কবি নরহরি চক্রবর্তীর বৈষ্ণব পদাবলী
*
সই ওই দেখ নদীয়ার চাঁদ
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৮১০-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ যথা---রাগঃ॥

সই! ওই দেখ নদীয়ার চান্দে।
ভুবনমোহন ওনা, রূপের নিছনি লৈয়া, কত শত মদন চরণে পড়ি কান্দে॥ ধ্রু॥
রসে ডুবু ডুবু দুটি, নয়ান চাহনি বিধি, সিরজিল যুবতী বধিতে হেন বাসি।
বদনচান্দের শোভা, চান্দের গরব হরে, হাসি মিশে অমিয়া বরিষে রাশি রাশি॥
আহা মরি মরি মেন, কত না মনের সাধে, কেবা বনাইল এ না বিবাহের বেশ।
পরম উজ্জ্বল অতি, বিচিত্র মুকুট মাথে, ঝাঁপিয়াছে চিকন চাঁচর চারু কেশ॥
মঙ্গল বিহিত পীত,-সুতা দূর্ব্বাদল করে, নিরুপম কনক দর্পণ ভাল শোহে।
পরিধেয় বসন ভূ,-ষণ সুমধুর প্রতি, অঙ্গের ভঙ্গিতে নরহরি মনমোহে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৭০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া হয়েছে।
নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

সই অই দেখ নদীয়ার চাঁদে ।
ভুবনমোহন ওনা                    রূপের নিছনি লৈঞা
কত শত মদন চরণে পড়ি কাঁদে ॥ ধ্রু ॥
রসে ডুবু ডুবু দুটী                     নয়ান চাহনি, বিধি
সিরজিল যুবতী বধিতে হেন বাসি ।
বদনচাঁদের শোভা                       চাঁদের গরব হরে
হাসি মিশে অমিয়া বরষে রাশি রাশি ॥
আহা মরি মরি মেন                 কত না মনের সাধে
কেবা বনাইল এনা বিবাহের বেশ ।
পরম উজ্জ্বল অতি                    বিচিত্র মুকুট মাথে
ঝাঁপিয়াছে চিকণ চাঁচর চারু কেশ ॥
মঙ্গল বিহিত পীত                   সূতা দূর্ব্বাদল করে
নিরুপম কনক-দর্পণ ভাল শোহে ।
পরিধেয় বসন                              ভূষণ সুমধুর
প্রতি অঙ্গের ভঙ্গীতে নরহরি-মন মোহে ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গৌর রসিক-শেখরবর বেষ্টিত প্রিয় বিপ্রনিকর
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৮০৯-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ যথা---রাগঃ॥

গৌর রসিক শেখর বর, বেষ্টিত প্রিয় বিপ্র নিকর, হরষিত সুবিবাহ করব, ইথে চলু চড়ি চৌদোলে।
তত ঘন আনদ্ধ শুষির, বাদ্য চতুর্ব্বিধ সুরুচির, বাজত বহু ভাঁতি শবদ, ভরল গগণ মণ্ডলে॥
সর্ব্ব বাদ্য শোভন নব, মর্দ্দল মুদবর্দ্ধন রব, ধো ধো ধিগি তগ ধিলঙ্গ, ধা ধা নি নি নিধিয়া।
অলখিত সুর নর্ত্তকীগণ, নর্ত্তকীসহ লাস্য সঘন, ভণ তক তক থৈ থৈ থৈ, আই অতি নি নি নি তিয়া॥
গায়ক গণে মিলি উলসিত, গায়ত গন্ধর্ব্ব-ললিত, শ্রুতি সুমধুর গ্রামাদি বিবিধে, কৌতুক পরকাশয়ে।
দশশতমুখ বিহি মহেশ, বিহি মহেশ, গণ সহ সুরপতি গণেশ, গিরিজাদিক ধৃতি কি ধরব সুখ সায়রে ভাসয়ে॥
হয় গজ বহু অস্ত্রধারী, প্রকটত গুণ হাস্য কারী, লসত শত পতাকাদিক, ভীড়ে পথ রোকঈ।
নদীয়াপুর ভরমি ভরমি, সুরধুনি তীরে বিরমি বিরমি, মিশ্রগৃহ সমীপ নর,-হরি শোভা অবলোকই॥

ই পদটী ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৭০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী
বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই
পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

গৌর রসিক-শেখরবর, বেষ্টিত প্রিয় বিপ্রনিকর,
হরষিত সুবিবাহ করব, ইথে চলু চঢ়ি চৌদোলে ।
ততঘন আনদ্ধ শুষির, বাদ্য চতুর্ব্বিধ সুরত চির,
বাজত বহু ভাতি শবদ ভরল গগন মণ্ডলে ॥
সর্ব্ব বাদ্য শোভন নব, মর্দ্দন মুদবর্দ্ধন রব,
ধো ধো ধিগি তগ ধিলঙ্গ, ধা ধা নি নি নিধিয়া ।
অলখিত সুর-নর্ত্তকীগণ, নর্ত্তকী সহ লাস্য সঘন,
ভণ তক তক থৈ থৈ থৈ, আই অতি নি নি নি তিয়া ॥
গায়কগণে মিলি উলসিত, গায়ত গন্ধর্ব্ব ললিত,
শ্রুতিসুমধুর গ্রামাদি বিবিধ কৌতুক পরকাশয়ে ।
দশশত মুখ বিহি মহেশ, গণসহ সুরপতি গণেশ,
গিরিজাদিক ধৃতি কি ধরব সুখ-সায়রে ভাসয়ে ॥
হয় গজ বহু অস্ত্রধারী, প্রকটত গুণ হাস্যকারী,
লসত শত পতাকাদিক ভীড়ে পথ রোকঈ ।
নদীয়াপুর ভরমি ভরমি, সুরধনী-তীরে বিরমি বিরমি,
মিশ্রগৃহ সমীপ নরহরি শোভা অবলোকঈ ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নদীয়ার শশী রসিক-শেখর শোভে  
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৮০৭-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ যথা রাগঃ॥

নদীয়ার শশী, রসিক শেখর, শোভে ভাল শুভ বিবাহ বেশে।
চর্চ্চিতাঙ্গ চারু, চন্দন তিলক, অর্দ্ধচন্দ্রাকৃতি ললাট দেশে॥
নানা পুষ্পময়, বিচিত্র মুকুট, শিরে সেনা ছান্দে কে নাহি ভুলে।
আঁখে কাজরের রেখা নব কুল,-বতী সতীগণে না রাখে কুলে॥
শ্রুতিমূলে মণি মকর কুণ্ডল, ঝলকয়ে কিবা গণ্ডের ছটা।
সুমধুর হাসি,-মাখা মুখখানি, নিছনি পূণিমচান্দের ঘটা॥
সূত্রে বাঁধা ধান্য দূর্ব্বাদি সুন্দর, হেম দরপণ দক্ষিণ করে।
নরহরি ভণে, ভূষণে ভূষিত, প্রতি অঙ্গ হেরি কে ধৃতি ধরে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৯-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি”
ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর
পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

নদীয়ার শশী রসিক-শেখর শোভে ভাল শুভ বিবাহ-বেশে।
চর্চ্চিতাঙ্গ চারু চন্দনতিলক অর্দ্ধচন্দ্রাকৃতি ললাটদেশে॥
নানা পুষ্পময় বিচিত্র মুকুট শিরে, সেনা ছাঁদে কে নাহি ভুলে।
আঁখে কাজরের রেখা নব কুলবতী সতীগণে না রাখে কুলে॥
শ্রুতিমূলে মণি-মকর কুণ্ডল, ঝলকয়ে কিবা গণ্ডের ছটা।
সুমধুর হাসিমাখা মুখখানি নিছনি পূর্ণিমা-চাঁদের ঘটা॥
সূত্রে বাঁধা ধান্য দূর্ব্বাদি সুন্দর হেমদরপণ দক্ষিণ করে।
নরহরি ভণে ভূষণে ভূষিত প্রতি অঙ্গ হেরি কে ধৃতি ধরে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি আনন্দ শচীর ভবনে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৮০৭-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ যথা রাগঃ॥

কি আনন্দ শচীর ভবনে। করয়ে মঙ্গল কর্ম্ম আইহ সুইহ গণে॥
বিবাহ বিহিত স্নান করি। বৈসেন অপূর্ব্ব সিংহাসনে গৌরহরি॥
রূপের ছটায় মন মোহে। চাঁচর চিকণ কেশ পিঠে ভাল শোহে॥
গোরা পাশে আসে প্রিয়গণ। বারেক চাহিয়া নারে ফিরাতে নয়ন॥
কত না আনন্দে সভে মাতি। বিবাহ বিহিত বেশ রচে নানা ভাঁতি॥
কহিতে কি জানে নরহরি। নিরুপম বেশের বালাই লইয়া মরি॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৯-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি”
ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর
পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

কি আনন্দ শচীর ভবনে ।
করয়ে মঙ্গলকর্ম্ম আইহ সুইহগণে ॥
বিবাহবিহিত স্নান করি ।
বৈসেন অপূর্ব্ব সিংহাসনে গৌরহরি ॥
রূপের ছটায় মন মোহে ।
চাঁচর চিকণ কেশ পিঠে ভাল শোহে ॥
গোরা পাশে আসে প্রিয়গণ ।
বারেক চাহিয়া নারে ফিরাতে নয়ন ॥
কত না আনন্দে সবে মাতি ।
বিবাহবিহিত বেশ রচে নানা ভাতি ॥
কহিতে কি জানে নরহরি ।
নিরুপম বেশের বালাই লৈয়া মরি ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরা রসময় সুখের আলয়
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৮০৭-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ যথা রাগঃ॥

গোরা রসময়, সুখের আলয়, বিলাসে বিবাহ বিহিত স্নানে।
কুলবধূ কুল, উলু লু লু দিয়া, চাহে চারুচান্দ মুখের পানে॥
কেহ কেহ সেনা, অঙ্গের বাতাসে, কাঁপে ঘন ঘন, বিজুরী জিতি।
কেহ পরশের, সাধে গন্ধ হরি,-দ্রাদি মাখাইতে না ধরে ধৃতি॥
কেহ সুললিত, কুন্তলেতে তৈল, দিতে কত রঙ্গ উপজে চিতে।
কেহ অভিষেক, করে গঙ্গাজলে, ভঙ্গি নানা নাহি উপমা দিতে॥
কেহ আধ হাসি, ভাসে রসে তনু,-পোছে পানিতোলা লইয়া হাতে।
রক্তপ্রান্ত শুষ্ক, বাস পিঁধাঅএ, নরহরি অতি কৌতুকে তাতে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
 নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

গোরা রসময়                            সুখের আলয়
বিলাসে বিবাহবিহিত স্নানে ।
কুলবধূকুল                               উলু উলু দিয়া
চাহে চারু চাঁদমুখের পানে ॥
কেহ কেহ সেনা                        অঙ্গের বাতাসে
কাঁপে ঘন ঘন বিজুরী জিতি ।
কেহ পরশের-                           সাধে গন্ধহরি-
দ্রাদি মাখাইতে না ধরে ধৃতি ॥
কেহ সুললিত                          কুন্তলেতে তৈল
দিতে কত রঙ্গ উপজে চিতে ।
কেহ অভিষেক                         করে গঙ্গাজলে
ভঙ্গি নানা নাহি উপমা দিতে ॥
কেহ আধ হাসি                        ভাসে রসে তনু
পোছে পানিতোলা লইয়া হাতে ।
রক্তপ্রান্ত শুষ্ক                           বাস পিধায়এ
নরহরি অতি কৌতুক তাতে ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
অধিবাস দিবসের পরে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৮০৬-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ যথা রাগঃ॥

অধিবাস দিবসের পরে। বাঢ়য়ে আনন্দ নব নদীয়া নগরে॥
চারি দিকে ফিরে লোক ধা’য়া। নিমাইর বিবাহ আজি এই কথা কৈয়া॥
ভুবন ভরিয়া জয় জয়। বিবাহ দেখিতে সাধ কার বা না হয়॥
শিবসুখে পার্ব্বতী সহিতে। ছাড়িয়া কৈলাস আসে বিবাহ দেখিতে॥
অনন্ত আপন গণ লৈয়া। বিবাহ দেখিতে রহে অলক্ষিত হৈয়া॥
বৈকুন্ঠের যত পরিকর। বিবাহ দেখিব বলি অধৈর্য্য অন্তর॥
চতুর্মুখ নিজ প্রিয়া-সনে। দেখিতে বিবাহ কত সাধ ক্ষণে ক্ষণে॥
সুরপতি শচী সঙ্গে লৈয়া। বিবাহ দেখিতে সাজে মহাহর্ষ হৈয়া॥
উত্সাহে ভণয়ে দেবগণে। দেখিব বিবাহ রহি প্রভুর ভবনে॥
দেবনারী বিচারিল চিতে। মাতিব বিবাহে নদীয়ার বধূ সাতে॥
গন্ধর্ব্ব কিন্নর করে মনে। গীত বাদ্যে মিশা’ব বিবাহে গুণি সনে॥
ইন্দ্রের নর্ত্তকীগণ কহে। নদীয়া নর্ত্তকীসহ সাজিব বিবাহে॥
দেব ঋষি উলসিত চিতে। কত অভিলাষ করে বিবাহ দেখিতে॥
উলথয়ে যমুনা জাহ্নবী। বিবাহ কৌতুক রসে প্রফুল্ল পৃথিবী॥
ব্রাহ্মণ সজ্জন নদীয়ার। বিবাহে নিমাইর গৃহে গমন সবার॥
শচীর নন্দন গৌরহরি। বৈসে সুখে বিবাহ বিহিত কর্ম্ম করি॥
প্রভু মুখচন্দ্র নিরখিয়া। কহে কত কেউ না ধরিতে পারে হিয়া॥
উপজে মঙ্গল যত যত। এক মুখে নরহরি কহিব তা কত॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৮-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি”
ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর
পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

অধিবাস দিবসের পরে ।
বাঢ়য়ে আনন্দ নব নদীয়া নগরে ॥
চারি দিকে ফিরে লোক ধাঞা।  
নিমাইর বিবাহ আজি এই কথা কৈঞা ॥
ভুবন ভরিয়া জয় জয় ।
বিবাহ দেখিতে সাধ কার বা না হয় ॥
শিব সুখে পার্ব্বতী সহিতে ।
ছাড়িয়া কৈলাস আসে বিবাহ দেখিতে ॥
অনন্ত আপন গণ লৈঞা ।
বিবাহ দেখিতে রহে অলক্ষিত হৈঞা ॥
বৈকুন্ঠের যত পরিকর ।
বিবাহ দেখিব বলি অধীর অন্তর ॥
চতুর্মুখ নিজপ্রিয়া সনে ।
দেখিতে বিবাহ কত সাধ ক্ষণে ক্ষণে ॥
সুরপতি শচী সঙ্গে লৈঞা ।
বিবাহ দেখিতে সাজে মহাহর্ষ হৈঞা ॥
উত্সাহে ভণয়ে দেবগণে ।
দেখিব বিবাহ রহি প্রভুর ভবনে ॥
দেবনারী বিচারিল চিতে ।
মাতিব বিবাহে নদীয়ার বধূ সাতে ॥
গন্ধর্ব্ব কিন্নর করে মনে ।
গীতবাদ্যে মিশিব বিবাহে গুণী সনে ॥
ইন্দ্রের নর্ত্তকীগণ কহে ।
নদীয়া-নর্ত্তকী সহ সাজিব বিবাহে ॥
দেব ঋষি উলসিতচিতে ।
কত অভিলাষ করে বিবাহ দেখিতে ॥
উলথয়ে যমুনা জাহ্নবী ।
বিবাহকৌতুকরসে প্রফুল্ল পৃথিবী ॥
ব্রাহ্মণ সজ্জন নদীয়ার ।
বিবাহে নিমাইর গৃহে গমন সবার ॥
শচীর নন্দন গৌরহরি ।
বৈসে সুখে বিবাহবিহিত কর্ম্ম করি ॥
প্রভুমুখচন্দ্র নিরখিয়া ।
কহে কত কেউ না ধরিতে পারে হিয়া ॥
উপজে মঙ্গল যত যত ।
একমুখে নরহরি কহিবে তা কত ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
মিশ্র সনাতন হর্ষমনে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৮০৫-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ যথা রাগঃ॥

মিশ্র সনাতন হর্ষ মনে। করয়ে কন্যার অধিবাস শুভক্ষণে॥
বিপ্রগণ আইগৃহ হৈতে। অধিবাস সজ্জ লৈঞা আইলা তুরিতে॥
নদীয়ার ব্রাহ্মণ সজ্জন। রাজপণ্ডিতের ঘরে সবার গমন॥
মিশ্র মহা আদর করিয়া। বসান সভারে মালা চন্দনাদি দিয়া॥
কি অপূর্ব্ব সুষমা অঙ্গণে। বৈসয়ে সকলে চারু মণ্ডল বন্ধানে॥
সখী সহ মিশ্রের ঘরণী। করয়ে মঙ্গল যত কহিতে না জানি॥
চকিত চাহিয়া চারি ভিতে। বিষ্ণুপ্রিয়া বাহির হইলা ঘর হৈতে॥
সভা মধ্যে বৈসে সিংহাসনে। অনিমিষ আঁখে শোভা দেখে সর্ব্বজনে॥
বসন ভূষণ সাজে ভালো। প্রতি অঙ্গ ছটায় ভুবন করে আলো॥
উপমা কি কনক বিজুরী। চান্দের গরব হরে মুখের মাধুরী॥
যত শোভা কে কহিতে পারে। ছোয়াইয়া গন্ধ সবে আশীর্ব্বাদ করে॥
নারীগণে দেই যজকার। বিপ্রগণে বেদধ্বনি করে অনিবার॥
ভাটগণে ভণে সুচরিত। বাজে নানা বাদ্য গুণী গণে গায় গীত॥
কত না কৌতুক মিশ্রঘরে। নরহরি ভাসে সেনা সুখের সায়রে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৮-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি”
ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর
পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

মিশ্র সনাতন হর্ষমনে ।
করয়ে কন্যার অধিবাস শুভক্ষণে ॥
বিপ্রগণ আই গৃহ হৈতে ।
অধিবাসসজ্জ লৈঞা আইলা তুরিতে ॥
নদীয়ার ব্রাহ্মণ সজ্জন ।
রাজপণ্ডিতের ঘরে সবার গমন ॥
মিশ্র মহা আদর করিয়া ।
বসান সবারে মালাচন্দনাদি দিয়া ॥
কি অপূর্ব্ব সুষমা অঙ্গনে ।
বৈসয়ে সকলে চারু মণ্ডলবন্ধানে ॥
সখী সহ মিশ্রের ঘরণী ।
করয় মঙ্গল যত কহিতে না জানি ॥
চকিত চাহিয়া চারি ভিতে ।
বিষ্ণুপ্রিয়া বাহির হইল ঘর হৈতে ॥
সভামধ্যে বৈসে সিংহাসনে ।
অনিমিষ আঁখে শোভা দেখে সর্ব্বজনে ॥
বসন ভূষণ সাজে ভালো ।
প্রতি অঙ্গছটায় ভুবন করে আলো ॥
উপমা কি কনক বিজুরী ।
চাঁদের গরব হরে মুখের মাধুরী ॥
যত শোভা কে কহিতে পারে ।
ছোয়াইয়া গন্ধ সবে আশীর্ব্বাদ করে ॥
নারীগণে দেই জয়কার ।
বিপ্রগণে বেদধ্বনি করে অনিবার ॥
ভাটগণে ভণে সুচরিত ।
বাজে নানা বাদ্য গুণী জনে গায় গীত ॥
কত না কৌতুক মিশ্রঘরে ।
নরহরি ভাসে সে না সুখের সায়রে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরা বিধু অধিবাস সুখে কে না বৈসে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৮০৩-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ যথা রাগঃ॥

গোরা বিধু অধি,-বাস সুখে কেনা, বৈসে প্রবেশিয়া ভবনমাঝে।
গোরা প্রিয়াগণ, নিত নব নব, নিপুণ তা অধিবাসের কাযে॥
মালা চন্দনাদি, দেই জনে জনে, সে অতি কৌতুক কে কত কবে।
সভা মধ্যে বিল,-সয়ে শচী-সুত, যেন পুরন্দর বেষ্টিত দেবে॥
মিশ্র সনাতন, গণ সহ শুভ,-ক্ষণে আসি নানা সামগ্রী লৈয়া।
ছোয়াইয়া গন্ধ, গোরা মুখ পানে, অনিমিখ আঁখে রহয়ে চাইয়া॥
বিপ্র বেদধ্বনি, করে, নারি যজকার, চারু রঙ্গ ভাটেতে ভণে।
গায় নরহরি, অধিবাস রস, বায় নানা বাদ্য বাদক গণে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৭পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
 নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

গোরা বিধু অধিবাস                 সুখে কে না বৈসে
প্রবেশিয়া ভুবন মাঝে ।
গোরা-প্রিয়াগণ                             নিত নব নব
নিপুণতা অধিবাসের কাজে ॥
মালা চন্দনাদি                           দেই জনে জনে
সেই অতি কৌতুক কে কত কবে ।
সভামধ্যে বিল-                           সয়ে শচী-সুত
যেন পুরন্দর বেষ্টিত দেবে ॥
মিশ্র সনাতন                                 গণ সহ শুভ
ক্ষণে আসি নানা সামগ্রী লৈয়া ।
ছোয়াইয়া গন্ধ                            গোরা মুখ পানে
অনিমিষ আঁখে রহয়ে চাহিয়া ॥
বিপ্রে বেদধ্বনি                         করে, নারী জজ-
কার, চারু রঙ্গ ভাটেতে ভণে ।
গায় নরহরি                                অধিবাস-রস
বায় নানা বাদ্য বাদকগণে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শচী দেবী উলসিত হৈয়া
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৮০৩-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ যথা---রাগঃ॥

শচী দেবী উলসিত হৈয়া।
গঙ্গা পূজিবারে, যায় গঙ্গাতীরে, আইহ সুইহ গণ সঙ্গেতে লৈয়া॥ ধ্রু॥
নানা পুষ্প গন্ধ, চন্দনাদি দিয়া, পূজে জাহ্ণবীরে যতন করি।
উছলয়ে সুরধনী অনিবার, শচীসুত পদ হৃদয়ে ধরি॥
বাজে বাদ্য ভালে, ষষ্ঠী থলে চলে, পূজে ষষ্ঠী কত সামগ্রী দিয়া।
ষষ্ঠী সুখে ভাসি, প্রশংসে আপনা, গোরাচান্দ গুণে উথলে হিয়া॥
কত সাধে বন্ধুগণ, গৃহে গতি অতি, উল্লাস সে সবার চিতে।
আসি নিজ ঘরে করে শুভ ক্রিয়া, নরহরি নারে তুলনা দিতে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৭পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

শচী দেবী উলসিত হৈঞা ।
গঙ্গা পূজিবারে                           যায় গঙ্গাতীরে
আয়ো সুয়োগণ সঙ্গেতে লৈঞা ॥ ধ্রু ॥
নানা পুষ্প গন্ধ-                          চন্দনাদি দিয়া
পূজে জাহ্নবীরে যতন করি ।
উছলয়ে সুর-                             ধুনী অনিবার
শচীসুত-পদ হৃদয়ে ধরি ॥
বাজে বাদ্য ভাল                         ষষ্ঠী থলে চলে
পূজে ষষ্ঠী কত সামগ্রী দিয়া ।
ষষ্ঠী সুখে ভাসি                       প্রশংসে আপনা
গোরাচাঁদ-গুণে উথলে হিয়া ॥
কত সাধে বধূগণ                       গৃহে গতি অতি
উল্লাস সে সবার চিতে ।
আসি নিজ ঘরে                       করে শুভ ক্রিয়া
নরহরি নারে তুলনা দিতে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরা রসে ভাসি হাসি লহু লহু
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৮০২-পৃষ্ঠা।

॥ যথা---রাগঃ॥

গোরা রসে ভাসি, হাসি লহু লহু, কুলবতী-কুল উলসিত বহু,
পানি সাইবারে, সাজে শচীদেবী,-আদেশেতে কিবা কৌতুক চিতে।
নব্য মধ্য পূর্ণ যৌবনা সুন্দরী, যূথে যূথে গতি অতি সুমাধুরী,
চঞ্চল চারু দৃগঞ্চল চাহনি, ভঙ্গী নানা নাহি উপমা দিতে॥
পরিধেয় কত ভাঁতি সুবসন, প্রতি অঙ্গে হেম মণি আভরণ,
ঝলকয়ে মুখে ঘুঙট অতুল, সুললিত বেণী পীঠেতে দোলে।
কারু করে শুভময় দ্রব্য, কারু কারু করে সরসিজ নব্য,
কারু শিরে ডালা আলা করে পট্ট,-বাসে সে আবৃত শোভয়ে ভালে॥
চলিতেই বাজে কটিতে কিঙ্কিণী, ঋনি ঝিনি ঋণি ঝিনিনি নি নি নি,
চরণে নূপুর রুনু ঝুনু নুনু রবে রঞ্জয়ে শ্রুতি।
আগে আগে চলে বাদক আনন্দে, বাজায়য়ে বাদ্য সুমধুর ছন্দে,
ধাধা ধিং নিং নিং ধো ধিকি, ধিকি তা ধেন্না নানা বাদ্যে হরয়ে ধৃতি॥
অলখিত সুর নারীগণ রঙ্গে, মিশাইয়া নদীয়ার বধূসঙ্গে,
পানি সাই সবে প্রবেশে ভবনে, ধনি ধনি ধনি কেবা না কহে।
তৈল হরিদ্রাদি বিলাইয়া যত, স্ত্রী-আচার তাহা কে কহিবে কত,
সে সুখ পাথারে কেনা সাঁতারয়ে, নরহরি বহু নিছনি তাহে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৬পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ যথারাগ ॥

গোরা-রসে ভাসি, হাসি হাসি লহু লহু
কুলবতীকুল উলসিত বহু
পানি সাইবারে, সাজে শচীদেবী,
.        আদেশেতে কিবা কৌতুক চিতে ।
নব্য-মধ্য-পূর্ণ-যৌবনা সুন্দরী
যূথে যূথে গতি অতি সুমাধুরী
চঞ্চল চারু দৃগঞ্চল চাহনি
.        ভঙ্গী নানা নাহি উপমা দিতে ॥
পরিধেয় কত ভাতি সুবসন
প্রতি অঙ্গে হেম মণি আভরণ
ঝলকয় মুখে ঘুঙট অতুল
.        সুললিত বেণী পিঠেতে দোলে ।
কারু কারু করে শুভময় দ্রব্য
কারু কারু করে সরসিজ নব্য
কারু শিরে ভালা আলা করে পট্ট-
.        বাসে, সে আবৃত শোভয়ে ভালে ॥
চলিতেই বাজে কটিতে কিঙ্কিণী,
ঋণি ঝিনি ঋণি ঝিনিনি নি নি নি,
চরণে নূপুর রুনু ঝুনু রুনু
.        রুনু নু নু রবে রঞ্জয়ে শ্রুতি ।
আগে আগে চলে বালক আনন্দে,
বাজায়ে যে বাদ্য সুমধুর ছন্দে
ধাধা ধিং নিং নিং ধো ধিকি ধিকতাধেন্না
.        নানা বাদ্যে হরয়ে ধৃতি ॥
অলখিত সুরনারীগণ রঙ্গে
মিশাইয়া নদীয়ার বধূ সঙ্গে
পানি সাই যবে প্রবেশে ভুবনে
.        ধনি ধনি ধনি কেবা না কহে ।
তৈল হরিদ্রাদি বিলাইয়া যত
স্ত্রী-আচার তাহা কে কহিবে কত
সে সুখ-পাথারে কেনা সাঁতারয়ে
.        নরহরিপহুঁ নিছনি তাহে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর