ও ওই! ও হোসেন বাই দামুকদিয়ার চাচা কথা ও সুর : বিজন ভট্টাচার্য সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসঙ্গীত সংগ্রহ” (১৯৯০) গ্রন্থ থেকে।
ও ওই ! ও হোসেন বাই দামুকদিয়ার চাচা দোহাই তোরে দেখ্ ছে চাইয়া আমাগোরে বাঁচা || ও পিতন ঘোষ ময়নামতির বাছা দোহাই তোরে দেখ্ ছে চাইয়া আমাগোরে বাঁচা ||
দ্যাশের মধ্যে আমরা তুমরা ব্যতিরেকে নাই—কেউ নাই ; মোটা দাগের সাদা কথা কেনে ভুইল্যা যাই | আমার ব্যথা জানছো তুমি, তোমার দুঃখু জানছি আমি | মুখখান দেইখ্যা কইছো ডাইক্যা কান্দো ক্যানে বাই ||
আমি উত্তম তুমি মধ্যম চিরকাল একঠাঁই সুখে সুখী দুঃখে দুঃখী নিত্যি ঠাউর পাই | এই মায়ের চেয়ে মাসীর পোড়ে এই কথা কি সত্যি হবে | পেরথম পুরুষের এই কারসাজী সবারে জানাই ||
কালবসে কত হইল শত রাজার রাজ্য গেল এই যে সিরাজ-ইতি-বৃত্ত কথা স্মরণে সদাই | এখন উত্তম মধ্যম খতম হইল নইটে গাছ য্যান মুড়াইল আগুন লাইগ্যা সোনার সংসার পুইড়া হইল ছাই ||
ঘুট্ ঘুটি আন্দার রাতে হেই মন সরে না ভয়ে, পাও সরে না ডরে | এই নদীর বাঁকে হাসির খল্ খল্ বুঝলম শেষ আতে ও ভাই, নিস্তরঙ্গ কালো জলে বেইন্যার নৌকা ভাসে |
এই কালিকটের ঘাটে আর সুতানটীর বাঁকে ভিড়লো তরী সওদাগরী বর্গীরা সব আসে | তারা রথ দেখে আর কলা ব্যাচে সর্ যোমিনে কেল্লা গাড়ে নিজঘরে পরবাসী করলো লবাবকে | ঐ যে আলিবর্দীর ভগ্নিপতি চক্রান্ত যার মির্জাফরি লেইপ্যা দিল চূণকালি স্বদেশের মুখে
তোমার আমার মধ্যিখানে আস্ মান জমিন ফারাক্ কইরে তারা দুই সতীনের ঘর বানাইছে দেইখ্যাও দেখি নাই || এখন আমার হাসি হইছে বাঁকা তোমার কথা সন্দো মাখা | পরস্পরের মন বিষাইছে অদৃষ্টের বালাই ||
এখনও সময় আছে দুইখানা হাত এক করিতে ঐ যে সোনার হরিণ দেইখ্যা শ্যাষে পাছে ছুইট্টো না | ওযে গোলক ধাঁধা বুঝা কথা হুস্ ফিরাইয়া আনো চাচা ; ঘরের কথা পরের কাছে কইবার যাইও না ||
আমলা আমলা গাই গরু সামলা কথা ও সুর : বিজন ভট্টাচার্য জলি বাগচী ও দীপালী সেনগুপ্ত সম্পাদিত সূর্য অভিয়ানের গান (১৪০১) থেকে।
আমলা আমলা গাই গরু সামলা বাঘ এল দেশে ডাকে ফেউ। বদরআলি হুশিয়ার মাত্বর সদিয়ার হুস না জানে চুরি করে কেউ॥
এই ব্যাঘ্র পুরাতন রং ঢং সনাতন নানান ফিকিরে চোষে খুন (আরে) দুইশ বছর ঘুইর্যা গেল ব্যাঘ্র তবি নাহি গেল ও ডরে ত্রাসে মখ গুলা চুন॥
এই ব্যঘ্ররাজের তিন সঙ্গী, তিনজনই জবর জঙ্গী হাড়েমাসে চিবায় রাত্রদিন। একটা হইল মোটা আমলা জমিদার আর খুদে পয়লা আর দোসর হইছে মহাজনটা হীন॥
এই ত্রিবিধ শোষণে পরে দেশটা গেল ছারেখারে না বলিতে একটা মাথা নাই। আছে শুনি কত নেতা মাথা থেকেও নাইকো ব্যথা এ দুঃখের কথা কাহারে জানাই। (এই) নেতা বলে আমি বড় নীতির কথা আমি দড় এখন দড়বড় না বড়দড় বল। (আরে) ব্যাঘ্র বসি রাজাসনে মোচটা চুমড়ায় হৃষ্ট মনে আর চিন জুয়ারী বাজায় তালি ভাল॥