কবি নরহরি সরকারের নির্দিষ্টভাবে জ্ঞাত পদাবলী
*
ধিক্ রহু নারীর যৌবনে
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর।
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য়
শাখা, ১১শ পল্লব, আপেক্ষানুরাগ, পদসংখ্যা ৮৩৩। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম  খণ্ডের
ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি নরহরি সরকার ঠাকুরের
রচনা। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১৩২২ সংখ্যক পদ।

.        ॥ পাহিড়া॥

ধিক্ রহু নারীর যৌবনে।
পিরিতি করয়ে শঠ সনে॥
যার লাগি প্রাণ সদা ঝুরে।
ফিরিয়া না চায় সেহ মোরে॥
কি করিব তারে দোষ দিয়া।
না দেখিয়ে ললাট চিরিয়া॥
আপনা আপনি বাঢ়াইলুঁ।
দুই কুলে কলঙ্ক রাখিলুঁ॥
না করিলুঁ সুপুরুখ-সঙ্গ।
সকলি করিলুঁ হাম ভঙ্গ॥
ছিয়ে ছিয়ে পাপ পরাণ।
অবহুঁ নাহিক বাহিরাণ॥
এ পাপ পিরিতি নাহি আশ।
শুনি কহে নরহরিদাস॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে  অনুলিখিত,
বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব
চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত,
১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৮৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই
পদটি কোন নরহরির, তা বলা হয়নি।

.        ॥ পাহাড়ী॥

ধিক্ রহু নারীর যৌবনে। পিরিতি করয়ে শঠ সনে॥
জার লাগি প্রাণ সদা ঝোরে। ফিরিআ না চায় সেই মোরে॥
কি করিব তারে দোষ দিয়া। না দেখিয়ে ললাট চিরিআ॥
আপুনি আপনা বাঢ়াইনু। দুই কুলে কলঙ্ক রহিনু॥
না করিনু সুপুরুখ সঙ্গ। সকলিক রিনু হাম ভঙ্গ॥
ছিএ ছিএ পাপ পরাণ। অবহু নাহিক বাহিরান॥
এ পাপ পিরিতি নাহি আশ। শুনি কহে নরহরি দাস॥

ই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৫৩০-পৃষ্ঠা।এই পদটি এখানেও নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

.        ॥ পাহিড়া॥

ধিক্ রহু নাগরী-যৌবনে।
পিরীতি করয়ে শঠ সনে॥
যার লাগি প্রাণ সদা ঝুরে।
ফিরিয়া না চাহে সেই মোরে॥
কি করিব তারে দোষ দিয়া।
না দেখিয়ে ললাট চিরিয়া॥
আপনা আপনা বাঢ়াইনু।
দুই কুলে কলঙ্ক রাখিনু॥
না করিনু সুপুরুখ সঙ্গ।
সকলি করিল হাম ভঙ্গ॥
ছিয়ে ছিয়ে পাপ পরাণ।
অবহুঁ নাহিক বাহিরাণ॥
এ পাপ পিরীতে নাহিক আশ।
শুনি কহে নরহরিদাস॥

ই পদটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত, বিমান বিহারী মজুমদার সম্পাদিত “ষোড়শ শতাব্দীর
পদাবলী-সাহিত্য”, ৪২৩-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

ধিক্ রহু নারীর যৌবনে।
পিরীতি করয়ে শঠ সনে॥
যার লাগি প্রাণ সদা ঝুরে।
ফিরিয়া না চাহে সেই মোরে॥
কি করিব তারে দোষ দিয়া।
না দেখিয়ে ললাট চিরিয়া॥
আপনা আপনা বাঢ়াইলু।
দুই কুলে কলঙ্ক রাখিনু॥
না করিনু সুপুরুখ সঙ্গ।
সকলি করিলুঁ হাম ভঙ্গ॥
ছিয়ে ছিয়ে পাপ পরাণ।
অবহুঁ নাহিক বাহিরাণ॥
এ পাপ পিরীতি নাহি আশ।
শুনি কহে নরহরি দাস॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গৌর সুন্দর মোর
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর।
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১১শ পল্লব,
আপেক্ষানুরাগ, পদসংখ্যা ৮৫৩। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ
অনুসারে এই পদটি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
১৩৪২ সংখ্যক পদ।

কন্দর্পং প্রতি আক্ষেপো যথা।
শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ তুড়ী॥

গৌর সুন্দর মোর।
কি লাগি একলে                                বসিয়া বিরলে
নয়নে গলয়ে লোর॥ ধ্রু॥
হরি-অনুরাগে                                   আকুল অন্তর
গদগদ মৃদু কহে।
সকল অকাজ                                    করে মনসিজ
এত কি পরাণে সহে॥
অবলা-শরীর                                      করে জরজর
মনের মাঝারে পশি।
কহিতে ঐছন                                        পুরুব-বচন
অবনত মুখ-শশী॥
প্রলাপের পারা                              কিবা কহে গোরা
মরম কেহো না জানে।
পুরুব-চরিত                                     সদা বিভাবিত
দাস নরহরি ভণে॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৯৩-পৃষ্ঠায় এই
রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি কোন নরহরির, তা বলা হয়নি।

অথ কন্দর্প প্রতি আক্ষেপ॥
তত্র গৌরচন্দ্র।
॥ তুড়ী॥

গৌর সুন্দর মোর।
কি লাগি একলে বসিআ বিরলে নয়নে গলএ লোর॥
হরি অনুরাগে আকুল অন্তর গদগদ মৃদু কহে।
সকল অকাজ করে মনসিজ এত কি পরাণে সহে॥
অবলা শরীর করে জর জর মনের মাঝারে পশি।
কহিতে ঐছন পুরব বচন অবনত মুখশশী॥
প্রলাপের পারা কিবা কহে গোরা মরম কেহু না জানে।
পুরব চরিত সদা বিভাবিত দাস নরহরি ভনে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৭-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল
রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের,
১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

॥ পাহাড়ী॥

গৌর সুন্দর মোর।
কি লাগি একলে বসিয়া বিরলে, নয়নে গলয়ে লোর॥ ধ্রু॥
হরি অনুরাগে, আকুল অন্তর, গদ গদ মৃদু কহে।
সকল অকাজ, করে মনসিজ, এত কি পরাণে সহে॥
অবলা নারীরে, করে জর-জর, বুকের মাঝারে পশি।
কহিতে ঐছন, পুরুব বচন, অবনত মুখশশী॥
প্রলাপের পারা, কিবা কহে গোরা, মরম কেহ না জানে।
পুরুব চরিত, সদা বিভাসিত, দাস নরহরি ভণে॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৪৪-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

॥ তথারাগ॥

গৌর সুন্দর মোর।
কি লাগি একলে                                বসিয়া বিরলে
নয়নে গলয়ে লোর॥
হরি অনুরাগে                                   আকুল অন্তর
গদ গদ মৃদু কহে।
সকল অকাজ                                    করে মনসিজ
এত কি পরাণে সহে॥
অবলা-নারীরে                                   করে জর জর
মনের মাঝারে পশি।
কহিতে ঐছন                                        পুরুব বচন
অবনত মুখশশী॥
প্রলাপের পারা                               কিবা কহে গোরা
মরম কেহো না জানে।
পুরুব চরিত                                     সদা বিভাবিত
দাস নরহরি ভণে॥

ই পদটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত, বিমান বিহারী মজুমদার সম্পাদিত “পাঁচশত বত্সরের পদাবলী”, ৬৯-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি, বিমান বিহারী মজুমদার সম্পাদিত “ষোড়শ শতাব্দীর পদাবলী-
সাহিত্য”, ৩৩৩-পৃষ্ঠায় একই রূপে দেওয়া রয়েছে।

গৌর সুন্দর মোর।
কি লাগি একলে                                বসিয়া বিরলে
নয়নে গলয়ে লোর॥
হরি অনুরাগে                                   আকুল অন্তর
গদ গদ মৃদু কহে।
সকল অকাম                                    করে মনসিজ
এত কি পরাণে সহে॥
অবলা শরীর                                    করে জর জর
মনের মাঝারে পশি।
কহিতে ঐছন                                       পুরুব বচন
অবনত মুখশশী॥
প্রলাপের পারা                              কিবা কহে গোরা
মরম কেহো না জানে।
পুরুব চরিত                                   সদা বিভাবিত
দাস নরহরি ভণে॥

টীকা -
কহিতে ঐছন পুরুব বচন --- শ্রীচৈতন্য দ্বাপর-লীলার রাধার ভাবে আকুল হইয়া মদনের প্রতি আক্ষেপ
করিয়া বলিতেছেন যে, কামদেব যে এমন অকাজ করিতেছে, ইহাতে যে অবলার প্রাণ যায়, তাহা ভাবিয়া
দেখিতেছে না। এই কথা বলিয়া ঠিক মেয়েদের মতনই মুখ নিচু করিয়া প্রভু প্রলাপের মতন উক্তি করিতে
লাগিলেন।
---বিমান বিহারী মজুমদার, “পাঁচশত বত্সরের পদাবলী”॥

ই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ
সংখ্যা-৩৮, ২৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য
সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

গৌর সুন্দর মোর।
কি লাগি একলে বসিয়া বিরলে
নয়নে গলয়ে লোর॥
হরি অনুরাগে আকুল অন্তর
গদ গদ মৃদু কহে।
সকল অকাজ করে মনসিজ
এত কি পরাণে সহে॥
অবলা নারীরে করে জর জর
বুকের মাঝারে পশি।
কহিতে ঐছন পুরুব বচন
অবনত মুখশশী॥
প্রলাপের পারা কিবা কহে গোরা
মরম কেহ না জানে।
পুরুব চরিত সদা বিভাবিত
দাস নরহরি ভণে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
লোচনে ঝরঝর আনন্দ-লোর
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর।
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ (১৯১৮), ২য় খণ্ড, ৩য়
শাখা, ১১শ পল্লব, আপেক্ষানুরাগ, পদসংখ্যা ১৭০৭। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের
ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি নরহরি সরকার ঠাকুরের
রচনা। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৯৩০ সংখ্যক পদ।

অথ স্বপ্ন-রসোদ্গারঃ।
তত্র শ্রীমহাপ্রভুঃ।
.        ॥ সুহই॥

লোচনে ঝরঝর আনন্দ-লোর।
স্বপনহি পেখলুঁ গৌর কিশোর॥
চিরদিনে আওল নবদ্বীপ মাঝ।
বিহরয়ে আনন্দে ভকত-সমাজ॥
কি কহব রে সখি রজনিক সূখ।
চিরদিনে হেরলুঁ গোরা-চান্দ-মূখ॥
বিরহে আকুল যত নদিয়ার লোক।
গোরা-মুখ হেরি দুরে গেল সব শোক॥
পুন না দেখিয়া হিয়া বিদরিয়া যায়।
নরহরি দাস কান্দি ধূলায় লোটায়॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৬৯-পৃষ্ঠা। এই
পদের রচয়িতা কোন নরহরি তা বলা সম্ভব হয় নি।

॥ সুহই॥

লোচনে ঝর ঝর আনন্দ-হোর।
স্বপনহি পেখলু গৌরকিশোর॥
চিরদিনে আওল নবদ্বীপ মাঝ।
বিহরয়ে আনন্দে ভকত সমাঝ॥
কি কহব রে সখি রজনিক সুখ।
চিরদিনে হেরলু গোরাচাঁদের মুখ॥
বিরহে আকুল যত নদীয়ার লোক।
গোরামুখ হেরি দূরে গেল সব শোক॥
পুন না দেখিয়া হিয়া বিদরিয়া যায়।
নরহরি দাস কাঁদি ধূলায় লোটায়॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আরে মোর গৌর কিশোর
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর।
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৮ম পল্লব, হেমন্ত-
শিশিরোচিত বিরহ, পদসংখ্যা ১৭৪৬। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের
নির্দেশ অনুসারে এই পদটি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার
পুথির ৯৭০ সংখ্যক পদ।

অথ শীতকালোচিত-বিরহঃ।
অথ হেমন্তশিশিরয়োরেকত্র বর্ণনং।
তত্র শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ পাহিড়া॥

আরে মোর গৌর কিশোর।
নাহি জানে দিবানিশি                                    কারণ বিহনে হাসি
মনের ভরমে পহুঁ ভোর॥ ধ্রু॥
ক্ষেণে উচ্চ-স্বরে গায়                                    কারে পহুঁ কি সুধায়
কোথায় আমার প্রাণনাথ।
ক্ষেণে শীতে অঙ্গ কম্প                                ক্ষেণে ক্ষেণে দেই লম্ফ
কাহাঁ পাঙ যাঙ কার সাথ॥
ক্ষেণে ঊর্দ্ধ বাহু করি                                   নাচি বুলে ফিরি ফিরি
ক্ষেণে ক্ষেণে করয়ে প্রলাপ।
ক্ষেণে আঁখিযুগ মুন্দে                                     হা নাথ বলিয়া কান্দে
ক্ষেণে ক্ষেণে করয়ে সন্তাপ॥
কহে দাস নরহরি                                       আরে মোর গৌরহরি
রাধার পিরিতে হৈল হেন।
ঐছন করিয়া চিতে                                       কলিযুগ উদ্ধারিতে
বঞ্চিত হইলুঁ মুঞি কেন॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩৭৫-পৃষ্ঠায় এই
রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি কোন নরহরির, তা বলা হয়নি।

॥ অথ ষড় ঋতু বর্ণনা॥ আদৌ হিনশিশির বর্ণনা॥
॥ তদুচিত মহাপ্রভু॥ রাগিণী পাহাড়ী॥ তালো সমুচিত॥

আরে মোর গৌর কিশোর।
নাহি জানে দিবা নিশি কারণে বিহনে হাঁসি মনের ভরমে পহু ভোর॥ ধ্রু॥
খেনে উচ্চস্বরে গায় কারে পহু কি সুধায় কোথায় আমার প্রাণনাথ।
ক্ষনে শীতে অঙ্গকম্প ক্ষণে ক্ষণে দেই লম্ফ কাহা পড়ি জাঙ কার সাথ॥
ক্ষণে ঊর্দ্ধবাহু করি নাচি বোলে ফিরি ফিরি ক্ষণে ক্ষণে করয়ে প্রলাপ।
মানে আঁখিজুগ ঝরে হা নাথ বলিয়া কান্দে ক্ষণে ক্ষণে করএ সন্তাপ॥
কহে দাস নরহরি আরে মোর গৌরহরি রাধার পিরিতে হৈল হেন।
ঐছন করিআ চিতে কলিযুগ উদ্ধারিতে বঞ্চিত হইল মুঞি কেন॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২০২-পৃষ্ঠা। এই পদের রচয়িতা কোন
নরহরি তা বলা সম্ভব হয় নি।

॥ পাহিড়া॥

আরে আমার গৌর কিশোর।
নাহি জানে দিবা নিশি                                 কারণ বিহনে হাসি
মনের ভরমে পহুঁ ভোর॥ ধ্রু॥
ক্ষেণে উচ্চৈঃস্বরে গায়                                কারে পহুঁ কি সুধায়
কোথায় আমার প্রাণনাথ।
ক্ষণে শীতে অঙ্গ কম্প                                ক্ষণে ক্ষণে দেই লম্ফ
কাহাঁ পাঙ যাঙ কার সাথ॥
ক্ষণে ঊর্দ্ধবাহু করি                                নাচি বোলে ফিরি ফিরি
ক্ষণে ক্ষণে করয়ে বিলাপ।
ক্ষণে আঁখিযুগ মুন্দে                                  হা নাথ বলিয়া কাঁদে
ক্ষণে ক্ষণে করয়ে সন্তাপ॥
কহে দাস নরহরি                                    আরে মোর গৌরহরি
রাধার পীরিতে হৈল হেন।
ঐছন করিয়া চিতে                                      কলিযুগ উদ্ধারিতে
বঞ্চিত হইনু মুঞি কেন॥

ই পদটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৫২৯-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি এখানেও নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

॥ পাহিড়া॥

আরে মোর গৌর কিশোর।
নাহি জানে দিবানিশি,                                  কারণ বিহনে হাসি,
মনের ভরমে পহুঁ ভোর॥
ক্ষণে উচ্চস্বরে গায়,                                   কারে পহুঁ কি সুধায়,
কোথায় আমার প্রাণ-নাথ।
ক্ষণে শীতে দেহ কম্প,                                ক্ষণে ক্ষণে দেই লম্ফ,
কাহাঁ পাউঁ যাউঁ কার সাথ॥
ক্ষণে ঊর্দ্ধবাহু করি,                                নাচি বোলে ফিরি ফিরি,
ক্ষণে ক্ষণে করয়ে প্রলাপ।
ক্ষেণে আঁখিযুগ মুদে,                                 হা নাথ বলিয়া কান্দে,
ক্ষণে ক্ষণে করয়ে সন্তাপ॥
কহে দাস নরহরি,                                    আরে মোর গৌরহরি,
রাধার পিরীতে হৈল হেন।
ঐছন করিয়া চিতে,                                     কলিযুগ উদ্ধারিতে,
বঞ্চিত হইনু মুঞি কেন॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৪৪-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

॥ তথারাগ॥

আরে আমার গৌর কিশোর।
নাহি জানি দিবা নিশি                                কারণ বিহনে হাসি
মনের ভরমে পহুঁ ভোর॥
ক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে গায়                                কারে পহুঁ কি সুধায়
কোথায় আমার প্রাণনাথ।
ক্ষণে শীতে অঙ্গ কম্প                                ক্ষণে ক্ষণে দেই লম্ফ
কাহা পাঙ যাঙ কার সাথ॥
ক্ষেণে ঊর্দ্ধ্ব বাহু করি                               নাচি বোলে ফিরি ফিরি
ক্ষণে ক্ষণে করয়ে বিলাপ।
ক্ষণে আঁখি যুগ মুন্দে                                হা নাথ বলিয়া কান্দে
ক্ষণে ক্ষণে করয়ে সন্তাপ॥
কহে দাস নরহরি                                    আরে মোর গৌরহরি
রাধার পিরীতে হৈল হেন।
ঐছন করিয়া চিতে                                    কলি যুগ উদ্ধারিতে
বঞ্চিত হৈনু মুই কেন॥

ই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ
সংখ্যা- ২৬, ২৩-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা
হয়েছে।

আরে আমার গৌর কিশোর।
নাহি জানি দিবা নিশি কারণ বিহনে
.        হাসি মনের ভরমে পহুঁ ভোর॥   
ক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে গায় কারে পহুঁ কি
.        সুধায় কোথায় আমার প্রাণনাথ।
ক্ষণে শীতে অঙ্গ কম্প ক্ষণে ক্ষণে দেই
.        লম্ফ কাহা পাঙ যাঙ কার সাথ॥
ক্ষেণে ঊর্দ্ধ্ব বাহু করি নাচি বোলে ফিরি
.        ফিরি ক্ষণে ক্ষণে করয়ে বিলাপ।
ক্ষণে আঁখি যুগ মুন্দে হা নাথ বলিয়া
.        কান্দে ক্ষণে ক্ষণে করয়ে সন্তাপ॥
কহে দাস নরহরি আরে মোর গৌরহরি
.        রাধার পিরীতে হৈল হেন।      
ঐছন করিয়া চিতে কলি যুগ উদ্ধারিতে
.        বঞ্চিত হৈনু মুই কেন॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আওব গৌর পুনহি নদিয়াপুর
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর।
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১২শ পল্লব, ভাবোল্লাস,
পদসংখ্যা ১৯৭০। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই
পদটি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা।

অথ নবদ্বীপ-বাসি-ভক্তগণস্যোক্তিঃ।
॥ ধানশী॥

আওব গৌর পুনহি নদিয়াপুর
হোয়ত মন হি উলাস।
ঐছে আনন্দ-কন্দ কিয়ে হেরব
করবহি কির্ত্তন-বিলাস॥
হরি হরি কব হাম হেরব সো মুখ-চাঁদ।
বিরহ-পয়োধি কবহুঁ দিন পঙরব
টুটব হৃদয়ক ধাঁধ॥ ধ্রু॥
কুন্দন-কনক-কাঁতি কব হেরব
যজ্ঞকি সূত্র বিরাজ।
বাহিযুগল তুলি হরি হরি বোলব
নটন ভকতগণ মাঝ॥
এত কহি নয়ন মুন্দি রহু সব জন
গৌর-প্রেমে ভেল ভোর।
নরহরি দাস আশ কব পূরব
হেরব গৌরকিশোর॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, ১৩৮১টি পদবিশিষ্ট “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪৩৪-পৃষ্ঠায় এই
রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি কোন নরহরির, তা বলা হয়নি।

॥ রাগিণী ধানশ্রী॥ ॥ তাল সমুচিত॥ ॥ গৌরচন্দ্রায় নমঃ॥

আওব গৌর পুনহি নদিয়াপুর হোয়ব ঘনহি উল্লাস।
ঐছে আনন্দকন্দ কিয়ে হোয়ব করবহি কীর্তনবিলাস॥
হরিহরি কব হাম হেরব সো মুখচান্দ।
বিরহপয়োধি কবহ দিন পঙরব টুটব হৃদয় ধন্ধ॥ ধ্রু॥
কুন্তল কনক-কাতি কব হেরব যজ্ঞ কি সূত্র বিরাজ।
বাহুযুগল তুলি হরিহরি বোলব নটবর ভকতগণ মাঝ॥
এত কহি সব জন মুদি রহু নয়ন গৌর প্রেমে ভেল ভোর।
নরহরিদাস আশ কবে পূরব হেরব গৌরকিশোর॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৭০-পৃষ্ঠা। এই পদের রচয়িতা
কোন নরহরি তা বলা সম্ভব হয় নি।

॥ ধানশী॥

আওত গৌর                                পুনহি নদীয়াপুর
হোয়ত মনহি উল্লাস।
ঐছে আনন্দ                                কন্দ দিয়ে হেরব
করবহি কীর্ত্তনবিলাস॥
হরি হরি কব হাম হেরব সো মুখচাঁদ।
বিরহ-পয়োধি                                কবহু দিন পঙরব
টুটব হৃদয়ক ধাঁদ॥ ধ্রু॥
কুন্দ কনক কাঁতি                        কব হাম হেরব
যজ্ঞ কি সূত্র বিরাজ।
বাহুযুগল তুলি                                হরি হরি বোলব
নটন ভকতগণ মাঝ॥
এত কহি নয়ন                                মুদি রহু সবজন
গৌরপ্রেমে ভেল ভোর।
নরহরি দাস                                আশ কব পূরব
হেরব গৌরকিশোর॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ত্রিভুবন-মনোহর শচীর নন্দন মোর
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর।
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শ পল্লব,
শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২৪১। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র
রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা।

॥ ভাটিয়ারি॥

ত্রিভুবন-মনোহর                                শচীর নন্দন মোর
নদীয়া নগরে যার বাস।
সকল সম্পদ ছাড়ি                                সন্ন্যাস গ্রহণ করি
নীলাচলে জগন্নাথ পাশ॥
যে চাঁচর কেশ দেখি                          মোহ যায় রতি-পতি
মুণ্ডন করিল হেন কেশ।
কনক অঙ্গ বালা                                মণি মুকুতার মালা
তেয়াগিয়া সে মোহন বেশ॥
জীবে হৈয়া দয়াবান                            সভে দিয়া হরিনাম
পরম পাতকী উদ্ধারয়ে।
দেবের দুর্ল্লভ যে                              লক্ষ্মী আদি বাঞ্ছে সে
প্রেম পতিতে বিতরয়ে॥
সকল ভকত সঙ্গে                                সংকীর্ত্তন-মহারঙ্গে
বিহার করয়ে সিন্ধু-তীরে।
স্বরূপ রূপ রামানন্দ                            গোবিন্দ পরমানন্দ
মিলিলা সকল সহচরে॥
কহে দাস নরহরি                                আমার গৌরহরি
রাধার পিরিতে হৈল হেন।
এমন প্রেমের বন্যা                                জগত হইল ধন্যা
বঞ্চিত হইলুঁ মুঞি কেন॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৬৩-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এই
পদের রচয়িতা কোন নরহরি তা বলা সম্ভব হয় নি।

॥ ভাটিয়ারি॥

ত্রিভুবন-মনোহর                                 শচীর নন্দন মোর
নদীয়ানগরে যার বাস।
সকল সম্পদ ছাড়ি                                সন্ন্যাস গ্রহণ করি
নীলাচলে জগন্নাথ পাশ॥
যে চাঁচর কেশ দেখি                            মোহ যায় রতিপতি
মুণ্ডন করিল হেন কেশ।
কনক অঙ্গদ বালা                               মণি মুকুতার মালা
তেয়াগিয়া সে মোহন বেশ॥
জীবে হৈয়া দয়াবান                             সভে দিয়া হরিনাম
পরম পাতকী উদ্ধারয়ে।
দেবের দুর্লভ যে                                লক্ষ্মী আদি বাঞ্ছে সে
প্রেম পতিতে বিতরয়ে॥
সকল ভকত সঙ্গে                                সংকীর্ত্তন মহারঙ্গে
বিহার করয়ে সিন্ধুতীরে।
স্বরূপ রামানন্দ                                  গোবিন্দ পরমানন্দ
মিলিলা সকল সহচরে॥
কহে দাস নরহরি                                   আমার গৌরহরি
রাধার পিরিতে হৈল হেন।
এমন প্রেমের বন্যা                                  জগত হইল ধন্যা
বঞ্চিত হইনু মুই কেন॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
অনুপাম গোরা অবতার
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর।
আনুমানিক ১৭৫০ সালে বৈষ্ণবদাস ( গোকুলানন্দ সেন ) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের, সটীক সংস্করণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ (১৯২৩), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২১শ পল্লব,
শ্রীগৌরাঙ্গের সন্ন্যাস ইত্যাদি, পদসংখ্যা ২২৮৮। শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর ৫ম খণ্ডের ভূমিকায় দেওয়া সতীশচন্দ্র
রায়ের নির্দেশ অনুসারে এই পদটি নরহরি সরকার ঠাকুরের রচনা। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত
পদরসসার পুথির ২৩৯২ সংখ্যক পদ।

॥ ভাটিয়ারি॥

অনুপাম গোরা অবতার।
নবধা ভকতি-রস                                  বিস্তারিলা সব দেশ
না করিলা জাতির বিচার॥ ধ্রু॥
এমন ঠাকুর ভজ                                     দূর কর সব কাজ
ছাড় সব মিছা অভিলাষ।
চৈতন্যচাঁদের গুণে                                আলো কৈল ত্রিভুবনে
অনায়াসে হৈল পরকাশ॥
চৈতন্য-কলপতরু                                    অখিল-জীবের গুরু
গোলোক-বৈভব সব সঙ্গে।
জীবেরে মলিন দেখি                                হৈয়া সকরুণ-আঁখি
হরি-নাম বিলাইল রঙ্গে॥
যজ্ঞ জপ ধ্যান পূজা                                অন্য যুগে যত প্রজা
সাধিলেক অতি বড় দুখে।
এই যে কলি-যুগ-নরে                               যত পাপ তাই করে
নাম লৈয়া তরি গেল সুখে॥
করুণা-বিগ্রহ সার                                   তুলনা কি দিব আর
পতিতের পূরাইল আশ।
কিছু না বুঝিয়া চিতে                            কান্দিয়া কান্দিয়া পথে
গুণ গায় নরহরি দাস॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এই
পদের রচয়িতা কোন নরহরি তা বলা সম্ভব হয় নি।

॥ বরাড়ী॥

অনুপম গোরা অবতার।
নবধা ভকতি রসে                                বিস্তারিলা সব দেশে
না করিল জাতির বিচার॥ ধ্রু॥
এমন ঠাকুর ভজ                                      দূর কর সব কাজ
ছাড় সব মিছা অভিলাষ।
চৈতন্যচাঁদের গুণে                                আলো করে ত্রিভুবনে
অনায়াসে হৈল পরকাশ॥
চৈতন্য কল্পতরু                                      অখিল জীবের গুরু
গোলোক-বৈভব সব সঙ্গে।
জীবেরে মলিন দেখি                                   হৈয়া করুণ-আঁখি
হরিনাম বিলাইল রঙ্গে॥
যজ্ঞ জপ ধ্যান পূজা                                 অন্য যুগে যত পূজা
সাধিলেক অতি বড় দুখে।
এই যে কলির ঘোরে                                নরে যত পাপ করে
নাম লৈঞা তরি যায় সুখে॥
করুণা-বিগ্রহ-সার                                   তুলনা কি দিব আর
পতিতের পূরাইল আশ।
কিছু না বুঝিয়া চিত্তে                              কাঁদিয়া কাঁদিয়া পথে
গুণ গায় নরহরি দাস॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ব্রজভূমি করি শূন্য নদীয়ায় অবতীর্ণ
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ১৪১-
পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

অবতার রহস্য।
॥ তথারাগ॥

ব্রজভূমি করি শূন্য                                নদীয়ায় অবতীর্ণ
এতেক তোমার চতুরাল।
দুঃখ দিয়া নিরন্তর                               বর্ণ করি ভাবান্তর
পুনঃ বাঢ়াও বিরহ জঞ্জাল॥
নাহি শিখিপুচ্ছ চূড়া                              নাই সেই পীতধড়া
করে নাই মোহন বাঁশরি।
যে বাঁশরি করি গান                             বধিলে গোপীর প্রাণ
সে বাঁশরী কোথা গৌরহরি॥
নাহি সে বাঁকা নয়ন                               এবে হেরি সুলোচন
নাই সে ভঙ্গিমা বাঁকা নাই।
যদি দিলে দরশন                                  এরূপে ভুলে না মন
তুমি সেই ব্রজের কানাই॥
কহে নরহরি দাস                                      যার নাই বিশ্বাস
সে আসিয়া দেখুক নয়নে।
সে দিনের সেই কথা                                বলিতে মরমে ব্যথা
যে হইল উভয় মিলনে॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ১৪১-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

অবতার রহস্য।
॥ তথারাগ॥

ব্রজভূমি করি শূন্য                                নদীয়ায় অবতীর্ণ
এতেক তোমার চতুরাল।
দুঃখ দিয়া নিরন্তর                                বর্ণ করি ভাবান্তর
পুনঃ বাঢ়াও বিরহ জঞ্জাল॥
নাহি শিখিপুচ্ছ চূড়া                              নাই সেই পীতধড়া
করে নাই মোহন বাঁশরি।
যে বাঁশরি করি গান                             বধিলে গোপীর প্রাণ
সে বাঁশরী কোথা গৌরহরি॥
নাহি সে বাঁকা নয়ন                             এবে হেরি সুলোচন
নাই সে ভঙ্গিমা বাঁকা নাই।
যদি দিলে দরশন                                এরূপে ভুলে না মন
তুমি সেই ব্রজের কানাই॥
কহে নরহরি দাস                                   যার নাই বিশ্বাস
সে আসিয়া দেখুক নয়নে।
সে দিনের সেই কথা                            বলিতে মরমে ব্যথা
যে হইল উভয় মিলনে॥

ই পদটি ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, পদ
সংখ্যা-৪৫, ২৭-পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে এই পদটি নরহরি কবিরাজ অর্থাৎ চৈতন্য
সমসাময়িক কবি নরহরি সরকারের পদ বলে বলা হয়েছে।

ব্রজভূমি করি শূন্য নদীয়ায় অবতীর্ণ
এতেক তোমার চতুরাল।
দুঃখ দিয়া নিরন্তর বর্ণ করি ভাবান্তর
পুনঃ বাঢ়াও বিরহ জঞ্জাল॥
নাহি শিখিপুচ্ছ চূড়া নাই সেই
পীতধড়া করে নাই মোহন বাঁশরি।
যে বাঁশরি করি গান বধিলে গোপীর
প্রাণ সে বাঁশরী কোথা গৌরহরি॥
নাহি সে বাঁকা নয়ন এবে হেরি সুলোচন
নাই সে ভঙ্গিমা বাঁকা নাই।
যদি দিলে দরশন এরূপে ভুলে না মন
তুমি সেই ব্রজের কানাই॥
কহে নরহরি দাস যার নাই বিশ্বাস
সে আসিয়া দেখুক নয়নে।
সে দিনের সেই কথা বলিতে মরমে ব্যথা
যে হইল উভয় মিলনে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ শচীনন্দন জগত জীবন
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি সরকার ঠাকুর
১৯০৫ সালে প্রকাশিত, দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৫২৯-পৃষ্ঠা।  
এখানে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বলা হয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

দেখ শচীনন্দন,                                   জগত জীবন,
অনুক্ষণ প্রেমধন জগজন যাচে।
ভাবে বিভোর বর,                        গৌর তনু পুলকিত,
সঘনে বোলাঞা হরি গোরা পহুঁ নাচে।
সব অবতার সার গোরা অবতার।
হেন বরণ জিনি,                               নিরূপ তনুখানি,
অরুণ নয়ানে বহে প্রেমধার॥
বৃন্দাবন গুণশুনি,                           লুঠত সে দ্বিজ-মণি,
ভাব-ভরে গর গর পহুঁ মোর হাসে।
কাশীশ্বর অভিরাম,                         পণ্ডিত পুরুষোত্তম,
গুণগান করতহিঁ নপহরি দাসে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৫৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই
পদের রচয়িতা কোন নরহরি তা বলা হয় নি।

॥ বেলোয়ার॥

দেখ শচীনন্দন                                জগতজীবনধন
অনুক্ষণ প্রেমধন জগজন যাচে।
ভাবে বিভোর বর                        গৌর তনু পুলকিত
সঘনে বোলিয়া হরি গোরা পহুঁ নাচে।
সব অবতারসার গোরা অবতার।
হেন বরণ জিনি                                নিরূপ তনুখানি
অরুণ নয়ানে বহে প্রেমক ধার॥ ধ্রু॥
বৃন্দাবন-গুণ শুনি                        লুঠত সে দ্বিজমণি
ভাবভরে গর গর পহুঁ মোর হাসে।
কাশীশ্বর অভিরাম                        পণ্ডিত পুরুষোত্তম
গুণ গান করতহি নরহরি দাসে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরা মোর শুধুই কাঁচা সোণা
ভণিতা নরহরি দাস
১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২০-পৃষ্ঠা। এই পদের রচয়িতা কোন কবি নরহরি তা বলা সম্ভব
হয় নি। নরহরি সরকার ও নরহরি চক্রবর্তী ছাড়াও অন্য কোনো কবি নরহরির পদ কি না তাও বা কে
বলতে পারে!

॥ গান্ধার॥

গোরা মোর শুধুই কাঁচা সোণা
যতনে করহ লাভ                                   ধনী হইবার যার
মরমেতে আছয়ে বাসনা॥ ধ্রু॥
হেন নিকষিত হেম                               ভুবনে না মিলে আর
অতুলন গোরা দ্বিজমণি।
সাতটী রাজার ধন                                একেক মাণিক নাকি
এ মাণিকের মূল্য নাহি জানি॥
গোলোক বৈকুণ্ঠপুরে                                 এ ধন গোপন ছিল
শ্রীরাধার প্রেম কোটরায়।
জীবের নিস্তার হেতু                                শান্তিপুরনাথ তাহে
হুঙ্কারে আনিল নদীয়ায়॥
নরহরি দাস ভণে                                জীবের কপাল গুণে
হইল গৌরাঙ্গ অবতার।
বিনামূলে গোরাধন                                যদি কর আকিঞ্চন
আয় নিতাইর প্রেমের বাজার॥

.            *************************             

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর