কবি নরহরি চক্রবর্তীর বৈষ্ণব পদাবলী |
নিশি পরভাতে নিভৃত নিকেতে ভণিতা নরহরি কবি নরহরি চক্রবর্তী নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৯৯-পৃষ্ঠা। ॥ পুনশ্চ তোড়ী॥ নিশি পরভাতে, নিভৃত নিকেতে, কুলবধূকুল বিলসে রঙ্গে। কেহ কারু প্রতি, কহে ইকি অতি, সৌরভ ভরল অলস অঙ্গে॥ শুনি রসাবেশে, ভণে নিশিশেষে, স্বপনে সে নব নদীয়াবিধু। তেরছ নয়ানে, চাহি আমা পানে, হাসি মিষে যেন বরিষে মধু॥ ধীরে ধীরে কহে, মোর এ বিবাহে, জল সাইবারে আইবে প্রাতে। এত কহি করে, ধরি বারে বারে, আলিঙ্গিয়ে কত, কৌতুক, তাতে॥ সে তনু সৌরভ, পরশে এ সব, তো সভে কহি যে নিলজী হৈয়া। অধিবাস আজি, বেগে চল সাজি, নরহরিনাথে মিলহ গিয়া॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে। ॥ তোড়ী ॥ নিশি পরভাতে নিভৃত নিকেতে কুলবধূকুল বিলসে রঙ্গে । কেহ কারু প্রতি কহে ইতি উতি সৌরভ ভরল অলস অঙ্গে ॥ শুনি রসাবেশে ভণে নিশি শেষে স্বপনে সে নব-নদীয়া-বিধু । তেরছ নয়ানে চাহি আমা পানে হাসি মিশে যেন বরিষে মধু ॥ ধীরে ধীরে কহে মোর এ বিবাহে জল সাইবারে আসিবে প্রাতে । এত কহি করে ধরি বারে বারে আলিঙ্গিয়ে কত কৌতুক তাতে ॥ সে তনু সৌরভ পরশে এ সব তো সবে কহিয়ে নিলজী হৈয়া । অধিবাস আজি বেগে চল সাজি নরহরি নাথে মিলহ গিয়া ॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |
গোরা গুণমণি প্রাণপ্রিয়া সহ ভণিতা নরহরি কবি নরহরি চক্রবর্তী নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৯৫-পৃষ্ঠা। ॥ পুনর্ভূপালী॥ গোরা গুণমণি, প্রাণপ্রিয়া-সহ, বিলসয়ে সে যে বাসরঘরে। কুল বধূগণ, ঘন ঘন করু, গতাগতি কত, কৌতুক ভরে॥ কেহ নানা ছল, করি পরিহাস, করে হাসি হাসি, মনের সুখে। কেহো গোরা কর, কমলে তাম্বূল, দিয়া কহে দেহ লক্ষ্মীর মুখে॥ কেহ গোরা-বিধু-বদনে তাম্বূল, দিতে চিতে বহু, বাঢ়য়ে প্রীতি। কেহো পরশের, সাধে বাঁধে কেশ, আউলাইয়া নারে, ধরিতে ধৃতি॥ কেহো বিশ্বম্ভর-কোলে লখিমীরে, বসাইয়া চারু, ভঙ্গিতে চাহে। ভণে নরহরি, বাসরে যে রস, উথলয়ে নাহি, উপমা তাহে॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে। ॥ ভূপালী ॥ গোরা গুণমণি প্রাণপ্রিয়া সহ বিলসয়ে শেজে বাসরঘরে । কুলবধূগণ ঘন ঘন করু গতাগতি কত কৌতুক ভরে ॥ কেহ নানা ছল করি পরিহাস করে হাসি হাসি মনের সুখে । কেহ গোরা-কর- কমলে তাম্বূল দিয়া কহে দেহ লক্ষ্মীর মুখে॥ কেহ গোরা বিধু- বদনে তাম্বূল দিতে দিতে বহু বাঢ়য়ে প্রীতি । কেহ পরশের সাধে বাঁধে কেশ আউলাইতে নারে ধরিতে ধৃতি ॥ কেহ বিশ্বম্ভর- কোলে লখিমীরে বসাইয়া চারু ভঙ্গীতে চাহে । ভণে নরহরি বাসরে যে রস উথলয়ে নাহি উপমা তাহে ॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |