কবি নরহরি চক্রবর্তীর বৈষ্ণব পদাবলী |
তরুণী পরাণ চোরা গোরারূপ মাধুরী ভণিতা নরহরি কবি নরহরি চক্রবর্তী নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯০৫-পৃষ্ঠা। ॥ পুনঃ কাচিৎ ধানশী॥ তরুণী পরাণ,-চোরা গোরা রূপ, মাধুরী অমিয়া ধারা। ধনি ধনি ধনি, বারেক নয়ন,-কোণেতে পিয়য়ে যারা॥ সই! এথা কহিব কাথে। পণ্ডিত গদাই,-পানে ঘন চাই, রাধিকা বলিয়া ডাকে॥ ধ্রু॥ দাস গদাধর, করে দিয়া কর, উলসে পুলক গা। মৃদু মৃদু হাসে, কিবা রসে ভাসে, কিছুই না পাইলু থা॥ নাগরালি ঠাটে, নদীয়ার বাটে, হিলিতে দুলিতে যায়। নরহরি মন,-মোহন ভঙ্গিমা, মদন মুরুছে তায়॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১১৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে। ॥ ধানশী॥ তরুণী-পরাণ-চোরা গোরারূপ, মাধুরী অমিঞা ধারা । ধনি ধনি ধনি, বারেক নয়ন কোণেতে পিয়য়ে যারা ॥ সোই ও কথা কহিব কাকে । পণ্ডিত গদাই, পানে ঘন চাই, রাধিকা বলিয়া ডাকে ॥ ধ্রু ॥ দাস গদাধর, করে দিয়া কর, উলসে পুলক গা । মৃদু মৃদু হাসে, কিবা রসে ভাসে কিছুই না পাই থা ॥ নাগরালি ঠাঁটে, নদীয়ার বাটে, হেলিতে দুলিতে যায় । নরহরি-মনমোহন ভঙ্গিমা মদন মুরছে তায় ॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪৩-পৃষ্ঠায় নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে এবং “নরহরি দাস” ভণিতায় রয়েছে। ॥ তথারাগ॥ তরুণী পরাণ চোরা গোরারূপ মাধুরী আমিঞা ধারা। ধনি ধনি ধনি বারেক নয়ন কোণেতে পিয়রে যারা॥ সই এ কথা কহিব কাকে। পণ্ডিত গদাধর করে দিয়া কর রাধিকা বলিয়া ডাকে॥ দাস গদাধর করে দিয়া কর উলসে পুলকে গা। মৃদু মৃদু হাসে কিবা রসে ভাসে কিছুই না পাই থা॥ নাগরালি ঠাটে নদীয়ার বাটে হেলিতে দুলিতে যায়। নরহরি মন মোহন ভঙ্গিমা মদন মুরছে তায়॥ এই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ সংখ্যা-৪২, ২৬-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। তরুণী পরাণ চোরা গোরারূপ মাধুরী আমিঞা ধারা। ধনি ধনি ধনি বারেক নয়ন কোণেতে পিয়য়ে যারা॥ সই এ কথা কহিব কাকে। পণ্ডিত গদাধর করে দিয়া কর রাধিকা বলিয়া ডাকে॥ দাস গদাধর করে দিয়া কর উলসে পুলকে গা। মৃদু মৃদু হাসে কিবা রসে ভাসে কিছুই না পাই থা॥ নাগরালি ঠাটে নদীয়ার বাটে হেলিতে দুলিতে যায়। নরহরি মন মোহন ভঙ্গিমা মদন মূরছে তায়॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |
কিবা খোল করতাল বাজে ভণিতা নরহরি কবি নরহরি চক্রবর্তী নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯০৩-পৃষ্ঠা। ॥ পুনর্নটী॥ কিবা, খোল করতাল বাজে। চারি, পাশে পরিকর সাজে॥ আজু, গায়ত মধুর লীলা। শুনি, দরবয়ে দারুশিলা॥ রঙ্গে নাচয়ে সুন্দর গোরা। কেবা, জানে কিবা ভাবে ভোরা॥ ধ্রু॥ নব, পুলক বলিত তনু। শোহে, কনকপনস জনু॥ সুর, সরিত প্রবাহ পারা। দুটী, নয়নে বহয়ে ধারা॥ ঘন, ঘন ভুজ যুগ তুলি। গর,-জয়ে হরি হরি বুলি॥ অতি, পতিত পামরে হেরি। ধরি, কোরে করে বেরি বেরি॥ প্রেম,-ধন দেই জনে জনে। ছাড়ি, একা নরহরি দীনে॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৭১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে। ॥ নটী॥ কিবা খোল করতাল বাজে। চারি পাশে পরিকর সাজে॥ আজু গায়ত মধুর লীলা। শুনি দরবয়ে দারুশিলা॥ রঙ্গে নাচয়ে সুন্দর গোরা। কে বা জানে কি বা ভাবে ভোরা॥ ধ্রু॥ নব পুলক-বলিত তনু। শোহে কনক-পনশ জনু॥ সুরসরিত-প্রবাহ পারা। দুটী নয়নে বহয়ে ধারা॥ ঘন ঘন ভুজযুগ তুলি। গরজয়ে হরি হরি বলি॥ অতি পতিত পামরে হেরি। ধরি কোরে করে বেরি বেরি॥ প্রেমধন দেই জনে জনে। ছাড়ি একা নরহরি দীনে॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |