কবি অমিয় চট্টোপাধ্যায় - এর জন্মের তারিখ আমাদের জানা নেই। কবি কমলেশ সেন, স্বপন
দাসাধিকারী সম্পাদিত, “সত্তরের শহীদ লেখক শিল্পী” গ্রন্থে তাঁর “আমাদের সবার অমিয় : সেই শাণিত
তরবারি” প্রবন্ধে লিখেছেন যে অমিয় চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তাঁর দেখা হয় ১৯৬০-৬১ সালে যখন অমিয়র
বয়স ছিল ২১-২২ বছর। তা থেকে আমরা তাঁর জন্মের বছরটি অনুমান করে নিচ্ছি সম্ভবত ১৯৪০-৪১।
কবি অমিয় চট্টোপাধ্যায়ের বাবা খুব অল্প বয়সেই মারা যান। পরিবারে ছিলেন মা, দাদা তারা চট্টোপাধ্যায়
আর বৌদী। সংসারে খুব অভাব ছিল, বন্ধুদের সাথে বই ভাগাভাগি করে পড়তেন। তাঁরা থাকতেন নিউ
আলিপুরের সাহাপুরের জ্যোতিষ রায় রোডে। দাদা কাজ করতেন তারাতলার জে.স্টোন এর কারখানায়।
অমিয় নিউ আলিপুরের, কৈলাশ পণ্ডিত লেনের, সাহাপুর মথুরানাথ বিদ্যাপীঠ থেকে স্কুলজীবন শেষ করে,
চারুচন্দ্র কলেজ থেকে কলা বিভাগে, ইতিহাস, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতি নিয়ে স্নাতক হন। কলেজে তিনি পি.এস.
ইউ-এর ( আর.এস.পি.-এর ছাত্র সংঘটন প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ) সাধারণ সভ্য ছিলেন। কলেজ
জীবনে তেমন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতেন না। কবিতা লেখার ঝোঁক ছিল, গল্পও লিখতেন।
কবির কর্মজীবন শুরু হয় ঐ জে.স্টোন এর কারখানাতেই। বছর তিনেক সেখানে কাজ করেন। সাধারণ
শ্রমিক ছিলেন। বিভিন্ন যন্ত্রাংশে রং করতে হোত।
নিউআলিপুরের, সাহাপুরের জ্যোতিষ রায় রোডের মানুষ তাঁকে খুব ভাল বাসতেন। তিনি ভীষণ জনপ্রিয়
ছিলেন সেখানে। কেউ চিকিত্সা করতে পারছে না, কেউ মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না, তিনি লেগে
পড়তেন। জে.স্টোনের চাকরি ছেড়ে, ১৯৬১ সাল থেকে, একটি উঠে যাওয়া কারখানার একতলা বাড়ীতে,
তিনি একটি শিশুশিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন কালা বোসের সঙ্গে মিলে, যা ১৯৬২ তে ঠিকঠাকভাবে চলা শুরু
করে। যাঁর জমি ছিল তিনি ছিলেন কলকাতার এক পয়সাওয়ালা নামী লোক। তিনি চেষ্টা করেছিলেন পুলিশ
ও গুণ্ডা লাগিয়ে জমিটি পুনর্দখল করার। অমিয় চট্টোপাধ্যায় তাঁর বন্ধুবান্ধব সহ সারারাত জেগে পাঁচিল
দিয়ে জায়গাটা ঘিরে ফেলেন। যাঁরা সে রাতে জেগেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন কবি কমলেশ সেনও। অমিয়
নিজেই সেই স্কুলের সেক্রেটারি ছিলেন এবং সেই সময়ে স্কুলই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান ছিল। প্রথমে তিনিই হেড
মাস্টার ছিলেন। পরে বন্ধু ও সহপাঠী অমল বিশ্বাসকে সেই দায়িত্ব দেন। পরে স্কুলটি দোতলাও হয়। তাঁরই
চেষ্টায় স্কুলটির সরকারী স্বীকৃতি মেলে ১৯৬৮ সালে। স্কুল ছাড়া সামনেই অনুশীলন লাইব্রেরীও গড়ে
তুলেছিলেন। প্রথম দিকে মধ্যবিত্ত বাড়ীর ছেলেমেয়েরা আসতো না। বস্তির ছেলেমেয়েদের নিয়ে এসে
পড়াতেন। বস্তিবাসীদের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া শেখানোর বিষয়ে তাঁর খুব আগ্রহ ছিল। প্রথম প্রথম
শিক্ষকরা বেতন নিতেন না। পরে যা উঠতো, চাঁদা তুলে, ভাগ করে নিতেন। পাড়ার লোকজন তাঁকে এত
ভালবাসতো যে পাড়ার এক পুলিশ গোপন খবরাখবর দিয়ে যেতেন।
তিনি বেহালা পুরসভার নির্বাচনে জয়ী হন মাত্র তেইশ বছর বয়সে ( সম্ভবত ১৯৬২-৬৩ সালের ঘটনা )।
প্রথমে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে সি.পি.আই.এম. তাঁকে বেহালা পুরসভার প্রার্থী মনোনীত করেন। সেই
পুরসভার সর্বকনিষ্ঠ কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পুরসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে অমিয়
চট্টোপাধ্যায় এবং নিরঞ্জন মুখার্জীকে, বি.এল.সাহ রোডে ভাটিখানার কাছে সি.পি.আই. এবং কংগ্রেস দ্বারা
প্রচণ্ডভাবে প্রহৃত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর প্রতিবাদে পথসভাও হয়।
কবি উত্পল দত্ত নাটক করেন। অমিয়কে দেখতে হাসপাতালে খুব ভীড় হোত।
সি.পি.এম. এর সঙ্গে কিছুদিন কাজ করার সময়েই তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের নায়ক, অনন্ত সিংহের R.C.
C.I. ( রিভলিউশানারি কম্যুনিস্ট কোর অফ ইণ্ডিয়া ) তে যোগ দেন। R.C.C.I. তৈরী হয়েছিল ১৯৬৫ সালে।
তাঁদের অনেক ম্যনুয়াল ছিল। M.M.G.-তে কয়েকটা সেন্ট্রাল কমাণ্ড ছিল। অমিয়র উপর কোন কমাণ্ডের
দায়িত্ব ছিল না। কিন্তু তিনি কাজ করতেন একেবারে উপরের সারিতে। M.M.G. সেই R.C.C.I. এর একটি অঙ্গ,
যার কাজ ছিল সশস্ত্র অভ্যুত্থানের জন্য অস্ত্র কেনার টাকা যোগাড় করা। সেটা আইনি বেআইনি দুটো পথেই
করা হোত। কলকাতার সদর স্টীটের ব্যাঙ্ক আর গ্রীণ্ডলেজ ব্যাঙ্কের নিউ অলিপুর শাখার ডাকাতিতে M.M.G.
দলে অমিও চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। বৌদি এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন যে অমিয়র কাছে রিভলভার,
স্টেনগান থাকতো। জুতোর বাক্সে লুকিয়ে রাখতেন। এই ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে অনন্ত সিংহ জড়িত ছিলেন বলে
খবরটি সেই সময়ের প্রিন্ট মিডিয়ার শিরোনামে ছিল বহুদিন। R.C.C.I. এর তত্ত্ব ছিল শহরে গণ অভ্যুত্থান
ঘটাতে হবে। নকশালবাড়ী আন্দোলনের তত্ত্ব ছিল এর উলটো - গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরতে হবে। ৬৮ এর শেষ
দিকে R.C.C.I. ভাগ হয়ে যায়। অমিয়রা ছেড়ে বেরিয়ে এসে যোগ দেন কবি সরোজ দত্ত, কানু সান্যালদের
সঙ্গে নকশালবাড়ী আন্দোলনে।
১৯৬৭ সালে তাঁর পরিচয় হয় মীনাদেবীর সঙ্গে এবং ১৯৬৮ সালে তাঁরা বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। কোন
রেজিস্ট্রি হয়নি। কবি কমলেশ সেন সহ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। মীনাদেবী তখন
নিউ আলিপুর কলেজের জেনারেল সেক্রেটারী ছিলেন। কলেজে একটি ভর্তির ব্যাপারে কাউনসিলার হিসেবে
অমিয় সেখানে যান। সেখানেই তাঁদের পরিচয় হয়। কবি কমলেশ সেনের লেখা এবং স্ত্রী মীনা দেবীর
সাক্ষাত্কার থেকে জানা যায় যে অমিয় ছিলেন সুপুরষ ব্যক্তি। M.M.G. তে তাঁকে সবাই ডাকতো পাঠান
বলে। খুব ফিটফাট থাকতেন। সাদা জামাকাপড় পছন্দ করতেন। খুব আবেগপ্রবণ ও উদাসীন ধরণের।
বিয়ের তিন চার দিন পরই তাঁরা চলে যান বিহারের চক্রধরপুরের পাশে এক সাঁওতাল গ্রামে কৃষকদের মাঝে
পার্টির কাজে। ১৯৬৯ সালে সরোজ দত্ত কানু সান্যালরা নতুন পার্টি গঠন করেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার
পর সস্ত্রিক অমিয় চলে যান পুরুলিয়ার বড়বাজার গ্রামে, ডাক্তার পরিচয়ে। গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে তিনি ধান
কাটা, ধান তোলার কাজ করতেন।
সেখান থেকেই তাঁকে, এক জোতদারের খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয় (কবির দাদার মতে)। স্ত্রী মীনা
দেবীর মতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল M.M.G. গ্রুপের কাজের জন্য। পরে স্ত্রী মীনাদেবীও গ্রেফতার হন।
গ্রেফতারির পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পুরুলিয়ার জেলে। সেখানেই দেখা হয় অমিয়র সঙ্গে। ৭০ এর
মাঝামাঝি তাঁকে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে ( কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার )। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোন
প্রমাণ না মেলায়, তিনি ছাড়া পেয়ে যান।
কবি অমিয় চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর জেলের ভিতরে খুন করা হয় ২৬.১১.১৯৭১ তারিখে। শ্রী অতুলন
ভট্টাচার্য সেই বীভত্স দিনে সেই জেলেই বন্দী ছিলেন। তিনি অমিয়র পাশের সেলে বন্দী ছিলেন। তিনিও
আক্রান্ত হন কিন্ত কোনো রকমে বেঁচে যান। ২২.০৭.১৯৭১ তারিখে জলার্ক পত্রিকাকে দেওয়া এক
সাক্ষাত্কারে তিনি জানান - “তাঁরা কিছুদিন আগেই খবর পেয়েছিলেন যে নকশালদের বেশ কয়েকজনকে
মেরে ফেলার লিস্ট তৈরী হয়েছে। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ২৫.১১.১৯৭১ তারিখের সন্ধ্যার দিকে লকআপ
বন্ধ করার আগে একটা গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা আগেই গোপন সার্কুলার দিয়েছিলাম।
ফলে কেউই প্ররোচনায় পা দেয় নি। ২৬ তারিখ সকালে নাস্তার পরে হঠাৎই জেল কর্তৃপক্ষের পেটোয়া কিছু
কুখ্যাত কয়েদি আমাদের অশ্রাব্য গালাগালি দিতে আরম্ভ করে। ওরা নেশা করে তৈরীই ছিল। রড লাঠি
নিয়ে আমাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একেবারে বিনা কারণে, এই ছুতোতে কর্তৃপক্ষ “পাগলী” অর্থাৎ পাগলা
ঘণ্টা বাজিয়ে দেয়। তখন পুলিশও নেমে পড়ে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে। অমিয়দের সেলের উপরেই বেশী
আক্রমণ করে। যারা সেদিন মারা যায় সবাই-ই ওদের সেলের। আমাদেরও মারতে শুরু করে। তখন তিন
চারজন মিলে এক একজনকে টার্গেট করছে। চারদিকে বীভত্স চিত্কার, চেঁচামেচি। আশ-পাশের বাড়ী
থেকে লোকজন দেখেছে দিন দুপুরে খোলা আকাশের নীচে জেলের চৌহদ্দির মধ্যে অসাহায় অপ্রস্তুত সব
তরুণদের পুলিশ আর কুখ্যাত কয়েদিরা মারছে। তাতেও ওরা থামেনি। আহতদের সংলগ্ন জেল
হাসপাতালে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে বেছে বেছে যাদের মেরে ফেলতে হবে তাদের শেষ অবধি মেরে
গেছে। কিছু ডাক্তার আর হাসপাতাল কর্মীও এই হত্যালীলায় অংশ নেয়। এর দু’এক বছর বাদে "দর্পণ"
পত্রিকায় এর বিশদ উল্লেখ ছিল। এখন কোন নাম মনে পড়ছে না। তবে বিপরীতে কিছু ডাক্তার আমাদের
সাহায্যও করেছিল। অচৈতন্য দেহ লুকিয়ে ফেলেছিল। না হলে হত্যার সংখ্যা আরও বাড়তো। যতদূর মনে
পড়ছে অমিয় সহ সবাইকেই হাসপাতালেই মেরে ফেলা হয়। আমাকে হাসপাতালে তুলে নিয়ে গেলে দেখি
চারদিকে বেছে বেছে বেধড়ক মারছে - কেউ চেন, কেউ রড, কেউ লাঠি, যা হাতের কাছে আছে। আমি
কোনো রকমে হামাগুড়ি দিয়ে যেদিকটায় ফুলের টব, গাছ আছে ওদিকটায় গিয়ে মরার ভান করে পড়ে
থাকি। এ অবস্থায় আমাকে একজন সজোরে লাথিও মারে। হাসপাতালে ন্যুনতম চিকিত্সাও হয়নি,
বড়জোর একটু লাল অষুধ দেওয়া হয়েছিল। প্রলয়েশ তো পঙ্গু হয়ে যায়। শতাধিক আহত হয়েছিল, সার
সার দেহ মেঝে তে ফেলে রেখে দেয় ঘন্টার পর ঘণ্টা।”
সেই দিন অমিয় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খুন হন নিমাই দাস, রাজকুমার বৈদ্য, গৌর দাস, সহোদর বৈদ্য,
নীরজউদ্দিন ঘরামি, স্বপন (পদবী জানা নেই) এবং এক অজ্ঞাত ব্যক্তি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তখন কংগ্রেসের সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। আর মাত্র কুড়ি দিন পরে স্বাধীন বাংলাদেশের
জন্ম হবে।
দুর্ঘটনার পরদিন ২৭.১১.১৯৭১ তারিখে, কবির মৃতদেহ হাতে পান তাঁর দাদা-বৌদী। ১৯৯৬ সালে জলার্ক
পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তাঁরা জানান - “প্রচুর আঘাত। চেনাই যাচ্ছিলো না। একটা কান ছিল
না। মুখ দিয়ে বেয়নেট ঢুকিয়ে দিয়েছিল। ঠোঁট দুটো কাটা, সারা গালে চেন দিয়ে মারার দাগ, হাতের
আঙুলগুলো সব থেঁতলে গিয়েছিল। বিভত্স। চেয়ে থাকা যায় না।”
স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত “এবং জলার্ক” থেকে ২৫.০৫.১৯৯৮ তারিখে প্রকাশিত “সত্তরের শহীদ লেখক
শিল্পী” গ্রন্থে শ্রী নিহাররঞ্জন বাগ তাঁর "অমিয় চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর কবিতা" প্রবন্ধে লিখেছেন যে, যে
কবিতাগুলি এই গ্রন্থে তোলা হয়েছে, তার রচনাকাল ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ সাল।
আমরা মিলনসাগরে কবি অমিয় চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে
এই প্রচেষ্টার সার্থকতা।
উত্স - স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত “এবং জলার্ক” থেকে ২৫.০৫.১৯৯৮ তারিখে প্রকাশিত “সত্তরের শহীদ
. লেখক শিল্পী”, গ্রন্থ থেকে কমলেশ সেনের “আমাদের সবার অমিয় : সেই শাণিত তরবারি”,
. নীহাররঞ্জন বাগের “অমিয় চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর কবিতা”, অমল বিশ্বাসের “সহপাঠীর চোখে অমিয়”,
. সাক্ষাত্কার “দাদা বৌদির চোখে অমিয় চট্টোপাধ্যায়”, সাক্ষাত্কার “স্ত্রীর চোখে অমিয় চট্টোপাধ্যায়”,
. গীতা দাসের “অমিয়কে যেমন দেখেছি”, “এম.এম.জি. থেকে নকশালবাড়ি”, অতুলন ভট্টাচার্যর
. “শহীদের রক্তে রাঙা ছাব্বিশের সকাল”।
কবি অমিয় চট্টোপাধ্যায়ের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২৮.১০.২০১৫
...