কবি নরহরি চক্রবর্তীর বৈষ্ণব পদাবলী
*
গোরা প্রেমে মাতিয়া নিতাই
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯৭২-পৃষ্ঠা।

॥ পুনর্ধানশী॥

গোরা প্রেমে মাতিয়া নিতাই। জগৎ মাতায় সকরুণ দিঠে চাই॥
নাচয়ে আজানু বাহু তুলি। পতিতের কোলোতে পড়য়ে ঢুলি ঢুলি॥
কত সুখে হিয়া না উথলে। মুখ বুক ভাসি যায় নয়নের জলে॥
প্রতি অঙ্গে পুলকের ঘটা। মদন মুরছি পড়ে দেখি রূপছটা॥
সুচাঁদ বদনে মৃদু হাসি। কহিতে মধুর কথা ঢালে সুধা রাশি॥
কি নব ভঙ্গিমা রাঙ্গা পায়। নরহরি পরাণ মজিল যেন তায়॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৮৯-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ ধানশী॥

গোরাপ্রেমে মাতিয়া নিতাই।
জগৎ মাতায় সকরুণ দিঠে চাই॥
নাচয়ে আজানু বাহু তুলি।
পতিতের কোলোতে পড়য়ে ঢুলি ঢুলি॥
কত সুখে হিয়া না উথলে।
মুখ বুক ভাসি যায় নয়নের জলে॥
প্রতি অঙ্গে পুলকের ঘটা।
মদন মুরছি পড়ে দেখি রূপছটা॥
সুচাঁদ বদনে মৃদু হাসি।
কহিতে মধুর কথা ঢালে সুধারাশি॥
কি নব ভঙ্গিমা রাঙ্গা পায়।
নরহরি-পরাণ মজিল মেনে তায়॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিতাই করুণানিধি
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯৭২-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---কামোদঃ॥

নিতাই করুণানিধি। আনি মিলাইল বিধি॥
দীন হীন দুঃখী জনে। ধনী কৈল প্রেমধনে॥
প্রিয় পরিকর সঙ্গে। নাচিয়ে বুলয়ে রঙ্গে॥
না জানি কি প্রেমে মাতি। না জানে দিবস রাতি॥
ধূলি ধূসরিত দেহা। তা হেরি কে ধরে থেহা॥
গুণে কেবা নাই ঝুরে। একা নরহরি দূরে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৮৯-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে। এখানে আমরা দুটি পংক্তি বেশী দেখতে পাই।

॥ কামোদ॥

নিতাই করুণানিধি। আনি মিলাইল বিধি॥
দীনহীন দুখী জনে। ধনী কৈল প্রেমধনে॥
প্রিয় পরিকর সঙ্গে। নাচিয়ে বুলয়ে রঙ্গে॥
না জানি কি প্রেমে মাতি। না জানে দিবস রাতি॥
গোরা গোরা বলি কাঁদে। তিলে না ধৈরজ বাঁধে॥
ধূলি ধূসরিত দেহা। তা হেরি কে ধরে থেহা॥
গুণে কেবা নাহি ঝুরে। একা নরহরি দূরে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ভুবন পাবন নিতাই মোর
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯৭০-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---ধানশী॥

ভুবন পাবন নিতাই মোর। না জানি কি ভাবে সদাই ভোর॥
গোরা গোরা বুলি দুবাহু তুলি। মত্তগজ যেন চলয়ে ঢুলি॥
কণ্ঠে ঝলমল মালতী মালা। পরিসর বুকে করয়ে খেলা॥
সুললিত মুখে মধুর হাসি। চাঁদে ঢালে যেন অমিয়া রাশি॥
টল মল জলজারুণ আঁখি। সে চাহনি চারু করুণা মাখি॥
বারেক সে আঁখে দেখয়ে যারে। প্রেমের পাথারে ভাসায় তারে॥
দীন হীন দুঃখী কিছু না বাছে। হেন প্রেমদাতা কে আর আছে॥
নরহরি হেন পহু না ভজি। বিষয় বিষেতে রহিল মজি॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৮৮-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ ধানশী॥

ভুবন পাবন নিতাই মোর।
না জানি কি ভাবে সদাই ভোর॥
গোরা গোরা বলি দুবাহু তুলি।
মত্ত গজ যেন চলয়ে ঢুলি॥
কণ্ঠে ঝলমল মালতীমালা।
পরিসর বুকে করয়ে খেলা॥
সুললিত-মুখে মধুর হাসি।
চাঁদে ঢালে যেন অমিঞারাশি॥
টলমল জলজারুণ আঁখি।
সে চাহনি চারু করুণা মাখি॥
বারেক সে আঁখে দেখয়ে যারে।
প্রেমের পাথারে ভাসায় তারে॥
দীনহীন দুঃখী কিছু না বাছে।
হেন প্রেমদাতা কে আর আছে॥
নরহরি হেন পহু না ভজি।
বিষয়বিশেষে রহিল মজি॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আজু আনন্দে নিতাই-চাঁদে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯৬৮-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---আশাবরী॥

আজু আনন্দে নিতাই-চাঁদে।
শোভাময় সিংহা,-সনে বসাইয়া, কেহো না ধৈরয বাঁধে॥
সুবা,-সিত গঙ্গাজল লৈয়া।
পঢ়ি মন্ত্র মাথে, ঢালে জল দামো,-দর হরষিত হৈয়া॥
জয় জয় জয় ধ্বনি করি।
মানুযে মিশা’য়া, সুরগণ শোভা, নিরখে নয়ন ভরি॥
কেহো, গায় অভিষেক রঙ্গে।
পরাইয়া শুষ্ক,-বাস নরহরি, চন্দন দেই সে রঙ্গে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৮৭-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ ধানশী॥

আজু আনন্দে নিতাইচাঁদে।
শোভাময় সিংহাসনে বসাইয়া, কেহ না ধৈরজ বাঁধে॥ ধ্রু॥
সুবাসিত গঙ্গাজল লৈয়া।
পড়ি মন্ত্র মাথে ঢালে জল, দামোদর হরষিত হৈয়া॥
জয় জয় ধ্বনি করি।
মানুযে মিশাঞা, সুরগণে শোভা, নিরখে নয়ান ভরি॥
কেহ গায় অভিষেক রঙ্গে।
পাইয়া শুষ্কবাস নরহরি, চন্দন দেই অঙ্গে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আহা মরি কি নিতাইর শোভা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, পঞ্চদশ
তরঙ্গ, ৯৬৮-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---গান্ধারঃ॥

আহা মরি কি নিতাইর শোভা।
কত না ভঙ্গিতে, নাচে ভুজ তুলি, অখিল-ভুবন-লোভা॥
ঘন ঘন গোরা বলে।
হেম ধরাধর, তনু অনুক্ষণ, ভাসয়ে আনন্দ-জলে॥
করুণায় উমড়য়ে হিয়া।
দীনহীন জনে, করে মহাধ্বনি, প্রেম চিন্তামণি দিয়া॥
কিবা, ভাবে মন্দ মন্দ হাসে।
নরহরি কহে, কুলবতী সতী, ধৈরয ধরম নাশে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৭-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ গান্ধার॥

আহা মরি কি নিতাইর শোভা।
কত না ভঙ্গীতে নাচে ভুজ তুলি, অখিল ভুবনলোভা॥
ঘন ঘন গোরা বলে।
হেম-ধরাধর, তনু অনুক্ষণ, ভাসয়ে আনন্দ-জলে॥
করুণায় উমড়য়ে হিয়া।
দীনহীন জনে, করে মহাধ্বনি, প্রেমচিন্তামণি দিয়া॥
কিবা, ভাবে মন্দ মন্দ হাসে।
নরহরি কহে কুলবতী সতী, ধৈরজ ধরম নাশে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরা-প্রেমে গর গর নিতাই আমার
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯৬৬-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---ধানশী॥        

গোরা-প্রেমে গর গর নিতাই আমার।
অরুণ নয়নে বহে সুরধুনি ধার॥
বিপুল পুলকাবলি শোভে হেম গায়।
গজেন্দ্র গমনে হিলি দুলি চলি যায়॥
পতিতেরে নিরখিয়া দুবাহু পসারি।
ক্রোড়ে করি সঘনে বোলায় হরি হরি॥
এমন দয়ার নিধি কে হইবে আর।
নরহরি-অধম তারিতে অবতার॥

ই পদটি, ১১৭০টি পদ সম্বলিত, নরহরি (ঘনশ্যাম) চক্রবর্তী প্রণীত, ৪৬২ শ্রীগৌরাব্দে
(১৯৪৯), হরিদাস দাস দ্বারা প্রকাশিত, শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় ( পূর্বরাগ ) গ্রন্থ, পৃষ্ঠা- ২৭।

শ্রীনিত্যানন্দচন্দ্রস্য
      ॥ ধানশী ॥

গোরাপ্রেমে গরগর নিতাই আমার ।
অরুণ নয়ানে বহে সুরধুনী ধার ॥
বিপুল পুলকাবলি শোহে হেম গায় ।
গজেন্দ্রগমনে হেলি দুলি চলি যায় ॥
পতিতেরে নিরখিয়া দুবাহু পসারি ।
কোরে করি সঘনে বোলায় হরি হরি ॥
এমন দয়ার নিধি কে হইবে আর ।
নরহরি অধম তারিতে অবতার ॥

এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব
পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৮২২-পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া রয়েছে।

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরাচাঁদ ছাড়ি যাবে নৈদা এথে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯৫৯-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---দেশপালঃ॥

গোরাচাঁদ ছাড়ি, যাবে নৈদা এথে, তরঙ্গরহিত জাহ্নবী-ধারা।
শম্ভু ভগবতী, গণপতি মূর্ত্তি, যত ছিল হৈল মলিন পারা॥
তরু লতা কুল, পল্লবিত নহে, নাবিক সে পুষ্প সুগন্ধ হীনা।
তাহে না বৈসে, না পিয়ে পুষ্পরস, না গুঞ্জে ভ্রমর ভ্রমরী দীনা॥
পিকু কুল কল,-রব বিরহিত, না নাচে ময়ূর ময়ূরী সনে।
শারী শুক নানা, পাখী আঁখি ঝুরে, নারে উড়িবারে ব্যাকুল বনে॥
ধেনুগণ হাম্বা,-রবে না ধায়য়ে, মৃগাদি পশু না ধরয়ে ধৃতি।
ভণে নরহরি, শোভা দূরে দুখ, সম্বরিতে নারে নদীয়া ক্ষিতি॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৩৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে
।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ আশাবরী বা দেশপাল॥

গোরাচাঁদ ছাড়ি                                যাবে নৈদা ইথে
তরঙ্গরহিত জাহ্নবীধারা।
শম্ভু ভগবতী                                     গণপতি মূর্ত্তি
যত ছিল হৈল মলিনপারা॥
তরুলতা ফুল                                    পল্লবিত নহে
না বিকাশে পুষ্প সুগন্ধহীনা।
তাহে না বৈসে                              না পিয়ে পুষ্পরস
না গুঞ্জে ভ্রমর ভ্রমরী দীনা॥
পিককুল কল-                                     রব বিরহিত
না নাচে ময়ূর ময়ূরী সনে।
সারী শুক নানা                               পাখী আঁখি ঝুরে
নারে উড়িবারে ব্যাকুল বনে॥
ধেনুগণ হাম্বা                                    রবে না ধায়য়ে
মৃগাদি পশু না ধরয়ে ধৃতি।
ভণে নরহরি                                 শোভা দূরে দুঃখ
সম্বরিতে নারে নদীয়া খিতি॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নাচত নটবর গৌরকিশোর
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯৫২-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ সুহই॥        

নাচত নটবর গৌরকিশোর। অভিনব ভঙ্গি ভুবন করু ভোর॥
ঝল মল অঙ্গকিরণ অনুপাম। হেরইতে মুরছত কত কতকাম॥
টলমল লোচনযুগল বিশাল। দোলত কণ্ঠে বলিত বনমাল॥
ঝরত অমিয় বিধুবদন উজোর। পিবই নয়নভরি ভকত চকোর॥
ঘন ঘন ভণয়ে মধুর হরিনাম। শুনইতে কোন রোয়ই অবিরাম॥
পামর পতিত প্রেমরসে মাতি। না দরপে কঠিন এ নরহরি ছাতি॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৭৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে
।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ সুহই॥

নাচত নটবর গৌরকিশোর ।
অভিনব ভঙ্গী ভুবন করু ভোর ॥
ঝলমল অঙ্গ-কিরণ অনুপাম ।
হেরইতে মূরছত কত কত কাম
টলমল লোচনযুগল বিশাল ।
দোলত কন্ঠে বলিত বনমাল ॥
ঝরত অমিয় বিধু-বরণ উজোর ।
পীবই নয়ন ভরি ভকত-চকোর
ঘন ঘন বোলয়ে মধুর হরিনাম ।
শুনইতে কো ন রোয়ই অবিরাম ॥
পামর পতিত প্রেমরসে মাতি ।
না দরবে কঠিন এ নরহরি ছাতি ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ভুবনপাবন গোরাচাঁদ
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯৪৯-পৃষ্ঠা।

॥ পুনর্ধানশী॥        

ভুবনপাবন গোরাচাঁদ। অখিল জীবের মন ফাঁদ॥
নাচে প্রভু প্রেমের আবেশে। অরুণনয়ন জলে ভাসে॥
ভুজ তুলি হরি হরি বোল। পতিতে ধরিয়া করে কোল॥
নিজরসে সবারে ভাসায়। চারি পাশে পারিষদ গায়॥
সুকোমল অঙ্গ আছাড়িয়া। গড়ি যায় ধূলায় পড়িয়া॥
দেখিয়া সকল জীব কাঁদে। নরহরি থির নাহি বান্ধে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৭১-পৃষ্ঠায়
“ভুবনমোহন গোরাচাঁদ” শিরোনামে দেওয়া রয়েছে, দুইটি পাঠান্তর সহ। আমরা ঠিক সেই
ভাবেই এখানে তুলে দিচ্ছি। এই পদটি এইরূপে ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থে একটি স্বতন্ত্র
পদ হিসেবে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ বরাটী বা ধানশী॥        

ভুবনমোহন১ গোরাচাঁদ। অখিল লোকের২ মনোফাঁদ॥
নাচে প্রভু প্রেমের আবেশে। অরুণ-নয়ন জলে ভাসে॥
ভুজ তুলি হরি হরি বোলে। পতিতে ধরিয়া করে কোলে॥
নিজ রসে সবারে ভাসায়। চারি পাশে পারিষদ গায়॥
সুকোমল অঙ্গ আছাড়িয়া। গড়ি যায় ধূলায় পড়িয়া॥
দেখিয়া সকল জীব কাঁদে। নরহরি থির নাহি বাঁধে॥

১। পাবন।        ২। জীবের পাঠান্তর।

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ভুবনমোহন গোরাচাঁদ            
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি চক্রবর্তী
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯০৪-পৃষ্ঠা।

॥ পুনর্বরাটী॥

ভুবনমোহন গোরাচাঁদ। অখিল লোকের মন ফাঁদ॥
নাচে পহু প্রেমের আবেশে। অরুণনয়ন জলে ভাসে॥ ধ্রু॥
ভুজ তুলি হরি হরি বোলে। পতিতে ধরিয়া করে কোলে॥
নিজরসে সবারে ভাসায়। চারি পাশে পারিষদ গায়॥
সুকোমল অঙ্গ আছাড়িয়া। গড়ি যায় ধূলায় পড়িয়া॥
দেখিয়া সকল জীব কাঁদে। নরহরি হিয়া নাহি বান্ধে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৭১-পৃষ্ঠায়  
এইরূপে দেওয়া রয়েছে, দুইটি পাঠান্তর সহ।  আমরা ঠিক  সেই  ভাবেই এখানে তুলে
দিচ্ছি। এই পদটি ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থে দুটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবে দেওয়া রয়েছে। অন্য পদটি
“ভুবনপাবন গোরাচাঁদ”। আমরাও দুটি পদই এখানে স্বতন্ত্র পদ হিসেবে তুলে দিচ্ছি।  
নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত
পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ বরাটী বা ধানশী॥

ভুবনমোহন গোরাচাঁদ । অখিল লোকের মনোফাঁদ ॥
নাচে পহুঁ প্রেমের আবেশে । অরুণ-নয়ন জলে ভাসে ॥
ভুজ তুলি হরি হরি বোলে । পতিতে ধরিয়া করে কোলে ॥
নিজ রসে সভায় ভাসায় । চারি পাশে পারিষদ গায় ॥
সুকোমল অঙ্গ আছাড়িয়া । গড়ি যায় ধূলায় পড়িয়া ॥
দেখিয়া সকল জীব কাঁদে । নরহরি হিয়া নাহি  বাঁধে ॥

১। পাবন।        ২। জীবের পাঠান্তর।

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর