কবি লোচনদাসের লোচন ও লোচনাদাস ভণিতার বৈষ্ণব পদাবলী |
ধবল পাটের জোড় পব়্যাছে আমার গৌরাঙ্গসুন্দর কবি লোচন দাস এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১৮শ পল্লব, শ্রীগৌরাঙ্গের রূপ প্রভৃতি,২১৪১ পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ২২৪৮ সংখ্যক পদ। ॥ রামকেলি॥ ধবল পাটের জোড় পব়্যাছে রাঙ্গা রাঙ্গা পাড়ি দিয়াছে চরণ উপর দুল্যা যাইছে কোঁচা। বাঁকমল সোণার নূপুর বাজ্যা যাইছে মধুর মধুর রূপ দেখিয়া ভুবন মুরছা॥ দীঘল দীঘল চাঁচর চুল তায় দিয়াছে চাঁপার ফুল কুন্দ মালতীর মালা বেঢ়া ঝুটা। চন্দন মাখা গোরা-গায় বাহু দোলাইয়া চল্যা যায় ললাট উপর ভুবন-মোহন ফোটা॥ মধুর মধুর কয় কথা শ্রবণে মনের ঘুচায় বেথা চাঁদে যেন উগারয়ে সুধা। বাহুর হিলন দোলন দেখি করীর শুণ্ড কিসে লেখি নয়ান বয়ান যেন কুন্দে কুন্দা॥ এমন কেউ বেথিত থাকে কথার ছলে খানিক রাখে নয়ান ভব়্যা দেখি রূপখানি। লোচনদাসে বলে কেনে নয়ান দিলি উহার পানে কুল মজালি আপনা আপনি॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৯২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ রামকেলি॥ আমার গৌরাঙ্গসুন্দর (কিবা)॥ ধ্রু॥ ধবল পাটের জোড় পড়েছে রাঙ্গা রাঙ্গা পাড় দিয়াছে চরণ উপর দুলি যাইছে কোচা। বাক-মল সোণার নূপুর বাজাইছে মধুর মধুর রূপ দেখিতে ভূবন মূরছা॥ দীঘল দীঘল চাঁচর চুল তায় দিয়াছে চাঁপাফুল কুন্দ মালতীর মালা বেড়া ঝুটা। চন্দন মাখা গোরা গায় বাহু দোলাঞা চলে যায় ললাট উপর ভুবনমোহন ফোঁটা॥ মধু মধুর কয় কথা শ্রবণ-মনের ঘুচায় ব্যথা চাঁদে যেন উদারয়ে সুধা। বাহুর হেলন দোলন দেখি করীর শুণ্ড কিসে লেখি নয়ান বয়ান যেন কুঁদে কোঁদা॥ এমন কেউ ব্যথিত থাকে কথার ছলে খানিক রাখে নয়ান ভৈরে দেখি রূপখানি। লোচনদাসে বলে কেনে নয়ান দিলি উহার পানে কুল মজালি আপনা আপনি॥ এই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-মালা”, ১৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ রামকেলী॥ আমার গৌরাঙ্গসুন্দর॥ ধবল পাটের জোড় পড়েছে, রাঙ্গা রাঙ্গা পাড় দিয়াছে চরণ উপর দুলি যাইছে কোচা। বাক্ মল সোণার নূপুর বেজে যাইছে মধুর মধুর রূপ দেখিতে ভূবন মূরছা॥ দীঘল দীঘল চাচর চুল তায় দিয়াছে চাঁপাফুল কুন্দ মালতীর মালা বেড়া ঝুটা। চন্দন মাখা গোরা গায় বাহু দোলাঞা চলে যায় ললাট উপর ভুবনমোহন ফোঁটা॥ মধু মধুর কয় কথা, শ্রবণ মনের ঘুচায় ব্যথা, চাঁদে যেন উদারয়ে সুধা। বাহুর হেলন দোলন দেখি, করীর শুণ্ড কিসে লেখি নয়ান বয়ান যেন কুদে কোঁদা॥ এমন কেউ ব্যথিত থাকে, কথার ছলে খানিক রাখে নয়ান ভরে দেখি রূপ খানি। লোচন দাসে বলে কেনে, নয়ান দিলি উহার পানে কুল মজালি আপনা আপনি॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৪৫৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীগৌরাঙ্গের রূপ ॥ রামকেলি॥ ধবল পাটের জোড় পব়্যাছে রাঙ্গা রাঙ্গা পাড় দিয়াছে . চরণ উপর দুল্যা যাইছে কোঁচা। বাঁকমল সোণার নূপুর বাজ্যা যাইছে মধুর মধুর . রূপ দেখিয়া ভুবন মুরছা॥ দীঘল দীঘল চাঁচর চুল তায় দিয়াছে চাঁপার ফুল . কুন্দ মালতীর মালা বেঢ়া ঝুঁটা। চন্দন মাখা গোরা গায় বাহু দোলাইয়া চল্যা যায় . ললাট উপর ভুবনমোহন ফোঁটা॥ মধুর মধুর কয় কথা শ্রবণ মনের ঘুচায় বেথা . চাঁদে যেন উগারয়ে সুধা। বাহুর হিলন দোলন দেখি করীর শুণ্ড কিসে লেখি . নয়ান বয়ান যেন কুন্দে কুন্দা॥ এমন কেউ বেথিত থাকে কথার ছলে খানিক রাখে . নয়ান ভব়্যা দেখি রূপখানি। লোচন দাসে বলে কেনে নয়ান দিলি উহার পানে . কুল মজালি আপনা আপনি॥ এই পদটি ১৯৩৭-৫৩সালের মধ্যে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রর মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ৪৩৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীগৌরচন্দ্রের রূপ ॥ রামকেলী - কাওয়ালী॥ ধবল পাটের জোড় পব়্যাছে রাঙ্গা রাঙ্গা পাড়ি দিয়াছে চরণ উপর দুলিয়া যাইছে কোঁচা। বাঁকমল সোণার নূপুর বাজ্যা যাইছে মধুর মধুর রূপ দেখিয়া ভুবন মুরছা॥ দীঘল দীঘল চাঁচর চুল তায় দিয়াছে চাঁপার ফুল কুন্দ মালতীর মালা বেঢ়া ঝুটা। চন্দন মাখা গোরা গায় বাহু দোলাইয়া চল্যা যায় ললাট উপর ভুবন-মোহন ফোঁটা॥ মধুর মধুর কয় কথা শ্রবণে মনের ঘুচায় বেথা চাঁদে যেন উগারয়ে সুধা। বাহুর হিলন দোলন দেখি করীরশুণ্ড কিসে লেখি নয়ান বয়ান যেন কুন্দে কুন্দা॥ এমন কেউ বেথিত থাকে কথার ছলে খানিক রাখে নয়ান ভব়্যা দেখি রূপখানি। লোচনদাসে বলে কেনে নয়ান দিলি উহার পানে কুল মজালি আপনা আপনি॥ এই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব পদাবলী", ২৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ধবল পাটের জোড় পড়্যাছে রাঙ্গা রাঙ্গা পাড় দিয়াছে . চরণ উপর দুল্যা যাইছে কোঁচা। বাঁকমল সোণার নূপুর বাজ্যা যাইছে মধুর মধুর . রূপ দেখিয়া ভূবন মুরছা॥ দীঘল দীঘল চাঁচর চূল তায় দিয়াছে চাঁপার ফুল . কুন্দ মালতীর মালা বেঢ়া ঝুঁটা। চন্দন মাখা গোরা গায় বাহু দোলাইয়া চল্যা যায় . ললাট উপর ভুবনমোহন ফোঁটা॥ মধু মধুর কয় কথা শ্রবণ মনের ঘুচায় ব্যথা . চাঁদে যেন উদারয়ে সুধা। বাহুর হিলন দোলন দেখি করীর শুণ্ড কিসে লেখি . নয়ান বয়ান যেন কুন্দে কুন্দা॥ এমন কেউ বেথিত থাকে কথায় ছলে খানিক রাখে . নয়ান ভব়্যা দেখি রূপখানি। লোচন দাসে বলে কেনে নয়ান দিলি উহার পানে . কুল মজালি আপনা আপনি॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
নদীয়া নাগরী সারি সারি সারি কবি লোচন দাস এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১৯শ পল্লব, শ্রীগৌরাঙ্গের রূপ – নাগরী উক্তি, ২১৭৮ পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ২২৮৬সংখ্যক পদ। ॥ নাটিকা॥ নদীয়া-নাগরী সারি সারি সারি চলিলা গঙ্গার ঘাটে। হেন রূপ-ছটা যেন বিধু-ঘটা গগন ছাড়িয়া বাটে॥ শচীর নন্দন করয়ে নর্ত্তন সঙ্গে পারিষদ লৈয়া। দেখিবার তরে সুরধুনী-তীরে আইলা আকুল হৈয়া॥ কারু--- গলিত অম্বর তাহা না সম্বর কাহারু গলিত বেণী। যেন---- চিত্রের পুতলী রহে সভে মেলি দেখে গৌর গুণমণি॥ ও রূপ-মাধুরী দেখিয়া নাগরী সভাই বিভোর হৈয়া। অঙ্গ-পরিমলে হইয়া চঞ্চলে পড়িতে চাহে উড়িয়া॥ কেহো ভাব-ভরে পড়ে কারু কোরে নয়নে বহয়ে ধারা। কাহার পুলক অঙ্গে পরতেক কেহ মুরছিত পারা॥ লোচন কহয়ে গেল কুল-ভয়ে লাজের মাথায় বাজ। ধৈর্য্য ধর্ম্ম আদি সকল বিনাশি নাচে গোরা নট-রাজ॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১১৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ নাটিকা॥ নদীয়ানাগরী, সারি সারি সারি, চলিলা গঙ্গার ঘাটে। হেন রূপছটা, যেন বিধুঘটা, গগন ছাড়িয়া বাটে॥ শচীর নন্দন, করয়ে নর্ত্তন, সঙ্গে পারিষদ লঞা। দেখিবার তরে, সুরধুনীতীরে, আইলা আকুল হৈয়া॥ কারু গলিত অম্বর, তাহা না সম্বর, কাহার গলিত বেণী। যেন চিত্রের পুতলি, রহে সবে মেলি দেখে গোরা গুণমণি॥ ও রূপ মাধুরী, দেখিয়া নাগরী, সবাই বিভোর হৈয়া। অঙ্গ পরিমলে, হইয়া চঞ্চলে, পড়িতে চাহে উড়িয়া॥ কেহো ভাবভরে, পড়ে কারু কোরে, নয়ানে বহয়ে ধারা। কাহার পুলক, অঙ্গে পরতেক, কেহ মুরছিত পারা॥ লোচন কহয়ে গেল কুল ভয়ে, লাজের মাথায় বাজ। ধৈর্য্য ধর্ম্ম আদি, সকল বিনাশি, নাচে গোরা নটরাজ॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৪৬০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে শেষ চার পংক্তি নেই, ফলে ভণিতা নেই। মাধবী বিলাস ॥ নাটিকা॥ নদীয়া নাগরী সারি সারি সারি চলিলা গঙ্গার ঘাটে। হেন রূপছটা যেন বিধুঘটা গগন ছাড়িয়া বাটে॥ শচীর নন্দন করয়ে নর্ত্তন সঙ্গে পারিষদ লৈয়া। দেখিবার তরে সুরধুনীতীরে আইলা আকুল হৈয়া॥ গলিত অম্বর তাহা না সম্বর কাহারু গলিত বেণী। যেন---চিত্রের পুতলী রহে সভে মেলি দেখে গৌর গুণমণি॥ ও রূপ মাধুরী দেখিয়া নাগরী সবাই বিভোর হৈয়া। অঙ্গ পরিমলে হইয়া চঞ্চলে পড়িতে চাহে উড়িয়া॥ এই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব পদাবলী", ২৪২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নদীয়া নাগরী সারি সারি সারি . চলিলা গঙ্গার ঘাটে। হেন রূপছটা যেন বিধুঘটা . গগন ছাড়িয়া বাটে॥ শচীর নন্দন করয়ে নর্ত্তন . . . এই কলিটি নেই . . . দেখিবার তরে সুরধুনীতীরে . আইলা আকুল হৈয়া॥ গলিত অম্বর তাহা না সম্বর . কাহারু গলিত বেণী। যেন চিত্রের পুতলী রহে সভে মেলি . দেখে গৌর গুণমণি॥ ও রূপ মাধুরী দেখিয়া নাগরী . সত্যই বিভোর হৈয়া। অঙ্গ পরিমলে হইয়া চঞ্চলে . পড়িতে চাহে উড়িয়া॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
শয়ন মন্দিরে গৌরাঙ্গসুন্দর ভণিতা দাস লোচন কবি লোচন দাস এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শ পল্লব, শ্রীগৌরচন্দ্র— প্রকারান্তর ,২২১৯ পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ২৩২৪ সংখ্যক পদ। ॥ বিভাষ॥ শয়ন-মন্দিরে গৌরাঙ্গসুন্দর উঠিলা রজনী-শেষে। মনে দৃঢ়আশ করিব সন্ন্যাস ঘুচাব এ সব বেশে॥ ঐছন ভাবিয়া মন্দির তেজিয়া আইলা সুরধুনী-তীরে। দুই কর যুড়ি নমস্কার করি পরশ করিলা নীরে॥ গঙ্গা পরিহরি নবদ্বীপ ছাড়ি কাঞ্চননগর-পথে। করিলা গমন শুনি সব জন বজর পড়িল মাথে॥ পাষাণ সমান হৃদয় কঠিন সেহো শুনি গলি যায়। পশু পাখী ঝুরে গলয়ে পাথরে এ দাস লোচন গায়॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৩৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বিভাস॥ শয়নমন্দিরে গৌরাঙ্গসুন্দর উঠিলা রজনী শেষে। মনে দৃঢ় আশ, করিব সন্ন্যাস, ঘুচাব এ সব বেশে॥ ঐছন ভাবিয়া মন্দির ত্যজিয়া, আইলা সুরধুনীতীরে। দুই কর জুড়ি নমস্কার করি, পরশ করিলা নীরে॥ গঙ্গা পরিহরি নবদ্বীপ ছাড়ি, কাঞ্চন নগর পথে। করিলা গমন, শুনি সবজন, বজর পড়িল মাথে॥ পাষাণ সমান, হৃদয় কঠিন, সেহ শুনি গলি যায়। পশু পাখী ঝুরে, গলয়ে পাথরে, এ দাস লোচন গায়॥ এই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৫৫০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বিভাষ॥ শয়ন-মন্দিরে, গৌরাঙ্গসুন্দর, উঠিল রজনী-শেষে। মনে দৃঢ়আশ, করিব সন্ন্যাস, ঘুচাব এ সব বেশে॥ ঐছন ভাবিয়া, মন্দির তেজিয়া, আইলা সুরধুনী-তীরে। দুই কর যুড়ি, নমস্কার করি, পরশ করিল নীরে॥ গঙ্গা পরিহরি, নবদ্বীপ ছাড়ি, কাঞ্চননগর-পথে। করিলা গমন, শুনি সব জন, বজর পড়িল মাথে॥ পাষাণ সমান, হৃদয় কঠিন, সেহো শুনি গলি যায়। পশু পাখী ঝুরে, গলয়ে পাথরে, এ দাস লোচন গায়॥ এই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন- মালা”, ৪৫৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বিভাস॥ শয়ন মন্দিরে গৌরাঙ্গ সুন্দর উঠিল রজনী শেষে। মনে দৃঢ় আশ করিব সন্ন্যাস ঘুচাব এ সব বেশে॥ ঐছন ভাবিয়া মন্দির তেজিয়া আইলা সুরধুনী তীরে। দুই কর যুড়ি নমস্কার করি পরশ করিলা নীরে॥ গঙ্গা পরিহরি নবদ্বীপ ছাড়ি কাঞ্চন নগর পথে। করিলা গমন শুনি সব জন বজর পড়িল মাথে॥ পাষাণ সমান হৃদয় কঠিন সে হ শুনি গলি যায়। পশুপাখী ঝুরে গলয়ে পাথরে এ দাস লোচন গায়॥ এই পদটি ১৯২৭ সালে প্রকাশিত, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত “পদামৃত লহরী”, ১৮২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। অথ নিমাঞি সন্ন্যাস ॥ রাগিণী বিভাষ - তাল একতালী॥ শয়ন মন্দিরে, গৌরাঙ্গ সুন্দর, উঠিয়া রজনী শেষে। মনে দৃঢ় আশ, করিব সন্ন্যাস, ঘুচাব এ সব বেশে॥ ঐছন ভাবিয়া, মন্দির তেজিয়া, আইলা সুরধুনী তীরে। দুই কর জুড়ি, নমস্কার করি, পরশ করিলা নীরে॥ গঙ্গা পরিহরি, নবদ্বীপ ছাড়ি, কাঞ্চন নগর পথে। করিলা গমন, শুন সর্ব্বজন, বজর পড়িল মাথে॥ পাষাণ সমান, হৃদয় কঠিন, সে হো শুনি গলি যায়। পশু-পাখী ঝুরে, গলয়ে পাথরে, এ দাস লোচন গায়॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৪৬১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ॥ বিভাষ॥ শয়ন মন্দিরে গৌরাঙ্গ সুন্দর উঠিলা রজনীশেষে। মনে দৃঢ় আশ করিব সন্ন্যাস ঘুচাব এ সব বেশে॥ ঐছন ভাবিয়া মন্দির তেজিয়া আইলা সুরধুনীতীরে। দুই কর যুড়ি নমস্কার করি পরশ করিলা নীরে॥ গঙ্গা পরিহরি নবদ্বীপ ছাড়ি কাঞ্চননগরপথে। করিলা গমন শুনি সব জন বজর পড়িল মাথে॥ পাষাণ সমান হৃদয় কঠিন সেহো শুনি গলি যায়। পশু পাখী ঝুরে গলয়ে পাথরে এ দাস লোচন গায়॥ এই পদটি ১৯৩৭-৫৩সালের মধ্যে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রর মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ৪৫৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ॥ বিভাস - একতালা॥ শয়ন মন্দিরে গৌরাঙ্গ সুন্দর উঠিলা রজনী শেষে। মনে দৃঢ় আশ করিব সন্ন্যাস ঘুচাব এসব বেশে॥ ঐছন ভাবিয়া মন্দির তেজিয়া আইলা সুরধুনী-তীরে। দুই কর যুড়ি নমস্কার করি পরশ করিলা নীরে॥ গঙ্গা পরিহরি নবদ্বীপ ছাড়ি কাঞ্চন নগর-পথে। করিলা গমন শুনি সব জন বজর পড়িল মাথে॥ পাষাণ সমান হৃদয় কঠিন সেহো শুনি গলি যায়। পশু পাখী ঝুরে গলয়ে পাথরে এ দাস লোচন গায়॥ এই পদটি ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত, দুর্গাচরণ বিশ্বাস সংগৃহীত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “কীর্ত্তন-পদাবলী”, ১৯১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নিমাই সন্ন্যাস শয়ন মন্দিরে গৌরাঙ্গ সুন্দর উঠিল রজনী শেষে। মনে দৃঢ় আশ করিব সন্ন্যাস ঘুচাব এ সব বেশে॥ ঐছন ভাবিয়া মন্দির তেজিয়া আইলা সুরধুনী তীরে। দুই কর যুড়ি নমস্কার করি পরশ করিলা নীরে॥ গঙ্গা পরিহরি নবদ্বীপ ছাড়ি কাঞ্চন নগর পথে। করিলা গমন শুনি সব জন বজর পড়িল মাথে॥ পাষাণ সমান হৃদয় কঠিন সেহো শুনি গলি যায়। পশু পাখী ঝুরে গলয়ে পাথরে এ দাস লোচন গায়॥ এই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব পদাবলী", ২৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শয়ন মন্দিরে গৌরাঙ্গ সুন্দর . উঠিলা রজনীশেষে। মনে দৃঢ় আশ করিব সন্ন্যাস . ঘুচাব এ সব বেশে॥ ঐছন ভাবিয়া মন্দির তেজিয়া . আইলা সুরধুনীতীরে। দুই কর যুড়ি নমস্কার করি . পরশ করিলা নীরে॥ গঙ্গা পরিহরি নবদ্বীপ ছাড়ি . কাঞ্চননগরপথে। করিলা গমন শুনি সব জন . বজর পড়িল মাথে॥ পাষাণ সমান হৃদয় কঠিন . সেহো শুনি গলি যায়। পশু পাখী ঝুরে গলয়ে পাথরে . এ দাস লোচন গায়॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
নাচে শচীনন্দন ভকত-জীবন ভণিতা দাস লোচন কবি লোচন দাস এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শ পল্লব, শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ইত্যাদি, ২২৫৮ পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ২৩৬৩ সংখ্যক পদ। ॥ তথা রাগ॥ নাচে শচীনন্দন ভকত-জীবন-ধন সঙ্গে নাচে প্রিয় নিত্যানন্দ। অদ্বৈত শ্রীনিবাস আর নাচে হরিদাস বাসুঘোষ রায় রামানন্দ॥ নিত্যানন্দ-মুখ হেরি বোলে পহু হরি হরি প্রেমায় ধরণী গড়ি যায়। প্রিয় গদাধর আসি প্রভুর বাম পাশে বসি ঘন নরহরি-মুখ চায়॥ পহু নাহি মেলে আঁখি কহে মোর কাহাঁ সখী কাহাঁ পাব রাই দরশন। কহ কহ নরহরি আর সম্বরিতে নারি ইহা বলি ভেল অচেতন॥ এখনি আছিলুঁ তথা কে মোরে আনিল এথা রাস-রসে নিকুঞ্জ-ভবন। গেল সুখ-সম্পদ এবে ভেল বিপদ বিষাদয়ে এ দাস লোচন॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৬৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ নাচে শচীনন্দন ভকত জীবনধন সঙ্গে নাচে প্রিয় নিত্যানন্দ। অদ্বৈত শ্রীনিবাস আর নাচে হরিদাস বাসু ঘোষ রায় রামানন্দ॥ নিত্যানন্দ-মুখ হেরি বোলে পহু হরি হরি প্রেমায় ধরণী গড়ি যায়। প্রিয় গদাধর আসি প্রভুর বাম পাশে বসি ঘন নরহরি মুখ চায়॥ পহু নাহি মেলে আঁখি কহে মোর কাহাঁ সখী কাহাঁ পাব রাই দরশন। কহ কহ নরহরি আর সম্বরিতে নারি ইহা বলি ভেল অচেতন॥ এখনি আছিনু সেথা কে মোরে আনিল এথা রাস রসে নিকুঞ্জ ভবন। গেল সুখ সম্পদ এবে ভেল বিপদ বিষাদয়ে এ দাস লোচন॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৪৫৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীগৌরাঙ্গের নৃত্যাদি লীলা ॥ তখারাগ॥ নাচে শচীনন্দন ভকতজীবন ধন সঙ্গে নাচে প্রিয় নিত্যানন্দ। অদ্বৈত শ্রীনিবাস আর নাচে হরিদাস বাসুঘোষ রায় রামানন্দ॥ নিত্যানন্দ মুখ হেরি বোলে পহুঁ হরি হরি প্রেমায় ধরণী গড়ি যায়। প্রিয় গদাধর আসি প্রভুর বাম পাশে বসি ঘন নরহরি মুখ চায়॥ পহুঁ নাহি মেলে আঁখি কহে মোর কাহাঁ সখী কাহাঁ পাব রাই দরশন। কহ কহ নরহরি আর সম্বরিতে নারি ইহা বলি ভেল অচেতন॥ এখনি আছিলুঁ তথা কে মোরে আনিল এথা রাস-রসে নিকুঞ্জ-ভবন। গেল সুখসম্পদ এবে ভেল বিপদ বিষাদয়ে এ দাস লোচন॥ এই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব পদাবলী", ২৪২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নাচে শচীনন্দন ভকতজীবন ধন . সঙ্গে নাচে প্রিয় নিত্যানন্দ। অদ্বৈত শ্রীনিবাস আর নাচে হরিদাস . বাসুঘোষ রায় রামানন্দ॥ নিত্যানন্দ মুখ হেরি বোলে পহুঁ হরি . হরি প্রেমায় ধরণী গড়ি যায়। প্রিয় গদাধর আসি প্রভুর বাম পাশে . বসি ঘন নরহরি মুখ চায়॥ পহুঁ নাহি মেলে আঁখি কহে মোর কাহাঁ . সখী কাহাঁ পাব রাই দরশন। কহ কহ নরহরি আর সম্বরিতে নারি . ইহা বলি ভেল অচেতন॥ এখনি আছিলুঁ তথা কে মোরে আনিল . এথা রাস রসে নিকুঞ্জ ভবন। গেল সুখসম্পদ এবে ভেল বিপদ . বিষাদয়ে এ দাস লোচন॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
দেখ নিতাইচাঁদের মাধুরী ভণিতা লোচন কবি লোচন দাস এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২২শ পল্লব, শ্রীনিত্যানন্দের গুণ- বর্ণন, ২৩২৯ পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ২৪৩৩ সংখ্যক পদ। ॥ সিন্ধুড়া॥ দেখ নিতাইচাঁদের মাধুরী। পুলকে পূরিত তনু কদম্ব-কেশর জনু বাহু তুলি বলে হরি হরি॥ ধ্রু॥ শ্রীমুখ-মণ্ডল-ধাম জিনি কত কোটি কাম সে না বিহি কিসে নিরমিল। মথিয়া লাবণ্য-সিন্ধু তাহে নিঙ্গাড়িয়া ইন্দু সুধা-সাচে মুখানি গঢ়িল॥ নব-কঞ্জ-দল আঁখি তারক ভ্রমরা-পাখী ডুবি রহু প্রেম-মকরন্দে। সে রূপ দেখিল যেহ সে জানিল রস-মেহ অবনী ভাসল সে আনন্দে॥ পূরবে যে ব্রজপুরে বিহরে নন্দের ঘরে রোহিণী-নন্দন বলরাম। এবে পদ্মাবতী-সুত নিত্যানন্দ অবধূত ভুবন-পাবন হৈল নাম॥ সে পহু পতিত হেরি করুণায় অবতরি জীবেরে বলায় গৌরহরি। পড়িয়া সে ভব-বন্ধে কান্দয়ে লোচন অন্ধে না দেখিয়া সে রূপ-মাধরী॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৮২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সিন্ধুড়া॥ দেখ নিতাইচাঁদের মাধুরী। পুলকে পূরল তনু কদম্ব কেশর জনু বাহু তুলি বোলে হরি হরি॥ ধ্রু॥ শ্রীমুখমণ্ডলধাম জিনি কত কোটি কাম সে না বিহি কিসে নিরমিল। মথিয়া লাবণ্য-সিন্ধু তাহে নিঙ্গাড়িয়া ইন্দু সুধা দিয়া মুখানি গড়িল॥ নব কঞ্জদল আঁখি তারক ভ্রমর পাখী ডুবি রহু প্রেম-মকরন্দে। সে রূপ দেখিল যেহ সে জানিল রসমেহ অবনী ভাসল আনন্দে॥ পূরুবে যে ব্রজপুরে বিহরে নন্দের ঘরে রোহিণীনন্দন বলরাম। এবে পদ্মাবতীসুত নিত্যানন্দ অবধূত ভুবনপাবন হৈল নাম॥ সে পহু পতিত হেরি করুণায় অবতরি জীবেরে বলায় গৌরহরি। পড়িয়া সে ভববন্ধে কান্দয়ে লোচন অন্ধে না দেখিয়া সে রূপমাধুরী॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৪৬৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নিত্যানন্দের গুণবর্ণন ॥ সিন্ধুড়া॥ দেখ নিতাই চাঁদের মাধুরী। পুলকে পূরিত তনু কদম্ব কেশর জনু বাহু তুলি বলে হরি হরি॥ শ্রীমুখমণ্ডল ধাম জিনি কত কোটি কাম সে না বিহি কিসে নিরমিল। মথিয়া লাবণ্যসিন্ধু তাহে নিঙাড়িয়া ইন্দু সুধাসাচে মুখানি গঢ়িল॥ নবকঞ্জদল আঁখি তারক ভ্রমরাপাখী ডুবি রহু প্রেমমকরন্দে। সে রূপ দেখিল যেহ সে জানিল রসমেহ অবনী ভাসল সে আনন্দে॥ পূরবে যে ব্রজপুরে বিহরে নন্দের ঘরে রোহিণীনন্দন বলরাম। এবে পদ্মাবতীসুত নিত্যানন্দ অবধূত ভুবনপাবন হৈল নাম॥ সে পহু পতিত হেরি করুণায় অবতরি জীবেরে বলায় গৌরহরি। পড়িয়া সে ভববন্ধে কান্দয়ে লোচন অন্ধে না দেখিয়া সে রূপমাধুরী॥ এই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব পদাবলী", ২৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। দেখ নিতাই চাঁদের মাধুরী। পুলকে পূরিত তনু কদম্ব কেশর জনু . বাহু তুলি বলে হরি হরি॥ শ্রীমুখমণ্ডল ধাম জিনি কত কোটি কাম . সে না বিহি কিসে নিরমিল। মথিয়া লাবণ্যসিন্ধু তাহে নিঙাড়িয়া . ইন্দু সুধাসাচে মুখানি গঢ়িল॥ নবকঞ্জদল আঁখি তারক ভ্রমরাপাখী . ডুবি রহু প্রেমমকরন্দে। সে রূপ দেখিল যেহ সে জানিল রসমেহ . অবনী ভাসল সে আনন্দে॥ পূরবে যে ব্রজপুরে বিহরে নন্দের ঘরে . রোহিণীনন্দন বলরাম। এবে পদ্মাবতীসুত নিত্যানন্দ অবধূত . ভুবনপাবন হৈল নাম॥ সে পহু পতিত হেরি করুণায় অবতরি . জীবেরে বলায় গৌরহরি। পড়িয়া সে ভববন্ধে কান্দয়ে লোচন অন্ধে . না দেখিয়া সে রূপমাধুরী॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |