কবি নরহরি সরকারের নির্দিষ্টভাবে জ্ঞাত পদাবলী |
শয়নে গৌর স্বপনে গৌর গৌর নয়নের তারা ভণিতা নরহরি দাস কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪৩- পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথারাগ॥ শয়নে গৌর স্বপনে গৌর গৌর নয়নের তারা। জীবনে গৌর মরণে গৌর গৌর গলার হারা॥ হিয়ার মাঝারে গৌরাঙ্গ রাখিয়া বিরলে বসিয়া রব। মনের সাধেতে সেরূপ চাঁদের রূপ নয়নে নয়নে থোব॥ সোই লো কহ না গৌরের কথা। গোরার সে নাম, অমিয়ার ধাম, মূরতি পিরীতি দাতা॥ গৌর শবদ গৌর সম্পদ সদা যার হিয়ে জাগে। নরহরি দাস তাহার চরণে সতত শরণ মাগে॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১১৩-পৃষ্ঠায়“নরহরি” ভণিতায় রয়েছে। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ॥ ধানশী॥ শয়নে গৌর, স্বপনে গৌর, গৌর নয়নের তারা। জীবনে গৌর, মরণে গৌর, গৌর গলার হারা॥ হিয়ার মাঝারে, গৌরাঙ্গ রাখিয়া, বিরলে বসিয়া রব। মনের সাধেতে, সেরূপ চাঁদেরে, নয়নে নয়নে থোব॥ সোই লো কহ না গৌরের কথা। গোরার সে নাম, অমিয়ার ধাম, পীরিতি মূরতি দাতা॥ ধ্রু॥ গৌর শবদ, গৌর সম্পদ, সদা যার হিয়ায় জাগে। কহে নরহরি, তাহার চরণে, সতত শরণ মাগে॥ এই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ সংখ্যা-৫২, ২৯-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। শয়নে গৌর স্বপনে গৌর গৌর নয়নের তারা। জীবনে গৌর মরণে গৌর গৌর গলার হারা॥ হিয়ার মাঝারে গৌরাঙ্গ রাখিয়া বিরলে বসিয়া রব। মনের সাধেতে সেরূপ চাঁদের রূপ নয়নে নয়নে থোব॥ সোই লো কহ না গৌরে কথা। গোরার সে নাম অমিয়ার ধাম মূরতি পিরীতি দাতা॥ গৌর শবদ গৌর সম্পদ সদা যার হিয়ে জাগে। নরহরি দাস তাহার চরণে সতত শরণ মাগে॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |
কি লাগি ধূলায় ধূসর সোণার ভণিতা নরহরি দাস কবি নরহরি সরকার বা শ্রীসরকার ঠাকুর। আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, হেমন্ত- শিশিরোচিত বিরহ, পদসংখ্যা ১৯০২। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। অথ মলিনাঙ্গতা। তদ্ভাবাক্রান্তঃ শ্রীমহাপ্রভুর্যথা। ॥ মালসী বালা॥ কি লাগি ধূলায় ধূসর সোণার বরণ গৌর-দেহ। আসন ভূষণ সকল তেজল না জানি কাহার লেহ॥ হরি হরি মলিন গৌরাঙ্গচান্দে। উহু উহু করি ফুকরি ফুকরি উরে পাণি হানি কান্দে॥ ধ্রু॥ ঘামে তিতি গেল সব কলেবর ছাড়য়ে দীঘ নিশ্বাস। রাইয়ের পিরিতি হেন তেন রীতি কহে নরহরি দাস॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি কোন নরহরির, তা বলা হয়নি। ॥ অথ মলিনাঙ্গতা চদুচিত শ্রীগৌরচন্দ্র লিখিতে॥ ॥ তত রাগিণী ধানশ্রী॥ তালোচিত॥ কি লাগি ধূলায়ে ধূসর সোনার বরণ গৌরদেহ। অশন ভূষণ সকল তেজল না জানি কাহার লেহ॥ হরি হরি মলিন গৌরাঙ্গচান্দে। উহুউহু করি ফুকুরি ফুকুরি উরে পানি হানি কান্দে॥ ধ্রু॥ ঘামে তিতি গেল সব কলেবর ছাড়িয়ে দীঘল শ্বাস। রাইক পিরিতি হেন তেন রীতি কহে নরহরিদাস॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯৯-পৃষ্ঠা। এই পদের রচয়িতা কোন নরহরি তা বলা সম্ভব হয় নি। নরহরি সরকার ও নরহরি চক্রবর্তী ছাড়াও অন্য কোনো কবি নরহরির পদ কি না তাও বা কে বলতে পারে! ॥ সুহই॥ কি লাগি ধূলায়ে ধূসর সোনার বরণ শ্রীগৌর দেহ। অঙ্গের ভূষণ সকল তেজল, না জানি কাহার লেহ॥ হরি হরি মলিন গৌরাঙ্গচাঁদে। উহু উহু করি, ফুকরি ফুকরি, উরে পানি পাণি ধরে কাঁদে॥ ধ্রু॥ তিতিয়া গেল সব কলেবর ছাড়য়ে দীঘল নিশ্বাস। রাইয়ের পিরীতি যেন হেন রীতি কহে নরহরি দাস॥ এই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৫২৯-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি এখানেও নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। ॥ বালা ধানশী॥ কি লাগি ধূলায়, ধূসর সোণার, বরণ গৌরাঙ্গ-দেহ। আসন ভূষণ, সকল তেজল, না জানি কাহার লেহ॥ হরি হরি মলিন গৌরাঙ্গচান্দে। উহু উহু করি, ফুকরি ফুকরি, উরে পাণি হানি কান্দে॥ ঘামে তিতি গেল, সব কলেবর, ছাড়য়ে দীঘ নিশ্বাস। রাইয়ের পিরীতি, হেন তেন রীতি, কহে নরহরি দাস॥ এই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন- মালা”, ৪২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বালা ধানশী॥ কি লাগি ধূলায় ধূসর সোণার বরণ গৌরাঙ্গ দেহ। আসন ভূষণ সকল তেজল না জানি কাহার লেহ॥ হরি হরি মলিন গৌরাঙ্গ-চান্দে। উহু উহু করি ফুকরি ফুকরি উরে পাণি হানি কান্দে॥ ঘামে তিতি গেল সব কলেবর ছাড়য়ে দীঘ নিশ্বাস। রাইয়ের পিরীতি হেন যেন রীতি কহে নরহরি দাস॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। ॥ তথারাগ॥ কি লাগি ধূলায় ধূসর সোনার বরণ শ্রীগৌরদেহ। অঙ্গের ভূষণ সকল তেজল না জানি কাহার নেহ॥ হরি হরি মলিন গৌরাঙ্গ চাঁদে। উহু উহু করি ফুকরি ফুকরি ঊরে পাণি ধরি কান্দে॥ ঘামে তিতি গেল সব কলেবর ছাড়য়ে দীঘল শ্বাস। রাইএর পিরীতি যেন হেন রীতি কহে নরহরি দাস॥ এই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, ৩৪৪৫টি পদ বিশিষ্ট, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ সংখ্যা- ৩২, ২৪-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে। কি লাগি ধূলায় ধূসর সোনার বরণ শ্রীগৌরদেহ। অঙ্গের ভূষণ সকল তেজল না জানি কাহার নেহ॥ হরি হরি মলিন গৌরাঙ্গ চাঁদে। উহু উহু করি ফুকরি ফুকরি ঊরে পাণি ধরি কান্দে॥ ঘামে তিতি গেল সব কলেবর ছাড়য়ে দীঘল শ্বাস। রাইএর পিরীতি যেন হেন রীতি কহে নরহরি দাস॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |
হেম দরপণি গৌরাঙ্গ-লাবণি ভণিতা নরহরি দাস কবি নরহরি সরকার ঠাকুর। আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২২ বঙ্গাব্দ (১৯১৫), ১ম খণ্ড, ২য় শাখা, ৪র্থ পল্লব, বসন্তকালোচিত বিপ্রলব্ধা, পদসংখ্যা ৩১৬। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি গীতচন্দ্রোদয়ের রচয়িতা নরহরি সরকার ঠাকুর রচনা। অথ বিপ্রলব্ধা। ॥ ভৈরবী॥ হেম দরপণি গৌরাঙ্গ-লাবণি ধুলায় ধুসর কাঁতি। আসন বসন তেজিয়া রোদন ব্রজ-বিলাসিনী ভাঁতি॥ হরি হরি বলি প্রাণনাথ করি ধরণী ধরিয়া উঠে। কোথা না যাইব কাহারে কহিব পরাণ ফাটিয়া উঠে॥ সহচরগণে করিয়া রোদনে কহয়ে বদন তুলি। আমার পরাণ করয়ে যেমন বেদন কাহারে বলি॥ নরহরি দাসে গদ গদ ভাষে কহয়ে গৌরাঙ্গ মোর। আন ছলে বুলে উদ্ধারে সকলে সদা রাধা-প্রেমে ভোর॥ এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদের রচয়িতা কোন নরহরি তা বলা সম্ভব হয় নি। নরহরি সরকার ও নরহরি চক্রবর্তী ছাড়াও অন্য কোনো কবি নরহরির পদ কি না তাও বা কে বলতে পারে! ॥ ভৈরবী॥ হেম-দরপণি, গৌরাঙ্গ-লাবণি, ধূলায় ধূসর কাঁতি। আসন বসন, তেজিয়া রোদন, ব্রজবিলাসিনী ভাতি॥ হরি হরি বলি, প্রাণনাথ করি, ধরণী ধরিয়া উঠে। কোথা না যাইব, কাহারে কহিব, পরাণ ফাটিয়া উঠে॥ সহচরগণে, করিয়া রোদনে, কহয়ে বদন তুলি। আমার পরাণ, করয়ে যেমন, বেদন কাহারে বলি॥ নরহরি দাসে, গদ গদ ভাষে, কহয়ে গৌরাঙ্গ মোর। আন ছলে বুলে, উদ্ধারে সকলে, সদা রাধাপ্রেমে ভোর॥ এই পদটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত, বিমান বিহারী মজুমদার সম্পাদিত “পাঁচশত বত্সরের পদাবলী”, ৫৯- পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি, বিমান বিহারী মজুমদার সম্পাদিত “ষোড়শ শতাব্দীর পদাবলী- সাহিত্য”, ৩২১-পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া রয়েছে। হেম দরপণি গৌরাঙ্গ-লাবণি ধুলায় ধুসর কাঁতি। আশন বসন তেজিয়া রোদন ব্রজবিলাসিনী ভাঁতি॥ হরি হরি বলি প্রাণনাথ করি ধরণী ধরিয়া উঠে। কোথা না যাইব কাহারে কহিব পরাণ ফাটিয়া উঠে॥ সহচরগণে করিয়া রোদনে কহয়ে বদন তুলি। আমার পরাণ করয়ে যেমন বেদন কাহারে বলি॥ নরহরি দাসে গদ গদ ভাষে কহয়ে গৌরাঙ্গ মোর। আন ছলে বুলে উদ্ধারে সকলে সদা রাধা-প্রেমে ভোর॥ পাঠান্তর - তরু-তে (পদকল্পতরুতে) ‘আসন বসন’ আছে ; মূলে গৃহীত পাঠ বরাহনগর পুথির। আসন ও বসন ত্যাগ করা অপেক্ষা অশন (খাদ্য) ও বসন ত্যাগ করিয়া রোদন করেন বলিলে অর্থ বাল হয়। টীকা - এই পদে দেখা যায় যে, শ্রীগৌরাঙ্গ রাধাভাবে বিভাবিত হইয়া কৃষ্ণকে প্রাণনাথ বলিয়া ডাকিতেছেন। হেম দরপণি --- ১৫০৯ খ্রীষ্টাব্দে কাচের আয়নার প্রচলন হয় নাই--- ১৫৫০ খ্রীষ্টাব্দের পরে ভারতবর্ষে উহার ব্যবহার আরম্ভ হয়। স্রীগৌরাঙ্গের রঙ সোনার মতন ছিল, তাই উহার সঙ্গে সোনার আয়নার তুলনা করা হইয়াছে। ‘আমার পরাণ, করয়ে যেমন, বেদন কাহারে বলি’ --- এই সামান্য কয়টি শব্দ ব্যবহার করিয়া সরকার ঠাকুর প্রভুর অন্তরের অপরিসীম ব্যথা ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। --- বিমান বিহারী মজুমদার, “পাঁচশত বত্সরের পদাবলী”॥ . ************************* === নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . === নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . . সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . . বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . . নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . . নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . . মিলনসাগর |