কবি নরহরি চক্রবর্তীর বৈষ্ণব পদাবলী
*
নব নদীয়ানাগরী গোরি ভোরি বয়
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৮০১-পৃষ্ঠা।

॥ যথা---রাগঃ॥

নব নদীয়ানাগরী, গোরি ভোরি বয় থোরি, কি চরিত বুঝিব আনে।
অতি অলখিত পিয়া,-পানে চাহি হিয়া, থর হরি কাঁপে মদন বাণে॥
কেহো, ভাবি মনে মনে, ভণে আজু বুঝি, নিলজ হইনু সবার পাশে।
কেহু, কারু প্রতি ঠারি, নারে সম্বরিতে, অমুনি ঈষৎ হাসে॥
কেহু, কারু করে ধরি, ধীরে ধীরে সাধে, অধিক আনন্দে উমড়ে হিয়া।
কেহু, কারু প্রতি কহে, পিরিতি কাহিনী, অলপ ঘুঙটে ঘুঙট দিয়া॥
কেহু, কারু প্রতি করে, করেতে সঙ্কেতে, কত কত কথা উপজে মনে।
কেহু, কারু মতি থির, করে কত ভয়, দেখাইয়া চারু নয়ান-কোণে॥
কেহ, নিজ ধৈর্য্য জানা,-ইতে কারু মুখ, মোছে পটাঞ্চল যতনে লৈয়া।
কেহো, করি কানা কানি, জানি বিপরীত, এক ভিতে থাকে গুপত হৈয়া॥
এইরূপে যত, কুলবতী সতী, গৌরপ্রেমরসার্ণবে সবে মগন হৈলা।
নর,-হরি কি কহিব প্রাণ নাথে প্রাণ, জীবন যৌবন সোঁপিয়া দিলা॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৬পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ যথারাগ॥

নব নদীয়া-নাগরী গোরি ভোরি বয়
.                থোরি কি চরিত বুঝিব আনে ।
অতি অলখিত পিয়া পানে চাহি,
.                হিয়া থরহরি কাঁপে মদনবাণে ॥
কেহু, ভাবি মনে মনে ভণে আজু বুঝি,
.                নিলজ হইনু সবার পাশে ।
কেহু, কারু প্রতি ঠারি, নারে সম্বরিতে
.                অমনি ঈষৎ ঈষৎ হাসে ॥
কেহু, কারু করে ধরি, ধীরে ধীরে সাধে
.                অধিক আনন্দে উমড়ে হিয়া ।
কেহু, কারু প্রতি কহে পীরিতি কাহিনী
.                অলপ ঘুঙটে ঘুঙট দিয়া ॥
কেহু, কারু প্রতি করে করেতে সঙ্কেত,
.                কত কত কথা উপজে মনে ।
কেহু, কার মতি থির করে কত ভয়,
.                দেখাইয়া চারু নয়ান-কোণে ॥
কেহ, নিজ ধৈর্য্য জানাইতে কারু মুখ,
.                মুছে পটাঞ্চল যতনে লৈঞা ।
কেহু, করি কাণাকাণি জানি বিপরীত
.                এক ভিতে থাকে গুপত হৈঞা ॥
এইরূপে যত কুলবতী সতী গৌরপ্রেম
.                রসার্ণবে সবে মগন হৈলা ।
নরহরি কি কহিব প্রাণনাথে
.                প্রাণ জীবন যৌবন সুঁপিয়া দিলা ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শচী জগতজননী জন-নীতবিদ
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৮০১-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ তুড়িরাগঃ॥

শচী, জগতের জননী, জন-নীতবিদ, বিদিত সুচারু চরিত রীতি।
নিজ, প্রাণের অধিক বধূ সম মান, সবাকারে করে পরম প্রীতি॥
প্রতি, জনে জনে পুছি, মঙ্গল শিরেতে, কর ধরি করে আশীষ বহু।
সদা, বাঢ়ুক সম্পদ্ পতি আদি সব, চিরঞ্জীবী হৈয়া কুশলে রহু॥
ইহা, শুনি বধূগণ,-মনে মনে হাসি, সুখে ভাসি কহে মধুর কথা।
ওগো, এ শুভ চরণ, দরশনে বোলো, কি লাগি অশুভ রহিব এথা॥
অতি, সঙ্কুচিত চিতে, কিঞ্চিৎ কহি, কর যুড়ি সদা দাঁড়া’য়া রহে।
নর,-হরি প্রাণপতি, মাতা তা দেখিয়া, আঁখি ছল ছল বিবশ স্নেহে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৬-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি”
ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর
পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ তুড়ী ॥

শচী জগতজননী জন-নীতবিদ,
.                বিদিত সুচারু-চরিত-রীতি ।
নিজ প্রাণের অধিক বধূসম মান,
.                সবাকারে করে পরম প্রীতি ॥
প্রতিজনে জনে পুছি মঙ্গল শিরেতে
.                কর ধরি করে আশীষ বহু ।
সদা বাঢ়ুক সম্পদ, পতি আদি সব,
.                চিরঞ্জীবী হৈয়া কুশলে রহু ॥
ইহা শুনি বধূগণ মনে মনে হাসি,
.                সুখে ভাসি কহে মধুর কথা ।
আগা এ শুভ চরণ দরশনে বলো
.                কি লাগি অশুভ রহিব এথা ॥
অতি সঙ্কুচিত চিতে কিঞ্চিৎ কহি,
.                কর জোড়ি সদা দাঁড়াঞা রহে ।
নরহরি প্রাণপতি মাতা তা দেখিয়া,
.                আঁখি ছল ছল বিবশ স্নেহে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গৌর বরজকিশোর বর অনুরাগে নব নব নারী
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৮০০-পৃষ্ঠা।

॥ পুনশ্চ তোড়ী॥

গৌর বরজ,-কিশোর বর, অনুরাগে নব নব নারী।
বিপুল পুলকিত, গাত গর গর, ধিরজ ধরই না পারি॥
বেগি বিরিচি, সুবেশ কাজরে, আঁজি কঞ্জনয়ান।
মুকুর করগহি, পেখি কুঙ্কুমমে, মাজি মঞ্জু বয়ান॥
গমন সময়, বিচারি গুরুজন, চরণবন্দন কেল।
শ্রীশচীগৃহ, গমনে সো সব, উলসে অনুমতি দেল॥
পরশ পররশ, বরষে ঘন ঘন, ভবন তেজি তুরন্ত।
ভণত নরহরি, পন্থগত কত, যূথ গণই ন অন্ত॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ তোড়ী ॥

গৌর বরজকিশোর বর, অনুরাগে নব নব নারী ।
বিপুল পুলকিত গাত গরগর, ধিরজ ধরই না পারি ॥
বেগি বিরিচি সুবেশ কাজরে, আজি কঞ্জনয়ান ।
মুকুর কর গহি পেখি কুঙ্কুম সে, মাজি মঞ্জু বয়ান ॥
গমন সময় বিচারি গুরুজন-চরণ বন্দন কেল ।
শ্রীশচী গৃহ গমনে সো সব উলসে অনুমতি দেল ॥
পরশ পররস বরষে ঘন ঘন, ভবন তেজি তুরন্ত ।
ভণত নরহরি পন্থগত কত, যূথ গণই ন অন্ত ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিশি পরভাতে নিভৃত নিকেতে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৯৯-পৃষ্ঠা।

॥ পুনশ্চ তোড়ী॥

নিশি পরভাতে, নিভৃত নিকেতে, কুলবধূকুল বিলসে রঙ্গে।
কেহ কারু প্রতি, কহে ইকি অতি, সৌরভ ভরল অলস অঙ্গে॥
শুনি রসাবেশে, ভণে নিশিশেষে, স্বপনে সে নব নদীয়াবিধু।
তেরছ নয়ানে, চাহি আমা পানে, হাসি মিষে যেন বরিষে মধু॥
ধীরে ধীরে কহে, মোর এ বিবাহে, জল সাইবারে আইবে প্রাতে।
এত কহি করে, ধরি বারে বারে, আলিঙ্গিয়ে কত, কৌতুক, তাতে॥
সে তনু সৌরভ, পরশে এ সব, তো সভে কহি যে নিলজী হৈয়া।
অধিবাস আজি, বেগে চল সাজি, নরহরিনাথে মিলহ গিয়া॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
 নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ তোড়ী ॥

নিশি পরভাতে                        নিভৃত নিকেতে
কুলবধূকুল বিলসে রঙ্গে ।
কেহ কারু প্রতি                        কহে ইতি উতি
সৌরভ ভরল অলস অঙ্গে ॥
শুনি রসাবেশে                        ভণে নিশি শেষে
স্বপনে সে নব-নদীয়া-বিধু ।
তেরছ নয়ানে                        চাহি আমা পানে
হাসি মিশে যেন বরিষে মধু ॥
ধীরে ধীরে কহে                        মোর এ বিবাহে
জল সাইবারে আসিবে প্রাতে ।
এত কহি করে                        ধরি বারে বারে
আলিঙ্গিয়ে কত কৌতুক তাতে ॥
সে তনু সৌরভ                            পরশে এ সব
তো সবে কহিয়ে নিলজী হৈয়া ।
অধিবাস আজি                        বেগে চল সাজি
নরহরি নাথে মিলহ গিয়া ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নদীয়া নগরে হৈল ধ্বনি
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৯৯-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা কামোদঃ॥

নদীয়া নগরে হৈল ধ্বনি। করিব বিবাহ পুনঃ গোরা গুণমণি॥
সনাতন মিশ্র ভাগ্যবান। করিবেন নিমাইচাঁদেরে কন্যাদান॥
বিষ্ণুপ্রিয়া নাম সে কন্যার। রূপে গুণে ভুবনে তুলনা নাই তাঁর॥
কালি হবে শুভ অধিবাস। দেখিব নয়ন ভরি বিবাহবিলাস॥
কতক্ষণে নিশি পোহাইব। শ্রীশচীভবনে পানি সাইতে যাইব॥
নরহরি কহে হেন বাসি। তো সভার অনুরাগে পোহাইল নিশি॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ কামোদ ॥

নদীয়া নগরে হৈল ধ্বনি ।
করিব বিবাহ পুনঃ গোরা গুণমণি ॥
সনাতন মিশ্র ভাগ্যবান ।
করিবেন নিমাইচাঁদেরে কন্যাদান ॥
বিষ্ণুপ্রিয়া নাম সে কন্যার ।
রূপে গুণে ভুবনে তুলনা নাহি তার ॥
কালি হবে শুভ অধিবাস ।
দেখিব নয়ন ভরি বিবাহবিলাস ॥
কতক্ষণে নিশি পোহাইব ।
শ্রীশচী ভবনে পানি সাইতে যাইব ॥
নরহরি কহে হেন বাসি ।
তো সভার অনুরাগে পোহাইল নিশি ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
বিবাহ করিয়া বিশ্বম্ভর
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৯৬-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা কামোদঃ॥

বিবাহ করিয়া বিশ্বম্ভর। শ্বশুরালয়েতে হৈতে আইলা নিজঘর॥
যে আনন্দ কহিতে না পারি। করয় মঙ্গল যত পতিব্রতা নারী॥
শচী পুত্রবধূ কোলে লৈয়া। কৈল আশীর্ব্বাদ বহু ধান্য দূর্ব্বা দিয়া॥
শ্রীশচীস্নেহের নাই পার। পুত্রমুখ বধূমুখ চুম্বে কত বার॥
লক্ষ্মী-বিশ্বম্ভর শোভা দেখি। কেহ ফিরাইতে নারে অনিমিখ আঁখি॥
ভুবনমোহন গোরারায়। সুমধুর ভাষে পরিতোষয় সবার॥
ভাট নট বাদকাদি যত। করিলেন পূর্ণ সকলের মনোরথ॥
নরহরি কহে উভরায়। দেখি যেন এহেন কৌতুক নদীয়ায়॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬২-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি”
ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর
পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ কামোদ ॥

