কবি রাজা লক্ষ্মণ সেনের বৈষ্ণব পদাবলী |
বোলো হো বোলো হো উদ্ধব মাধবে কবি রাজা লক্ষ্মণ সেন শ্রীপাদ হরিদাস গোস্বামী সম্পাদিত, নবদ্বীপধাম থেকে ১৯২৩ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত, “শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া-গৌরাঙ্গ” মাসিক পত্রিকার, ১ম বর্ষের, ৪র্থ সংখ্যার, ৭০-পৃষ্ঠায় এই পদটি দেওয়া রয়েছে। পদটি আউল মনোহর দাস সংকলিত, ১৫০০০পদ সম্বলিত “পদসমুদ্র” গ্রন্থের পদ বলে উল্লিখিত রয়েছে। যদি সত্যিই এই পদটি রাজা লক্ষ্মণ সেনের রচিত পদ হয়, তা হলে এই পদটিই, চর্যাপদের পরে, বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম কবিতা বা পদের দাবীদার! উপরোক্ত পত্রিকায়, সম্পাদক “রাজা লক্ষ্মণ সেন রচিত একটী প্রাচীন পদ” শীর্ষক অনুপ্রবন্ধে লিখেছেন --- নিম্নলিখিত প্রাচীন পদটী মুখে মুখে এত দিন গীত হইয়া আসিতেছে, এইটির মত প্রাচীন বাংলা পদ বোধ হয় নাই। কৃষ্ণবিরহবিধুরা ব্রজগোপীগণ উদ্ধবকে বলিতেছেন,--- বোলো হো বোলো হো উদ্ধব মাধবে। আমরা যে ভাবে, কৃষ্ণের অভাবে সদা স্মরণ করিহে কাল, নাহি মানি কালাকাল, বিনা সেই কালের কাল, আছি হে মৌনভাবে। দেখ ছিন্ন ভিন্ন বৃন্দাবন, বহে না সমীরণ, বৃক্ষোপরি পিকগণ, আছে নীরবে। দেখ ব্রজ বধুচয়, স্বচক্ষেতে সমুদয় পাগলিনী প্রায় সব ভাবে। লক্ষণ ভূপে কয়, একথা মিথ্যা নয় এখন পরিহরি রাই কিশোরী, পেয়েছে কুব্জা নারী, ব্রজনাথ ব্রজপুরী কেন আসিবে॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |