কবি হরিকৃষ্ণ দাসের বৈষ্ণব পদাবলী
*
কি মধুর মধুর বয়স নব কৈশোর
কবি হরিকৃষ্ণ দাস
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৩য় পল্লব, শ্রীকৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ,
পদসংখ্যা ৬০।

অথ শ্রীকৃষ্ণস্যাপ্তদূতী।

তদুচিতশ্রীগৌরচন্দ্র

॥ পাহিড়া॥

কি মধুর-মধুর                                          বয়স নব কৈশোর
মূরতি জগ-মন-হারী।
কি দিয়া কেমনে বিধি                                নিরমিল গোরা-তনু
আকুল কুলবতি নারী॥ ধ্রু॥
বিফলে উদয় করে                                      গগনে সে শশধরে
গোরা-রূপে আলা তিন লোকে।
তাহে এক অপরূপ                                    যেবা দেখে চাঁদমুখ
মনের আঁধার নাহি থাকে॥
ঢল ঢল প্রেমমণি                                       কিয়ে থির দামিনি
ঐছন বরণক আভা।
তাহে নগরালি-বেশ                                     ভুলাইল সব দেশ
মদন-মনোহর শোভা॥
যতি-সতি-মতি হত                                      গেল যেন কুলব্রত
আইল ভুবন-চিত-চোর।
হরিকৃষ্ণ দাস কয়                                   গোরা না ভজিলে নয়
এ ঘর-করণে দেহ ডোর॥


টীকা বা ব্যাখ্যা ---
১৫ - ১৬। “হরিকৃষ্ণ দাস” ইত্যাদি। পদকর্ত্তা হরিকৃষ্ণ দাস বলিতেছেন যে, এরূপ অপূর্ব্ব (গৌরাঙ্গকে) ভজন
না করিলে চলিবে না ; (অতএব) এই ঘরকন্নার কাজে ডোর দেও অর্থাৎ ডোর দিয়া ঘর-কন্নার পাঠ তুলিয়া
রাখ। প্রাচীন কালে তুলট কাগজে পুথি লিখিয়া উহা বস্ত্রখণ্ড ও ডোর দিয়া বান্ধা হইত এবং গ্রন্থ পাঠ
অন্তেও উহা ডোর দিয়া বান্ধিয়া রাখা হইত ; উহা হইতেই “কোন কাজে ডোর দেওয়া” বলিলে সেই কার্য্যটি
বন্ধ করা বুঝা যায়। --- সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

.                       *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর