কবি গোপীকান্তর বৈষ্ণব পদাবলী
*
রাধা মাধব সহচরি সাথ
ভণিতা গোপিকান্ত দাস
কবি গোপীকান্ত দাস
এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল), ১ম খণ্ড,
২য় শাখা, ২২শ পল্লব, কারণাভাস মান, ৫৯৭-পদসংখ্যায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ নট রাগ॥

রাধা মাধব সহচরি সাথ।
কত কত উপজয়ে রসময় বাত॥
না জানিয়ে প্রেম-কলহ কিয়ে ভেল।
নিজ প্রতিবিম্ব-ভানে দুহুঁ গেল॥
চীত-পুতলি সম সহচরি থারি।
কি কহব বচন কহই নাহি পারি॥
দুহুঁ জন ভেল অকারণ মান।
এক দিশে সুন্দরি আর দিশে কান॥
বন মাহা দুহুঁ পরবেশল যাই।
এক তরুর মুলে বৈঠলি রাই॥
একলি রোয়ত অবনত শীর।
ঝর ঝর নয়নে গলয়ে ঘন নীর॥
ভ্রমি ভ্রমি মাধব আওল তাই।
হেরল তরু-মুলে রোয়ত রাই॥
কানুক নয়নে ঝরয়ে তব লোর।
ধিরে ধিরে যাই রাই করু কোর॥
কহ গোপিকান্ত দাস কিয়ে ভেলি।
অদভুত দুহুঁক প্রেম-রস-কেলি॥

ই পদটি উনিশ শতকে প্রকাশিত, নিমানন্দ দাস সংকলিত “পদরসসার” পুথির
৭৮১-পদসংখ্যায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। আমরা পুথিটি হাতে পাইনি।
সতীশচন্দ্র রায়ের পদকল্পতরুর টীকা-পাঠান্তর দেখে এখানে উপস্থাপন করা হলো।

॥ নট রাগ॥

রাধা মাধব সহচরি সাথ।
কত কত উপজয়ে রসময় বাত॥
না জানিয়ে প্রেম-কলহ কিয়ে ভেল।
নিজ প্রতিবিম্ব-ভানে দুহুঁ গেল॥
চীত-পুতলি সম সহচরি থারি।
কি কহব বচন কহই না পারি॥
দুহুঁ জন ভেল অকারণ মান।
এক দিশে সুন্দরি আর দিশে কান॥
বন মাহা দুহুঁ পরবেশল যাই।
এক তরুর মুলে বৈঠলি রাই॥
একলি রোয়ত অবনত শির।
ঝর ঝর নয়নে গলয়ে ঘন নীর॥
ভ্রমি ভ্রমি মাধব আওল তাই।
হেরল তরু-মুলে রোয়ত রাই॥
কানুক নয়নে ঝরয়ে তব লোর।
ধীরে ধীরে যাই রাই করু কোর॥
কহ গোপীকান্ত দাস কিয়ে ভেলি।
অদভুত দুহুঁক প্রেম-রস-কেলি॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৮৮৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধাকৃষ্ণের অকারণ মান
॥ নটরাগ॥

রাধা মাধব সহচরি সাথ।
কত কত উপজয়ে রসময় বাত॥
না জানিয়ে প্রেম কলহ কিয়ে ভেল।
নিজ প্রতিবিম্ব ভানে দুহুঁ গেল॥
চীত পুতলি সম সহচরি থারি।
কি কহব বচন কহই নাহি পারি॥
দুহুঁ জন ভেল অকারণ মান।
এক দিশে সুন্দরি আর দিশে কান॥
বন মাহা দুহুঁ পরবেশল যাই।
এক তরুর মুলে বৈঠলি রাই॥
একলি রোয়ত অবনত শির।
ঝর ঝর নয়নে গলয়ে ঘন নীর॥
ভ্রমি ভ্রমি মাধব আওল তাই।
হেরল তরু-মুলে রোয়ত রাই॥
কানুক নয়নে ঝরয়ে তব লোর।
ধীরে ধীরে যাই রাই করু কোর॥
কহ গোপীকান্ত দাস কিয়ে ভেলি।
অদভুত দুহুঁক প্রেম রস কেলি॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রর মহাজন
পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৪৯৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পুনশ্চ দিনান্তরে
॥ নটরাগ - চন্দ্রশেখর তাল॥

রাধা মাধব সহচরি সাথ।
কত কত উপজয়ে রসময় বাত॥
না জানিয়ে প্রেম-কলহ কিয়ে ভেল।
নিজ প্রতিবিম্ব ভাণে দুহুঁ গেল॥
চীত পুতলি সম সহচরি থারি।
কি কহব বচন কহই নাহি পারি॥
দুহুঁ জন ভেল অকারণ মান।
এক দিশে সুন্দরি আর দিশে কান॥
বন মাহা দুহুঁ পরবেশল যাই।
এক তরুর মূলে বৈঠলি রাই॥
একলি রোয়ত অবনত শীর।
ঝর ঝর নয়নে গলয়ে ঘন নীর॥
ভ্রমি ভ্রমি মাধব আওল তাই।
হেরল তরু মুলে রোয়ত রাই॥
কানুক নয়নে ঝরয়ে তব লোর।
ধিরে ধিরে যাই রাই করু কোর॥
কহ গোপীকান্তদাস কিয়ে ভেলি।
অদভুত দুহুঁক প্রেমরস-কেলি॥

ই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব
পদাবলী", ৪০৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রাধা মাধব সহচরি সাথ।
কত কত উপজয়ে রসময় বাত॥
না জানিয়ে প্রেম কলহ কিয়ে ভেল।
নিজ প্রতিবিম্ব ভাণে দুহুঁ গেল॥
চীত পুতলি সম সহচরি থারি।
কি কহব বচন কহই নাহি পারি॥
দুহুঁ জন ভেল অকারণ মান।
এক দিশে সুন্দরি আর দিশে কান॥
বন মাহা দুহুঁ পরবেশল যাই।
এক তরুর মূলে বৈঠলি রাই॥
একলি রোয়ত অবনত শীর।
ঝর ঝর নয়নে গলয়ে ঘন নীর॥
ভ্রমি ভ্রমি মাধব আওল তাই।
হেরল তরু মুলে রোয়ত রাই॥
কানুক নয়নে ঝরয়ে তব লোর।
ধিরে ধিরে যাই রাই করু কোর॥
কহ গোপীকান্ত দাস কিয়ে ভেলি।
অদভুত দুহুঁক প্রেম রস কেলি॥

.        *************************       
.                                                                               
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
চিত পুতলি সম সহচরি থারি
ভণিতা গোপিকান্ত দাস
কবি গোপীকান্ত দাস
এই পদটি উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত দ্বিজ মাধব সংকলিত, বিশ্বভারতীর
গ্রন্থশালার, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৫১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি “রাধা মাধব
সহচরি সাথ” পদের প্রথম চারটি কলি বাদ দিয়ে বাকি অংশ।

চিত পুতলি সম সহচরি থারি। কি কহব বচন কহই নাহি পারি॥
দুহু জন ভেল অকারণ মান। এক দিশে সুন্দরী আর দিশে কান॥
বন মাহা দুহু পরবেসল জাই। এক তরুবরমুলে বৈঠলি রাই॥
একলি রোওত অবনত শির। ঝর ঝর নয়নে গলএ ঘন নীর॥
ভ্রমি ভ্রমি মাধব আওল তাই। হেরত তরুমুলে রোওত রাই॥
কানুক নয়নে ঝরএ তব লোর। ধীরে ধীরে জাই রাই করূ কোর॥
কহে গোপীকান্তদাস কি এ ভেলি। অদভুত দুহুঁক প্রেমরসকেলি॥

.        *************************       
.                                                                               
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ঢূঁড়য়ে সবহু সখীগণ মেলি
ভণিতা গোপিকান্ত
কবি গোপীকান্ত দাস
এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯২২ সাল), ১ম খণ্ড,
২য় শাখা, ২২শ পল্লব, কারণাভাস মান, ৫৯৮-পদসংখ্যায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিহগড়া॥

ঢূঁড়য়ে সবহু সখীগণ মেলি।
যাহাঁ দুহুঁ রোয়ত তাহি সভে গেলি॥
হেরল দুহুঁ জন রহু এক ঠাম।
রোয়ত সুন্দরি কোরহি শ্যাম॥
কহ গদ-গদ তব নাগর কান।
কাহে তুহুঁ রোয়সি কাহে করু মান॥
মোছই বদন আপন পিতবাসে।
দূরহি সহচরিগণ হেরি হাসে॥
সখিগণ মুখ যব হেরল রাই।
লাজহি অবনত কানু-মুখ চাই॥
ঊঠি চলল দুহুঁ সখিগণ দেখি।
তুরিতহিঁ মীলল দুহুঁ পরতেকি॥
লাজহি দুহুঁ কছু না কহয়ে ভাষ।
কহ গোপিকান্ত পুরল মন আশ॥

ই পদটি উনিশ শতকে প্রকাশিত, নিমানন্দ দাস সংকলিত “পদরসসার” পুথির
৭৮২-পদসংখ্যায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে। আমরা পুথিটি হাতে পাইনি। সতীশচন্দ্র
রায়ের পদকল্পতরুর টীকা-পাঠান্তর দেখে এখানে উপস্থাপন করা হলো।

॥ বিহগড়া॥

ঢুড়য়ে সকল সখীগণ মেলি।
যাহাঁ দুহুঁ রোয়ত তাহাঁ চলি গেলি॥
হেরল দুহুঁ জন রহু এক ঠাম।
রোয়ত সুন্দরি কোরহি শ্যাম॥
কহ গদ-গদ তব নাগর কান।
কাহে তুহুঁ রোয়সি কাহে করু মান॥
মোছই অঙ্গ আপন পিতবাসে।
দূরহি সহচরিগণ হেরি হাসে॥
সখিগণ মুখ যব হেরল রাই।
লাজহি অবনত কানু-মুখ চাই॥
উঠি চলল দুহুঁ সখিগণ দেখি।
তুরিতহুঁ মীলল দুহুঁ পরতেকি॥
লাজহি দুহুঁ কছু না কহয়ে ভাষ।
কহ গোপীকান্ত পুরল মন আশ॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৮৮৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিহগড়া॥

ঢুঁড়য়ে সবহু সখীগণ মেলি।
যাহাঁ দুহুঁ রোয়ত তাহি সভে গেলি॥
হেরল দুহুঁ জন রহুঁ এক ঠাম।
রোয়ত সুন্দরি কোরহি শ্যাম॥
কহ গদগদ তব নাগর কান।
কাহে তুহুঁ রোয়সি কাহে করু মান॥
মোছই বদন আপন পিতবাসে।
দূরহি সহচরিগণ হেরি হাসে॥
সখিগণ মুখ যব হেরল রাই।
লাজহি অবনত কানু-মুখ চাই॥
উঠি চলল দুহুঁ সখিগণ দেখি।
তুরিতুহি মিলল দুহুঁ পরতেখি॥
লাজহি দুহুঁ কছু না কহয়ে ভাষ।
কহ গোপীকান্ত পুরল মন আশ॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রর মহাজন
পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৪৯৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ করুণ বরাড়ী - জপতাল॥

ঢুঁড়য়ে সবহু সখীগণ মেলি।
যাঁহা দুহু রোয়ত তাহি সবে গেলি॥
হেরল দুহু জন রহু এক ঠাম।
রোয়ত সুন্দরি কোরহি শ্যাম॥
কহ গদ গদ তব নাগর কান।
কাহে তুহুঁ রোয়সি কাহে করু মান॥
মোছই বদন আপন পীতবাসে।
দূরহি সহচরিগণ হেরি হাসে॥
সখিগণ মুখ সব হেরল রাই।
লাজহি অবনত কানু মুখ চাই॥
উঠি চলল দুহুঁ সখিগণ দেখি।
তুরিতহি মীলল দুহুঁ পরতেকি॥
লাজহি দুহুঁ কছু না কহয়ে ভাষ।
কহ গোপিকান্ত পুরল মন আশ॥

ই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব
পদাবলী", ৪০৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

ঢুঁড়য়ে সবহু সখীগণ মেলি।
যাহাঁ দুহুঁ রোয়ত তাহি সভে গেলি॥
হেরল দুহুঁ জন রহুঁ এক ঠাম।
রোয়ত সুন্দরি কোরহি শ্যাম॥
কহ গদগদ তব নাগর কান।
কাহে তুহুঁ রোয়সি কাহে করু মান॥
মোছই বদন আপন পিতবাসে।
দূরহি সহচরিগণ হেরি হাসে॥
সখিগণ মুখ যব হেরল রাই।
লাজহি অবনত কানু মুখ চাই॥
উঠি চলল দুহুঁ সখিগণ দেখি।
তুরিতুহি মিলল দুহুঁ পরতেখি॥
লাজহি দুহুঁ কছু না কহয়ে ভাষ।
কহ গোপীকান্ত পুরল মন আশ॥

.        *************************       
.                                                                               
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পহুঁ দ্বিজ রাজ বর মুরতি মনোহর
প্রভু দ্বিজরাজ বর মুরতি মনোহর
ভণিতা গোপিকান্ত
কবি গোপীকান্ত দাস
এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল), ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ২৫শ পল্লব, শ্রীগৌরভক্তবৃন্দের
চরিত্র-বর্ণন, ২৩৮২-পদসংখ্যায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

পহুঁ-দ্বিজ-রাজ-বর                মুরতি মনোহর
রত্নাকর করি জান।
প্রভু শ্রীনিবাস                      প্রকাশ-স্বরূপ
হরি-নাম করতহিঁ গান॥
কনক-বরণ তনু                 প্রেম-মুরতি জনু
কণ্ঠহি তুলসিক মাল।
গৌর-প্রেম-ভরে               অহনিশি আঁখি ঝুরে
হেরি কাঁপয়ে কলি-কাল॥
শ্রীমদ্ভাগবত                       উজ্জ্বল-গ্রন্থ যত
দেশে দেশে করিলা প্রচার।
পাষণ্ড অধমগণে                  করুণাবলোকনে
সভাকারে কয়ল উদ্ধার॥
ভক্ত-প্রিয়োত্তম                    ঠাকুর নরোত্তম
রামচন্দ্র প্রিয় দাস।
আধম নিতান্ত গোপী-             কান্ত হৃদয়ে পহু
চরণ করহ পরকাশ॥

ই পদটি উনিশ শতকে প্রকাশিত, নিমানন্দ দাস সংকলিত “পদরসসার” পুথির ২৪৮৫-পদসংখ্যায় এই
রূপে দেওয়া রয়েছে। আমরা পুথিটি হাতে পাইনি। সতীশচন্দ্র রায়ের পদকল্পতরুর টীকা-পাঠান্তর দেখে
এখানে উপস্থাপন করা হলো।

॥ তথা রাগ॥

পহুঁ-দ্বিজ-রাজ-বর                     মুরতি মনোহর
রত্নাকর করি জান।
প্রভু শ্রীনিবাস                         প্রকাশল-স্বরূপ
হরি-নাম করতহিঁ গান॥
কনক-বরণ তনু                      প্রেম-মুরতি জনু
কণ্ঠহি তুলসিক মাল।
গৌর-প্রেম-ভরে                 অহনিশি আঁখি ঝুরে
হেরি কাঁপয়ে কলি-কাল॥
শ্রীমদ্ভাগবত                           উজ্জ্বল-গ্রন্থ যত
দিনে দিনে করিলা প্রচার।
পাষণ্ড অধমগণে                      করুণাবলোকনে
সভাকারে কয়ল উদ্ধার॥
ভক্ত-প্রিয়োত্তম                        ঠাকুর নরোত্তম
রামচন্দ্র প্রিয় দাস।
অধম নিতান্ত গোপী-                 কান্ত হৃদয়ে পহু
চরণ করহ পরকাশ॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৬ষ্ঠ তরঙ্গ, ৩য় উচ্ছ্বাস, ৩১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী বা মঙ্গল॥

প্রভু দ্বিজরাজ বর                    মুরতি মনোহর
রত্নাকর করি জান।
প্রভু শ্রীনিবাস                      প্রকাশিল হরিনাম
স্বরূপ কর তাহা ২ গান॥
কনকবরণ তনু                        প্রেমরতন জনু
কণ্ঠহি তুলসীক মাল।
গৌর প্রেমভরে                 অহর্নিশি আঁখি ঝুরে
হেরি কাঁপয়ে কলিকাল॥
শ্রীমদ্ভাগবত                          উজ্জ্বল গ্রন্থ যত
দেশে দেশে করিলা প্রচার।
পাষণ্ড অধম জনে                 করু অবলোকনে
সবাকারে করল উদ্ধার॥
ভকত প্রিয়তম                      ঠাকুর নরোত্তম
রামচন্দ্র প্রিয় দাস।
অধম নিতান্ত                   গোপীকান্ত হৃদয়ে পহু
চরণ পহুঁ কর পরকাশ॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“বৈষ্ণব পদাবলী”, ৮৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীনিবাস বন্দনা
॥ তথারাগ॥

পহুঁ দ্বিজ-রাজ-বর                     মুরতি মনোহর
রত্নাকর করি জান।
প্রভু শ্রীনিবাস                            প্রকাশ স্বরূপ
হরিনাম করতহি গান॥
কনক বরণ তনু                      প্রেম মুরতি জনু
কণ্ঠহি তুলসিক মাল।
গৌর প্রেম ভরে                 অহনিশি আঁখি ঝুরে
হেরি কাঁপয়ে কলি কাল॥
শ্রীমদ্ভাগবত                          উজ্জ্বল গ্রন্থ যত
দেশে দেশে করিলা প্রচার।
পাষণ্ড অবোধগণে                   করুণাবলোকনে
সভাকারে কয়ল উদ্ধার॥
ভকত প্রিয়োত্তম                     ঠাকুর নরোত্তম
রামচন্দ্র প্রিয় দাস।
অধম নিতান্ত গোপী                 কান্ত হৃদয়ে পহুঁ
চরণ করহ পরকাশ॥

ই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব পদাবলী",
৪০৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পহুঁ দ্বিজ-রাজ-বর মুরতি মনোহর                
রত্নাকর করি জান।
প্রভু শ্রীনিবাস প্রকাশ স্বরূপ                      
হরিনাম করতহি গান॥
কনক বরণ তনু প্রেম মুরতি জনু                
কণ্ঠহি তুলসিক মাল।
গৌর প্রেম ভরে অহনিশি আঁখি ঝুরে             
হেরি কাঁপয়ে কলি কাল॥
শ্রীমদ্ভাগবত উজ্জ্বল গ্রন্থ যত                      
দেশে দেশে করিলা প্রচার।
পাষণ্ড অবোধগণে করুণাবলোকনে                
সভাকারে কয়ল উদ্ধার॥
ভকত প্রিয়োতম ঠাকুর নরোত্তম                  
রামচন্দ্র প্রিয় দাস।
অধম নিতান্ত গোপী কান্ত হৃদয়ে পহুঁ                
চরণ করহ পরকাশ॥

.        *************************       
.                                                                               
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
অহে নাথ মো বড় পাতকী দুরাচার
ওহে নাথ মো বড় পাতকী দুরাচার
রাধানাথ মো বড় পাতকী দুরাচার
ভণিতা গোপিকান্ত
কবি গোপীকান্ত দাস
এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের (১৯২৭ সাল), ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা ২য় ভাগ, ৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা,
৩০৩১-পদসংখ্যায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

অহে নাথ মো বড় পাতকী দুরাচার।
তোমার সে শ্রীচরণ না করিলুঁ আরাধন
বৃথা দেহ বহি ফিরি ভার॥ ধ্রু॥
দারুণ-বিষয়-কীট হইলুঁ পাইয়া মীঠ
বিষ হেন জ্ঞান নাহি হয়।
তোমার ভকত সঙ্গে তব নামামৃত-রঙ্গে
হত-চিত তাহে না ডুবয়॥
তুমি সে করুণা-সিন্ধু জগত-জীবন-বন্ধু
নিজ-কৃপা-বলে যদি লেহ।
পতিত-পাবন নাম ঘোষণা রহিবে শ্যাম
জগতে করিবে এই থেহ॥
এই কৃপা কর প্রভু তুয়া ভক্ত-সঙ্গ কভু
না ছাড়িয়ে জীবন মরণে।
তব লীলা-গান-গুণে ডুবুক আমার মনে
গোপীকান্ত করে নিবেদন॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), পরিশিষ্ট প্রথম, ৩৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ পাহিড়া॥

ওহে নাথ মো বড় পাতকী দুরাচার।
তোমার সে শ্রীচরণ                  না করিলুঁ আরাধন
বৃথা বহি ফিরি দেহভার॥ ধ্রু॥
দারুণ বিষয়কীট                       হইনু পাইনু মিঠ
বিষ হেন জ্ঞান নাহি হয়।
তোমার ভকত সঙ্গে                  তব নামামৃতরঙ্গে
হতচিত তাহে না ডুবয়॥
তুমি সে করুণাসিন্ধু                     জগতজীবন বন্ধু
নিজ কৃপাবলে যদি লেহ।
পতিতপাবন নাম                    জগতে রহিবে শ্যাম
জগতে করিবে এই যেহ॥
এই কৃপা কর প্রভু                   তুয়া ভক্ত সঙ্গ কভু
না ছাড়িয়ে জীবনে মরণে।
তব লীলাগুণগানে                     ডুবুক আমার মনে
গোপীকান্ত করে নিবেদনে॥

ই পদটি ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপচন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রর মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৩য় খণ্ড, ৬৯০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই - একতালা॥

রাধানাথ মো বড় পাতকী দুরাচার।
তোমার সে শ্রীচরণ,                   না করিনু আরাধন,
বৃথা ফিরি বহি দেহ ভার॥
দারুণ বিষয় কীট,                        হইনু পাইয়া মিঠ,
বিষ হেন জ্ঞান নাহি হয়।
তোমার ভকত সঙ্গে,                    তব কথামৃত রঙ্গে,
হতচিত তাহে না ডুবায়॥
তুমি সে করুণাসিন্ধু,                       জগত জীবন বন্ধু,
নিজ কৃপাবলে যদি লেহ।
পতিতপাবন নাম,                       ঘোষণা রহিবে শ্যাম,
জগতে করিবে এই থেহ॥
এই কৃপা কর প্রভু,                      তুয়া ভক্ত-সঙ্গ কভু,
না ছাড়িব জীবনে মরণে।
তব লীলাগণগুণে,                        ডুবুক আমার মনে,
গোপীকান্ত করে নিবেদনে॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“বৈষ্ণব পদাবলী”, ৪০৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

প্রার্থনা
॥ তথারাগ॥

অহে নাথ মো বড় পাতকী দুরাচার।
তোমার সে শ্রীচরণ না করিলুঁ আরাধন
বৃথা দেহ বহি ফিরি ভার॥
দারুণ বিষয়কীট হইলুঁ পাইয়া মীঠ
বিষ হেন জ্ঞান নাহি হয়।
তোমার ভকত সঙ্গে তব নামামৃত-রঙ্গে
হত চিত তাহে না ডুবয়॥
তুমি সে করুণাসিন্ধু জগত-জীবন-বন্ধু
নিজ কৃপা বলে যদি লেহ।
পতিতপাবন নাম ঘোষণা রহিবে শ্যাম
জগতে করিবে এই থেহ॥
এই কৃপা কর প্রভু তুয়া ভক্ত সঙ্গ কভু
না ছাড়িয়ে জীবন মরণে।
তব লীলা-গান-গুণে ডুবুক আমার মনে
গোপীকান্ত করে নিবেদনে॥

ই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব পদাবলী",
৪০৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অহে নাথ মো বড় পাতকী দুরাচার।                
তোমার সে শ্রীচরণ না করিলুঁ আরাধন                
বৃথা দেহ বহি ফিরি ভার॥
দারুণ বিষয়কীট হইলুঁ পাইয়া মীঠ                    
বিষ হেন জ্ঞান নাহি হয়।
তোমার ভকত সঙ্গে তব নামামৃত-রঙ্গে              
হত চিত তাহে না ডুবয়॥
তুমি সে করুণাসিন্ধু জগত-জীবন-বন্ধু                
নিজ কৃপা বলে যদি লেহ।
পতিতপাবন নাম ঘোষণা রহিবে শ্যাম                
জগতে করিবে এই থেহ॥
এই কৃপা কর প্রভু তুয়া ভক্ত সঙ্গ কভু                
না ছাড়িয়ে জীবন মরণে।
তব লীলা গান গুণে ডুবুক আমার মনে                
গোপীকান্ত করে নিবেদনে॥

.        *************************       
.                                                                               
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শ্রীবিদ্যাপতি কবিবর শেখর
ভণিতা গোপিকান্ত
কবি গোপীকান্ত দাস
এই পদটি সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “অপ্রকাশিত পদরত্নাবলী”, ১৩৭-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে। পদটি গৌরসুন্দর দাস সংকলিত “কীর্ত্তনানন্দ” পদাবলী সংকলনের পদ।

পূর্ব্ব-পদকর্ত্তৃগণের বন্দনা
॥ কামোদ মল্লার॥

শ্রীবিদ্যাপতি                        কবিবর শেখর
কয়লহি বহু-বিধ গীত।
শ্রীগোবিন্দ                        কবীন্দ্র-শিরোমণি
ত্রিজগতে যাহার চরীত॥
শ্রীজয়দেব                          বহুল-রস-বর্ণন
কবি-সায়র চণ্ডীদাস।
রামানন্দ                          নাটক-পরকাশক
সুমধুর প্রেম-বিলাস॥
শ্রীল-সনাতন                        কয়ল গীতাবলি
বহুবিধ-ভার-তরঙ্গী।
শ্রীরামচন্দ্র                           কবিবর-ভূপতি
বলরাম দাস তছু সঙ্গী॥
নরহরি দাস                      ঠাকুর কবি-ভূপতি
গোবিন্দ ঘোষ কবি-সিন্ধু।
ঠাকুর বৃন্দাবন                        বাসুদেব ঘোষ
সকল-কবীশ্বর-ইন্দু॥
ভাবুক-চক্র-                          বর্ত্তী পরকাশল
জ্ঞানদাস কবি-বর্য্য।
যদুনাথ দাস                        অভিসারে বর্ণিত
তহিঁ কবিবর ব্যাসাচার্য্য॥
প্রার্থন কয়লহি                        ঠাকুর নরোত্তম
মাধব ঘোষ কবি-ধাম।
বংশীবদন কিয়ে                        শ্রীবল্লভ কবি
লোচন দাস অনুপাম॥
ঠাকুর পিতামহ                       সুবলানন্দ পহুঁ
কয়লহি কতহুঁ সুছন্দ।
শ্রীঘনশ্যাম কবি-                       রাজ-রাজ বর
অদভুত বর্ণন-বন্ধ॥
ইহ বর-কবিবর-                      চরণ সরোরুহ
শিরসি ধরল হাম ছার।
গোপীকান্ত কহ                           @@@ ডুবলুঁ
কব পায়ব হাম পার॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“বৈষ্ণব পদাবলী”, ৮৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পূর্ব্ব পদকর্ত্তৃগণের বন্দনা
॥ কামোদ মল্লার॥

শ্রীবিদ্যাপতি                     কবিবর শেখর
কয়লহি বহুবিধ গীত।
শ্রীগোবিন্দ                      কবীন্দ্র শিরোমণি
ত্রিজগতে যাহার চরীত॥
শ্রীজয়দেব                        বহুল রস বর্ণন
কবি সায়র চণ্ডীদাস।
রামানন্দ                        নাটক পরকাশক
সুমধুর প্রেমবিলাস॥
শ্রীল সনাতন                      কয়ল গীতাবলি
বহুবিধ ভাব তরঙ্গী।
শ্রীরামচন্দ্র                        কবিবর-ভূপতি
বলরাম দাস তছু সঙ্গী॥
নরহরি দাস                    ঠাকুর কবি-ভূপতি
গোবিন্দ ঘোষ কবিসিন্ধু।
ঠাকুর বৃন্দাবন                     বাসুদেব ঘোষ
সকল কবীশ্বর-ইন্দু॥
ভাবুক-চক্র-                        বর্ত্তী পরকাশল
জ্ঞানদাস কবি-বর্ষ্য।
যদুনাথ দাস                      অভিসারে বর্ণিত
তহিঁ কবিবর ব্যাসাচার্য্য॥
প্রার্থনা কয়লহি                     ঠাকুর নরোত্তম
মাধব ঘোষ কবি-ধাম।
বংশীবদন কিয়ে                     শ্রীবল্লভ কবি
লোচন দাস অনুপাম॥
ঠাকুর পিতামহ                       সুবলানন্দ পহুঁ
কয়লহি কতহুঁ সুছন্দ।
শ্রীঘনশ্যাম কবি-                      রাজ-রাজ-বর
অদভুত বর্ণন বন্ধ॥
ইহ বর কবিবর                      চরণ সরোরুহ
শিরসি ধরল হাম ছার।
গোপীকান্ত কহ                       কলিকূপে ডুবলুঁ
কব পায়ব হাম পার॥

ই পদটি ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত, কাঞ্চন বসু সম্পাদিত পদাবলী সংকলন "বৈষ্ণব পদাবলী",
৪০৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীবিদ্যাপতি কবিবর শেখর                
কয়লহি বহুবিধ গীত।
শ্রীগোবিন্দ কবীন্দ্র শিরোমণি                
ত্রিজগতে যাহার চরীত॥
শ্রীজয়দেব বহুল রস বর্ণন                   
কবিসায়র চণ্ডীদাস।
রামানন্দ নাটক পরকাশক                   
সুমধুর প্রেমবিলাস॥
শ্রীল সনাতন কয়ল গীতাবলি                
বহুবিধ ভাব তরঙ্গী।
শ্রীরামচন্দ্র কবিবর-ভূপতি                  
বলরাম দাস তছু সঙ্গী॥
নরহরি দাস ঠাকুর কবি-ভূপতি             
গোবিন্দ ঘোষ কবিসিন্ধু।
ঠাকুর বৃন্দাবন বাসুদেব ঘোষ               
সকল কবীশ্বর-ইন্দু॥
ভাবুক-চক্রবর্ত্তী পরকাশল                    
জ্ঞানদাস কবি-বর্ষ্য।
যদুনাথ দাস অভিসারে বর্ণিত                
তহিঁ কবিবর ব্যাসাচার্য্য॥
প্রার্থনা কয়লহি ঠাকুর নরোত্তম                
মাধব ঘোষ কবি-ধাম।
বংশীবদন কিয়ে শ্রীবল্লভ কবি                
লোচন দাস অনুপাম॥
ঠাকুর পিতামহ সুবলানন্দ পহুঁ                
কয়লহি কতহুঁ সুছন্দ।
শ্রীঘনশ্যাম কবি রাজ-রাজ-বর                
অদভুত বর্ণন বন্ধ॥
ইহ বর কবিবর চরণ সরোরুহ                
শিরসি ধরল হাম ছার।
গোপীকান্ত কহ কলিকূপে ডুবলুঁ                
কব পায়ব হাম পার॥

.        *************************       
.                                                                               
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আহ্মি কিরূপ হেরিলাম সই যমুনার জলে যাইতে
ভণিতা গোপিকান্ত
কবি গোপীকান্ত দাস
এই পদটি নৃসিংহচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বিদ্যারত্ন সম্পাদিত “সাহিত্য-সংহিতা” পত্রিকা-র ১৩০৯
বঙ্গাব্দের আষাঢ়-শ্রাবণ সংখ্যায় (জুলাই-আগস্ট ১৯০২খৃষ্টাব্দ) প্রকাশিত, আবদুল করিম
সাহিত্যবিশারদের “অপ্রকাশিত প্রাচীন পদাবলী” প্রবন্ধে ২০৯-পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত, চট্টগ্রামে প্রাপ্ত
পুঁথি থেকে পাওয়া, এই পদটি এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গীত॥

আহ্মি কিরূপ হেরিলাম সই যমুনার জলে যাইতে।
আহ্মি স্বপ্নে কি হেরিলাম সই গত নিশিতে॥
সেই ভেশে হেরি আইনুম রাধার কুঞ্জেতে।
মাণিক মকর কুন্তল শোভে শ্যামের গলেতে॥
যেমত বিজুলী খেলি আছে আল মেঘেতে।
দেখি নয়ান জুড়াইল প্রেমানন্দ হইল মনেতে॥
শ্যাম ছাড়া হইলাম নিশি প্রভাতে।
গোপীকান্ত বোলে যাবত আসিবে ;
আহ্মি রূপ হেরি তোমার মনেতে॥

.        *************************       
.                                                                               
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর