কবি নরহরি চক্রবর্তীর বৈষ্ণব পদাবলী
*
ফাল্গুন পূর্ণিমা মঙ্গলের সীমা
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৭৬৪-পৃষ্ঠা।

॥ পুনর্ধানশী॥

ফাল্গুন পূর্ণিমা, মঙ্গলের সীমা, প্রকট গোকুল ইন্দু।
নদীয়া নগরে, প্রতি ঘরে ঘরে, উথলে আনন্দ সিন্ধু॥
কিবা কৌতুক পরস্পরে।
শচীদেবী ভালে, পুত্র লৈয়া কোলে, বিলসে সুতিকা ঘরে॥ ধ্রু॥
বালকে দেখিতে, ধায় চারি ভিতে, কেহ না ধরয়ে ধৃতি।
গ্রহণান্ধকারে, কে চিনে কাহারে, অসংখ্য লোকের গতি॥
বালক মাধুরী, দেখি আঁখি ভরি, পাসরে আপন দেহা।
নরহরি কয়, শচীর তনয়, প্রকাশে কি নব লেহা॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৪২-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।


ফাল্গুন-পূর্ণিমা, মঙ্গলের সীমা, প্রকট গোকুল ইন্দু ।
নদীয়ানগরে, প্রতি ঘরে ঘরে, উথলে আনন্দসিন্ধু ॥
.                 কিবা কৌতুক পরস্পরে ।
শচীদেবী ভালে, পুত্র লৈয়া কোলে, বিলসে সুতিকাঘরে ॥
বালকে দেখিতে, ধায় চারিভিতে, কেহ না ধরয়ে ধৃতি ।
গ্রহণান্ধকারে, কে চিনে কাহারে, অসংখ্য লোকের গতি ॥
বালক-মাধুরী, দেখি আঁখি ভরি, পাসরে আপন দেহা ।
নরহরি কয়, শচীর তনয়, প্রকাশে কি নব লেহা ॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ফাল্গুন পূর্ণিমা শুভক্ষণে
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ,
দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৬৪-পৃষ্ঠা।

॥ পুনর্বসন্তঃ॥

ফাল্গুন পূর্ণিমা শুভক্ষণে। পুত্র প্রসবিয়া শচী চাহে পুত্র পানে॥
তিলে তিলে কত উঠে চিতে। কনক নবনী ভ্রমে নারে পরশিতে॥
কত না যতনে কোলে করে। পুত্রের জনম জানাইয়া মিশ্রবরে॥
জগন্নাথ বিপ্র শিরোমণি। ভাসে সুখসমুদ্রে পুত্রের জন্ম শুনি॥
কত সাধে চলয়ে ধাইয়া। না ধরে ধৈরয চান্দমুখ নিরখিয়া॥
লইয়া আপন প্রিয়গণে। করয়ে মঙ্গল কর্ম্ম পুত্রের কল্যাণে॥
চতুর্দ্দিগে জয় জয় ধ্বনি। সবে কহে ধন্য ধন্য জনক জননী॥
সবার অন্তরে বাঢ়ে সুখ। সুরধুনী ধরণী বিসরে সব দুখ॥
দশ দিক্ হইল উজ্জ্বল। পশু পক্ষী বৃক্ষ লতা প্রফুল্ল সকল॥
নরহরি কহিতে কি আর। গৌরচন্দ্রোদয়ে গেল তাপ অন্ধকার॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৪২-পৃষ্ঠায় এইরূপে
দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস”
ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত
হয়েছে।

॥ বসন্ত॥

ফাল্গুন-পূর্ণিমা শুভক্ষণে।
পুত্র প্রসবিয়া শচী চাহে পুত্রপানে ॥
তিলে তিলে কত উঠে চিতে ।
কনকনবনী ভ্রমে নারে পরশিতে ॥
কত না যতনে কোলে করে ।
পুত্রের জনম জানাইয়া মিশ্রবরে ॥
জগন্নাথ বিপ্রশিরোমণি ।
ভাসে সুখসমুদ্রে পুত্রের জন্ম শুনি ॥
কত সাধে চলয়ে ধাইয়া ।
না ধরে ধৈরজ চাঁদমুখ নিরখিয়া ॥
লইয়া আপন প্রিয়গণে ।
করয়ে মঙ্গল কর্ম্ম পুত্রের কল্যাণে ॥
চতুর্দ্দিকে জয় জয়ধ্বনি ।
সবে কহে ধন্য ধন্য জনক জননী ॥
সবার অন্তরে বাঢ়ে সুখ ।
সুরধুনী ধরণী বিসরে সব দুখ ॥১
দশ দিক্ হইল উজ্জ্বল ।
পশুপক্ষী বৃক্ষলতা প্রফুল্ল সকল ॥২
নরহরি কি কহিবে আর ।
গৌরচন্দ্রোদয়ে গেল পাপ-অন্ধকার ॥

টীকা -

১। সুরধুনী বিষ্ণুপাদোদ্ভবা, সুতরাং বিষ্ণু তাঁহার জন্মদাতা। বহুদিন জনকের মুখ
দেখেন নাই বলিয়া তাঁহার এক দুঃখ। দ্বাপরে গঙ্গার অনুগতা যমুনা কৃতার্থ হইয়াছিলেন,
কিন্তু স্বয়ং প্রধানা হইয়া শ্রীকৃষ্ণলীলা সুখে বঞ্চিত ছিলেন, এই দ্বিতীয় দুঃখ। শ্রীগৌরাঙ্গের
উদয়ে পাপ আর থাকিবে না, তিনি স্বীয় তটে লীলা করিবেন এবং দর্শন দিবেন, এই জন্য
গঙ্গা সকল দুখ বিস্মৃতা হইলেন। ধরণী রাশীকৃত পাপভারে ভারাক্রান্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু
এখন পাপরাশি ভস্মীভূত হইবে ; নিজেও পাদস্পর্শে পবিত্র হইবেন এবং অহর্নিশি হরির
নাম শ্রবণ করিবেন বলিয়া ধরণী সুখী হইলেন।  

২। স্বয়ং ভগবানের আবির্ভাবরূপ বসন্তানিলপ্রবাহে বৃক্ষলতাদি কেন বা প্রফুল্লিত না হইবে।
---জগবন্ধু ভদ্র, গৌরপদ-তরঙ্গিণী॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাই কানু রসের আবেশে
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, পঞ্চম
তরঙ্গ, ৪৩৬-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা কামোদঃ॥

রাই কানু রসের আবেশে। বৈসে একাসনে সখীগণ চারি পাশে॥
কিবা অনুরাগের তরঙ্গ। না ধরে ধৈরয ধনি হৈল ক্ষীণ অঙ্গ॥
সখীরে সুধায় বারে বারে। প্রাণনাথ ছাড়ি কোথা গেলেন আমারে॥
আর কি পাইব প্রাণনাথে। এত কহি করাঘাত করে নিজ মাথে॥
ভাসে দুটি নয়নের জলে। ছাড়ি দীর্ঘ নিঃশ্বাস লোটায় মহীতলে॥
রসিকশেখর শ্যামরায়। দেখিয়া বিষম দশা প্রবোধে রাধায়॥
প্রবোধে পরাণ জুড়াইল। ঘুচিল বিচ্ছেদবুদ্ধি দুঃখ দূরে গেল॥
সখী কি কহিলা আঁখি কোণে। পুলকে বলিত হৈয়া বিলসে গোপনে॥
কালা আলিঙ্গয়ে মেলি বাহু। লাজে নতমুখী রাই হাসে লহু লহু॥
মাধব ধরিতে নারে ধৃতি। মুখে মখ ঝাপয়ে মদনমদে মাতি॥
উচকুচ যুগে কর দিতে। না জানে আছয়ে কোথা কত উঠে চিতে॥
হাসি নিবীবন্ধ খসাইয়া। রহয়ে কুসুমশেষে অঙ্গ গড়াইয়া॥
তনু তনু মিশা শোহে হেন। নীলমণি কনক দামিনী ঘন যেন॥
বাঢ়য়ে কৌতুক অতিশয়। দুঁহু বেশ বিরচিয়া দোঁহে নিরিখয়॥
সময় জানিয়া সহচরী। শ্রম উপশমে কত কহে ধিরি ধিরি॥
নরহরি সখীর ইঙ্গিতে। করয়ে সুবাতাস ঘরম নিবারিতে॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি বলিব ওগো জগতে অতুল
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, পঞ্চম
তরঙ্গ, ৪২৭-পৃষ্ঠা।

॥ পুনস্তত্রৈব॥ কামোদঃ॥

কি বলিব ওগো, জগতে অতুল, রাধামাধবের পিরীতি খানি।
প্রাণ এক তনু, ভিন ভিন কেবা, গড়িয়াছে কত আনন্দ মানি॥
যদি বল দুঁহু, এক ইথে কেন, হইল দোহার বরণ ভিনো।
তাহ তুয়া প্রতি, কহয়ে কিঞ্চিৎ, যতন করিয়া সে কথা শুনো॥
বিবিধ বরণ, আছে তাথে শ্যাম, গৌরবরণের অধিক শোভা।
তাহার অবধি, দেখা’য়া জগতে, হাসে জনগণ নয়নলোভা॥
আর বলি ওহে, কালিয়া চঞ্চল, যখন দেখয়ে রঙ্গিণী রাধে।
আতুর হইয়া, তখন দুবাহু, পসারিয়া কোরে করয়ে সাধে॥
সে সময়ে যদি, বিপক্ষ লোকেতে, হঠাৎ নিকটে দেখে এ রীতি।
ঘন তড়িতাদি, ভ্রমে ভুলে কেহ, লখিতে নারয়ে কৌতুক অতি॥
আর বলি সেই, সুকবি বিধাতা, বহুজনে অনেক আনন্দ দিতে।
নিরখিয়া শ্যাম, গৌর রুচির, উপমা রচিব অনেক মতে॥
এই হেতু কত, কত ভিন নহে, রাইপ্রেমে গঢ়া শ্যামের দেহা।
রাধা কাণু তনু, প্রেমময় এই, জগতে বিদিত দেহের লেহা॥
এ দোঁহার রীতি, আনে কি জানিব, জানয়ে কেবল রসিকজনে।
এ রসে বঞ্চিত, যে হইল নর,-হরি তাহে পশু সমান গণে॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ওহে প্রাণসম সখি সুখময়ি
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, পঞ্চম
তরঙ্গ, ৪২৬-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---পৌরবী॥

ওহে প্রাণসম সখি সুখময়ি!, বিকাইনু মুই তোমার গুণে॥
এবে কহি শুন, শ্যামসুন্দরের অধিক পিরীতি যাহার সনে॥
চন্দ্রাবলী ব্রজে, বিদিতা সুন্দরী, অপরূপরূপে লজ্জিতা রমা।
নবীনযৌবনী, রসিকিনী ধনি, সে গুণ চরিতে নাহিক সমা॥
সুবলিত নব,-নিকুঞ্জমন্দিরে, শ্যামসহ রঙ্গে বিলসে নিতি।
শ্যামরয়ময়, মাতয়ে তেমতি, তাঁর প্রেমাধীন কে বুঝে রীতি॥
পরানন্দসিন্ধু, মাঝে ভাসে যবে, সে ধনি রতন-পরশ ক’রে।
মখশশি সুধা, পানে নিমগন, তখন নাগরে কিছু না স্ফুরে॥
যদি সে সমরে, রাধা তনুগন্ধ, কিঞ্চিৎ সে নাসা পরশে গিয়া।
তখনি তাহারে, তেজিয়া চঞ্চল কালা ধায় যেন পাগল হৈয়া॥
কি আর বলিব, ইথে জানো চিতে, যা সনে কাণুর অধিক লেহা।
নরহরি হেন, প্রেমের নিছনি, গণইতে গুণ কে বাঁধে থেহা॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাধা সুধামুখী সুখি সখীগণে
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, পঞ্চম
তরঙ্গ, ৪২২-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা। যথা রাগঃ॥

রাধা সুধামুখী, সুখি সখীগণে, কখি কথোদূরে কৌতুক অতি।
প্রাণসম প্রিয়া, পাশে চলে একা, অলখিত চন্দ্রাবলীর দূতী॥
নিকুঞ্জে নাগর, গর গর রাই, দরশন আশে বিভোর হৈয়া।
কত মনোরথ, করে মনে মনে, পিয়া পথপানে সঘনে চা‘য়া॥
তথা ভৃঙ্গগণ, ভ্রমে ভহ্গি ভূরি,-রঙ্গে রহে করি গুঞ্জর ছলা।
চন্দ্রাবলী দূতী, ফিরে বনে কেনে, না জানিয়ে শুনি চমকে কালা॥
হেনই সময়ে, সে দূতী তুরিত উপনীত পাশে চাহি তা পানে।
বিমরিষ মুখ, মলিন বিষম, সঙ্কট জানিয়া ব্যাকুল মনে॥
থির হৈয়া পুন, চাতুরী প্রকাশি, দূতী প্রতি কহে আদর করি।
যাহ তুয়া পাছে, পাছে যাব বেগে, দূতী কহে ছাড়ি যাইতে নারি॥
তুয়া বিনু চন্দ্রা,-বলী না জীয়য়ে, কি কর সে দশা দেখহ যা‘য়া।
উঠ উঠ আর, না সহে বিলম্ব, এত কহি পায় ধরয়ে ধা‘য়া॥
পরশে পরম, পরশন দূতী, কতরূপে ধৃতি ধরয়ে মেনো।
দূতী সুপরশ, পাই শ্যামশশী, বিবশ সাপিনী দংশয়ে যেনো॥
চঞ্চললোচনে, চাহে বৃন্দা প্রতি, কহে কহ ইকি হইল মোরে।
বৃন্দা কহে কেনে, ভাব ভাল হবে, বারেক দূতীরে করহ কোরে॥
শুনি সুচতুর, মণি অনিবার, দূতী কোরে করি আনন্দে ভাসে।
দূরে থাকি তাহা দেখি সখী সব, বৃন্দা পানে চা‘য়া ঈষৎ হাসে॥
ললিতা ললিত, মল্লী বল্লী মধ্য, তেজি রোষে কহে ভ্রূভঙ্গি করি।
যাহ যাহ তথা, এথা বৃথা স্থিতি, রীতি অনুপম সহিতে নারি॥
কত বা না কর, ও রতি লম্পট, সে সকল কথা রহিল দূরে।
চন্দ্রাবলী সহ, যেরূপ তোমার, তাহা জানিলাম দূতীর দ্বারে॥
আহামরি তুয়া, পিরিতি এরূপ, পুলক কভু না দেখিয়ে অঙ্গে।
আমা সভাকারে, কিসের সঙ্কোচ, চন্দ্রাবলী সুধা পিবহ রঙ্গে॥
শুনি কাণু কহে, যিনি চন্দ্রাবলী, এ চান্দবদনে অমিয়ারাশি।
পাইনু অনুমতি, পান করি এবে, এত কহি মুখ চুম্বয়ে হাসি॥
চিবুক পরিধরি, কর পল্লব, পরিহাস করে রসের ভরে।
ঊরূপরি রাখি, রচিয়া সুবেশ, বিলসয়ে নব পালঙ্ক‘পরে॥
জানি সুসময়, প্রিয় সখী দুঁহু, শ্রম নিবারয়ে যতন করি।
পাইয়া ইঙ্গিত, রঙ্গে নরহরি, করয়ে চামর ওরূপ হেরি॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সুন্দরী সখীসহ করিয়া যুগতি
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, পঞ্চম
তরঙ্গ, ৪২০-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা। যথা রাগঃ॥

সুন্দরী সখীসহ, করিয়া যুগতি, শ্যামে মিলিবারে চলয়ে রঙ্গে।
নিকুঞ্জে প্রবেশি, বৈসে একা সুখে, সুচারু বসন ঝাপিয়া অঙ্গে॥
নাগর বর ত,-রুতলে তরল, রাই পথ হেরে প্রেমের ভরে।
কুঞ্জেতে সে ধনি,-পানে চা’য়া ধা’য়া, যা’য়া পুছে বৃন্দাদেবীরে ধীরে॥
কহ কহ নব,-নিকুঞ্জে একাকী, কেবা বসিযাছে অপূর্ব্ব বেশে।
হেন শোভা কভু, না দেখি ভূমাঝে, উমার মূরতি উপমা কিসে॥
শুনি বৃন্দা, ব্রজরাজ সুত প্রতি, কহে ইহ এই নিকুঞ্জদেবী।
মোর যত পরা,-ক্রম তাহা তুমি, জানিহ উঁহার চরণ সেবি॥
শুনি বাণী বিদ,-গদ গতিপর, পরমাদর দরশ আশে।
চঞ্চলচিত, চারুকুঞ্জে গিয়া, দাঁড়ায় ও নব দেবীর পাশে॥
যুড়ি দুই কর, কহে আজু সব, সাধ সিধি হবে তোমারে সেবি।
বঞ্চনা না করি, কর দয়া সুখ,-হবে নিবেদিয়ে শুনহ দেবী!॥
মোর প্রাণপ্রিয়া, হিয়ার পুতলি, বৃষভানু সুতা রমণি মণি।
তাঁর অদরশ, না সহে পরাণে, কত শত যুগ ক্ষণেকে গণি॥
তেঁহ কুলবত, অতি মৃদু সদা, প্রাণ কাঁপে গুরুজনের ডরে।
তাহে শুভঙ্করী, এই ক‘রো যেন, তাঁরে কেহ কিছু কহিতে নারে॥
এত কহি কাণু, প্রণময়ে পদ, পরশি কুসুম অঞ্জলি দিয়া।
তা দেখি ললিতাদি, থাকিয়া গুপতে, হাসে অতিশয় পুলক হিয়া॥
বৃন্দাদেবী কহে, কি কর কালিয়া, এরূপ পূজনে কি ফল পা’বে।
প্রতি অঙ্গ দিয়া, পূজ প্রতি অঙ্গ, তবে সে এ দেবী প্রসন্ন হবে॥
শুনি শশিমুখী, ঘুঙটে বদন,-রাখি মৃদু হাসে আনন্দে ভাসি।
নেত্রকোণে নিবা,-রয়ে যে বৃন্দারে, সে প্রকাশয়ে পুন ঈষত হাসি॥
মদন মদে মাতিয়া নাগর, হেরি হাসি ভাসি আনন্দ জলে।
আইস আইস মোর প্রাণ প্রিয়া দেবি!, ইহা বুলি তুলি করয়ে কোলে॥
ললিতা লতামাঝ, তেজিয়া নিকটে, আসি কহে কত বুঝাব আমি।
কুঞ্জ দেবী বলি, ভয় নাহি কারো, বিপরীত রতি লম্পট তুমি॥
ইথে, দোষ না মানো ?, শুনিয়া কহয়ে, যাবে দোষ তুহা পরশ পা’য়া।
ইহা শুনি নর,-হরি সহসহ,-চরী হাসে মুখে বসন দিয়া॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সখীসহ রাই শ্যামরায়
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, পঞ্চম
তরঙ্গ, ৪১৭-পৃষ্ঠা।

॥ তথাহি গীতে॥

সখীসহ রাই শ্যামরায়। বিপুল বিলাস রাসে উল্লাস হিয়ায়॥
জলকেলি করিবার তরে। প্রবেশি যমুনাজলে কত ভঙ্গি করে॥
পরস্পর বারি বরিষয়। ভিজয়ে বসন তনূ লীন শোভাময়॥
লাজে ধনি চাহি শ্যাম পানে। লুকায় অগাধ জলে কমলের বনে॥
কালিয়া সে বিভোল প্রেমেতে। চুম্বয়ে কমল রাইমুখের ভ্রমেতে॥
ললিতাদি সখী চারি পাশে। দেখিয়া শ্যামের রঙ্গ মৃদু মৃদু হাসে॥
রাই সখীইঙ্গিত পাইয়া। দাঁড়ায় শ্যামের অঙ্গে অঙ্গ হেলাইয়া॥
বাঢ়য়ে কৌতুক তিলে তিলে। করি জলকেলি উঠে যমুনার কূলে॥
পিয়ে মধু মদনে মাতিয়া। সুরত সমর সুখে উথলয়ে হিয়া॥
নিশিশেষে নিকুঞ্জ হইতে। চলে সচকিত গতি অলখিত পথে॥
দোঁহে নিজ নিজ গৃহে গিয়া। সুতয়ে বিচ্ছেদদুঃখে ব্যাকুল হইয়া॥
স্বপনে মিলয়ে মোদ চিতে। নরহরি নিছনি এ দোঁহার পিরিতে॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আজু কি নব পুণিম নিশা
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, পঞ্চম
তরঙ্গ, ৪১৬-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ কেদারঃ॥

আজু কি নব পুণিম নিশা। যমুনা পুলিংন ঝলকহ রাসে শশি উজোর এ দিশা॥
রাই কাণু কি মধুর ছাঁদে। নাচে দুহুঁ অঙ্গে অঙ্গ হেলাইয়া ভুজা আরোপিয়া কাঁধে॥
তিলে তিলে কি কৌতুক চিতে। দোঁহেবায় বাঁশি, মিশাইয়া মুখ, তার কি উপমা দিতে॥
চারুনয়নে নয়ন নিয়া। অধরে অধর, পরশয়ে রস, আবেশে উলাস হিয়া॥
বাম দক্ষিণ যুগলকরে। প্রকাশয়ে কত, ভাঁতি অভিনয়, মদন ধৈরয হরে॥
তা তা তাথৈ তাথৈ কহে। অনিবার রব বচনচান্দে কি অমিয়া ধারা বহে॥
দৃমি দৃমিকি মৃদঙ্গ বাজে। মহীতলে তাল, ধরয়ে চরণে, কি নব নূপুর সাজে॥
ললিতাদি দেখি সে না শোভা। নটন ভঙ্গিতে, গায় নানা মতে, নরহরি মনলোভা॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নাচে রাই রমণীর মণি
ভণিতা নরহরি        
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, পঞ্চম
তরঙ্গ, ৪১৫-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ কামোদঃ॥

নাচে রাই রমণীর মণি। চরণে নূপুর বাজে কটিতে কিঙ্কিণী॥
ফণি জিনি বেণী পীঠে দোলে। গ্রীবার ভঙ্গিমা কিবা রসের হিল্লোলে॥
কি মধুর অভিনয় করে। তাথৈয়া তাথৈয়া থৈয়া কহি তাল ধরে॥
বদনে চান্দের মদ নাশি। হাসিতে বরিষে কি হাসি রাশি রাশি॥
আঁখি অভিনয় কত ছান্দে। মাতায় মদন ভূপ বরজে চান্দে॥
নরহরি কি দিব উপমা। জগৎ করয়ে আলো অঙ্গের সুষমা॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর