কবি নরহরি সরকারের নির্দিষ্টভাবে জ্ঞাত পদাবলী |
রসে তনু ঢর ঢর গৌরকিশোর বর ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুরে আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শ পল্লব, শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২৫৯। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি পদরসসার পুথির ২৩৬৪ সংখ্যাক পদ। এই পদটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত, বিমান বিহারী মজুমদার সম্পাদিত “ষোড়শ শতাব্দীর পদাবলী-সাহিত্য”, ৩২৯-পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথা রাগ॥ (ধানশী) রসে তনু ঢর ঢর গৌরকিশোর বর নাম তার শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য। এ সব নিগূঢ় কথা কহিতে অন্তরে বেথা ভক্ত বিনু নাহি জানে অন্য॥ দ্বাপর যুগেতে শ্যাম কলিতে চৈতন্য নাম গর্গ-বাক্য ভাগবতে লিখি। মনে করি অনুমান শ্যাম হইল গৌরাঙ্গ রাধাকৃষ্ণ-তনু তার সাখী॥ অন্তরেতে শ্যাম-তনু বাহিরে গৌরাঙ্গ জনু অদভুত চৈতন্যের লীলা। রাই সঙ্গে খেলাইতে কুঞ্জ-রস বিলাইতে অনুরাগে গৌর-তনু হৈলা॥ কহিবার কথা নহে কহিলে কি জানি হয়ে না কহিলে মনে বড় তাপ। চিত্তে অনুমান করি গৌরাঙ্গ হৃদয়ে ধরি নরহরি করয়ে বিলাপ॥ টীকা - এই পদটি পরহরি সরকারের, নরহরি চক্রবর্ত্তীর নহে। ইহা যদি বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তীর শিষ্যের পুত্র নরহরি চক্রবর্ত্তী কর্ত্তৃক লিখিত হইত, তাহা হইলে ইহাতে গৌরাঙ্গ যে কৃষ্ণই, এবং নিতি ব্রজের নিগূঢ় নিকুঞ্জ-রস বিতরণের জন্য রাধারর ভাবকান্তি অঙ্গীকার করিয়া গৌরাঙ্গ হইয়াছেন, এই কথা বলিতে এত সঙ্কোচ দেখা দিত না। কেন না, স্বরূপ দামোদর ঐ কথা ঘোষণা করেন এবং কবিকর্ণপূরের ১৫৭৬ খ্রীষ্টাব্দে লিখিত ‘গৌরগণোদ্দেশদীপিকা’য় উহা সুপ্রচারিত হয়। এই পদটিতে নরহরি সরকার যেরূপ গুহ্যকথারূপে তত্ত্বটির কথা বলিতেছেন, তাহাতে মনে হয়, স্বরূপ দামোদরের পূর্ব্বেই তিনি ইহা লিখিতেছেন। ---বিমান বিহারী মজুমদার, “ষোড়শ শতাব্দীর পদাবলী-সাহিত্য”, ৩২৯-পৃষ্ঠা॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৮-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ পাহিড়া॥ রসে তনু ঢর ঢর গৌরকিশোরবর নাম তার শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য। এ সব নিগূঢ় কথা কহিতে অন্তরে ব্যথা ভক্ত বিনা নাহি জানে অন্য॥ দ্বাপর যুগেতে শ্যাম কলিতে চৈতন্য নাম গর্গবাক্য ভাগবতে লিখি। চিতে করি অনুমান শ্যাম হইল গৌরাঙ্গ রাধাকৃষ্ণতনু তার সাখী॥ অন্তরেতে শ্যামতনু বাহিরে গৌরাঙ্গ তনু অদ্ভুত গৌরাঙ্গলীলা। রাই সঙ্গে খেলাইতে কুঞ্জবন বিলাসিতে অনুরাগে গৌরতনু হৈলা॥ কহিবার কথা নহে কহিলে কি জানি হয় না কহিলে মনে বড় তাপ। মনে অনুমান করি গৌরাঙ্গ হৃদয়ে ধরি নরহরি করয়ে বিলাপ॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। ॥ তথারাগ॥ ( ? ) রসে তনু ঢর ঢর গৌরকিশোরবর এবে নাম শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য। এ সব নিগূঢ় কথা কহিতে অন্তরে ব্যথা ভক্ত বিনা নাহি জানে অন্য॥ দ্বাপর যুগেতে শ্যাম কলিতে চৈতন্য নাম গর্গবাক্য ভাগবতে লিখি। চিতে করি অনুসঙ্গ শ্যাম হইল গৌরাঙ্গ রাধাকৃষ্ণ-তনু তার সাখী॥ অন্তরেতে শ্যামতনু বাহিরে গৌরাঙ্গ জনু অদ্ভুত গৌরাঙ্গের লীলা। রাই সঙ্গে খেলাইতে কুঞ্জবন বিলাসিতে অনুরাগে গৌর তনু হৈলা॥ কহিবার কথা নয় কহিলে কি জানি হয় না কহিলে মনে বড় তাপ। মনে অনুমান করি গৌরাঙ্গ হৃদয়ে ধরি নরহরি করয়ে বিলাপ॥ এই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ সংখ্যা-৫০, ২৮-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। রসে তনু ঢর ঢর গৌরকিশোরবর এবে নাম শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য। এ সব নিগূঢ় কথা কহিতে অন্তরে ব্যথা ভক্ত বিনা নাহি জানে অন্য॥ দ্বাপর যুগেতে শ্যাম কলিতে চৈতন্য নাম গর্গবাক্য ভাগবতে লিখি। চিতে করি অনুসঙ্গ শ্যাম হইল গৌরাঙ্গ রাধাকৃষ্ণ তনু তার সাখী॥ অন্তরেতে শ্যাম তনু বাহিরে গৌরাঙ্গ জনু অদভুত গৌরাঙ্গের লীলা। রাই সঙ্গে খেলাইতে কুঞ্জ বনে বিলাসিতে অনুরাগে গৌর তনু হৈলা॥ কহিবার কথা নয় কহিলে কি জানি হয় না কহিলে মনে বড় তাপ। মনে অনুমান করি গৌরাঙ্গ হৃদয়ে ধরি নরহরি করয়ে বিলাপ॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |
গৌরাঙ্গ কে জানে মহিমা তোমার ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শ পল্লব, শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২৯৩। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি পদরসসার পুথির ২৩৯৭ সংখ্যাক পদ। ॥ তথা রাগ॥ (বরাড়ী) গৌরাঙ্গ কে জানে মহিমা তোমার। কলিযুগ উদ্ধারিতে পতিত-পাবন অবতার॥ ধ্রু॥ শ্যাম মহোদধি কেমনে বিধাতা মথিয়া সে কত কাল। কত সুধা-রস তাহে নিরমিয়া উপজল গৌরাঙ্গ রসাল॥ ত্রিভুবনে প্রেম- বাদর হইল গৌর-প্রেম-বরিষণে। দীন হীন জন ও রসে মগন নরহরি গুণ-গানে॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২),২০-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ ধানশ্রী॥ গৌরাঙ্গ কে জানে মহিমা তোমার। কলিযুগ উদ্ধারিতে পতিতপাবন অবতার॥ ধ্রু॥ শ্যাম মহোদধি কেমনে বিধাতা, মথিয়া সে করতাল। কত সুধারস তাহে নিরমিয়া উপজিল গৌরাঙ্গ রসাল॥ ত্রিভুবনে প্রেম বাদর হইল, গৌরাঙ্গপ্রেম-বরিষণে। দীন হীন জন, ও রসে মগন, নরহরি গুণ-গানে॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। ॥ তথারাগ॥ গৌরাঙ্গ কেবা জানে মহিমা তোমার। কলিযুগ উদ্ধারিতে পতিতপাবন অবতার॥ শ্যাম মহোদধি কেমনে বিধাতা মথিয়া সে কতকাল। কত সুধারসে তাহে নিরমিলা উপজে গৌর রসাল॥ ত্রিভুবনে প্রেম বাদর হইল গৌর প্রেম বরিষণে। দীন হীন জন ও রসে মগন নরহরি গুণগানে॥ এই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ সংখ্যা-৩৯, ২৬-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। গৌরাঙ্গ কেবা জানে মহিমা তোমার। কলিযুগ উদ্ধারিতে পতিতপাবন অবতার॥ শ্যাম মহোদধি কেমনে বিধাতা মথিয়া সে কতকাল। কত সুধারসে তাতে নিরমিলা উপজে গৌর রসাল॥ ত্রিভুবনে প্রেম বাদর হইল গৌর প্রেম বরিষণে। দীন হীন জন ও রসে মগন নরহরি গুণগানে॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |
নিদারুণ দারুণ সংসার ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা-২য় ভাগ, ৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, পদসংখ্যা ২৯৯৪। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি পদরসসার পুথির ২৫০৩ সংখ্যাক পদ। ॥ শ্রীগান্ধার॥ নিদারুণ দারুণ সংসার। শুনিয়া বৈষ্ণব-মুখে দেখি আঁখি-পরতেখে না ভজিলাম গোরা-অবতার॥ আপনে ঈশ্বর হৈয়া দৈন্য-ভাব প্রকাশিয়া রোদন করয়ে আর্ত্ত-নাদে। বুঝাইলুঁ অনুক্ষণ না বুঝে পামর মন মলুঁ মলুঁ দারুণ বিষাদে॥ ভাবিতে সে সব সুখ অন্তরে পরম দুখ অন্ন জল খাঙ কোন লাজে। ও রসে না কৈলুঁ রতি অভিমানে খাইলুঁ মতি কি শেল রহল হৃদি মাঝে॥ কে আছে এমন হেন উদ্ধারে পতিত জন পর-দুখে দুঃখিত হইয়া। চিন্তায় আকুল-মন নরহরি অনুক্ষণ প্রেম-সিন্ধুর উদ্দেশ না পাইয়া॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ শ্রীগান্ধার॥ নিদারুণ দারুণ সংসার। শুনিয়া বৈষ্ণব মুখে দেখি আঁখি পরতেকে না ভজিনু গোরা অবতার॥ আপনে ঈশ্বর হৈয়া দৈন্য ভাব প্রকাশিয়া রোদন করিয়া আর্ত্তনাদে। বুঝাইল অনুক্ষণ না বুঝে পামর মন মনু মনু দারুণ বিষাদে॥ ভাবিতে সে সব সুখ অন্তরে পরম দুখ অন্ন জল খাও কোন্ লাজে। ও রসে না হৈল রতি অভিমানে খাইনু মতি কি শেল রহল হৃদি মাঝে॥ কে আছে এমন হেন উদ্ধারে পাতকী জন পরদুঃখে দুঃখিত হইয়া। চিন্তায় আকুল মন নরহরি অনুক্ষণ সে সিন্ধুর উদ্দেশ না পাইয়া॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |
গৌরলীলা দরশনে ইচ্ছা হয় বড় মনে ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ (১৯৩১), ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া পদ। পদটিতে চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি সরকার ঠাকুর যেন, বাংলা ভাষায় গৌরাঙ্গ লীলা বিষয়ক পদ-রচনার কৈফিয়ৎ দিতে চাইছেন! এই পদটি পদকল্পতরুর অন্তভুক্ত পদ নয়। ॥ পাহিড়া॥ গৌরলীলা দরশনে, ইচ্ছা বড় হয় মনে, ভাষায়১ লিখিয়া সব রাখি। মুঞি ত অতি অধম, লিখিতে না জানি ক্রম, কেমন করিয়া তাহা লিখি॥ এ গ্রন্থ লিখিবে যে, এখনো জন্মে নাই সে, জন্মিতে বিলম্ব আছে বহু। ভাষায়১ রচনা হৈলে, বুঝিবে লোক সকলে, কবে বাঞ্ছা পূরাবেন পহুঁ॥ গৌরগদাধরলীলা, আদ্রব করয়ে শিলা, কার সাধ্য করিবে বর্ণন। সারদা লিখেন যদি, নিরন্তর নিরবধি, আর সদাশিব পঞ্চানন॥ কিছু কিছু পদ লিখি, যদি ইহা কেহ দেখি, প্রকাশ করয়ে প্রভু লীলা। নরহরি পাবে সুখ, ঘুচিবে মনের দুখ, গ্রন্থগানে দরবিবে শিলা॥ টীকা - ১। “ভাষায়” কথার অর্থ “বাংলা ভাষায়” যা সাধারণের ভাষা ছিল, বোঝানো হয়েছে। এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটি গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ॥ পাহিড়া॥ গৌরলীলা দরশনে ইচ্ছা বড় হয় মনে ভাষায় লিখিয়া সব রাখি। মুঞি ত অতি অধম লিখিতে না জানি ক্রম কেমন করিয়া তাহা লিখি॥ এ গ্রন্থ লিখিবে যে এখনো জন্মে নাই সে জন্মিতে বিলম্ব আছে বহু। ভাষায় রচনা হৈলে বুঝিবে লোক সকলে কবে বাঞ্ছা পূরাবেন পহুঁ॥ গৌর গদাধরলীলা আদ্রব করয়ে শিলা কার সাধ্য করিবে বর্ণন। সারদা লিখেন যদি নিরন্তর নিরবধি আর সদাশিব পঞ্চানন॥ কিছু কিছু পদ লিখি যদি ইহা কেহ দেখি প্রকাশ করয়ে প্রভুলীলা। নরহরি পাবে সুখ ঘুচিবে মনের দুখ গ্রন্থগানে দরবিবে শিলা॥ এই পদটি উপরোক্ত গ্রন্থে অর্থাৎ ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৯- পৃষ্ঠায়, পদকর্ত্তৃগণের পরিচয়ে এই রূপে দেওয়া রয়েছে। গৌরলীলা গুণ-গানে, বাঞ্ছা বড় হয় মনে, ভাষায় লিখিয়া কিছু রাখি। মুঞি অতি অধম, লিখিতে না জানি ক্রম, কেমন করিয়া তাহা লিখি॥ . . . . . . কিছু কিছু পদ লিখি, যদি ইহা কেহ দেখি, প্রকাশ করয়ে এই লীলা। নরহরি পাবে সুখ, ঘুচিবে মনের দুখ, গ্রন্থ-গানে দরবিবে শিলা॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪০-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। ॥ তথারাগ॥ ( ? ) গৌর লীলা দরশনে ইচ্ছা বড় হয় মনে ভাষায় লিখিয়া সব রাখি। মুঞি ত অতি অধম লিখিতে না জানি ক্রম কেমন করিয়া তাহা লিখি॥ এ গ্রন্থ লিখিবে যে এখনো জন্মে নাই সে জন্মিতে বিলম্ব আছে বহু। ভাষায় রচনা হৈলে বুঝিবে লোক সকলে কবে বাঞ্ছা পূরাবেন পহুঁ॥ গৌর গদাধর লীলা আদ্রব করয়ে শিলা কার সাধ্য করিবে বর্ণন। সারদা লিখেন যদি নিরন্তর নিরবধি কহে সদাশিব পঞ্চানন॥ কিছু কিছু পদ লিখি যদি ইহা কেহ দেখি প্রকাশ করয়ে প্রভু লীলা। নরহরি পাবে সুখ ঘুচিবে মনের দুখ গ্রন্থগানে দরবিবে শিলা॥ এই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ সংখ্যা-৩৭, ২৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। গৌর লীলা দরশনে ইচ্ছা বড় হয় মনে ভাষায় লিখিয়া সব রাখি। মুঞি ত অতি অধম লিখিতে না জানি ক্রম কেমন করিয়া তাহা লিখি॥ এ গ্রন্থ লিখিবে যে এখনো জন্মে নাই সে জন্মিতে বিলম্ব আছে বহু। ভাষায় রচনা হৈলে বুঝিবে লোক সকলে কবে বাঞ্ছা পূরাবেন পহুঁ॥ গৌর গদাধর লীলা আদ্রব করয়ে শিলা কার সাধ্য করিবে বর্ণন। সারদা লিখেন যদি নিরন্তর নিরবধি কহে সদাশিব পঞ্চানন॥ কিছু কিছু পদ লিখি যদি ইহা কেহ দেখি প্রকাশ করয়ে প্রভু লীলা। নরহরি পাবে সুখ ঘুচিবে মনের দুখ গ্রন্থগানে দরবিবে শিলা॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |
গৌরাঙ্গ নহিত তবে কি হইত ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ- তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটি গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ॥ বিভাষ॥ গৌরাঙ্গ নহিত, তবে কি হইত, কেমনে ধরিত দে। রাধার মহিমা, প্রেমরসসীমা, জগতে জানাত কে ? মধুর বৃন্দা-বিপিন-মাধুরি-প্রবেশ চাতুরি সার। বরজ যুবতী, ভাবের ভকতি, শকতি হইত কার॥ গাও পুনঃ পুনঃ, গৌরাঙ্গের গুণ, সরল হইয়া মন। এ ভবসাগরে, এমন দয়াল, না দেখি যে একজন॥ গৌরাঙ্গ বলিয়া, না গেনু গলিয়া, কেমনে ধরিনু দে। নরহরি হিয়া, পাষাণ দিয়া, কেমনে গড়িয়াছে॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪০-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। ॥ তথারাগ॥ ( ? ) গৌরাঙ্গ নহিত কি মেনে হইত কেমনে ধরিত দে। রাধার মহিমা প্রেমরসসীমা জগতে জানাত কে॥ মধুর বৃন্দা বিপিন-মাধুরি প্রবেশ চাতুরি সার। বরজ যুবতী ভাবের ভকতি শকতি হইত কার॥ গাও পুনঃ পুনঃ গৌরাঙ্গের গুণ সরল করিয়া মন। এ ভবসাগরে এমন দয়াল না দেখি যে একজন॥ গৌরাঙ্গ বলিয়া না গেনু গলিয়া কেমনে ধরিনু দে। নরহরি হিয়া পাষাণ দিয়া কেমনে গড়িয়াছে॥ এই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ সংখ্যা-৪১, ২৬-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। গৌরাঙ্গ নহিত কি মেনে হইত কেমনে ধরিত দে। রাধার মহিমা প্রেম রস সীমা জগতে জানাত কে॥ মধুর বৃন্দা বিপিন মাধুরী প্রবেশ চাতুরি সার। বরজ যুবতী ভাবের ভকতি শকতি হইত কার॥ গাও পুনঃ পুনঃ গৌরাঙ্গের গুণ সরল করিয়া মন। এ ভব সাগরে এমন দয়াল না দেখি যে একজন॥ গৌরাঙ্গ বলিয়া না গেনু গলিয়া কেমনে ধরিনু দে। নরহরি হিয়া পাষাণ দিয়া কেমনে গড়িয়াছে॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |
বেলা অবসানে ননদিনী সনে জল আনিবারে গেনু ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ- তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১১৩-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ॥ কামোদ॥ বেলা অবসানে, ননদিনী সনে, জল আনিবারে গেনু। গৌরাঙ্গচাঁদের, রূপ নিরখিয়া, কলসি ভাঙ্গিয়া এনু॥ কাঁপে কলেবর, গায় আসে জ্বর, চলিতে না চলে পা। গৌরাঙ্গচাঁদের, রূপের পাথারে সাঁতারে না পাই থা॥ দীঘল দীঘল, নয়ান যুগল, বিষম কুসুম-শরে। রমণী কেমনে, ধৈরজ ধরিবে, মদন কাঁপয়ে ডরে॥ কহে নরহরি, গৌরাঙ্গমাধুরী, যাহার অন্তরে জাগে। কুল শীল তার, সকলি মজিল, গোরাচাঁদের অনুরাগে॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪২-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। গোরা অনুরাগে ॥ তথারাগ॥ বেলি অবসানে ননদিনী সনে জল আনিবারে গেনু। গৌরাঙ্গ চাঁদের রূপ নিরখিয়া কলসি ভাঙ্গিয়া এনু॥ কাঁপে কলেবর গায় আসে জ্বর চলিতে না চলে পা। গৌরাঙ্গ চাঁদের রূপের পাথারে সাঁতারে না পাই থা॥ দীঘল দীঘল নয়ান যুগল বিষম কুসুম শরে। রমণী কেমনে ধৈরজ ধরিবে মদন কাঁপয়ে ডরে॥ কহে নরহরি গৌরাঙ্গ মাধুরী যাহার অন্তরে জাগে। কুলশীল তার সকলি মজিল গোরাচাঁদের অনুরাগে॥ এই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ সংখ্যা-৪৪, ২৭-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। বেলি অবসানে ননদিনী সনে জল আনিবারে গেনু। গৌরাঙ্গ চাঁদের রূপ নিরখিয়া কলসি ভাঙ্গিয়া এনু॥ কাঁপে কলেবর গায় আসে জ্বর চলিতে না চলে পা। গৌরাঙ্গ চাঁদের রূপের পাথারে সাঁতারে না পাই থা॥ দীঘল দীঘল নয়ান যুগল বিষম কুসুম শরে। রমণী কেমনে ধৈরজ ধরিবে মদন কাঁপয়ে ডরে॥ কহে নরহরি গৌরাঙ্গ মাধুরী যাহার অন্তরে জাগে। কুলশীল তার সকলি মজিল গোরাচাঁদের অনুরাগে॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |