কবি দীন কৃষ্ণদাস - এই পাতায় কৃষ্ণদাস কবিরাজের রচিত, “দীন কৃষ্ণদাস” ভণিতা সম্বলিত পদ এবং অন্যান্য কবির “দীন কৃষ্ণদাস” ভণিতাযুক্ত পদ রাখা হয়েছে। কবি কৃষ্ণদাস কবিরাজ ছাড়াও আরও ১৮জন কৃষ্ণদাস নামের ভক্ত বা কবির নাম উল্লেখ করেছেন জগবন্ধু ভদ্র তাঁর গৌরপদ-তরঙ্গিণী গ্রন্থে। কবি কৃষ্ণদাস কবিরাজের রচিত গীত বা পদ আমরা পাই তাঁর রচিত শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থ থেকে। ফলে তাঁর রচিত “কৃষ্ণদাস”, “দীন কৃষ্ণদাস”, “দীন হীন কৃষ্ণদাস” ভণিতাযুক্ত অথবা ভণিতাহীন পদ কৃষ্ণদাস কবিরাজের পাতায়ও তোলা হয়েছে। এছাড়া “কৃষ্ণদাস”, “দীন কৃষ্ণদাস”, “দীনহীন কৃষ্ণদাস”, “দুঃখী কৃষ্ণদাস”, “দীন দুঃখী কৃষ্ণদাস” ভণিতার যে পদ রয়েছে, যা চৈতন্যচরিতামৃতে নেই, সেই কবিগণের সম্বন্ধে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে কোন পদটি কার।
মিলনসাগরে আমরা বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে যে সব “কৃষ্ণদাস” সম্বলিত ভণিতার পদ সংগ্রহ করেছি সেই সব ভণিতার মধ্যে রয়েছে “কবি কৃষ্ণদাস”, “কবিকর্মী কৃষ্ণদাস”, “শ্রীকৃষ্ণদাস” এবং “কৃষ্ণদাসানুদাস” প্রভৃতি।
একাধিক “কৃষ্ণদাস” ভক্ত - পাতার উপরে . . . কৃষ্ণদাস নামের কবি বা ভক্তদের সম্বন্ধে জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত “গৌরপদতরঙ্গিণী” গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের (১৯৩৪), পদকর্তার পরিচয়ে, সম্পাদক মৃণালকান্তি ঘোষ ভক্তিভূষণ লিখেছেন . . .
“কৃষ্ণদাস নামক বহু ভক্তের পরিচয় বৈষ্ণব গ্রন্থে পাওয়া যায়। তন্মধ্যে মাত্র ১৯ জনের বিবরণ নিম্নে দিতেছি :--- প্রথমত মহাপ্রভুর শাখাগণনায়--- (১) “অকিঞ্চন প্রভুর প্রিয় কৃষ্ণদাস নাম।” ---চৈতন্যচরিতামৃত, আদিলীলা, ১০ম পরিচ্ছেদ। . “অকিঞ্চন কৃষ্ণদাস চলিলা শ্রীধর।” ---চৈতন্যচরিতামৃত, অন্ত্যলীলা, ৭ম পরিচ্ছেদ।
(২) “কৃষ্ণদাস বৈদ্য আর পণ্ডিত শেখর।” ---চৈতন্যচরিতামৃত, আদিলীলা, ১০ম পরিচ্ছেদ।
(৩) “কৃষ্ণদাস নাম শুদ্ধকুলীন ব্রাহ্মণ। . যাঁর সঙ্গে লৈয়া কৈল দক্ষিণ গমন॥” ---চৈতন্যচরিতামৃত, আদিলীলা, ১০ম পরিচ্ছেদ।
দ্বিতীয়তঃ নিত্যানন্দ প্রভুর শাখাগণনায়--- (৪) “রাঢ়ে যার জন্ম কৃষ্ণদাস দ্বিজবর। . শ্রীনিত্যানন্দের তিহোঁ পরমকিঙ্কর॥ . কালা কৃষ্ণদাস বড় বৈষ্ণব-প্রধান। . নিত্যানন্দচন্দ্র বিনা নাহি জানে আন॥” ---চৈতন্যচরিতামৃত, আদিলীলা, ১১শ পরিচ্ছেদ।
তৃতীয়তঃ অদ্বৈতাচার্য্য প্রভুর শাখাগণনায়--- (১১) কৃষ্ণ মিশ্র--- কৃষ্ণ মিশ্র নাম আর আচার্য্যতনয়।---চৈতন্যচরিতামৃত, আদিলীলা, ১২শ পরিচ্ছেদ।
(১২) ব্রহ্মচারী কৃষ্ণদাস ---- শাখানির্ণয় গ্রন্থের ৪১ শ্লোক যথা - “কৃষ্ণদাসব্রহ্মচারী কৃষ্ণপ্রেমপ্রকাশম্। বন্দে তমুজ্জ্বলধিয়ং বৃন্দাবননিবাসিনম্॥” ইনি শ্রীবৃন্দাবনধামে বাস করিতেন।
(১৩) লাউড়িয়া কৃষ্ণদাস --- ইনি শ্রীহট্টের অন্তর্গত লাউড়িয়ার রাজা দিব্যসিংহ। অদ্বৈতাচার্য্যের পিতা ইহাঁর কার্য্যকারক ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে রাজা শান্তিপুরে আসিয়া অদ্বৈতাচার্য্যের নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেন ও শান্তিপুরে বাস করেন। কৃষ্ণদাস তাঁহার গুরুদত্ত নাম।
চতুর্থতঃ অন্যান্য ভক্ত ও প্রেমিক কৃষ্ণদাসগণ--- (১৪) প্রেমী কৃষ্ণদাস --- ইনি গদাধর পণ্ডিত গোস্বামীর প্রশিষ্য ও ভূগর্ভ গোসাঞির মন্ত্রশিষ্য। মহাপ্রভু যখন বৃন্দাবনে গমন করেন, তথন এই কৃষ্ণদাস সর্ব্বক্ষণ তাঁর সঙ্গে থাকিয়া তাঁহার সেবা করিতেন। যথা চৈতন্যচরিতামৃত, মধ্য, ১৮শ পরিচ্ছেদ--- “কৃষ্ণদাস কহে মুঞি গৃহস্থ পামর। রাজপুত জাতি মুঞি---‘পারে’ মোর ঘর॥”
(১৬) বাণী কৃষ্ণদাস --- ম্লেচ্ছ ভয়ে শ্রীগোপাল বিগ্রহকে বৃন্দাবন হইতে আনিয়া মথুরানগরে বিট্ঠলেশ্বরের মন্দিরে মাসাবধি রাখা হয়। শ্রীরূপ গোস্বামী তখন বৃদ্ধ হইয়াছিলেন। তিনি শ্রীগোপালদেবকে দর্শন করিবার জন্য মথুরায় যাইয়া বাস করেন, এবং একমাস পরে গোপাল সহ বৃন্দাবনে ফিরিয়া আসেন। বৃন্দাবনের প্রধান প্রধান বৈষ্ণব মহান্তেরা তাঁহার সঙ্গে মথুরায় গমন করিয়াছিলেন; তাঁহাদিগের মধ্যে এই বাণী কৃষ্ণদাস ছিলেন। ইনি শ্রীরূপের বিশেষ অনুরক্ত ভক্ত ছিলেন।
(১৮) গায়ক কৃষ্ণদাস --- খেতুরীর মহোত্সবের সময় জাহ্নবা ঠাকুরাণী, অচ্যুতানন্দ, গোপাল, কানু পণ্ডিত, শ্রীপতি, শ্রীনিধি প্রভৃতি সহ নবদ্বীপ হইতে যাত্রা করিয়া প্রথমে “আইলা আকাইহাটে কৃষ্ণদাসঘরে”। সেখান হইতে কৃষ্ণদাসকে লইয়া তাঁহারা কাটোয়া বা কণ্টকনগরে আসিলেন। তাঁহাদিগের আগমন-বার্ত্তা শুনিয়া গদাধর দাসের শিষ্য যদুনন্দন “আগুসরি গিয়া সবে আনিলেন ঘরে।” শ্রীখণ্ড হইতে রঘুনন্দন গণ সহ আসিয়া সেখানে মিলিত হইলেন। তথা হইতে সকলে খেতুরীতে গমন করিলেন। সেখানে ঠাকুর মহাশয় ও তাঁহার ভ্রাতা সন্তোষ রায় জাহ্নবা ঠাকুরাণী, অচ্যুতানন্দ, হৃদয়চৈতন্য, শ্রীপতি, শ্রীনিধি, শ্যামানন্দ প্রভৃতি প্রধান প্রধান মহান্তাদির স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র বাসা ও পরিচর্য্যা করিবার উপযুক্ত লোক নিযুক্ত করিয়া দিলেন। “আকাইহাটের কৃষ্ণদাসাদি বাসায়। হইলা নিযুক্ত শ্রীবল্লবীকান্ত তায়॥” আকাইটের কৃষ্ণদাস সুগায়ক ছিলেন।”
(১৯) সুবর্ণ-বেত্রধারী কৃষ্ণদাস --- ইনি নীলাচলবাসী ও জগন্নাথ মন্দিরের একজন কার্য্যকারক।
উপরে যে ১৯জন কৃষ্ণদাসের পরিচয় দেওয়া হইল, ইহার মধ্যে (৩) ও (৪) সংখ্যক কৃষ্ণদাস এক ব্যক্তি বলিয়া মনে হয়। (৩) সংখ্যক কৃষ্ণদাসের পরিচয় আছে, “যাঁরে লৈয়া কৈল দক্ষিণ গমন”। ইঁহার নাম কালা কৃষ্ণদাস। . . .
. . . উল্লিখিত ১৯জন কৃষ্ণদাসের মধ্যে (৩) ও (৪) সংখ্যক কৃষ্ণদাসকে এক জন ধরিয়া লইলে এবং ‘বিহারী কৃষ্ণদাস’, ‘রাজপুত কৃষ্ণদাস’, ‘বাণী কৃষ্ণদাস’ ও ‘সুবর্ণবেত্রধারী কৃষ্ণদাস’ এই চারি জনকে বাদ দিলে আমরা ১৪ জন বাঙ্গালী কৃষ্ণদাসের পরিচয় পাইতেছি। কিন্তু ইঁহাদিগের মধ্যে পদকর্ত্তা কে কে এবং ‘কৃষ্ণদাস’ ভণিতাযুক্ত পদগুলির মধ্যে কোনটী কাহার রচিত, তাহা বাছিয়া বাহির করা সুঃসাধ্য বলিয়াই বিবেচিত হয় : তবে কতগুলি পদের রচয়িতার খোঁজ আমরা সহজেই পাইতেছি।
গৌরপদতরঙ্গিণীতে ‘কৃষ্ণদাস’ ভণিতার ১৪টী, দীন কৃষ্ণদাস ভণিতার ৮টী, দীনহীন কৃষ্ণদাস ভণিতার ২টী, দুঃখী কৃষ্ণদাস ভণিতার ২টী, এবং দীন দুঃখী কৃষ্ণদাস ভণিতার ১টী --- মোট ২৭টী পদ উদ্ধৃত হইয়াছে। ইহার মধ্যে ৫টী পদ চৈতন্যচরিতামৃত হইতে উদ্ধৃত। এই ৫টী পদ যে কৃষ্ণদাস কবিরাজ-রচিত, তাহাতে সন্দেহ করিবার কোনো কারণ নাই। . . . ”
জগবন্ধু ভদ্রর মতে ‘দুঃখী কৃষ্ণদাস’ ভণিতাযুক্ত পদগুলি শ্যামানন্দ পুরী রচিত। তবে সব ‘দুঃখী কৃষ্ণদাস’ ভণিতাযুক্ত পদ তাঁরই কিনা তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে, কারণ বৈষ্ণব পদকর্তাগণ নিজের নামের সঙ্গে নানা প্রকারের দীনতাব্যঞ্জক বিশেষণ ব্যবহার করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন থেকে আমরা কবি কৃষ্ণদাস, শ্রীকৃষ্ণদাস, কবিকর্মী কৃষ্ণদাস ও কৃষ্ণদাসানুদাস ভণিতাযুক্ত পদ পেয়েছি।
একাধিক "কৃষ্ণদাস" ভণিতা - পাতার উপরে . . . আমরা মিনলসাগরে যে দশ রকম “কৃষ্ণদাস” ভণিতার কবির পদ সংগ্রহ করতে পেয়েছি তা হলো “কৃষ্ণদাস”, “কৃষ্ণদাস কবিরাজ”, “দীন কৃষ্ণদাস”, “দীন দুখী কৃষ্ণদাস”, “দীন হীন কৃষ্ণদাস”, “দুখী কৃষ্ণদাস”, “কবি কৃষ্ণদাস”, “কবিকর্মী কৃষ্ণদাস”, “শ্রীকৃষ্ণদাস” এবং “কৃষ্ণদাসানুদাস”। এর সঙ্গে রয়েছে দুখী কৃষ্ণদাসের, রূপগোস্বামী দ্বারা নতুন নামকরণের পর রচিত “শ্যামানন্দ” ভণিতার পদাবলী।
আমরা মিলনসাগরে কবি দীন কৃষ্ণদাসের বৈষ্ণব পদাবলী আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই প্রচেষ্টার সার্থকতা।
বৈষ্ণব পদাবলীর "রাগ"পাতার উপরে . . . বৈষ্ণব পদাবলীর পদগুলি মূলত গান হিসেবেই রচনা করা হোতো। প্রায় প্রতিটি পদের শুরুতেই সেই পদটির “রাগ”-এর উল্লেখ থাকে। তবে কিছু পদের আগে তার “রাগ”-এর উল্লেখ নেই এমনও পাওয়া গিয়েছে। বৈষ্ণব পদাবলীর সংকলকগণ যখন তাঁদের সংকলনে পদ সাজান, তখন পর পর একাধিক গানের যদি একই সুর বা রাগ থাকে, তাহলে তাঁরা প্রথম গানটিতে তার রাগ উল্লেখ ক’রে পরের গানটিতে রাগের যায়গায় “তথা রাগ” বা “যথা” শব্দ বসিয়ে দিতেন, এই বোঝাতে যে পরের গানটি একই রাগাশ্রিত। কিন্ত এমনও পাওয়া গিয়েছে যে একই গান বিভিন্ন সংকলকের সংকলনে ভিন্ন রাগাশ্রিত বলে উল্লেখিত। বহু পদই মুখে মুখে গীত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাই একই গান বিভিন্ন গায়কের মুখে ভিন্ন ভিন্ন সুরে পাওয়া গিয়ে থাকতেই পারে। তাই অনেক বিদগ্ধজনেরা মনে করেন যে এখন আর পদের রাগের উল্লেখ না করলেও চলে। যে যেমন সুরে চায়, গেয়ে আনন্দ লাভ করলেই এর সার্থকতা। আমরা অবশ্য যে সংকলন থেকে যে পদ নিয়েছি, সেই সংকলনে উল্লেখিত রাগটি মিলনসাগরের পাতায় তুলে দিয়েছি। এমন হতে পারে বিশেষজ্ঞরা অন্য সংকলনে সেই গানটির অন্য রাগ দেখতে পাবেন।
রূপ গোস্বামী দ্বারা সংগৃহীত, বিরোচিত ও পঞ্চদশ শতকে প্রকাশিত, প্রাচীন বৈষ্ণব এবং শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য- মহাপ্রভুর স্বকৃত শ্লোকসম্বলিত, ১৮৮২ সালে রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা অনুদিত, গ্রন্থ “পদ্যাবলী”।
বৃন্দাদন দাস দ্বারা ষোড়শ শতকে বিরচিত, অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী সম্পাদিত, “শ্রীচৈতন্যভাগবত”, ১৯১৫।
নিত্যানন্দ দাস দ্বারা ১৬০০ সালে বিরচিত, বাবু যশোদালাল তালুকদার প্রকাশিত, “শ্রীপ্রেমবিলাস”, ১৯১৩।
কৃষ্ণদাস কবিরাজ দ্বারা ১৬১৫ সালে বিরচিত, জগদীশ্বর গুপ্ত দ্বারা সরল টীকা ও ব্যাখ্যা সহিত সম্পাদিত, “শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত”, ১৮৮৯।
রামগোপাল দাস (গোপাল দাস) দ্বারা ১৬৪৩-১৬৭৬ সময়কালে, সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৯৪৬ সালে হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, সুকুমার সেন ও প্রফুল্ল পাল দ্বারা সম্পাদিত, বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন "শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ-রসকল্পবল্লী”।
পীতাম্বর দাস দ্বারা সপ্তদশ শতকে সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৯৪৬ সালে হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, সুকুমার সেন ও প্রফুল্ল পাল দ্বারা সম্পাদিত, বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন "অষ্টরস-ব্যাখ্যা ও রসমঞ্জরী”।
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (হরিবল্লভ দাস) দ্বারা আনুমানিক ১৭০০ সালে সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৯২৪ সালে, রাধানাথ কাবাসী দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীক্ষণদা-গীতচিন্তামণি”।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সালে সংকলিত ও বিরচিত এবং ৪৬২ গৌরাব্দে (১৯৪৯), হরিদাস দাস দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় (পূর্বরাগ)”।
রাধামোহন ঠাকুর (রাধামোহন দাস) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সালে সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”।
গোকুলানন্দ সেন (বৈষ্ণবদাস) দ্বারা আনুমানিক ১৭৫০ সালে সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৯১৫-১৯৩১ সময়কালে, সতীশচন্দ্র রায় দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদকল্পতরু”, ৫ খণ্ডে, সটীক সংস্করণ, ১৯১৫-১৯৩১। প্রথম সংস্করণ ১৮৯৬।
দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত।
কবির একটি ছবি ও তাঁর জীবন সম্বন্ধে আরও তথ্য যদি কেউ আমাদের পাঠান তাহলে আমরা, আমাদের কৃতজ্ঞতাস্পরূপ প্রেরকের নাম এই পাতায় উল্লেখ করবো। আমাদের ঠিকানা - srimilansengupta@yahoo.co.in