লতায় পল্লবে শত উপেক্ষার দৃষ্টি যেন দহিতেছে তারে ; নূতন আসিবে কাল তারি লাগি দিকে দিকে নব আয়োজন ; যে চলিল তারে কেহ নাহি কহে সান্ত্বনার বাণী বারে বারে ; সে যেন একান্ত পর ; তারে বুঝু কারো আর নাহি প্রয়োজন!
কহিলাম, “হে বন্ধু বিগত-প্রায়! দুঃখ কেন মিথ্যা তব শোক! অতীত শীতের স্নেহ কে স্মরিবে বসন্তের হবে হেব জয়?” সে কহিল, ‘আমি যা’ দিয়াছি যত হর্ষ স্নেহ আনন্দ আলোক সে কি সবার উপক্ষার? এতটুকু প্রীতি তরে সে কি কিছু নয়?”
নূতনেরে কহিলাম, “হে সুন্দর বন্ধু মোর! হে বর্ষ নবীন! তোমার আসার আগে যে জন বিদায় নিল চেন তুমি তারে?” কহিল নূতন বর্ষ, “আজিও চিনি না তারে, চিনিব সে দিন যে দিন ধরণী হ’তে মোর স্মৃতি মিলাইবে ঘন অন্ধকারে!”
পৃথিবী কবি বিমল মিত্র বঙ্কিমচন্দ্র মিত্র সম্পাদিত দেশ পত্রিকার ২৮শে ফাল্গুন ১৩৫৫ (১৯৪৯) সালের সংখ্যায় প্রকাশিত কবিতা। মিলনসাগরে প্রকাশ ৬.১১.২০২২।
পেরিয়ে অনেক রাত্রি, অনেক রাত্রির সমুদ্র, এখানে এলাম এই স্বপ্নের প্রাহাড়ে।
আশা ছিল ধোঁয়া আর ধুলো লাগবে না গায়ে। আমি লিখবো মহাকাব্য : মানুষের পরম জিজ্ঞাসা, আর বিধাতার চরম উত্তর।
কিন্তু কে জানতো বলো এটা একটা অগ্নিগিরি ; এখানেও হবে অগ্নুদ্গার! শুনছি নাকি এটা পাহাড় নয় কয়লার স্তূপ! এন ভেতরে খালি জমাট কয়লা! . এখানে বসবে কল বসবে রেল-লাইন বসবে বয়লার, ডায়নামো, বাজবে ভোঁ নাকি!
তবে তাই হোক্ হে পৃথিবী হে আধুনিক পৃথিবী! আমাকে মৃত্যুঞ্জয় কোর না, আমাকে অমর কোর না, শুধু দিও হাত তিনেক জমি : কারণ তোমার পাশেই আমি শোব! . ****************** . সূচিতে . . .