তাদের বুকে
আগুন
লাল সূর্যমুখী আগুন,
তাদের চোখে
ভালবাসা
ঘৃণা
ক্রোধ,
তাদের হাতে
মেঘবরণ
মেঘবরণ গাণ্ডীব
পিঠে তূণ
অসংখ্য তূণ
একদিন
একদিন আর নেই
আর নেই।
উত্তরের
উত্তরের মানুষগুলো
খেপে উঠেছে
খেপে উঠেছে
উত্তরের পলাশ-ফোটা মাঠে
উত্তরের পলাশ-ফোটা মাঠে
একলক্ষ
একলক্ষ সজ্জিত মানুষ।
সজ্জিত মানুষ।
. *************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
তুমি এখন নিশ্চিন্তে খেতে পার
বলুক :
আহার হচ্ছে মানুষের চির সভ্যতা
মানুষের চির অনুভূতি
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
ওপর চাঁদ তার জ্বলন্ত ছায়ার চরণ রাখুক।
একটা চিত্কার পৃথিবীকে গুঁড়িয়ে দিক।
পৃথিবী সবার জন্যে বক্ষের মা হয়ে উঠুক।
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
এতদিনকার রূপ ও লাবণ্য
মানুষ খুন হয়ে-যাওয়া সন্তানের লাশ নিয়ে
সেদিন নতুন শব্দকোষ লিখবে।
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কলম এবং কবিতার দীপ্তি ভঙ্গিমার পাশে
অস্ত্রের জন্মরহস্য নিয়ে আমার কোনো
মাথাব্যথা নেই।
আমি চাই অস্ত্র ফুলের মতো গন্ধ ছড়াক
বা কবিতার এমন পঙক্তি হয়ে উঠুক
যা মানুষ বারবার উচ্চারণ করে
আমি চাই সারা দেশজুড়ে চলুক অস্ত্রের ঢালাও ব্যবসা
বা চিঠির মতো বিলি হোক অস্ত্রের শব্দ
এবং গর্জন
আমি চাই কবিতা অস্ত্রকে অহর্নিশ পাহারা দিক।
. ********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
একলক্ষ সজ্জিত মানুষ উত্তরের মাঠে
কবি কমলেশ সেন
“সজ্জিত মানুষ” (১৯৭০) কাব্যগ্রন্থ থেকে
একটি,
একটি খবর ছড়িয়ে পড়লো
আহার হচ্ছে মানুষের সভ্যতা
কবি কমলেশ সেন
না, আমি এমন এক শব্দের কথা ভাবছি
যে শব্দ পেলে আমি
একটা চিত্কার পৃথিবীকে গুঁড়িয়ে দিক
কবি কমলেশ সেন
পাথরের জল দিয়ে বাঁধাই-করা একটা বই।
চাঁদের জ্বলন্ত ছায়া। অশ্বশাবকের আর্তচিত্কার।
মাটির নীচ থেকে উঠে আসা একটা পা।
আমি একথাই বলেছিলাম
কবি কমলেশ সেন
আমার বেশ মনে আছে
সন্দীপের গান
কবি কমলেশ সেন
শ্রদ্ধেয় কমরেড মুজফ্ফর আহমদকে
পিতা, জন্মভূমি তোমার আজানুলম্বিত