কবি নরহরি সরকারের নির্দিষ্টভাবে জ্ঞাত পদাবলী
*
কনক-চম্পক গোরাচান্দে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য়
শাখা, ১১শ পল্লব, আপেক্ষানুরাগ, পদসংখ্যা ৮৪৯। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায়
দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি
সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি পদরসসার পুথির ১৩৩৮ সংখ্যাক পদ।

অথ বিধাতারং প্রতি আক্ষেপো যথা।
শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
.        ॥ সুহই॥

কনক-চম্পক গোরাচান্দে।
ভূমিতে পড়িয়া কেন কান্দে॥
ক্ষেণে উঠি কহে হরি হরি।
কে করিল আমারে বাউরি॥
আজানুলম্বিত বাহু তুলি।
বিধিরে পাড়য়ে সদা গালি॥
কহে ধিক্ বিধির বিধানে।
এমত যোটনা করে কেনে॥
কোন ভাবে কহে গোরা রায়।
নরহরি সোধিয়া বেড়ায়॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে
অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ
থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত
ও প্রকাশিত, ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৯১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।
এখানে এই পদটি কোন নরহরির, তা বলা হয়নি।

॥ মল্লার॥ গৌরচন্দ্র॥

কনক চম্পক গোরাচান্দে। ভূমিতে পড়িয়া কেনে কান্দে॥
ক্ষেণে উঠি কহে হরি হরি। কে করিলে আমারে বাউরি॥
আজানুলম্বিত বাহু তুলি। বিধিরে পাড়এ সদা গালি॥
কহে ধিক্ বিধির বিধানে। এমত জোটনা করে কেনে॥
কানভাবে কহে গোরা রায়। নরহরি সুধাইআ বেড়ায়॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯৩-পৃষ্ঠায় এই
রূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায়
“শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই
পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

.        ॥ সুহই॥

কনক চম্পক গোরাচাঁদে। ভূমিতে পড়িয়া কেন কাঁদে॥
ক্ষণে উঠে কহে হরি হরি। কে করিল আমারে বাউরি॥
আজানুলম্বিত বাহু তুলি। বিধিরে পাড়য়ে সদা গালি॥
কহে ধিক বিধির বিধানে। এমত জোটন করে কেনে॥
কোন ভাবে কহে গোরারায়। নরহরি সুধিয়া বেড়ায়॥

ই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৫৩১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

.        ॥ সুহই॥

কনক চম্পক গোরাচান্দে।
ভূমিতে পড়িয়া কেন কান্দে॥
ক্ষেণে উঠি কহে হরি হরি।
কে করিল আমারে বাউরি॥
আজানুলম্বিত বাহু তুলি।
বিধিরে পাড়য়ে সদা গালি॥
কহে ধিক্ বিধির বিধানে।
এমত যোটন করে কেনে॥
কোন ভাবে কহে গোরা রায়।
নরহরি সুধিয়া বেড়ায়॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি
সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

॥ তথারাগ॥

কনক-চম্পক গোরাচাঁদে।
ভূমিতে পড়িয়া কেন কাঁদে॥
ক্ষণে উঠি কহে হরি হরি।
কে করিল আমারে বাউরি॥
আজানুলম্বিত বাহু তুলি।
বিধিরে পাড়য়ে সদা গালি॥
কহে ধিক বিধির বিধানে।
এমত জোটন করে কেনে॥
কোন ভাবে কয় গোরা রায়।
নরহরি শুধায়া বেড়ায়॥

ই পদটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত, বিমান বিহারী মজুমদার সম্পাদিত “ষোড়শ শতাব্দীর
পদাবলী-সাহিত্য”, ৪৪৬-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

কনক-চম্পক গোরাচান্দে।
ভূমিতে পড়িয়া কেন কান্দে॥
ক্ষেণে উঠি কহে হরি হরি।
কে করিল আমারে বাউরি॥
আজানুলম্বিত বাহু তুলি।
বিধিরে পাড়য়ে সদা গালি॥
কহে ধিক্ বিধির বিধানে।
এমত যোটনা করে কেনে॥
কোন ভাবে কহে গোরা রায়।
নরহরি সাধিয়া বেড়ায়॥

ই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, ৩৪৪৫টি পদ বিশিষ্ট, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত  পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ সংখ্যা- ২৯, ২৩-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে
এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে
বলা হয়েছে।

কনক-চম্পক গোরাচাঁদে।
ভূমিতে পড়িয়া কেন কাঁদে॥
ক্ষণে উঠে কহে হরি হরি।
কে করিল আমারে বাউরী॥
আজানুলম্বিত বাহু তুলি।
বিধিরে পাড়য়ে সদা গালি॥
কহে ধিক বিধির বিধানে।
এমত জোটন করে কেনে॥
কোন ভাবে কয় গোরা রায়।
নরহরি শুধায়া বেড়ায়॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গম্ভিরা ভিতরে গোরা রায়
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ
শাখা, ৪র্থ পল্লব, ভূত বিরহ, পদসংখ্যা ১৬৪৩। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায়
দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি
সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি পদরসসার পুথির ৮৬৬ সংখ্যাক পদ।

অথ কেবলজাগরণদশায়াং বিলাপো যথা।
তত্র শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ তথা রাগ॥ (ধানশী)

গম্ভিরা ভিতরে গোরা রায়।
জাগিয়া রজনি পোহায়॥
খেণে খেণে করয়ে বিলাপ।
খেণে রোয়ত খেণে কাঁপ॥
খেণে ভিতে মুখ শির ঘসে।
কোই না রহু পহু-পাশে॥
খেণে কান্দে তুলি দুই হাথ।
কোথায় আমার প্রাণনাথ॥
নরহরি কহে মোর গোরা।
রাই-প্রেমে হইলা বিভোরা॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২০১-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায়
“শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই
পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥ (সুহই)

গম্ভীরা ভিতরে গোরা রায়।
জাগিয়া রজনী পোহায়॥
খেনে খেনে করয়ে বিলাপ।
খেনে খেনে রোয়ত খেনে খেনে কাঁপ॥
খেনে ভিতে মুখ শির ঘষে।
কোন নাহি রহু পহুঁ পাশে॥
ঘন কাঁদে তুলি দুই হাত।
কোথায় আমার প্রাণনাথ॥
নরহরি কহে মোর গোরা।
রাই-প্রেমে হইয়াছে ভোরা॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪৬-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই
পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

.        ॥ তথারাগ॥

গম্ভীরা ভিতরে গোরা রায়।
জাগিয়া রজনী পোহায়॥
খেনে খেনে করয়ে বিলাপ।
খেনে রোয়ত খেনে কাঁপ॥
খেনে ভিতে মুখ শির ঘষে।
কেহ নাহি রহু পহুঁ পাশে॥
ঘন কাঁদে তুলি দুই হাত।
কোথায় আমার প্রাণনাথ॥
নরহরি কহে মোর গোরা।
রাই প্রেমে হইয়াছে ভোরা॥

ই পদটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত, বিমান বিহারী মজুমদার সম্পাদিত “পাঁচশত বত্সরের
পদাবলী”, ১০০-পৃষ্ঠা। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। পদটি
সংকীর্তনামৃত পুথির ২২৬ সংখ্যক পদ। এই পদটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত, বিমান বিহারী
মজুমদার সম্পাদিত “ষোড়শ শতাব্দীর পদাবলী-সাহিত্য”, ৪৯৪-পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া
রয়েছে।


গম্ভীরা ভিতরে গোরা রায়।
জাগিয়া রজনী পোহায়॥
খেনে খেনে করয়ে বিলাপ।
খেনে রোয়ত খেনে কাঁপ॥
খেনে ভিতে মুখ শির ঘষে।
কেহ নাহি রহু পহু পাশে॥
খেনে কান্দে তুলি দুই হাত।
কোথায় আমার প্রাণনাথ॥
নরহরি কহে মোর গোরা।
রাই প্রেমে হইলা বিভোরা॥

ই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদসঙ্কলন”, ২০১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

প্রবাস।

গম্ভিরা ভিতরে গোরা রায়।
জাগিয়া রজনি পোহায়॥
খেনে খেনে করয়ে বিলাপ।
খেনে রোয়ত খেনে কাঁপ॥
খেনে ভীতে মুখ শির ঘসে।
কেহ নাহি রহে পহুঁ পাশে॥
ঘন কাঁদে তুলি দুই হাত।
কোথায় আমার প্রাণনাথ॥
নরহরি কহে মোর গোরা।
রাই প্রেমে হইয়াছে ভোরা॥

টীকা -
গম্ভীরা - নীলাচলে কাশীমিত্রের আবাসে যে প্রকোষ্ঠে শ্রীচৈতন্যের শেষ জীবন বিপ্রলম্ভ
ভাবাবস্থায় অতিবাহিত হয়েছিল।
ভীতে - দেওয়ালে।
ভোরা - বিভোর বা বিহ্বল।
পদটি কার্যতঃ দূর-প্রবাসের অন্তর্গত ভুত-বিরহের গৌরচন্দ্রিকা।
---দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, “বৈষ্ণব পদসঙ্কলন”॥

ই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, পদ সংখ্যা- ৩৫, ২৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি
কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

গম্ভীরা ভিতরে গোরা রায়।
জাগিয়া রজনি পোহায়॥
খেনে খেনে করয়ে বিলাপ।
খেনে রোয়ত খেনে কাঁপ॥
খেনে ভিতে মুখ শির ঘসে।
কেহ নাহি রহু পহুঁ পাশে॥
ঘন কাঁদে তুলি দুই হাত।
কোথায় আমার প্রাণনাথ॥
নরহরি কহে মোর গোরা।
রাই প্রেমে হইয়াছে ভোরা॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রসে তনু ঢর ঢর গৌরকিশোর বর
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুরে
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শ পল্লব,
শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২৫৯। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র
রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি
পদরসসার পুথির ২৩৬৪ সংখ্যাক পদ। এই পদটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত, বিমান বিহারী মজুমদার
সম্পাদিত “ষোড়শ শতাব্দীর পদাবলী-সাহিত্য”, ৩২৯-পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥ (ধানশী)

রসে তনু ঢর ঢর                                     গৌরকিশোর বর
নাম তার শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য।
এ সব নিগূঢ় কথা                                কহিতে অন্তরে বেথা
ভক্ত বিনু নাহি জানে অন্য॥
দ্বাপর যুগেতে শ্যাম                                কলিতে চৈতন্য নাম
গর্গ-বাক্য ভাগবতে লিখি।
মনে করি অনুমান                                শ্যাম হইল গৌরাঙ্গ
রাধাকৃষ্ণ-তনু তার সাখী॥
অন্তরেতে শ্যাম-তনু                                বাহিরে গৌরাঙ্গ জনু
অদভুত চৈতন্যের লীলা।
রাই সঙ্গে খেলাইতে                                কুঞ্জ-রস বিলাইতে
অনুরাগে গৌর-তনু হৈলা॥
কহিবার কথা নহে                                কহিলে কি জানি হয়ে
না কহিলে মনে বড় তাপ।
চিত্তে অনুমান করি                                গৌরাঙ্গ হৃদয়ে ধরি
নরহরি করয়ে বিলাপ॥

টীকা -
এই পদটি পরহরি সরকারের, নরহরি চক্রবর্ত্তীর নহে। ইহা যদি বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তীর শিষ্যের পুত্র নরহরি
চক্রবর্ত্তী কর্ত্তৃক লিখিত হইত, তাহা হইলে ইহাতে গৌরাঙ্গ যে কৃষ্ণই, এবং নিতি ব্রজের নিগূঢ় নিকুঞ্জ-রস
বিতরণের জন্য রাধারর ভাবকান্তি অঙ্গীকার করিয়া গৌরাঙ্গ হইয়াছেন, এই কথা বলিতে এত সঙ্কোচ দেখা
দিত না। কেন না, স্বরূপ দামোদর ঐ কথা ঘোষণা করেন এবং কবিকর্ণপূরের ১৫৭৬ খ্রীষ্টাব্দে লিখিত
‘গৌরগণোদ্দেশদীপিকা’য় উহা সুপ্রচারিত হয়। এই পদটিতে নরহরি সরকার যেরূপ গুহ্যকথারূপে তত্ত্বটির
কথা বলিতেছেন, তাহাতে মনে হয়, স্বরূপ দামোদরের পূর্ব্বেই তিনি ইহা লিখিতেছেন।
---বিমান বিহারী মজুমদার, “ষোড়শ শতাব্দীর পদাবলী-সাহিত্য”, ৩২৯-পৃষ্ঠা॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৮-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ পাহিড়া॥

রসে তনু ঢর ঢর                                     গৌরকিশোরবর
নাম তার শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য।
এ সব নিগূঢ় কথা                                কহিতে অন্তরে ব্যথা
ভক্ত বিনা নাহি জানে অন্য॥
দ্বাপর যুগেতে শ্যাম                                কলিতে চৈতন্য নাম
গর্গবাক্য ভাগবতে লিখি।
চিতে করি অনুমান                                শ্যাম হইল গৌরাঙ্গ
রাধাকৃষ্ণতনু তার সাখী॥
অন্তরেতে শ্যামতনু                                বাহিরে গৌরাঙ্গ তনু
অদ্ভুত গৌরাঙ্গলীলা।
রাই সঙ্গে খেলাইতে                                কুঞ্জবন বিলাসিতে
অনুরাগে গৌরতনু হৈলা॥
কহিবার কথা নহে                                কহিলে কি জানি হয়
না কহিলে মনে বড় তাপ।
মনে অনুমান করি                                গৌরাঙ্গ হৃদয়ে ধরি
নরহরি করয়ে বিলাপ॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৪১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

॥ তথারাগ॥ ( ? )

রসে তনু ঢর ঢর                                      গৌরকিশোরবর
এবে নাম শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য।
এ সব নিগূঢ় কথা                                কহিতে অন্তরে ব্যথা
ভক্ত বিনা নাহি জানে অন্য॥
দ্বাপর যুগেতে শ্যাম                                কলিতে চৈতন্য নাম
গর্গবাক্য ভাগবতে লিখি।
চিতে করি অনুসঙ্গ                                শ্যাম হইল গৌরাঙ্গ
রাধাকৃষ্ণ-তনু তার সাখী॥
অন্তরেতে শ্যামতনু                                বাহিরে গৌরাঙ্গ জনু
অদ্ভুত গৌরাঙ্গের লীলা।
রাই সঙ্গে খেলাইতে                                কুঞ্জবন বিলাসিতে
অনুরাগে গৌর তনু হৈলা॥
কহিবার কথা নয়                                কহিলে কি জানি হয়
না কহিলে মনে বড় তাপ।
মনে অনুমান করি                                গৌরাঙ্গ হৃদয়ে ধরি
নরহরি করয়ে বিলাপ॥

ই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ
সংখ্যা-৫০, ২৮-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য
সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।


রসে তনু ঢর ঢর গৌরকিশোরবর
এবে নাম শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য।
এ সব নিগূঢ় কথা কহিতে অন্তরে
ব্যথা ভক্ত বিনা নাহি জানে অন্য॥
দ্বাপর যুগেতে শ্যাম কলিতে চৈতন্য
নাম গর্গবাক্য ভাগবতে লিখি।
চিতে করি অনুসঙ্গ শ্যাম হইল গৌরাঙ্গ
রাধাকৃষ্ণ তনু তার সাখী॥
অন্তরেতে শ্যাম তনু বাহিরে গৌরাঙ্গ
জনু অদভুত গৌরাঙ্গের লীলা।
রাই সঙ্গে খেলাইতে কুঞ্জ বনে বিলাসিতে
অনুরাগে গৌর তনু হৈলা॥
কহিবার কথা নয় কহিলে কি জানি হয়
না কহিলে মনে বড় তাপ।
মনে অনুমান করি গৌরাঙ্গ হৃদয়ে ধরি
নরহরি করয়ে বিলাপ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গৌরাঙ্গ কে জানে মহিমা তোমার
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শ পল্লব,
শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২৯৩। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র
রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি
পদরসসার পুথির ২৩৯৭ সংখ্যাক পদ।

॥ তথা রাগ॥ (বরাড়ী)

গৌরাঙ্গ কে জানে মহিমা তোমার।
কলিযুগ উদ্ধারিতে পতিত-পাবন অবতার॥ ধ্রু॥
শ্যাম মহোদধি                                কেমনে বিধাতা
মথিয়া সে কত কাল।
কত সুধা-রস                                 তাহে নিরমিয়া
উপজল গৌরাঙ্গ রসাল॥
ত্রিভুবনে প্রেম-                                   বাদর হইল
গৌর-প্রেম-বরিষণে।
দীন হীন জন                                   ও রসে মগন
নরহরি গুণ-গানে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২),২০-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশ্রী॥

গৌরাঙ্গ কে জানে মহিমা তোমার।
কলিযুগ উদ্ধারিতে পতিতপাবন অবতার॥ ধ্রু॥
শ্যাম মহোদধি কেমনে বিধাতা, মথিয়া সে করতাল।
কত সুধারস তাহে নিরমিয়া উপজিল গৌরাঙ্গ রসাল॥
ত্রিভুবনে প্রেম বাদর হইল, গৌরাঙ্গপ্রেম-বরিষণে।
দীন হীন জন, ও রসে মগন, নরহরি গুণ-গানে॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৪১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

॥ তথারাগ॥

গৌরাঙ্গ কেবা জানে মহিমা তোমার।
কলিযুগ উদ্ধারিতে পতিতপাবন অবতার॥
শ্যাম মহোদধি                                কেমনে বিধাতা
মথিয়া সে কতকাল।
কত সুধারসে                                 তাহে নিরমিলা
উপজে গৌর রসাল॥
ত্রিভুবনে প্রেম                                    বাদর হইল
গৌর প্রেম বরিষণে।
দীন হীন জন                                    ও রসে মগন
নরহরি গুণগানে॥

ই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ
সংখ্যা-৩৯, ২৬-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য
সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

গৌরাঙ্গ কেবা জানে মহিমা তোমার।
কলিযুগ উদ্ধারিতে পতিতপাবন অবতার॥
শ্যাম মহোদধি কেমনে বিধাতা
মথিয়া সে কতকাল।
কত সুধারসে তাতে নিরমিলা
উপজে গৌর রসাল॥
ত্রিভুবনে প্রেম বাদর হইল
গৌর প্রেম বরিষণে।
দীন হীন জন ও রসে মগন
নরহরি গুণগানে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিদারুণ দারুণ সংসার
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা-২য় ভাগ, ৩৬শ পল্লব,
প্রার্থনা, পদসংখ্যা ২৯৯৪। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ
অনুসারে এই পদটি চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি পদরসসার পুথির
২৫০৩ সংখ্যাক পদ।

॥ শ্রীগান্ধার॥

নিদারুণ দারুণ সংসার।
শুনিয়া বৈষ্ণব-মুখে                                দেখি আঁখি-পরতেখে
না ভজিলাম গোরা-অবতার॥
আপনে ঈশ্বর হৈয়া                                দৈন্য-ভাব প্রকাশিয়া
রোদন করয়ে আর্ত্ত-নাদে।
বুঝাইলুঁ অনুক্ষণ                                      না বুঝে পামর মন
মলুঁ মলুঁ দারুণ বিষাদে॥
ভাবিতে সে সব সুখ                                অন্তরে পরম দুখ
অন্ন জল খাঙ কোন লাজে।
ও রসে না কৈলুঁ রতি                            অভিমানে খাইলুঁ মতি
কি শেল রহল হৃদি মাঝে॥
কে আছে এমন হেন                                উদ্ধারে পতিত জন
পর-দুখে দুঃখিত হইয়া।
চিন্তায় আকুল-মন                                     নরহরি অনুক্ষণ
প্রেম-সিন্ধুর উদ্দেশ না পাইয়া॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীগান্ধার॥

নিদারুণ দারুণ সংসার।
শুনিয়া বৈষ্ণব মুখে                                দেখি আঁখি পরতেকে
না ভজিনু গোরা অবতার॥
আপনে ঈশ্বর হৈয়া                                দৈন্য ভাব প্রকাশিয়া
রোদন করিয়া আর্ত্তনাদে।
বুঝাইল অনুক্ষণ                                      না বুঝে পামর মন
মনু মনু দারুণ বিষাদে॥
ভাবিতে সে সব সুখ                                 অন্তরে পরম দুখ
অন্ন জল খাও কোন্ লাজে।
ও রসে না হৈল রতি                             অভিমানে খাইনু মতি
কি শেল রহল হৃদি মাঝে॥
কে আছে এমন হেন                                উদ্ধারে পাতকী জন
পরদুঃখে দুঃখিত হইয়া।
চিন্তায় আকুল মন                                      নরহরি অনুক্ষণ
সে সিন্ধুর উদ্দেশ না পাইয়া॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গৌরলীলা দরশনে ইচ্ছা হয় বড় মনে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ (১৯৩১), ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া পদ। পদটিতে
চৈতন্য সমকালীন কবি নরহরি সরকার ঠাকুর যেন, বাংলা ভাষায় গৌরাঙ্গ লীলা বিষয়ক পদ-রচনার
কৈফিয়ৎ দিতে চাইছেন! এই পদটি পদকল্পতরুর অন্তভুক্ত পদ নয়।

॥ পাহিড়া॥

গৌরলীলা দরশনে, ইচ্ছা বড় হয় মনে, ভাষায়১ লিখিয়া সব রাখি।
মুঞি ত অতি অধম, লিখিতে না জানি ক্রম, কেমন করিয়া তাহা লিখি॥
এ গ্রন্থ লিখিবে যে, এখনো জন্মে নাই সে, জন্মিতে বিলম্ব আছে বহু।
ভাষায়১ রচনা হৈলে, বুঝিবে লোক সকলে, কবে বাঞ্ছা পূরাবেন পহুঁ॥
গৌরগদাধরলীলা, আদ্রব করয়ে শিলা, কার সাধ্য করিবে বর্ণন।
সারদা লিখেন যদি, নিরন্তর নিরবধি, আর সদাশিব পঞ্চানন॥
কিছু কিছু পদ লিখি, যদি ইহা কেহ দেখি, প্রকাশ করয়ে প্রভু লীলা।
নরহরি পাবে সুখ, ঘুচিবে মনের দুখ, গ্রন্থগানে দরবিবে শিলা॥

টীকা -
১। “ভাষায়” কথার অর্থ “বাংলা ভাষায়” যা সাধারণের ভাষা ছিল, বোঝানো হয়েছে।

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল
রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের,
১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটি গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

॥ পাহিড়া॥

গৌরলীলা দরশনে                                   ইচ্ছা বড় হয় মনে
ভাষায় লিখিয়া সব রাখি।
মুঞি ত অতি অধম                            লিখিতে না জানি ক্রম
কেমন করিয়া তাহা লিখি॥
এ গ্রন্থ লিখিবে যে                                এখনো জন্মে নাই সে
জন্মিতে বিলম্ব আছে বহু।
ভাষায় রচনা হৈলে                                বুঝিবে লোক সকলে
কবে বাঞ্ছা পূরাবেন পহুঁ॥
গৌর গদাধরলীলা                                   আদ্রব করয়ে শিলা
কার সাধ্য করিবে বর্ণন।
সারদা লিখেন যদি                                     নিরন্তর নিরবধি
আর সদাশিব পঞ্চানন॥
কিছু কিছু পদ লিখি                                যদি ইহা কেহ দেখি
প্রকাশ করয়ে প্রভুলীলা।
নরহরি পাবে সুখ                                   ঘুচিবে মনের দুখ
গ্রন্থগানে দরবিবে শিলা॥

ই পদটি উপরোক্ত গ্রন্থে অর্থাৎ ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ
সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৯-
পৃষ্ঠায়, পদকর্ত্তৃগণের পরিচয়ে এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

গৌরলীলা গুণ-গানে, বাঞ্ছা বড় হয় মনে, ভাষায় লিখিয়া কিছু রাখি।
মুঞি অতি অধম, লিখিতে না জানি ক্রম, কেমন করিয়া তাহা লিখি॥
. . . . . .
কিছু কিছু পদ লিখি, যদি ইহা কেহ দেখি, প্রকাশ করয়ে এই লীলা।
নরহরি পাবে সুখ, ঘুচিবে মনের দুখ, গ্রন্থ-গানে দরবিবে শিলা॥


ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৪০-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

॥ তথারাগ॥ ( ? )

গৌর লীলা দরশনে                                ইচ্ছা বড় হয় মনে
ভাষায় লিখিয়া সব রাখি।
মুঞি ত অতি অধম                           লিখিতে না জানি ক্রম
কেমন করিয়া তাহা লিখি॥
এ গ্রন্থ লিখিবে যে                                এখনো জন্মে নাই সে
জন্মিতে বিলম্ব আছে বহু।
ভাষায় রচনা হৈলে                               বুঝিবে লোক সকলে
কবে বাঞ্ছা পূরাবেন পহুঁ॥
গৌর গদাধর লীলা                                 আদ্রব করয়ে শিলা
কার সাধ্য করিবে বর্ণন।
সারদা লিখেন যদি                                    নিরন্তর নিরবধি
কহে সদাশিব পঞ্চানন॥
কিছু কিছু পদ লিখি                                যদি ইহা কেহ দেখি
প্রকাশ করয়ে প্রভু লীলা।
নরহরি পাবে সুখ                                    ঘুচিবে মনের দুখ
গ্রন্থগানে দরবিবে শিলা॥

ই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ
সংখ্যা-৩৭, ২৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য
সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

গৌর লীলা দরশনে ইচ্ছা বড় হয় মনে
ভাষায় লিখিয়া সব রাখি।
মুঞি ত অতি অধম লিখিতে না জানি
ক্রম কেমন করিয়া তাহা লিখি॥
এ গ্রন্থ লিখিবে যে এখনো জন্মে নাই
সে জন্মিতে বিলম্ব আছে বহু।
ভাষায় রচনা হৈলে বুঝিবে লোক সকলে
কবে বাঞ্ছা পূরাবেন পহুঁ॥
গৌর গদাধর লীলা আদ্রব করয়ে শিলা
কার সাধ্য করিবে বর্ণন।
সারদা লিখেন যদি নিরন্তর নিরবধি
কহে সদাশিব পঞ্চানন॥
কিছু কিছু পদ লিখি যদি ইহা কেহ দেখি
প্রকাশ করয়ে প্রভু লীলা।
নরহরি পাবে সুখ ঘুচিবে মনের দুখ
গ্রন্থগানে দরবিবে শিলা॥

.             *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গৌরাঙ্গ নহিত তবে কি হইত
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর
সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটি
গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

॥ বিভাষ॥

গৌরাঙ্গ নহিত, তবে কি হইত, কেমনে ধরিত দে।
রাধার মহিমা, প্রেমরসসীমা, জগতে জানাত কে ?
মধুর বৃন্দা-বিপিন-মাধুরি-প্রবেশ চাতুরি সার।
বরজ যুবতী, ভাবের ভকতি, শকতি হইত কার॥
গাও পুনঃ পুনঃ, গৌরাঙ্গের গুণ, সরল হইয়া মন।
এ ভবসাগরে, এমন দয়াল, না দেখি যে একজন॥
গৌরাঙ্গ বলিয়া, না গেনু গলিয়া, কেমনে ধরিনু দে।
নরহরি হিয়া, পাষাণ দিয়া, কেমনে গড়িয়াছে॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৪০-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

॥ তথারাগ॥ ( ? )

গৌরাঙ্গ নহিত                          কি মেনে হইত
কেমনে ধরিত দে।
রাধার মহিমা                             প্রেমরসসীমা
জগতে জানাত কে॥
মধুর বৃন্দা                               বিপিন-মাধুরি
প্রবেশ চাতুরি সার।
বরজ যুবতী                             ভাবের ভকতি
শকতি হইত কার॥
গাও পুনঃ পুনঃ                         গৌরাঙ্গের গুণ
সরল করিয়া মন।
এ ভবসাগরে                             এমন দয়াল
না দেখি যে একজন॥
গৌরাঙ্গ বলিয়া                        না গেনু গলিয়া
কেমনে ধরিনু দে।
নরহরি হিয়া                            পাষাণ দিয়া
কেমনে গড়িয়াছে॥

ই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ
সংখ্যা-৪১, ২৬-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য
সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

গৌরাঙ্গ নহিত কি মেনে হইত
কেমনে ধরিত দে।
রাধার মহিমা প্রেম রস সীমা
জগতে জানাত কে॥
মধুর বৃন্দা বিপিন মাধুরী
প্রবেশ চাতুরি সার।
বরজ যুবতী ভাবের ভকতি
শকতি হইত কার॥
গাও পুনঃ পুনঃ গৌরাঙ্গের গুণ
সরল করিয়া মন।
এ ভব সাগরে এমন দয়াল
না দেখি যে একজন॥
গৌরাঙ্গ বলিয়া না গেনু গলিয়া
কেমনে ধরিনু দে।
নরহরি হিয়া পাষাণ দিয়া
কেমনে গড়িয়াছে॥

.             *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি জানি কি ভাবে ভাবিত অন্তর
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১০৪-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.                ॥ বল্লরী॥

কি জানি কি ভাবে ভাবিত অন্তর. অরুণ যুগল আঁখি।
গদাধর করে ধরি কি কহয়ে, না জানি কি মধু মাখি॥
অধর বান্ধুলি ফুল সুললিত, দামিনী দশন-ছটা।
হাসির মিশালে, ঢালে সুধারাশি, বদনচাঁদের ঘটা॥
নাগরালি কাচে নাচয়ে নদীয়ানাগরীপরাণচোরা।
নরহরি কহে, তুমি কি না জান, গোকুলমোহন গোরা॥

.             *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ দেখ অগো ভুবনমোহন গৌরাঙ্গরূপের ছটা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১০৫-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.                ॥ যথারাগ॥ (বল্লরী)

দেখ দেখ অগো ভুবনমোহন গৌরাঙ্গরূপের ছটা।
কিয়ে ধরাধর তেজিয়া ধরণী উপরে বিজুরী ঘটা॥
কিয়ে নিরমল মঙ্গর কনক-কমলকলিকারাশি।
কিয়ে অতিশয় মর্দ্দিত বিমল চারু গোরোচনারাশি॥
কিয়ে নিরমল মঙ্গর(ল?) কনক-কমলকলিকারাশি॥
কিয়ে অতিশয় মর্দ্দিত বিমল চারু গোরোচনারাশি॥
কিয়ে ব্রজ-নব-যুবতী-কুচের নবীন কুঙ্কম ভার।
কিয়ে নবদ্বীপনাগরীগণের গলার চম্পকহার॥
মনে হয় হেন সতত ইহারে হিয়ার মাঝারে রাখি।
নিরখতে আঁখি নহে তিরপিত, ইথে নরহরি সাখী॥

.             *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
বেলা অবসানে ননদিনী সনে জল আনিবারে গেনু
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১১৩-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর
শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে
এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

॥ কামোদ॥

বেলা অবসানে, ননদিনী সনে, জল আনিবারে গেনু।
গৌরাঙ্গচাঁদের, রূপ নিরখিয়া, কলসি ভাঙ্গিয়া এনু॥
কাঁপে কলেবর, গায় আসে জ্বর, চলিতে না চলে পা।
গৌরাঙ্গচাঁদের, রূপের পাথারে সাঁতারে না পাই থা॥
দীঘল দীঘল, নয়ান যুগল, বিষম কুসুম-শরে।
রমণী কেমনে, ধৈরজ ধরিবে, মদন কাঁপয়ে ডরে॥
কহে নরহরি, গৌরাঙ্গমাধুরী, যাহার অন্তরে জাগে।
কুল শীল তার, সকলি মজিল, গোরাচাঁদের অনুরাগে॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৪২-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

গোরা অনুরাগে
॥ তথারাগ॥

বেলি অবসানে                                 ননদিনী সনে
জল আনিবারে গেনু।
গৌরাঙ্গ চাঁদের                                রূপ নিরখিয়া
কলসি ভাঙ্গিয়া এনু॥
কাঁপে কলেবর                                গায় আসে জ্বর
চলিতে না চলে পা।
গৌরাঙ্গ চাঁদের                                রূপের পাথারে
সাঁতারে না পাই থা॥
দীঘল দীঘল                                       নয়ান যুগল
বিষম কুসুম শরে।
রমণী কেমনে                                  ধৈরজ ধরিবে
মদন কাঁপয়ে ডরে॥
কহে নরহরি                                  গৌরাঙ্গ মাধুরী
যাহার অন্তরে জাগে।
কুলশীল তার                                   সকলি মজিল
গোরাচাঁদের অনুরাগে॥

ই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ
সংখ্যা-৪৪, ২৭-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য
সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

বেলি অবসানে ননদিনী সনে
জল আনিবারে গেনু।
গৌরাঙ্গ চাঁদের রূপ নিরখিয়া
কলসি ভাঙ্গিয়া এনু॥
কাঁপে কলেবর গায় আসে জ্বর
চলিতে না চলে পা।
গৌরাঙ্গ চাঁদের রূপের পাথারে
সাঁতারে না পাই থা॥
দীঘল দীঘল নয়ান যুগল
বিষম কুসুম শরে।
রমণী কেমনে ধৈরজ ধরিবে
মদন কাঁপয়ে ডরে॥
কহে নরহরি গৌরাঙ্গ মাধুরী
যাহার অন্তরে জাগে।
কুলশীল তার সকলি মজিল
গোরাচাঁদের অনুরাগে॥

.             *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর