এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে স্ক্রল করে! #standwithfarmerschallenge This page scrolls sideways - Left - Right ! |
কৃষক আন্দোলনের দেয়ালিকা ২০২০ |
সূচীপত্র >>>>> |
|
কবি স্বপ্না ঘোষ মিলনসাগরে কবির পাতা এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
বেজে ওঠো, হে পাঞ্চজন্য শঙ্খ কবি স্বপ্না ঘোষ এখনও যদি নীরব থাকি , কথা বলবো কবে ! / সূর্যাস্তের প্রাক্কালে পশ্চিমাকাশ লালে লাল, / যেন বা আগুন লেগেছে । / ওই আগুন ছড়ায় ফসলের মাঠ জুড়ে আজ কৃষকের / হৃদয় পোড়ে। / বিদ্রোহ জেগে ওঠে প্রতিবাদ প্রতিরোধ , / যেমন গর্ভস্থ সন্তানের সঙ্গে মায়ের একাত্মতা / তেমনি জমি ও কৃষক এক প্রাণ এক আত্মা । / বিভাজনের সব চেষ্টাই বিদ্রোহের আগুনে পুড়ে / হবে ছারখার । এখনও যদি ভিজে বেড়াল হয়ে থাকি বাঘিনী হবো কবে ? / বিদ্রোহ শুরু হয়ে গেছে ন্যায়-যুদ্ধ , / বেজে ওঠো, হে পাঞ্চজন্য শঙ্খ। |
কবি খন্দকার নাজিম হোসেন কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
যতই তুমি ডিজিটাল হও কবি খন্দকার নাজিম হোসেন যতই তুমি ডিজিটাল হও, করোনা মাঙ্কি বাত। ডাউনলোড কি করতে পারবে গুগল থেকে ভাত? |
কবি রোজিনা কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
কবি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
কবি বিপুল চক্রবর্তী মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
কবি বিপুল চক্রবর্তী মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
কবি মনিরুল কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
শাসক তুমি লড়িয়ে জওয়ান কবি মনিরুল আলম শাসক তুমি লড়িয়ে জওয়ান, তুলছো নিজের ফয়দা ! জেনে রেখো জওয়ান যত, হয় কৃষক ঘরেই পয়দা !! |
কবি অতনু বর্মন কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
কান্নার পিঠে স্বপ্নকে তুলে কবি অতনু বর্মন কান্নার পিঠে স্বপ্নকে তুলে ট্রাক্টর ছুটে চলে, পদচিহ্ন কে ধোয়া যায় না হে জলকামানের জলে। যাদের দুহাতে মাটির গন্ধ ফসলের আঘ্রাণ, সেই সুরভিকে মুছে দিতে পারে কাদের জলকামান! কাদের রুখতে রাস্তা কাটছো? কার গায়ে তোলো হাত? ওরাই তোমাকে ভোট দিয়েছিল পেটে দিয়েছিল ভাত। জনসমুদ্রে লেগেছে জোয়ার বীজ বোনা অনুরাগে, লাঙ্গলের ফালে কাদা মাটি মেখে ভারতবর্ষ জাগে। |
কবি অতনু বর্মন কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
কোথায় বাবু নচিকেতা! দৃষ্টি কি তার অবসরে? চশমা খুলে দেখতে বলো আমার কৃষক বুকচিতিয়ে বিরাশিতেও লড়াই করে। সাহেব তুমি সাজাও ফাইল বাজাও যত মিথ্যাবাদ শাষক তুমি জেনে রেখো চিড়িয়াখানায় বদ্ধ যত সব বন্দীরাই নিরাপরাদ। আরে জুলমি যখন লইবে বিদায় শান্ত হবে ধরায়। বীরযোদ্ধাদের স্মরণ রবে, আগামীর সেই সুপ্ত সতেজ ঊষার আঙ্গিনায়। |
চুপটি করে রঙ্গ দেখুন কবি ফিরোজ মোল্লা, রচনাকাল ৬.১২.২০২০ চুপটি করে রঙ্গ দেখুন। অল্প আঁচে জ্বলতে নেই। ভাতের তরে লড়ছে কৃষক। সুপ্ত আজও পুলওয়ামার শোক। জাত বাঁচাতে নিরব আজও.... প্রকাশ্যে তা বলতে নেই? নিজের পাপে চিত্রনাট্যে, সব সেয়ানাই অন্ধ৷ আজ যে শাষক দমকা হাওয়া কাল সে নিজেই দগ্ধ। রোদ ভেবেছে তার তেজেতে পাপড়ি হবে ক্লান্ত। আরে কিছু ফুল তো রাতেও ফোটে সূর্য যদি জানতো। রব উঠেছে আঁতুর ঘরে, স্লোগান মূখর রাজপথে রে, বিকিয়ে গেছে কবিত্ব সেই শীতঘুমেতেও আন্না। লাঙল তব মুক্তিপেলেই চড়বে বাড়ির রান্না। |
কবি অলি Waliul Islam কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
দুষ্টকবি মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
চলো দিল্লী দুষ্টকবি, ৭.১২.২০২০। লাখে লাখে দেখো কিসানেরা মিলে বলে সবে - চলো দিল্লী! রাজধানী ঘিরে কিসানেরা বলে - দিল্লী! চলো দিল্লী! লাঙল চালানো কড়া পড়া হাতে, ওড়ায় রাজার খিল্লি। দিল্লী! চলো দিল্লী! চলো দিল্লী! চলো দিল্লী! পাঞ্জাব-হরিয়ানা-ইউপি-রাজপুতানা ও সারা দেশ। বলছে - রাজা অনেক লুঠেছো, আর নয়, নয়, এই শেষ। দেশ-বেচা-রাজা দিল্লীতে ব’সে করপোরেটের বিল্লী। বাকি যা - বাঁচাতে, রাজপথে শোনো - দিল্লী! চলো দিল্লী! ধরণী-চষা কিসানেরা আজ আকাশ বাতাশ চষছে। ভারত মাতার আকাশে বাতাসে তাঁদেরি স্লোগান ভাসছে। হে কিসান ভাই, তোমাদের সাথে সারা দেশ বলে মিল্লি’। দিল্লী! চলো দিল্লী! চলো দিল্লী! চলো দিল্লী! এসেছে কিসান, এসেছে জওয়ান - কিসানের ব্যাটা যুগ যুগ। এসেছে কিসান-রমণীর দল, দীর্ঘ লড়াইয়ে উন্মুখ। দুষ্টকবি শোনে নাই ডাক, সুভাষের “চলো দিল্লী”। ধন্য আজকে এ জীবন, শুনে - কিসানের “চলো দিল্লী”। লাখে লাখে দেখো কিসানেরা মিলে বলে সবে - চলো দিল্লী! দিল্লী! চলো দিল্লী! চলো দিল্লী! চলো দিল্লী! |
কর্মবীর **অলি** ওরে ও বকুল, আয় বাবা আয় করিস না মোটেও দেরী, চোষতে হবে পূব মাঠের ভুঁই চল বাপ ত্বরা করি। গোয়াল ঘরের বলদ জোড়া জলদি তুই বার কর, ক্ষেতের পানে চললুম আমি লাঙল কাঁধের পর। বকুল, বাপজানের এই কথা শুনিয়া হাঁকিয়া তাহারে কয়, শরীর টা আজ বড্ড খারাপ,বাবা আজ না গেলেই কি নই! আগামী কালকে বলতে হবে না যাবো আমি নিজ মনে, তারপর,দেখবে বাপে পুতে মিলে কেমন কাম করি এক শনে ! বকুলের বাপ কহিলো তাহারে শোন রে মানিক ধন, কষ্ট হলেও কি করবি বল, বসার সময় যে নই এখন ? এমনিতেই তো দেরি হয়ে গেল এখনো হলো না চাষ, সবার জমি চষা হয়ে গেছে ঘুরে দেখ চারি পাশ। রাগ করিসনে শোন বাপ শোন, মাত্র তো কটা দিন, সহিলে কষ্ট খুশির আলোয় উঠোন হবে রঙিন। |
কবি কিংকর অধিকারী কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
আসল মালিক তারা কবি কিংকর অধিকারী, ৬.১২.২০২০। ফসল ফলায় কৃষক সমাজ মেহনতটা জোরকদম খামার ভরা ফসল তুলে ফুর্তিতে মন হরকদম। বিকতে গিয়ে দামটা শুনে মাথায় পড়ে বাজ নিজের জিনিস ওদের দামেই ছাড়তে হবে আজ। কারখানার ঐ জিনিস গুলো দাম বেঁধে দেয় ওরাই মালিক যেমন দামটি ফেলে কিনতে বাধ্য সবাই। চাষীর বেলায় দামটা কেন ঠিক করে দেয় ওরা? জমির মালিক নামেই কেবল আসল মালিক তারা। সবকিছুরই বাড়ছেরে দর চাষির ফসল জলের দাম চাষের খরচ না পেয়ে তাই শীতেও চাষীর মাথায় ঘাম। |
সস্তা দরে লুটছে ওরা চাষীর দুঃখ বুঝবে না শুকনো হাড়ের মজ্জাটাকেও নিংড়ে নিতে ছাড়বে না। সুযোগ দিতে শাসক বাবু চোখটি বুজে নিদ্রাতে শকুন দৃষ্টি লুটের রাজা লুটছে ফসল দুই হাতে। এই আমাদের দেশ রে ভাই সকল দেশের সেরা! প্রতিবাদটা করলে বলে দেশদ্রোহী এরা। যতই দেখাক চোখ রাঙানি যতই দেখাক ভয় বাঁচতে গেলে লড়তে হবে আসবে তবেই জয়। |
কবি নীলিম গঙ্গোপাধ্যায় কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
যারা দেশকে ভাত-রুটি খাওয়ায় নীলিম গঙ্গোপাধ্যায় যারা দেশকে ভাত-রুটি খাওয়ায় তাদের খাওয়াবে কি ঘোল? মতলব ফাঁস, ফুঁসছে কিষাণ হাঁকছে হাল্লাবোল। তোমার ফসল বেচার ছকে কিষাণ ভীষণ দুর্বিপাকে ফন্দি ফিকির ফেলল ধরে ট্রাকটর লাঙ্গল। আজ ভারতের বিস্তৃত কৃষিজমি মহাসাগরের ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ উত্তাল উর্মি কিষাণ জল কামানের হাতে কিষাণ তীব্র শীতের রাতে আটকে দেওয়া পথে ছোঁড়ে হকদারীর রোল। |
কবি কল্যাণ সেন বরাট কবির ফেসবুক . . . আমরা কবিতায়ি পেয়েছি কবি নীলিম গঙ্গোপাধ্যায়ের ফেসবুক পাতা থেকে . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
সোনার ফসল ফলায় যে জন কল্যাণ সেন বরাট আজ হরতাল আজ সব চাকা বন্ধ ইসস, কেটে গেল প্রগতির সব ছন্দ ব্যাটা চাষাগুলো বড় বদ, বড় মন্দ, খুব মন্দ পেটেতে খাবার নেই তবু চোখেতে আগুন দধীচির হাড় জ্বলে, শীত বা ফাগুন আরে- এত লড়াইয়ের প্রয়োজন কিছু আছে হাত জোড় মাগ না রাজার কাছে আহ রাজা, ভালো রাজা বেশ রাজা সোনার চেয়ারে বসে খায় খাজা রাজা খুব দয়ালু বিরাট হৃদয় কিন্তু যখন তখন ঘুম ভাঙালে কি হয়? রাজা রেগে গিয়ে কামড়ে দিলে দোষ দিওনা তখন সকলে মিলে চাষী ভাই-- ও চাষী ভাই এখন মুখোশ পরে অনেকেই কাছে আসবে আদরে চুমুতে অনেকেই ভালোবাসবে মনের মাঝে আগুনটাকে জ্বালিয়ে রেখো শুধু নিজের অভিজ্ঞতার আলোয় নিজে শেখো সোনার ফসল ফলায় যে জন আহার তাহার জোটেনা ফুলের চাষীর বাগানে রক্ত গোলাপ থাকেনা রক্ত গোলাপ বাঁচিয়ে রেখো বুকের ভিতরে কাঁটাগুলো ফেলোনা, কাজে লাগতে পারে খবরদার-- আত্মহনন নয়-- বরং কবর খনন করে রেখো তাদের তরে যাদের জন্যে এমন হয় আজ হরতাল-- আজ সব চাকা বন্ধ |
গণবিষাণের গান মূল কথা - ফ্লোরেন্স রীস (Florence Reece) ভাষান্তর - সুনীত সেন। এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
কোন দিক সাথী Which Side Are You On? গণবিষাণের গান। মূল কথা - ফ্লোরেন্স রীস (Florence Reece) । ভাষান্তর - সুনীত সেন। সুর - প্রচলিত আমেরিকান লোকগীতি। কণ্ঠ - মলয় মুখোপাধ্যায়, জলি বাগচী, দীপালী সেনগুপ্ত, পার্বতী, রত্না হালদার, সন্দ্বীপ রাহা, সঞ্জয় চক্রবর্তী, শ্যামল ভট্টাচার্য, রঞ্জন রায়। ভিডিও ভাবনা ও সম্পাদনা - পিন্টু পোহান ও অজয় পাল। আজ মুখোমুখী দাঁড়িয়েছে দুটো দল / আর মাঝামাঝি নেই তো কিছুই / হয় পা-চাটা দালাল আর নয়তো / এক লড়াকু মজুর হবি তুই আজ মুখোমুখী দাঁড়িয়েছে দুটো দল আর মাঝামাঝি নেই তো কিছুই হয় পা-চাটা দালাল আর নয়তো এক লড়াকু মজুর হবি তুই বল কোন দিক সাথী কোন দিক বল কোন দিক বেছে নিবি তুই বল কোন দিক সাথী কোন দিক বল কোন দিক বেছে নিবি তুই সবার পেছনে কে রে দাঁড়িয়ে আজ তোকেই তো ডাকছি সবাই তোর লড়াকু সাথীরা দ্যাখ তৈরী তবু তোকে ছাড়া হবে না লড়াই বল কোন দিক সাথী কোন দিক বল কোন দিক বেছে নিবি তুই বল কোন দিক সাথী কোন দিক বল কোন দিক বেছে নিবি তুই আমার বাবাও ছিল এক মজদুর আর আমিও তো হাতুড়িতে তাই লাখো সাথীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাই আমিও মজুর রাজ চাই |
কবি তারেক হাসান আমরা কবিতায়ি পেয়েছি সাবিরুদ্দিন মোল্লার ফেসবুক পাতা থেকে . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
আমি জন্মেছি কৃষকের ভাঙ্গা কুটিরে কবি তারেক হাসান আমরা 5 star hotel বা AC ঘরের কৃষক না।আমরা অন্নদাতা কৃষক। আমি জন্মেছি কৃষকের ভাঙ্গা কুটিরে এক কৃষাণীর ছোট্ট উদরে দিয়ে মই যন্ত্রনায় কাতর করেছি তারে হালচাষ করেছি সেথায় বারে বারে। বাবা টেনেছে হুক্কা আঙ্গিনায় বসে পায়ের উপর তুলে পা সন্ন্যাসী বেশে কোন এক প্রভাতি ক্ষণে ঘুরতে এলাম ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সবুজের দেশে। গোয়ালের মত সেঁতসেঁত মাটি রুগ্ন কৃষকের ঘরে আবার শীতল পাটি, উনুনে শূন্য হাড়ি, ছেঁড়া কাঁথায় গুটিয়ে গা তাহাতেই কৃষকের সুখ,বলে কৃষাণী মা। সকালের পান্তাভাতে শুকনা মরিচের ঝাল তাহাতেই পাই মজা,কৃষকের গর্ব চিরকাল, আমার শৈশব পাড়ি গরু-ছাগলের পালে তপ্ত দুপুরে গোসল দিয়াছি তাদের বুচা মিঞার খালে। গামছা মাথায় বাধিয়া মহিষের পিঠে ভাবনায় ভেবেছি রাজকীয় মুকুটে, ঘুরিয়াছি আঁকাবাঁকা মেঠো পথে শমশের ভাবিয়া, কৃষকের লাঠি হাতে। অভুক্ত মাটির বুকে লাঙ্গলের ফলা তিক্ত রসিকতায় চিরি, হয়ে উতলা, ছড়াইয়া সোঁনা মুঠিভরা ফসলের মাঠে পাকিলে সোঁনা কাটিব তাহা,ভরিবে শূন্য গোলা। কৃষকের ঘরে জন্ম আমার, গর্ব চিরকাল আমি কৃষক অন্ন যোগাই ধনীদের তরে, তারা হাসলেই আমি হাসি খুশিতে খুঁজি, সুখ আমার কৃষকের ঘরে। |
কবি ভারত দাস কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
কবি প্রসূন ভৌমিক মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
কবি আবদুল হালিম বিশ্বাস কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
যত সব ভাত-বাঙালী, পথ হারালি কবি আবদুল হালিম বিশ্বাস যত সব ভাত-বাঙালী, পথ হারালি, দেখনা চেয়ে দিল্লী পানে, কিভাবে ক্ষুব্ধ চাষী, ঘর-উদাসী ছুটছে সবে আন্দোলনে। সাত পুরুষের জমিজমা, মাতৃসমা খাটছে কৃষক জনমধরে, আজকে হঠাৎ স্বৈরাচারী, অত্যাচারী সেই অধিকার নিবে কেড়ে? হাড়খাটুনি, ঘাম ঝরানি খাটবে চাষী দিবারাতি, আম্বানিরা আসবে শুধু, খাবে মধু ব্যাপার খানা সহজ অতি? পুঁজিবাদের মস্ত দালাল, সন্ধ্যা সকাল মিথ্যা করে চৌকিদারী, ঘর ভাঙিয়ে, দেশ বিকিয়ে উন্নয়নের স্বপ্ন ফেরি। আজকে সবাই, ঘর ছেড়ে আয় চাষীর পাশে পথ মাঝারে, কৃষি আইন, কালা কানুন বাধ্য করো প্রত্যাহারে। জয় হবে জয়, আসবে বিজয় লড়তে হবে মরণ-পণ, পুঁজিবাদীর ঘুঘুর বাসা, ভাঙবে চাষা ধন্য করে সবার জীবন। |
কবি প্রসূন ভৌমিক মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
কবি তপোব্রত ভাদুড়ি কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
কবি মহম্মদ মিনহাজুদ্দিন সিরাজ কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
কবি বিপুল চক্রবর্তী মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১১.১২.২০২০ |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১১.১২.২০২০ |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১১.১২.২০২০ |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১১.১২.২০২০ |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১১.১২.২০২০ |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১১.১২.২০২০ |
পরিযায়ী কবি শ্যাম প্রিয়া দে আমরা পেয়েছি লেখক সোমনাথ গুহর ফেসবুক পাতা থেকে . . . এখানে তোলা হয়েছে ১০.১২.২০২০ |
রামচন্দ্রের আপন দেশে পরিযায়ী কবি শ্যাম প্রিয়া দে রামচন্দ্রের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে কেউ যদি যায় প্রেমে পড়ে জাতটা যেন আঁকড়ে ধরে করলে বিয়ে ভিন্ন জাতে দুমদুমাদুম পড়বে পিঠে হতেও পারে হাজতবাস জিহাদ পুলিশ দিচ্ছে হাঁক। ইচ্ছাপূরণ করতে গেলে রামদুয়োরে আসতে হবে করজোড়ে ডাকবে তারে ইচ্ছে হলে সে তাকাবে। এ তো গেল প্রেমের কথা আরো আছে শুনবে কি তা? কেউ, যদি করে বিরোধিতা রাজদ্রোহী জানবে সেটা তৎক্ষনাত তার মুন্ডু ধরে পুড়বে তারে কারাগারে সকাল সন্ধে তাকে নিয়ে টিভি চ্যানেলে চলবে নিন্দে। আর কৃষক যদি জবাব চায় ওয়াটার ক্যানন তার গায়ে। যতই থাকুক শীত সেখানে রাজা ভগবান! রেখো মনে। |
কবি মন্দাক্রান্তা সেন মিলনসাগরে কবির পাতা . . . সরিফা ইয়াসমিনের ফেসবুক থেকে . . . এখানে তোলা হয়েছে ৯.১২.২০২০ |
কবি বিশ্বজিত চ্যাটার্জী কবির ফেসবুক পাতা থেকে . . . এখানে তোলা হয়েছে ১২.১২.২০২০ |
তুমি আবার সামনে কেন এলে? কবি বিশ্বজিত চ্যাটার্জী তুমি আবার সামনে কেন এলে? বেশ তো ছিলে ধুলোয়,ধুলো মেখে নিজের মাঠে নিজে লাঙল ঠেলে, পথে তোমায় কে এনেছে ডেকে? ওই ফসল,বেচবে কেউ আরো, অন্য কেউ হাত বসাবে ধানে, ওই জমি তো অন্য আর কারো- দু'মুঠো চাল জুটবে অপমানে। দূরের কিছু ঝাঁচকচকে জামা কিনেই নেবে তোমার ক্ষেতখামার |
কবি বিশ্বজিত চ্যাটার্জী কবির ফেসবুক পাতা থেকে . . . এখানে তোলা হয়েছে ১২.১২.২০২০ |
স্পষ্ট বলো, হ্যাঁ কিংবা না কবি বিশ্বজিত চ্যাটার্জী স্পষ্ট বলো, হ্যাঁ কিংবা না ; ধোঁয়াটে কথা আর শুনবোনা। কথার প্যাঁচে জড়িয়ে দেবে কাকে, ভোটলীলাতে সরিয়ে দেবে কাকে? টাকা উড়ছে,উড়ছে তোর বাণী; কিনে নিচ্ছে আদানি আম্বানি আমার শ্রম, আমার ভিটেমাটি; মাঠ ছেড়ে তাই এখন পথে হাঁটি। ওরা তো লুটছে,ওরা তো ছুটছে, তবু পথ ঘিরে কারা যে জুটছে- তুমিতো বলবে, "হা হা আমি সব জানি, কেউ মাওবাদী,বাকিরা খালিস্তানি"। |
কবি কবীর সুমন আমরা পেয়েছি কল্যাণ মুখার্জীর ফেসবুক পাতা থেকে . . . এখানে তোলা হয়েছে ১২.১২.২০২০ |
कवि अनिकेत मित्रा कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৩.১২.২০২০ |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.১২.২০২০ |
কবি শ্রীজাত কবির ফেসবুক পাতা থেকে . . . মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.১২.২০২০ |
ফসল কবি শ্রীজাত “ধ্বংস” (২০১৭) কাব্যগ্রন্থের কবিতা। এই তো আমার সোনার ফসল, দুলছে হাওয়ায় নিশানি... জয় জওয়ানের সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে জয় কিষানই। যে-জন যেমন চায় মাতাতে, আমরা তাতে মাতিও। বিধর্মীরা দেশবিরোধী। ধর্ম শুধু জাতীয়। দিব্যি ঘরে দোর দিয়ে সব মরছিল বেশ নিজেরা – হঠাৎ করে এই এতসব। দেশের ওপর কী যে রাগ... ঘুম পাড়াতেই পারি, ওরা শান্ত হয়ে শুলে তো! ঘেরাও যদি এমনি চলে, ছুটতে পারে বুলেটও। পুলিশ যখন করছে, সেটা নেহাত কোনও কারণেই। কিন্তু তাকে প্রশ্ন করে, সেই অধিকার কারও নেই। হয়তো তুমি বাজারে যাও। চাল কেনো আর ফল আনো। দাম-না-পাওয়া ফসল কিন্তু তোমার জন্যে ফলানো। কিন্তু যখন হুকুম আসে, চমকে ওঠে চেতনা, তুমিও জানো, মৃত্যু ছাড়া সামাল দেওয়া যেত না। মাঝেমধ্যে আগুন লাগে। রাষ্ট্র ধরান হুঁকোটি, মরলে নিজে রোজগার কম। খুন হলে তাও দু’কোটি। খুন কে বলে? আমরা পাতায় ধানজমি আর ঘর আঁকি এমনি যারা মরেই ছিল, তাদের আবার মরা কী? ফসল তবু ফলবে জানি। বইবে বাতাস কী শখে... আমরা শুধু করব তফাত, মানুষে আর কৃষকে। |
कवि अखिलेन्दु अरजेरिया कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৪.১২.২০২০ |
কবি আর্যতীর্থ কবির ফেসবুক পাতা থেকে . . . মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.১২.২০২০ |
ফ্রী কিক কবি আর্যতীর্থ জিতবো জানা আগের থেকে। নিয়মমাফিক দৌড়াবো আর নাচাবো বল পায়ে রেখে, দর্শকেরা দেবে তালি, বিরোধীরা ছুঁড়বে গালি, আমার লোকে খবর নেবে কাদের নামে নাচছে কে কে, ফল নিয়ে খুব আলোচনা, ওইটুকুনই উত্তেজনা, তার মানে যে লড়াই হবে, ভুলেও আবার তা ভেবোনা। প্যাঁচ কষেছি সাতসতেরো, বিপক্ষদল জন্মহেরো, তেমন হলে তুলেই দিতাম নিয়ম করে খেলার গেরো, কিন্তু বাপু, অভিজ্ঞতায় একটা জিনিস গেছি শিখে, যতই চাপো, মাঝের থেকে ফুট কেটে কেউ দেবে লিখে, আর যাই হোক, চটিও না লোক, শান্ত রাখো গ্যালারিকে। গোটা খেলাই রাখা আমার নিয়ন্ত্রণে, রেফারি আর লাইন্সম্যানও যেমন বলি কথা শোনে, দিতেই পারি প্রেসকে বলে , জিতবো এ ম্যাচ ঠিক ক’গোলে, বিপক্ষদল প্রায় ক্রীড়নক, ল্যাজ গুটিয়ে মাঠের কোণে। যেখান থেকেই নেবো ফ্রী কিক, বল জড়াবে জালে সঠিক, না জড়ালেও হুকুম দেবো, সবাই সেটা গোল ধরে নিক। |
আমারই বল, মাঠও দখল, বিরোধিতা করবে কে বল, কেমন সহজ গোল করা যে, সে কারসাজি দেখবি তো চল.. বল বসালাম ,এই মারছি... এই মারলাম, গোল নিশ্চিত, সুতরাং আমি গ্যালারির দিকে হাত নাড়লাম, বল যাচ্ছে.. বল যাচ্ছে... আরে ধ্যাত্তেরি, ওরা কারা আজ গোলের সামনে ওয়াল বানাচ্ছে, ওদের বক্ষে ঠিকরিয়ে বল বিপরীত দিকে গোত্তা খাচ্ছে, পোষ মানা এই খেলাটার মাঠে যুদ্ধং দেহি কারা চেঁচাচ্ছে? কৃষকের দল গোলের সামনে অলঙ্ঘ্য এক পাঁচিল ওঠাচ্ছে.. |
কবি আর্যতীর্থ কবির ফেসবুক পাতা থেকে . . . মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.১২.২০২০ |
হাঁটা কবি আর্যতীর্থ সেলাম হুজুর, সেলাম । এই এদ্দিনে আপনার শ্রীচরণের দর্শন পেলাম, এবার মরেও শান্তি। যদিও কাছে যেতে পারবো না, ইংরেজির শেষ অক্ষর আপনার করে দেখাশোনা, একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই চিত্তির, নামের আগে বাংলার শেষ অক্ষর এসে হবে স্থির। দরকার নেই আর সেই ভাগ্যের, এতটা পথ হেঁটে এসে এখনো দাঁড়িয়ে আছি, এটাই তো ঢের! কতটা পথ শুনবেন হুজুর? আপনাদের হিসেবে এমন কি আর দূর, হুস করে চলে যাবেন হেলিকপটারে, আমাদেরই কেবল পায়ে পায়ে রাস্তাটা বাড়ে। সোজা পথ ভেবে বেরিয়েছিলাম হুজুর, হাঁটতে পিছপা আর কবে ছিলো চাষী মজদুর, সেই সভ্যতার শুরু থেকে এই কাজটাই তো করে চলেছি। আপনারা মানচিত্রে যেমন দাগিয়েছেন সেইখানে গেছি, কখনো ঢাকা থেকে কলকাতার দিকে হয়েছি অগ্রসর, কখনো লাহোর করাচির থেকে অমৃতসর, আমরা হেঁটেছি, বউ ছেলে মেয়ের সাথে সব সম্বল আর পোষা মুর্গিছাগল নিয়ে শিকড়ের নাড়িছেঁড়া মানুষ মিছিলে, কখনো মাথা তুলে প্রশ্ন করিনি দেশকে, বদলে আমায় কি দিলে। মরিচঝাঁপিই বলুন বা আসামের চা বাগান, ঘরকে উপড়ে দিলে যেই দিকে হাঁটা হোক সবই তো সমান। |
তবে হুজুর, সে সবের থেকে এই হাঁটাটা আলাদা । এটা তো নিজের দেশ , মন্ত্রী আমলা নেতা কেরানী পেয়াদা, সকলেই আমাদের। দাবী যদি জানাতেই হয় আজ কারো কাছে, শান্তি বজায় রেখে সেটা বলবার তাই অধিকার আছে, শুধু আমাদেরই নয়, নাগরিক পরিচয় যার আছে তারই। সুতরাং আনাড়ি কজন চাষা ভাবলাম রাজধানী হেঁটে যেতে পারি। পথে কারা বাধা হলো জলকামান নিয়ে। হয়তো বা ভেবেছিলো এ আগুন ফেলবে নিভিয়ে. ওরে বাবা, সে কি জল, জলের কি তোড়! যেন বেনোজল ধারা চলে ক্ষেতের ওপর, আমাদের ক্ষোভ রাগ দুঃখ আবেগ সব যেন ভাসাবেই কামানের স্রোতে, ঢিবি হয়ে জমে থাকা বঞ্চনা-খতিয়ান অতই সহজে কি পারা যায় ধুতে? সুতরাং গা মাথা পা ভিজে চললো মিছিল। কাঁটাতার বাধা দিলো, তবুও কি এতটুকু টললো মিছিল? সশস্ত্র বাহিনীরা ফিরে যাও বলে দিলো কড়া হুংকার পায়ের আওয়াজ তবু আরো জোরদার, হাজারের থেকে লাখ, লাখ থেকে কোটি হলো মিছিল বরং, দেখুন হুজুর ভিড়ে লাল নীল নেই কোনোখানে, সকলের সেই এক ক্ষেতচষা রঙ। আজকে অবশেষে হুজুরের হয়েছে দয়া, মঞ্চ উঠেছে গড়ে, সূর্য আড়াল করে দেওয়া আছে সোনালী চাঁদোয়া, দূর থেকে দেখি, আপনার চারদিক ইংরাজি শেষ অক্ষর দিয়ে ঘেরা, যেখানে পাত্তা পায়না আমার দিশি বর্ণমালারা , তাই আমি বুঝতে পারিনা আপনার বক্তৃতার ভাষা , আপনারও উপায় নেই আমাদের মধ্যে নেমে আসা। |
আসলে কি জানেন হুজুর, দুটোতেই জল থাকলেও কান্না আর কামানের মাঝের ফাঁকে সাতটা সমুদ্দুর, যেখানে বেচারি চাষীর কোনো ডিঙিনৌকারও নেই মালিকানা, আমাদের কাজ শুধু পাঁচটা বছরে দেওয়া ভোট একখানা। আমরা হাঁটতে থাকি। পৌঁছাবো কিনা সেটা আজও অজানা। |
|
कवि प्रेम धवन এখানে তোলা হয়েছে ১৫.১২.২০২০ |
A Media Matters for India VDO Their Facebook page . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.১২.২০২০ |
কবি বিপুল চক্রবর্তী মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.১২.২০২০ |
কবি সৃজন সেন মিলনসাগরে কবির পাতা . . . হোয়াটসঅ্যাপ থেকে পাওয়া এখানে তোলা হয়েছে ১৫.১২.২০২০ |
কবি মনামী ঘোষ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ২৮.১২.২০২০ |
কবি অশোক চট্টোপাধ্যায় কবির ফেসবুক পাতা . . . মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ২৮.১২.২০২০ |
পথ জাগছে শীতের রাত অশোক চট্টোপাধ্যায়, ২৫.১২.২০২০ পথ জাগছে শীতের রাত গান গাইছে কিসান ঘুম-ভাঙা এক ছোট্ট শিশু তুলে ধরছে নিশান ছবি আঁকছে চিত্রকর কাব্য করে কবি গল্পে কারা সময় ধরে আঁকছে নিপুণ ছবি রাজনীতিকে বচন দেয় তাত্ত্বিকে দেয় তত্ত্ব ঘরে বসে কে যেন খায় কাঁঠালের আমসত্ব কারা যেন হিসেব করে নির্বাচনের অঙ্ক গলিঘুচির অন্ধকারে খুঁজছে ড্রেনের পঙ্ক রাত জাগছে শীতের পথ শ্লোগান দিচ্ছে কিসান রাতশেষে এক নবীন শিশু বাজায় রুদ্র বিষাণ |
কবি রাহুল কণ্ঠ - রিয়া ও নিলাজ আমরা পেয়েছি অঞ্জন চ্যাটার্জীর ফেসবুক পাতা থেকে . . . গানটি ফেসবুকে তুলেছেন রাজীব গাঙ্গুলী তাঁর ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ৩১.১২.২০২০ |
কবি আর্যতীর্থ কবির ফেসবুক পাতা থেকে . . . মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১.১.২০২১ |
নির্দোষ কবি আর্যতীর্থ দু হাজার বিশ। সবাই বলছো জানি এ বছর কাটলেই বাঁচি, মাস্ক পরে, হাত ধুয়ে জীবাণুর সাথে রোজ খেলা কানামাছি সহ্য হয়না। খুনে এ বছর খেলো বয়েসের গোটা এক সাল খুবলিয়ে , সোয়াস্তি নেই আজ ঘর বার কাজ ও ছুটিতে।অবশেষে আসছে এগিয়ে, বছরের শেষ, এইবারে বাঁচা যাবে। সে আশার বীজ মনে পুষে, পারলে দৌড়ে যাই আমরা একুশে, কিন্তু যাচ্ছি যাকে দিনরাত দুষে, সত্যি কি তার অপরাধ? এ বিশ্বযুদ্ধতে যত হলো অকারণ লাশ, প্রতিটি চাকরি খোয়া সদ্যবেকার, খালিপেট খিদেদের ত্রাস সন্ত্রাস, তাদের কারণ কি কেবল করোনা? জামলো মকদম, নাম মনে পড়ে? চটকানো মৃতদেহ চোদ্দটা শ্রান্ত মানুষের, ক্যামেরা ফোকাস করে রুটির ওপরে, রক্তের ছিটে যেন রাষ্ট্রের স্নেহ মাখা জেলি। মনে পড়ে কত লোক হাঁটলো অযুত ক্রোশ? রোজকার রোজগার গাঢ় অনিশ্চিতে, সে ভবিতব্য ছিলো জীবাণুর দোষ, নাকি সেটা রাষ্ট্রের পরিকল্পনাহীন হুকুমের ফল? ফুলেফেঁপে লাল হলো কিছু ব্যবসায়ী, আম্বানি পাঁচনংয়ে এই কোভিডেই। ব্যাঙের আধুলি সব হলো উদ্বায়ী, অথচ ধনীতম হলো ধনীতর, সেও কি বলবে ওই কোভিডের রোগে? জীবন ও জীবিকার এই তছনছে, সেনসেক্স গগনে চড়ে কার উদ্যোগে? |
কিছু ডাক্তার শুধু ফাঁকতালে গেছে মারা। কিছু পুলিশের গেছে জান, আকাশে ছেটানো ফুল, ভুয়ো হাততালিসহ দেওয়া শহীদের সম্মান, আড়াল করেছে সব। এখনও স্বাস্থ্যে ব্যয় নয়খানা রাফায়েল থেকে কমদামী, যার পরিবর্তন নেই। খুলে গেছে সব শুধু ইস্কুল বাদে। কোথায় চলেছে আগামী, সেটা নিয়ে কেউ নয় ভাবিত তেমন। শুধু ভিড় করে নেতাদের হচ্ছে ভাষণ, সকলের জন্য স্বাস্থ্য যার উপজীব্য নয়। সেখানে মুখ্য আজও ধর্মতোষণ, যেন মন্দির মসজিদই জোগাবে পেটের ভাত, শিশুমৃত্যুর হার কমবে তাতেই, যেন নেতা জিতে গেলে পালাবে কোভিড।আজও ধর্ষণে দেশে কোনো হ্রাস নেই। এই সব বিষ ছিলো কোভিডের আগে থেকে, কত আর করে যোগ জীবাণু বেচারা, মুখোশ পরিয়ে দিয়ে আদতে উলঙ্গ করে দিয়েছে সে শাসনের হিংস্র চেহারা, যেখানে নাগরিক শুধু ভোটদাতা, অধিকারের পাওনাদার সে বনেনা কখনো, বড়জোর কৃপাভিক্ষা পেতে পারে কিছু, খামোখা ডেমোক্রেসির মায়াজাল বোনো। প্রথমে হাঁটলো পরিযায়ী, এখন হাঁটছে কৃষক। আগামীতে হয়তো তুমিও। সে হাঁটায় কোভিডের দোষ নেই কোনো। |
দুষ্টকবি মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১.১.২০২১ |
জয় জওয়ান জয় কিসান দুষ্টকবি, ১.১.২০২১ রুক্ষ ধরণী কর্ষণ ক’রে আমরাই তুলি ফসল। রুধিতে শত্রু যুগ যুগ ধরে আমরা সৈন্যদল। কঠোর শ্রমে ঘামে ভিজে তুলি সবার মুখে অন্ন। যুদ্ধ ক্ষেত্রে বুক পেতে লড়ি দেশ যখন বিপন্ন। মোরাই পুঁতেছি সভ্যতার বীজ প্রথম ফসল পুঁতে। সৈনিক মোরা কাস্তে-পেটানো-তরোয়াল নিয়ে হাতে। আজ একদল দেশ-বেচা-রাম দালাল করপোরেটের। বেচতে এসেছে যা-কিছু দেশের, অধিকার জনগণের। বিচিত্র এক মহামারি-কোপে পথে নেই কেউ ভয়ে। তারই সুযোগে দেশ-বেচা-রাম যত আইন দিল ধুয়ে। প্রতিবাদে মোরা কিসানের ব্যাটা উপেখিয়ে শীত, পথে। আবালবৃদ্ধবনিতা কিসান দিল্লীর অবরোধে। দেশ-গড়া-তাস হাতে নেই, শুধু ধর্মের সুড়সুড়ি। বিদ্বেষ-বিষ ছড়িয়ে দেশটা বেচে দিতে নেই জুড়ি। জনগণকে লুঠে ভরে দেয় করপোরেটের ঝুলি। উলটো বোঝায় এ সবই নাকি “আচ্ছে দিন”-এর কলি। কিসান মোরা সরল মনের, নইকো তো বোকা কোনো। নেমেছি কিসান পথে, নিশ্চিত তোমার শেষ, এই জেনো। দুষ্টকবি দুহাজার একুশে, প্রথম প্রভাতে রচে গান। জয় জওয়ান জয় কিসান, জয় জওয়ান জয় কিসান। |
दुष्टकवि মিলনসাগরে কবির পাতা . . . प्रकाश काल 1.1.2021 |
जय जवान जय किसान दुष्टकवि, 1.1.2021 रुखा सुखा मिट्टी को चीर उगवाते हम फसल। शत्रु को हम रोकते युग युग बनकर सैनिक दल। पसीने से नहाकर सबके मुँह तक अन्न पहुँचाते। जब जब देश खतरे मे जंग पर जी-जान से लड़ते। सभ्यता की नीवँ रखे हम किसान फसल को बोकर। हँसिया पिघलकर जंग लड़ जाते तलवार हात में लेकर। आज ये माहिर “बेचनेवाला” दल्ला कॉरपोरेट की। देश का सब कुछ बेच रहा हैं, अधिकार जनगण का भी। भयंकर महामारी करोना, घर से बाहर न कोई। इस की आड़ में “बेचनेवाला” कानुन का किया धुलाई। बच्चे बूढ़े युवक युवती ठंड कर नज़रअंदाज़। दिल्ली घेर कर सड़क पे बैठे हम किसान जांबाज़। निर्माण देश का पता नहीं, सिर्फ भड़काओ धर्म के नाम। नफरती ज़हर फैलाकर करता देश बेचने का काम। जनता को लूठ लूठ कर भरता कॉरपोरेट का जेब। उपर से समझाते हैं कि - ये अच्छे दिन का सेव। किसान है हम सीधा सादा, बेवकूफ तो नहीं। जब सड़क पे बैठे हम आज, तुम्हारा अंत यहीं। दुष्टकवि इस गीत में गाए किसानों की ये शान। जय जवान जय किसान, जय जवान जय किसान। |
ছড়া, সে যে কোন ধরণেরই হোক না কেন, এই দেয়ালে তুলতে হলে আমাদের কাছে নিচের ইমেলে পাঠাবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের সম্পাদক মণ্ডলীর অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা তা তুলে দেবো। সোশিয়াল মিডিয়ার দৌলতে অনেক অনবদ্য সুন্দর কবিতা আমরা পাচ্ছি। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কবির নাম জানা যায়না। সঠিক কবির নাম জানালে আমরা সেই কবিতার পাশে কবির নাম-প্রেরক কে কৃতজ্ঞতা জানাবো। আমাদের ই-মেল: srimilansengupta@yahoo.co.in তাহলে আর দেরী কেন? ছড়ার ছররা ছড়িয়ে, দেয়াল তুলুন ভরিয়ে...! . রাজেশ দত্ত কবিতা পড়তে সূচীর কবিতার উপর ক্লিক করুন |