কবি মণিন্দ্র গুপ্তর কবিতা যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
অপ্রাপ্তবয়স্ক ব’লে
মণীন্দ্র গুপ্ত
অপ্রাপ্তবয়স্ককে তুমি হৃৎচঞ্চল সিনেমা দেখা
তারপর থেকে তার ঘুম আসে না | তুমি স
বলেছিলে : ‘রাত্রি জেগে কী করো ? ----- ক
ঠাট্টা রাখো | তারপর থেকে তার ঘুম আসে
রাতের বেড়াল হয়ে তোমার উচ্ছিষ্ট-করা মুখ
ঘুম আসে না---- নরভুক বাঘ হয়ে থাবা চাটে,
এখনো সেখানে আর্দ্র ; ঘুম আসে না----- ডাকা
তোমার রাতের জানালা সঙ্গোপনে খুলে ঘরে
ঘুম আসে না ---- অ্যাসিড বাল্ব ছুঁড়ে তোমার
কাছে নুইয়ে আনে, ঘুম আসে না ---- সন্ন্যাসী
তোমাকে একাকী রেখে চলে যায় অনেক গ
অপ্রাপ্তবয়স্ক ব’লে ঘুম আসে না | তুমি সা
অপ্রাপ্তবয়স্ক ব’লে এখন সে-সবকিছু হয়ে যে
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
অথচ দুজনই তারা লোক ভালো---- সরল, বিশ্বাসী, উপকারী |
তারা জানে : বুকের ভিতরে সেই শব্দ বাজে
এগিয়ে এলেই যাবে শোনা
অথচ কিছুতেই তারা একে অপরের বুকে কান পাতবে না |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
আবহমান বাংলা কবিতার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হল
মণীন্দ্র গুপ্ত
তখন বৎসরশেষের চৈত্রমাসের শেষবেলা |
খোলা আকাশের নিচে পৃথিবী স্পষ্ট হয়ে আছে, কিন্তু বছরের পর বছর
একনাগাড়ে পড়ার ফলে অক্ষরের রেখাগুলো গারদের শিকের মতো
খাঁচার বাইরে আসামাত্র কবিতার ভাবার্থ চোর, পশু আর কয়েদী পাখির মতো
পরিত্রাহী চেঁচিয়ে পালাল | মিলনসাগর.কম থেকে কপিপেস্ট করা
চৈত্রমাসের শেষবেলার এমন সুন্দর পৃথিবীকে আমি দেখব কি-----
হাজার বছরের শব্দে মাথাটা যেন যকের খুলি হয়ে আছে |
হঠাৎ দেখি, পুব আকাশের লাল মেঘে কবিকঙ্কণের সোনার গোধিকা
শুয়ে ঘুম দিচ্ছে | মিলনসাগর.কম থেকে কপিপেস্ট করা অন্যায়ভাবে
অদূরে একটি জলাশয়ে রামপ্রসাদ সেন স্নান করতে নেমেছেন------
একটু একটু ডুব দিচ্ছেন আর জলে জল হয়ে গলে যাচ্ছেন |
কবিতার মধ্যে থেকে সোনার গোধিকা কখন পালাল ?
রামপ্রসাদ কখন পালালেন ? কোথায় পালালেন ?
তাহলে আমিও পালাই | উচ্ছন্নে যাই নেচে নেচে।
অস্পষ্ট ভাষা ধু ধু করছে------
পশ্চিম দিগন্তের ওপারে যেখানে জংলা একটু মেঘের পাশে সূর্য ডুবছে
সেখানে পৌঁছতে পৌঁছতে পিঁপড়ের চেয়েও অস্পষ্ট হয়ে তারা মিলিয়ে গেল |
সূর্য ডোবার পর অন্ধকারের মধ্য দিয়ে হু হু করে হাওয়া বইল-----
আগামী হাজার বছরের গায়ে গত হাজার বছরের কবিতার দুঃখ
এইভাবে এসে লাগল |মিলনসাগর.কম থেকে কপিপেস্ট করা
অন্যায়ভাবে!
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
দম্পতি
মণীন্দ্র গুপ্ত
থাকছে, তত তারা চিনতে পারছে না
দুজনাই লোক ভালো, তবু ভাবে :
বুঝি সরাবে ওর সোনা |
গে দুজনাই ভেবেছিল : যে--কোনো দরকারে
.য়ে অপরকে ভোর কিনে দেবে |
আজকাল দিনশেষে খাবার টেবিলে
ঠান্ডা ফলের মতো হিম হাতে প্লেট
খেয়ে যায় | ওপাশে আরেকজনও ব
মাঝখানে দুর্গতোরণের মতো ঠান্ডা
একটুও ছলকায় না | দুজনই সজাগ
একজনার জল চলে যায় অন্যের পা
পাছে টেবিলেতে একটা জলকান্ড হয় |
পূর্ণিমা
মণীন্দ্র গুপ্ত
আজ চতুর্দশীর রাত |
গাছপালার হাসির মধ্যে এসে চাঁদ আটকে গেছে |
পূর্ণিমা বাগচী হলে ও স্বামীর সঙ্গে যাবে কানাডা |
পূর্ণিমা সর্দার হলে বিপক্ষ পার্টির লোকেরা ওকে ধানকাটার মরসুমে
বলাৎকারের জন্য টেনে নিয়ে যাবে |
কিন্তু রাতের বেলা, ধোয়াপোঁছা পূর্ণিমা, তত সহজ মেয়ে না |
সব শুনে সে খিলখিল করে হেসে উঠল | তারপর
গম্ভীর হয়ে দু হাত বাড়িয়ে বলল, ‘এসো, আমরা এই
পূর্ণ নিশীথিনীর মধ্যে ডুব দি |’
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
. মেয়েটির নাম পূর্ণিমা ------ ওদিকে একা একা সে
. মধ্যগগন |
. শ্চন্দ্র রাতেও সে পূর্ণিমা | খর দিবসেও
. অ্যনিমিয়ায় ভোগে | সন্ধের মুখে ঘুসঘুসে জ্বর আসে |
ছেন, বিয়ে দিলে সে মৃতবৎসা হবে | বৈদ্য বলেছেন,
ভবিতব্য |
. য়ে পূর্ণিমা যখন আমার কাছে এল, আমি
.লাম ওকে কোথায় বসাই :
হলে ও যাবে গুরু বিপিন সিংহের নর্তনালয়ে
|
.স হলে ও ঝাউতলা বস্তি থেকে ঊষায় বেরিয়ে
. তে |