কবি গোলাম মোস্তাফার কবিতা
|
মহম্মদ মহ্সীন
কবি গোলাম মোস্তফা
বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় সংকলিত ও সম্পাদিত “কিশোর কবিতা সঞ্চয়ন” দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৯৯৯ থেকে নেওয়া।
পুণ্যশ্লোক, দানবীর, মহাপ্রাণ, হে হাজি মহ্সীন!
কে বলে মরেছ তুমি? হে অমর আছ চিরদিন।
আজো তাই যাও মাই বেহেস্তের নন্দন-কাননে,
আজিও ঘুরিছ তুমি ব্যথিতের কুটির-প্রাঙ্গণে।
অনাহারে কে রয়েছে, কাঁদিতেছে কোন ব্যথাতুর,
বনভোজন
কবি গোলাম মোস্তফা
বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় সংকলিত ও সম্পাদিত “কিশোর কবিতা সঞ্চয়ন” দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৯৯৯ থেকে নেওয়া।
নৃরু, পুষি, আয়ষা, শফি --- সবাই এসেছে,
আম-বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে!
রাঁধুনীদের সখের রাঁধার পড়ে গেছে ধুম,
বোশেখ মাসের এই দুপুরে নাই ক কারো ঘুম।
পল্লী-মা
কবি গোলাম মোস্তফা
বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় সংকলিত ও সম্পাদিত “কিশোর কবিতা সঞ্চয়ন” দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৯৯৯) থেকে নেওয়া।
পল্লী-মায়ের বুক ছেড়ে আজ যাচ্ছি চলে প্রবাস-পথে
মুক্ত মাঠের মধ্য দিয়ে জোর-ছুটানো বাষ্প-রথে।
উদস হৃদয় তাকায়ে রয় মায়ের শ্যামল মুখের পানে,
বিদায়-বেলায় বিয়োগ-ব্যথা অশ্রু আনে দুই নয়ানে।
চির চেনার গণ্ডি কেটে বাইরে এসে আজকে প্রাতে,
কিশোর
কবি গোলাম মোস্তফা
বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় সংকলিত ও সম্পাদিত “কিশোর কবিতা সঞ্চয়ন” দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৯৯৯) থেকে নেওয়া।
আমরা নূতন আমরা কুঁড়ি নিখিল বন নন্দনে,
ওযেঠে রাঙা হাসির রেখা জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে মিলনসাগর ঘুমিয়ে আছে মন্তরে
ঘুমিয়ে আছে বুকের ভাষা পাপড়ি-পাতার বন্ধনে।
সাগর জলে পাল তুলে দে’ কেউ বা হব নিরুদ্দেশ,