[ একটি অনুরোধ - এই সাইট থেকে আপনার ব্ লগ্ বা সাইটে, আমাদের কোন লেখা, তথ্য, কবিতা বা তার অংশবিশেষ নিলে, আমাদের মূল পাতা https://www.milansagar.com/index.html এ দয়া করে একটি ফিরতি লিঙ্ক দেবেন আপনার ব্ লগ্ বা সাইট থেকে, ধন্যবাদ ! ]
তবুও আবার (সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতা) . কবি কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন কে যেন কে যেন বলেছে লিখে মিথ্যা বলো, মিথ্যা বলো বার বার বার বার আরও---আরও--- মিথ্যা সত্যি হবে আবার |
আজ প্রতিবাদ প্রতিরোধে যারা- মাথা তুলে আছে, যেখানে সত্য চাপা পড়ে থাকে জোরে আরও বেশি জোরে |
হাতছানি . কবি কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন টেবিলের এপার আর ওপারের খেলা চলে অবিরত এপারে যখন আমি, ওপারে তোমার চোখ জবা | ওপারে যখন আমি চলে যাই, আমার শরীর মন ফুলতে ফুলতে দানব তখন কিন্তু যাদেক এপার ওপার নেই, নেই নেই শুধু নেই, এই সময়টুকুতে তারা গান গায় সাঁতার কাটে, ভেসে যায় দিগন্তে, এপার ওপার খেলায় মেতে আছে আমার মন, তোমারও তবু তুমি আর আমি ভাবি শুধুই ভাবি নেই নেই শুধু নেই কিন্তু ওদের মত নেই হ'তে পারি না কখনো, তাই তো নীলাকাশ, সমুদ্রের ঢেউ, পলাশ ফুল শ্মশানের নিস্তব্ ধতা ডাকে... হাতছানি দেয় আয়... আয়...
. কবি কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন ১ জোড়া শিশু খেলা করে মৃত্যুর পরিখায় কাদা ছোঁড়ে আর হাসে খিলখিল বুড়ি ফতেমা পিসি রান্না করে, সাধু গান গায় জুবুথুবু হয়ে ছোট্ট ঘরের খাটের তলায় রমণ করে ছেলেবউ উপরে মা-বাবা, তাদের চাওয়া পাওয়া শরীরে শরীরে মেশে, শিশু খেলা করে |
২ রেল লাইনের তিনহাত দূরে ঘর, শুধু ঘর শিশু খেলা করে লাইনের ওপর জোড়া শিশু ট্রেন দেখে খেলা করে, ট্রেন যায়-আসে ঝগড়া বাঁধে ঘরে ঘরে, প্রেম হয়, দেবশিশু হাসে | এ'রকম শিশু যদি আমিও হ'তাম, সাধু হয়ে ফতেমাকে জড়িবুটিতে বশ করে পালাতাম দূরে | দূরে মানে তেপান্তরে, তেপান্তর কতদূর? ট্রেনে চেপে যাওয়া যায় বুঝি? নাকি শিশু হয়ে যেতে হয়ে
৩ জোড়া শিশু খেলা করে মৃত্যুর পাশে মৃত্যুকে লাথি মারে, ট্রেন ডাকে হুইসেল ছেড়ে ঢাকুরিয়া স্টেশন, একটু দাঁড়াও মন, এখনও অনেক কাজ আছে বাকি | খেলা শেষ ক'রে শিশুদের সাথে আমি ড্রাইভার হবো আমার সাথে বাসন মাজা লতা, খড়কাটা জুলেখা, মাছ বিক্রির পারুল---স্টেশন কত দূর? ঢাকুরিয়া নয় তেপান্তর নয় আরও আরও দূর |
নীলপাখি . কবি কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন নীলপাখি খুঁজে ফেরে অনন্ত আকাশ মেঘ আসে, মেঘ যায় তবু নীলপাখিরই চোখের জলে বৃষ্টি নামে শ্রান্ত হয় পৃথিবী নদী মিশে যায় সমুদ্রের বুকে |
এই বর্ষায়, কৃষকেরা গান গেয়ে ফেরে পুঁইয়ের মাচায় নীলপাখি নামে, তৃষ্ণার্তকে জল দিতে ঘটি হাতে বধু, লজ্জামাখা মুখ তবু ঝড় এসে ভেঙে দেয় সব উলঙ্গ ক্ষেত, ভাঙা পুঁইয়ের মাচায় খেলা করে কীট তাই নীলপাখি খুঁজে ফেরে আকাশ... অনন্ত আকাশ...
তবু বেঁচে আছি . কবি কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন দরজা ভেঙে একে একে চলে যাচ্ছে কোকিল উষ্ণতা মেশানো হাস্নুহানা ঢেউ, কাল যা ছিল জীবন্ত আমি কি মমি হয়ে আছি? সামনের মানুষগুলো পাথর দিনটা পিছনের ঝাপসা
দরজা ভেঙে একঝাঁক আলো কাঁঠালি চাঁপার গন্ধ তবে পথ ভুলে গেছে
কিছুতেই শুনতে চাই না . কবি কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন কিছুতেই শুনতে চাই না তার কথা তার ইচ্ছায় কবিতা নিষ্ঠুরতায় হাসে নোনা জলের ঝাপটা নামে মুখে সহ্য করতে ভুলে গেছি বহুকাল |
তোমাকে বলছি . কবি কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন মনে ক'রেও তোমার মুখটা পাথর স্নিগ্ধতায় এঁটোমাখা হাত হাতে হাতে মিলন হয় নি বহুদিন কেন হয় নি জানতে চাও নদীর কাছে পোকা বেগুন ক্ষেতে, সবুজ লাউডগা জবাব দেবে | যদি ঠিক মতো মাটি খুঁড়ে প্রশ্ন করতে পারো কবরের শান্ত জীবনটাকে ম্যাজিক দেখতে পাবে মরুভূমি ঘোমটা দিয়ে সমুদ্রে মিশে যায় |
আলিঙ্গন . কবি কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন যদি নিজের কাছে প্রশ্ন করো অন্ধকার ক্যানো? আলো এসে সরিয়ে দেবে তোমায় যদি আলোর কাছে প্রশ্ন করো আলো এসে পাশে বসে চুপিচুপি বলবে ও আছে তাই আমি আছি দু'জন জড়াজড়ি এক পৃথিবীতে হামাগুড়ি দিতে ভূলে গেছি বহুকাল |
শেষ যেদিন দেখা হ'লো আকাশের সাথে বুকের ভিতর তখন টয়টম্বুর জল ঘৃণা ছুঁড়ে বান ডেকেছিল লোকে মেয়েলি বলে যন্ত্রণার শামুক হয়ে পথ ভুলে হারিয়ে গেছিল সে বাষ্প হ'তে হ'তে
এই বিষন্নতা আমার ভালোলাগে এই সামাজিক নিষ্ঠুতায় প্রাণ ফিরে পাই পড়ন্ত দুপুর বেলা | হাজার বছর বাঁচব বলেছি তাই বসে আছি আজ এসাইলেমের তরুণী ডাক্তারের ভ্রুর দিকে চেয়ে শিশু হয়ে |
এই বিষন্নতা আমার ভালোলাগে এই সামাজিক বর্বরতা আমার ভালোলাগে তাই বেঁচে আছি, বেঁচেই আছি পড়ন্ত দুপুরে |