়ব
ভুলেছ কি ? ভুলেছ কি দয়ার ভান্ডার,
ক্রুর হত্যাকারী কল্কী এক অবতার |
রুদ্র কল্কীভাব বুকে সম্বরিয়া কানু
রাধার চরণ প্রান্তে পাতিয়াছে জানু |
পূর্ণ দয়া অবরুদ্ধ জননীর প্রাণে,
ভৈরবী রাক্ষসী চন্ডী মাতে উগ্ররণে |
এই যে বৌদ্ধের ধর্ম্ম মায়ামোহ-সৃষ্টে
অহিংসায় শ্লথচিত্ত, করুণায় ক্লিষ্ট,
করিবে না তীব্র লিপ্সা জগতের হিতে,
ধরিবে না জ্ঞান-অসি অজ্ঞান খন্ডিতে |
দীনতায় তেজোহীন, আলস্যে নিঃসার,
মাথার মুন্ডন, ভুঁড়ির বর্দ্ধন সার,
বুদ্ধের নহে এ ভাব | মায়ামুক্ত ধীর
কঠোর তপস্বীশ্রেষ্ঠ সেও মহাবীর |
বন্ধুচিত্ত দলি পায়ে মত্ত মহাব্রতে,
ফিরে না তাকায়ে, গেল একদৃষ্টে পথে |
এই যে বৈষ্ণবতন্ত্র বিগলিতচিত্ত,
শ্লথতায় কাকুণিক, দৌর্ব্বল্যে নিবৃত্ত,
সতত অলসগাত্র, কৃপাবিদ্ধ-মর্ম্ম,
আধ্যাত্মিক কামমদে বীর্য্যহারা ধর্ম্ম,
বিশ্ববীর শ্রীকৃষ্ণের আরাধক বলে
তাঁর বাক্য, তাঁর ধর্ম্ম কর্ম্মে বাক্যে দ’লে,
“দয়া” “প্রেম”  বলি সদা, যাথার্থ্য দয়ার,---
প্রেমের প্রখর সত্য করেছে অসার,----
নহে চৈতন্যের দীক্ষা | প্রচন্ড সুধীর
তীব্র প্রেম, তীব্র ক্ষমা, তমোমুক্ত বীর
গৌরাঙ্গ সে সচীসূত |
.                        দেখনি সাগর ?
গুপ্ত মহেশ্বর যেন,--- অগণন স্তর,
নিশ্চল নিগূঢ় শান্ত, অলক্ষ্য বিস্তার,---
অগণন নীল নৃত্য উপরে তাহার |
হাসিছে কাঁদিছে ঢেউ, বিশাস তরঙ্গে
পায়ে পড়ে পৃথিবীর, চুম্বে নানা রঙ্গে |
কিন্তু সে আনন্দময় লীলা ক্রীড়া জলধির
হইবে না কভু যদি, প্রতিষ্ঠা গভীর,
অচল অতল গুহ্য করে না ধারণ
গূঢ়চেতা মহাসিন্ধু অমাপ্য যোজন
স্বদীপিত অন্ধকারে নীরবে একেলা |
মহতী সে স্তব্ধতায় এই নৃত্য খেলা |
দেখ নাই পুনঃ যবে বায়ুর তাড়নে
ক্রুদ্ধ উঠে অনিরুদ্ধ,-- যোজনে যোজনে
গরজিছে ভীম সিন্ধু নির্দ্দয় অপার,
অনন্ত-ক্রূরতা-মূর্ত্তি , রোষের বিস্তার
হাসিছে আকাশ জুড়ি | আরাবে বধির,
অট্টহাস্য সিংহনাদে ক্রুর জলধির
ডোবে তরী, ডোবে নর | শোনে কি ক্রন্দন,
নিষ্ঠুর ক্রীড়ায় মত্ত আলিঙ্গি পবন ?
অন্য এই ক্রীড়া, অন্য নৃত্য, অন্য স্বর,
এ চুম্বন অন্য,--- অথচ সেই সাগর |
বলিবে কি তুমি, কোন্ শয়তান তবে
হাসে এই ভাম হাস্যে, ডাকে এই রবে ?
কোন্ রাক্ষসের হেন দৃপ্ত অত্যাচার
ক্রীড়াচ্ছলে ? এ দারুণ আলিঙ্গন কার ?
জান সে রাক্ষসে তুমি | নিরখ আবার,
ব্রজবালা চেনে ব্রজে বংশীরব তার |
*
.                নিষ্কম্প দীপের আলো ঘরে ম্রিয়মাণ
.           জনহীন পুরপথে        ক্ষেত্রে অরণ্যে পর্ব্বতে
.                গভীর সুষুপ্তিমগ্ন জগতের প্রাণ |
.                       সমুদ্রের জলরাশি
.                       বেলায় টুটে না হাসি’ ,
.                       প্রকান্ড নিশ্চল স্তব্ধ জলধি নিঃশব্দ |
তবে কেন                           জাগিল জননী ?
.               কে বলিবে কিবা শুনে জাগিল জননী  ?
রাত্রে         কাহার নীরব স্তবে জাগিল জননী
.                                      হুঙ্কারিয়া |

.             ঘুমাল জননী যবে     কার আশা ছিল হবে
.                 সেই অন্ধ তিমিরেও মার জাগরণ ?
.             নিরাশ রাত্রীতে মগ্ন    দুঃখে প্রাণ চিরভগ্ন
.                 ঘুমেও চকিত শুনে পাতার পতন |
.                          সুচতুর পরাক্রান্ত
.                          গর্ব্বিত মহাদুর্দ্দান্ত
.                 অসুরের রাজলক্ষ্মী ঘেরেছে ধরণী |
হঠাৎ                                   হুঙ্কারিল জননী  |
হঠাৎ           শত শত সিন্ধুসম হুঙ্কারিল জননী  |
.                 জাগাইতে পুত্রজনে হুঙ্কারিল জননী |
.                                       বজ্রসম
.                 ব্যথিত হৃদয়াবেগ        ছিল না কি কেহ জেগে
.                       সেই ঘোর রাত্রীকালে জননীর তরে ?
.                 দুই চারিজন মাত্র        ক্ষৌমেয় আবৃত গাত্র
.                       দেবালয়ে ছিল বসে নগ্ন অসি করে |
.                               করালীর মহাভক্ত
.                               মাখাইতে নিজ রক্ত
.                       জননীর পায়ে তারা জাগিল রজনী
তাই                                        উঠিল জননী
তাই                   ভীম পিপাসায় ক্রোধে জাগিল জননী  |
.                       সিংহনাদ ছাড়ি বিশ্বে জাগিল জননী  |
.                                               ভুবনপ্রবোধে

.                 অট্টহাসি মুখে ছুটে         বিদ্যুৎ নয়নে ফুটে
.                      মার রুধিরাক্ত ক্রোধকুসুম ভীষণ
.                 দৈত্যমুন্ডদ্বয় করে          দুলাইয়া ক্রোধভরে
.                      করিছে জননী উঠি ভীম আবাহন |

.                 কে তুমি গভীর রাতে      দৈত্যমুন্ড ঝুলে হাতে
.                      দুলাইয়া কর দেশে রক্তবরিষণ
.                 অগ্নিকুন্ড নেত্রদ্বয়           জননী করিছে ভয়
.                      ধরাতল কাঁপাইয়া কর বিচরণ
.                             “উঠ উঠ” উগ্রনাদে
.                              মধুময় অবসাদে
.                         তাড়াইতে কর কন্ঠধ্বনি |
এই যে                                   মোদের জননী
.                         যমনেত্র জ্বলে ভালে আইল জননী
.                  নৃমুন্ড ঝন্ ঝনে নাচি তালে তালে, আসিছে জননী |
.                               উঠ উঠ উগ্র রবে
.                               দেব দৈত্য নর সবে
.                         উঠিছে গরজি কেহ কারও হর্ষধ্বনি |
এই যে                                        আমার জননী
.                  যমনেত্র জ্বলে ভালে আসিছে জননী
.                  নৃমুন্ড নাচে তালে তালে আসিছে জননী  |

.                           যুদ্ধ ঝটিকার মাঝে      অসি অসি কায়ে বাজে
.                      অগ্নিবৃষ্টি ছুটে রণে আকাশ বধির
.                  [--- ]  উগ্ররোলে           ফাটে কাম পৃথ্বী দোলে
.                       বহে বহে যেন স্রোতস্বতী নীর |
কবে                              চিনিব চিনিব মাকে
.                                   সিন্ধু যবে ডাকে
.                     উড়াইয়া ভীমশ্বাসে        দৈত্যরাজ্য চন্ডী হাসে
তখন                                          চিনিব জননী
যখন                       রক্তনদীস্রোতে নাহি নাচিছে জননী
.                            জানিব নিশ্চয় তবে জেগেছে জননী |

.                          ************************     
.                                                                                                  
সূচিতে . . .    




মিলনসাগর
*
কৃষ্ণকায়া জগন্মাতা সমাধিস্থ ভবে |
নীরবতা মধুভোজী তারকার পাল
দীপ্তির মৌমাছি সম উড়ে আসে নভে |
ঢালিতে প্রাণীর মর্ম্মে আনন্দ কিরণ
সুশীতল রভসের সমুজ্জ্বল ভান্ড
ভেসে উঠে শশী মনি-খচিত নিশায় |
স্বল্প-আলোকিত জ্যোত্স্নাপ্লুত-অন্ধকারে
মানবের ক্ষুদ্রপ্রাণ এ অসীম প্রাণে
ডুবাইয়া শুনিয়াছি নীরবের গান |
কার দূর পদধ্বনি মরমে পশিয়া
বাজিল অন্তরে তার মাধুর্য্য স্পন্দন
ভাঙ্গিয়া সমাধিঘোর স্তব্ধ জগতের
ঊষা উঠিয়াছে হাসি রঞ্জিত গগনে
পবন-চুম্বি বস্ত্র পর্ব্বত চূড়ায় |
মনোহর স্মিত-আঁখি বালিকা যেমন
উদ্দাম উল্লাসপদে হাসিভরা প্রাণ
পিতার ভবনে নাচে মুক্ত আঙ্গিনায় |
সহস্র উন্মত্ত শাখা সবুজ বসন
নাচিতেছে তরুরাজি প্রভাত উত্সবে |
জানাইতে পরস্পরে জীবনের হর্ষ
ডাকিতেছে পক্ষী কূল সুমধুর তানে |
ব্রহ্মগুহা আলোকের অন্তরালে ঢাকা
স্বর্গসোমপানে মত্ত জগৎ শিশির
আনন্দের বেদগান শুনি হৃষ্টমনা
জানিলাম কি গভীর আনন্দ-স্ফুরণে
ফুটিয়াছে বিশ্বপদ্ম অনন্তের স্রোতে |
নিদ্রিত মধ্যাহ্ন যবে বিশ্বকক্ষে একা
সুনীল আকাশ পরে হেলাইলে শির,
জ্যোতির্ম্ময় পূর্ণতার শয়ন শিবিরে
বিশ্বমঙ্গলের গীতি গুপ্ত মহিমায়
মন্থর বিশাল ধ্বনি ত্রিকালের কন্ঠে
মহামন্ত্র বাজিয়াছে জগৎ-আত্মার |
চিরশান্ত উচ্চকর্ম্মী অগণন ভাব
মিলাইয়া তুষ্ট প্রাণে হেরিতেছে কেহ
পূর্ণচ্ছন্দ সৃষ্টি তার জ্যোতিঃ রথে বহি
ঘুরিছে অনন্ত বিশ্ব প্রভুপদ প্রান্তে |
অপরাহ্নে সূর্য্য যবে নামি আসে ধীরে
বিজয়ীর রত যেন বিশ্বচূড়া হতে,
অবসানে দীর্ঘ শান্তি গভীর সন্তোষে
লভিয়াছি, হে বৃহৎ আত্মা মম কাল,
সমুদ্র সঙ্গমে প্রীত নদীর কল্লোল,
জীবন মদিরা পান শূন্য করি পাত্র,
তূরীয়ের মহাগীত পরিতৃপ্ত কর্ণে |
একদিনে, প্রভু, তুমি অনন্ত সময়
ভরেছ অল্পেতে বহু | নূতন নূতন
পুরাতন সেই চক্র ভাসে চিত্তপটে |


নিজ আত্মা নানা ভাবে ভোগ কর ঋষি |
সংবৎসর তব আত্মা | হরিৎ বসনা
পৃথিবী নর্ত্তকী তব সূর্য্যে করি কেন্দ্র
ঘুরে প্রেমাবেশে সদা উন্মত্ত ঘুরণে ,
কৃষ্ণকরস্পর্শে মত্ত গোপী যেন ঘুরে,
অনন্ত উদ্দাম নৃত্যে অফুরন্ত হর্ষ,
প্রেমাবেশে প্রিয়মুখে স্থাপিত নয়ন,
তাঁরে জানে, জানে প্রেম, নাহি কিছু আর |
সেই নৃত্যকলা শিখি ভ্রমিছে জীবন
নৃত্যের মন্ডলাকৃতি তব চক্রে, প্রভু |
বসন্ত কোকিলরবে একতানা সুরে
অখিল মাধুর্য্য ঢালি কুসুম দোলায়
অনন্ত যৌবনে মত্ত দুলিয়ে শরীর
ডাকিছে উল্লাস ভরে | অপ্সরার হাসি
আধ দেখা ধরাধামে বৃক্ষ অন্তরালে
রক্তশ্বেত পুষ্পচ্ছলে মৃদু পরিহাসে
টানে যেন প্রাম সদা তার সঙ্গে যেতে
অচেনা অনন্তরাজ্যে মনের ওপারে |
গ্রীষ্মে যবে রাজবেশে, মহাসমারোহে,
স্বর্ণদীপ্ত পরিধান, বনে ক্ষেতে মাঠে
চড়ায় উজ্জ্বল সেনা দমিছে পৃথিবী |
বিদ্যুৎ নয়নপাতে খুঁজি বধ্যপ্রাণী
বর্ষা দৈত্যক্রোধ চিত্তে ছুটে বজ্রনাদে |
হাহাকার রব শুনি আক্রান্ত বনের
নৃত্য করে ধমনীতে প্রচন্ড বিলাস
বৃষ্টির প্লাবন শব্দে হরষিত কর্ণ
এই আবেগের মধ্যে জাগিছে বাসনা
মিশিতে প্রবল আত্মা,
ঝটিকার সমপ্রাণ ঝঞ্ ঝা বায়ু সাজি
এ নিষ্ঠুর অত্যাচারে অত্যাচারী হতে
যুঝি অসীমের দিকে করিতে প্রয়াণ |
অবসন্ন ধরাধামে ধীরে অগ্রসর |
শরৎ শান্তির দূতী দেখা দেয় পরে
পদ্মনেত্রে মঞ্জুহাসি চারুপদক্ষেপ
অলস নাজুক শুভ্র মৃদু গৌরপদে |
ফুটায় শান্তিকুসুম ক্লান্ত প্রাণে পশি’
হেমন্তের শীতবক্ষে লুটিয়া প্রকৃতি
জুড়ায় শিথিল গাত্র মহা পরিতোষে |
সরসীর জলে যেন
ছিন্নবস্ত্র স্নিগ্ধগাত্র শিশির
স্নাত ধৌত ধরা উঠে কম্পিত অধরে |
হাসে দীপ্ত সূর্য্য করে এই ছয়সুরে
শেষ করি তব চিন্তা পুনঃ সেই চক্রে,
অশ্রান্ত দেবতা কাল, ঘুরাও জগতী  |
সনাতন দেবতার আঁখির নিমেষ |
অফুরন্ত যুগ গেল, অফুরন্ত যুগ
এসে যাবে, রাখি সদা মনের উল্লাসে
যাহা ভাঙ্গ তাহা গড় সুন্দর তুষ্ট মনে |
দীর্ঘ কাল মানুষের কর্ম্মধ্বংসকারী
শতযুগ সমাবেশে মাপা যেই কাল,
সনাতন দেবতার আঁখির নিমেষ |
শ্রান্ত নহ কভু তুমি | অল্প কর্ম্মে, ভেঙ্গে
যায় মন অল্প দুঃখে, ভেঙ্গে যায় দেহ
মরণ বিশ্রাম তার আসে বন্ধুসম
মহৎ বৈরাগ্য তার চরম শরণ |
কোথায় বৈরাগ্য তব | পুরাতন ভাব
নূতন নূতন সদা আনন্দ-আত্মায়
অস্ফুট
শ্রীঅরবিন্দ
     
সবাই পাগল তোরা ঘুরি’ ধরাতল
শ্রীঅরবিন্দ
   
সবাই পাগল
সুন্দর জীবন
সহস্র খেলনা
কৃষ্ণ সাথী, দু

ভগবান আমা
মদাবহ প্রকৃতি
মোর জন্য হা
আমার আন

আমার রজনী
আমার সমুদ্র
আমার প্রণয়
একটি কবিতা
শ্রীঅরবিন্দ
 
 
.          ************************     
.                                                                                           
সূচিতে . . .    




মিলনসাগর
জাগিল জননী
শ্রীঅরবিন্দ
  
মহাকাল
শ্রীঅরবিন্দ
  

.          ************************     
.                                                                                           
সূচিতে . . .    




মিলনসাগর