কবি কাঞ্চন কুমার-এর কবিতা
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।   www.milansagar.com
*
আজ কোন শোকগীত নয়     
কাঞ্চন কুমার

তেত্রিশ বছর আগে
ঘর ছেড়েছিল যেদিন
নিজের মৃত্যু পরোয়ানায়
তো সাক্ষর করেই এসেছিল সে
তাই আজ কোন শোকগীত নয়
আজ শপথ নেওয়ার দিন।

প্রতিটি হত্যার বদলা আমরা নিয়েছি
বড়িশোল হত্যার বদলাও আমরা নেব।
শ্যাম, মুরলী, মহেশ হত্যার
ঠিক এক বছর পর
জনগণের গেরিলা সেনা গড়তেই
শুকিয়ে গিয়েছিল তোমাদের মুখ।

বেম্পুতাপু সত্যম, আদিভট্টালা কৈলাশম
হত্যার সঙ্গে সঙ্গে
শ্রীকাকুলমের সংগ্রাম শেষ হয়ে গেছে ভেবে
পৈশাচিক হাসি হেসেছিলে তোমরা
সেই রক্তের ঋণ শোধে
অন্ধ্র ওড়িশা সীমান্ত অঞ্চল পেরিয়ে
বিপ্লবী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে
লেগেছিল পঁচিশ বছর।

লালগড় আন্দোলনের বহ্নিশিখায়
জঙ্গলমহল উত্তাল করে
চারু মজুমদার সরোজ দত্ত হত্যার
বদলা নিতে লাগল চার দশক।

যেখানে সেখানে পড়েছে শহিদের রক্ত
সে জমি আমাদের
জনগণের বিরুদ্ধে তোমাদের বর্বরতম যুদ্ধ ও
ঠেকাতে পারেনি তা

আমাদের স্বপ্ন ছড়িয়েছে জেলায় জেলায়

শুধু মালকানগিরি থেকেই নয়
প্রতিটি সংগ্রামী এলাকা থেকে
কুচকাওয়াজ করবে গেরিলাসেনা
তোমার জ্বলন্ত চিতার অগ্নিশিখার কাছে
আমাদের শপথ
তোমার হত্যার বদলা আমরা নেব
দিকে দিকে লালগড় গড়ে।


.       **************             

.                                                                  
উপরে . . .
.                   সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                      
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       


কবিতাটি কবি কাঞ্চন কুমার সম্পাদিত “যুদ্ধে ছিলে স্বপ্নে আছো” (২০১২) কাব্য সংকলন
থেকে নেওয়া |

মিলনসাগ
*
স্বাগত গণতন্ত্র     
কাঞ্চন কুমার

সত্যিই পালাবদল হয়েছে
দলতন্ত্র কে পরাস্ত করে
বিজয়ী হয়েছে গণতন্ত্র |
গণতন্ত্র তোমায় স্বাগত জানাই |
তিন কুড়ি চার বছর ধরে
তোমার আসার পথ চেয়ে বসে আমি |

কথা ছিল তুমি এলেই
প্রত্যাহার করা হবে যৌথবাহিনী
তুলে নেওয়া হবে ১৪৪ ধারা,
বন্ধ হবে পুলিশি হয়রানি
মিথ্যা মামলা,
বারবার উচ্চারিত হয়েছিল
বন্দিমুক্তির কথা  |

গণতন্ত্র তুমি এসেছো |
কিন্তু রাজনৈতিক বন্দির নিঃশর্ত মুক্তির বদলে
‘বাঞ্ছিত’ ‘অবাঞ্ছিত’ বাছাইয়ের ব্যস্ত
তোমার সমিতি, তোমার পুলিশ, তোমার প্রশাসন |
আর গ্রেপ্তারের নতুন সূচি হাতে
এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
হায়েনার দল |

গণতন্ত্র, তুমি বদলে গেছ মাইরি |
তোমার টাল বাহানায়
অস্থির হয়ে উঠেছে জঙ্গল মহল
গমতন্ত্র, তোমার ভৈরব বাহিনীকে আটকাও |

গণতন্ত্র নয়, জঙ্গলমহলে বাড়ছে থানার পর থানা
উন্নয়ণের ঠেলায় বাক্যহারা ছিতামণি |

হায়দ্রাবাদ বা কাঁকের না পাঠিয়েই
‘গ্রেহাউন্ড’ ‘কোবরা’ ব্রান্ডের
আস্ত নরপশু গড়া যাবে বাংলাতেই |
উন্নয়ণের এই দ্যুতিতে
চোখ ধাঁধাচ্ছে সবার |

গণতন্ত্র তোমার বন্ধুরা
আমার আশেপাশেই আছে
আমার ‘বন্ধুরা’ তো তোমার পায়েরই কাছে |

তোমার লুকানো নখ দাঁত যে ভাবে
বেরতে শুরু করেছে মাইরি
ওরা আতঙ্কিত হবে না ত ?

বড় আশা নিয়ে গ্যাছে ওরা তোমার কাছে |

.       **************             

.                                                                  
উপরে . . .
.                   সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                      
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
কোথায় যাবে      
কাঞ্চন কুমার


তোমাদের ত্রান শিবির থেকে
‘মাওবাদী’ বলে
যৌথবাহিনী যখন
তুলে নিয়ে গিয়েছিল ওকে
তখন বিরোধ করেছিলে
বলেছিলে, ও মাওবাদী নয়
তোমাদেরই লোক |


টেমস নয়, গঙ্গা-তিস্তা দিয়েই
গড়িয়েছে অনেক জল
হয়েছে পালাবদল
চিক চিক করে উঠেছিল
ছেলেটির চোখ দুটি |



পথ দেখতে দেখতে
প্রতীক্ষায় পাথর হল চোখ
তবু কোন হেলদোল না দেখে
কম্বলে মুখ লুকায় ছেলেটি
দুরন্ত আবেগে |


জেল থেকে
একদিন তো ও বেরোবে
সেদিন ও কোথায় যাবে ?

.       **************             

.                                                                  
উপরে . . .
.                   সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                      
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
বাঘেরা বেরবে      
কাঞ্চন কুমার

রক্তস্নাত সন্ত্রাসে
চকচক করে ওঠে
উল্বসিত হায়েনাদের মুখগুলো |
বাঘ এবার ঘাস খাবে |

ওরা কি জানে না
বাঘ ঘাস কায় না
খাবে না  |
সূর্যাস্তকে সূর্যোদয় মনে করে
রক্ত ছড়িয়েছে মাটিতে আকাশে |
ডোবার আগে |

অভুক্ত বাঘেরা এবার বেরবে
বেছে বেছে
ঘাতক
ধর্ষক
অগ্নিসংযোগকারীদের
ঘাড় মটকাতে
ওরা বেরবে এবার |

.       **************             

.                                                                  
উপরে . . .
.                   সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                      
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
লালগড়ে সূর্যোদয়      
কাঞ্চন কুমার

উদ্বিগ্ন পুলিশ মন্ত্রী,
মানুষ থাকবে
অথচ ভয় থাকবে না
ভাবতেই ভয় হয় তাঁর |

সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের হাওয়া
ভেঙ্গে দিয়েছে মানুষের ভয়
একটু একটু করে |

জমিতে হাত দিলেই
নামছে ধস
পুলিশ প্রশাসনের
প্রবেশ নিষিদ্ধ করে
পথ কেটে গাচ ফেলে
নামিয়ে এনেছে
ঘন অন্ধকার ছায়া |

ধামসা মাদলের নির্বাচনী রণধ্বনি
জেলের বাইরে
পার্টির সম্পদরাও
হার্মাদ বাহিনীও তৈরি
কিন্তু পুলিশি ঘেরাটোপের বাইরে
ভেল্কি ওরা দেখাবে কি করে ?

লালগড়ের অবরোধ ভাঙ্গতে
গণতন্ত্রের স্বার্থেই এখন
জঙ্গল মহলকে
ডুবিয়ে দিতে হবে রক্তে |


নন্দীগ্রামের মত
লালগড়েও
তখনই হবে সূর্যোদয়

.       **************             

.                                                                  
উপরে . . .
.                   সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                      
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
বাঁশে ঝোলে গণতন্ত্রের শব      
কাঞ্চন কুমার

ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে যে পুলিশ ওদের,
তারা সর্বশক্তিমান ভগবান |

পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে
আঙ্গুল উঠতেই
লালবাড়ির সাদা প্রহরীর অভিমান
হয়ে গেল খান খান
নামলো যৌথবাহিনী
ফেরাতে রাস্ট্রের লুন্ঠিত সন্মান |

গাছপালা ভেদ করে
জঙ্গলের মৌ-পথ ধরে
জঙ্গল গ্রাম রক্তাক্ত করে
ছুটে চলে বিশ্বমেধের ঘোড়া

যদিও ফিরেছে আইনের শাসন
মুখ খোলার উপায় নাই
নোটবুক খোলার উপায় নাই
ছবি তোলার নিয়ম নাই লালগড়ে এখন |


বছর শেষের আগে
ছিঁড়ল শিকে
হায়েণাদের ভাগে |
রজ্ঞার জঙ্গলে ঘুমে কাদা
রুখতে পারেনি তারা নেকড়েদের থাবা


শবদেহ ছেলেমেয়েদের
বেঁধে হাত পা পশুদের মত
নিয়ে যায় বাঁশে ঝুলিয়ে
সাফল্যের প্রতীক তাদের
গণতন্ত্রের ভাগাড়ে
পৈশাচিক উল্লাসে |

.   **************             

.                                                                              
উপরে . . .
.                               সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                                  
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
নিয়ম           
কাঞ্চন কুমার

তুমি প্রতিবাদী, তুমি প্রতিরোধী
তা সত্ত্বেও কি করে বিশ্বাস করি
তুমি নও মাওবাদী  ?
মাওবাদীই যদি না হলে
অস্বীকারের এত সাহস
কোথা থেকে তুমি পেলে  ?
বল  কে কে আছে তোমার দলে  |

না, বলতে সে কিছুই পারেনি
আসলে বোবা যে |
এই সামান্য অসুবিধায় কি
ন্যায় বিচার আটকাবে ?
একই নামের আর একজন
উঠেছিল কাঠগড়ায়
উত্তর দিয়েছিল অবলীলায়
বোবা কালাদের নাই বা রইল শত্রু
অবধারিত দন্ডাদেশের ধারাবিবরণী
কান পাতলেই শোনা যায় |

তুমি মানসিক প্রতিবন্ধী
কাজগপত্রে প্রমাণ থাকলেও
ব্যাপারটা পুরোপুরি
মাওবাদী অভিসন্ধি |

গ্রেপ্তার যখন হয়েছ
তখন তুমি গেরিলাই হবে
আধিকারিক পুরস্কার পাবে |
এই তো নিয়ম |

.   **************             

.                                                                              
উপরে . . .
.                               সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                                  
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
দীঘির পাড়ের স্বপ্ন           
কাঞ্চন কুমার

বসে না থেকে
ওঠ পাহাড়ে
না পারিস নিজে যদি
ওঠ যৌবনের কাঁধে ভর করে
তুই ওঠ পাহাড়ে |

দুঃখের যে নদীগুলি
পেরিয়ে এলি
লুকোচুরি খেলে সেথা
আলো আঁধারি |

বয়ে চলে জীবন
জঙ্গলের ভিতরে ভিতরে
তাকে স্তব্ধ করতে
চারিদিকে
যৌথবাহিনী ঘোরে
গুলি খায় জওয়ান
হাতে আসে
রাতের প্লাস্টিক |

দীঘি পারের
শিশু চারা গাছগুলিকে
অন্ধকার জড়িয়ে ধরে
দেয় না বৃষ্টি ওদের
শুকিয়ে যেতে |

যৌবনের গাঁথা স্বপ্ন
লুকিয়ে অন্তরে
জেগে আছি দীঘির পারে
রাইফেল ধরে |

.   **************             

.                                                                              
উপরে . . .
.                               সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                                  
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
হুল দিবসের শপথ           
কাঞ্চন কুমার

এটা ভাগনাডিহির মাঠ নয়
তীর ধনুক হাতে যোদ্ধারা
.      কেউ নেই এখানে
তবুও ঘুরে গেছে যৌথবাহিনী
.      তিন দিন আগে |
.          শহীদ স্তম্ভ
কথা বলছে আকাশের সঙ্গে
.   স্মৃতির গহণ থেকে
,       নেমে এসেছেন
উত্তরাধিকারীদের মাঝে
.   সিধু কানহু চাঁদ ভৈরব
বিরসা মুন্ডা তিলকা মাঝি
.        নতুন করে
. হুলের স্বপ্ন গেঁথে দিতে |
.        শাল গিরার ডাকে
এসেছিলেন চারু মজুমদার
.           হাসি মুখে
.     শশধর, সিধু সরেন
.       উমাকান্ত মাহাত
. লালমোহন টুডু কাছ থেকে
. লালগড়ের যুদ্ধ গাথা শুনতে |
ধামসা মাদলের তালে তালে
.       গান নাচের ছন্দে
.    তীর ধনুক খেলার মাঝে
.         হুল দিবসের শপফ
একাকার হয়ে গেছে মিলে মিশে
.        উঠেছে মুষ্টিবদ্ধ হাত
.              তার সাথে |

.             **************             

.                                                                              
উপরে . . .
.                               সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                                  
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
ভালবাসা           
কাঞ্চন কুমার

ভালবেসেছ কি তুমি
মানুষ কে ?
ভালবাসা বলতে
কি বোঝায়
জান কি  ?

ভালবাসার অন্য নাম
কিষেণজি |


.  **************             

.                                                                              
উপরে . . .
.                               সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                                  
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
আটকান যাবেনা সকাল           
কাঞ্চন কুমার

কাল যখন তুমি চিলে
ওরা ভয় পায়নি পুলিশ বাহিনীকে
সাত মাস তালা ঝুলে ছিল
থানার গেটে |
           
ওরা ভয় পায়নি হার্মাদ বাহিনীকে
যৌথ বাহিনী এনে গ্রামে গ্রামে
ক্যাম্প করে করে বসান হয়েছিল
হার্মাদ বাহিনীকে
মৃত্যু, এসে দাঁড়িয়েছিল দোরে দোরে \

পালা বদলের বলি, তুমি নেই
হার্মাদ ভৈরব বাহিনী হয়েছে
পাশে যৌথ বাহিনী রয়েছে
দাপাদাপি তো ওরা করবেই
হায়নার হিংস্রলীলা তো চলবেই
ওদের সূর্যোদয়ের মতই
এরাও অন্ধকারে নামাতে চাইছে
জন--জাগরণী পালা
জোটবদ্ধ থাকলেই
শেষ করা যাবে দুর্বত্ত্বদের এই খেলা |

এটা ধৈর্য ধরার সময়
এটা প্রস্তুতির কাল
রাত যতই অন্ধকার হোকনা কেন
আটকান যায়না সকাল
আটকান যাবেনা সকাল |

.       **************             

.                                                                              
উপরে . . .
.                               সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                                  
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ
*
শহীদদের প্রতি          
কাঞ্চন কুমার

তোমরা না থাকলেও
তোমাদের জমি-বন্টন
তোমাদের সেচ-ব্যবস্থা
ছড়িয়ে রয়েছে এলাকা জুড়ে
তোমাদের তৈরী বাঁধ
তোমাদের কাটান দীঘি, পুকুর
তোমাদের লাগান টিউব অয়েল
তোমাদের স্বাস্থ্য-কেন্দ্র
তোমাদের তৈরী শহিদ-স্তম্ভ
তোমাদের পোঁতা গাছ
প্রতি মুহূর্তে শোনাচ্ছেতোমাদের গৌরব-গাথা
তোমাদের সময়ে পাওয়া ক্ষমতার স্বাদ
কোনোদিন ভুলবেনা জঙ্গল মহল |

এখন সংগঠন বোনার দিন
চেতনার তরবারিতে শান দেওয়ার দিন |

উন্নয়ণের পলেস্তারা পড়তে শুরু করবে
ঝুর ঝুর করে
নোনা ধরা দেওয়ালের মত
আসবে আঘাত হানার সময়
তাই বসে থাকা আর নয় |

জঙ্গলে গ্রামে ঘুরবে গেরিলারা
দেখবে সবাই
ফিরে এসেছে দল
আমাদের দল |

.    **************             

.                                                                              
উপরে . . .
.                               সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের অন্যান্য কবিদের সূচির পাতায় . . .   
.                                  
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সুচির পাতায় . . .       



মিলনসাগ