কবি নরহরি সরকারের নির্দিষ্টভাবে জ্ঞাত পদাবলী
*
গৌরাঙ্গচাঁদের পানে নিরখিতে পড়িব বিষম ভোলে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪১-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর
সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই
পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

গৌরাঙ্গচাঁদের পানে নিরখিতে পড়িব বিষম ভোলে।
হইব অবশ খসিবে কুণ্ডল লোটাবে ধরণীতলে॥
তুরিত অঞ্চলে কাঁপিল তাহাতে হাতের চালনি হবে।
ঝনঝনকর কঙ্কণশবদ শুনি সে আনন্দ পাবে॥
তেরছ নয়ানকোণেতে জানাব গৌরাঙ্গ ভুবনলোভা।
বারেক বসন ঘুচাও নিরখি কিরূপ কেশের শোভা॥
ইহা বুঝি মুই ঈষৎ হাসিয়া ভুঙটে ঢাকিব মুখ।
লজ্জিত দেখিয়া সখী প্রতি পুনঃ জানাবে পাইয়া সুখ॥
সখী সুচতুরা আমারে কহিবে দাঁড়াহ বিমুখ হৈয়া।
নহিলে অধিক অথির হইবা গৌরাঙ্গ পানেতে চাঞা॥
এতেক বচনে গোরাপানে কিছু করিয়া দাঁড়াব ভুলি।
নিজকরে সখী শীঘ্র মোর শিরে বসন দিবেক ফেলি॥
সে সময়ে গোরা রসের আবেশে অধিক অবশ হৈয়া।
কিছু না থাকিবে স্মৃতি অনিমিখ-নয়নে রহিব চাঞা॥
মু অতি সঙ্কোচে তরাতরি মাথে বসন দিব যে তুলি।
বাহিরে কোরধ করিয়া সইয়েতে ভর্ৎসিব নিলজী বলি॥
সখীর সমীপ হইতে কিঞ্চিৎ দূরেতে দাঁড়াব গিয়া।
নিজ দোষ মানি টানিয়া রাখিবে মাথার শপথ দিয়া॥
আমার এ রঙ্গ হেরি পুনঃ রঙ্গে ভাসিবে গৌরাঙ্গ রঙ্গী।
মনের মানসে হাসিবেক নরহরি বন্ধুয়ার সঙ্গী॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গৌরাঙ্গচাঁদেরে নিরখি সখীরে ঠারিয়া তেরছ আঁখে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪১-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

গৌরাঙ্গচাঁদেরে নিরখি সখীরে ঠারিয়া তেরছ আঁখে।
মধুর মধুর হাসিয়া মধুর কাহিনী কহিব সুখে॥
রসভরে শির চালন করিতে আউলাবে চুলের খোপা।
মধুর মধুর দুলিবে নাসার বেসর কাণের চাঁপা॥
পীঠের উপর ঝাঁপার দোলনি তাহা না দেখিতে পাবে।
নয়নের পানে ঠারিয়া নাগর ঈষৎ হাসিতে কবে॥
কোন ছলে বাম করেতে বসন তুলিয়া দেখাব তায়।
অমনি অবশ হবে নরহরি-পারণ রসিকরায়॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সইয়ের সমীপে দাঁড়াব নাগর না চাবে আমার পানে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪২-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

সইয়ের সমীপে দাঁড়াব নাগর না চাবে আমার পানে।
হাসিয়া হাসিয়া সুখে ঠারাঠারি করিবে সইয়ের সনে॥
কিছু না বুঝ্তে পারিয়া পুছিব ধরিয়া সইয়ের করে।
কি দোষ আমার দেখিয়া তোমরা হাসহ পরস্ পরে॥
এতেক শুনিয়া কহিবেন সখী আছয়ে তোমার দোষ।
মুখানি দেখিতে চাহয়ে নাগর তাহাতে করহ রোষ॥
ইহা শুনি সব সঙ্কেত করিয়া হাসিব অমিয়পারা।
নরহরি থির করিতে নারিবে অধীর হইবে গোরা॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গৌরাঙ্গচাঁদের হাসিমাখা মুখ দেখিয়া রসের ভরে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪২-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

গৌরাঙ্গচাঁদের হাসিমাখা মুখ দেখিয়া রসের ভরে।
গলায় বসন দিয়া কর জোড়ি কহিব আঁখির ঠারে॥
ভাল ভাল ওহে রসিশেখর কি লাগি কপট কর।
না জানিয়ে ইহে কোথায় শিখিলা এত বা ভাঁড়াতে পার॥
আর কিবা হবে বারেক আসিয়া দেখাটি না দেহ পথে।
বিধাতা করিলে নারী তেঁই দুখ নহিলে রহিতু সাথে॥
এতেক শুনি নরহরি-প্রাণবন্ধুয়া লজ্জিত হবে।
অবশ্য যাইব বলিয়া নয়ন-কোণেতে শপথ খাবে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সখীর সমাজে রহিয়া বারেক চাহিয়া ও মুখপানে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪২-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

সখীর সমাজে রহিয়া বারেক চাহিয়া ও মুখপানে।
বিরস বদন হইয়া নাগরে কহিব নয়ানকোণে॥
ভাল ভাল ওহে পীরিতি মরম কখন না জান তুমি।
এ পাড়া সে পাড়া বেড়াইতে পার কেবল বঞ্চিত আমি॥
তুমি ত রসিকশেখর সতত আনন্দে থাকহ ভোর।
মুই অভাগিনী তোমার লাগিয়া কিবা না হৈয়াছে মোর॥
গুরুজন প্রাণ অধিক বাসিত তারা বিষ সম বাসে।
যারে দেখি হাসি করিতু এখন সে মোরে দেখিয়া হাসে॥
ইহাতেও যদি আপন জানিয়া প্রসন্ন থাকিতা তুমি।
তবে এ সকল কলঙ্ক তৃণের অধিক গণিতু আমি॥
একে এদিবস রজনী দারুণ জ্বালা না শরীরে সয়।
আর তাহে তুমি নিদয় ইহাতে কিরূপে পরাণ রয়॥
তাহে মোর মন সন্দেহ ঘুচাও কি লাগি হয়াছে রোষ।
এরূপ তোমার স্বভাব অথবা পাঞাছ কোন বা দোষ॥
এতেক বুঝিয়া রসাবেশ হৈয়া চাহিয়া আমার পানে।
অলখিত করযুগল জুড়িয়া কহিবে নয়নকোণে॥
মরুক আমার স্বভাব সকল দোষেতে দূষিত আমি।
অনুখন মনে জানিয়ে কেবল পরাণ অধিক তুমি॥
ইহা বুঝি মুই মুচকি হাসিয়া ঠারিব সইয়ের প্রতি।
নরহরি পিয়া হিয়া থির হবে দেখিয়া হরষ অতি॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন শুন ওগো প্রাণসম তুমি কহিয়ে তোমার কাণে
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪২-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

শুন শুন ওগো প্রাণসম তুমি কহিয়ে তোমার কাণে।
তুমি যে বিচার করিয়াছ  তাহা হৈয়াছে আমার মনে॥
কেমন কেমন লাগে আজু যেন দেখহ চতুর তুমি।
রসের আবেশে অবশ এমন কভু না দেখিয়ে আমি॥
যদি কোন দিন দেখিয়ে তথাপি কিছু না লখিতে পারি।
বল বল দেখি গৌরাঙ্গচাঁদের মন কে করিল চুরি॥
নরহরি-চাঁদ নাগর বটেন বুঝিতে পারিএ কাজে।
তবি দড় করি কার কাছে ইহা কহিতে নারিএ লাজে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি বলিব ওগো অনুভবি ভাল নিশ্চয় করিলা তুমি
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪২-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

কি বলিব ওগো অনুভবি ভাল নিশ্চয় করিলা তুমি।
গৌরাঙ্গচাঁদের নাগরালি যত সকলি জানিএ আমি॥
তোমা সবা কাছে সে সব কাহিনী কহিতে সঙ্কোচ বাসি।
তাহে গৌরাঙ্গের চরিত হেরিয়া অন্তরে উপজে হাসি॥
ইহোঁ আপনাকে সতত বাসয়ে আমি সে চতুররাজ।
গুপত আমার অবতার আর গুপত সকল কাজ॥
গুপত চলন বোলন গুপত গুপত নটন ভঙ্গ।
গুপত নদীয়ানাগরীর সনে গুপত পীরিতি রঙ্গ॥
গুপত করিয়া নাগরালী ইহা কেহ না লখিতে পারে।
এইরূপ রহু মনে দিনকর কিরণ ঝাঁপয়ে করে॥
চতুর উপরে চকুর যে জন তাহে কি চাতুরি রয়।
ইহা না বুঝিয়া নরহরিপহুঁ কাহারে করয়ে ভয়॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরাচাঁদের এইরূপ সব ইথে না বাসিহ দুখ
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪৩-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

গোরাচাঁদের এইরূপ সব ইথে না বাসিহ দুখ।
বেকত বিষয়ে বিষাদ ঘটয়ে গুপতে অধিক সুখ॥
পরাণ অধিক গুপত করয়ে পাইয়া অলপ ধনে।
যদি বল ইহা অসম্ভব তাতে দেখহ জগত-জনে॥
পীরিতি পরম রতন ইহারে গুপত করিলে কাজ।
বেকত হইলে রসিক জনার অন্তরে উপজে লাজ॥
নরহরি পহু সুঘড়শেখর জানে কি এমন জনা।
গুপত-বিহার করে অবিরত জানায় সুঘড়পনা॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
যে বল সে বল পীরিতি গুপত করিতে অধিক ভার
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪৩-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

যে বল সে বল পীরিতি গুপত করিতে অধিক ভার।
পীরিতি গুপত না থাকে কখন বেকত স্বভাব তার॥
দিনকর সম করে আচরণ ইহা কি গুপত মানি।
গুপত গুপত তোমরা জানহ আমি ত বেকত জানি॥
নদীয়ানগরে রসিকশেখর শচীর দুলাল গোরা।
যত কুলবতী যুবতী সবার ধৈরজ রতন চোরা॥
জগতের মাঝে দেখিনু এমন নাগর কোথাও নাই।
নিশ্চয় জানিহ কেহ এড়াইতে না রহে ইহার ঠাই॥
যদি কোন ধনী ধৈরজ ধরিয়া ধরম রাখিতে চায়।
বিষম নয়ান কোণে নিরখিয়া মোহিত করয়ে তায়॥
নিশিদিন নবনাগরী সহিত অশেষ বিলাস করে।
নরহরিনাথ নাগরী-বল্লভ নাগরী লাগিয়া ঝুরে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন শুন ওগো নিশ্চয় বলিএ অধিক অবোধ মোরা
ভণিতা নরহরি
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৪৩-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে
প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায়
শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।

.        ॥ যথারাগ॥

শুন শুন ওগো নিশ্চয় বলিএ অধিক অবোধ মোরা।
বুঝিতে নারিয়ে হেন নাগরালি নদ্যাতে করে গোরা॥
বাহিরে যেরূপ দেখিএ ইহার পরম উদারপনা।
সেইরূপ মোরা জানিএ অন্তরে কি আছে না যায় জানা॥
ধন্য ধন্য যেন তোমরা পরম রসিকিনী সুরপুরে।
এ সব বিহার তোমা সবা বিনা আনে কি বুঝিতে পারে।
যে হৌক সে হৌক এত দিনে যেন মনের আঁধার গেল॥
নরহরিপহুঁ যুবতী অধীন জগতে প্রকট হৈল॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর