অপরিচয়ের নিশীথ ক

কান্নাহাসির সম্প্রীতি বু
তুমি কি বলছ হে বিজ
দ্বিধার পাহাড় ছাড়িয়ে কোথায় আ
সবই রয়ে গেল বোধের

প্রহরের পর প্রহর কেটে
সমর্পণের নমিত রেখায়
অন্তবিহীন দিন কেটে গে
বাঁধ-ভেঙে-দেয়া হৃদয়ের
এই সুনিবিড় যুগ্মতা, ম
কবি শিবশম্ভু পাল-এর কবিতা
www.milansagar.com
*
অগ্নিমুখর দেহের মধ্যে চিন্ময়তার
দীপ্ত শ্লোকের চতুরালি দেখে বিজ্ঞ ভেবেছি
তবুও প্লাবনে নাচের ঘূর্ণি ;  নায়িকার সারা দেহ
ভেসেও অটুট ধ্রুবমন্ডলে উজ্জ্বল স্থির আগেরই মতন |

বন্ধু আমার, হে বিজন বহুকাঙ্খিত ক্ষণ
জানার পরিধি ভেঙেচুরে দিয়ে কোথায় এনেছ
এই হাসি, এই চোখের পাতার কম্পিত আভা কখনো দেখিনি |

অরণ্যভূমি তোলপাড় করে অজ্ঞাত হাওয়া  | আমি চিরকাল
বিস্মিত থেকে যাব  ||

.            *************   
.                                                                                             
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
রৌদ্রালোকে হাঁটাকেই বাঁচা বলে, জাগা বলে ;   তুমি তো পালিয়ে
কোথায় অদৃশ্য হও দেবা না জানন্তি | শুধু আপাদমস্তক
অনুতাপে ভরে যায় স্বপ্ন ভুলি, স্বপ্ন দেখা কেন যে,বালক ?
প্রশ্ন করি আয়নায় | সেই তো আবার ঘুম, ঘুম ভেঙে সেই জেগে ওঠা
পরিচিত ধমনীতে ; স্বপ্নের থাকে না ছিটেফোঁটা |

.                     *************   
.                                                                                             
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
ভারসাম্য রাখতে হবে পর্দার গোলাপে আর কাঁটার গোলাপে
চিয়ার্সনন্দিত সুস্থ বিবাহবার্ষিকী আর বান্ধবীর প্রমিত কৌতুকে |

পূর্ব বলে, ভাষণ থামাও |
সিঁদুরে মেঘের ভয়ে রুগ্ন কিছু ঘরপোড়া গোরুর কাহিনী
নিজেকে শোনাও, যাও, ভর্তি করো প্যাড |
পশ্চিম যেন-বা সেই তাঁবুর ভেতর ক্রম-উল্লসিত জাঁহাবাজ উট |
পরস্পর শত্রু, তবু দুজনেই একসঙ্গে ছুঁড়ে দেয় বিরক্ত ক্র্যাকার
আমি যেন সদাব্রত পুলিশের জিপ !

তাঁবুর বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভেজে বাস্তুসংস্থান |

.                     *************   
.                                                                                             
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
সিঁড়ি ভাঙে পা টিপে ফ্রয়েড !

.        *************   
.                                                                                             
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
দু-বছর মাছ মাংস পেঁয়াজ রসুন মশালা না ছুঁয়ে তেল না মেখে
পাথরভাঙার জোর প্রতিযোগিতায়
নিজের দুখানা হাত করে তুলল হেঁতালের লাঠি  |
কালাশৌচ কেটে গেলে কাগজে সে দিল বিজ্ঞাপন :
ডিভোর্সি পাত্রের জন্যে সবর্ণ কি অসবর্ণ পাত্রী চাই
দাবি-দাওয়া নেই |

দ্বিতীয় বিবাহে সেই দু-বছর আগেকার বধূটিই ফিরে এসেছিল |

.                   *************   
.                                                                                             
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
পাগলের সাতটা হলে মালিকের সাতাশ খুন মাপ |

সুতরাং ভাই-ভাই |  ‘হে ভারত ভুলিও না’ বলতে গলা কাঁপে
সভামঞ্চে আবেগের হিশেবি উত্তাপে |

চিত্পুরের ট্রাম চলেছে হাঁটিহাঁটি, ট্রাম নয় ঠিক
গন্ধটা গামছারও নয়,ইতিহাসও এর মধ্যে মিশেছে খানিক |

.                   *************   
.                                                                                             
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*

.                   *************   
.                                                                                             
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
পরি-কল্পনা
শিবশম্ভু পাল
   
পরিরা
পরিরা
মস্কো
দিল্লি
কত না
কোথাও
পরিরা
ভরে দেয়

পরিদের
জানে না
অথচ
আকাশে
পরিরা
জানি না
পরিদের
পরিদের
আমাকে ডাকলে দু-হাত বাড়িয়ে
অজ্ঞাত হাওয়ার মধ্যে
শিবশম্ভু পাল
    
অনুতাপ
শিবশম্ভু পাল

স্বপ্নগুলো মনে নেই, ঘুম থেকে উঠলেই কোথায় উধাও হয়ে যায়
আমি এত দিন ধরে তোমার প্রশ্রয়
ঘুমিয়ে ছিলাম, জেগে চেয়ে দেখি ক
অনন্ত শয্যার রাত্রি স্বেচ্ছাবৃত দ্বীপা

তাহলে এখন শুধু অনুতাপ | কোনো
আদরে-আদরে গলে বৃষ্টি হয়ে ভেজা
তোমারই প্রশ্রয়ঘন ছায়াচ্ছন্ন নরম
তার জন্য কষ্ট হয় |  কেন যে আবা
জেগে ওঠা, বেঁচে ওঠা | কোথায়
তোমার অনেক নাম যেমন কখনো

ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে একতালে কাঁধে
সৌজন্যশিল্প
শিবশম্ভু পাল

যে যার নিজস্ব ঘরে পেলমেট বসাক, পর্দার
সৌজন্যশিল্পের দায়ে আড়ালের খসড়া রচে নিক
রাত্রে যেন খিল আঁটতে ভুল হয় না, ‘রাত্রি’ শব্দটার
চুরিবিদ্যে
শিবশম্ভু পাল

কী জন্যে তোমার কাছে আসি ?
হয়তো বা এককাপ চা
দ্বিতীয় বিবাহ
শিবশম্ভু পাল

বাসর রাত্রেই যুবা বিবাহবিচ্ছিন্ন হয়েছিল  |

সে বোঝেনি নবোঢ়ার চোখের কাজলে অসময়-----
গন্ধ
শিবশম্ভু পাল

নির্বিকার বসে পড়ল গামছা-কাঁধে দেহাতি মানুষ