বিবাহ করিয়া বিশ্বম্ভর ।
শ্বশুরালয় হৈতে আইল নিজঘর ॥
যে আনন্দ কহিতে না পারি ।
করয় মঙ্গল যত পতিব্রতা নারী ॥
শচী পুত্রবধূ কোলে লৈয়া ।
কৈল আশীর্ব্বাদ বহু ধান্য দূর্ব্বা দিয়া ॥
শ্রীশচীর সুখের নাহি পার ।
পুত্রমুখ বধূমুখ দেখে কত বার ॥
লক্ষ্মী-বিশ্বম্ভর-শোভা দেখি ।
কেহ ফিরাইতে নারে অনিমিখ আঁখি ॥
ভুবনমোহন গোরা রায় ।
সুমধুর ভাষে পরিতোষয় সবার ॥
ভাট নট বাদকাদি যত ।
করিলেন পূর্ণ সকলের মনোরথ
নরহরি কহে উভরায় ।
দেখি যেন এহেন কৌতুক নদীয়ায় ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গৌর গোকুলচন্দ্র চলু নিজ গেহে নিশি পরভাত
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৯৬-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ তোড়ী॥

গৌর গোকুল, চন্দ্র চলু নিজ, গেহে নিশি পরভাত।
বিরলে বল্লভ, স্নেহে কহি কত, কহল লখিমিক মাত॥
হেরি পথ যত, নারী ধৈরজ না ধরই ঝরই নয়ান।
লখিমি সহচরী জানে লখিমিক, নাথ কয়ল পয়ান॥
শঙ্খ দুন্দভি, ভেরী বাজত, বাদ্য বিবিধ প্রকার।
নটত নর্ত্তক, বৃন্দাগায়ত, গীত গুণী অনিবার॥      
বেদ উচরত, বিপ্রগণ গুণ, বন্দী করু পরকাশ।
ভুবন ভরি জয়, জয় কি নরহরি, ভণব পঁহু ক বিলাস॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬২-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি”
ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর
পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ তোড়ি ॥

গৌর গোকুলচন্দ্র চলু নিজ গেহে নিশি পরভাত ।
বিরলে বল্লভ স্নেহে কহি কত, কহল লখিমীকি বাত ॥
হেরি পথ যত নারী ধৈরজ না ধরই, ঝরই নয়ান ।
লখিমী সহচরী জানে লখিমীক নাথ, করব পয়ান ॥
শঙ্খ দুন্দভি ভেরী বাজত, বাদ্য বিবিধ প্রকার ।
নটত নর্ত্তকবৃন্দ গায়ত গীত গুণী অনিবার ॥      
বেদ উচরত বিপ্রগণ গুণ বন্দী করু পরকাশ ।
ভুবন ভরি জয় জয় কি নরহরি ভণব পঁহুক বিলাস ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরাচাঁদের বিবাহ পরদিনে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৯৫-পৃষ্ঠা।

॥ পুনশ্চ তোড়ী॥

গোরা, চাঁদের বিবাহ পর দিনে। কত, আনন্দ উথলে তার রজনী বিহানে॥
কুল,-বধূগণ চারিদিগে ধায়। দেখি বর কন্যা শোভা সবে নয়ন জুড়ায়॥
কিবা, বল্লভ ঘরণী ভাগ্যবতী। পা’য়া, জামাতা রতন না জানয়ে আছে কতি॥
মিশ্র বল্লভ উদার অতিশয়। নিজ, জামাতা মঙ্গল হেতু কিবা না করয়॥
ভালে, বল্লভজামাতা গৌরহরি। হর্ষ, হইলেন বিবাহ বিহিত কর্ম্ম করি॥
কৈল, কার্য্য সমাধান সুবিধানে। নর,-হরি কহে বল্লভে প্রশংসে দেবগণে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬১-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ তোড়ি ॥

গোরাচাঁদের বিবাহ পরদিনে ।
কত আনন্দ উথলে তার রজনী বিহানে ॥
কুলবধূগণ চারি দিকে ধায় ।
দেখি বর-কন্যাশোভা সবে নয়ন জুড়ায় ॥
কিবা বল্লভঘরণী ভাগ্যবতী ।
পাইয়া জামাতারত্ন না জানয়ে আছে কতি ॥
মিশ্র বল্লভ উদার অতিশয় ।
নিজ জামাতা মঙ্গল হেতু কিবা না করয় ॥
ভালে বল্লভ-জামাতা গৌরহরি ।
হর্ষ হইলেন বিবাহবিহিত কর্ম্ম করি ॥
কৈল কার্য্য সমাধান সুবিধানে।
নরহরি কহে বল্লভে প্রশংসে দেবগণে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরা গুণমণি প্রাণপ্রিয়া সহ
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৯৫-পৃষ্ঠা।

॥ পুনর্ভূপালী॥

গোরা গুণমণি, প্রাণপ্রিয়া-সহ, বিলসয়ে সে যে বাসরঘরে।
কুল বধূগণ, ঘন ঘন করু, গতাগতি কত, কৌতুক ভরে॥
কেহ নানা ছল, করি পরিহাস, করে হাসি হাসি, মনের সুখে।
কেহো গোরা কর, কমলে তাম্বূল, দিয়া কহে দেহ লক্ষ্মীর মুখে॥
কেহ গোরা-বিধু-বদনে তাম্বূল, দিতে চিতে বহু, বাঢ়য়ে প্রীতি।
কেহো পরশের, সাধে বাঁধে কেশ, আউলাইয়া নারে, ধরিতে ধৃতি॥
কেহো বিশ্বম্ভর-কোলে লখিমীরে, বসাইয়া চারু, ভঙ্গিতে চাহে।
ভণে নরহরি, বাসরে যে রস, উথলয়ে নাহি, উপমা তাহে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
 নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ ভূপালী ॥

গোরা গুণমণি                        প্রাণপ্রিয়া সহ
বিলসয়ে শেজে বাসরঘরে ।
কুলবধূগণ                             ঘন ঘন করু
গতাগতি কত কৌতুক ভরে ॥
কেহ নানা ছল                        করি পরিহাস
করে হাসি হাসি মনের সুখে ।
কেহ গোরা-কর-                      কমলে তাম্বূল
দিয়া কহে দেহ লক্ষ্মীর মুখে॥
কেহ গোরা বিধু-                      বদনে তাম্বূল
দিতে দিতে বহু বাঢ়য়ে প্রীতি ।
কেহ পরশের                     সাধে বাঁধে কেশ
আউলাইতে নারে ধরিতে ধৃতি ॥
কেহ বিশ্বম্ভর-                    কোলে লখিমীরে
বসাইয়া চারু ভঙ্গীতে চাহে ।
ভণে নরহরি                       বাসরে যে রস
উথলয়ে নাহি উপমা তাহে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
বল্লভভবনে গোরা রায়
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৯৪-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ কামোদঃ॥

বল্লভভবনে গোরা রায়। বল্লভমিশ্রের মহা-আনন্দ বাঢ়ায়॥
বল্লভ হইয়া উল্লসিত। করয়ে মঙ্গল কার্য্য বিবাহবিহিত॥
বিশ্বম্ভর হরষ হিয়ায়। দাঁড়াইলা পিঁড়ির উপরে ছোড়লায়॥
অঙ্গের ভঙ্গিতে প্রাণ হরে। রূপের ছটায় দশ দিক্ আলো করে॥
চান্দমুখে উপমা কি দিতে। অমিয়া-গরব নাশে ঈষৎ হাসিতে॥
নয়ন চাহনি চারু ছান্দে। যার পানে চায় সে ধৈরয নাহি বাঁধে॥
মকরকুণ্ডল শ্রুতিমূলে। চাঁচর কেশের বেশে কেবা নাহি ভুলে॥
অঙ্গদ বলয় ভাল সাজে। শোভা দেখি কত না মদন মরে লাজে॥
এহেন বরেরে উরুথিতে১। কন্যার জননী চলে আইও গণ সাথে॥
সে শোভা কহিতে কেবা পারে। সপ্তদীপ হাতে সপ্ত প্রদক্ষিণ করে॥
পরম অদ্ভুত স্ত্রী-আচার। বর উরুথিয়া ঘরে গমন সবার॥
বল্লভ আচার্য্য ভাগ্যবান্। আনাইলা কন্যায় করিতে কন্যাদান॥
বসাইলা দিব্য সিংহাসনে। হইল উজ্জ্বল মহা অঙ্গের কিরণে॥
অতি সুকোমল তনু খানি। হাসি মাখা বদন পূর্ণিমা চান্দ জিনি॥
পরিধেয় বিচিত্র বসন। ঝল মল করে নানারত্ন আভরণ॥
হেন কন্যা বিবিধ বিধানে। করিল প্রদান মিশ্র শচীর নন্দনে॥
বিপ্রগণ করে বেদধ্বনি। উলু লু লু দেই যত কুলের রমণী॥
বাজে বাদ্য বিবিধ প্রকার। নাচয়ে নর্ত্তক ভাট পড়ে কায়বার॥
দেবগণ বিমানে চড়িয়া। বরিষে কুসুম অলখিতে জয় দিয়া॥
ভুবন ব্যাপিল মহা সুখে। নরহরি কত না কহিব এক মুখে॥

১। উরুথিতে - উলুধ্বনি, দূর্ব্বা, পান, দীপ ইত্যাদি মঙ্গলদ্রব্য ইত্যাদি মঙ্গলদ্রব্য প্রদানপূর্ব্বক
আদর করিয়া বরকে উঠাইতে।  

এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬১-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ কামোদ ॥

বল্লভভবনে গোরা রায় ।
বল্লভ মিশ্রের মহা আনন্দ বাঢ়ায় ॥
বল্লভ হইয়া উল্লসিত ।
করায় মঙ্গল কার্য্য বিবাহবিহিত ॥
বিশ্বম্ভর সরস হিয়ায় ।
দাঁড়াইলা পিড়ির উপরে ছোড়লায়১॥
অঙ্গের ভঙ্গীতে প্রাণ হরে ।
রূপের ছটায় দশ দিক্ আলো করে ॥
চাঁদমুখে উপমা কি দিতে ।
অমিয়া-গরব নাশে ঈষৎ হাসিতে ॥
নয়নে চাহনি চারু ছাঁদে ।
যার পানে চায় সে ধৈরজ নাহি বাঁধে ॥
মকর কুণ্ডল শ্রুতিমূলে ।
চাচর কেশের বেশে কেবা নাহি ভুলে ॥
অঙ্গদ বলয় ভাল সাজে ।
শোভা দেখি কত না মদন মরে লাজে ॥
এহেন বরেরে উরুথিতে২ ।
কন্যার জননী চলে আয়োগণ সাতে ॥
সে শোভা কহিতে কেবা পারে ।
সপ্ত দীপ হাতে সপ্ত প্রদক্ষিণ করে ॥
পরম অদ্ভুত স্ত্রী-আচার ।
বর উরথিয়া ঘরে গমন সবার ॥
বল্লভ আচার্য্য ভাগ্যবান্ ।
আনাইলা কন্যায় করিতে কন্যাদান ॥
বসাইলা দিব্য সিংহাসনে ।
হইল উজ্জ্বল মহা অঙ্গের কিরণে ॥
অতি সুকোমল তনুখানি ।
হাসি-মাখা বদন পূর্ণিমাচাঁদ জিনি ॥
পরিধেয় বিচিত্র বসন ।
ঝলমল করে নানা রত্ন আভরণ ॥
হেন কন্যা বিবিধ বিধানে ।
করিল প্রদান মিশ্র শচীর নন্দনে ॥
বিপ্রগণ করে বেদধ্বনি ।
উলু লু লু দেই যত কুলের কামিনী ॥
বাজে বাদ্য বিবিধ প্রকার ।
নাচয়ে নর্ত্তক ভাট পড়ে কায়বার ॥
দেবগণ বিমানে চড়িয়া ।
বরিষে কুসুম অলখিতে জয় দিয়া ॥
ভুবন ব্যাপিল মহা সুখে ।
নরহরি কত না কহিব এক মুখে ॥

১। ছোড়লায় - কলকাতা প্রদেশে ইহারে ছালনাতলা বলে। ছাদনাতলা।
২। উরুথিতে - হুলুধ্বনি, দূর্ব্বাধান ইত্যাদি মঙ্গলদ্রব্য লইয়া বরকে পাল্কীতে উঠাইতে।
কোন কোন দেশে ইহাকে আগন বরণ কহে। --- “আগিয়া বরিয়া বর লৈয়া গেল ঘরে”। ---
জগবন্ধু ভদ্র, শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর