কবি নরহরি চক্রবর্তীর বৈষ্ণব পদাবলী
*
বল্লভদুহিতা লক্ষ্মী সুচরিতা সখীতে বেষ্টিত হৈয়া
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৮৭-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---কামোদ॥

বল্লভ দুহিতা, লক্ষ্মী সুচরিতা, সখীতে বেষ্টিত হৈয়া।
স্নান করিবারে, চলে গঙ্গাতীরে, চকিত চৌদিকে চা’য়া॥
গৌরাঙ্গ চান্দেরে, দেখি কিছু দূরে, উথলে নিগূঢ় লেহা।
সে রূপ মাধুরী, সুধা পান করি, ধরিতে নারয়ে থেহা॥
গোরা গুণমণি, নিজ প্রিয়া চিনি, চাহয়ে লক্ষ্মীর পানে।
যিনি কাঁচা সোনা, লক্ষ্মী তনু জেনা, প্রবেশে মরম খানে॥
দোঁহে দিঠি কোণে, মিলে সুসন্ধানে, আনে না জানিতে পারে।
নরহরি পহুঁ, হাসি লহুঁ লহুঁ, আনন্দে চলিল ঘরে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ কামোদ ॥

বল্লভদুহিতা লক্ষ্মী সুচরিতা সখীতে বেষ্টিত হৈয়া ।
স্নান করিবারে চলে গঙ্গাতীরে চকিত চৌদিকে চাইয়া ॥
গৌরাঙ্গচাঁদেরে দেখি কিছু দূরে উথলে নিগূঢ় লেহা ।
সে রূপমাধুরী সুধা পান করি, ধরিতে না রহে থেহা ॥
গোরাগুণমণি নিজপ্রিয়া চিনি, চাহয়ে লক্ষ্মীর পানে ।
জিনি কাঁচাসোনা লক্ষ্মীতনু জেনা প্রবেশে মরম খানে ॥
দোহে দিঠিকোণে মিলে সুসন্ধানে আনে না জানিতে পারে ।
নরহরি পহুঁ হাসি লহু লহু, আনন্দে চলিল ঘরে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আজু নিরুপম গৌরচন্দ্রচূড়া
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৮২-পৃষ্ঠা।

॥ পুনশ্চ রাগ বেলাবেলী॥

আজু নিরুপম গৌরচন্দ্রচূড়া, বেদবিহিত মঙ্গল লোকভীড় ভবনে।
শ্রীনবদ্বীপ বধূবৃন্দ, রীতি অতুল উলু লু লু লু লু লু দেত কি উলাস শ্রবণে॥
ভূসুর সমাজ ভ্রাজত ভূরি ভঙ্গি বেদধ্বনি সুমধুর হৃদি মোদ ভরঈ।
সূত মাগধ বন্দী রচই নব চরিতচয় শ্রবণপথ গত জগত চিত্ত হরঈ॥
বাদক মৃদঙ্গাদি বাদ্য প্রভেদ ভনি ধা ধা ধিলঙ্গ ধিকি তক ধিন্নিনা।
গায়ত সুছন্দ গুণিগণ নটত নট্ট  উঘটত তত্ত থৈ থৈ তি অই তিন্নিনা॥
পুলক কুল বলিত উত্সাহময় মিশ্রবর বিতরি বহু দ্রব্য যাচক সকলে তোষই।
নরহরি কি ভণব শোভা ভূরি নিরখি সুরগণ মগন গগনে জয় জয় সঘনে ঘোষঈ॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ বেলাবলী ॥

আজু নিরুপম গৌরচন্দ্র-চৃড়া,
.                     বেদবিহিত মঙ্গল লোক ভীড় ভবনে ।
শ্রীনবদ্বীপ-বধূবৃন্দ, রীতি অতুল
.                      উলু লু লু লু লু লু দেত কি উলাস শ্রবণে ॥
ভূসুরসমাজ ভ্রাজত ভূরি ভঙ্গি
.                      বেদধ্বনি সুমধুর হৃদি মোদ ভরঈ ।
সূত মাগধ বন্দী রচয়ে নব চরিতচয়
.                      শ্রবণ পক্ষগত জগত চিত্ত হরঈ ॥
বাদক মৃদঙ্গাদিবাদ্য প্রভেদ ভবি
.                      ধাধা ধিলঙ্গ ধিকিতক ধিন্নিনা ।
গায়ত সুছন্দ গুণিগণ নটত নট্ট  উঘটত
.                      তত্তথৈ থৈতি অই তিন্নিনা ॥
পুলককুলবলিত উত্সাহময় মিশ্রবর
.                      বিতরি বহু দ্রব্য যাচক সকলে তোষই ।
নরহরি কি ভণব শোভা ভূরি নিরখি
.                      সুরগণ মগন গগনে জয় জয় সঘনে ঘোষঈ ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আজু কি অনন্দময় লোকগতি অতিশয়
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৮১-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে ধানশী॥

আজু কি আনন্দময়, লোকগতি অতিশয়, শোভাময় শচীর ভবনে।
সবার পরাণ জুড়া, নিমাইচান্দের চূড়া,-কর্ম্ম কি অপূর্ব্ব শুভক্ষণে॥
দিব্য বস্ত্র অলঙ্কারে, সাজাইয়া বিশ্বম্ভরে, বসাইয়া দিব্যাসন পরি।
যে বেদবিহিত আর, লোকরীতি যে প্রকার, তাহা মিশ্র করে যত্ন করি॥
আসিয়া নাপিত আর্য্য, সাধয়ে সে নিজ কার্য্য, কর্ণমূলে পীতসূত্র দিতে।
নারীগণ যজকারে, কে না জয়ধ্বনি করে, ব্যাপিল মঙ্গল পৃথিবীতে॥
বিপ্রে করে বেদপাঠ, বর্ণয়ে কবিত্ব ভাট, বাদক বিবিধ বাদ্য বায়।
নাচয়ে নর্ত্তক যত, নরহরি কহে কত, গায়কে নির্ম্মল যশ গায়॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
 নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ ধানশী ॥

আজু কি আনন্দময়                      লোকগতি অতিশয়
শোভাময় শচীর ভবনে ।
সবার পরাণ-জুড়া                          নিমাইচাঁদের চূড়া
কর্ম্ম কি অপূর্ব্ব শুভক্ষণে ॥
দিব্য বস্ত্র অলঙ্কারে                      সাজাইয়া বিশ্বম্ভরে
বসাইয়া দিব্যাসনোপরি ।
যে বেদবিহিত আর                    লোকরীতি যে প্রকার
তাহা মিশ্র করে যত্ন করি ॥
আসিয়া নাপিত আর্য্য                 সাধিয়া সে নিজ কার্য্য
কর্ণমূলে পীত সূত্র দিতে ।
নারীগণ জজকারে                      কে না জয়ধ্বনি করে
ব্যাপিল মঙ্গল পৃথিবীতে ॥
বিপ্রে করে বেদপাঠ                      বর্ণয়ে কবিত্ব ভাট
বাদক বিবিধ বাদ্য বায় ।
নাচয়ে নর্ত্তক যত                          নরহরি কবে কত
গায়কে নির্ম্মল যশ গায় ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নদীয়ার অতি পুণ্যবতী পতিব্রতাগণের
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৭১-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে রাগ বিভাসঃ॥

নদীয়ার অতি, পুণ্যবতী পতি-ব্রতাগণের কি মনের গতি।
নিজ পুত্রে মন, নাহি অনুখন, ভণে শচীসুত চরিত রীতি॥
নিশিশেষ দেখি, শয়ন উপেখি, তিল আধ নাহি ধৈরয বাঁধে।
নানা দ্রব্যে থারি, ভরি সারি সারি, লৈয়া চলে দিতে নদীয়াচাঁদে॥
শচীর গৃহেতে, প্রবেশিতে চিতে, উথলয়ে কত কৌতুকসিন্ধু।
দেখয়ে সকলে, জননীর কোলে, খেলে বসি গোরা গোকুল-ইন্দু॥
জুড়ায় নায়ন, নারীগণ প্রাণ, পা’য়া কোলে করি পাসরে দেহা।
কহে নরহরি, আহা মরি মরি, কে বা সিরজিল এহেন লেহা॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ বিভাষ ॥

নদীয়ার অতি                         পুণ্যবতী পতি-
ব্রতাগণের কি মনের গতি ।
নিজপুত্রে মন                             নাই অনুক্ষণ
ভণে শচীসুতচরিত রীতি ॥
নিশি শেষ দেখি                         শয়ন উপেখি
তিল আধ নাহি ধৈরজ বাঁধে ।
নানা দ্রব্যে থারি                       ভরি সারি সারি
লৈয়া চলে দিতে নদীয়াচাঁদে ॥
শচীর গৃহেতে                         প্রবেশিতে চিতে
উথলয়ে কত কৌতুকসিন্ধু ।
দেখয়ে সকলে                           জননীর কোলে
খেলে বসি গোরা গোকুল-ইন্দু ॥
জুড়ায় নায়ান                              নারীগণ-প্রাণ
পাইয়া কোলে করি পাসরে দেহা ।
কহে নরহরি                           আহা মরি মরি
কিবা সিরজিল এ হেন লেহা ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শচী ঠাকুরাণী চারু ছান্দে
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৭০-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে তোড়ি রাগঃ॥

শচীঠাকুরাণী চারু ছান্দে। হাঁটন শিখায় গোরাচাঁদে॥
মৃদু মৃদু কহেন হাসিয়া। ধর মোর অঙ্গুলি আসিয়া॥
শুনি সুখে নদীয়ার শশী। মায়ের অঙ্গুলি ধরে হাসি॥
ধীরে ধীরে উঠিয়া দাঁড়ায়। দুই চারি পদ চলি যায়॥
ছাড়িয়া অঙ্গুলি পড়ে ভূমে। শচী কোলে লৈয়া মুখচুমে॥
কোলে চড়ি চরণ দোলায়। বাজয়ে নূপুর রাঙ্গা-পায়॥
আঙ্গুলে কচালি স্তন পিয়ে। নাহি যে উপমা তায় দিয়ে॥
চারি দিগে চায় ভঙ্গি করি। তাহাতে নিছনি নরহরি॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৪৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ তুড়ী ॥

শচী ঠাকুরাণী চারু ছাঁদে । হাটন শিখায় গোরাচাঁদে ॥
মৃদু মৃদু কহেন হাসিয়া । ধর মোর অঙ্গুলি আসিয়া ॥
শুনি সুখে নদীয়ার শশী । মায়ের অঙ্গুলি ধরে হাসি ॥
ধীরে ধীরে উঠিয়া দাঁড়ায় । দুই চারি পদ চলি যায় ॥
ছাড়িয়া অঙ্গুলি পড়ে ভূমে । শচী কোলে লৈঞা মুখ চুমে ॥
কোলে চড়ি চরণ দোলায় । বাজয়ে নূপুর রাঙ্গা পায় ॥
আঙ্গুলে কচালি স্তন পীয়ে । নাহি যে উপমা তায় দিয়ে ॥
চারিদিকে চাহে ভঙ্গী করি । তাহাতে নিছনি নরহরি ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
জগন্নাথ মিশ্র মহাসুখে
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৬৯-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ রাগ তুড়ি॥

জগন্নাথমিশ্র মহাসুখে। পুত্র কোলে করি চুম্ব দেই চান্দমুখে॥
শিরে কেশ ভূষণ সাজায়। আঁগুলি চালিতে স্নেহ উথলে হিয়ায়॥
নিমাই বাপের কোলে হৈতে। ভঙ্গি করি নাময়ে অঙ্গনে বেড়াইতে॥
হামাগুড়ি বেড়ায় অঙ্গণে। সোনার নূপুর বাজে সুচারু চরণে॥
চলিতে হেরই উলটিয়া। চলনমাধুরী মিশ্র দেখে দাঁড়াইয়া॥
সম্মুখে আসিয়া কহে মায়। কোলে চড় সিয়া বাপ ধূলা লাগে গায়॥
জননীর হাতে হাত দিয়া। কোলে উঠে লহু লহু হাসিয়া হাসিয়া॥
দুগ্ধবিন্দু সম দন্তদ্যুতি। হাসিতে প্রকাশ তায় কেবা ধরে ধৃতি॥
দুটি আঁখে যার পানে চায়। তারে নিরন্তর সুখ সমুদ্রে ভাসায়॥
জননীর কোলে ভাল শোহে। নরহরি নিছনি ভুবনমন মোহে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৪৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ তুড়ী ॥

জগন্নাথ মিশ্র মহাসুখে ।
পুত্র কোলে করি চুম্ব দেয় চাঁদমুখে ॥
শিরে কেশভূষণ সাজায় ।
আগুলি চালিতে স্নেহ উথলে হিয়ায় ॥
নিমাই বাপের কোল হৈতে ।
ভঙ্গী করি নাময়ে অঙ্গনে বেড়াইতে॥
হামাগুড়ি বেড়ায় অঙ্গনে ।
সোণার নূপুর বাজে সুচারু চরণে॥
চলিতে হেরই উলটিয়া ।
চলনমাধুরী মিশ্র দেখে দাঁড়াইয়া ॥
সমুখে আসিয়া কহে মায় ।
কোলে চড়সিয়া বাপ ধূলি লাগে গায় ॥
জননীর হাতে হাত দিয়া ।
কোলে উঠে লহু লহু হাসিয়া হাসিয়া ॥
দুগ্ধবিন্দু সম দন্তজ্যোতি ।
হাসিতে প্রকাশ তায় কেবা ধরে ধৃতি ॥
দুটী আঁখে যার পানে চায় ।
তারে নিরন্তর সুখ-সমুদ্রে ভাসায় ॥
জননীর কোলে ভাল শোহে ।
নরহরি নিছনি ভুবন –মন মোহে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নদীয়ার নারী পুরুষ
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৬৮-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে কামোদঃ॥

নদীয়ার নারী পুরুষ, সুকৃতি মানি মনে, মহা আনন্দিত হৈয়া।
নিমাইর অন্নপ্রাসনে সকলে, আইসেন নানা সামগ্রী লৈয়া॥
শচীসুত শোভা, দেখে আঁখি ভরি, নীলাম্বর ভাগ্যবন্তের কোলে।
নব নব আভরণময়, কটীতটে পট্ট ধটী, অঞ্চল দোলে।
হেম সরসিজ জিনি, তনুখানি মুখে, কি উপমা চান্দের ঘটা।
মিষ্ট অন্ন কণিকা, গ্রহণে কিবা অদ্ভুত, মৃদু হাসির ছটা॥
এ হেন উত্সাহে, কেবা ধরে ধৃতি, কহিতে কৌতুক না আইসে মুখে।
সবে শচী জগন্নাথে, প্রশংসয়ে নরহরি হিয়া উথলে সুখে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৪৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
 নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ কামোদ॥

নদীয়ার নারী পুরুষ                   সুকৃতি মানি মনে
মহা আনন্দিত হৈয়া ।
নিমাইর অন্ন-                              প্রাসনে সকলে
আইসেন নানা সামগ্রী লৈঞা ॥
শচীসুতশোভা                          দেখে আঁখি ভরি
নীলাম্বর ভাগ্যমন্তের কোলে ।
নব নব আভ-                                রণময় কটী
তটে পট্টধটী অঞ্চল দোলে ।
হেমসরসিজ                                জিনি তনুখানি
মুখে কি উপমা চাঁদের ঘটা ।
মিষ্ট-অন্নকণিকা                       গ্রহণে কিবা অদ্ভুত
মৃদু হাসির ছটা ॥
এহেন উত্সবে                            কেবা ধরে ধৃতি
কহিতে কৌতুক না আইসে মুখে ।
সবে শচী জগ-                            ন্নাথে প্রশংসয়ে
নরহরি হিয়া উথলে সুখে ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ভুবন মনচোরা গোকুলপতি
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৬৬-পৃষ্ঠা।

॥ পুনর্বসন্তঃ। তোড়িঃ॥

ভুবন মনচোরা, গোকুলপতি গোরা,-চাঁদের জনম কি শুভক্ষণে।
দেখিয়া পুত্রমুখ, শচীর যত সুখ, তাহা কি কহিবারে পারে আনে॥
নদীয়াপুর-নারী, আইসে সারি সারি, লইয়া থারি ভরি দ্রব্য বহু।
সুসজ্জে সুরপ্রিয়া, মানুষে মিশাইয়া, বালকে নিরখিয়া থির নহু॥
শ্রীসীতাদেবী আসি, সূতিকাগৃহে পশি, দেখিয়া শিশু উলসিত হিয়া।
মালিনী আদি সঙ্গে, ভাসয়ে নানা রঙ্গে, করয়ে কত না মঙ্গল ক্রিয়া॥
গোয়ালিনী বা কত, গোয়ালা শত শত, লইয়া দধি আসে চারু সাজে।
সবে বিহ্বল চিতে, পুরব সভাবেতে, ছড়ায় দধি আঙ্গিণার মাঝে॥
রচিয়া করতালী, হাসিয়া নাচে ভালি, তা দেখি দেবে গোপবেশ ধরী।
নাচয়ে আঙ্গিণাতে, কেবা না নাচে তাতে, সঘন জয় জয় ধ্বনি করি॥
বাজয়ে বাদ্য হেন, কৌতুক নাহি যেন, মিশ্রালয়ে সে নন্দালয়ের রীতি।
নরহরি কি কব, প্রভু-জন্মোত্সব, উত্সাহে কারু কিছু নাহি স্মৃতি॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
 নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ বসন্ত বা তোড়ি ॥

ভুবনমনোচোরা                              গোকুলপতি গোরা
চাঁদের জনম কি শুভক্ষণে ।
দেখিয়া পুত্রমুখ                                   শচীর যত সুখ
তাহা কি কহিবার পারে আনে ॥
নদীয়াপুরনারী                               আইসে সারি সারি
লইয়া থারি ভরি দ্রব্য বহু ।
সুসজ্জে সুরপ্রিয়া                              মানুষে মিশাইয়া
বালকে নিরখিয়া থির নহু ॥
শ্রীসীতাদেবী আসি                             সূতিকাগৃহে পশি
দেখিয়া শিশু উলসিত হিয়া ।
মালিনী আদি সঙ্গে                          ভাসায়ে নানা রঙ্গে
করয় কত না মঙ্গলক্রিয়া ॥
গোয়ালিনী বা কত                            গোয়ালা শত শত
লইয়া দধি আসে চারু সাজে ।
সবে বিহ্বল-চিতে                               পূর্ব্ব স্বভাবেতে
ছড়ায় দধি আঙ্গিনার মাঝে ॥
রচিয়া করতালি                             হাসিয়া নাচে ভালি
তা দেখি দেবে গোপবেশধারী ।
নাচয়ে আঙ্গিনাতে                       কে বা না নাচে তাতে
সঘনে জয় জয়ধ্বনি করি ॥
বাজয়ে বাদ্য হেন                           কৌতুক নাহি যেন
মিশ্রালয়ে সে নন্দালয়ের রীতি ।
নরহরি কি কব                                প্রভু জন্মোত্সব
উত্সাহে কারু কিছু নাহি স্মৃতি ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
জয় জয় জয় মঙ্গলরব
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৬৫-পৃষ্ঠা।

॥ পুনর্বসন্তঃ॥

জয় জয় জয় মঙ্গলরব, ফাল্গুন পূর্ণিমা নিশি নব শোভিত, শচীগর্ভে প্রকট গৌর বরজ রঞ্জনা।
ঝল কত বর বালক তনু, কুঙ্কুম থির দামিনী জনু, চমকত মুখচন্দ মধুর ধৈরজ ভর ভঞ্জনা॥
পহু প্রকাশ নিরখত, ঘন গণসহ সুরগণ গগনে বরষত, কুসুমাবলী বিপুল পুলক ভরল অঙ্গহী।
করত কত মনোরথ চিত, চঞ্চল ভনি চারু চরিত, লোচনজল ছল কত ছবি পায়ত বহু রঙ্গহী॥
গায়ত কিন্নর সুধঙ্গ, বায়ত মৃদুতর মৃদঙ্গ, ধা ধিকি ধিকি তা ধিক্ ধিক্ ধিক্কট তক্ ধিন্নানা।
নৃত্যত সুর নর্ত্তকীচয়, বিবিধ ভাঁতি করু অভিনয়, উঘট তত ক থৈ থৈ থৈ, তি অই অই অ তেন্নানা॥
নির্ম্মল দশ দিশ উজোর, মলয়ানিল বহত থোর, পিকু কুল কুহ কত বসন্ত, ঋতুপতি সরসায়ত্র।
উছলত সুর সরিত-বারি, নদীয়া মহি মুদ বিথারি, মিশ্র ভবন কৌতুকে নরহরি হিয় উমতা অত্র॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
 নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ বসন্ত॥

জয় জয় জয় মঙ্গলরব, ফাল্গুন-পূর্ণিমানিশি নব শোভিত,
.        শচীগর্ভে প্রকট গৌর বরজরঞ্জনা ।
ঝলকত বর বালকতনু, কুঙ্কুম থির দামিনী জনু,
.        চমকত মুখচন্দ মধুর ধৈরজ ভর ভঞ্জনা ॥
পহুঁ প্রকাশ নিরখত, ঘনগণ সহ সুরগণ গগনে বরষত
.        কুসুমাবলী বিপুল পুলক ভরল অঙ্গহী ।
করত কত মনোরথ চিত, চঞ্চল ভণি চারু চরিত,
.        লোচন জল ছলকত ছবি পায়ত বহু রঙ্গহী ॥
গায়ত কিন্নর সুধঙ্গ, বায়ত মৃদুতর মৃদঙ্গ,
.        ধাধিকি ধিকিতা ধিক্ ধিক্ ধিক্কটতক্ ধিন্নানা ।
নৃত্যসুর নর্ত্তকীচয়, বিবিধ ভাতি করু অভিনয়,
.        উঘট ততক থৈ থৈ থৈ তি অই অই অতেন্নানা ॥
নির্ম্মল দশদিশ উজোর, মলয়ানিল বহত ঘোর,
.        পিককুল কূহূ কত বসন্ত ঋতুপতি সরসায়এ ।
উছলত সুর-সরিত-বারি, নদীয়া মহি মুদ বিথারি,
.        মিশ্রভুবন কৌতুকে নরহরি হিয় উনমতায়এ ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পরম শুভ শচীগর্ভে বিলসত
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৬৫-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ কামোদঃ॥

পরম শুভ শচীগর্ভে বিলসত গৌরগোকুল নাহ।
করই স্তুতি নতি দেবগণ ঘন ভবনে ভরই উছাহ॥
সুভগ ফাল্গুন-পূর্ণিমা নিশি শশী উদয়ে রাহু গরাসি।
ঐছে সময়ে প্রকাশ পহু নিজ নাম পহিলে প্রকাশি॥
হোত জয় জয় কার জগ ভরি ধিরজ ধরত ন কোই।
মিশ্র ভবনে প্রবেশি শিশু অবলোকি উনমত হোই॥
বিবিধ মঙ্গল রচই নব নব সব মনোরথ পূর।
ভণত নরহরি বিপুলবলী কলি গরবভরে ভেল চূর॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৪২-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ কামোদ ॥

পরম শুভ শচীগর্ভে বিলসত গৌর গোকুলনাহ ।
করই স্তুতিনতি দেবগণ ঘন, ভবনে ভরই উছাহ ॥
শুভগ ফাল্গুন-পূর্ণিমা নিশি শশী উদয়ে রাহু গরাসি ।
ঐছে সময়ে প্রকাশে পহুঁ নিজ নাম পহিলে প্রকাশি ॥
হোত জয় জয়কার জগ ভরি ধিরজ ধরতন কোই ।
মিশ্রভবনে প্রবেশি শিশু, অবলোকি উনমত হোই ॥
বিবিধ মঙ্গল, রচই নব নব, সব মনোরথ পূর ।
ভণত নরহরি, বিপুলবলী কলি গরবভরে ভেল চূর ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর