কবি নরহরি সরকার বা নরহরি চক্রবর্তীর অনির্দিষ্ট পদাবলী
*
নিমাইচাঁদের কথা অতি অপরূপ গো
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর অথবা কবি নরহরি চক্রবর্তী।
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” ১৯৩৪, (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫৩-পৃষ্ঠা। এপদ কোন কবি নরহরির তা বলা হয় নি।

॥ যথারাগ॥ (বিভাষ)

নিমাইচাঁদের কথা                                অতি অপরূপ গো
এবে এ প্রসন্ন কুলদেবা।
সে সব চঞ্চল ধারা                                কোথায় বা গেল গো
এমন সুধীর আছে কেবা॥
নদীয়ানিবাসী আর                                যতেক পণ্ডিত গো
কেবা বা সমীহ নাহি করে।
শ্রীবাস মুরারি আদি                                যতেক বৈষ্ণব গো
কেহ সঙ্গ ছাড়িতে না পারে॥
এ মোর নিতাই প্রাণ-                                সম স্নেহ করে গো
কৃষ্ণ যেন করিল বলাই।
বুঝি বা হেথায় তাহা                                প্রতট হইল গো
এমন কোথাও দেখি নাই॥
ধন্য পুণ্যবতী শচী                                জগতের মাঝে গো
বুঝি এই সেই ব্রজেশ্বরী।
নিমাই নিতাই দুটী                                নয়নের তারা গো
এ প্রেম নিছনি নরহরি॥

.            *************************            

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নদীয়ার যত বৃদ্ধনারীগণে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর অথবা কবি নরহরি চক্রবর্তী।
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫৩-পৃষ্ঠা। এই পদ কোন
কবি নরহরির তা বলা হয় নি।

॥ যথারাগ॥ (বিভাষ)

নদীয়ার যত বৃদ্ধনারীগণে।
ঐরূপ পরস্পর সবে ভণে॥
কিবা অপরূপ সবাকার রীতি।
কি দিব উপমা অতি স্নেহবতী॥
গৌরাঙ্গচাঁদের চাঁদ মুখ পানে।
চাঞা চাঞা আপনাকে ধন্য মানে॥
কত বা আশীষ করে বারে বারে।
নরহরি শুনি সে সুখ সাঁতারে॥

.            *************************            

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পরাণ নিমাই মোর খেলা ভালবাসে গো
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর অথবা কবি নরহরি চক্রবর্তী।
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫৩-পৃষ্ঠা। এই পদ কোন কবি নরহরির তা বলা হয় নি। পদটির
প্রথম পংক্তি সহ অন্যান্য অংশের ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে আমরাও “পরাণ নিমাই মোর খেপা বড়
বটে গো” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও তুলছি পাঠকের সুবিধার জন্য।

॥ বিভাষ ॥

পরাণ নিমাই মোর                                  খেলা ভালবাসে গো
একদিন দেখিনু নয়নে।
ধূলায় ধূসর তনু                                        কিবা অপরূপ গো
হামাগুড়ি ফিরে ক্ষণে ক্ষণে॥
সুছাঁদ বদনে হাসি                                   মা বলিয়া ডাকে গো
অমনি আসিল শচী ধাঞা।
পতিত কোলেতে চড়ি                                কাঁদিয়া বিকল গো
তা দেখি বিদরে মোর হিয়া॥
কত যতন করি তবু                                  প্রবোধ না মানে গো
হাসয়ে তাহার গলা ধরি।
হৈলেক  বিমোদিত                                     যত নাগরিয়া গো
অপরূপ সে রূপ নেহারি॥
সবাই হরষ হৈয়া                                       হরি হরি বলে গো
নিমাই নামিয়া কোল হৈতে।
দাঁড়াইতে নারে তবু                                  নাচয়ে কৌতুকে গো
হাত দিয়া জননীর হাতে॥
কি লাগি কাঁদিল কেউ                                বুঝিতে নারিল গো
সবাই ভাবয়ে মনে মনে।
নরহরি পরাণ-                                       নিমাই এইরূপে গো
খেলান করিতে ভাল জানে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫০-পৃষ্ঠা।

॥ যথারাগ॥ (বিভাষ)

পরাণ নিমাই মোর                                    খেপা বড় বটে গো
একদিন দেখিনু নয়ানে।
ধূলায় ধূসর তনু                                        কিবা অপরূপ গো
হামাগুড়ি ফিরয়ে অঙ্গনে॥
সুচাঁদবদনে হাসি                                    মা বলিয়া ডাকে গো
অমনি আইল শচী ধাইয়া।
কোলেতে চড়িয়া অতি                                কাঁদিয়া বিকল গো
তা দেখি বিদরে যেন হিয়া॥
কত যত্ন করে তবু                                    প্রবোধ না মানে গো
অঙ্গ আছাড়ায় বারে বারে।
কি হৈল কি হৈল বলি                                   কাঁদে পুণ্যবতী গো
কেহ স্থির হইতে না পারে॥
হেনই সময় এক                                      নারী অতি খেদে গো
হাতে তালি দিয়া বোলে হরি।
তা শুনি চঞ্চল-শিশু                                      ক্রন্দন সম্বরি গো
হাসয়ে তাহার গলা ধরি॥
সবাই হরষ হৈয়া                                       হরি হরি বলে গো
নিমাই নামিয়া কোলে হৈতে।
দাঁড়াইতে নারে তবু                                  নাচয়ে কৌতুকে গো
হাত দিয়া জননীর হাতে॥
কি লাগি কাঁদিল কেউ                                বুঝিতে নারিল গো
সবাই ভাবয়ে মনে মনে।
নরহরি প্রাণ নিমাই                                          এইরূপে গো
খেপামি করিতে ভাল জানে॥

.            *************************            

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
লক্ষ্মীপ্রায় লক্ষ্মী ঠাকুরাণী
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর অথবা কবি নরহরি চক্রবর্তী।
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫৫-পৃষ্ঠা। এই পদ কোন
কবি নরহরির তা বলা হয় নি।

.        ॥ কামোদ॥

লক্ষ্মীপ্রায় লক্ষ্মী ঠাকুরাণী।
শাশুড়ীর সেবা করে দিবস রজনী॥
পতপ্রতি অচলা ভকতি।
পতি সেবা করে দিন রাতি॥
পাঠ দেয় নিমাই পণ্ডিত।
পড়ুয়া অসংখ্য আসে হৈতে চারি ভিত॥
হেন শিক্ষা কোথাও না পায়।
বৃহস্পতি পাঠ যেন দেয় নদীয়ায়॥
গঙ্গাদাস-শিষ্য বিশ্বম্ভর।
সর্ব্ববিদ্যাবিশারদ সে বিদ্যাসগর॥
হেন ফাঁকি করেন নিমাই।
যাহার উত্তর দিতে কারো সাধ্য নাই॥
সন্ধ্যাকালে শিষ্যগণ লৈঞা।
বিদ্যার বিলাস করে গঙ্গাতীরে যাঞা॥
চারি দিগে নিমাইর যশ।
নরহরি আনন্দেতে হইল অবশ॥

.            *************************            

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ঘুমক-ঘোরে ভোর শচীনন্দন
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর অথবা কবি নরহরি চক্রবর্তী।
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩২-পৃষ্ঠা। এই পদ কোন
কবি নরহরির তা বলা হয় নি।

.        ॥ যথারাগ॥

ঘুমক-ঘোরে ভোর শচীনন্দন
কো সমুঝব তছু প্রেমবিলাস॥
পূরব-নিকুঞ্জে শয়নে জনু নিমগন
বোলত ঐছন মধুর মৃদু ভাষ॥
জাগ জাগ রমণী শিরোমণি সুন্দরি
কতহি ঘুমায়সি রজনিক শেষ।
তব বচনামৃত-সঙ্গীত পান বিনু
চঞ্চল শ্রবণ, রহিত সুখলেশ॥
মুদ্রিত ত্যজি তরল-নয়নাঞ্চলে
ললিত ভঙ্গী করি মন মান।
মন মন বঙ্ক নিশঙ্ক কহই
তোহে হাসি রভস মোহে দেহ দান॥
মঝু অভিলাষ, সমুঝি উঠি বৈঠহ
নিজকরে বেশ বিরচব তোহারি॥
ইহ বিধি কহত, নরহরি পহুঁ বহুরি
নিগদত কখন বিশারি॥

.            *************************            

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কৃষ্ণ দুআঁখর, প্রেমের অঙ্কুর, রোপিয়া রাধার কাণে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার বা শ্রীসরকার ঠাকুর অথবা নরহরি চক্রবর্তী
১৮৭০ সাল নাগাদ চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা সংগৃহীত এবং রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৩৫-পৃষ্ঠা।


কৃষ্ণ দুআঁখর, প্রেমের অঙ্কুর, রোপিয়া রাধার কাণে।
বলহ সুন্দরী, আশীর্ব্বাদ করি, ভাবিয়া দেখহ মনে॥
কহে বিনোদিনী, শুন ঠাকুরাণী, কখন আসিবে তুমি।
তোমার লাগিয়া, পথ নিরখিয়া, বসিয়া রহিলাম আমি॥
রায়ের বচন শুনি, ঠাকুরাণী, মুচকি মুচকি হাসে।
রাইয়ের অঙ্গের সৌরভ লৈয়া চলিল শ্যামের পাশে॥
যেখানে বলিয়া, সখাগণ লইয়া, আছয়ে রসিক মণি।
হাসিতে হাসিতে, গেল তথাকারে, পৌর্ণমাসী ঠাকুরাণী॥
যত সখাগণ, পদধূলি লন, কোথাকারে আগমন।
কহে ঠাকুরাণী, পাঠাইল রাণী, বিষাদ ভাবিয়া মন॥
গন্ধর্ব্ব কিন্নর, আছয়ে বিস্তর, মোর বাছা নীলমণি।
আপনি যাইয়া, বিরলে বসিয়া, শিখাহ এই মন্ত্রখানি॥
করেতে ধরিয়া, চলিল লইয়া, দেখিয়া বিরল স্থান।
হাসিতে হাসিতে, কহে ভগবতী, মন্ত্র লেহ মঝু প্রাণ॥
সারাদিন তুমি, এমন মন কেন, সদা ফির বনে বনে।
নরহরি বাণী, শুন গুণমণি, বাবিয়া দেখহ মনে॥

.            *************************            

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ব্রজের পূজিতা মুনির দুহিতা জগজনে মনে ঘুষি
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার বা শ্রীসরকার ঠাকুর অথবা নরহরি চক্রবর্তী
১৮৭০ সাল নাগাদ চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা সংগৃহীত এবং রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৩৪-পৃষ্ঠা।


ব্রজের পূজিতা, মুনির দুহিতা, জগজনে মনে ঘুষি।
এক দিন রঙ্গে, ফিরি বৃন্দা সঙ্গে, বনে ফিরে পৌর্ণমাসী॥
বৃন্দাবনে আসি, কুঞ্জে কুঞ্জে বসি, নানা শোভা দেখে তায়।
ডালেতে বসিয়া শারি শুক পাখী, রাধা কৃষ্ণ গুণ গায়॥ ধ্রু॥
মধুর শবদে, কোকিল ডাকিছে, কোকিলী তাহার সঙ্গ।
তার কাছে কাছে, ময়ূর নাচিছে, দেখিয়া বড় রঙ্গ॥
মন্দ পবন, বহে অনুক্ষণ, যড় ঋতু অনুবন্ধে।
মল্লিকা মালতী, ফুটেছে সুজাতি, আমোদ করিছে গন্ধে॥
জাতি যূথী ফুল, ফুটেছে বকুল, সেফালী চম্পক দাম।
তাহা বেড়ি বেড়ি, ভ্রমরা ভ্রমরী, আসি করে মধুপান॥
অতি নিরমল, যমুনার জল, হংস তাহে করে কেলি।
তাহার উপর, দেখি ভরাভর, যুল্ল কদম্বকলি॥
দেখি বৃন্দাবন, মন উচাটন, কহে পৌর্ণমাসী হাসি।
দেখি শোভা অতি, লীলা করে যদি, কিশোর কিশোরী আসি॥
তবে পৌর্ণমাসী, জগজনে ঘষি, বলয়ে স্বরূপ বাণী।
নন্দের নন্দন, সঙ্গে গোপীগণ, যদি এ বনেতে আনি॥
কহয়ে ধীমতী, ইহার যুকুতি, উপায় করিব কি।
গোকুলে আছয়ে, সে বড় নাগর, যাবটে রাজার ঝি॥
কেমন করিয়া, একত্র মিলাব, বান্ধিব পীরিতিখানি।
নরহরি বাণী, শুন ঠাকুরাণী, যাবটে চল আপনি॥

.            *************************            

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সখী সঙ্গে করি, ভানুর কুমারী, যেখানে বসিয়া খেলে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার বা শ্রীসরকার ঠাকুর অথবা নরহরি চক্রবর্তী
১৮৭০ সাল নাগাদ চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা সংগৃহীত এবং রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৩৫-পৃষ্ঠা।


সখী সঙ্গে করি, ভানুর কুমারী, যেখানে বসিয়া খেলে।
তবে ভগবতী, আসি আচম্বিতে, রাইরে করিল কোলে॥
হেদে গো নাতিনী, পরাণ নন্দিনী, বলি গো তোমার কাছে।
কৃষ্ণ নামে এক, রসিক নাগর, গোকুলপুরেতে আছে॥
তার কি কব রূপের বাণী।
আমার বচনে, শুনহ সুন্দরী, করহ পীরিতিখানি॥ ধ্রু॥
তোমার যেমন, এ রূপ যৌবন, তেমন রসিক রাজ।
বিধির সংযোগে, হয়েছে মিলন, বুঝিয়া করহ কাজ॥
শুন গো রাধিকা প্রাণের অধিকা, পীরিতি রসের সার।
পীরিতি রসের, রসিক নহিলে, কি ছার জীবন তার॥
যুবতী হইয়া, রসিক লইয়া, রস পান করে যে।
বড় সুখে সেই, রহে চিরকাল, তাহা বা জানিবে কে॥
সুখের সাগরে, প্রেমের পিরিতি, বোজিতে পারহ যবে।
জগতের সুখ, একত্র করিলে, এত সুখ পাবে তবে॥
ধরম করম, বড়ই বিষম, অনেক যতনে হয়।
সহজ পীরিতি, করহ যুবতী, পাইবে গোকুল রায়॥
কহে নরহরি, শুন গো সুন্দরি, কহিগো তোমার হিত।
এ নব যৌবন, সুখে গোঙায়বি, করহ শ্যামের প্রীত॥

.            *************************            

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর