কবি বিমানবিহারী মজুমদারের বৈষ্ণব পদাবলী |
উদ্ধব সচিবসখা কৃষ্ণেরে পাইয়া একা কবি বিমানবিহারী মজুমদার “পাঁচশত বত্সরের পদাবলী” গ্রন্থের পরিশিষ্ট। সমৃদ্ধিমান্ সম্ভোগ পর্যায়ে কুরুক্ষেত্রে রাধাকৃষ্ণের মিলন লীলা। কুরুক্ষেত্রে মিলন শ্রীকৃষ্ণের প্রতি উদ্ধব উদ্ধব সচিবসখা কৃষ্ণেরে পাইয়া একা নিবেদয়ে ধরিয়া চরণ। দাসেরে ক্ষমিও প্রভু তোমারে কোথাও কভু দেখি নাই এত উচাটন॥ তোমার আপনজন গোপগোপী বন্ধুগণ ধাইয়াছে কুরুক্ষেত্র পানে। স্নান-দান ছল করি দেখিবে প্রাণের হরি আন কথা নাহি তুলে কানে॥ একান্ত নিভৃত স্থানে অন্যে জেন নাহি জানে মেলনি উচত সঙ্গোপনে। অন্তঃপুর সন্নিকটে মধুস্রবা নদীতটে স্থান আছে তাদের কারণে॥ হয়ো না উতলা এত দিবস হইলে গত প্রিয়জনে দিও দরশন। নিতাই শুনিয়া ভাবে কেমনে মিলন হবে নাই হেথা কোন কুঞ্জবন॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
দিবসের পরিণতি হেরহ এখন সতী কবি বিমানবিহারী মজুমদার কবি শ্রীরূপ গোস্বামীর “তরুণী-লোচন-তাপ-বিমোচন” সংস্কৃত পদটির, বিমানবিহারী মজুমদারের পদাবলীর রুপে অনুবাদ, “পাঁচশত বত্সরের পদাবলী”, পদসংখ্যা ৬৭। দিবসের পরিণতি হেরহ এখন সতী! বনমালী আসিছেন ফিরে। নূতন নূতন কত অঙ্গভঙ্গী নানামত কমলচরণ ফেলি ধীরে॥ মন্দ মন্দ গতি বায় ময়ূর পুচ্ছের তায় চূড়া দোলে মস্তক উপরে। তরুণীলোচন তাপ দূর করে অভিশাপ হেন হাস্য আস্য-সুধাকরে॥ ধেনিখুর-সংঘর্ষণে উঠিছে ধূলি গগনে তাহে ব্যাপ্ত কমলের মালা। শোভা নব ইন্দিবর কান্তিময় কলেবর মনোহর যেন রসশালা॥ মধুর মুরলীধ্বনি করিছেন গুণমণি তব রতি করিতে প্রবল। শোভাময় সনাতন সঙ্গে সব সখাগণ করিছেন রস কৌতূহল॥ শ্রীরূপ গোস্বামীর মূল সংস্কৃত পদটি . . . ॥ গৌরী॥ তরুণী-লোচন- তাপ-বিমোচন- হাস-সুধাঙ্কুর-ধারী। মন্দ-মরুচ্চল- পিঞ্ছ-কৃতোজ্জ্বল- মৌলিকুদার-বিহারী॥ সুন্দরি পশ্য মিলতি বনমালী। দিবসে পরণতি- মুপগচ্ছতি সতি নব-নব-বিভ্রম-শালী॥ ধ্রু॥ ধেনু-খুরোদ্ধত রেণু পরিপ্লুত- ফুল্ল-সরোরুহ-দামা। অচির-বিকস্বর- লসদিন্দীবর- মণ্ডল-সুন্দর-ধামা॥ কল-মুরলী-রুতি- কৃত-তাবক-রতি- রত্র দৃগন্ত-তরঙ্গী। চারু-সনাতন- তনুরনুরঞ্জন- কারি সুহৃদ্গণ-সঙ্গী॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |