কবি নরহরি সরকারের নির্দিষ্টভাবে জ্ঞাত পদাবলী
*
শুন গো সজনী সুরধুনীঘাট হইতে আসিয়ে একা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৫-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর
সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই
পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

শুন গো সজনী সুরধুনীঘাট হইতে আসিয়ে একা।
নদীয়াচাঁদের সহিত আমার পথেতে হইল দেখা॥
কিবা অপরূপ মাধুরী মধুর গমন কুঞ্জর জিনি।
না জানিয়ে কেবা গড়িল কি রূপে পীরিতি মূরতিখানি॥
উপমা কি দিব মনে হেন নব বেশের সহিতে গোরা।
হিয়ার মাঝারে রাখায়া অথবা করি এ আঁখির তারা॥
ও মুখ দেখিতে ধৈরজ ধরম সরম রহিল দূর।
কাঁখের কলসি ভূমিতে পড়িয়া হইল শতেক চূর॥
কি করিব প্রাণপিয়ারে জীবন যৌবন সঁপিয়া সুখে।
গুরুজন ভয়ে ঘরেত আসিয়া বসিনু মনের দুথে॥
কলসিভঞ্জনকথা না জানি কে ননদে কহিয়া দিল।
দাবানল সম বিষম কোরধ-আবেশে ধাইয়া আইল॥
কিছু ছল নাহি চলয়ে তাহার বিকট স্বরূপ দেখি।
দুটী হাত মাথে ধরিয়া অধিক কাঁদিয়া ফুলানু আঁখি॥
বিপরীত মোর কাঁদন নিরখি তাহার কোরধ গেল।
স্থির হৈয়া পুনঃ পুছে বারে বারে তাহে না উত্তর দিল॥
খানিক থাকিয়া মনেতে বিচার করিয়া ধরিয়া করে।
ধীরে ধীরে কহে কিসের লাগিয়া না বোল মরমর মোরে॥
অনেক যতনে গদগদ ভাষে তা সনে কহিনু কথা।
মনের দুঃখেতে কাঁদিয়া এ সব কি লাগি পুছহ বৃথা॥

*        *        *        *        *        *        *

কি করিলি তৈল ফেলালি, বলয়ে শাশুড়ী॥
যা সবারে তুমি প্রাণসম জান সে করে দারুণ কাজ।
ঘাটে মাঠে পথে নিন্দয়ে তোমারে শুনিয়া পাই যে লাজ॥
মনে করি গলে কলসি বাঁধিয়া পশিব গঙ্গার জলে।
তাহা না করিতে পারিয়ে পাছে বা কলঙ্ক রটয়ে কুলে॥
কি করিব আমি তা সবার সনে করিতে নারি এ দ্বন্দ্ব।
যত অপযশ পাইল সে সব শুনিয়া হইনু ধন্দ॥
কাহারে করিব সাথী সেথা কেহ না ছিল আমার সাথে।
তা সবার প্রতি কোরধ করিয়া কলসি ভাঙিনু পথে॥
এত শুনি চিতে হরষিত অতি পীরিতি করিয়া মোরে।
কত কত মতে বুঝাইয়া মুখ মুছিল আপন করে॥
এইরূপে কাসি বিষম সঙ্কট এড়ানু সাহস করি।
নরহরি কহে তুয়া চাতুরীর বালাই লইয়া মরি॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি কব সজনি ননদের কথা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৫-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

কি কব সজনি ননদের কথা, কহিতে উপজে হাসি।
তেহ পতিব্রতা তার লেখে সব অসতী নদীয়াবাসী॥
আর বিপরীত কারু সনে কথা কহিতে না দেয় মোরে।
সতত তর্জ্জন করে একা কোথা যাইতে নারিএ ডরে॥
মনোদুখে দিন রজনী মরিএ শুনিয়া নিন্দনভাষ।
বিধি প্রতি করি প্রার্থনা ইহার দরপ হউক নাশ॥
না জানিয়ে কোন্ গুণে নিবেদন শুনিল সদয় বিধি।
মনেতে করিনু যাহা তাহা যেন তুরিতে হইল সিধি॥
শুন গো সে কথা গত দিন তেঁহ চলিলা কলসি লঞা।
তার পাছে পাছে চলিনু মো পুনি তার অনুমতি পাঞা॥
সুরধুনী-ঘাট যাইতে আমরা দুজনে যাই যে পথে।
সেই পথে গোরা দাঁড়াঞা আছেন প্রিয়-পারিষদ সাথে॥
ও রূপমাধুরী হেকিয়া ননদী ধৈরজ ধরিতে নারে।
হইল বিষম নরহরি তনু কাঁপয়ে মদন ভরে॥
কাখের কলস ভূমেতে পড়ল আউলাইল মাথার কেশ।
অঙ্গের বসন খসে অনায়াসে স্মৃতির নাহিক লেশ॥
কতেক যতনে ধৈরজ ধরিল অধিক লজ্জিত হৈঞা।
দুই করে ধরি ধীরে ধীরে কহে মোর মুখপানে চাঞা॥
নিশ্চয় জানিহ গুণবতী বধু পরাণ-অধিক তুমি।
কহিয়াছি কত দোষ না লইবে তোমার অধীন আমি॥
যখন যে কাজ কর তাহা মোরে কবে নিঃসঙ্কোচ হঞা।
প্রাণধন দিয়া সহায় করিব বলিএ শপথ খাঞা॥
আনে না কহিও সে সব কাহিনী রাখিহ গোপন করি।
ঠেকিনু এ রসে কি কব পাগলী করিল গৌরহরি॥
এইরূপ বহু কহিল শুনিয়া বাড়িল অশেষ সুখ।
পূরবের কথা বিচার করিতে উঠিল অনেক দুখ॥
মনেতে হইল এ সকল কথা বেকত করিলে কাজ।
নরহরি কহে সাধুরীতি যার সে রাখে পরের লাজ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন শুন ওগো পরাণ সই
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৬-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

শুন শুন ওগো পরাণ সই।
বেথিত জানিয়া তোমারে কই॥
দেশের বাহির ঘরের রীত।
সে কথা কহিতে কাঁদয়ে চিত॥
গোরা বলি যদি নিশ্বাস ছাড়ি।
শুনিয়া কোরধে জ্বলয়ে বুড়ী॥
ননদী বিষম বিষের প্রায়।
তার গুণে প্রাণ দহিয়া যায়॥
পড়সি কেবল কুলের কাঁটা।
দিবস রজনী দেয় সে খোঁটা॥
কারে দিব অগো ইহার সাখী।
ঘরে থাকি যেন পিঞ্জরে পাখী॥
সে সব কাহিনী কি কব আর।
কহিতে দুখের নাহিক পার॥
গত দিন বিধি সদয় মোরে।
আকাশের চাঁদ দিলেক করে॥
দিবা অবসানে গৌররায়।
আমাদের পথে চলিয়া যায়॥
তরাতরি গিয়া গবাক্ষদ্বারে।
অলখিত হৈয়া দেখিনু তারে॥
কিবা সে মধুর বদনচাঁদ।
তরুণীগণের হৃদয়ফাঁদ॥
ভুরুযুগ বড় ভঙ্গিম ছাঁদে।
কে আছে এমন ধৈরজ বাঁধে॥
খঞ্জন জিনিয়া নয়ান নাচে।
বুঝিনু তাহাতে কেহ না বাঁচে॥
গলায় দোলয়ে কুসুম দাম।
তা হেরি মূরছে কতেক কাম॥
শোভা অপরূপ কি কব আর।
ভুবনমোহন গমন তার॥
তিলেক দেখিতে পাইনু সেথা।
বাড়িল দ্বিগুণ হিয়ার ব্যথা॥
নরহরি কহে দুখ না রবে।
মনের মতন সকলি হবে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি বলিব অগো ঘরের কথা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৬-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

কি বলিব অগো ঘরের কথা।
সে সব শুনিলে পাইবে বেথা॥
কালি সুপ্রভাত হইল নিশি।
বিরলে দেখিনু গৌরশশী॥
মরুক এখন লাজে কি করে।
সে কাহিনী কিছু কহি তোমারে॥
আমারে রাখিয়া ননদী স্থানে।
শাশুড়ী গেলেন সে পাড়া পানে॥
এথা ননদিনী করিল দ্বন্দ্ব।
কহিল আমারে অনেক মন্দ॥
নিজ জিত লাগি সকল ছাড়ি।
রুষিয়া গেলেন পরের বাড়ী॥
একাকিনী মুই রহিনু ঘরে।
বসিনু যাইয়া গবাক্ষদ্বারে॥
গৌররূপগুণ ভাবিয়া মনে।
চাহিয়া রহিনু পথের পানে॥
হেনই সময় গৌরাঙ্গসখা।
আমাদের পথে দিলেন দেখা॥
অলখিত লখি ও চাঁদমুখ।
বিসরিনু কিছু হিয়ার দুখ॥
তুরিতে মলিন কুমুদকলি।
গবাক্ষের পথে দিলাম ফেলি॥
তা দেখিয়া গোরা চতুর অতি।
করে লৈয়া কহে কুমুদ প্রতি॥
চিন্তা নাহি শশী উদয় হবে।
দিনকর-তাপ দূরেতে যাবে॥১
এত কহি হাসি নয়ান কোণে।
বারেক চাহিল আমার পানে॥
অমনি অবশ হইল তনু।
বিষম সাপেতে দংশিল জনু॥
যতনে ধৈরজ ধরিতে নারি।
মনে হয় গিয়া পরশ করি॥
ঘন ঘন কাঁপি ঘামিল গা।
উঠিয়া চলিতে না চলে পা॥
কি কহিব চিতে প্রবোধ দিয়া।
রহিলাম অতি আতুর হৈয়া॥
হেন কালে ঘরে শাশুড়ী আইলা।
মোরে পুছে কেন এমন হৈলা॥
মো অতি কাতরে কহিনু তারে।
ননদী রহিতে না দিবে ঘরে॥
আপনি রহিলে কিছু না বলে।
আনলের সম অন্তর জ্বলে॥
তুমি গেলা ঘর ছাড়িয়া সেথা।
মো সনে কোন্দল করিল হেথা॥
সে কথা কহিতে নাহিক ওর।
ইথে কিছু দোষ না ছিল মোর॥
যদি মনে কোন সন্দেহ থাকে।
তবে পুছ এই পড়সি লোকে॥
কি কহিব একা রাখিয়া মোরে।
ননদিয়া গেল পরের ঘরে॥
তার বুদ্ধি যত ইহাতে জান।
মো কেনে এমন সে কথা শুন॥
একে একা ভয় হৃদয় মাঝ।
আর তাহে ভাবি ঘরের কাজ॥
কি করি শ্রম অনেক হৈল।
তাহাতেই ভ্রমি হইয়াছিল॥
গদগদ বাণী শুনিয়া স্নেহে।
নিজ কর দিল আমার মাথে॥
আপন বসনে পবন করি।
বুঝাইল কত করেতে ধরি॥
ননদে ডাকিয়া তর্জ্জন কৈল।
তা শুনিয়া মোর আনন্দ হইল॥
নরহরি কহে তুমি সে ধন্য।
এরূপ চাতুরী জানে কে অন্য॥

টীকা -
১। নাগরী সঙ্কেত করিলেন, তুমি গৌরশশী আমার হৃদয়ে উদয় হওয়াতে আমার চিত্তকুমুদ
মলিন। সুচতুর গৌরাঙ্গ সঙ্কেতে উত্তর করিলেন,---হে নাগরীরূপ কুমুদ! তোমার চিত্ত পাপ-
সূর্য্যতাপে তাপিত, আমি হরিনাম প্রচার আরম্ভ করিলে, যখন তোমার হৃদয়ে জ্ঞানচন্দ্রের
উদয় হইবে, তখন মলিনতা শোক-তাপ সকল দূর হইবে।--- জগবন্ধু ভদ্র, “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী”॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন গো সজনি বলিএ তোরে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৭-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

শুন গো সজনি বলিএ তোরে।
না জানিএ কিবা হইল মোরে॥
তুরিতে পরিয়া নবীন সাড়ী।
একাকী চলিনু ভাইয়ে বাড়ী॥
পথে গোরা সনে হইল দেখা।
কি কব রূপের নাহিক লেখা॥
বারেক চাহিয়া আমার পানে।
না জানি কি কৈল নয়ন-কোণে॥
ধৈরজ ধরম সরম যত।
তা মেনে তখনি হইল হত॥
কেমন কেমন করয়ে হিয়া।
সম্বরিতে নারি প্রবোধ দিয়া॥
চলিতে অধীর না চলে পা।
কাঁপিয়া কাঁপিয়া উঠয়ে গা।॥
সঘনে অঙ্গের বসন খসে।
এ সব হেরিয়া সে পুনঃ হাসে॥
কি করিব গুরুজনের ডরে।
ধরমে ধরমে আইনু ঘরে॥
পুনঃ আনচান করয়ে তনু।
সে গৌরসুন্দর দরশ বিনু॥
হেনই সে সময় শাশুড়ী আসি।
পুছয়ে আমার নিকটে বসি॥
আজু কি লাগিয়া এমন দেখি।
জলে টলমল করয়ে আঁখি॥
কাতর হইয়া কহিছ কথা।
না জানিএ কিবা হয়েছে ব্যথা॥
এতেক শুনিয়া কহিনু তারে।
গিয়াছিনু মুই বাহির দ্বারে॥
তথাতে দেখিনু বিষম সাপ।
অন্তর কাঁপিল মিটিল দাপ॥
সে পুনঃ যাইয়া সাঁধাল খালে।
মু বাঁচনু তুয়া চরণবলে॥
ইহা শুনি অতি বিকল হৈলা।
চোকে মুখে জল আপনি দিলা॥
নরহরি কহে কিছু না মান।
শাশুড়ী ভুলাতে তুমি সে জান॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ননদী বিচার করিয়া গরবে পরিয়া নবীন সাড়ী
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

ননদী বিচার করিয়া গরবে পরিয়া নবীন সাড়ী।
জল আনিবারে গেলেন আমাকে ঘরেতে একাকী ছাড়ি॥
মনের হরিষে অতি তরাতরি ননদী যে পথে যায়।
সেই পথে নিজ পরিকর সনে আইসে গৌরারায়॥
ও রূপ-মাধুরী হেরি বারে বারে ননদী পাগলী হৈলা।
মনের যতেক মনোরথ তাহা সকলি ভুলিয়া গেলা॥
সে পথে শাসুড়ী আসি নিরখিতে নিকটে দেখয়ে তারে।
কলসী কাঁকেতে করিয়া গৌরাঙ্গচাঁদের পাছেতে ফিরে॥
ভাল ভাল বলি অধিক কোরধে কলসি কাড়িয়া নিল।
কারে কি কহিবে ননদী অমনি মরমে মরিয়া গেল॥
এথা মুই প্রাণগৌরাঙ্গসুন্দরে, আপন পথেতে পাঞা।
হিয়ার বেদনা মিটাইনু যেন ও চাঁদবদন চাঞা॥
কতক্ষণে আসি শাশুড়ী অনেক প্রশংসা করয়ে মোরে।
ননদের লাজ কি কহিব যেন থাকি না থাকয়ে ঘরে॥
নরহরি কহে মুরখ হইলে কিছু না দেখিতে পায়।
আপনার দোষ আঁচলে বাঁধিয়া পরকে দুষিতে চায়॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি বলিব সখি কখন সফল না হৈল মনের সাধা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

কি বলিব সখি কখন সফল না হৈল মনের সাধা।
দুখ ভঞ্জাইতে বিধি নিকরুণ করিল অনেক বাধা॥
গত দিন মেন আমাদের পথে আইল পরাণপিয়া।
লোক মুখে শুনি সাহসে উপর দালানে দাঁড়ানু গিয়া॥
ও রূপমাধুরী হেরিয়া আমার মজিল যুগল আঁখি।
মনেতে হইল নিকটে উড়িয়া যাইএ হইয়া পাখী॥
ললিত অঙ্গের সৌরভ আসিয়া নাসায় পশিল মোর।
অধিক অধীর হইনু কি কব সখের নাহিক ওর॥
গোরা মোর পানে ফিরিয়া চাহিল হেনই সময়ে বুড়ী।
ঘন ঘন ডাকে কাঁপিল অন্তর আইনু সে সুখ ছাড়ি॥
অনুমতি দিল জলকে যাইতে ভাসিনু আনন্দ-জলে।
নরহরি কহে এমন শাশুড়ী অনেক ভাগ্যেতে মিলে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সজনি কত না কহিব আমার দুখের কাহিনী কথা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

সজনি, কত না কহিব আমার দুখের কাহিনী কথা।
তহে গত দিন সকরুণ বিধি ঘুচাইল কিঞ্চিৎ ব্যথা॥
আমাকে রন্ধনে রাখিয়া শাশুড়ী বাড়ীর বাহিরে ছিলা।
গৌরগমন শুনিয়া তুরিতে আমার নিকটে আইলা॥
আমাপানে পুনঃ চাহিয়া ঘরের দুয়ারে কপাট দিয়া।
আঙ্গিনার মাঝে বসিয়া চকিত চৌদিকে রহিলা চাঞা॥
এথা মোর প্রাণ আনচান করে কিছু না উপায় দেখি।
অলপ গবাক্ষ আছিল তাহাতে সঁপিনু যুগল আঁখি॥
পরিকর মাঝে রসিকশেখর কে বুঝে তাহার রীতি।
অতি অলখিত চারি ভিতে চাহি চলয়ে কুঞ্জরগতি॥
সে রূপ-মাধুরী বারেক নিরখি নয়ানে নয়ান দিয়া।
আমার যেরূপ দশা তাহা যেন জানানু ইঙ্গিত পাঞা॥
মোর পাশে আসি ঈশৎ হাসিয়া বলিলা চতুরমণি।
মো পুন রন্ধনে বসিনু কপাটখুলিল শাশুড়ী কাণী॥
তেরছ হইয়া বাম আঁখে মোরে দেখিয়া সুস্থির হৈল।
নরহরি কহে ও আঁখি-আপদ্ গেলেই হইল ভাল॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
একদিন আমি শাসুড়ী ননদী বসিয়াছি আঙ্গিনায়
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

একদিন আমি শাশুড়ী ননদী বসিয়াছি আঙ্গিনায়।
খেড়কীর পথে চাহিয়া দেখিনু যাইছে গৌরাঙ্গরায়॥
সুজনের মত ঘোঙটা টানিয়া আমি রহিলাম বসি।
পহিলা ননদী মদনে মাতিয়া দাঁড়াইল হাসি হাসি॥
গবাক্ষের পথে চাহিয়া চাহিয়া দেখিতে লাগিল গোরা।
অঙ্গের বসন শিখিল দেখিয়া শাশুড়ী দিলেন তাড়া॥
বিবশ ননদী গোরারূপ হেরি সে তাড়া না শুনিল।
দেখিতে দেখিত সর্ব্বাঙ্গ উলঙ্গ বসন পড়িয়া গেল॥
তা দেখিয়া আমি হাসিতে হাসিতে বস্ত্র পরাইতে গেলাম।
বস্ত্র পরাব কি গৌররূপ হেরি নিজেই উলঙ্গ হৈলাম॥
দুঁহারে শাসিতে কোরধ করিয়া শাশুড়ী নিকটে গেল।
বিধির কি কাজ গৌরাঙ্গ দেখিতে বুড়িও উলঙ্গ হৈল॥
উলঙ্গ হইয়া তিনজন মোরা দেখিতে লাগিনু গোরা।
দেখিতে দেখিতে আঁধল করিয়া চলি গেল আঁথিতারা॥
তখন সম্বিত হইল তিনের মাঝে জিভ কাটি সবে।
শাশুড়ী কহিল আজুকার লাজ বধু কারে না কহিবে॥
নরহরি কহে কেবা ক কহিবে তিনের দশা সমান।
চুপ করি থাক যতনেতে ঢাক চুল দিয়া কাটা কাণ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি কব সজনি আঙ্গিনার মাঝে বসিয়া আছিনু মোরা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৯-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

কি কব সজনি আঙ্গিনার মাঝে বসিয়া আছিনু মোরা।
শুনিনু বাড়ীর নিকটে আইলা শচীর দুলাল গোরা॥
সেথা যাইবার তরে তরাতরি সারিনু ঘরের কাজ।
অঘিক আতুর হইনু তখন কিছু না রহিল লাজ॥
বুঝিয়া শাশুড়ী দিলেক দাবুড়ি ভয়েতে কাঁপিল গা।
মাথায় ভাঙ্গিয়া বজর পড়িল বাড়াতে নারিনু পা॥
কাতর হইয়া অমনি রহিনু মুখে না সরল কথা।
নরহরি কহে শাশুড়ী থাকিতে না যাবে হিয়ার ব্যথা॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর