কবি নরহরি সরকারের নির্দিষ্টভাবে জ্ঞাত পদাবলী
*
রজনী-স্বপন শুন গো সজনি বলি যে নিলজী হৈয়া
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৬-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ
ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের
মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

॥ যথারাগ॥

রজনী-স্বপন শুন গো সজনি বলি যে নিলজী হৈয়া।
ধীরে ধীরে গোরা মন্দিরে প্রবেশে চকিত চৌদিকে চাঞা॥
হাসিয়া হাসিয়া বসিয়া বসিয়া আসিয়া শিথান পাশে।
নিজকরে মোর অধর পরশি সুখের সায়রে ভাসে॥
সুমধুর বাণী ভণে নানা জাতি মাতিয়া কৌতুক ছলে।
ভুজে ভুজ দিয়া হিয়া মাঝে রাখি ভিজয়ে আঁখির জলে॥
আপনার মনে মানে পাইনু নিধি তিলেক ছাড়াতে ভার।
নরহরি-প্রাণ-পিয়া পীরিতের মূরতি কি কব আর॥

ই পদটি, ১১৭০টি পদ সম্বলিত, নরহরি (ঘনশ্যাম) চক্রবর্তী প্রণীত, ৪৬২ শ্রীগৌরাব্দে (১৯৪৯),
হরিদাস দাস দ্বারা প্রকাশিত, শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় ( পূর্বরাগ ) গ্রন্থ, ৯৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।
সেখানে এই পদটি কোন নরহরির, তা বলা নেই। তাই এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর মনে হওয়া স্বাভাবিক।
তাই পদটি দুজনের পাতাতেই দেওয়া হলো।

॥ পুনঃ ললিত॥

রজনী-স্বপন                       শুন গো সজনি !
বলিয়ে নিলজী হইয়া ।
ধীরে ধীরে গোরা                   মন্দিরে প্রবেশে
চকিত চৌদিকে চাইয়া ॥
হাসিয়া হাসিয়া                     রসিয়া আসিয়া
বসিয়া সিথান-পাশে ।
নিজ করে মোর                      অধর পরশি
সুখের সায়রে ভাসে ॥
সুমধুর বাণী                       ভণি নানা ভাতি
মাতিয়া কৌতুক-ছলে ।
ভুজে ভুজে দিয়া                  হিয়া মাঝে রাখি
ভিজয়ে আঁখির জলে ॥
আপনার মনে                      মানে পাই নিধি
তিলেক ছাড়াইতে ভার ।
নরহরি-প্রাণ                        পিয়া পিরীতের
মূরতি কি কব আর ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন শুন নিশি-স্বপন সই
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৬-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

শুন শুন নিশি-স্বপন সই।
লাজ তিয়াগিয়া তোমারে কই॥
প্রভাত সময়ে সুচারু বেশে।
আইলেন গৌর আমার পাশে॥
সে চন্দ্রবদন পানেতে চাঞা।
বলিনু কি কাজে আইলা ধাঞা॥
সুখে গোঙাইলে রজনী যথা।
তুরিত যাইয়া মিলহ তথা॥
গুপত না রহে বেকত রীতি।
তা সহ জাগিয়া পোহালে রাতি॥
শুনি কত শত শপথ করে।
পরশের আশে সাধয়ে মোরে॥
হেন কালে নিদঁ ভাঙ্গিয়া গেল।
নরহরি জানে যে দশা হৈল॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন শুন ওগো সজনি রজনী-স্বপন বলিয়ে তোরে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৬-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

শুন শুন ওগো সজনি রজনী-স্বপন বলিয়ে তোরে।
অনেক যতনে নদীয়ার শশী আসিয়া মিলিল ঘরে॥
হেন কালে মোর দারুণ ননদী দুয়ারে দাঁড়ায়া কয়।
পর-পুরুষের সনে বিলসহ ইথে না বাসহ ভয়॥
বাল ভাল আইলে প্রভাতে এসব জানাঞা তারে।
আপনার লাজ লইয়া যাইব না রব এ পাপ-ঘরে॥
ইহা শুনি মনে বিচারিনু ভয় পাঞা পোহাইলে নিশি।
না জানি পতি কি বিপরীত ক্রিয়া করিবে গৃহেতে আসি॥
মোরে সবে কত গঞ্জনা করিবেতাহে না পাইব ব্যথা।
পাপ লোক পাছে প্রাণ-পিয়ারে বা কহয়ে কলঙ্ককথা॥
যদি বিহি ইহা বেকত করয় তবে ত বিষম হব।
জনমের মত নদীয়া-চাঁদেরে আর না দেখিতে পাব॥
এ পাড়ার পানে না আসিবে কভু মোরে না করিব মনে।
মুই অভাগিনী জানিনু নিশ্চয় নহিলে এমন কেনে॥
এত বলি কাঁদি বেকুল হইনু সঘনে সে নাম লৈয়া।
নরহরি জানে প্রাণ বাঁচাইনুতুরিতে চেতন পাইয়া॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সজনি রজনী-স্বপন শুনহ এ বড় হাসির কথা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৬-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

সজনি রজনী-স্বপন শুনহ এ বড় হাসির কথা।
মোরে আগুলিতে শুতিলা ননদী আমার শয়ন যথা॥
নদীয়ার শশী আসি প্রবেশিল অথির আনন্দভরে।
আমার ভরমে বসিলা ননদিনীর পালঙ্ক উপরে॥
ধীরে ধীরে করপল্লবে চিবুক পরশে হরিষ হৈয়া।
ননদী চেতন পাইয়া উঠে ঘন চমকি চৌদিকে চাঞা॥
মোরে কহে জাগ জাগহ তুরিতে ঘরে সামাইল চোরা।
ইহা শুনি ভয়ে পালাইলা দূরে দাঁড়াঞা রহিলা গোরা॥
তার পাছে পাছে দারুণ ননদী ধাইল ধমক দিয়া।
কত দূর যাই পাইল পলাইতে নারিল পরাণ-পিয়া॥
যৌবন গরবে মাতি অতিশয় ধরিয়া দুখানি করে।
কত কটু বাণী কহি রহি রহি লইয়া আইসে ঘরে॥
কিশোর বয়স রসময় গোরা চাহিয়া ননদী পানে।
বাঁধি ভুজপাশে করি পরাজয় কৈল যে আছিল মনে॥
মোরে না দেখিতে পাঞা গুণমণি বিমন হইয়া গেলা।
অবশ হইয়া ননদিনী পুনঃ আমার নিকট আইলা॥
চাহি তার পানে পুছিনু এবা কি আছহ হরিষচিতে।
তেঁই অধোমুখে কহয়ে ঠেকিনু বিষম চোরের হাতে॥
রাখিব গোপনে নহে পরভাতে হইবে কলঙ্ক-ধূম।
নরহরি সাখী কহে আশ্বাসিতে ভাঙ্গিল আঁখির ঘুম॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
স্বপনের কথা শুন গো সজনি পরাণ-রসিকরায়
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৭-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

স্বপনের কথা শুন গো সজনি পরাণ-রসিকরায়।
অলখিত ঘরে প্রবেশিল কালি কম্বল উড়িয়া গায়॥
তাহা দেখি মৃদু হাসিয়া পুছিনু এ সাজ সাজিলে কেনে।
পিয়া কহে তুয়া ননদিনী কালি পাছে বা আমারে চিনে॥
এইরূপ কত কহিল তা শুনি বসন ঝাঁপিয়া মুখে।
সুরুচির করে ধরি প্রাণনাথে পালঙ্কে বসানু সুখে॥
সে সময়ে মুখ-মাধুরি অধিক কি কব মনেতে বাসি।
কালিন্দীর জলে প্রফুল্লিত যেন কনক-কমলরাশি॥
তাহা হেরি ধরি ধৃতি সে কম্বল খসাঞা ফেলিনু মেন।
শরদের শশী ঘনঘটা হৈতে বাহির হৈল যেন॥
হেনই সময় শাশুড়ী পুছয়ে ঘরেতে কিসের আলো।
তাহা শুনি তনু কাঁপিল অমনি পরাণ উড়িয়া গেল॥
তরাতরি গিয়া দাঁড়াঞা দুয়ারে চাহিয়া সভয়মনে।
সাহসে চাতুরী বচন কহিতে লাগিনু তাঁহার সনে॥
চন্দ্রবত মোর নিয়ম জানহ করিয়ে যতন পাইয়া।
কৃপা করি তেঁই দেখা দিল আজি পূজায় প্রসন্ন হৈয়া॥
বর দিতে চান কি বর মাগিব কিছু না জানিয়ে আমি।
আপনি যে কহ তাহা লেই তাহে এথা না আসিও তুমি॥
ইহা শুনি ধীরে ধীরে কহে কত যতনে আনন্দ পাইয়া।
সম্পদ আয়ু বৃদ্ধি শুভ সবার এতেক লেয়হ চাহিয়া॥
ইহা শুনি শীঘ্র ঘরে সামাইল অতি আনন্দবেশে।
বসন-অঞ্চলে অঙ্গ মুছাইনু বসিয়া পিয়ার পাশে॥
নরহরি-প্রাণনাথ মোরে কত আদরে করিল কোলে।
হেন কালে নিদঁ ভাঙ্গিল বিচ্ছেদে ভাসিনু আঁখির জলে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন শুন ওগো বলিয়ে তোমারে স্বপনে নদ্যার শশী
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৭-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

শুন শুন ওগো বলিয়ে তোমারে স্বপনে নদ্যার শশী।
হাসি মোর পাশে আসিয়া বসিলা যেন হেমাম্বুজরাশি॥
মোহে কহে আজু নিজ করে মোর বেশ বনাঅহ  তুমি।
শুনি সে চাতুরী-বচন যে সুখ তাহা কি কহিব আমি॥
বাড়িল কৌতুক নদীয়ার নবযুবতী ভলয়ে চুলে।
নানা গন্ধতৈল দিয়া নানা ছাঁদে বাঁধিনু সাজায়ে ফুলে॥
ললাটে রচিনু রুচির চন্দন বিন্দু সুচন্দ্রের প্রায়।
শ্রুতিমূলে দিনু কুণ্ডল ঝলকে ভানু কি উপমা তায়॥
হাসিমাখা মুখ-কমল মুছাঞা দেখি ভুরু ভৃঙ্গপাতি।
আঁখে আঁখি দিয়া নাসায় মুকুতা পরানু আনন্দে মাতি॥
সুললিত ভুজ গজশুণ্ড জিনি ধৈরজ ধরম হরে।
তাহে নানা ভূষা দিয়া পুনঃ সাধে বলয়া সঁপিনু করে॥
পরিসর উরে হার সাজাইনু অতুল উদর-শোভা।
কিঙ্কিণী কটিতটে পিধাঁইনু লসয়ে জানুর আভা॥
নরহরি-প্রিয়-চরণে নূপুর পরানু যতন করি।
হেনকালে নিদঁ ভাঙ্গিল দেখিতে না পানু নয়ন ভরি॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন শুন ওগো পরাণ সই
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৭-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

শুন শুন ওগো পরাণ সই।
তোমা সবার পাশে নিলজি হইয়া নিশির স্বপন কই॥ ধ্রু॥
হাসি হাসি সুখে ভাসি সে রঙ্গিয়া কত না আদরে মোরে।
দু বাহু পসারি করি কত ভঙ্গী তুরিতে করয়ে কোরে॥
থির হৈথে নারে থর থর তনু কাঁপয়ে বিজুরী ভাতি।
লুবধ মধুপ সম মঝু মুখ চুম্বয় আনন্দে মাতি॥
সে চাঁদবদন কাতরে কুঙ্কুম সিন্দুরে সুচারু সাজ।
তাহারে করিনু পরিহাস শুনি বন্ধুয়া পাইল লাজ॥
মনসাধে পুনঃ সে চাঁদবদন মুছাইয়া ঈষৎ হাসি।
হেন কালে মোর দুয়ারে দারুণ ননদী দেখিল আসি॥
উড়িল পরাণ কি করিব প্রাণবন্ধুয়া লুকালো ডরে।
হেন রালে নিদঁ ভাঙ্গিল জাগিয়া হিয়া ধক ধক করে॥
পুনঃ ঘুমাইতে সে নবনাগর রচয়ে আমার বেশ।
সিথির সিন্দূর সাজায়ে কত সে যতনে বাঁধিয়া কেশ॥
উরজে কাঁচলি দিতে মু কহিনু কাঁচলি পরাহ কেনে।
পিয়া কহে হাসি পুরুষের বেশ নাহি কি তোমার মনে॥
আর কি বলিব নাসায় বেশর দিতে সুচঞ্চল হৈয়া।
অমনি শুতয়ে মোরে পরিসর বুকের উপরে লৈয়া॥
কত ভাতি রসকাহিনী কহয়ে অমিঞা ঢালয়ে যেন।
নরহরিনাথ পীরিতি-মূরতি যুবতীমোহন মেন॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি কব স্বপনে কত পরিহাস করে গো
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর
সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই
পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

॥ যথারাগ॥

কি কব স্বপনে কত                                পরিহাস করে গো
রসিকশেখর মোর গোরা।
কিবা সে নয়ান বাঁকা                                চাহনি বিষম গো
জীবন-যৌবনদন-চোরা॥
মধুর মধুর হাসি                                ভাসি কত সুখে গো
মুখে মুখ দিয়া করে কোলে।
পুলকিত অঙ্গ অতি                                   মদন-তরঙ্গে গো
কত না রসের কথা তোলে॥
সাধে সাধে নাসার                              বেশর দোলাইয়া গো
না জানি কি রসে হয় ভোর।
নরহরি-প্রাণপ্রিয়                                        কি নিলজ গো
যুবতী-ধরম-ব্রত-চোর॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
স্বপনে বন্ধুয়া মোর পালঙ্কে বসিল গো
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর
শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে
এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

॥ যথারাগ॥

স্বপনে বন্ধুয়া মোর                                পালঙ্কে বসিল গো
বারেক চাহিনু আঁখি কোণে।
পীরিতি-মূরতি গোরা                              কত আদরিয়া গো
আপনা অধীন করি মানে॥
সে চাঁদবদনে মোরে                              বারে বারে কয় গো
পরাণ অধিক মোর তুমি।
ইহা বলি কোলেতে                           করিয়া সুখে ভাসে গো
লাজেতে মরিয়া যাই আমি॥
সাজয়ে তাম্বুল মোর                                বদনে সঁপিয়া গো
হরষে বিভোর হঞা চায়।
সে করপল্লবে পুনঃ                                  অধর পরশি গো
পরাণ নিছিয়া দেয় তায়॥
মধুর মধুর হাসি                                   অমিয়া বরষে গো
কিবা বা সে সুরসিকপনা।
নরহরি-প্রাণপিয়া                                   হিয়ার পুতলি গো
যুবতা মোহিতে একজনা॥

ই পদটি ১১৭০টি পদ সম্বলিত, নরহরি (ঘনশ্যাম) চক্রবর্তী প্রণীত, ৪৬২ শ্রীগৌরাব্দে (১৯৪৯),
হরিদাস দাস দ্বারা প্রকাশিত, শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় ( পূর্বরাগ ) গ্রন্থ, ৯৬-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।
এখানে এই পদটির রচয়িতা কোন নরহরি তা বলা হয়নি। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই "স্বপনে বঁধুয়া
মোর পালঙ্কে বসিয়া গো" পদটি আলাদাভাবে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবে নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয়
গ্রন্থের পদাবলীর সঙ্গেও দেওয়া হয়েছে।

॥ পুনঃ বিভাষ॥

স্বপনে  বঁধুয়া মোর                     পালঙ্কে বসিয়া গো
বারেক চাহিলু তার পানে ।
পিরীতি মুরতি গোরা                   কত আদরিয়া গো
আপনা অধীন করি মানে ॥
সে চাঁদ বদনে মোরে                  বারে বারে কয় গো
পরাণ অধিক মোর তুমি ।
ইহা বলি কোলেতে                করিয়া সুখে ভাসে গো
লাজেতে মরিয়া যাই আমি ॥
সাজায়া তাম্বুল মোর                   বদনে সোঁপিয়া গো
মদনে বিভোর হইয়া চায় ।
সে কর-পল্লবে পুন                         আর পরশি গো
পরাণ নিছিয়া দেই তায় ॥
মধুর মধুর হাসি                        অমিয়া বরষে গো
কিবা বা সে সুরসিকপনা ।
নরহরি প্রাণপিয়া                        হিয়ার পুতলি গো
যুবতী মোহিতে একজনা ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুনয়ে স্বপন আমা পানে চাঞা চাঞা গো
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩৮-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর
শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে
এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

॥ যথারাগ॥

শুনিয়ে স্বপন আমা                                   পানে চাঞা চাঞা গো
যুবতীপরাণচোরা গোরা।
জিনিয়া খঞ্জন যুগ                                           নয়ন নাচায় গো
না জানি কি রসে হৈয়া ভোরা॥
হাসিয়া হাসিয়া আসি                                    নিকটে বসিয়া গো
ঘুঙট ঘুচায় নিজ করে।
আহা মরি মরি বলি                                       চিবুক পরশি গো
বদন নেহারে বারে বারে॥
কিবা সে পীরিতি তার                                     মনে এই হয় গো
গলায় পরিয়া করি হার।
অঙ্গে অঙ্গে পরশিতে                                   কত রঙ্গ বাড়ে গো
নবীন মদন সাথী তার॥
অধরে অধর দিতে                                       যত রসিকতা গো
কি কব না শুনি কভু কাণে।
নরহরি প্রাণপিয়া                                        কোথায় শিখিল গো
এত না রসের কথা জানে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর