মুক্তিযুদ্ধের গান ও কবিতার দেয়ালিকা
|
|
|
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে ও কবিতাগুলি উপর-নীচ স্ক্রল করে! This page scrolls sideways < Left - Right >. Poems scroll ^ Up - Down v.
|
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
জগৎবাসী একবার বাংলাদেশকে যাও দেখিয়া রে।
সোনার বাংলা করলো শশান রে
ওরে পাকিস্তানের বর্বর ইয়াহিয়া
মেশিনগান আর বুলেট বেয়নেট দিয়া।
বাঙালিদের ফসল লইয়া বুকে চালায় গুলি।
ওরে অত্যাচারের প্রতিশোধ নাও তুলি
. বাঙালি তুই বুকের রক্ত দিয়া।
ধনে মানে জ্ঞানে গুণে ছিল না অভাব।
ওরে সবকিছুই শোষণ করছে রে
বাঙালি তুই মাছন নে তুলিয়া।
মায়ের রক্ত বোনের রক্ত ভাইয়ের রক্ত তে।
ওরে মুক্ত করতে মুজিবের বঙ্গভূমিকে
. বাঙালি তুই দাঁড়া অস্ত্র নিয়া।
জগৎবাসী একবার বাংলাদেশকে যাও দেখিয়া রে।
জগৎবাসী একবার বাংলাদেশকে যাও দেখিয়া রে কথা - কবি জাহির হোসেন। সুর
: প্রচলিত লোকগান। শিল্পী - সরদার আলাউদ্দিন আহমেদ। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র
পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত।
গানটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সীমিত করা হয়েছে ইউটিউবের পক্ষ থেকে। তাই দয়া করে এখানে ক্লিক করে ইউটিউবে এই
চ্যানেলে গিয়ে দেখুন Surer Bani YouTube Channel ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
তুমিই আমার, তুমিই আমার মিছিলের সেই মুখ
তুমিই আমার, তুমিই আমার মিছিলের সেই মুখ
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে যাকে খুঁজে বেলা গেলো বেলা গেলো
ফিরে দেখি সে আগন্তুক ঘর আলো করে বসে আছে পিলসুজে
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে যাকে খুঁজে বেলা গেলো
দিলে দূরে ঠেলে দিনান্তে নিলে কাছে
ঠা ঠা রোদ্দুরে পাইনি কোথাও ছায়া
নীল সমুদ্র পুড়ে গেছে সেই আঁচে
চোখ মুছি তুমি স্বপ্ন না তুমি মায়া
আমাকে কঠিন বাহু দিয়ে বাঁধো তুমি
গলুক বুকের অশ্রুজমাট শিলা
দাও তুমি ভালোবাসাকে জন্মভূমি
ঘৃণার ধনুকে আমি টেনে বাঁধি ছিলা
তুমিই আমার মিছিলের সেই মুখ কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের "লাল টুকটুক দিন" কবিতার গীতিরূপ।
সুরকার: সুধীন দাশগুপ্ত। শিল্পী: সুশীল মল্লিক। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত 'জয় বাংলা' শীর্ষক রেকর্ড অ্যালবামের গান। এই
গানটি ধীরেন দাশগুপ্ত প্রযোজিত এবং উমাপ্রসাদ মৈত্র পরিচালিত 'জয় বাংলা' ছায়াছবির গান। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা
যুদ্ধকে অবলম্বন করে মিহির সেনের রচিত কাহিনি ও চিত্রনাট্যে সে-সময় কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কলাকুশলীদের দিয়ে
অভিনয় করিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়। সংগীত পরিচালক ছিলেন সুধীন দাশগুপ্ত। অভিনয় করেন এসএম আলাউদ্দিন, আব্দুল হক,
লোকমান হোসেন, গোলাম মুস্তফা, অরবিন্দু কুণ্ডু, মোহাম্মদ বাবর, আলী আবদুল হামিদ, নুরুল আলম, মোহাম্মদ ইউসুফ, কোরবান
আলী ও মোহাম্মদ রহমান প্রমুখ অভিনেতা। সে-সময় এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে ও সংহতিতে পশ্চিমবঙ্গে
জনমত গঠনে একটি বড়ো ভূমিকা রেখেছিল। পুরো কবিতাটি পড়তে https://www.roddure.com/
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
শোনো হিন্দু মুসলমান, বাংলাদেশের সন্তান
আরে শোনোরে শোনোরে শোনো
আহা ছয় দফায় জারি হইল বাচনের ফরমান
আরে ডাণ্ডা খাইয়া ঠাণ্ডা হইলো মিয়া বেকুব খান
হায় হায় নাদীর শাহর ভাইজান
ছয় দফায় জারি হইল বাচনের ফরমান
ডাণ্ডা খাইয়া ঠাণ্ডা হইলো মিয়া বেকুব খান
ওরে মিয়া বেকুব খান, হায় হায় নাদীর শাহর ভাইজান
আইলো শয়তানের ঘোড়ায় চইরা
আছাড় খাইয়া গেলো পইরা
আইলো শয়তানের ঘোড়ায় চইরা
আছাড় খাইয়া গেলো পইরা
দুশমনের কলিজা ফাটলো, মুশকিলের হইলো আসান
দুশমনের কলিজা ফাটলো, মুশকিলের হইলো আসান
ছয় দফায় জারি হইল বাচনের ফরমান
শোনো হিন্দু মুসলমান কবি দীনেন চৌধুরী। সুরকার: সুধীন দাশগুপ্ত। শিল্পী: অমর রায়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত 'জয় বাংলা' শীর্ষক রেকর্ড অ্যালবামের গান।
এই গানটি ধীরেন দাশগুপ্ত প্রযোজিত এবং উমাপ্রসাদ মৈত্র পরিচালিত 'জয় বাংলা' ছায়াছবির গান। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অবলম্বন করে মিহির সেনের রচিত কাহিনি
ও চিত্রনাট্যে সে-সময় কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কলাকুশলীদের দিয়ে অভিনয় করিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়। সংগীত পরিচালক ছিলেন সুধীন দাশগুপ্ত। অভিনয় করেন এসএম
আলাউদ্দিন, আব্দুল হক, লোকমান হোসেন, গোলাম মুস্তফা, অরবিন্দু কুণ্ডু, মোহাম্মদ বাবর, আলী আবদুল হামিদ, নুরুল আলম, মোহাম্মদ ইউসুফ, কোরবান আলী ও মোহাম্মদ রহমান
প্রমুখ অভিনেতা। সে-সময় এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে ও সংহতিতে পশ্চিমবঙ্গে জনমত গঠনে একটি বড়ো ভূমিকা রেখেছিল। ভিডিওটি সৌজন্যে Saregama
Bengali YouTube Channel ।
নয়া দিনের হইসো রে বাও
নয়া দিনের হইসো রে বাও
সাজায় নিয়া রঙ্গিলা নাও
সাজায় নিয়া রঙ্গিলা নাও
ধরিয়া ফ্যালাইয়া বৈঠা, মুখে ধরে খুশির গান
ধরিয়া ফ্যালাইয়া বৈঠা, মুখে ধরে খুশির গান
ছয় দফায় জারি হইল বাচনের ফরমান
আরে মিয়ার কাছে দিদির বায়না
নাকে কানে সোনার গয়না
আহা মিয়ার কাছে দিদির বায়না
নাকে কানে সোনার গয়না
ছাগল বিকল চক্ষু মেইল্যা, সোহাগী হয় বিবিজান
ছাগল বিকল চক্ষু মেইল্যা, সোহাগী হয় বিবিজান
ছয় দফায় জারি হইল বাচনের ফরমান
আরে ডাণ্ডা খাইয়া ঠাণ্ডা হইলো মিয়া বেকুব খান
হায় হায় নাদীর শাহর ভাইজান
ওই ছয় দফায় জারি হইল বাচনের ফরমান
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
যেখানেই থাকি, ময়দানে হবো সকলে সামিল আজকে
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
একবার লাখো হাত এক হোক, দেখে নেব পশুরাজকে।
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
যেখানেই থাকি, ময়দানে হবো সকলে সামিল আজকে
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
একবার লাখো হাত এক হোক, দেখে নেব পশুরাজকে।
স্ট্রাইক! স্ট্রাইক! স্ট্রাইক!
ডাক্-তার-ভাই! টেলিফোন বোন, ভয় নেই, ভয় নেই
ভয় নেই পাশে আমরা
স্ট্রাইক! স্ট্রাইক! স্ট্রাইক!
দুঃশাসনের পাঁজর খসাবো, গা থেকে খুলবো চামড়া।
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
আর সব ডাক বন্ধ, একটি ডাক শুধু চালু থাকবে :
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
আগুনের মুখে একটি জবাব সকলে তৈরী রাখবে।
স্ট্রাইক! স্ট্রাইক! স্ট্রাইক!
স্ট্রাইক স্ট্রাইক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। সুরকার: সুধীন দাশগুপ্ত। সমবেত শিল্পীবৃন্দ। কবির “ময়দানে চলো” কবিতার গীতিরূপ। ১৯৫০ সালে প্রকাশিত কবির “চিরকুট”
কাব্যগ্রন্থের কবিতা। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত 'জয় বাংলা' শীর্ষক রেকর্ড অ্যালবামের গান। এই গানটি ধীরেন দাশগুপ্ত প্রযোজিত এবং উমাপ্রসাদ মৈত্র পরিচালিত 'জয় বাংলা'
ছায়াছবির গান। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অবলম্বন করে মিহির সেনের রচিত কাহিনি ও চিত্রনাট্যে সে-সময় কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কলাকুশলীদের দিয়ে
অভিনয় করিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়। সংগীত পরিচালক ছিলেন সুধীন দাশগুপ্ত। অভিনয় করেন এসএম আলাউদ্দিন, আব্দুল হক, লোকমান হোসেন, গোলাম মুস্তফা, অরবিন্দু কুণ্ডু,
মোহাম্মদ বাবর, আলী আবদুল হামিদ, নুরুল আলম, মোহাম্মদ ইউসুফ, কোরবান আলী ও মোহাম্মদ রহমান প্রমুখ অভিনেতা। সে-সময় এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে
ও সংহতিতে পশ্চিমবঙ্গে জনমত গঠনে একটি বড়ো ভূমিকা রেখেছিল। ভিডিওটি সৌজন্যে Saregama Bengali YouTube Channel ।
একপাও পিছু হটবো না কেউ, করুক রক্তারক্তি।
স্ট্রাইক! স্ট্রাইক! স্ট্রাইক!
পথে পথে আজ হোক মোকাবিলা, দেখি কার কত শক্তি।
স্ট্রাইক! স্ট্রাইক! স্ট্রাইক!
ডাক্-তার-ভাই! টেলিফোন বোন, ভয় নেই, ভয় নেই
ভয় নেই পাশে আমরা
স্ট্রাইক! স্ট্রাইক! স্ট্রাইক!
দুঃশাসনের পাঁজর খসাবো, গা থেকে খুলবো চামড়া।
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
আর সব ডাক বন্ধ, একটি ডাক শুধু চালু থাকবে ।
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
আগুনের মুখে একটি জবাব সকলে তৈরী রাখবে।
স্ট্রাইক! স্ট্রাইক! স্ট্রাইক!
একপাও পিছু হটবো না কেউ, করুক রক্তারক্তি।
স্ট্রাইক! স্ট্রাইক! স্ট্রাইক!
পথে পথে আজ হোক মোকাবিলা, দেখি কার কত শক্তি
।
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
যেখানেই থাকি, ময়দানে হবো সকলে সামিল আজকে
স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
একবার লাখো হাত এক হোক, দেখে নেব পশুরাজকে।
স্ট্রাইক! স্ট্রইক! স্ট্রাইক! স্ট্রইক! স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
স্ট্রাইক! স্ট্রইক! স্ট্রাইক! স্ট্রইক!
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
না না না ইয়াহিয়া তুমি হত্যা যতই করনা
ভাবছি তোমায় দেখে আজকে তোমার মনেরি খবর
শুনেছি বাঙালীদের জয় বাংলা মুখেতে ভোলি
মশাল হাতে পখ দ্যাখাচ্ছে নায়ক মুজিবর
বুঝলে গুণধর
জয় বাংলার আন্দোলনকে থামাতে পারবে না
না না না ইয়াহিয়া তুমি হত্যা যতই করনা
গণতন্ত্র আনতে গিয়ে নির্বাচন তো হলো
গণতন্ত্র আনতে গিয়ে নির্বাচন তো হলো
এখন ভুট্টোর ফাঁদে পা জড়িয়ে মারছো মানুষগুলো
জয় বাংলার আন্দোলনে জিতবে মুজিবর
বুঝলে গুণধর
মুক্তিযোদ্ধাদের শেষ করা কিছুতেই তোমার পক্ষে সম্ভব নয়
না না না ইয়াহিয়া তুমি হত্যা যতই করনা
না না না ইয়াহিয়া তুমি হত্যা যতই করনা অজ্ঞাত কবির রচনা। মূল সুর: নচিকেতা ঘোষ। শিল্পী - দ্বীপেন মুখোপাধ্যায়। এই গানটি উত্তম-সাবিত্রী
অভিনীত ও অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় নির্দেশিত 'নিশিপদ্ম' (১৯৭০) ছায়াছবিতে মান্না দে'র কণ্ঠে কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা 'না না না আজ রাতে আর যাত্রা শুনতে যাবো না'
গানটির অনুকরণে সুরকার নচিকেতা ঘোষের মূল সুরে রচিত প্যারোডি। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে রেকর্ড করা গান। ভিডিওটি সৌজন্যে DOHA FROM BANGLADESH
YouTube Channel । গানটি শুনে লেখা।
গায়ের জোরে রাখতে গদি আনলে মিলিটারি
গায়ের জোরে রাখতে গদি আনলে মিলিটারি
পাকিস্তানের ইতিহাসে সাজলে হত্যাকারী
সিরাজ যদি হয় মুজিবর,
মুজিবর যদি সিরাজ হয়,
সিরাজ যদি হয় মুজিবর, কোথায় মীরজাফর
বুঝলে গুণধর
ভালোয় ভালোয় স্বাধীনতাটা দিয়ে দাও
না না না ইয়াহিয়া তুমি ভোগো না
আমরা আছি তোমার সঙ্গে শেখ মুজিবর ভাই
আমরা আছি তোমার সঙ্গে শেখ মুজিবর ভাই
বাংলাদেশে বেইমানদের কোনোই জায়গা নাই
তাসখ্ডের চুক্তি তাকে পুড়িয়েছে লাহোর
বুঝলে গুণধর
ব্লেম তো পুড়িয়েছো কিন্তু ওই দস্যু দুটোকে ফিরিয়ে দাও
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
শুনো শুনো জগৎবাসী শুনো মন দিয়া
বাংলাদেশে কীর্তি রাখলেন গোসাই ইয়াহিয়া
পশ্চিম দেশের গোসাঞি ঠাকুর কতই জানেন চাতুরী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
পশ্চিম দেশের গোসাঞি ঠাকুর কতই জানেন চাতুরী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
আরে, দিবারাত্র বৈঠক করলেন, মুজিব ভাইয়ের শর্ত মানলেন
ও আহা বেশ
আরে, দিবারাত্র বৈঠক করলেন, মুজিব ভাইয়ের শর্ত মানলেন
ও আহা বেশ
আর তলে তলে ঢাকার পথে নামাইলেন মিলিটারী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
পশ্চিম দেশের গোসাঞি ঠাকুর কতই জানেন চাতুরী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
আরে, ঢাকা শহর ফাঁকা হইলো, লাখে লাখে জান মারিল
ও আহা বেশ
আরে, ঢাকা শহর ফাঁকা হইলো, লাখে লাখে জান মারিল
ও আহা বেশ
আর এরোপেলেন চইরা গোসাঞি চোরের মত দেন পাড়ী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
পশ্চিম দেশের গোসাঞি ঠাকুর কতই জানেন চাতুরী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
ইয়াহিয়ার পাঁচালী কথা - কবি সুবিমল ভট্টাচার্য। সুর - প্রচলিত পাঁচালী গানের সুর। শিল্পী - অমর পাল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে 'হিন্দুস্তান রেকর্ড কোম্পানি' থেকে
প্রকাশিত “ভাটিগাঙের মাঝি” অ্যালবামের গান। (রেকর্ড নং:- INH111127843 1900 SLH-206)। ভিডিওটি সৌজন্যে HINDUSTHAN BHAKTISAGAR YouTube Channel । কথা শুনে লেখা।
ইস্কুল কলেজ চূরমার করে যুবতী পাইলে ধরে
ও আহা বেশ
ইস্কুল কলেজ চূরমার করে যুবতী পাইলে ধরে
ও আহা বেশ
হায়রে লালসা মিটায়া তাগো পাঠায় রে যমের বাড়ী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
যুবক জোয়ান জ্যান্ত ধইরা রক্ত শুষে মেশিন দিয়া
ও আহা বেশ
যুবক জোয়ান জ্যান্ত ধইরা রক্ত শুষে মেশিন দিয়া
ও আহা বেশ
রক্ত বোতল ভইরা ব্যাঙ্কে জমায় বাঁচাইতে মিলিটারী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
এত পাপ কইরা তোমার উচিত শাস্তি হইলো এইবার
ও আহা বেশ
এত পাপ কইরা তোমার উচিত শাস্তি হইলো এইবার
ও আহা বেশ
আহা ইতিহাসের পাতায় তুমি করলে খুনী নাম জারী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
পশ্চিম দেশের গোসাঞি ঠাকুর কতই জানেন চাতুরী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
পশ্চিম দেশের গোসাঞি ঠাকুর কতই জানেন চাতুরী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
কি চমৎকার দেখলাম বাহাদুরী
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
বুড়িগঙ্গা নদীরে তোর বুকে ডিঙ্গা আমি ক্যামনেরে ভাসাই।
পানি যে তোর রক্তে রাঙা বৈঠো কান্দে তাই।
বিদেশ থাইক্যা আইলো দুশমন শাসন করার ভানে।
দ্যাশের মানুষ দ্যাশেই মরে
বন্দুকে কামানে
তারা মায়ের বুকে কুরবান হইয়া
গাঙ্গে পাইল ঠাই।
আল্লারে এই কি তোর বিচার
এই কি ফরমান।
কোন দোষেতে মরে লক্ষ মুজিবর রহমান?
ডিঙ্গা আবার যা ভাইস্যা যা।
আমার চোখের জলে ফিরা আইবি এই কূলে তুই।
এদেশ স্বাধীন হইলে পারি না আর বাইতে বৈঠা।
দিশা যে হারাই॥
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
মানুষ হ’, মানুষ হ’,
আবার তোরা মানুষ হ’---
অনুকরণ-খোলস ভেদি’
কায় মনে বাঙ্গালী হ’।
শিখে নে দেশ-বিদেশের জ্ঞান
তবু হারাসনে মা’র দান
বাংলা ভাবে পূর্ণ হবে
সুধন্য বাঙ্গালী হ’॥
করে বাংলা-জাত প্রাণ
পেটে বাংলা-সেবায় দান
বংলা ভাষায় বুলি বলে
বাংলা ধাজে নেচে খেলে
ষোল আনা বাঙালী হ'---
সম্পূর্ন বাঙ্গালী হ’ ---
বিশ্ব মানব হ'বি যদি---
শাশ্বত বাঙ্গালী হ’॥
মানুষ হ’ কথা ও সুর কবি গুরুসদয় দত্ত। সমবেত শিল্পীবৃন্দ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় 'স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্র' থেকে রেকর্ড করা ও সম্প্রচারিত গান। ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে (১৯৩৮ খৃষ্টাব্দে) প্রকাশিত কবির কাব্যগ্রন্থ
ব্রতচারী সখা, ষষ্ঠ সংস্করণের কবিতা। ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ
সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-
মূলক নিবন্ধ থেকে ১৯৭১ সালে “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র” থেকে রেকর্ড করা ও সম্প্রচারিত গানের তালিকায় এই
গানটি রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । ভিডিওটি সৌজন্যে DOHA
FROM BANGLADESH YouTube Channel ।
দিগন্তে কারা আমাদের সাড়া পেয়ে
সাতটি রঙের ঘোড়ায় চাপায় জিন
তুমি আলো আমি আঁধারের আল বেয়ে
আনতে চলেছি লাল টুকটুকে দিন
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে--
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?।
আমরা যা খুশি তাই করি, তবু তাঁর খুশিতেই চরি,
আমরা নই বাঁধা নই দাসের রাজার ত্রাসের দাসত্বে--
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?।
রাজা সবারে দেন মান, সে মান আপনি ফিরে পান,
মোদের খাটো ক'রে রাখে নি কেউ কোনো অসত্যে--
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?
আমরা চলব আপন মতে, শেষে মিলব তাঁরি পথে,
মোরা মরব না কেউ বিফলতার বিষম আবর্তে--
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?।
আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে কথা ও সুর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শিল্পী: সুচিত্রা মিত্র ও সমবেত কণ্ঠে। ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে
প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক নিবন্ধ থেকে ১৯৭১ সালে
“স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র” থেকে রেকর্ড করা ও সম্প্রচারিত গানের তালিকায় এই গানটি রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে
ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Anjan Chakraborty YouTube Channel । গানের কথা
সৌজন্যে https://www.tagoreweb.in/ ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
শুভ কর্মপথে ধর' নির্ভয় গান।
সব দুর্বল সংশয় হোক অবসান।
চির-শক্তির নির্ঝর নিত্য ঝরে
লহ' সে অভিষেক ললাট'পরে।
তব জাগ্রত নির্মল নূতন প্রাণ
ত্যাগব্রতে নিক দীক্ষা,
বিঘ্ন হতে নিক শিক্ষা--
নিষ্ঠুর সঙ্কট দিক সম্মান।
দুঃখই হোক তব বিত্ত মহান।
চল' যাত্রী, চল' দিনরাত্রি--
কর' অমৃতলোকপথ অনুসন্ধান।
জড়তাতামস হও উত্তীর্ণ,
ক্লান্তিজাল কর' দীর্ণ বিদীর্ণ--
দিন-অন্তে অপরাজিত চিত্তে
মৃত্যুতরণ তীর্থে কর' স্নান ॥
শুভ কর্মপথে ধরো নির্ভয় গান কথা ও সুর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শিল্পী: উৎপলা সেন, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ও সহশিল্পীবৃন্দ। ১৯৫০ সালে প্রকাশিত রেকর্ডের গান। ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯
তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক
প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক নিবন্ধ থেকে ১৯৭১ সালে “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র” থেকে রেকর্ড করা ও সম্প্রচারিত
গানের তালিকায় এই গানটি রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানের ভিডিওটি
সৌজন্যে Saroj Sanyal YouTube Channel । গানের কথা সৌজন্যে https://www.tagoreweb.in/ ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান।
সঙ্কটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ।
মুক্ত করো ভয়, আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়।
দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো,
নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।
মুক্ত করো ভয়, নিজের 'পরে করিতে ভর না রেখো সংশয়।
ধর্ম যবে শঙ্খরবে করিবে আহ্বান
নীরব হয়ে নম্র হয়ে পণ করিয়ো প্রাণ।
মুক্ত করো ভয়, দুরূহ কাজে নিজেরি দিয়ো কঠিন পরিচয়॥
সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান কথা ও সুর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
শিল্পী: দেবব্রত বিশ্বাস ও কনক দাশ (বিশ্বাস)। ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত রেকর্ডের গান। ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত
“ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-
মূলক নিবন্ধ থেকে ১৯৭১ সালে “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র” থেকে রেকর্ড করা ও সম্প্রচারিত গানের তালিকায় এই গানটি রয়েছে।
সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Anjan Chakraborty YouTube
Channel । গানের কথা সৌজন্যে https://www.tagoreweb.in/ ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
দেশে দেশে ভ্রমি তব দুখ গান গাহিয়ে
নগরে প্রান্তরে বনে বনে । অশ্রু ঝরে দু নয়নে,
পাষাণ হৃদয় কাঁদে সে কাহিনী শুনিয়ে ।
জ্বলিয়া উঠে অযুত প্রাণ, এক সাথে মিলি এক গান গায়—
নয়নে অনল ভায়— শূন্য কাঁপে অভ্রভেদী বজ্রনির্ঘোষে !
ভয়ে সবে নীরবে চাহিয়ে॥
ভাই বন্ধু তোমা বিনা আর মোর কেহ নাই ।
তুমি পিতা, তুমি মাতা, তুমি মোর সকলই ।
তোমারি দুঃখে কাঁদিব মাতা, তোমারি দুঃখে কাঁদাব ।
তোমারি তরে রেখেছি প্রাণ, তোমারি তরে ত্যজিব ।
সকল দুঃখ সহিব সুখে
তোমারি মুখ চাহিয়ে॥
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা।
জাগো স্বাহা সীমন্তে রক্তটিকা॥
দিকে দিকে মেলি তব লেলিহান রসনা,
নেচে চলো উন্মাদিনী দিগ্বসনা,
জাগো হতভাগিনি ধর্ষিতা নাগিনি,
বিশ্ব-দাহন তেজে জাগো দাহিকা॥
ধুধু জ্বলে ওঠো ধূমায়িত অগ্নি,
জাগো মাতা, কন্যা, বধূ, জায়া, ভগ্নি!
পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা
জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা,
মেঘে আনো বালা বজ্রের জ্বালা,
চির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা॥
জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা কথা ও সুর: কবি কাজী নজরুল ইসলাম। শিল্পী জ্ঞান দত্ত।
১৯৪৬ সালের রেকর্ডের গান। এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”
-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক
গবেষণা-মূলক নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানের
ভিডিওটি সৌজন্যে Siraj ShNai YouTube Channel । গানের কথা সৌজন্যে https://www.ebanglalibrary.com/ ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী।
ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনি॥
রৌদ্রতপ্ত বৈশাখে তুমি চাতকের সাথে চাহ জল,
আম কাঁঠালের মধুর গন্ধে জ্যৈষ্ঠে মাতাও তরুতল।
ঝঞ্ঝার সাথে প্রান্তরে মাঠে কভু খেল ল’য়ে অশনি॥
কেতকী-কদম-যূথিকা কুসুমে বর্ষায় গাঁথ মালিকা,
পথে অবিরল ছিটাইয়া জল খেল চঞ্চলা বালিকা।
তড়াগে পুকুরে থই থই করে শ্যামল শোভার নবনী॥
শাপলা শালুক সাজাইয়া সাজি শরতে শিশির নাহিয়া,
শিউলি-ছোপানো শাড়ি পরে ফের আগামনী-গীত গাহিয়া।
অঘ্রাণে মা গো আমন ধানের সুঘ্রাণে ভরে অবনি॥
শীতের শূন্য মাঠে তুমি ফের উদাসী বাউল সাথে মা,
ভাটিয়ালি গাও মাঝিদের সাথে গো, কীর্তন শোনো রাতে মা।
ফাল্গুনে রাঙা ফুলের আবিরে রাঙাও নিখিল ধরণী॥
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আবৃত্তি কাজী সব্যসাচী। এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন
২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক
প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ ।
গানের ভিডিওটি সৌজন্যে 943basu YouTube Channel । গানের কথা সৌজন্যে https://nazrulgeeti.org/ ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাঙ্গলা ভাষা!
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা !
কি যাদু বাঙ্গলা গানে! গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে!
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।
এ ভাষাতেই নিতাই গোরা, আন্ ল দেশে ভক্তিধারা
আছে কৈ এমন ভাষা এমন দুঃখ-শ্রান্তিনাশা।
বিদ্যাপতি, চণ্ডি, গোবিন, হেম, মধু বঙ্কিম, নবীন ;
ঐ ফুলেরই মধুর রসে বাঁধ্ল সুখে মধুর বাসা!
বাজিয়ে রবি তোমার বীণে, আন্ ল মালা জগৎ জিনে!
তোমার চরণ-তীর্থে আজি জগত করে যাওয়া-আসা।
ঐ ভাষাতেই প্রথম বোলে, ডাক্ নু মায়ে 'মা, মা’ বলে ;
ঐ ভাষাতেই বল্ ব ‘হরি’ সাঙ্গ হলে কাঁদা-হাসা!
মোদের গরব, মোদের আশা কবি অতুলপ্রসাদ সেন। শিল্পী - মিতা হক। কবির “কয়েকটি গান” গীতিগ্রন্থের,
“স্বদেশ” পর্বের গান। এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে
প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই নিবন্ধে
যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Md. Mansur Ali Biswas YouTube Channel ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়
মাথায় তুলে নে রে ভাই ;
দীন-দুঃখিনী মা য়ে তোদের
তার বেশী আর সাধ্য নাই |
ঐ মোটা সূতোর সঙ্গে, মায়ের
অপার স্নেহ দেখতে পাই ;
আমরা, এমনি পাষাণ, তাই ফেলে ঐ
পরের দোরে ভিক্ষা চাই |
ঐ দুঃখী মায়ের ঘরে, তোদের
সবার প্রচুর অন্ন নাই ;
তবু, তাই বেচে কাচ, সাবান মোজা,
কিনে কল্লি ঘর বোঝাই |
আয়রে আমরা মায়ের নামে
এই প্রতিজ্ঞা ক'রব ভাই ;
পরের জিনিষ কিনবো না, যদি
মায়ের ঘরের জিনিষ পাই |
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় কথা ও সুর: কবি রজনীকান্ত সেন। শিল্পী: সমবেত কণ্ঠে রুমা
গুহঠাকুরতা ও 'ক্যালকাটা ইউথ কয়্যার'-এর শিল্পীবৃন্দ। কবির ১৯০২ সালে প্রকাশিত “বাণী” কাব্যগ্রন্থের গান।
এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত
লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই
নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Calcutta Youth
Choir - Topic YouTube Channel ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে,
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে॥
তাথৈ তাথৈ থৈ দ্রিমী দ্রিমী দং দং,
ভূত পিশাচ নাচে যোগিনী সঙ্গে।
দানব দলনী হয়ে উন্মাদিনী,
আর কি দানব থাকিবে বঙ্গে॥
সাজ রে সন্তান হিন্দু মুসলমান,
থাকে থাকিবে প্রাণ না হয় যাইবে প্রাণ।
লইয়ে কৃপাণ হও রে আগুয়ান,
নিতে হয় মুকুন্দে-রে নিও রে সঙ্গে॥
ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে কথা ও সুর: চারণকবি মুকুন্দদাস (১৮৭৮ - ১৮.৫.১৯৩৪)।
'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে'র কণ্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীরের কণ্ঠে। এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯
তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে
সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https:
//www.bhorerkagoj.com/ । গানের ভিডিওটি সৌজন্যে Fakir Alamgir YouTube Channel ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
মুক্তির মন্দির সোপানতলে
কত প্রাণ হলো বলিদান
লেখা আছে অশ্রুজলে।
কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা
বন্দীশালায় ঐ শিকল ভাঙা
তারা কি ফিরিবে আর
তারা কি ফিরিবে এই সুপ্রভাতে
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।
যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশব্রতের সহদীক্ষালোভী
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণভূমি।
যারা জীর্ণজাতির বুকে জাগালো আশা
মৌন মলিন মুখে জাগালো ভাষা
সাজি রক্তকমলে গাঁথা মাল্যখানি
বিজয়লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরি গলে॥
মুক্তির মন্দির সোপানতলে কবি মোহিনী চৌধুরী (০৫. ০৯. ১৯২০ ~ ২১. ০৫. ১৯৮৭)। সুরকার
ও শিল্পী: কৃষ্ণচন্দ্র দে। এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ
সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক
নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানের ভিডিওটি
সৌজন্যে mh music archive - Indian, Legend YouTube Channel ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
শোন দেশের ভাই ভাগনী
শোন আচানক কাহিনী
কান্দে বাংলা জননী ঢাকার শহরে॥
ও ভাই রে ভাই --- ছিল বুড়িগঙ্গার মরাপানী
তার বুকে কে আনলো জোয়ানীরে
কার কইলজার খুনে বয় উজানী
শুকনা বালুচরে!
ও ভাই রে ভাই --- একুশে ফেব্রুয়ারী দিনে
খুশীর মধু নয়া ফাগুনেরে
হঠাৎ দিন-দুপুরে অমানিশার
ঢাকলো অন্ধকারে॥
ও ভাই রে ভাই --- যে ভাষায় আমার ফুটে বুলি
ফুটে আমার প্রাণের কলিরে
সেই গুলবাগে চালাইলো গুলি
নিতে সেই ফুল ছিঁড়ে রে॥
শোন দেশের ভাই-ভগিনী কথা ও সুর: হেমাঙ্গ বিশ্বাস (১৪.১২.১৯১২ - ২২.১১.১৯৮৭)।
কবিকন্যা বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রঙ্গিলী বিশ্বাসের কন্ঠে কলকাতা দূরদর্শনের আর্কাইভ থেকে। এই গানটির শিরোনাম 'ঢাকার ডাক'। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে
রচিত গান "ঢাকার ডাক"শিরোনামে। এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের
“মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানের ভিডিওটি সৌজন্যে mh
music archive - Indian, Legend YouTube Channel ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
হাসি হাসি পরব ফাঁসী
দেখবে ভারতবাসী
আমি হাসি হাসি পরব ফাঁসী
দেখবে ভারতবাসী
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
কলের বোমা তৈরী করে
দাঁড়িয়ে ছিলাম রাস্তার ধারে মাগো
বড়লাটকে মারতে গিয়ে
মারলাম আরেক ইংলণ্ডবাসী
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
হাতে যদি থাকত ছোরা
তোর ক্ষুদি কি পড়ত ধরা মাগো
রক্ত-মাংস এক করিতাম
দেখত জগৎবাসী
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত পীযূষ বসু নির্দেশিত সুভাষচন্দ্র ছায়াছবির গান। অপরেশ
লাহিড়ীর সঙ্গীতে গানটি গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সুভাষচন্দ্রের নামভূমিকায় শৈশবের চরিত্রে অভিনয় করেন মাস্টার আশিস ঘোষ।
ছায়াছবিতে গীতিকারদের নাম প্রদর্শনের সময় পর্দায় কবি পীতাম্বর দাসের নামের উল্লেখ করা হয়নি। গীতিকারদের নাম এইভাবে দেখানো
হয়েছিল --- “গান বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল, রজনীকান্ত, অতুলপ্রসাদ ও একবার বিদায় দে মা - [ সংগ্রহ ]”। ছায়াছবিতে গানটি শুনুন
ভিডিওটিতে। ভিডিওটি সৌজন্যে Angel Bengali Songs YouTube Channel. । এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত
“ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক
নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ ।
শনিবার বেলা দশটার পরে
জজকোর্টেতে লোক না ধরে মাগো
হোলো অভিরামের দ্বীপ চালান মা
ক্ষুদিরামের ফাঁসী
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
বারো লক্ষ তেত্রিশ কোটি
রইলো মা তোর ব্যাটা বেটি মাগো
তাদের নিয়ে ঘর করিস মা
বৌদের করিস দাসী
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
দশ মাস দশ দিন পরে
জন্ম নিব মাসীর ঘরে মাগো
তখন যদি না চিনতে পারিস্
দেখবি গলায় ফাঁসী
ওমা তখন যদি না চিনতে পারিস্
দেখবি গলায় ফাঁসী
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি
এই গানে উল্লিখিত "অভিরাম" আর কেউ নন স্বয়ং অগ্নিযুগের অস্ত্রগুরু বিপ্লবী হেমচন্দ্র দাস কানুনগো !
ও ভাই রে ভাই --- রফিকুলের মাথার খুলি
উড়ায় গরম সীসার গুলি রে
যেমন ফোরাত নদীর পারে আজগর
বিষ তীর খাইয়া মরে রে॥
ও ভাই রে ভাই --- আইলো যখন হাইকোর্টের ধারে
আচম্ কা ঝাপাইয়া পড়ে-রে
তাজা রক্তমাংস খাইল ছিঁড়ে
( যত ) হিংস্র জানোয়ারে॥
ও ভাই রে ভাই --- নিয়া আজিমপুরের গোরস্থানে
রাইতের নিশায় অতি গোপনে-রে
বিনা জানাজা বিনা কাফনে
মাটি দল কবরে॥
ও ভাই রে ভাই --- ( সেদিন ) চাক্কা বন্ধ হইলো রেলে
নারায়নগঞ্জের সূতাকলে রে
সেদিন উদলো না ঢেউ পদ্মার জলে
সুজন নাইয়ার সুরে॥
ও ভাই রে ভাই --- ( ফুটলো ) লাল ফাগুনের আগুনে ফুল
শহীদ আবুল, বরকত রফিকুলরে
মেঘনার দুইকুল হইলো আকুল
জীবনের জোয়ারে॥
কাইন্দ না মা কাইন্দ না আর বঙ্গ জননী
তুমি থে বীরপ্রসবিনী গো তুমি শহীদ জননী॥
আইজ আনন্দের মহরম মাগো খুশীর আগমনী
পদ্মার বুকে মিললো আইয়া গঙ্গানদীর পানী
মরহুম আত্মার করে মোনাজাত বাংলার ভাই ভগিনী
মুছ মাগো মুছ চক্ষের পানী॥
কৃত্তিবাস, চণ্ডীদাস, আলোয়াল একই বৃক্ষের ফুল
মধু, শরৎ, রবীন্দ্রনাথ, কায়কোবাদ, নজরুল
এই বাংলা ভাষায় গাইয়া গেল যত আউল বাউল
( আইজ ) ঢাকার শহরে তাদের সম্মিলনী॥
যে ভাষায় আমি কান্দি হাসি ভাষা আমার জান
যে ভাষায় রাখাল বাজায় বাঁশি, মাঝি ধরে টান
( আজ ) মেশিনগান কি রুখতে পারে আমার বাংলা গান
জান যাবেতো, যাবে না জবানী॥
শহীদ স্তম্ভ ভাঙে কারা সাধ্য আছে কার,
মোদের সিনায় সিনায় উঠে শহীদের মিনার
সেই মিনারের মোয়াজীনের নয়া জমানার
শোন ভোরের শোন আজান ধ্বনি॥
ঢেউ উঠেছে কারা টুটছে আলো ফুটছে প্রাণ জাগছে
ঢেউ উঠেছে কারা টুটেছে আলো ফুটেছে প্রাণ জাগছে জাগছে জাগছে
গুরু গুরু গুরু গুরু ডম্বর পিনাকী বেজেছে বেজেছে বেজেছে
মরা বন্দরে আজ জোয়ার জাগানো ঢেউ তরণী ভাসানো ঢেউ উঠেছে।
শোষণের চাকা আর ঘুরবে না ঘুরবে না
চিমনীতে কালো ধোয়া উঠবে না উঠবে না।
বয়লারে চিতা আর জ্বলবে না জ্বলবে না
চাকা ঘুরবে না, চিতা জ্বলবে না, ধোঁয়া উঠবে না
লাখে লাখ করতাল হরতাল হেঁকেছে, হরতাল, হরতাল, হরতাল।
আজ হরতাল, আজ চাকা বন্ধ॥
আর পারবে ভোলাতে মধুমাখা ছুরিতে
জনতাকে পারবে না ভোলাতে।
আর পারবে না দোলাতে মরীচিকা মায়াতে
বিভেদের ছলনায় ছলিতে
মিছিলের গর্জন, দুর্জয় শপথে গরজে ঐ গরজে
আজ হরতাল, আজ চাকা বন্ধ॥
ঢেউ উঠছে কারা টুটছে কথা ও সুর - কবি সলিল চৌধুরী (১১.১১.১৯২৫ - ৫.৯.১৯৯৫), শিল্পী - কণ্ঠশিল্পী: কবি সলিল চৌধুরী, মন্টু ঘোষ, সবিতা
চৌধুরী ও সহশিল্পীদের কণ্ঠে। ভিডিওটি সৌজন্যে Gaaner Dali YouTube Channel. । এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের
কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই
নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানটি আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দীদের বিচার নিয়ে লেখা কবির প্রথম গণসংগীত।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা
ও আমার, দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা, যমুনা
গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা
একই আকাশ একই বাতাস
একই হৃদয়ে একই তো শ্বাস
দোয়েল কোয়েল পাখির ঠোঁটে
একই মূর্ছনা একই মূর্ছনা
ও আমার, দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা, যমুনা
গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা
গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা কথা কবি শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরকার: কবি ভূপেন হাজারিকা। কণ্ঠশিল্পী: রুনা লায়লা, ভিডিওটি সৌজন্যে
Anjan Kumar Saikia YouTube Channel. । কণ্ঠশিল্পী: ভূপেন হাজারিকা, ভিডিওটি সৌজন্যে Kalyan Gantait YouTube Channel. । এই গানটি ৩০শে মে ও ২রা জুন
২০১৯ তারিখে প্রকাশিত “ভোরের কাগজ Live”-এ 'ঈদ সাময়িকী' তে প্রকাশিত লেখক মুনতাসীর মামুনের “মুক্তিযুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রণোদনা : গান” শীর্ষক গবেষণা-মূলক
নিবন্ধ-এ রয়েছে। সেই নিবন্ধে যেতে এখানে ক্লিক করুন https://www.bhorerkagoj.com/ । গানটি আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দীদের বিচার নিয়ে লেখা কবির প্রথম
গণসংগীত।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
একই আশা ভালবাসা
কান্না-হাসির একই ভাষা
দুঃখ-সুখের বুকের মাঝে
দুঃখ-সুখের বুকের মাঝে একই যন্ত্রণা
একই যন্ত্রণা
ও আমার, দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা, যমুনা
গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা
গঙ্গা আমার মা পদ্মা আমার মা
আমি এ-পার ও-পার কোন্ পারে জানি না
ও আমি সবখানেতে আছি
গাঙের জলে ভাসিয়ে ডিঙ্গা
ও আমি পদ্মা তে ওই মাঝি
আমি এ-পার ও-পার কোন্ পারে জানি না
শংখচিলের ভাসিয়ে ডানা
ও আমি দুই নদীতে নাচি
আমি এ-পার ও-পার কোন্ পারে জানি না
কবিকন্যা বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রঙ্গিলী বিশ্বাসের কন্ঠে
|
তোরা আয় লো
আয়রে সবে আয় আয় আয়
তোরা আয় সকলে দেইখা যা রে
মুজিব আইসে ঘরে,
পীরের দরগায় চিরাগ জ্বালা,পূজা দে মন্দিরে॥
তোরা জোকার দে রে শঙ্খ বাজা,কপালে দে টিপ
সর্বহারা বাংলা মায়ের মুজিব আশার দীপ॥
মুজিব আমার মরণজয়ী, মুজিব দ্যাশের প্রাণ
তাঁর ডাকে কোরবানি হইসে তিরিশ লক্ষ জান॥
মোদের ক্ষেত গেসে, খামার গেসে, গেসে ঘরের জন
খান স্যানারা লুইঠা নিসে মোদের সকল ধন॥
স্বর্ণলঙ্কা ধ্বংস হইলো একক সীতার তরে
অরা লক্ষ সীতার ইজ্জত নিসে বাংলার ঘরে ঘরে॥
শেখ মুজিবের কবর খুঁড়লো ইয়াহিয়া খান
সেই কবরে চাপা পড়লো পূর্ব পাকিস্তান॥
তোরা আয় লো কথা কবি নিরঞ্জন বসুচৌধুরী (১৯১৯ - ২০০৬) এর “মুজিব আইসে ঘরে” শিরোনামের গান। সুর - মিহির ভট্টাচার্য।
কন্ঠশিল্পী - ভাস্বতী মিত্র। কবির জন্ম তদানীন্তন ঢাকা জেলার ষোলঘর গ্রামে। তাঁর জীবন অতিবাহিত হয় জামশেদপুরে। সেখানে টাটা স্টীল
কোম্পানিতে চাকরীর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সাহিত্য চর্চাও অব্যাহত ছিল। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, কবিতা ও গান প্রকাশিত
হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামসেদপুরের স্থানীয় চন্দন অরুণ সংঘে তাঁর রচিত “বাংলাদেশ” গীতি আলেখ্যটি
মঞ্চস্থ হয়েছিল। বর্তমান গানটি তারই অন্তর্গত। ভিডিওটি সৌজন্যে Alak Basuchoudhury YouTube Channel. ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ঐ যে গুরু গুরু মেঘ ভাইসা আসে পূবালী বাতাসে।
বর্ষা নামিল আজি সোনার বাংলা দেশে॥
বিলে পানি খালে পানি ডুইবা গ্যাসে মাঠ
এই পানিতে ভাইসা গেলো পাকিস্তানি ঠাট॥
মোদের মনের আগুন আজি ঝড়ের হাওয়ায় ফিরে
হানাদারের মাথায় খোদার বজ্র
ঝইরা পড়ে॥
গাঙ্গের পানি রঙ্গীন হইলো মোদের বুকের খুনে,
এইবার দুশমনেরি কইলজা ফাটে
খোদার মেশিনগানে॥
হায় মুজিব আজ কোথায় তুমি জমসে মোদের খেলা,
ভাতে আর পানিতে মরলো জঙ্গীশাহীর চেলা॥
বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর গাঙ্গে আইলো বান --
হেই পানিতে ভাইসা গ্যালো ইয়াহিয়া খান॥
ঐ যে গুরু গুরু মেঘ কথা কবি নিরঞ্জন বসুচৌধুরী (১৯১৯ - ২০০৬) এর “মুজিব আইসে ঘরে” শিরোনামের গান। সুর
- মিহির ভট্টাচার্য। কন্ঠশিল্পী - ভাস্বতী মিত্র। কবির জন্ম তদানীন্তন ঢাকা জেলার ষোলঘর গ্রামে। তাঁর জীবন অতিবাহিত হয় জামশেদপুরে।
সেখানে টাটা স্টীল কোম্পানিতে চাকরীর সঙ্গেসঙ্গে তাঁর সাহিত্য চর্চাও অব্যাহত ছিল। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী,
কবিতা ও গান প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামসেদপুরের স্থানীয় চন্দন অরুণ সংঘে তাঁর রচিত
“বাংলাদেশ” গীতি আলেখ্যটি মঞ্চস্থ হয়েছিল। বর্তমান গানটি তারই অন্তর্গত। ভিডিওটি সৌজন্যে Alak Basuchoudhury YouTube Channel. ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
বন্ধু, তোমার ছাড়ো-উদ্বেগ, সুতীক্ষ করো চিত্ত,
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।
মূঢ় শত্রুকে হানো স্রোত রুখে, তন্দ্রাকে করো ছিন্ন,
একাগ্র দেশে শত্রুরা এসে হয়ে যাক নিশ্চিহ্ন।
ঘরে তোলো ধান, বিপ্লবী প্রাণ প্রস্তুত রাখো কাস্তে,
গাও সারিগান, হাতিয়ারে শান দাও আজ উদয়াস্তে।
আজ দৃঢ় দাঁতে পুঞ্জিত হাতে প্রতিরোধ করো শক্ত,
প্রতি ঘাসে ঘাসে বিদ্যুৎ আসে জাগে সাড়া অব্যক্ত।
আজকে মজুর হাতুড়ির সুর ক্রমশই করে দৃপ্ত,
আসে সংহতি; শত্রুর প্রতি ঘৃণা হয় নিক্ষিপ্ত।
ভীরু অন্যায় প্রাণ-বন্যায় জেনো আজ উচ্ছেদ্য,
বিপন্ন দেশে তাই নিঃশেষে ঢালো প্রাণ দুর্ভেদ্য!
সব প্রস্তুত যুদ্ধের দূত হানা দেয় পূব দরজায়,
ফেনী ও আসামে, চট্টগ্রামে ক্ষিপ্ত জনতা গর্জায়।
বন্ধু, তোমার ছাড়ো উদ্বেগ, সুতীক্ষ্ম করো চিত্ত,
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।
উদ্যোগ কথা কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৫.৮.১৯২৬ - ১৩.৫.১৯৪৭)। কবির ১৯৫০ সালে প্রকাশিত "পূর্বাভাস" কাব্যগ্রন্থের কবিতা। ১৯৭১
সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত কবিতা। কবিতাটির আবৃত্তি ফয়সাল আজিজ এর কন্ঠে শুনুন। ভিডিওটি সৌজন্যে
VoiceArt YouTube Channel. ।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
"স্বাধীন বাংলা বেতারে পরিবেশিত গান খবরেরও বিষয় ছিল, যেমন -- “স্বাধীন
বাঙলা বেতারে ‘আন্তর্জাতিক গণসঙ্গীত’ (স্টাফ রিপোর্টার) -- কলকাতা, ২ জুন
: আজ ‘স্বাধীন বাঙলা বেতার কেন্দ্র’ থেকে প্রচারিত ‘অগ্নিশিখা’ নামক এক
অনুষ্ঠানে ‘আন্তর্জাতিক’ গণ-সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। ঐ
‘আন্তর্জাতিক’ সঙ্গীত ছিল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম কৃত
‘ইন্টারন্যাশনাল’-এর বঙ্গানুবাদ। ঐ অনুষ্ঠানেই নজরুলের প্রসিদ্ধ ‘কারার ঐ
লৌহ-কপাট’ সঙ্গীত এবং সুকান্ত’র ‘বন্ধু তোমার ছাড়ো উদ্বেগ সুতীক্ষ্ম কর
চিত্ত’ কবিতাও পরিবেশন করা হয়েছে। ” কালান্তর, ৩.৬.১৯৭১"
তথ্যসূত্র - https://www.bhorerkagoj.com/
শৃঙ্খল ভাঙা সুর বাজে পায়ে
. ঝন্ ঝনা ঝন্ ঝন
সর্বহারার বন্দী-শিবিরে
. ধ্বংসের গর্জন |
দিকে দিকে জাগে প্রস্তুত জনসৈন্য
পালাবে কোথায় ? রাস্তা তো নেই অন্য
হাতে রচা এই খোঁয়ার তোমার জন্য
. হে শত্রু দুষমন
যুগান্ত জোড়া জড়রাত্রির শেষে
. দিগন্ত দেখি স্তম্ভিত লাল আলো,
রুক্ষ মাঠেতে সবুজ ঘনায় এসে
. নতুন দেশের যাত্রীরা চমকালো |
চলতি ট্রেনের চাকায় গুঁড়ায়ে দম্ভ
পতাকা উড়াই : মিলিত জয়স্তম্ভ
মুক্তির ঝড়ে শত্রুরা হতভম্ভ |
. আমরা কঠিন পণ ||
শৃঙ্খল ভাঙা সুর বাজে পায়ে কথা কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৫.৮.১৯২৬ - ১৩.৫.১৯৪৭)। সুর - দিলীপ
মুখোপাধ্যায়। কণ্ঠ - সুর সৃষ্টি ইউটিউব চ্যানেলের অনামা শিল্পী। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে
প্রচারিত কবিতা। ভিডিওটি সৌজন্যে Sur Srishti YouTube Channel. । তথ্যসূত্র https://www.shomoyeralo.com/
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
হে মহামানব, একবার এসো ফিরে
শুধু একবার চোখ মেলো এই গ্রাম নগরের ভিড়ে,
এখানে মৃত্যু হানা দেয় বারবার ;
লোকচক্ষুর আড়ালে এখানে জমেছে অন্ধকার |
এই যে আকাশ , দিগন্ত , মাঠ স্বপ্নে সবুজ মাটি
নীরবে মৃত্যু গেড়েছে এখানে ঘাঁটি ;
কোথাও নেইকো পার
মারী ও মড়ক, মন্বন্তর, ঘন ঘন বন্যার
আঘাতে আঘাতে ছিন্নভিন্ন ভাঙা নৌকার পাল,
এখানে চরম দুঃখ কেটেছে সর্বনাশের খাল,
ভাঙা ঘর, ফাঁকা ভিটেতে জমেছে নির্জনতার কালো,
হে মহামানব, এখানে শুকনো পাতায় আগুন জ্বালো |
হে মহামানব একবার এসো ফিরে কথা কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৫.৮.১৯২৬ - ১৩.৫.১৯৪৭)। কবির
"ছাড়পত্র" কাব্যগ্রন্থের "বোধন" কবিতার প্রথম স্তবকের গীতিরুপান্তর ও সুর - অজিত রায়। বাদ্যযন্ত্রানুষঙ্গ: সুজেয় শ্যাম।
শিল্পী: সমবেত বাংলাদেশ উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর শিল্পীগণ। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত কবিতা।
ভিডিওটি সৌজন্যে UDICHI SHARIATPUR YouTube Channel. । তথ্যসূত্র https://www.shomoyeralo.com/
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃ মহাবিপ্লব হেতু
. এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু!
সাত--- সাত শ' নরক-জ্বালা জ্বলে মম ললাটে,
মম ধূম-কুণ্ডলী ক'রেছে শিবের ত্রিনয়ন ঘন ঘোলাটে!
আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ,
আমি স্রষ্টার বুকে সৃষ্টি-পাপের অনুতাপ-তাপ-হাহাকার---
. আর মর্ত্তে সাহারা-গোবী ছাপ,
. আমি অশিব তিক্ত অভিশাপ!
আমি সর্ব্বনাশের ঝাণ্ডা উড়ায়ে বোঁও বোঁও ঘুরি শূণ্যে,
আমি বিষ-ধূম-বাণ হানি একা ঘিরে ভগবান-অভিমুন্যে |
শোঁও শন-নন-নন শন-নন-নন শাঁই শাঁই,
. ঘুর্ পাক্ খাই, ধাই পাঁই পাঁই,
. মম পুচ্ছে জড়ায়ে সৃষ্টি ;
. করি' উল্কা-অশনি-বৃষ্টি, ---
আমি একটা বিশ্ব গ্রাসিয়াছি, পারি গ্রাসিতে এখনো ত্রিশটি |
আমি অপঘাত দুর্দ্দৈব রে আমি সৃষ্টির অনাসৃষ্টি!
আমি আপনার বিষ-জ্বালা মদ-পিয়া মোচড় খাইয়া খাইয়া
. জোর বুঁদ হ'য়ে আমি চ'লেছি ধাইয়া ভাইয়া!
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
. শুনি' মম বিষাক্ত, "রিরিরিরি"-নাদ
শোনায় দ্বিরেফ-গুঞ্জন সম বিশ্ব ঘোরার প্রণব নিনাদ!
. মম ধূর্জ্জটী-শিখ করাল পুচ্ছে
দশ অবতারে বেঁধে ঝ্যাটা ক'রে ঘোরাই উচ্চে, ঘুরাই---
. আমি অগ্নি কেতন উড়াই! ---
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃ মহাবিপ্লব হেতু
. এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু!
ঐ বামন বিধি সে আমারে ধরিতে বাড়ায়েছিল রে হাত
মম অগ্নি-দাহনে জ্ব'লে পুড়ে তাই ঠুঁটো সে জগন্নাথ!
আমি জানি জানি ঐ স্রষ্টার ফাঁকি, সৃষ্টির ঐ চাতুরী,
তাই বিধি ও নিয়মে লাথি মেরে, ঠুকি বিধাতার বুকে হাতুড়ি |
আমি জানি জানি ঐ ভুয়ো ঈশ্বর দিয়ে যা' হয়নি হবে তা'ও!
তাই বিপ্লব হানি বিদ্রোহ করি, নেচে নেচে দিই গোঁফে তা'ও!
তোর নিযুত নরকে ফুঁ দিয়ে নিবাই, মৃত্যুর মুখে থুতু দি'!
আর যে যত রাগে রে তারে তত কাল্-আগুনের কাতুকুতু দি'!
মম তুরীয় লোকের তির্যক-গতি তূর্য্য-গাজন বাজায়!
মম বিষ-নিঃশ্বাসে মারীভয় হানে অরাজক যত রাজায়!
কচি শিশু-রসনায় ধানী-লঙ্কার পোড়া ঝাল
আর বদ্ধ কারায় গন্ধক ঘোঁয়া, এসিড, পটাস, মোনছাল,
আর কাঁচা কলিজায় পচা ঘা'র সম সৃষ্টিরে আমি দাহ করি
. আর স্রষ্টারে আমি চুষে খাই!
পেলে বাহান্ন-শও জাহান্নামেও আধা চুমুকে সে শুষে যাই!
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃ মহাবিপ্লব হেতু
. এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু!
আমি শি শি শি প্রলয়-শিশ্ দিয়ে ঘুরি কৃতিঘ্নী
. ঐ বিশ্বমাতার শোকাগ্নি,
আমি ত্রিভুবন তার পোড়ায়ে মারিয়া আমিই করিব মুখাগ্নি!
তাই আমি ঘোর তিক্ত সুখে রে, একপাক ঘু'রে বোঁও করে
. ফের দু'পাক নি'!
. কৃতিঘ্নী আমি কৃতিঘ্নী ঐ বিশ্বমাতার শোকাগ্নি!
. পঞ্জর মম খর্পরে জ্বলে নিদারুণ যেই বৈশ্বানর---
. শোন্ রো মর, শোন্ অমর! ---
. সে যে তোদের ঐ বিশ্বপিতার চিতা!
এ চিতাগ্নিতে জগদীশ্বর পুড়ে ছাই হবে, হে সৃষ্টি জান কি তা ?
কি বল ? কি বল ? ফের বল ভাই আমি শয়তান-মিতা!
হো হো ভগবানে আমি পোড়াব বলিয়া জ্বালিয়েছি বুকে চিতা!
. ছোট শন শন শন ঘর ঘর ঘর সাঁই সাঁই!
. ছোট পাঁই পাঁই |
তুই অভিশাপ তুই শয়তান তোর অনন্তকাল পরমাই!
. ওরে ভয় নাই তোর মার নাই !!
. তুই প্রলয়ঙ্কর ধূমকেতু!
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃ মহাবিপ্লব হেতু
. এই স্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু!
ঐ ঈশ্বর-শির উল্লঙ্ঘিতে আমি আগুনের সিড়ি,
আমি বসিব বলিয়া পেতেছি ভবানী ব্রহ্মার বুকে পিঁড়ি!
ক্ষ্যাপা মহেশের বিক্ষিপ্ত পিনাক, দেবরাজ-দম্ভোলি
লোকে বলে মোরে, শুনে হাসি আমি আর নাচি বব-বম্ বলি!
এই শিখায় আমার নিযুত ত্রিশূল বাশুলি বজ্র-ছড়ি
ওরে ছড়ানো র’য়েছে, কত যায় গড়াগড়ি!
মহা সিংহাসনে সে কাঁপিছে বিশ্ব-সম্রাট নিরবধি,
তার ললাটে তপ্ত অভিশাপ ছাপ এঁকে দিই আমি যদি!
তাই টিটকিরি দিয়ে হাহা হেসে উঠি,
সে হাসি গুমরি লুটায়ে পরে রে তুফান ঝঞ্ঝা সাইক্লোনে টুটি’ !
আমি বাজাই আকাশে তালি দিয়া “তাতা-উর্ তাক্” |
আর সোঁও সোঁও করে প্যাঁচ দিয়ে খাই চিলে-ঘুড়ি সম ঘুরপাক!
মম নিঃশ্বাস আভাসে অগ্নি-গিরির বুক ফেটে উঠে ঘুত্কারপ
আর পুচ্ছে আমার কোটি নাগ-শিশু উদ্গারে বিষ-ফুত্কার!
কাল বাঘিনী যেমন ধরিয়া শিকার
. তখনি রক্ত শোষে না রে তার,
. দৃষ্টি-সীমায় রাখিয়া তাহারে উগ্রচণ্ড সুখে
. পুচ্ছ সাপটি’ খেলা করে আর শিকার মরে সে ধুঁকে!
. তেমনি করিয়া ভগবানে আমি
. দৃষ্টি-সীমায় রাখি দিবাযামী
ঘিরিয়া ঘিরিয়া খেলিতেছি খেলা, হাসি’ পিশাচের হাসি
এই অগ্নি-বাঘিনী আমি সে সর্ব্বনাশী!
আজ রক্ত মাতাল উল্লাসে মাতি রে---
মম পুচ্ছে ঠিকরে দশগুণ ভাতি,
. রক্ত-রুদ্র উল্লাসে মাতি রে!
ভগবান্ ? সে ত হাতের শিকার!--- মুখে ফেনা উঠে মরে!
ভয়ে কাঁপিছে, কখন পড়ি গিয়া তার আহত বুকের প’রে!
. অথবা যেন রে অসহায় এক শিশুরে ঘিরিয়া
. অজগর কাল কেউটা সে কোনা ফিরিয়া ফিরিয়া
. চায়, আর ঘোরে শন্ শন্ শন্,
. ভয় বিহ্বল শিশু তার মাঝে কাঁপে রে যেমন---
. তেমনি করিয়া ভগবানে ঘিরে
. ধূমকেতু-কালনাগ অভিশাপ ছুটে চলেছি রে ;
. আর সাপে-ঘেরা অসহায় শিশু সম
. বিধাতা তোদের কাঁপিছে রুদ্র ঘুর্ণীর মাঝে মম!
. আজিও ব্যথিত সৃষ্টির বুকে ভগবান কাঁদে ত্রাসে,
. স্রষ্টার চেয়ে সৃষ্ট পাছে বা বড় হ’য়ে তারে গ্রাসে!
হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলা দেশ
কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাসে,
সে কোলাহলের রুদ্ধস্বরের আমি পাই উদ্দেশ
জলে ও মাটিতে ভাঙনের বেগ আসে |
হঠাৎ নিরীহ মাটিতে কখন
জন্ম নিয়েছে সচেতনতার ধান,
গত আকালের মৃত্যুকে মুছে
আবার এসেছে বাংলা দেশের প্রাণ |
“হয় ধান নয় প্রাণ” এ শব্দে
সারাদেশ দিশাহারা,
একবার মরে ভুলে গেছে আজ
মৃত্যুর ভয় তারা |
সাবাস, বাংলা দেশ, এ পৃথিবী
আবাক তাকিয়ে রয় :
জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয় |
হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কথা কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৫.৮.১৯২৬ -
১৩.৫.১৯৪৭)। কবির "পূর্বাভাস" কাব্যগ্রন্থের "দুর্মর" কবিতার গীতিরুপান্তর ও সুর - শেখ লুৎফর রহমান। শিল্পী - শাহীন
সামাদ। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত কবিতা। ভিডিওটি সৌজন্যে md.mahbub alam YouTube
Channel. । তথ্যসূত্র https://www.shomoyeralo.com/
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এবার লোকের ঘরে ঘরে যাবে
সোনালি নয়কো, রক্তে রঙিন ধান,
দেখবে সকলে সেখানে জ্বলছে
দাউ দাউ করে বাংলা দেশের প্রাণ ||
রুখে দাঁড়াও, হেই হেই
রুখে দাঁড়াও রুখে দাঁড়াও রাহিতে সমমান
চলো সমানে সমান, বাংলার সন্তান।
আমরা যে ভাই শক্ত সেনা সংগ্রামী জোয়ান
দেশরক্ষার তরে দেব বুকের রক্ত দান॥
চলো সমানে সমান, বাংলার সন্তান।
চলো রে ভাই সবে মিলে
এই বাংলার জয়ধ্বনি তুলে॥
মজিবের সংগ্রামী নিশান, উড়াও নওজোয়ান॥
বালক বৃদ্ধ যুবক সকল সকল
মা-বোন এক সমান
মোরা বাংলার নাহি দিব থাকিতে এই প্রাণ।
বাংলাদেশের সুখ শান্তিতে
খাকৰ মোরা মিলে-মিশে ॥
মুক্তিসেনার বজ্রাঘাতে পালাবে শয়তান॥
রুখে দাঁড়াও, হেই হেই কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার ও শিল্পী - সরদার আলাউদ্দিন। ফেব্রুয়ারী ২০১৭
সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে। এই
ভিডিওটি সৌজন্যে বিশ্বাসে বাংলাদেশ YouTube Channel ,
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
জোরসে চলো, আরও জোরে ওরে পালোয়ান
এখন ভয় করি না তোপ কামানে আমরা নওজোয়ান॥
যদি রে ভাই রণাঙ্গনে মরে যদি যাই জীবনে।
শহীদেরই দরগা পাব বাড়বে বাংলার মান।
চলো সমানে সমান।
শোন, শোন বন্ধু শোন---
. তোমরা সবাই শোন
জীবনের প্রতি পদে
. বাংলা-মায়ের অশ্রু ঝরানো
. মর্মব্যথার কাহিনী আজ শোন।
রূপসী এ বাংলাদেশের
. সকল সোনা লুটছে ওরা
আমাদের কাঙ্গাল করে
. পাহাড় হয়ে উঠছে ওরা
ওরা কথায় কথায় চোখ রাঙ্গিয়ে
. আমাদের জোট ভাঙ্গিয়ে
যাচ্ছে মোদের শোষণ করে
. জানো সে কি জানো।
বল নাকি অপরাধে
. মোদের স্বপন যাচ্ছে ভেঙে
ওদেরই পাপের ভারে
. কেন এ পথ উঠছে রেঙ্গে
না না ওদের ফাঁদে আর কভু নয়
. এ বাঁধন আর নাহি সয়
বিশ্ববাসী মুক্তি পথে
. হানো আঘাত হানো॥
শোন, শোন বন্ধু শোন কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত।
ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ
জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের
অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
যে জীবন দিয়ে জীবন গড়ে
. মৃত্যুরে তার কিসের ভয়
ভাঙ রে ভাঙ ঐ মিখ্যে প্রাচীর
. রাতের পরেই সূর্যোদয়॥
আঘাতে আজ আঘাত হেনে
. জীবনটাকে লইব চিনে
মোরা সত্যসেনা, মুক্তিসেনা---
. মৃত্যুর আজ করব জয়॥
রক্তের বান ডাকে যদি
. বাংলায় ডাকতে দে
আত্মত্যাগের দিন যে আজি
. নিজেকে দে বিলিয়ে দে---
নিষ্পেষণের যাঁতাকলে
. পিষ্ট হয়ে তিলে তিলে
মোরা ক্ষিপ্ত আজি, দীপ্ত আজি
শত্রুরে আজ করব ক্ষয়॥
যে জীবন দিয়ে জীবন গড়ে কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত।
ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ
হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত।
পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এক পৃথিবী চাই আমরা : নতুন পৃথিবী
নতুন সকাল চাই আমরা : সূর্য সকাল
. চাই নীলিমা নির্মল আয়নায়
. বাংলার নির্মল প্রতিচ্ছবি।
এই রাজপথ জনপদ রক্তে লালে লাল
কোটি কোটি সমুদ্র প্রাণ তাই হলো উত্তাল
. এখানে স্বপ্নিল কামনারা গলে গলে
. লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, শত বেদনার ঘর্ষণে
. বিদ্যুৎ হয়ে উঠেছে জ্বলে॥
দ্বিধা, ভয়, সংশয় রেখে করছি লড়াই
মোরা শত্রুর কালো থাবা নিঃশেষ করে যাই
. কাঁপে সন্ত্রাসে শত্রু ; জনতার হুংকারে---
. মুক্তির এই কোলাহলে॥
এক পৃথিবী চাই আমরা : নতুন পৃথিবী কথা - কবি শহীদুল ইসলাম,
সুরকার - অজ্ঞাত। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের
সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান”
সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
. বাংলা আমার ভুবন
. এই বাংলাই জীবন আমার
(আমি) বাংলা ছাড়া কোনো কিছুই বুঝি নাকো আর॥
. এ যে আমার জন্মভূমি
. বাংলা বিনে নিঃস্ব আমি
এই মাটিরই ঘাসে ঘাসে জড়িয়ে আছে আমার এ মন॥
. কোয়েল দোয়েল পাখির গানে
. জেগে উঠি রোজ বিহানে
সাঁঝ বেলায় ঐ রাখাল ছেলে বাঁশির সুরে ভরায় মন॥
. সবুজ মায়া, পাহাড় নদী
. ছবির মতো নিরবধি
এই দেশেরই নরম রোদে মাঠের ছায়া ফুলের মতোন॥
বাংলা আমার ভুবন কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত।
ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ
জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের
অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
জীবন যুদ্ধে আমরা সবাই লড়ছি
লড়ছি মোরা, গড়ছি সোনার দেশ
সাত কোটি প্রাণ একটি মুজিব হয়ে
শোষণ-পেষণ-মৃত্যু নিপাত করছি।
আমাদের হৃদয়ে আজ প্রচণ্ড উত্তাপ
ফাঁসির মঞ্চে শত্রু তুলছে বিলাপ
বাংলার ঘরে ঘরে যে আগুন জ্বেলেছে ওরা
তারি মাঝে পুড়ে ওদের মারছি॥
গ্রেনেডের বিস্ফোরণ আজ আমাদের নিঃস্বাস
শোষণ বঞ্চনায় মোরা সমুদ্র উচ্ছ্বাস
'ধ্বংসের বুক চিরে শহীদের মন্ত্রণায়
মহাঝড় তুলে শত্রুর ভিত আজ নাড়ছি॥
জীবন যুদ্ধে আমরা সবাই লড়ছি কথা - কবি শহীদুল ইসলাম,
সুরকার - অজ্ঞাত। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র
পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই
আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
আমি আজ ক্রদ্ধ
. হৃদয়ে তুমুল ঝড় :
রক্তে ডেকেছে বান
. ছুঁড়ে দিয়ে শোষণের ছাই
আমি সুন্দর হতে চাই
. তাই করি যুদ্ধ।
অত্যাচারিত এই পাঁজরে
. বিদ্যুৎ ঝিলিক জ্বালে
নিষ্পাপ মানুষ বন্দী হয়
. অদৃশ্য শিকলে
হিস হিস শব্দের ঐ বিষাক্ত সাপ
. দংশনে করেছে আমার শ্বাস রুদ্ধ॥
রক্ত তৃষিতরা প্রেতের
. বীভৎস ছায়ার মতো
সীসার অক্ষরে তাই
. শিশুর প্রেমে অঙ্কুরিত
হাড়ের ঘর্ষণে প্রাণ এখন ইস্পাত :
. জটিল আবর্তের ধ্বংস স্পর্ধায়
. আমি উন্মাদ ক্ষুব্ধ॥
আমি আজ ক্রদ্ধ কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত। ফেব্রুয়ারী
২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ
হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত।
পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
মহাসত্যব্রত মহাজনতার
জয় চিরন্তন
উদ্ধত অগ্ন্যুৎপাত করে ছিন্নভিন্ন নিশ্চিহ্ন
বৈরীর বিষাক্ত আস্ফালন॥
লাঞ্ছনা-বঞ্চনার হিংস্র থাবায়
বুভুক্ষ হৃদয় বিস্ফোরিত হয়
দিগন্তে ঝড় আনে : আনে বিস্ময়
উত্তাপের মিছিলে আসে উত্থান॥
দম্ভিত দুর্বৃত্তের ধূর্ত প্রয়াস
ধ্বংসের অস্তিত্বে আদিম প্রকাশ
মুহূর্তে প্লাবন তারে করে উচ্ছেদ
কলংক গ্রাসে তারে হয় সে পতন॥
মহাসত্যব্রত মহাজনতার কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত।
ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ
জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের
অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
. চাঁদ তুমি ফিরে যাও
দেখ মানুষের খুনে খুনে রক্তিম বাংলা
রূপালি আঁচল কোথায় রাখবে বলো।
দুঃখিনী মায়ের কোলে নেই সন্তান
শোকের পতাকা চোখে ফেটে যায় প্রাণ
মোদের শাস্তি কেড়ে নিল যারা
তাদের তরে আজ আমাদের
. বারুদ হয়ে জ্বলতে দাও॥
লুটেরা লুটেছে হাসি এই বাংলার
নেমেছি তাই রণাঙ্গনে চাই অধিকার
মুক্তিতে হাসি ফুটবে যে দিন
সেদিন এসো খুশির চাঁদ---
. আজকে মোদের লড়তে দাও।
চাঁদ তুমি ফিরে যাও কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজিত রায়।
ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ
জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের
অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
নাই ঈদ আছ নাই ঈদ
. এই বাংলাদেশে
হৃদয়ে হৃদয়ে যন্ত্রণা জমে আছে॥
সোনাঝরা দেশ পুড়ে পুড়ে অংগার
শত্রু হননে মোরা কোটি প্রাণ সোচ্চার
স্বপ্নের মাঠ ভেজা রক্তের উচ্ছ্বাসে॥
এই জলচোখে কিসের জামাত হবে
দাবানল জ্বলে হৃদয়ের উৎসবে---
ফিরে এসো চাঁদ লয়ে সুখ সম্ভার
সবার প্রাণের হাসি আর অধিকার
রিক্ত প্রাণে হাসি কভু কি আসে?
নাই ঈদ আজ নাই ঈদ কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত।
ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ
জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের
অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ওড়ে ওড়ে ওড়ে ঐ পতাকা ওড়ে
সবুজ প্রাণের রক্তে গড়া মুক্তিসূর্য বক্ষে ধরে।
এ যেন রাত্রি শেষে পরম সকাল
জ্যোতি ছড়ায় কোটি প্রাণের দীপ্ত মশাল
. ঐ বঙ্গবাসীর গর্ব হয়ে
. দোলে আকাশ পারে॥
পতাকা-ই নয়রে নয়, এ যে একটি দেশ :
প্রশান্ত সূর্যের পরে এক মহান জাতি :
. যেন স্বাধীনতার শান্তি আশীষ---
মনে হয় এক মৃত্যুঞ্জয়ের রক্তগোলাপ
হাসির ছটায় ভেঙ্গে দিল দুঃখ-বিলাপ
. এই শীতল ছায়া জীবন দিয়ে
. রাখব চির করে।
ওড়ে ওড়ে ওড়ে ঐ পতাকা ওড়ে কথা - কবি শহীদুল
ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র
পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই
আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ওরা মরে না
. বাংলার ঘাসে ঘাসে
. ওরা ফুল ; ফুটে আছে
. ঝরে পড়ে না।
ওরা দেশকে ভালোবেসে হয়েছে মহান
ওদের মন্ত্রণায় মোরা পথে আগুয়ান
এই রক্তসূর্য ঝরা আমাদের প্রেমনদে
কেউ যেন কোনোদিন বাঁধ গড়ে না।
ওরা মৃত্যুর সীমা ছেড়ে হয়েছে অমর
ইতিহাস পাতায় ওরা সোনার আখর
এই বাংলার মাঠে ঘাটে ওদেরই সোনামুখ
দেখি আর দেখি শুধু, মন ভরে না।
ওরা মরে না কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত। ফেব্রুয়ারী ২০১৭
সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান
দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক
ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
মুজিব এই বাংলার উন্নতশিরে
মুজিব এই বাংলার ঘরে ঘরে
. কে তারে রুখতে পারে।
সত্য-ন্যায়ের সে রক্তটীকা
দুস্থ প্রাণের সে বহ্নিশিখা
সে যে বুভুক্ষু হৃদয়ের হহাকারে॥
যখনি মানুষ মানুষের রক্ত চোষে
যখনি অন্যায় সীমা ছাড়িয়ে আসে
. নিপীড়িত হৃদয় থেকে
. তখনি মুজিব বেরিয়ে আসে।
মুজিব সবখানে : সব প্রাণে
. শহরে নগরে গ্রামে ও গঞ্জে
মুজিব বস্তিতে : জঙ্গলে
. সে এক যন্ত্রণা ক্ষুব্ধ জীবন যে---
কেমনে মুজিবকে ওরা মারতে পারে
দম্ভের প্রাচীর ধ্বংসে নিজেরাই শুধু মরে
. ন্যায়ের মঞ্চে মুজিব---
. অনেক দস্যুকেই ফাঁসি দিয়েছে॥
মুজিব এই বাংলার উন্নতশিরে কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার -
অজ্ঞাত। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি
ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের
অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ভুলি নাই সোনার দেশ বাংলা---
. মোরা ভুলি নাই তোমাকে
তোমার মধুর হাসির তরে
. চোখে চোখে আগুন ঝরে॥
দেখো চেয়ে রক্তের কী বন্যা
. তবু কাঁদে না কেউ শোকে
সবুজ মাঠে নদীর ঘাটে
. জড়িয়ে আছি তোমার বুকে॥
মরে মরে জ্যান্ত আজ আমরা
. মুক্তির জ্যোতি দিকে দিকে
রক্ত শপথে জীবন পথে
. তোমারি নাম যায় যে লিখে॥
ভুলি নাই সোনার দেশ বাংলা কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার -
অজ্ঞাত। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি
ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের
অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
জ্বলছে জ্বলছে জ্বলছে
প্রাণ আমার দেশ আমার জ্বলছে॥
বাংলার কোটি প্রাণ মাঠ, ঘাট, প্রান্তর জ্বলছে
দিকে দিকে চারিদিকে বহ্নিশিখা
লাঞ্ছিতরা আঁকবে আজ জয়টীকা
রক্ত পিচ্ছিল পথে, আলোর মশাল হাতে
সাংগ্রামী জনতা চলছে চলছে॥
ক্ষেপেছে আজ নির্যাতিত নিপীড়িত ভাগ্যাহতের দল
ওরা সত্যপথের পথিক সবাই
বাজ্রাঘাতে মুক্তির দ্বার আজি খুলছে।
জ্বলছে জ্বলছে জ্বলছে কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত।
ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ
জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের
অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
. আগুন আগুন---
. আমরা আগুন
. মুক্তির পথযাত্রী
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে জ্বেলে দেই দাবানাল---
. নিঃশেষ করি কালো রাত্রি॥
উত্তরে, দক্ষিণে, পুবে, পশ্চিমে আমরা
. কোটি প্রাণ এ চলার সঙ্গী
মৃত্যুঞ্জয়ের এক ইতিহাস সৃষ্টিতে
. বাধার প্রাচীর সদা ভাঙ্গি।
দিগন্তে দিগন্তে জীবনের সীমান্তে
. জাগ্রত প্রহরী আমরা
শত্রুর সাথে নেই নেই মৈত্রী॥
মোরা রক্ত নদীর ঢেউ, সত্য ন্যায়ের জ্যোতি
অশ্রু খুনে খুনে সমুদ্র ঝড় হয়ে উঠি---
লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, বজ্র ও বিদ্যুৎ আমরা---
. আমরা প্রচণ্ড ঘূর্ণি
অত্যাচারীর শির ভেঙে দেই উচ্ছ্বাসে
. শোষণের যাঁতাকল চূর্ণি
ঝংকারে ঝংকারে হৃদয়ের হুংকারে
সংঘাত ও প্রলয়ে আমরা বন্দীর দ্বারে আনি মুক্তি॥
আগুন আগুন কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - অজ্ঞাত। ফেব্রুয়ারী ২০১৭
সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান
দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক
ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
বাংলা আমার জন্মভূমি
. বাংলা আমার ; বাংলার আমি
সকল গানের উৎস এদেশ
. বাংলাদেশ, আমার এই বাংলাদেশ।
এই মাঠঘাট সোনারোদ
. সবি যেন স্বপ্ন
এই বুনোহাঁস নদী ঝিল
. এ দেশেরই রত্ন
সবুজ ঘাসে স্নিগ্ধ শিশির
. সকাল সাঁঝে যায়রে চুমি॥
জোনাকির মিটিমিটি
. আলো কি যে মিষ্টি
এই বনানীর ফুলে ফুলে
. বাধা মোর দৃষ্টি
পানকৌড়ি পদ্মপুকুর
. কোথায় গেলে পাবে তুমি?
বাংলা আমার জন্মভূমি কথা - কবি শহীদুল ইসলাম, সুরকার - সুজেয় শ্যাম।
ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ
হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত।
পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
দিনের শোভা সুরুয রে---রাইতের শোভা চান
ওরে বাংলার শোভা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর বাংলার বীর সন্তান
সে যে বাংলা মায়ের নয়নমণি
. পূর্ণিমার চান---
যার লাগিয়া বাংলার মানুষ
কাইন্দা হইলেন পেরেশান
. কানছে দুনিয়া জাহান,
তাঁরে দীর্ঘজীবী করো দয়াল
. রহিম রহমান॥
'অত্যাচারীর অত্যাচারে তাঁর হয় নাই নত মাথা---
ওরে হিমালয় পর্বতের মতোই অটল
. রয়েছেন মোদের নেতা,
গণতন্ত্রের প্রতীক সে যে
. বাংলার ধ্রুবতারা
সে বিহনে সোনার বাংলা হয়
. দিনেতেও আন্ধেরা।
এই বাঙলার তরেই সইপাছে তাঁর
. সারাটি জীবন যৌবন,
সে যে আপোষহীন সংগ্রাম করিছে
. রাখিতে বাংলার মান॥
কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী
|
দিনের শোভা সুরুয রে - রাইতের শোভা চান
কথা ও সুর - কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান”
সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
চল বাঙালি চল তোরা ঝড়ের মতো চল
চল, মুক্তি সেনাদল,
তোরা বুক ফুলিয়ে চল।
ওরে ধূলার সাথে মিশাইব
দস্যু পাকবাহিনীর দল
দুশমন নিধনে চল॥
কি মন্ত্র লইয়া মুখে
জনতার শক্তি লইয়া বুকে
জয় বাংলার ধ্বনি বলরে সবে
দুনিয়া করুক টলমল॥
কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী
|
চল বাঙালি চল তোরা ঝড়ের মতো চল
কথা ও সুর- কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান”
সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
তোরা ঝড়ের মতো গর্জিয়া উঠ
সিংহের মতো ফুলাইয়া বুক,
ওরে সারা বিশ্ব চাইয়া দেখুক
বাঙালির বুকে কত বল,
বাঙালির বাহুর কত বল॥
যারা সোনার বাংলা করল শ্মশান
হায়রে হায় মা-ভগ্নীদের
. মারল ইজ্জত মান,
এবার মরণ আঘাত হানব তাদের
খাওয়া বাংলার কাদা জল।
ঝড় তুফান মানে না বাংলার মুক্তি নওজোয়ান
ঐ ওরা হয়রে আওয়ান
হাসি মুখে দেশের তরে জান করে কোরবান, আহারে---
সাব্বাস কি বাংলাদেশের মুক্তি জোয়ানরে।
সাবাস্ সাবাস্ বাংলাদেশের গেরিলা মুক্তি জোয়ানরে
ও আহারে, চেয়ে দেখো ময়দান পরে
মুক্তি গেরিলা পেরেড করে কাতারে কাতারে
কমান্ডারে হুকুম করে ডাইনে কি বামে কি
. উল্টাও পাল্টাও করে রে॥
ও আহারে, চেয়ে দেখ সমান তালে
মুক্তি ভাইরা সবাই চলে নাইরে মরণ ভয়
সবার হাতে বন্দুক দেখো ফটটাস কি ফুটটুস
. কি গুডুম গুড়ুম করে রে॥
ও আহারে, চেয়ে দেখ দলে দলে
মুক্তি ভাইরা যুদ্ধ করে, নাই কোনো সংশয়
সামনে যদি দুশমন পড়ে কেস্কী মাইরের চোটে
. খাওয়ায় কাঁদা জল রে॥
কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী
|
ঝড় তুফান মানে না বাংলার মুক্তি নওজোয়ান
কথা ও সুর- কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান”
সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
ও আহারে, মুক্তি ভাইরা মহাবল
দুনিয়া করে টলমল ঐ কেমন বেগে চলে
সামনে যদি পাহাড় পড়ে, পায়ের আঘাতে
. পাহাড় চুরমার চুরমার করে রে॥
ও আহারে, বাংলাদেশের দুশমন যারা
মুক্তি ভাইদের নামে তারা, সদায় ভয় ভয় করে
গুল্লি বন্দুক ফেইল্ল্যা তারা চাপ্পুত কি চোপ্পুত
. কি পলাম পলাম করে রে॥
ওরে ভাই বাঙালি
আর কতকাল চক্ষুবুজে সইবি অত্যাচার পশুর,
এবার তোরা ভাঙরে ঘুম ঘোর।
ওরে মারতে হবে ঘরের শত্রু বাঁধ কাটা ইঁদুর।
বাইরের ইঁদুর যেমন তেমন
. ঘরের ইঁদুর ভয়ঙ্কর
সে যে---বড়ই চতুর হারামখোর॥
. তুই বাঁধলি যতই আইট্যা ছাইট্যা
. ঘরের ইঁদুর দেয় যে কাইট্যা
শেষে---ঘরে বাইরের ইঁদুর জুইট্যা
গোলা লুইটা খাইল তোর
. বাংলা রে কইরা ফতুর॥
তোর ঘরেতে খায় দায় তোর পিছনেই লাগে
. সুযোগ বুইজ্যা সব মালামাল
. লুট করিয়া ভাগে---
কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী
|
ওরে ভাই বাঙালি কথা ও সুর- কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে
প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন
বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই
গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
যদি রাখতে চাস তুই গোলার ধান
. আমকলা ফলের বাগান
শেষ কইরা দে দেশের যত দিন-কানা বাদুর
. ওরে---তারই সাথে খতম কর
. আইয়ুবের পোষা কুকুর॥
হৈ হৈ হৈ হৈয়া মুক্তির শপথ লইয়া
চল্ চল্ চল্ নওজোয়ান বধিতে দুশমনের প্রাণ
চলো---গাঙ্গে ডাইকাছে মুক্তির বান।
কোমর বেঁধে আয়রে তোরা মরণ করি পণ
বাংলা হইতে খতম করি মির্জাফর শয়তান
ওরে জন্মের মতো তাড়াইব দস্যু সেনা খানরে॥
মুক্তির নৌকায় মুক্তির বৈঠা মুক্তির নওজোয়ান,
পথ দেখায়ে নিবেরে শেখ মুজিবুর রহমান।
একবার জয় বাংলা জয় বাংলা বইলা জোরে মার টানরে॥
কিবা হিন্দু কিবা মুসলিম বৌদ্ধ আর খ্রিস্টান,
জাতে হই বাঙালি মোরা এক মায়ের সন্তান,
এসো মায়ের মান রাখিতে করি বুকের রক্ত দান রে॥
দরিয়ায় উইঠাছেরে ভাই মুক্তির ঝড় তুফান
এসো খান সেনাদের রক্তে স্নান
কইরা জুড়াই প্রাণ রে॥
কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী
|
হৈ হৈ হৈ হৈয়া মুক্তির শপথ লইয়া
কথা ও সুর- কবি এস. এম. আবদুল গণি বোখারী। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা বেতার
কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান”
সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
আরে ও বাঙালি ভাই তোরা করিস না আর ভয়
বাংলাদেশের দুর্দিন গেছে এবার হবে হবে জয়
সাত কোটি বাঙালির বাংলায় উইঠ্যাছে মুক্তির ঝড়
অস্ত্র ধরিস কঠিন হাতে নাই কোনো ভয় ডর
জালিম শাহীর জুলুমবাজী এবার হবে ক্ষয়॥
দুশমন আইছে বাংলাদেশে নিতে প্রাণের আশা
(ও ভাই) নিতে মুখের ভাষা
সাত মাস তারা যুদ্ধ করতে হইছে মরণ দশা
(এবার) প্রাণ লইয়া পলাইছে তারা
. নাই কোনো সংশয়॥
আরে ও বাঙালি ভাই তোরা করিস না আর ভয়
কথা - কবি রেজাউল করিম চৌধুরী। সুরকার - অজ্ঞাত। ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে প্রকাশিত, স্বাধীন বাংলা
বেতার কেন্দ্র পরিষদের সভাপতি ডঃ জাহিদ হোসেন প্রধান দ্বারা সম্পাদিত, “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের
গান” সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। পাঠক ইন্টারনেটে এই গ্রন্থটি পাবেন "মুক্তিযুদ্ধ ই আর্কাইভ” ওয়েবসাইটে।
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান কবিতা ও তথ্য, কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
|
|
|
এপার বাংলার কলকাতায়, ভারতমাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তির সামনে, ভারতবর্ষের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
দিল্লীর গেটওয়ে অফ ইণ্ডিয়াতে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনার স্মৃতিতে বিগত ৫০ বছর যাবৎ প্রজ্বলিত "অমর জওয়ান জ্যোতি" নামক অনির্বাণ অগ্নিশিখাকে নিভিয়ে দিয়ে, আমাদের ইতিহাস থেকে, মুক্তিযূদ্ধের কালে, ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী, সহযোগিতা ও ভারতীয় সেনার আত্মবলিদান এবং ইন্দিরা গান্ধীর অবিস্মরণীয় অবদান মুছে ফেলার বর্তমান ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের আপ্রাণ চেষ্টার প্রতিবাদে আমরা এই ছবিটি এখানে তুলে দিলাম।
মোদী সরকার বলছেন যে তাঁরা নাকি ওই অনির্বাণ অগ্নিশিখাটিকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে অন্যান্য সেনাদের সৌধের অগ্নিশিখার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন। যা আমরা হাস্যকর মনে করি।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সারা ভারত তথা এপার বাংলায়, দেশের শাসকদলের ছড়ানো বিদ্বেষ-বিষে বুঁদ হয়ে থাকা নাগরিক সমাজ ও বিরোধী দলগুলি থেকে এই সিদ্ধান্তের কোনো জোরালো প্রতিবাদ চোখে পড়ে নি।
|
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংকলক, কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর কী সম্পর্ক?
|
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিলনসাগর.কম এর পরিচালক মিলন সেনগুপ্তর কী সম্পর্ক?
|
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংকলক, কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর কী সম্পর্ক?
|
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিলনসাগর.কম এর পরিচালক মিলন সেনগুপ্তর কী সম্পর্ক?
|