.
.
মুক্তিযুদ্ধের গান ও কবিতার দেয়ালিকা
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে ও কবিতাগুলি উপর-নীচ স্ক্রল করে!
This page scrolls sideways < Left - Right >. Poems scroll ^ Up - Down v.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা
কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয়
সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান
কবিতা ও তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
.
এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবিটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কিছু বিখ্যাত ছবির কৃষ্ণকায় করা
কোলাজ! রয়েছে বাংলাদেশের বীর নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা সৈনিকদের ছবির পাশে ভারতীয়
সেনাবাহিনীর ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ আত্মবলিদানের কথা কখনোই ভুলবার নয়। এই পাতার গান
কবিতা ও তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ সংগ্রহ।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
অবিরাম
দক্ষিণ ভিয়েৎনাম
কম্বোডিয়া
বাংলাদেশ
অ্যাংগোলায়
মোজাম্বিকে তুমি
নিসর্গের ভেতর দিয়ে
সতর্ক নিঃশব্দ পায়ে হেঁটে যাও
সারাদিন সারারাত যখন গ্রামগুলো
জনশূন্য চাতাল চিড় খাওয়া আর
উপাসনার চত্বরগুলো ঝরাপাতায়
অনবরত ঢেকে যায় নিঃশ্বাসের শব্দের ভেতরে
তোমাদের চলাচল
যেন তুমি আমাদেরই দ্বিতীয়
শরীর কোনো এক রবীন্দ্রনাথের
গান সমস্ত কিছুর কেন্দ্রেই আছো
এবং ধ্বনিত করছ দুঃখের পাহাড়
কবি সৈয়দ শামসুল
হক
গেরিলা  কবি সৈয়দ শামসুল হক। অজ্ঞাত বাচিক শিল্পীর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি সৌজন্যে কবিতা পড়ার
প্রহর এসেছে Facebook Channel । মুক্তিযুদ্ধের সময় রচিত অথবা প্রচারিত কবিতা। কবিতার কথা সৌজন্যে  https:
//www.kaliokalam.com/
.
আফ্রিকার এশিয়ার
নিসর্গে তুমি নতুন বৃক্ষ
নতুন বর্ষা নতুন ফুল
দিগন্তে নতুন মাস্তুল
পিতৃপুরুষের চিত্রিত দন্ড
দাউ দাউ নাপামের
উদ্যত একাকী
জনশূন্য জনপদে উজ্জ্বল এক চিতা
এপার বাংলার কলকাতায়, ভারতমাতার অন্যতম
শ্রেষ্ঠ সন্তান নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর
মূর্তির
সামনে, ভারতবর্ষের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী
ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

দিল্লীর গেটওয়ে অফ ইণ্ডিয়াতে, বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় সেনার স্মৃতিতে
বিগত ৫০ বছর যাবৎ প্রজ্বলিত "অমর জওয়ান
জ্যোতি" নামক অনির্বাণ অগ্নিশিখাকে নিভিয়ে
দিয়ে, আমাদের ইতিহাস থেকে, মুক্তিযূদ্ধের কালে,
ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রী, সহযোগিতা ও
ভারতীয় সেনার আত্মবলিদান এবং ইন্দিরা গান্ধীর
অবিস্মরণীয় অবদান মুছে ফেলার বর্তমান
ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের আপ্রাণ চেষ্টার
প্রতিবাদে আমরা এই ছবিটি এখানে তুলে দিলাম।

মোদী সরকার বলছেন যে তাঁরা নাকি ওই
অনির্বাণ অগ্নিশিখাটিকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে অন্যান্য
সেনাদের সৌধের অগ্নিশিখার সঙ্গে মিলিয়ে
দিয়েছেন। যা আমরা হাস্যকর মনে করি।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সারা ভারত তথা এপার
বাংলায়, দেশের শাসকদলের ছড়ানো বিদ্বেষ-বিষে
বুঁদ হয়ে থাকা নাগরিক সমাজ ও বিরোধী দলগুলি
থেকে এই সিদ্ধান্তের কোনো জোরালো প্রতিবাদ
চোখে পড়ে নি।
 
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
আমি জন্মেছি বাংলায়
আমি বাংলায় কথা বলি।
আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।
চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে?

আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে
আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।
আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে
আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে।

এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে
এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে।
এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে
এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে।

আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে
আমি তো এসেছি ‘কমলার দীঘি’ ‘মহুয়ার পালা’ থেকে।
আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে
আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার থেকে।
কবি সৈয়দ শামসুল
হক
আমার পরিচয়  কবি সৈয়দ শামসুল হক। শিল্পী শিমুল মুস্তাফার কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি সৌজন্যে Shimul Mustapha Official  YouTube Channel
মুক্তিযুদ্ধের সময় রচিত অথবা প্রচারিত কবিতা। কবিতার কথা সৌজন্যে  
https://www.bangla-kobita.com/
.
এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে
এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে।
এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে
এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে।

আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে
আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে।
এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে
শুধাও আমাকে ‘এতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে?
তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির ইতিহাস শোনো নাই-
‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই
সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই।

পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের-
কখনোই ভয় করিনাকো আমি উদ্যত কোনো খড়গের।
শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস ;
অস্ত্রেও শান দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ ;
একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস ;
আপোষ করিনি কখনোই আমি- এই হ’লো ইতিহাস।

এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?
যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান ;
তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি
চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
সভ্যতার মণিবন্ধে সময়ের ঘড়ি
শিশুর জন্ম থেকে জরাদেহ ক্ষীণশ্বাস মানবের অবলুপ্তির সীমারেখায়
বলে গেল সেই কথা। সেই কথা বলে গেল অনর্গল–

তপ্তশ্বাস হাহুতাশ পাতাঝরা বিদীর্ণ বৈশাখীর জ্বালাকর দিগন্তে
আষাঢ়ের পুঞ্জীভূত কালো মেঘ আসবেই ঠিক।
সাগরের লোনাজলে স্নিগ্ধ মাটীর দ্বীপ
শ্যামলী স্বপ্নের গান বুকে পুষে
নবীন সূর্য্যেরে তার দৃঢ় অঙ্গীকার জানাবেই।
সংখ্যাহীন প্রতিবাদ ঢেউয়েরা আসুক, তুমি স্থির থেকো।
প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝাবাত অবহেলা করি
সঞ্চয় করে যাও মুঠো মুঠো গৈরিক মাটী :
সবুজ গন্ধবাহী সোনালী সূর্য্যের দিশা
অকস্মাৎ উদ্ভাসিত কোরে দেবে তোমার চলার পথ।
সভ্যতার মণিবন্ধে সময়ের ঘড়ি
শিশুর জন্ম থেকে জরাদেহ ক্ষীণশ্বাস মানবের অবলুপ্তির সীমারেখায়
বলে গেল সেই কথা। সেই কথা বলে গেল অনর্গল–
পৃথিবীর জিজীবিষু আত্মার আছে। ঘনীভূত জনতার হৃদয়ে হৃদয়ে
উজ্জ্বল শিখা সেই অমর সংবাদে ঢেউ তুলে দিয়ে গেল॥
কবি সৈয়দ শামসুল
হক
একুশের কবিতা  কবি সৈয়দ শামসুল হক। কবি শিল্পী মনিরুজ্জামান প্রমউখ এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি
সৌজন্যে
মনিরুজ্জামান প্রমউখ'- এর সাহিত্য-সমগ্র ও অন্যান্য   YouTube Channel । মুক্তিযুদ্ধের সময় রচিত অথবা প্রচারিত
কবিতা। কবিতার কথা সৌজন্যে  
https://www.bangla-kobita.com/
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
একুশ মানেই আসছে
সালাম ফিরে আসছে, বরকত ফিরে আসছে
তাজুল ফিরে আসছে….
একুশ মানেই মুক্তিযুদ্ধ ফিরে আসছে
সেই সাহসে বুক-পেতে-দেয়া তারুণ্য ফিরে আসছে
তারুণ্যের চোখে দুর্জয় শপথ ফিরে আসছে,
শহীদেরা ফিরে আসছে
স্বাধীনতা ফিরে আসছে
বাংলাদেশ ফিরে আসছে ;
এই পদ্মা-মেঘনার দেশে আবার ’৫২ আসছে
’৬৯ আসছে
’৭১ ফিরে আসছে,
একুশ মানেই আসছে, স্বপ্ন আসছে, ভবিষ্যৎ আসছে
একুশ মানে অতীত নয়, আগামী
মৃত্যু নয়, জন্ম
একুশ মানে শ্বাশ্বত বাংলার হিজল-তমাল
ভাটিয়ালি গান শাপলা-ফোটা দিঘি
পদ্মানদীর মাঝি
ঢাকার উন্মুক্ত রাজপথ, দীর্ঘ মিছিল
নগ্ন পায়ে হাঁটা
সারাদিন ‘আমি কি ভুলিতে পারি’।
একুশ মানে আসছে
সালাম আসছে, বরকত আসছে
তাজুল আসছে…
কবি মহাদেব সাহা
একুশের গান  কবি মহাদেব সাহা। শিল্পী শিমুল মুস্তাফা এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি ও কবিতার কথা সৌজন্যে Shimul Mustapha Official   YouTube Channel
মুক্তিযুদ্ধের সময় রচিত অথবা প্রচারিত কবিতা।
.
মায়ের অশ্রুভেজা চোখে
আবার আশার ঝিলিক ফিরে আসছে
পিতার তপ্ত বুকে
আবার বিশ্বাস ফিরে আসছে
সন্তানের ম্লান চোখে
আবার স্বপ্ন ফিরে আসছে,
একুশ মানে আসছে, আসছে, আসছে…
এই মানে তাজুল ফিরে আসছে
শোষণের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিবাদ আসছে
সম্মিলিত সংগ্রাম আসছে
পুঁজিবাদের জন্য চরম আঘাত আসছে;
একুশ মানে আসছে
বাংলা ভাষার দিন আসছে.
কৃষ্ণচুড়া পলাশের দিন আসছে,
দুনিয়া-কাঁপানো দিন আসছে;
এই একুশ মানে মাঠভরা পাকা ধানের গন্ধ
নদীতে রূপালী মাছ
পালের নৌকা ;
একুশ মানে দিগন্তজোড়া আগামী দিনের স্বপ্ন
একুশ মানে জয়নুলের ছবি,
নজরুলের কবিতা
হৃদয়মথিত রবীন্দ্রনাথের গান ;
একুশ মানে আমর সোনার বাংলা
একুশ মানে শহীদের পায়ের শব্দ
একুশ মানে অজর, অমর, অবিনশ্বর।
একুশ মানে আসবে
একুশ মানে আসছে,
শহীদেরা আসছে
স্বাধীনতা আসছে
বাংলাদেশ আসছে;
একুশ মানে আসছে
সালাম আসছে, বরকত আসছে,
তাজুল আসছে....
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
ভিতরমহলে খুব চুনকাম, কৃষ্ণচূড়া
এই তো ফোটার আয়োজন
বাড়িঘর কী রকম যেন তাকে হলুদ অভ্যাসবশে চিনি,
হাওয়া একে তোলপাড় করে বলে, একুশের ঋতু!
ধীরে ধীরে সন্ধ্যার সময় সমস্ত রঙ মনে পড়ে, সূর্যাস্তের
ন্নি সরলতা
হঠাৎ আমারই জামা সূর্যাস্তের রঙে ছেয়ে যায়,
আর আমার অজ্ঞাতে কারা আর্তনাদ করে ওঠে রক্তাক্ত রক্তিম
বলে তাকে!

আমি পুনরায় আকাশখানিরে চেয়ে দেখি
নক্ষত্রপুঞ্জের মৌনমেলা,
মনে হয় এঁকেবেঁকে উঠে যাবে আমাদের
ছিন্নভিন্ন পরাস্ত জীবন,
অবশেষে বহুদূরে দিগন্তের দিকচিহ্ন মুছে দিয়ে
ডাক দেবে আমরাই জয়ী!
কবি মহাদেব সাহা
একুশের কবিতা  কবি মহাদেব সাহা। শিল্পী নুরুজ্জামান রায়হান এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি ও কবিতার কথা সৌজন্যে
Noor ad   Facebook Channel । মুক্তিযুদ্ধের সময় রচিত অথবা প্রচারিত কবিতা। কবিতার কথা সৌজন্যে https://banglarkobita.com/  ।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
এই তো, ছোট একটি শব্দ এই তো
এক অক্ষরের একটি শব্দ,
এই তো
আমাদের প্রথম উচ্চারিত সেই শব্দ,
মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে আমাদের প্রথম চিৎকার, এই তো
সেই শব্দ, সেই একটি শব্দ-
মা ।
মা,
তুই এবার নিজেই তবে বলে দে,
এই একটি শব্দ,
উচ্চারিত এই একটি শব্দ লিখতে কতখানি রক্তের দরকার হয়?
আমার এ দেহের আর কতটুকু রক্তের দরকার হবে?
যখন এ শব্দ আর এই বড় রক্তাক্ত স্বদেশে
কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।
মা । বরকত লিখেছে- মা,
ছালাম লিখেছে-মা,
জব্বার লিখেছে-মা ।
মতিউর-আসাদ- ওরা লক্ষ লক্ষ লিখে গেছে-মা,
যাদের নাম আমাদের প্রত্যেকের কণ্ঠনালীতে
বাষ্পের বিষফল হয়ে গেছে,
লিখে গেছে--- মা।
কবি সৈয়দ শামসুল
হক
আর কত রক্তের দরকার হবে  কবি সৈয়দ শামসুল হক। শিল্পী আবদুল্লাহ মানুন এবং রাজু আহমেদ এর কণ্ঠে
আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি কথা সৌজন্যে
আবৃত্তিমেলা । Abrittimela   YouTube Channel । মুক্তিযুদ্ধের সময় রচিত অথবা প্রচারিত
কবিতা। কবিতার কথা সৌজন্যে
Kobita (কবিতা) Facebook Channel  ।
.
এই একটি শব্দ, এই একটি বীজ, এই একটি মন্ত্র,
এই একটি আবিষ্কার, এই একটি অধিকার,
বাংলার বিশাল ও আবর্তিত আকাশে এই একটি দীপ্তিকণা----
মা।

হাজার হাজার জহুর, জয়নাল, শামসুজ্জোহা
লিখে গেছে রাজপথে, চানমারিতে, দেয়ালে, চত্বরে, কারাগারে ;
রক্তলাল রমনায় জ্যোতির্ময়, জি সি দেব, মধুদা ;
আর পদ্মায়, ব্রহ্মপুত্রের পানিতে,
লাঙলের ফলায় আর হাতুড়ির বাঁটে, পোস্টারে, ক্যানভাসে,
ভাষণে ও বক্তৃতায়, নৌকায়, বাজারে, বাংকারে
মহাসড়কের প্রতিটি যানে ও প্রতি পথিকের পদচিহ্নে,
কবির কবিতায় আর নিরক্ষর
আট কোটি ক্ষুধার চিৎকারে
কী বিশাল অক্ষরে লিখে গেছে মুজিবুর বাংলার মানচিত্র জুড়ে
নিজের ও বাংলার সব রক্ত দিয়ে,
বড় বড় অক্ষরে,
বড় লাল অক্ষরে---- মা ;
লিখে গেছে প্রত্যেকেই হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে।

তবু সেই অক্ষর, সেই একক অক্ষর,
একক অক্ষরের সেই সংক্ষিপ্ত শব্দটিও এখনো সম্পূর্ণ নয়,
এখনো জ্বলজ্বলে নয়, লিখলেই মুছে যায়, মা,
তবে কতখানি, কতটুকু, আর কত রক্তের দরকার হয়?
বল তুই, আর কত রক্তের দরকার হবে
মানুষের বাসগৃহে, সংসারের দরজার পাটে,
মা, তোর নাম লিখতে?

কলমের তো দরকার নেই, আঙুল নড়ে উঠলেই---- মা ;
কালির কি অপেক্ষা আর? অশ্রুতেই---- মা ;
উচ্চারণের আগেই তো ঠোঁট বিযুক্ত করলেই---- মা ;
নিঃশ্বাস নেবারও দরকার হয় না, শ্বাস ফেললেই---- মা ;
বাঁশবনের সরসর ধ্বনির ভেতরে----- মা ;
ধানের তরঙ্গে যে রূপ, আমাদের---- মা ;
শীতের আগুন ওঠে নেচে---- মা ;
এবং নৌকায় যে চোখ ভিজে যায়---- মা ;
সংঘে---- মা, মিছিলে---- মা, মিনারে---- মা,
প্রতিটি মুঠোর সংগৃহীত আঙুলের মধ্যে---- মা,
প্রত্যাঘাতের পেশীতে পেশীতে---- মা ;
এবং এভাবেই তো লেখা হয়, লেখা হয়ে যায়---- মা।
তবু তুই চাস
আবারো রক্তের অক্ষরে তার নাম
তাই এদেশের মানুষের যত নাম আছে
প্রত্যেকের নাম ধরে যাকেই আমি ডাকি
আর যার নামই উচ্চারণ করি না কেন
প্রত্যেকেই লিখে যায় মা।

আবারো তারা লিখে যায় মা
তোর নাম সেই অক্ষর মা
লিখে তাদের রক্তের অক্ষরে
লিখে যায় রক্তের অক্ষরে
লিখেছে মা
লিখে গেছে এই মাত্র কেউ
এবং তার পরেও তো এখনো কেউ
এই মুহূর্তেই লিখছে মা।

বড় নিষ্প্রভ তবু মা
লিখলেই মুছে যায় থাকে না
আর কন্ঠের ডাক তোর নাম থামে না মা
তাই আবার আমি লিখলাম মা
ছোট একটি শব্দ মা আর একবার লিখলাম আমি মা
এবং এক অক্ষরের এই একটি শব্দ মা।
আমাদের প্রথম উচ্চারিত শব্দ
রক্তের অক্ষরে মা
তবু তো লেখা আবার লেখা আরো লেখা
বল তবে আর কত রক্তের দরকার হবে এই একটি শব্দ লিখতে মা
আর কবে যখন আর কেউ মুছে ফেলতে পারবে না মা
এবং আর দরকার হবে না
বড় রক্তাক্ত এই দেশে বড় রক্তাক্ত এই লিপি রচনা।

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
মিষ্ট পিষ্টকের এক রসনাসিক্ত দায়ভাগে
বারবার ভাঙেচোরে আরোপিত রাজনীতির কাঁটা তার
দর্শনার চেকপোস্ট যশোরের নিধিদ্ধ সীমানা
অঙ্গ বঙ্গ আর কলিঙ্গের
নৃপতির কব্জিবদ্ধ হস্তমুঠি শক্তিযান একদিন বৃদ্ধ হয়ে স্লথ হয়
আরেকটি সবল হাত কম্পিত জরাকে দেখে হো হো করে হাসে
রাজা যায় রাজ্য যায় পাল সেন সুলতান হোসেন
এমনকি পরদেশীও একদিন টুপি খুলে বিদায়সূচক রণে ভঙ্গ দেয়
শুধুই ভিন্ন ধর্ম এই এক স্তোকবাক্যে ভূলে
দুজনেই দুজনকে একঘরে করে রাখি দূরে দূরে অপরিচয়ের এক পাশে
ভাবলাম ন্বর্গে কোনো পৌঁছে যাব
মুখের ভাষার চেয়ে সেটা বেশি মজবুত ভিত
হয়তো জিভেরও শর্টকাট
তারপর একদিন খুলে গেছে এফুশে ফেব্রুয়ারির এক
আত্মার মৃত্যু-বেদনার শোকাহত শরিকের বন্ধ করা পলেস্তরা খসা
পুরাতন আঙিনার বনেদী কপাট
দুজনেই দুজনের মুখ-আয়নায়, নিজের মর্মের ছায়া দেখি
এতদিন ব্যবহৃত ভিন্ন এক মুখোশের অন্তরে ধরা পড়ে
বহু জোড়াতালি আর মেকি
দুজনে দুজমকেই বুকে চেপে কেঁদে কেঁদে মরি
দুজনেই হেরে গেছি দুজনেরই এক ব্যথা
কবি সাধনা
মুখোপাধ্যায়
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
আর দূর নয় মেহমান  কবি সাধনা মুখোপাধ্যায়। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তরুণ সান্যাল দ্বারা সম্পাদিত, “পরিচয়”
পত্রিকার ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৭৮ সংখ্যায় (সেপ্টেম্বর -অক্টোবর ১৯৭১) প্রকাশিত কবিতা।
.
ভাষার বত্রিশ নাড়ি মানে না যে অন্য কোন বন্ধনের
শতেক শপখে বাঁধা দড়ি
অদেখা আমার নেই শ্রুতি-সুখ নামগুলো মনে মনে আওড়াই
রঙপুর, রাজশাহী, সন্দ্বীপ, আড়িয়াল খান
আশার প্রহর গুণি মনে মনে আর নয় হয়তো চাক্ষুষ হবে
সেখানে সূর্য এক ভাস্বর জীবন
সেখানে মিলিত হব ঝিলে ও বাদার দায়ে কলমীলতার মতো
অবিচ্ছিন্ন জলে অঙ্গ, বুকে বুক আর নয় দূর মেহমান।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
নিসর্গের কণ্ঠজোড়া বর্ণদর্মী টাইয়ের মতো
অজস্র উড়ছো ঘুড়ি
সারা দেশে একটিও মার্কিন পতাকা নেই,
অনাহুত বাতাসের বিশুদ্ধ চলাচলে,
শিশুদের তাজা মুখ যেন ভোরের নিটোল ফুলে,
ঘরে ঘরে অপাপ বাগানের কথাবলা ছায়া
অপার হর্ম্যবাজি নিরেট ঔদ্ধত্যে আর ঠেকায় না কাউকেই দূরে।

ফুটপাতে ফুটপাতে কথকতা, রাজপথে ভাই ভাই হেঁটে চলে
কিংবা দৌড়য় দ্রুত কারে বা ডবল ডেকারে,
গ্রামকে চেনে নেয় শহর, শহরের কোলে ব’সে গ্রাম
ভোলে অভিমান,
আদিগন্ত সারি সারি পথের বাতির আবাহনে সন্ধ্যা নামে,
বাসাহারানোর ভয় ভুলে যায় পাখি।
ধূসর আকাশজোড়া আবিরের সুরঞ্জনা হাস্যময় পাড়।

দূরবিলাসী তীর্যক চোখ হেনে
বিদ্রুপের বেড়িবাঁধ ফাটিয়ে চৌচির
তক্ষুনি খিল খিল পড়বে লুটিয়ে তুমি
কবি হাসান হাফিজুর
রহমান
অস্ত্র আমার  কবি হাসান হাফিজুর রহমান। কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত, "দেশ"
পত্রিকার বৈশাখ ১৩৭৮ (এপ্রিল-মে ১৯৭১) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
.
তাচ্ছিল্লের ঝঞ্ঝা হয়ে :
এমন অভাবিত দৃশ্য তুমি কেখায় পেলে?
কোন্ দিব স্বপ্ন এমন অলীক স্বর্গ
দিল হাতে তুলে? স্বেচ্ছায় বুঝি বা
প্রত্যুত্তরে আমর কথার দামে তোমাকে মহার্ঘ
করবো না আর। বরং দ্যাখো চেয়ে, নিজেরই স্নায়ুর কম্পনে
জেনে নাও ভবিতব্য অদূর অনিবার্য। দ্যাখো,
আডন্ম লালিত ধ্যানের প্রাসাদে তোমার ধরেছে ফাটল।
স্বপ্ন নয় এক বিপরীত সত্য আজ ধূলিতে ধূলিতে কথা বলে।

তবুও বাঁকিয়ে ঘাড় অবিশ্বাসে তুরুপের শেষ তাস
ছুঁড়বে তুমি পরিত্রাণের সুখী হাঁপ ছেড়ে :
অনাদি অটল দুর্গাজয়ী অস্ত্র পাবে কোথায়?

মোহাচ্ছন্ন চোখে তোমার পড়ে না কিছুই।
দ্যাখো না লক্ষ কোটি তীর চোখ ভিন্ন আলো ফেলে,
কণ্ঠ তাদের আকাশবাতাস চেরে?
অস্ত্র আমার তাদের চোখ,
অস্ত্র আমার কোটি কন্ঠের ভাষা।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
ধূসর আকাশ তোমার পরশে সহসা হয়েছে নীল,
বাংলার নদী তোমার প্রাণের জোয়ারে দুকুলহারা,
তুমি খুলে দেছো মোদের প্রাণের রুদ্ধ দ্বারের খিল,
চির বসন্ত বাংলার তুমি, অতুলনা রোশনারা।

অবার বুকের নীড়ে স্বপ্নদল করিয়াছে ভিড়,
আবার জেগেছে প্রাণে মৃত্যুঞ্জয়ী আশার ফোয়ারা,
আবিশ্বাস ঠেলে ফেলে ভালোবাসা তোলে তার শির,
এ সব তোমারই সৃষ্টি --- বাঙলার মেয়ে রোশনারা।

দুর্জয় বিপ্লব-বহ্নি জ্বলে নিত্য বাঙলার প্রাণে,
ক্ষুদ্র যাহা, ভীরু যাহা, অগ্নি-ভয়ে মিলায় তাহারা,
নিখিলের হিয়া তুমি ভরে দিলে আগুনের গানে,
বহ্নির রূপ ধরি দেখা দিলে তুমি রোশনারা।
কবি সৌম্যেন্দ্রনাথ
ঠাকুর
রোশেনারা  কবি সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও
সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত, "দেশ" পত্রিকার বৈশাখ ১৩৭৮ (এপ্রিল-মে ১৯৭১) সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়েছিল। @ - রওশন আরা (রোশেনারা) সম্বন্ধে তথ্য ---
মুক্তিযুদ্ধের ভিন্ন
ছবি, চৌধুরী শহীদ কাদের, ভোরেরকাগজ.কম
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
মা, তুই পাপীর স্পর্শ ধুয়ে ফ্যাল, স্নান কর নির্মল নদীতে---
জোয়ারে ছাপায় কূল---লাল জল---বুক থেকে টাটকা প্রবাহিত।
নদীর উপরে নৌকো, গান ওঠে---জয় বাংলা, দস্যু কেঁপে ওঠে ;
মাগো, শুধু তোর জন্যে ঘাট জুড়ে সূর্য-গলা লক্ষ পদ্ম ফোটে।

মা, তুই পাপীর স্পর্শ ধুয়ে ফ্যাল আমাদের রক্তের নদীতে।
কবি সামসুল হক
মা তুই পাপীর স্পর্শ ধুয়ে ফ্যাল  কবি সামসুল হক। কবিতাটি
অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত, "দেশ" পত্রিকার বৈশাখ ১৩৭৮
(এপ্রিল-মে ১৯৭১) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই কবি ও কবি সৈয়দ শামসুল হক
একই ব্যক্তি হতে পারেন। কিন্তু দেশ পত্রিকার ঐ সংখ্যায় সামসুল হক নামই দেওয়া
রয়েছে।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কোথায় যে সে হারিয়ে গেল ছিলাম অন্যমনা
তোমার কোলে দুঃখ সুখের দিন
বর্গী এল বাংলা দেশে বিশাল ক্ষুধা নিয়ে
বললো, এবার শুধতে হবে ঋণ।

বাড়িয়ে দিল দস্যু লোভী হাত
হিংসা চোখে ঝলসে ওঠে, ঝলস ওঠে দাঁত
শহর-গঞ্জ শ্মশান ধু ধু শস্যহীন মাঠ
চতুর্দিকে শুধু রক্তপাত।

ভাঙ্গলো ওরা জুতোর নিচে মাথার খুলি, হাড়
উল্লাসেতে গর্জে ওঠে কৃতঘ্ন রাইফেল
কিন্তু মাটি কার!
কার অধিকার বুকের রক্তে, দেহের ঘন ঘামে
জড়িয়ে আছে শস্যে তৃণে গভীর ভালবাসা
ঘাতক তমি জবাব দিতে পারো,
জীবন নিয়ে এমন খেলা কেদনতরো নেশা?
কবি জয়োৎপল
বন্দোপাধ্যায়
রাগে রক্ত ফোটে  কবি জয়োৎপল বন্দোপাধ্যায়। কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ
সম্পাদিত, "দেশ" পত্রিকার অগ্রহায়ণ ১৩৭৮ (নভেম্বর ১৯৭১) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
.
রক্ত ফোটে রাগে, বুকের মধ্যে আগুন জ্বলে
প্রলয়নাচন নাচে মৃত্যু আকাশ, জলে, স্থলে।
শাঁখা ভাঙা দু হাত মা তোর রক্তে রাঙা বেশ
নীরব হয়ে যায় কি থাকা
অত্যাচারের চিহ্ন আঁকা
অপমানে জর্জরিত যখন বাংলাদেশ।

ধলেশ্বরী, পদ্মা, মেঘনা রুদ্র হয়ে ওঠে
রাগে রক্ত ফোটে বুকের মধ্যে আগুনে জ্বলে
প্রলয়নাচন নাচে মৃত্যু আকাশ, জলে, স্থলে।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
বারুদের পোড়া গন্ধ রজনীগন্ধা বলে ভ্রম হয়,
রাইফেলের বাঁট পিতামহের হাতের যষ্টির মতো
আগ্রেয়াস্ত্রের ধাতব আওয়াজ বিয়েবাড়ির বাদ্য
প্রত্যেকটি শত্রুর সেনা দেখতে অকিফল রক্তচোষা।

উঠোনে পটকা ফুটালে বাবা কান মুচড়ে দিতেন
এখন গ্রেনেড ছুঁড়ি, মা'র চোখে তিল তিল আনন্দ।

বাড়ি বিমুখ ছিলাম : ওরা ঘরগুলো করেছে ধুলো
পুড়েছে নীলুর চিঠি, বাবুলের মস্ত ঘুড়িটা,
স্বাতীর খেলনা পুতুল নিহত কিংবা আহত বোমায়,
দেয়ালে মুজিবের ছবি জায়নামাজের মত পবিত্র।

একটা সংসার ধ্বংস করতে ওদের লাগে উড়োজাহাজ
একটা সংসার গড়ে তুলতে আমাদের লাগে রক্ত।

ঘর পোড়া ছাই এখন আমার চোখে দিব্য সুর্মা
দু চোখ স্বপ্নে ভরে যায়, সাজানো সংসার দেখি নিত্য,
বোনের তিনটে শাড়ি, সেলফে এক খণ্ড রবীন্দ্রনাথ
কল্পনা করে ভাবতে হয়, সাজানো সংসার তছনছ।

যারা ঘর ভালবাসত : তারা সবাই ঘরছাড়া
চিরকাল 'রাস্তায় থেকে আমি ঘর বাঁধছি - যুদ্ধক্ষেত্রে।
কবি কামাল মাহবুব
যুদ্ধক্ষেত্রে ঘর  কবি কামাল মাহবুব। কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ
সম্পাদিত, "দেশ" পত্রিকার পৌষ ১৩৭৮ (ডিসেম্বর ১৯৭১) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
আমি এখন কোথায় যাবো? দুটো কানেই ডাক শুনছি
‘এদিকে এসো’ ‘এদিকে শোনো’---দুটো কানেই অষ্ট প্রহর
দু দিকে ডাকে দুটি মানুষ আমি এখন কোথায় যাধো?

একটি লোক রাত দুপুরে দুটো লোকের ডাক শুনছে
‘এদিকে এসো’, ‘এদিকে শোনো’---আমি এখন আঁধার রাতে
পথ হারামো একটি পাখি অথবা কোনো ঘরের মধ্যে
আাটকে রাখা যুদ্ধবন্দী। দুটো সৈনিক দু দিক থেকে
যমের মতো ডাকছে যেন ‘এদিকে এসো’ ‘এদিফে শোনো’

আমি এখন কোথায় যাবো? দুটো কানেই ডাক শুনছি।
@@@@@@@@@@@ একটি লোক দু দিকে যাবে?

@@ - অপাঠ্য অক্ষর।
কবি নির্মলেন্দু গুণ
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
যুদ্ধের বিভ্রান্ত বন্দী  কবি নির্মলেন্দু গুণ। কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও
সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত, "দেশ" পত্রিকার পৌষ ১৩৭৮ (ডিসেম্বর ১৯৭১) সংখ্যায় প্রকাশিত
হয়েছিল।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
যুদ্ধক্ষেত্রে একটি কবিতাকে আমি
শক্রর বাঙ্কার থেকে উদ্ধার করেছিলাম
রক্তাক্ত কবিতাটি জয়বাংলা জয়বাংলা বলে
একটি তীক্ষু শরের মধ্য দিয়ে
অনবরত শত্রুদের কাড়িয়ে যাচ্ছিলো

তার মুখ থেকে নির্গত হচ্ছিলো
গর্জমান সামুদ্রিক ফেনাপুঞ্জ
চোখ থেকে রক্ত-বর্ষণের মতো
এক ভয়াবহ তাণ্ডব
দেহ থেকে বেয়নেটের ফালিগুলো যেন
তরমুজ ঋতুর একান্ত আহ্বান
হাত থেকে রাইফেলের উদাত্ত গর্জন
আর বিজয়ী পতাকার কাঁপন
রক্তাক্ত দেহে কবিতাটি তখনও বলে চলেছে
জয়বাংলা, জয়বাংলা
মুক্তিযোদ্ধা কবি
ত্রিদিব দস্তিদার
যুদ্ধক্ষেত্রে একটি কবিতা  মুক্তিযোদ্ধা কবি ত্রিদিব দস্তিদার। কবিতার আবৃত্তি শুনুন সুমন্ত গুপ্তর কণ্ঠে,
ভিডিওটি সৌজন্যে
Sumanta Gupta's Diary YouTube Channel । হিমেল বরকত সম্পাদিত, কবির 'কবিতা সমগ্র' কাব্য
সংকলনের কবিতা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে
http://www.amarboi.com/ ওয়েবসাইটে।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
ভাষা হাঁটছিলো তার বর্ণমালাদের নিয়ে
শহরের বস্তি এলাকায়, গ্রামীণ রবি-শস্যের মাঠে
বানিয়াপাড়ার দীঘির পার ছুঁয়ে ছুঁয়ে
বর্ণমালারা এখানে আসেনি কখনো
লোকজনেরাও তেমন একটা চেনে না তাদের

বর্ণমালারা ওদের বোঝানোর চেষ্টা করলো
আমরা রফিকের ভাই
আমরা সালামের বোন
আমরা বরকতের ছেলে
ওরা শুধু ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো

বর্ণমালারা এবার নিজেদের ক্ষত দেখিয়ে বললো
---এই যে রক্ত
মুহুর্তে পেশী বলে উঠলো, এটা আমার
ফসল বলে উঠলো, এটা আমার
হাতুড়ি বলে উঠলো, এটা আমার

বর্ণমালাদের চোখে তখন একটি সেতু
আর ভাষার চোখে সূর্যোদয়
মুক্তিযোদ্ধা কবি
ত্রিদিব দস্তিদার
বর্ণমালা  মুক্তিযোদ্ধা কবি ত্রিদিব দস্তিদার। কবির “ভালোবাসার শাদা ছড়ি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।  
হিমেল বরকত সম্পাদিত, কবির 'কবিতা সমগ্র' বইটি পাওয়া যাচ্ছে
http://www.amarboi.com/ ওয়েবসাইটে।

বাঙলা ভাষাকে খুন করার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী শব্দের উচ্চারণ মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীকে শ্রদ্ধা।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
বিজয়, বিপ্লব আর আমি
স্কুল জীবনে একই বেঞ্চিতে বসতাম
একই স্কুল থেকে কলেজে
তখন চলেছে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান
বিজয় বীরদর্পে মিছিলে
বিপ্লব তার সঙ্গে সঙ্গে
তারপর বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত একদফা
বাংলাদেশ অর্জনের আন্দোলন
ঝাঁপিয়ে পড়লো বিজয়
শুরু হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ
বিজয়ের একহাতে রাইফেল অন্যহাতে পতাকা
চোখ থেকে রক্তের ভলকানো
মুখ থেকে সমুদ্রের গর্জমান জয়বাংলা ধ্বনি
এবং শক্র-নিধন আক্রমণ
এরপর বিজয়ের বিজয়ী পতাকা একদিন
বাড়ির ছাদের ওপর উড্ডীন
এরই মধ্যে বিজয়কে ঘিরে আনন্দের ফোয়ারা
বিজয়ের নামে মন্যুমেন্ট হলো রাস্তায় রাস্তায়
সবাই কণ্ঠে ধারণ করলো বিজয়ের গান
আমিও মন্যুমেন্টের নিচে
লক্ষ শহীদ পরিবারের বেদনা বুকে নিয়ে
এই ভিড়ে একাকী দাঁড়িয়ে
দেখছি কেবলই রঙ-বেরঙের বাতি আর ফ্যাস্টুন
মুক্তিযোদ্ধা কবি
ত্রিদিব দস্তিদার
বিজয় হারিয়ে গেছে  মুক্তিযোদ্ধা কবি ত্রিদিব দস্তিদার। কবির “ভালোবাসার শাদা ছড়ি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।  
হিমেল বরকত সম্পাদিত, কবির 'কবিতা সমগ্র' বইটি পাওয়া যাচ্ছে
http://www.amarboi.com/ ওয়েবসাইটে।
.
বিজয় বুক উচিয়ে ভাষণ দিচ্ছে
বাংলাদেশ আমার ৩০ লক্ষ শহীদের ইতিহাস
রক্তের ফল্গুধারা
এর বীজ-রক্তে আমাদের মানুষের আগামী ফসল
বিজয়ের এসব কথা শুনে
ফসলহীন সাধারণ মানুষের স্রোত ভেঙে মিশে গেলো---
অন্যস্রোতে, বিজয়ও বিচ্ছিন্ন হলো ওদের কাছ থেকে
আমি এখন বিজয়কে খুঁজছি
মন্যুমেন্টের নিচে বিজয়কে আর দেখছি না
মন্যুমেন্ট দাঁড়িয়ে আছে তার ইট-সুরকির গর্ব নিয়ে
পতাকাটি উড়ছে তার সীমাবদ্ধ কাপড় আর রঙে
ফ্যাস্টুনগুলো ঝুলছে তার বর্ণাঢ্য কিছু কথার মালায়
কিন্তু বিজয় নেই, বিজয়কে আমি খুঁজছি
নিরাশার এই ভঙ্গুর জনস্র্রোত ছাড়িয়ে বিজয় কোথায়
যেতে পারে?
না বিজয় এখনো ফসলহীন সাধারণ মানুষের স্রোতের
উদ্দেশে
শোনাচ্ছে আগামী ফসলের কথা,
না স্রোতের বাইরের কিছু বিজয়-আগ্রাসী মানুষের সঙ্গে
আবারো যুদ্ধ করছে বিপ্লবকে নিয়ে বাচার শেষ মহড়ায়?
আমি বিজয়কে খুঁজছি, এই মুহুর্তে বিজয় কোথায়?
তবে নেতাজীর মতো সেও কি অন্তর্ধান হলো
আমার জীবন থেকে আরো একবার?
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
গুরুদাসীর ভিটে-মাটি কোথায় গেলো মাসি
মুক্তিযুদ্ধের নীল-সনদে পাগলী গুরুদাসী
সনদ পেলো ভুল-যোদ্ধারা
সনদ পেলো দ্রোহী
সম্ভ্রমহারা গুরুদাসীর জীবন-সনদ ত্রাহী
ভিটে ছিলো মাটিও ছিলো
পতি-পুত্রের দ্বারে
এখন সেতো নিছক গল্প যুদ্ধে-হত পারে।

গুরুদাসীর চোখে কান্না কাজল ছাড়াই আঁকা
স্বাধীনতার কথায় বিষম
আঁৎকে ওঠেন
তাকান কেমন বাঁকা।

পতাকাটি চোখের তারায় ধরেই কাঁদেন দাসী
মুক্তিযুদ্ধ-সম্মিলনে
প্রবেশপত্র,
নেই যে তার মাসি
---সে যে শুধুই গুরদাসী।
মুক্তিযোদ্ধা কবি
ত্রিদিব দস্তিদার
যুদ্ধে গুরুদাসী  মুক্তিযোদ্ধা কবি ত্রিদিব দস্তিদার। কবির “ভালোবাসার শাদা ছড়ি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।  
হিমেল বরকত সম্পাদিত, কবির 'কবিতা সমগ্র' বইটি পাওয়া যাচ্ছে
http://www.amarboi.com/ ওয়েবসাইটে।

৮ জুলাই, ২০০০ খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার সমাবেশে স্বামী, সন্তান ও সম্ভ্রম হারানো গুরুদাসী নামে এক
কথিত পাগলীকে ঢুকতে দেয়া হয় নি। শুধু বাইরে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী ও কান্নার জলে আবার ভেসেছিলেন। --- ৮ জুলাই
জনকণ্ঠ। তাঁর সেই কান্নার প্রতি শ্রদ্ধা।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
স্মরণযোগ্যতার ইতিহাস-হ্রাস পেতে পেতে
চোখের সামনে এলো শূন্যতার ব্ল্যাকবোর্ড
ধূসর বিবর্ণ এক ব্ল্যাকবোর্ড
গল্পের চকখড়িতেও এখানে
.        ভেসে উঠতে দেয় না শিক্ষা
গালে হাত দিয়ে বসে থাকা বর্ণ-শিশুরা
শুধু জানতে চায়
আমাদের বীরগাথা, মুজিবনগর কাহিনী।

কে যেন অদৃশ্য ডাস্টার হাতে
আমাদের সব বীরগাথা মুছে দিয়ে যায়?
আগামীর শিশুরা শুধু বসে থাকে
চিবুকে দু'হাত রেখে
চোখের সামনে নিয়ে এক বিবর্ণ ব্ল্যাকবোর্ড।
মুক্তিযোদ্ধা কবি
ত্রিদিব দস্তিদার
ব্ল্যাকবোর্ড  মুক্তিযোদ্ধা কবি ত্রিদিব দস্তিদার। কবির “গৃহপালিত
পদ্যেরা” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।  হিমেল বরকত সম্পাদিত, কবির 'কবিতা
সমগ্র' বইটি পাওয়া যাচ্ছে
http://www.amarboi.com/ ওয়েবসাইটে।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
বঙ্গনারী খনা-খঞ্জনা
দিব্যি এবার শস্য বুন না
মাটি আমার রক্ত-তৃষ্ণা
রক্ত-খরা চাটে
ফলন বাণী বৃথাই কাঙাল
বারন্দ-লিপির মাঠে।

মাঠ যে আমার খুলির ঢেলা
কালো বুটের পায়ে
তোমার বচন বাষ্প বৃথাই
সত্য মরে ঘায়ে।

সত্যের মা কখন গেলো
শস্য বোনার নামে
কখন তারও রক্ত খেলো
কোন শাসনের বলে?
মাঠ খেলো কি শাসন খেলো
রক্ত-সুধা মা’র
মাটি আমার রক্তগঙ্গা
গঙ্গা গঙ্গা --- হরগঙ্গা
.        একনায়কের নাম।
মুক্তিযোদ্ধা কবি
ত্রিদিব দস্তিদার
খনা-কে  মুক্তিযোদ্ধা কবি ত্রিদিব দস্তিদার। কবির “গৃহপালিত
পদ্যেরা” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।  হিমেল বরকত সম্পাদিত, কবির 'কবিতা
সমগ্র' বইটি পাওয়া যাচ্ছে
http://www.amarboi.com/ ওয়েবসাইটে।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
আমি আছি টগবগে সেই তরুণ প্রতাপ
নদীর ধারা রক্তঝরা, বুলেটের প্রতিবাদ
শিশুর শুদ্ধ হামাগুড়ি কোনো যোদ্ধার প্রিয়
অন্তর মুখের হাসি, আমি আছি।

আমি আছি ভোর আলতো-ঘাসে নগ্ন পায়ের
চিহ্ন-আঁকা মায়ের একুশ, অস্রু-নক্সা বোনার গাথা
স্বচ্ছ-শ্যামল বর্ণ-খুকির মুখেই প্রথম শপথ ধ্বনি
স্বদেশ-ভূমি, স্বাধীনতা।

আমি আছি সেই চিমনির-ঘাম
বাহুর পেশী, উজ্জল ওঠা-নামা
সূর্য-সবুজ উড্ডীন এক রক্তিম পতাকা
পাখির মুক্ত চঞ্চুর-চাবি, প্রকৃতি ভাষায় রুদ্র
আমি আছি, আমি আছি ক্ষত্রিয়।

আমি আছি সেই কিশোর হাতের সরল আগুন
ফাগুন মাসের পদ্যলিপি, শোষণ-মোচন
পরিত্রাণের সুঠাম পুরুষ, জেলে পাড়ার নিধন জেলে
চলছে দেখো উজান মুখে
ধলার ঘাটের দীপ্ত কৃষক সবীর আলীর
মরচে পড়া-লাঙল ফলা ডাকছে কাছে
সীমাহীন এক স্বপ্নভূমি, আপন শস্য বীজের আশা
আমি আছি, স্বাধীনতা ।
মুক্তিযোদ্ধা কবি
ত্রিদিব দস্তিদার
আমি আছি, স্বাধীনতা  মুক্তিযোদ্ধা কবি ত্রিদিব দস্তিদার। কবির “গৃহপালিত পদ্যেরা” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।  
হিমেল বরকত সম্পাদিত, কবির 'কবিতা সমগ্র' বইটি পাওয়া যাচ্ছে
http://www.amarboi.com/ ওয়েবসাইটে।
.
আমি আছি শেখ মুজিবের বজ্রকণ্ঠ
তর্জনীতে ঢেউ জাগানো ৭ই মার্চ
একাত্তরে ভাগীরথীর নির্যাতনের আঁধার গুহা
কাঁদছে আজও রক্তমাখা জিপের রশি, স্বদেশবাসী
আমি আছি, স্বাধীনতা।

আমি আছি এক পূর্ত-প্রেমের মোহন প্রকাশ
সত্য-সাহস আলিঙ্গনের ঢেউ
বিজয়-উত্তর আনন্দ উচ্ছাসের ব্যথা
আমি আছি, স্বাধীনতা।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
তমি আমাকে মুক্ত হতে বললে
আমি যে নিজেকে তোমার ঐ
অসীম বৃত্তের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছি
বাংলা দেশ।
তোমার বুকে আলো যত দীপ্ত হয়ে আসে
অন্ধকার তত গাঢ় নয়
যেন তিন দিকে মুক্ত মাঠ
খাড়া পাহাড়ের বেড়া একদিকে
সেখানেই ঘিরে থাকা সার্থকতা
এ ছাড়া অন্য কোনো সন্ধান নেই।

সবদিকে সবুজের ধ্বজা উড়ছে দেখি
সবদিকে পাচ্ছি বিবেকের ঘ্রাণ
আর কোনো সংশয় নেই ;
এবার মাথা পেতে নেব তোমার সম্ভাষণ, ভর্ৎসনা
কেননা তুমি যে আমাকে মুক্ত হতে বললে।
কবি অঞ্জন সেন
বাংলাদেশের কাছে  কবি অঞ্জন সেন। অশোককুমার সরকার ও
সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত "দেশ" পত্রিকার ২৭শে কার্তিক ১৩৭৮ (নভেম্বর ১৯৭১)
সংখ্যায় প্রকাশিত কবিতা।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
আমি আমার ডানদিকে তাকিয়ে
আল মাহমুদকে দেখতে পাই।
কিন্তু বাঁদিকে হাত বাড়িয়ে
শামসুর রাহমানকে খুঁজে পাই না।

আমি পূর্বাস্য হয়ে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করি,
শামসুর, তুমি কোথায়?
কিন্তু সীমান্তের ওপার থেকে, কোনও কবির কন্ঠ নয়,
শুধু গুলির শব্দ ভেসে আসে।

আজ ন মাস বাদে তোমার কবিতা পড়লুম, শামসুর।
পড়ে বুঝতে পারলুম,
আল মাহমুদ যখন এদিক থেকে লড়েছে,
তখন তুমি লড়েছ ওদিক থেকে।

শামসুর,
তুমি স্পস্ট করে জানিয়ে দিয়েছ যে,
শুধু তোমার নামটাই ওরা কাড়তে পেরেছিল,
তোমার কলম ওরা কাড়তে পারেনি।

তুমি জানিয়েছ,
কবিকে তার নিজবাসভূমে যখন পরবাসী হয়ে দিন কাটাতে হয়েছে,
তখনও তার বুকের মধ্য উড়ছিল
বাংলাদেশের পতাকা।
কবি নীরেন্দ্রনাথ
চক্রবর্তী
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .    
নিজবাসভূমে  কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ
সম্পাদিত দেশ পত্রিকার ৯ই পৌষ ১৩৭৮ সংখ্যায় (২৩শে ডিসেম্বর ১৯৭১) প্রকাশিত কবিতা।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
পৃথিবীর সুবিশাল মানচিত্রে অতি ক্ষুদ্র এক
বিন্দু হয়ে : অস্পৃশ্য বন্দীর মতো ছিলো অবজ্ঞাত---
রাত্রির আঁধারে যেন দৃষ্টিবহির্ভূত কোনো অহেতুক তারা,
কোনো জ্যোতির্বিদ যাকে গণনায় আনে নি কখনো
কিংবা আনতে করে নি ইচ্ছাও---

কিন্তু কি বিস্ময়! যেন কোনো এক নতুন ঈশ্বর
“অতএব মানচিত্রে নবতম বাংলা দেশ” এই আভিলাষে
নিজেকে দিলেন বলি, জানালেন ‘আত্মাহুতি বিনা
কিছুই হয়নি সৃষ্টি---এবং সহসা
অখ্যাত অজ্ঞাত এই অন্ধকারে আচ্ছন্ন নক্ষত্র এক জাগালো প্রলয়---
পৃথিবীর পেলব প্রচ্ছদ হলো বিখণ্ড চৌচির,
লক্ষ কোটি সূর্যাগ্নিও পারে নাই ছড়াতে এমন দাবদাহ ;

পৃথিবীর সুবিশাল মানচিত্র আকস্মিক অভিঘাতে হলো
প্রকম্পিত : আর সেই মানচিত্রটার
কৌতূহলী প্রস্তৃতকারক, তার প্রজাবৃন্দ যতো
উৎকণ্ঠা শংকায় দেখলো
কবি জিয়া হায়দার
বাংলাদেশ নবতম বাংলাদেশ  কবি জিয়া হায়দার। রচনা ১৭ই ডিসেম্বর ১৯৭১। অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ
সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ১লা মাঘ ১৩৭৮ সংখ্যায় (১৪ই জানুয়ারী ১৯৭২) প্রকাশিত কবিতা।
.
অজ্ঞাত আঁধারে
পড়ে থাকা বাংলা দেশ আপনার রক্ত সৃষ্ট মাটির প্রদীপে
ব্রহ্মাণ্ডের জলস্থল অন্তরীক্ষে এনে দিলো সর্বাধিক আলো উজ্জ্বলতা ;
কি প্রচণ্ড ইচ্ছার আঘাতে
অতি ক্ষুদ্র বিন্দু এক, বাংলা দেশ নাম যার, বর্ণনা দুঃসাধ্য যন্ত্রণায়
নীলকন্ঠ, এবং সেহেতু
সপ্তকোটি বিস্ময়ের বিশেষণে নবতম মহাদেশ হলো,
একমাত্র পরিচয় তার---
বাংলা দেশ, পৃথিবীর সুবিশাল মানচিত্রে
সপ্তকোটি বিপুল বিস্ময়!
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
এসো আজ আমরা সবাই মিলে
চর্যাপদের গানগুলি আবার শুনি
শুনি : সেই বেহুলা আর লক্ষীন্দরের কাহিনী
শুনি : বৌদ্ধ নাথ আর বাউলের গীতি
শুনি : য়ুসোফ জুলেখা বদিওজ্জমাল ও হুসন্‌ বানুর কিচ্ছা
শুনি : মৈমনসিংহ গীতিকা
জারী, সারী, বাউল, ভাটিয়ালী,
মারফতী, মুর্শিদী, দেহতত্ত্ব, চটকা, ভাওয়াইয়া . . . .
পড়ি : আমার দেশের কবি-শিল্পীদের কত কথা, গান আর
কাব্য কবিতা

বলি : “মোদের গরব মোদের আশা
.        আ' মরি বাংলা ভাষা”
বলি : কিছু প্রেম, প্রীতি ও ভালোবাসার ছড়া
বলি : "নানান বরণ গাভীরে ভাই একই বরণ দুধ
.        জগৎ ভরমিয়া দেখলাম একই মায়ের পুত”
গড়ি : হৃদপিণ্ড দিয়ে এক অজর অমর মিনার
লিখি : রক্ত দিয়ে সেই স্মৃতিফলক :
“আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি". . . .
কবি আশরাফ
সিদ্দিকী
আমার সোনার বাংলা  কবি আশরাফ সিদ্দিকী। অশোককুমার সরকার ও সাগরময়
ঘোষ সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ১লা মাঘ ১৩৭৮ সংখ্যায় (১৪ই জানুয়ারী ১৯৭২) প্রকাশিত কবিতা।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
॥ দ্বিজেন্দ্রলালের--‘বঙ্গ আমার জননী আমার’ সুরে গেয়॥

“বঙ্গবন্ধু” উপাধি যে পেল ভালোবেসে “জয় বাংলা” মায়,
জয়জয়কার করি আজ তার আমরা উছল বন্দনায়।
উঠেছিল রাঙি' যে-হেম স্বপন তোমার প্রেমল আঁখি তারায়,
দিলে তারে রূপ জাগরণে---সঁপি' জীবন তোমার মায়ের পায়।
বাংলা মায়ের দীপ্ত দুলাল! মা গাহিছে শোনো : “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ্ তোর আরাধনায়।”

আমরা-যে বাঁধা পড়ি মোহপাশে-স্বার্থসিদ্ধি গণি' মহান্,
তাই ভূলে প্রীতি-স্নেহবাণী নিতি ঝরাই অশ্রু নিরবসান।
পরের দুঃখে যেমনি হৃদয় অসহ ব্যথায় দুলে ওঠে,
আকাশে বাতাসে শুনি : "নাই ভয়, নিশাবুকে ঐ উষা ফোটে"
বাংলা মায়ের দীপ্ত দূলাল! মা গাহিছে শোনো : “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ তোর আরাধনায়।”

পথ চেয়ে থাকি পথহারা, কাঁদি : “কার সে-নিশান দেবে দিশা?
পরবশতার মরু তাপে কার নিঝারে মিটিবে প্রাণ তৃষা?”
ফুটিল যেমনি বাংলার বুকে এই ডাক---তুমি ঝঙ্কারি’
গাহিলে দিশারি চারণ : “মা ভৈঃ! এ-অপারে আছি আম পারী।”
বাংলা মায়ের দীপ্ত দুলাল! মা গাহিছে শোনো : “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ তোর আরাধনায়।”
কবি দিলীপকুমার
রায়
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
মহামতি মজবুর রহমান  কবি দিলীপকুমার রায়। রচনা ৮ই জানুয়ারী ১৯৭২। অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ
সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ৮ই মাঘ ১৩৭৮ সংখ্যায় (২১শে জানুয়ারী ১৯৭২) প্রকাশিত কবিতা।
.
যমযত্রণা সহি' দেশতরে চাহিলে দেশের স্বাধীনতা,
নিঃস্বেরো হতে সহায় বরিলে ত্যাগ, মহত্ত্ব, উদারতা।
“বাংলা ভাষাই মাতৃভাষা”--- এই মন্ত্রে আনিলে যুগান্তর,
দিলে বাণী : “যদি সত্যেরে পূজি, মিথ্যারো হবে রূপান্তর।”
বাংলা মায়ের দীপ্ত দুলাল! মা গাহিছে শোনো : “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ তোর আরাধনায়।”

“সোনার বাংলা” তোমার কন্ঠে ঝঙ্কৃল মধুমূর্ছনায়,
তারি আহ্বানে মুক্তিবাহিনী অভিনন্দিল বাংলা মায়।
এসো ফিরে বীর গৌরবে, করো বাংলা মায়ের কোলে বিরাজ :
“ভাই ভাই" এই সুর বাংলায় জাগাও তোমার শঙ্খে আজ।
বাংলা মায়ের দীপ্ত দুলাল! মা গাহিছে শোনো : “আয় রে আয়!
কালো বেদনার মেঘে বিদ্যুৎ ফোটে দেখ তোর আরাধনায়।”

৮।১।৭২
(দ্বিজেন্দ্রলালের--‘বঙ্গ আমার জননী আমার’ সুরে গেয়)
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কল্যানীর ধারাবাহী যে-মাধুরী বাংলা ভাষায়
গড়েছে আত্মীয় পল্লী, যমুনা-পদ্মার তীরে তীরে
রুপোলি জলের ধারে, আম-জাম-নারকল ঘেরা
আমন ধানের খেতে শ্রুতিময় তারি অন্তর্লীন
বাণী শোনো  প্রাত্যহিক --- বহুমিশ্র প্রাণের সংসারে
সেই বাংলা দেশে ছিল সহশ্রের একটি কাহিনী
কোরানে পুরাণে শিল্পে, পালা-পার্বণের ঢাকে ঢোলে
আউল বাউল নাচে ; পুণ্যাহের সানাই রঞ্জিত
রোদ্দুরে আকাশতলে দেখ কারা হাটে যায়, মাঝি
পাল তোলে, তাঁতি বোনে, খড়ে-ছাওয়া ঘরের আঙনে
মাঠে ঘাটে শ্রমসঙ্গী নানাজাতিধর্মের বসতি
চিরদিন বাংলা দেশ---

ওরা কারা বুনো দল ঢোকে
এরি মধ্যে (থামাও, থামাও), স্বর্ণশ্যাম বুক ছিঁড়ে
অস্ত্র হাতে নামে সান্ত্রী কাপুরুষ, অধম রাষ্ট্রের
রক্ত পতাকা তোলে, কোটি মানুষের সমবায়ী
সভ্যতার ভাষা এরা রদ করবে ভাবে, মরু-পণ্ড
মারীর অন্ধতা ঝড়ে হানে অসহায় নরনারী
অলভ্য জয়ের লোভে, জালায় শহর, গ্রামে গ্রামে
প্রাচীন সংহতি ভেঙে ভগ্নস্তূপে দুরের উল্লুক
বাঁধে কেল্লা (পারবে না, পারবে না), পাপাশ্রয়ী পরজীবী
যতই লুণ্ঠন করে শস্য পাট পণ্য, ঘরে ঘরে
ছড়ায় অমেয় শোক, ধর্মনাশ হত্যার ছায়ায়
কবি অমিয় চক্রবর্তী
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
বাংলাদেশ  কবি অমিয় চক্রবর্তী। রচনা ৮ই জানুয়ারী ১৯৭২। কাব্যগ্রন্থ : 'অনিঃশেষ' (১৯৭৬)। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে রচিত কবিতা। 'ভারবি' প্রকাশনী
থেকে প্রকাশিত অমিয় চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কবিতা। কবিতার কথা সৌজন্যে
https://banglaebooks.ebanglapdf.com/  ।
.
ঘেরে আর্ত গৃহস্থালী, চতুর্গুণ হিন্দু মুসলমান
বাংলার বাঙালি তত জানে জন্মমৃত্যুর বন্ধনে
অভিন্ন আপন সত্তা,
লক্ষ লক্ষ হা-ঘরে দুর্গত
ঘৃণ্য যম-দূত সেনা এড়িয়ে সীমান্ত পারে ছোটে,
পথে পথে আনশনে অন্তিম যন্ত্রণা রোগে ত্রাসে
সহস্রের অবসান, হন্তারক বারুদে বন্দুকে
মূর্ছিত --- মৃতের দেহ বিদ্ধ করে, হত্যা-ব্যবসায়
বাংলাদেশ-ধ্বংস-কাব্য জানে না পৌঁছল জাহান্নমে
এ জন্মেই ;
বাংলাদেশ অনন্ত অক্ষত মূর্তি জাগে।

ওঠো ওঠো জনমন দেশে-দেশে, আজো বেলা আছে
শেষ করো ইতরের অত্যাচার মুক্ত বাংলাদেশে---
আগ্নিক উন্মত্ত পর্ব হু-হু জ্বালা ইন্ধন পবনে
থামবে না বাংলাপ্রান্তে, পাকিন্তান-ভারত সীমায়,
এশিয়ায়, দাহ তার ফিরবে দ্রুত পশ্চিমী শিবিরে
শতঘ্নীর যন্ত্রশালে ; ভিয়েৎনামের মাইলাই
কে চায়? পশ্চিমে-পূর্বে অগণ্য আহুতি ক্ষান্ত হোক
নতুন স্মভাব্য যুগে, জাগো সাম্য-স্বাধীন সমাজ
মানুষের পরিচয়ে সার্বিকের দুর্জয় বিধানে,
জাগো পাকিস্তানী যুবা, ছাত্রদল --- চির-চীন দেশ
মাঙ্গলিক প্রতিবেশী ইতিহাস রচো পুনর্বার
করুণার আভিজাত্যে, ভারতীর বীর্য সহযোগী
সৃজনের মহিমায় যুক্ত হও নবীন মার্কিনি
বর্বববিরোধী দলে --- জনতাবধের তন্ত্র হতে
রক্ষা করো ধরণীকে,
--- দেখ সবে পূর্ববাংলাদেশে
জন্তু আক্রমণে দিন হঠাৎ মধ্যাহ্নে অন্ধকার,
রাত্রে নিশাচর শক্তি --- পররাষ্ট্র --- কবর-বিলাসী
ধংস বরে ধনপ্রাণ,
সারা বাংলাদেশ উপদ্রত
চেয়ে আছে শিশুচক্ষে, নরনারী মুমূর্ষু আলোয়
অজেয় গৌরব আশা রেখে গেছে, তীব্র হাহাকার
আনে শেষ প্রশ্নোত্তর, আসন্নিক মানব গগনে
পর্জন্যের শঙ্খ ঐ বেজে ওঠে দীর্ণ বঙ্গভূমে ---
চরম যন্ত্রণাক্ষণে বাংলাদেশে লোকায়ত যারা
ভবিষ্যৎ গ'ড়ে তারা বিশ্বে আজ হবে অস্বীকৃত?
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
সবাই এখন আছি মৃত্যুলোকে
নিমজ্জিত
কখন উঠবে বেজে শেষ ঘণ্টা অকস্মাৎ
কেউ
জানি না তা
প্রতিদিন বিশাল নতুন সূর্য
নিয়ে আসে নবতর মৃত্যুবার্তা আর
কালো কফিনের মতো অন্ধকার
প্রতিটি সূর্যাস্তে
নামে বীভৎস নিষ্ঠুরতা
নতুন আঙ্গিকে
আমাদের গৃহকোণে গ্রামে গঞ্জে
ঘাটে
হাটে বাজারের সম্পন্ন
বিস্তারে
দুপুরের রৌদ্রাভ আকাশ জুড়ে
শস্যক্ষেত্রে
প্রাণবন্ত সবুজ প্লাবনে
পাঞ্জাবি পশুর দল
যেন অগুণতি রক্তলোভী উন্মত্ত
রবোট
জল্লাদের মতো ছুটোছুটি করে
বাংলাদেশে নামে হত্যাযজ্ঞে
প্রতি দিন প্রতি রাত্রে প্রত্যুষে
কবি ফজল শাহাবুদ্দীন
এপ্রিলের একটি দিন ১৯৭১  কবি ফজল শাহাবুদ্দীন। নাজমুল আহসানের কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি
সৌজন্যে
Nazmul Ahsan YouTube Channel । কবিতার কথা সৌজন্যে  দৈনিক অতিবিশ্ববিদ্যালয় Facebook
সন্ধ্যায়
কার্ফ্যুঘেরা ক্লান্ত শ্বাসরোধ
করা ব্ল্যাকআউটে
কলজেটা ছিঁড়ে নেয় উপড়ে পড়া
চোখ
বেয়নেট বিদ্ধ করে বাঙালি
বিদ্রোহী আত্মায়
আমার অনুজ পড়ে থাকে গলিপথে
হুমড়ি খেয়ে
আমার পিতার লাশ রক্তে ভাসে
এখানে ওখানে
আমার মায়ের অশ্রু সিক্ত করে উষ্ণ
বুলেটের দাগ
আমার বোনের লজ্জা
ঝুলে থাকে কড়িকাঠে নিষ্করুণ
জলে
ডোবে ঠাণ্ডা কলমিলতার নিচে
পুকুরের ঘাটে
বাংকারে বাংকারে
যেন ভয়াল সুতীব্র প্রতিবাদে কণ্ঠ
তার তীক্ষ্ণ
স্লোগানের মতো বেজে উঠে
আত্নবলিদানের
পোড়ে গ্রাম মসজিদ শহীদ মিনার
জিঞ্জিরার
নদী আর চকবাজারের
পবিত্র প্রাচীন আজানের ধ্বনি
চোখ বাঁধা হাতে রজ্জু ট্রাকে
বাসে জিপে
দেখি অসহায় বাংলাদেশ
প্রতিদিন কেঁপে ওঠে
হিজল ফুলের মতো মাখা গাঁথা
মৃতদেহ হয়ে
রক্তমাখা
ভেসে যায় বুড়িগঙ্গায় তিতাসে
ধানের ক্ষেতের পাশে কাশবনে
শকুন কুকুর
আর চিলদের বিশুদ্ধ উৎসবে
মাথার ওপরে ওড়ে খুনি এরোপ্লেন
কুষ্টিয়ায় বোমা ফেলে
বোমা পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুড়ে
নবীনগরের
মেঘনায় নৌকায় গাংচিলে
এলএমজি স্টেন আর মর্টারের ভয়ঙ্কর
শব্দ ধেয়ে আসে অহরহ
বাংলাদেশ মিছিলের মত
বারবার কেঁপে ওঠে
নির্মম বুলেটবিদ্ধ বেয়নেটে
ছিন্নভিন্ন আমরা সবাই আছি নিমজ্জিত
প্রেতলোকে কখন উঠবে বেজে মৃত্যুঘণ্টা
অকস্মাৎ,
কেউ
আমরা এখন জানি না তা।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
ক্ষমতামাতাল জঙ্গী হে প্রভুরা ভেবেছো তোমরা,
তোমাদের হোমরা চোরা
সভাসদ, চাটুকার সবাই অক্ষত থেকে যাবে চিরদিন?
মৃত এক গাধার চোয়ালে, মনে নেই ফিলিস্তিন,
দিয়েছি গুঁড়িয়ে কতো বর্বরের খুলি? কতো শক্তি
সঞ্চিত আমার দুটি বাহুতে, সেও তো আছে জানা। রক্তারক্তি
যতই কর না আজ, ত্রাসের বিস্তার
করুক যতই পাত্রমিত্র তোমাদের, শেষে পাবে না নিস্তার।

আমাকে করেছো বন্দী, নিয়েছো উপড়ে চক্ষুদ্বয়।
এখন তো মেঘের অঢেল স্বাস্থ্য, রাঙা সূর্যোদয়,
শিশুর অস্থির হামাগুড়ি, রক্তোৎপল যৌবন নারীর আর
হাওয়ায় স্পন্দিত ফুল পারি না দেখতে। বার বার
কি বিশাল দৃষ্টিহীনতায় দৃষ্টি খুঁজে মরি। সকাল সন্ধ্যার
ভেদ লুপ্ত ; মসীলিপ্ত ভূগর্ভস্থ কারাকক্ষে চকিতে মন্দার
জেগে উঠলেও অলৌকিক শোভা তার থেকে যাবে নিস্তরঙ্গ
অন্তরালে। এমন কি ইঁদুরও বান্ধব অন্তরঙ্গ
সাম্প্রতিক, এমন নিঃসঙ্গ আমি। নিজ দোষে আজ
চক্ষুহীন, হৃতশক্তি, দুঃস্বপ্নপীড়িত। এখন আমার কাজ
ঘানি ঠেলা, শুধু ভার বওয়া শৃঙ্খলের। পদে পদে
কেবলি হোঁচট খাই দিনরাত্রি, তোমার অটল নসনদে।
কবি শামসুর রাহমান
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
স্যামসন  কবি শামসুর রাহমান। রচনা ৫ই অক্টোবর ১৯৭১।  এই কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ২২ মাঘ ১৩৭৮ (৪ঠা ফেব্রুয়ারী
১৯৭২) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তানে কারাবন্দী ছিলেন। তাঁর অসহায় বন্দীদশাকে বাইবেলে উদ্ধৃত স্যাসমের সঙ্গে তুলনা করে লেখা এই
কবিতাটি।
শত্রু পারিবৃত হ'য়ে আচ্ছি ; তোমাদের চাটুকার,
উচ্ছিষ্ট-কুড়ানো সব আপনি-মোড়ল, দুঃস্থ ভাঁড়
সর্বদাই উপহাস করছে আমাকে। দেশবাসী
আমাকে বাসে তো ভালো আজো--- যাদের অশেষ দুঃখে কাঁদি, হাসি
আনন্দে। পিছনে ফেলে এসেছি কতো যে রাঙা সুখের কোরক
যেমন বালক তার মিষ্টান্নের সুদৃশ্য মোড়ক।

আমাকে করেছো অন্ধ, যেন আর নানান দুষ্কৃতি
তোমাদের কিছুতেই না পড়ে আমার চোখে। স্মৃতি
তাও কি পারবে মুছছে দিতে? যা দেখেছি এতদিন---
পাইকারী হত্যা দিগ্বিদিক রমণীদলন আর ক্ষান্তিহীন
রক্তাক্ত দস্যুতা তোমাদের, বিধ্বস্ত শহর, অগণিত
দগ্ধ গ্রাম, অসহায় মানুষ তাড়িত, ক্লান্ত, ভীত
---এই কি যথেষ্ট নয়? পারবে কি এ সব ভীষণ
দৃশ্যাবলী আমূল উপড়ে নিতে আমার দু চোখের মতন?

দৃষ্টি নেই, কিন্তু আজো রক্তের সুতীর ঘ্রাণ পাই,
কান আসে আর্তনাদ ঘল ঘন, যতই সাফাই
তোমরা গাও না কেন, সব কিছু বুঝি ঠিকই। ভেবেছো এখন
দারুণ অক্ষম আমি, উদ্যানের ঘাসের মতন
বিষম কদম-ছাঁটা চুল। হীনবল, শৃঙ্খলিত
আমি, তাই সর্বক্ষণ করছো দলিত।
আমার দুরন্ত কেশরাজি পুনরায় যাবে বেড়ে,
ঘাড়ের প্রান্তর বেয়ে নামবে দুর্দমনীয়, তেড়ে---
আসা নেকড়ের মতো। তখন সুরম্য প্রাসাদের
সব স্তম্ভ ফেলবো উপড়ে, দেখো, কদলী বৃক্ষের অনুরূপ। দম্ভ
চূর্ণ হবে তোমাদের, সুনিশ্চিত করবো লোপট
সৈন্য আর দাস-দাসী-অধ্যুষিত এই রাজ্যপাট।
৫/১০/৭১
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
মাঝে মাঝে রক্তের মধ্যে শুয়ে স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে
কথনো রক্তের ছিটেয় অনিন্দ্য ফুলের পাপড়ি হেসে ওঠে
যন্ত্রণার ভেতর থেকে তখন জন্ম নেয় রূপময় ভালবাসা
কখনো মৃত্যুকে মনে হয় আশা ও আকাঙ্ক্ষার নবজাতক।

ভাইয়ের শোণিতমাখা শার্ট দু হাতে উড়ালে জানি মুক্তির নিশান
মনের অব্যক্ত ব্যথা রেখাঙ্কনে অবিকল পোস্টারে অলৌকিক ছবি
তখন স্বদেশমুখী কবিতাও গ্রেনেডের মত বিষ্ফোরক,
মেশিনগানের কণ্ঠে তখন সোনার বাংলার গান।
কবি মাহবুব
তালুকদার
মেশিন গানের কণ্ঠ  কবি মাহবুব তালুকদার। এই কবিতাটি অশোককুমার
সরকার ও সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ৬ই ফাল্গুন ১৩৭৮ (১৮ই ফেব্রুয়ারী
১৯৭২) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
সারারাত ধরে খালি পায়ে শিশির এবং ঘাস মাড়িয়ে
হেঁটে হেঁটে হেঁটে
কোন্‌ সমাধিক্ষেত্রে আমি যাবো---
বাংলা দেশের সমগ্র ভূখণ্ডই স্মৃতির সমাধি!

কোন্‌ কবরের পাশে অজস্র ভিড়ের দাপাদাপিতে
মুহূর্তের জন্যেও স্থির না দাঁড়িয়ে
আমি নীরবে একান্ত মনে
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো
কয়েক লক্ষ বরকত রফিক সালাম জব্বর শফিউর
কয়েক লক্ষ কবর দিয়ে বাংলার মানচিত্র নির্মিত!

একটি, কেবল একটি ফুল আমি ছড়িয়ে দেবো
বাংলা দেশের যে-কোনো শস্যক্ষেত্রে
যে-কোনো সড়কে
যে-কোনো বাড়ির উঠোনে
যে-কোনো নদীর স্রোতে---
কোথাও একটি ফুলও নেই
পাতাগুলো পর্যন্ত আগুনে ছাই হয়ে গেছে!

কেবল প্রার্থনা শেষের পবিত্র এবং নিঃশব্দ সমাহিতিকেই
আমি ছড়িয়ে দিতে পারি।
কবি জিয়া হায়দার
একুশে ফেব্রুয়ারী ১৯৭২  কবি জিয়া হায়দার। এই কবিতাটি অশোককুমার
সরকার ও সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ৬ই ফাল্গুন ১৩৭৮ (১৮ই ফেব্রুয়ারী
১৯৭২) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
লাখো শহীদের রক্তকণিকার তৃপ্তি হাসিগুলো
আমার মায়ের নীরব বুকের
হৃদয় নিংড়ানো অর্ঘ্যের নির্বাক বাণী।
পলাশের লালের আলোয়
রক্তের বিশাল গালিচা স্বদেশের মাটিতে
শীর্ণ চোখ দিগন্তে মিলিয়মান
জীর্ণ হাড়ের তীব্র আগ্নিশিখায়
আমার শহীদ ভায়ের মুখ হাসছিল।
ডালে ডালে শহীদের মুখ
গ্রেনেডের মত লাল শিখার লেহনে
ঘুরে ঘুরে পড়ছিল
স্বদেশের রক্তসিক্ত মাটিতে
আজন্ম শহীদ হওয়ার বাসনায় উদ্দীপ্ত আমি
কখনও দাঁড়াই লালে ছাওয়া পলাশের কুঁড়িতে
রক্তে নাওয়া বাংলার বধ্যভূমিতে
আবার যখন আসে ফাগুনের আগুনঝরা রক্ত
তখনও রক্ত শোনায়
আগামী দিনের শান্ত আশাগুলোর বাণী
তখন আবার নতুন করে শিখি
রক্তই এনেছে আটই ফাগুন
রক্তই দিয়েছে স্বাধীনতা।
কবি সাহেরা খাতুন
বেলা
আটই ফাল্গুন  কবি সাহেরা খাতুন বেলা। এই কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও
সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ৬ই ফাল্গুন ১৩৭৮ (১৮ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭২) সংখ্যায়
প্রকাশিত হয়েছিল।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
আবেলায় রক্ত ঝরেছিল। এখন ললাটময় সেই রক্তে চন্দনের টিপ্।
এখন আবার গাছে ফুল, ফুলে গন্ধ, গন্ধে চেতনার আভা ফিরে আসে।
আবার আকাশমুখী শিখা তুলে দীর্ঘ হয় মানুষ ও মাটির প্রদীপ
যদিও এখনো বহু পরিচিত. ভালবাসা শুয়ে আছে হিমে, ভিজে ঘাসে।

এই তো সময়! ডাকো! পাল তুলি। পা ফেলি পার্বণে।
হাসির হোহো-র মত জলে স্থলে করতলে একাকার মিলি ও মেলাই।
ইতিহাস ছাপা হলে আমরাই হবো তার কেন্দ্র জুড়ে সবুজ সেলাই।
কবি পূর্ণেন্দু পত্রী
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
ডাকো  কবি পূর্ণেন্দু পত্রী। এই কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ
সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ৬ই ফাল্গুন ১৩৭৮ (১৮ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭২) সংখ্যায় প্রকাশিত
হয়েছিল।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
বেনাপোলে আনন্দিত আমগাছের নতুন মুকুল
ফিরে অসা টুনটুনি পাখিকে ডাকে,
.        এসো এসো বাড়িতে ফিরে এসো
ঘরে ফিরছে ছেঁড়া চাদর, খালি পা, অনন্ত মানুষ
যেন কোনো অপার গোধূলিতে
এক সঙ্গে হাজার হাজার হাট ভেঙেছে
যে যার বাড়ি ফিরছে যত তাড়াতাড়ি পারে।
কিন্তু কোনো হাট নয়, তুচ্ছ কেনা-বেচা নয় ;
অশ্রু, রক্ত, আগুন ও মৃত্যুর বদলে, বহু দামে
সবচেয়ে বিলাসী উড়োজাহাজের চেয়েও দামী টিকিটে
বাড়ি ফিরছে সর্বস্বান্ত মানুষেরা।

ট্রাকের পর ট্রাক, ট্রাকের পর ট্রাক, ট্রাকের পর
মানুষের পর মানুষ,
হরিদাসপুর থেকে নাভারন---
রাস্তার বুক ভেঙে এখনো ফুটে আছে ট্যাঙ্কের চাকা,
হয়তো হাওয়ায় কান পাতলে, জোরে নিশ্বাস টানলে
এক শো দিন আগের সেই কামানের শব্দ, বারুদের গন্ধ
এখনো পাওয়া যাবে।

ধুলো উড়ছে, ধুলোর উপরে ধুলো,
সেই পথ ধরে ঝিকরগাছার ভাঙা পুল পোরিয়ে,
কুয়াশার ভিতর দিয়ে, ধলেশ্বরীর দিকে মুখ করে
কালীঘাটের বাজারে দামদর করে কেনা কম্বল হাতে
কবি তারাপদ রায়
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
ঘরে ফিরছে মানুষ  কবি তারাপদ রায়। এই কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও সাগরময় ঘোষ
সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ১৩ই ফাল্গুন ১৩৭৮ (২৫শে ফেব্রুয়ারী ১৯৭২) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
বাড়ি ফিরছে আমার বাবা-মা, আমার ভাই,
বাড়ি ফিরছে ছানু, দাসু, টুকু আর টুকুর বউ
আর পবন দাসের কোলে দশ মাসের পুঁটিদাসী---
নিষ্পাপ সবুজের সমারোহে রক্তবৃত্ত মথিত
সেই অমল নিশানের সঙ্গে একই লগ্নে যার জন্ম!

ঝিকরগাছার পুলের ধারে বুড়ো গাছের পোড়া ডালে
বহু দিন পরে ফিরে এসেছ শালিকের ঝাঁক ;
অনাবাদী ধানখেতের আল ধরে পিছনে তাকাতে তাকাতে
পুরোনো পাড়ার দিকে চলেছে নিহত মনিবের নিঃসঙ্গ কুকুর
তার তলপেটে এখনো রাইফেলের আগুনের ঘা।

কিন্তু সেই যে লক্ষ্মী গরু ছিলো গোয়ালে
সারা দিন আহ্লাদী বাছুরকে চাটছে তো চাটছেই,
সেই যে লেজ-ফোলা বেড়াল
.        চোখ বুজে শুয়ে থাকাতো রান্নাঘরের সিঁড়িতে,
আর সেই জালালিয়া পায়রা
বহু দিনের পুরোনো দালানবাড়ির ফাঁকে ফাঁকে,
আর সেই সাতজন্মের গৃহদেবতা শিবঠাকুর,
গুলির শব্দ তাদের কোথায় তাড়িয়ে নিয়ে গেছে,
কোন্‌ মেঘালয়, কোন্‌ লবগহ্রদ থেকে কবে ফিরবে তারা?

তবু ফিরে চলেছে ভাঙা কুপি হাতে মূশকিলআসান ফকির,
পঙ্গু পুরোহিতের ময়লা চাদরে বাঁধা শালগ্রাম শিলা,
ফিরে চলেছে রমেশ হলের ছেঁড়া বই,
বিন্দুবাসিনীর হারানো ছেলে।
মরা কৃষ্ণচূড়ার নিচে আমাদের বিন্দুবাসিনী,
যেন আর কিছুতেই বিশ্বাস হয় না তুমি আছো,
কিন্তু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,
রমেশ হলের সামনে অমর বকুলগাছের তলা দিয়ে
হেঁটে যাচ্ছেন শেখ মুজিব, স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,
বিন্দুবাসিনীর মাঠে তার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ছে
হাজার হাজার বন্দুক!

বন্দুক তুমি কার?
বন্দুক তুমি মুক্তির। বন্দুক তুমি স্বাধীনতার।
সেই যে নিরীহ শিক্ষক দুপুরবেলায় ঘরের ভিতরে
যাকে মায়ের চোখের সামনে, ছেলের চোখের সামনে
কুপিয়ে কুপিয়ে কাটা হলো,
সোই যে ফুলের মত মেয়ে ইস্কুলের পথে
চিকন খালের মত তরতর করে চলো যেতো
যাকে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না ;
সেই যে বোকা ব্রাহ্মণ বাড়িতে সৈন্য ঢুকেছে দেখে
পুজোর ঘরে ঠাকুরের সামনে প্রার্থনা করতে গিয়ে
মুখ থুবড়ে পড়ে গেলো আর উঠলো না,
সেই যে বুড়ো হাজী পানাপুকুরে মাথা লুকোতো গিয়ে
চিরদিনের মত লুকিয়ে গেলেন ।
বন্দুক তুমি মুক্তির, বন্দুক তুমি স্বাধীনতার।
.
তুমি সেই অসহায়ের শেষ সম্বল।
বন্দুক তুমি মুক্তির, বন্দুক তুমি স্বাধিনতার ;
প্রতিটি দীর্ঘনিশ্বাসের সঙ্গে তুমি ঝাঁপিয়ে পড়েছো
কালীহাতির মাঠে, মধুপুরের জঙ্গলে, রহুমারির খালে।
বন্দুক, ঘরে ফিরে চলেছে ঘরপোড়া মানুষ
ঘরে ফিল চলেছে আত্মীয়-হারা মানুষ ;
এক কোটি মাইকেল মধুসূদনের হাত ধরে
.        ফিরে চলেছেন এক কোটি জীবনানন্দ দাশ,
এক কোটি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের হাত ধরে
.        ফিরে চলেছেন এক কোটি ফজলুল হক।
ফিরে চলেছে শাজাদপূ্র শাড়ির কাঁথে ইসলামপুরী কলসী,
পদ্মার ইলিশের পিছু পিছু সুন্দরবনের রয়াল-বেঙ্গল,
গয়নার নৌকোর সঙ্গে কাঁচা রাস্তার টমটম।
এক হাতে চোখের জল মুছে,
আরেক হাতে শক্ত করে শিশুর হাত ধরে
এবড়ো-খেবড়ো যুদ্ধের রাস্তায় ফিরে চলেছে
.        সর্বস্বান্ত মৃত্যুহীন মানুষ।

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
( এক )
অবিভক্ত বাংলার মাটিতে
জেনেছি প্রাণের দান কত পূর্বপুরুযানুক্রমে
অপূর্ব সংকৃতি সেই,
নদীচর কচিধান নয়নসবুজে দেখা তীর
ডুবে আছে চেতনায়, উলু-দেয়া বিয়ে, শাঁখ ধূপ
ময়নামতীর গান, গাঁথা সূক্ষ্ম রঙিন সুতোয়
নকশী কাঁথার মাঠ, গুরু-মুর্সিদ্যার ভক্ত দোহা,
চিত্রার্পিত ছায়াতটে মেলা বসে, হাটে হাটে
কদমা বাতাসা স্তূপ, ঢাকাই শাড়ির শিল্পশোভা,
মহরমে দশমীতে দামামা উৎসব, বারোয়ারি।
.        ইছামতী
কাব্যে বয় রবীন্দ্রের করুণার সুজনমহিমা,
ঝলমল পদ্মাজলে তাঁরি গানে ভাসা
সোনার তরণী ;
.                গঞ্জঘাটে শসাপাট চাঁদপুরে
.        ব্যস্ত পরিতৃপ্ত ছবি-ভরা ;
প্রবাসে আমার
স্বপ্নাঞ্জন মাথা সেই ছবি আজো শুভ সত্যতম॥

( দুই )
মধো এসেছিল ঝড়, গান্ধীজীর সঙ্গে নোয়াখালি
দেখেছি আগুন জ্বালা,
.        স্বাধীন ভারতে ঐক্য ভাঙা
কবি অমিয় চক্রবর্তী
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
বাংলার ডায়েরি  কবি অমিয় চক্রবর্তী। রচনা ১৬ই মার্চ ১৯৭২। এই কবিতাটি অশোককুমার সরকার ও
সাগরময় ঘোষ সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার ১৮ই চৈত্র ১৩৭৮ (৩১শে মার্চ ১৯৭২) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
অলীক ধর্মের ঝাণ্ডা ত্রিভগ্ন দেশের মর্মে ওড়ে
জিন্না-বৃত্তি ঘেরা অন্ধকারে ;
সেদিন দুঃসহ, তবু, সারা পূর্ব বাংলা গ্রামে গ্রামে
সহস্র শিরায় এক বাংলা ভাষা, হিন্দুমুসলমান
মেঘনীল মেঘনায় তীরহীন একান্ত মাতৃক
বৃহৎ সন্ধান পাবে আপন নিভৃত পরিবেশে---
ছিল সে প্রত্যাশা বুকে, ধনে ধান্যে চাষে ব্যবসায়ে
আহরণে শ্রমে জাগবে বিশ্বজোড়া জাগরণ-দিনে
সমগ্র বঙালী-হায়, সে-ভরসা ছিন্ন বারবার ;
পররাষ্ট্র কলোনির প্রভুত্ব প্রত্যহ সয় যারা
তাদের সহায় কে বা, দস্যুর বিদেশী বন্ধুদল
যোগালো মারণ-মন্ত্র, কুবের সোন'র থলি খুলে
অবাঙালী দুর্গ গড়ে বাংলার ঐতিহ্যবিরোধী
পকিস্তানী মন্ত্রণায় ;
.        গুঞ্জরিত
প্রাণের বসন্তদিনে বাংলর মৌ-বনে দিঘিতে
করাল ভয়ার্ত ছায়া,
.        চতুর্দিকে পশ্চিমী সৈনিক ;?

কোথায় পীরের সিন্নি, হিন্দু পূজাব্রতে
বাধা পড়ে, তবু ত্রস্ত পদে
তুলসীতলায় চলে গৃহবধূ শান্ত স্নেহময়ী,
দীপ হাতে ;
.        পুরোনো মসজিদে
ক্ষীণধ্বনি মুয়েজিন :
,        পূর্ববঙ্গ জুড়ে
সবই যেন মূর্ছা ঢাকা ; জেল ভর্তি, কণ্ঠরোধ ;
আতঙ্কের তলে তলে কারা
আশ্চর্য নেতার নমে জড়ো হয়, আয়ামির দল
মুজিবের মুখে চেয়ে সারা পাকিস্তানে ভোটে জেতে ;

.        সংঘশক্তি মুক্তির নিশানী,
.        রদ করবে সাধ্য কার?
.        কাপুরুষ রাষ্ট্র ভেঙে পড়ে।
যুগান্ত জেনেও শেষ বাঙালী-বধের হন্যতায়
নরজন্তু ছুটে আসে রাতে---
.        ঝঞ্ঝা নামে,
.        এল ঐ
মার্চের পঁচিশে লগ্নবেলা॥

( তিন )
মৃত্যুর তাঞ্জামে চড়ে মরিয়া সঙের আক্রমণ,
প্রমত্তের উল্লম্ফন--- শুধু হ’ত পৈশাচিক হাসি
(করাচির ব্যঙ্গযাত্রা), কিন্তু তারা
যতই ইতর হোক, ইমান ইজ্জতছারা তারা
টিক্কা-ইয়াহিয়া দলে হুক্কাহুয়া ওরা শত শত
গ্রাম বন, বসতির নগর দোকান, খেত মাঠ
জ্বালিয়েছে বাংলাদেশে, কোটি নির্বাসিত, হত,---
ভয়ঙ্কর রঙ্গ শেষে হার মানে ওরা পঙ্গপাল
কিন্তু কী দারুণ মূল্য দিতে হল মানুষের দামে
.
(মহার্ঘ জল্লাদপর্ব ওদেরো ক্ষতির তহবিলে)
ইতিহাসে এ ঘটনা কোনোদিনই হবে সহনীয়?

সমুদ্রপারের ব্যথা বুকে নিয়ে বাঙালী-ভারতী
গিয়েছি ঢাকায়, দুদিনেই
যা জেনেছি, দেখি চোখে, শুনেছি যা সর্বজন কাছে
কথায় বলার সাধ্য নেই---
ভাগ্য তবু খুলে গেল স্বর্ণদ্বার অন্ধকারে
যখন মুজিব মুক্তি পেয়ে
এসেছেন ফিরে, জয়ী নিজ বাংলাদেশে :
নারদ নারদ বলে যরা যুদ্ধে যোগালো ইন্ধন
আগ্নেয় রসদ আর রণতরী মূঢ়ের বিক্রমে
প্রচুর মিথ্যার যোগে---
তাদের মুখেতে কালি, কিন্তু তাতে শান্তি নেই
এ তো জয়-পরাজয় মান আর অপমান নয়
এ যে সাক্ষী বাঙলাদেশে চরম পরীক্ষা সন্ধিক্ষণে---
সমস্ত মানবজাতি দেখেছে বিপদ, ক-টি দেশ
মেনেছে মিত্রের ধর্ম? (মুষ্টিমেয় আজ তাই
শুধু বাঙালীকে নয়, ভারতী চরম সভ্যতাকে---
তারো চেয়ে বেশী আজ সমস্ত মানবসভ্যতাকে
বলা চাই : সাড়া দাও, কার কবে পালা শুরু হবে।
প্রতিকার আনো প্রস্তুতির ;
স্বাধীন দেশকে নতি দিয়ো,
ইন্দিরা গান্ধীকে আর ভারতের বীর ত্যাগীদের।
নতুন যুগের ধর্মী পাকিস্তানী তোমরা এসো কাছে,
প্রকাণ্ড উৎসবে আজ সবে মিলে জানাবো স্বীকৃতি।
গড়ে তুলব ভাঙা ঘর, সর্বহারা জনতাজীবন,
পৃথিবীর বায়ু আয়ু রঞ্জিত প্রাণের মহাবলে
বাজাবো মুক্তির শাঁখ।
ক্ষমা চাই, সেরা পাপীদের শাস্তি চাই
মহাজাতি বিচার-সভায়।
করুণার বীর্যে যেন মাতৃভাষা অমৃত বন্ধনে
বাঁধা পড়ি আনন্দে গৌরবে---
রবীন্দ্রনাথের বাংলা যেন জেগে ওঠে, জেগে থাকে॥

ন্যুপলজ
১৬ মার্চ, ১৯৭২

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
বাংলাদেশ আগুন লাগা শহর আর লক্ষ গ্রাম
বাংলাদেশ শহীদ হল রক্তে লাল লও সালাম
বাংলাদেশ বুলেট নিয়ে হুমড়ি খায় দীপ্ত হয়
বাংলাদেশ কার্ফুঘেরা লক্ষ কোটি কণ্ঠময়
বাংলাদেশ রক্তে ভেজা মৌন এক অন্ধকার
বাংলাদেশ শপথ নেয় তীক্ষ্ণ এক স্বাধীনতার
বাংলাদেশ বিশাল এক অগ্নিব্যুহ প্রজ্বলিত
বাংলাদেশ মিছিল কাঁপা স্লোগান দেওয়া আন্দোলিত
বাংলাদেশ আগুন লাগা শহর আর লক্ষ গ্রাম
বাংলাদেশ দুর্গময় ক্রুদ্ধ এক ভিয়েতনাম
কবি ফজল শাহাবুদ্দীন
বাংলাদেশ একাত্তরে  কবি ফজল শাহাবুদ্দীন। সৈয়দ আল জাবের এর কণ্ঠে
আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি সৌজন্যে
Panvision TV YouTube Channel । কবির
“আততায়ী সূর্যাস্ত” (১৯৭৫) কাব্যগ্রন্থের কবিতা। কবিতার কথা সৌজন্যে
বন্ধুজন Facebook
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
আগরতলার মাঠে মুক্তিবাহিনীর তীক্ষ্ণ ক্যাম্প
প্রতিদিন হাতছানি দিয়ে ডাকে
বন্ধুরা অনেকে আজ কোলকাতা মুজিবনগরে
সোনালি স্বাধীন সেই বাংলাদেশে
কেউ বা নিয়েছে তুলে শক্ত হাতিয়ার
স্টেন আর মেশিনগানের গুলি নিত্যকার সঙ্গী
কণ্ঠে বারংবার সেই বজ্রধ্বনি জয়বাংলা
আমার সোনার বাংলা আমি তোকে ভালোবাসি
কারো কণ্ঠ শোনা যায় আকাশবাণীতে
কেউ বা সংগ্রামে রত সুদূর লণ্ডনে
কী সৌভাগ্যবান তারা সকলেই
কবি ফজল শাহাবুদ্দীন
কোথাও পারিনি যেতে  কবি ফজল শাহাবুদ্দীন। মিতা
আক্তার শিখা এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি
সৌজন্যে
Songbrita Abritti Chorcha O Bikash Kendro YouTube Channel
কবির “আততায়ী সূর্যাস্ত” (১৯৭৫) কাব্যগ্রন্থের কবিতা। কবিতার কথা
সৌজন্যে
Fazal Shabuddin Facebook
আমি শুধু কোথাও পারিনি যেতে
লণ্ডনে আগরতলা কিংবা মুজিবনগরে
যদিও সুতীক্ষ্ণ সেই মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প
পলাতক মাতৃভূমির মতোন নিভৃত অস্থির
হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রতিদিন
আমি শুধু কোথাও পারিনি যেতে
নিজবাসভূমে যেন মৃত্যুদন্ড দেয়া পালিয়ে বেড়ানো সন্ত্রস্ত
আসামী কোনো
বিধ্বস্ত মায়ের কাছে সান্নিধ্যের রক্তমাখা উষ্ণতায়
বেঁচে আছি আজো

এখনো নিঃশ্বাস নেই নিষিদ্ধ বাতাসে
পথ হাঁটি সঙ্গোপনে শহরে শহরতলী ছেড়ে
গ্রামে ভিটেমাটি ছাড়া বাংলাদেশে
বিদ্রোহী লাশের ভীড়ে একদা প্রাণচঞ্চল নদীতীরে
শৃন্যতার হাটে
দেখি অহরহ
মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ ছায়া সঞ্চারিত মাথার উপরে
কতো যে বিচিত্ররূপে মৃত্যু আসে চলে হত্যালীলা
একটি শিশুর মতো যে সকাল
তারো সাথে মৃত্যু আসে
সোমত্ত মেয়ের মতো ঝলোমলো যে দুপুর
তারো সাথে মৃত্যু আসে
নিবিড় প্রেমের মতোন যে সন্ধ্যা
তারো সাথে মৃত্যু আসে
নিবিষ্ট ধ্যানের মতো বিশাল যে রাত্রি
তারো সাথে মৃত্যু আসে
মৃত্যু আসে রাইফেলে বেয়োনেটে চীনা এসেলারে
মার্কিনী মেশিনগানে
দেখি অহরহ
পথ হাঁটি সঙ্গোপনে শহরে শহরতলী ছেড়ে
আমি কোথাও পারিনি যেতে

কোথাও পারিনি যেতে কোনোদিন যাবো না কোথাও
ধর্ষিতা মায়ের রক্তে ভেজা মাটি
তাকে ফেলে যাবো না কোথাও
শস্যহীন মাঠে মুখ থুবড়ে প'ড়ে থাকা
নিষিদ্ধ অস্ত্রের মতো বোনের মাথার খুলি
তাকে ফেলে যাবো না কোথাও
রমনায় ভার্সিটি অঙ্গনে আছে মাটি চাপা
রক্তাপ্লুত বিবেকের মতো জি সি দেব
তাকে ফেলে যাবো না কোথাও
লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্তপানে স্ফীতদর
টিক্কা খান-ফরমান আলী
তাকে ফেলে যাবো না কোথাও
মাথার উপরে আছে খুনি ঈশ্বরের মতো
বিশাল আকাশ
তাকে ফেলে যাবো না কোথাও

কোথাও পারিনি যেতে কোনোদিন যাবো না কোথাও
আমার অস্তিত্ব জুড়ে ধ্বনিময়
রক্তাপ্লুত বাংলাদেশ তাকে ফেলে যাবো না কোথাও
কী সৌভাগ্যবান তারা সকলেই
.
যারা প্রাণবন্ত সোনালি স্বাধীন সেই বাংলাদেশে
আছেন সংগ্রামে রত
আমি কোনোদিন যাবো না সেখানে,
বুলেটের নিষ্ঠুর থাবার নিচে
আমার রক্তের স্রোত এখানে প্রত্যহ
হিম হয়ে আসে
ঠান্ডা ঠান্ডা খন্ড খন্ড রক্তের নিভৃত শব্দে
পলাতক ভাই নিহত শিক্ষক নিরুদ্দিষ্ট বোন
আর নিখোঁজ পিতার চোখ
মুখের আদল ভালোবাসা বারবার
ডাক দেয় ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়

আমি কোথাও পারিনি যেতে
বিধ্বস্ত মায়ের কাছে সান্নিধ্যের রক্তমাখা উষ্ণতায়
বেঁচে আছি আজো
নিজবাসভূমে যেন মৃত্যুদন্ড দেয়া
পালিয়ে বেড়ানো সন্ত্রস্ত আসামী কোনো।

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
আবার ফুটেছে দ্যাখো কৃষ্ণচূড়া থরে থরে শহরের পথে
কেমন নিবিড় হয়ে। কখনো মিছিলে কখনো-বা
একা হেঁটে যেতে যেতে মনে হয়-ফুল নয়, ওরা
শহিদের ঝলকিত রক্তের বুদ্বুদ, স্মৃতিগন্ধে ভরপুর।
একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনারই রং।
এ-রঙের বিপরীত আছে অন্য রং,
যে-রং লাগে না ভালো চোখে, যে-রং সন্ত্রাস আনে
প্রাত্যহিকতায় আমাদের মনে সকাল-সন্ধ্যায়-
এখন সে রঙে ছেয়ে গেছে পথ-ঘাট, সারা দেশ
ঘাতকের অশুভ আস্তানা।
আমি আর আমার মতোই বহু লোক
রাত্রি- দিন ভূলুণ্ঠিত ঘাতকের আস্তানায়, কেউ মরা, আধমরা কেউ,
কেউ বা ভীষণ জেদি, দারুণ বিপ্লবে ফেটে পড়া।
চতুর্দিকে মানবিক বাগান, কমলবন হচ্ছে তছনছ।
বুঝি তাই উনিশশো উনসত্তরেও
আবার সালাম নামে রাজপথে, শূন্যে তোলে ফ্ল্যাগ,
বরকত বুক পাতে ঘাতকের থাবার সম্মুখে।
সালামের চোখে আজ আলোচিত ঢাকা,
সালামের মুখে আজ তরুণ শ্যামল পূর্ববাংলা।
কবি শামসুর রাহমান
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯  কবি শামসুর রাহমান। রচনা ৫ই অক্টোবর ১৯৭১। শিল্পী মাফরুহা মিনার্ভা ও ডঃ মো হারুনুর রশীদ এর
কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি সৌজন্যে
Urvashi Forum YouTube Channel । কবির "নিজ বাসভূমে" কাব্যগ্রন্থের কবিতা। কবিতার কথা
সৌজন্যে
https://myacademybd.com/
দেখলাম রাজপথে, দেখলাম আমরা সবাই জনসাধারণ
দেখলাম সালামের হাত থেকে নক্ষত্রের মতো
ঝরে অবিরত অবিনাশী বর্ণমালা
আর বরকত বলে গাঢ় উচ্চারণে
এখনো বীরের রক্তে দুঃখিনী মাতার অশ্রুজলে
ফোটে ফুল বাস্তবের বিশাল চত্বরে
হৃদয়ের হরিৎ উপত্যকায়। সেই ফুল আমাদেরই প্রাণ,
শিহরিত ক্ষণে ক্ষণে আনন্দের রৌদ্রে আর দুঃখের ছায়ায়।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হবো
আমাকে কী মাল্য দেবে দাও।
এই নাও আমার যৌতুক, এক বুক রক্তের প্রতিজ্ঞা
ধুয়েছি অস্থির আত্মা শ্রাবণের জলে, আমিও প্লাবন হবো
শুধু চন্দনচর্চিত হাত একবার বুলাও কপালে
আমি জলে স্থলে
অন্তরীক্ষে উড়াবো গাণ্ডীব,
তোমার পায়ের কাছে নামাবো পাহাড়
আমিও অমর হবো, আমাকে কী মাল্য দেবে দাও।

পায়ের আঙ্গুল হয়ে সারাক্ষণ লেগে আছি পায়ে
চন্দনের ঘ্রাণ হয়ে বেঁচে আছি কাঠের ভিতরে
আমার কিসের ভয়?
কবরের পাশে থেকে হয়ে গেছি নিজেই কবর
শহীদের পাশে থেকে হয়ে গেছি নিজেই শহীদ
আমার আঙ্গুল যেন শহীদের অজস্র মিনার হয়ে
জনতার হাতে হাতে গিয়েছে ছড়িয়ে
আমার কিসের ভয়?
আমিও অমর হবো, আমাকে কী মাল্য দেবে দাও।
কবি নির্মলেন্দু গুণ
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
আমাকে কি মাল্য দেবে, দাও  কবি নির্মলেন্দু গুণ। নাজমুল আহসান এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি
সৌজন্যে
Nazmul Ahsan YouTube Channel । কবিতার কথা সৌজন্যে https://www.bd-pratidin.com/
এই দেখো অন্তরাত্মা মৃত্যুর গর্বে ভরপুর
ভোরের শেফালি হয়ে পড়ে আছে ঘাসে
আকন্দ ধুন্দুল নয় রফিক বরকত আমি
আমারই আত্মার প্রতিভাসে
এই দেখো আগ্নেয়াস্ত্র, কোমরে কার্তুজ
অস্থি ও মজ্জার মধ্যে আমার বিদ্রোহ
আমাকে কী মাল্য দেবে দাও।
উদ্ধত কপাল জুড়ে যুদ্ধের রক্তজয়টিকা
আমার কিসের ভয়?
তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হবো
আমাকে কী মাল্য দেবে দাও।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
শহীদ কাদরীকে---

প্রতিটি দরজা কাউন্টার কনুইবিহীন আজ। পা মাড়ানো,
লাইনে দাঁড়ানো নেই, ঠেলাঠেলিহীন;
মদ্রার রুপালি পরী নয় নৃত্যপরা শিকের আড়ালে
অথবা নোটের তাড়া গাংচিলের চাঞ্চল্যে অধীর
ছোঁয় না দেরাজ। পথঘাটে
তাল তাল মাংসের উষ্ণতা
সমাধিস্থ কর্পূরের বেবাক।
মায়ের স্তনের নিচে ঘুমন্ত শিশুর মতো এ শহর অথবা রঁদার
ভাবুকের মতো;
দশটি বাঙ্ময় পঙ্‌ক্তি রচনার পর একাদশ পঙ্‌ক্তি নির্মাণের আগে
কবির মানসে জমে যে-স্তব্ধতা, অন্ধ, ক্রুদ্ধ ক্ষিপ্র
থাবা থেকে গা বাঁচিয়ে বুকে
আয়াতের নক্ষত্র জ্বালিয়ে
পাথরে কণ্টকাবৃত পথ বেয়ে ঊর্ণাজাল-ছাওয়া
লুকানো গুহার দিকে যাত্রাকালে মোহাম্মদ যে-স্তব্ধতা আস্তিনের ভাঁজে
একদা নিয়েছিলেন ভরে
সে স্তব্ধতা বুঝি
নেমেছে এখানে।
কবি শামসুর রাহমান
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
হরতাল  কবি শামসুর রাহমান। রচনা ৫ই অক্টোবর ১৯৭১।
কবির "নিজ বাসভূমে" (১৯৭০) কাব্যগ্রন্থের কবিতা। কবিতার কথা
সৌজন্যে
https://www.ebanglalibrary.com/
রাজপথ নিদাঘের বেশ্যালয়, স্তব্ধতা সঙ্গিন হয়ে বুকে
গেঁথে যায়; একটি কি দুটি
লোক ইতস্তত
প্রফুল্ল বাতাসে ওড়া কাগজের মতো ভাসমান।

সবখানে গ্যাসোলিন পাইপ বিশুষ্ক, মানে ভীষণ অলস,
হঠাৎ চমক লাগে মধ্যপথে নিজেরই নিঃশ্বাস শুনে আর
কোথাও অদূরে
ফুল পাপড়ি মেলে পরিস্ফুট শব্দ শুনি;
এঞ্জিনের গহন আড়াল থেকে বহুদিন পর
বহুদিন পর
অজস্র পাখির ডাক ছাড়া পেল যেন।
সুকণ্ঠ নিবিড় পাখি আজও
এ শহরে আছে কখনো জানিনি আগে।
ট্যুরিস্ট দু’চোখ
বেড়ায় সবুজে
সমাহিত মাঠে
ছেলেদের ছায়ারা খেলছে এক গভীর ছায়ায়।
কলকারখানায়
তেজী ঘোড়াগুলো
পাথুরে ভীষণ;
ন্যাশনাল ব্যাংকের জানালা থেকে সরু
পাইপের মতো গলা বাড়িয়ে সারস এ স্তব্ধতাকে খায়।
.
শহর ঢাকার পথ ফাঁকা পেয়ে কত কী-যে বানালাম হেঁটে যেতে-যেতে
বানালাম ইচ্ছেমতো আঙুলের ডগায় হঠাৎ
একটি সোনালি মাছ উঠল লাফিয়ে,
বড় হতে হতে
গেল উড়ে দূরে
কোমল উদ্যানে
ভিন্ন অবয়ব
খুঁজে নিতে অজস্র ফুলের বুদোয়ারে।

হেঁটে যেতে যেতে
বিজ্ঞাপন এই সাইনবোর্ডগুলো মুছে ফেলে
সেখানে আমার প্রিয় কবিতাবলির
উজ্জ্বল লাইন বসালাম;
প্রতিটি পথের মোড়ে পিকাসো মাতিস আর ক্যান্ডিনিস্কি দিলাম ঝুলিয়ে।
চৌরাস্তার চওড়া কপাল,
এভেন্যুর গলি, ঘোলাটে গলির কটি,
হরবোলা বাজারের গলা
পাষাণপরীর রাজকন্যাটির মতো
নিরুপম সৌন্দর্যে নিথর।
স্তূপীকৃত জঞ্জালে নিষ্ক্রিয় রোদ বিড়ালছানা মৃদু
থাবা দিয়ে কাড়ে
রোদের আদর।
জীবিকা বেবাক ভুলে কাঁচা প্রহরেই
ঘুমায় গাছতলায়, ঠেলাগাড়ির ছায়ায় কিংবা
উদাস আড়তে,
ট্রলির ওপরে
নিস্তরঙ্গ বাসের গহ্বরে,
নৈঃশব্দের মসৃণ জাজিমে।
বস্তুত এখন
কেমন সবুজ হয়ে ডুবে আছে ক্রিয়াপদগুলি
গভীর জলের নিচে কাছিমের মতো শৈবালের সাজঘরে।

চকিতে বদলে গেছে আজ,
আপাদমস্তক
ভীষণ বদলে গেছে শহর আমার!

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
রমনার মাঠ: ইতস্তত গরু, পথচারী হাঁটাহাঁটি
শর্টকাট এপারে-ওপারে, রবিবারে ঘোড়দৌড় আহামরি!
এরই মধ্যে সাহেব সুবারা খোঁজে সকাল বিকেলে এসে
দূরে ছোঁড়া অন্বিষ্ট সুগোল বস্তু-সবুজ শেষের ঘাঁটি
শহরের ফুসফুস, আয়ুব উদ্যান যেখানে অঘরী
ঘরের উঠোন নিকানো সবুজ রুমাল-ওড়ানো কেশে
বিদেশিনী আনন্দ ফড়িং যেন, দুর্বাঘাস মাটি
মাতৃক বিভূতি, যেখানে সায়াহ্ন হীনস্বাস্থ্য হাতছড়ি।
সেই মাঠে শুনি বজ্রকণ্ঠ, কী ঘোষণা, বীজ হলো বোনা
অকাল বৈশাখী সেকি, হাতে-হাতে উচু যষ্টি সমস্বর,
বাংলার গৃহ হলো দুর্গের প্রতীক, বাংলার মন
হলো সিঁন্দুর ঈশান, হারানো সময়ে সূর্য মেঘসোনা,
সন্ত্রাসের প্রান্তিক প্রহরে জ্যোতির্ময় তুমি শক্তিধর ;
তারপর দৃশ্যান্তর মুখের সমগ্র জনগণ।
কবি সানাউল হক
খান
সাতই মার্চ একাত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য  
কবি সানাউল হক খান। কবিতার কথা সৌজন্যে https://kabyashilan.com/
বিপ্লবের ঘণ্টাধ্বনি অবিস্মরণীয় ঝড়-পূর্বাভাষ
কে সে বন্ধুজন শব্দের সম্ভার যিনি বঙ্গোপসাগর,
অতঃপর একাত্ম সঙ্গীত, যৌথশ্রম, ফিরে-পাওয়া দেশ
ওষ্ঠলগ্ন চুমুগুলো স্বদেশের ইচ্ছামূর্তি মধুমাস
কোথায় মৌচাক─ধড়িবাজ হলাহলে ক্ষুব্ধ চরাচর,
বস্তু কি শবের মুখবন্ধ, কাফন কি কৌপন বিশেষ,
আয় মৃত্যু জোয়ারভাটার দোলা, সপ্তডিঙা মধুকর
বর্বর মার্কিনী ধোকা বাঁচি-কি বাঁচি না দ্বন্দ্ব অবশেষে।
মরণার্থী কালোত্তর, হে ঈশ্বর আল্লা, জীবন প্রহরী
খড়ের আগুন হলো পৌষের আগ্রহ, নক্ষত্রের আলো
মুক্তিসেনা চিতার শরীর, বাংলার ন’মাসী উন্মেষ
কখনো কাতর ; অকাতর রক্তক্ষরা ধাবমান তরী,
অশৌচ আতুরঘরে সর্ষেঝাঁক, রুদ্ধদ্বার ছায়াকালো
সেখানে আমার জন্ম-কী আনন্দ স্বাধীন বাংলাদেশ।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
তোমার বাংলা আমার বাংলা
সোনার বাংলাদেশ---
সবুজ সোনালি ফিরোজা রুপালি
রূপের নেই তে শেষ।

আমি তো মরেছি যতবার যায় মরা,
নবীন যাত্রী তোমাকে শোনাই ছড়া।
এদেশ আমার এদেশ তোমার
সবিশেষ মুজিবের,
হয়তো অধিক মুক্তিপাগল
সহস্র শহীদের।
কবি সানাউল হক
খান
মুক্তির ছড়া  কবি সানাউল হক খান। শিশুশিল্পী রিশাদ এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি সৌজন্যে
Ajantrik Bachik Chorchaloy YouTube Channel । কবিতার কথা সৌজন্যে https://sabuj757.blogspot.com/
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবিতায় আর কি লিখব?
যখন বুকের রক্তে লিখেছি
একটি নাম
বাংলাদেশ।

গানে আর ভিন্ন কি সুরের ব্যঞ্জনা?
যখন হানাদারবধ সংগীতে
ঘৃণার প্রবল মন্ত্রে জাগ্রত
স্বদেশের তরুণ হাতে
নিত্য বেজেছে অবিরাম
মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড।

কবিতায় কি বলব?
যখন আসাদ
মনিরামপুরের প্রবল শ্যামল
হৃদয়ের তপ্ত রুধিরে করেছে রঞ্জিত
সারা বাংলায় আজ উড্ডীন
সেই রক্তাক্ত পতাকা।
আসাদের মৃত্যুতে আমি
অশ্রুহীন; অশোক; কেননা
নয়ন কেবল বজ্রবর্ষী; কেননা
আমার বৃদ্ধ পিতার শরীরে
এখন পশুদের প্রহারের
কবি মোহাম্মদ
মনিরুজ্জামান
শহীদ স্মরণে  কবি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। শিল্পী ফয়সাল আজিজ এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন, ভিডিওটি
সৌজন্যে
VoiceArt  YouTube Channel । কবিতার কথা সৌজন্যে https://abrittiokobita.wordpress.com/
চিহ্ন; কেননা আমার বৃদ্ধা মাতার
কণ্ঠে নেই আর্ত হাহাকার, নেই
অভিসম্পাত- কেবল
দুর্মর ঘৃণার আগুন; কোনো
সান্ত¦নাবাক্য নয়, নয় কোনো
বিমর্ষ বিলাপ; তাঁকে বলিনি
তোমার ছেলে আসলো ফিরে
হাজার ছেলে হয়ে
আর কেঁদো না মা; কেননা
মা তো কাঁদে না;
মার চোখে নেই অশ্রু, কেবল
অনলজ্বালা, দু’চোখে তার
শত্রু হননের আহবান।
আসাদের রক্তধারায় মহৎ
কবিতার, সব মহাকাব্যের,
আদি অনাদি আবেগ---
বাংলাদেশ জাগ্রত।

আমি কবিতায় নতুন আর
কি বলব? যখন মতিউর
করাচীর খাঁচা ছিঁড়ে ছুটে গেল
মহাশূন্যে টি-৩৩ বিমানের
দুর্দম পাখায় তার স্বপ্নের
স্বাধীন স্বদেশ মনে করে-
ফেলে তার মাহিন তুহিন মিলি
সর্বস্ব সম্পদ; পরম আশ্চর্য এক
কবিতার ইন্দ্রজাল-স্রষ্টা হলো---
তার অধিক কবিতা আর
কোন বঙ্গভাষী কবে লিখেছে কোথায়?

আমি কোন শহীদ স্মরণে লিখবো?
বায়ান্ন, বাষট্টি, ঊনসত্তর, একাত্তর;
বাংলার লক্ষ লক্ষ আসাদ মতিউর আজ
বুকের শোনিতে উর্বর করেছে এই
প্রগাঢ় শ্যামল।

শহীদের পুণ্য রক্তে সাত কোটি
বাঙালির প্রাণের আবেগ, আজ
পুষ্পিত সৌরভ। বাংলার নগর, বন্দর
গঞ্জ, বাষট্টি হাজার গ্রাম
ধ্বংসস্তুপের থেকে সাত কোটি ফুল
হয়ে ফোটে। প্রাণময় মহৎ কবিতা
আর কোথাও দেখি না এর চেয়ে।
শব্দভুক পদ্য ব্যবসায়ী
ভীরু বঙ্গজ পুঙ্গব সব
এই মহাকাব্যের কাননে খোঁজে
নতুন বিস্ময়, (কলমের সাথে আজ
কবির দুর্জয় হাতে নির্ভুল
স্টেনগান কথা বলে।)
কবিতায় আর নতুন কি লিখব
যখন বুকের রক্তে
লিখেছি একটি নাম
বাংলাদেশ।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কারবালা হয়ে যায় সমস্ত বাংলাদেশ হায়।
কারবালা হয়ে যায়।
পত্রহীন সব গাছ, তৃণহীন প্রান্তর, হা হা করে
জল নেই জল নেই কান্নাকাটা শিশুদের গ্রীবা
চতুর্দিকে ঝলসায় কৃতান্ত সীমার
ভীষণ খঞ্জর তার বিদ্ধ করে এই বাংলার
আমাকে অন্যকে, আর জননীকে, হায়!
ভীষণ যন্ত্রণা দেয়, দুঃখ দেয় শুধু।

আমি কি পারিনা বল, হানিফার মত দৃপ্ত হয়ে
তীব্র অশ্বে ঝনঝনা ভেঙ্গে ফেলি লোভের প্রাচীর
বাংলার রুখু মাটি সিক্ত করি দুধের নহরে
সিক্ত করি শুষ্ক কণ্ঠ হিংস্রতার বুকের রুধিরে।
কবি হুমায়ুন কবীর
বাংলার কারবালা  কবি হুমায়ুন কবীর (২৫.১২.১৯৪৮ - ৬.৬.১৯৭২)।
কবিতার কথা সৌজন্যে
কবিতা Facebook
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
আমার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যখন থেমে নেই
ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছি প্রকৃতির নিয়মে
কখন যেন মুখের প্রথম বুলিটা বেরিয়েছিল
আধো বলে আধো কান্না জড়ানো কণ্ঠে-মা
আমি তখন হয়তো শয়নে।
.
আরও সবল হতে হতে আমি যখন পূর্ণ এক কথারু
হঠাৎ মুখের ভাষা স্তব্ধ করতে এলো হিংস্র থাবারু
মোড়লীপনার ভাব গম্ভীর নিয়ে করলো এক আদেশ
তাদের ভাষা উর্দুতে কথা বলতে হবে।
.
রক্তের কণাগুলো টগবগ করে উঠলো
চোখের চাহনীতে বিষাক্ত আগুন জ্বললো
হুংকার দিয়ে উঠলো ভিতরের জাগ্রত বিবেকটা
মায়ের ভাষা বাংলাতে কথা বলতে পারবোনা এটা অসম্ভব।
.
যারা ছিল তারা দেখলো শুনলো ভিতরে জাগলো প্রতিবাদ
সেই প্রতিবাদের ঝড়ে লাগলো আগুন
সে আগুন নিভাতে হায়নাদের আদেশে চললো নল
পানির নলের পরিবর্তে বন্দুকের নলে প্রতিবাদের ঝাঁকে গুলি।
.
রক্তস্নাত হয়ে লুটালো রাজপথে প্রতিবাদীরা
খুঁজে পেলো আমাদের
সালাম বরকত রফিক শফিক জব্বার
কত নাম না জানা প্রাণ।
কবি হুমায়ুন কবীর
আমার ভাষা  কবি হুমায়ুন কবীর (২৫.১২.১৯৪৮ - ৬.৬.১৯৭২)।
কবিতার কথা সৌজন্যে
https://www.amadersujanagar.com/
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি আবিদ আজাদ
এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি  
কবি আবিদ আজাদ। শিল্পী ফয়সাল আজিজ এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন,
ভিডিওটি সৌজন্যে
VoiceArt YouTube Channel । কবিতার কথা সৌজন্যে  
https://abrittiokobita.wordpress.com/
অন্ধকারের মতো কালো হতে হতে ভয়াল গর্জনে ফেটে পড়বে
সমুদ্রের মতো।
এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি
তার জন্যে হঠাৎ বোমাবাজির পর
ভরদুপুরের ভীষণ ভৌতিক গলির মতো শান্ত হয়ে যাবে
আমাদের প্রিয়তম এই রাজধানী
বাজতে থাকবে চারিদিকে বুটের আওয়াজ
শুধু বুটের
আওয়াজ
এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি
তার জন্যে নিমিষের মধ্যে সারা শহর জুড়ে শুরু হয়ে যাবে
খানাতল্লাশি
তার জন্যে আর্মি-ইন্টেলিজেন্স রুম থেকে বিমানবন্দরে ছড়িয়ে
দেওয়া হবে গোপন নির্দেশ
তার জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে বিমানের সমস্ত নির্দিষ্ট ফ্লাইট
তার জন্যে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সারাদেশে জারি হয়ে যাবে
জরুরি অবস্থা –
এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি
তার জন্যে এক্ষুনি দিকে দিকে এসে যাবে চেকপোষ্ট
এক্ষুনি শাহবাগের মোড়ে
টিকাটুলির তেমাথায়
ফার্মগেটের সামনে থামিয়ে দেওয়া হবে
সমস্ত চলন্ত বাস, কোচ আর কোস্টার
লাইন করে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে সমস্ত রিকশা ও ঠেলাগাড়ি
আর মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে খানাতল্লাশি
চেক করা হবে সারি সারি যাত্রীদের শরীর
চেক করা হবে মহিলার চামড়ার ব্যাগ
.
চেক করা হবে কিশোরের খেলনার বল
চেক করা হবে গাড়ির পাদানির নিচ থেকে কার্পেটের অতল অবধি
চেক করা হবে সাইকেলচারী যুবকের প্লাস্টিকের থলি
চেক করা হবে বেতার ভবনের গেটে ঘোষিকারকণ্ঠ
তরুণ কবির বুকপকেট,
বলপেনের দাগভরা আঙুলের ভাঁজ
কেরানীর খাতা
অধ্যাপকের উড়োচুল
কৃষকের কোঁচড়
শ্রমিকের চোখ
পোড়া গাঁর স্কুল
গঞ্জের ক্যানভাসারের গলা
হকারের বগল
গরু-পাইকারের খতি
বেশ্যাপাড়ার দাগী-খুনির লুঙ্গির গাঁট
সেন্ট্রাল জেলের সব সেল
রেশনকার্ডের পরতে পরতে
এমনকি মুদ্দাফরাশের জবানবন্দির ভেতরেও চলবে তল্লাশি
এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি
তার গতি রোধ করতে গিয়ে সীমান্ত পুলিশের হাতে
ধরা পড়বে কয়েক লক্ষ টাকার গুঁইসাপের চামড়া
তার গতি রোধ করতে গিয়ে সীমান্তরক্ষীর হাতে
আটকা পড়বে তিন জন চোরাচালানিসহ কয়েক লক্ষ টাকার
বিদেশী শাড়ি
এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি
তার জন্যে মুহূর্তের মধ্যে ছদ্মবেশে টহল দিতে শুরু করবে
পুলিশ ভ্যান
তার জন্যে তছনছ হয়ে যাবে ইউনিভার্সিটির হলগুলি
তার জন্যে প্রচন্ড সন্ধ্যাবেলা মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের
টিভি রুমের ভিতর থেকে সন্দেহবশত ধরে নিয়ে যাবে
দুজন ছাত্রকে
তার জন্যে বস্তিতে বস্তিতে আগুনের মতো
লেলিয়ে দেওয়া হবে গুন্ডাপান্ডা –
এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি
সেই কবিতাটি যখন পড়বে কোনো এক পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা
আমি জানি তার ব্যর্থ কাঁধের পাশে দাঁড়িয়ে তখন অসমাপ্ত
মুক্তিযুদ্ধ ফেলবে দীর্ঘশ্বাস
সেই কবিতাটি যখন পড়বেন চশমার-কাচ-ফাটা গ্রামের কোনো
এক প্রৌঢ় স্কুল মাস্টার
আমি জানি তার শূন্য চোখের সামনে তখন ভেসে উঠবে
এক শীতের ভোরে শিমুলগাছের নিচে উদ্ধার-করা হঠাৎ
নিখোঁজ হয়ে-যাওয়া তার ছেলের লাশ –
সেই কবিতাটি যখন পড়বে কোনো এক কলেজ ছাত্রী
আমি জানি তখন তার মনে পড়বে প্রেমিকের উষ্ণ চুম্বনের ভিতরে
আবিস্কার করা
প্রথম পৃথিবী প্রদক্ষিণের আলোড়ন নয়
তার মনে পড়বে পলায়নপর এক যুবকের প্রতিশ্রুতিভঙ্গের
কথা –
সেই কবিতাটি যখন পড়বেন কোনো চল্লিশোত্তীর্ণ মহিলা
আমি জানি তার বিগত দিনের পশমকাঁটায় তখন জেগে উঠবে আকণ্ঠ
পরিতাপ
সেই কবিতাটি যখন পড়বেন কোনো এক বজ্জাত অধ্যাপক
আমি জানি তখন তার মনে পড়বে তার হওয়ার কথা ছিল পুলিশ
কিন্তু তিনি হয়ে গেছেন অধ্যাপক –
সেই কবিতাটি যখন পড়বেন কোনো এক পত্রিকার সম্পাদক
আমি জানি তখন ঘুমের মধ্যে তার মাথার ভিতর থেকে বেরিয়ে
আসবে একটি ছায়ামূর্তি
আর তার মনে পড়বে – তার হওয়ার কথা ছিল সওদাগরি
অফিসের অ্যাকাউন্টেন্ট
কিন্তু তিনি হয়ে গেছেন সম্পাদক
এখন যে কবিতাটি লিখব আমি
তার জন্যে দৈনিক পত্রিকাগুলোর নাইট শিফটের টেবিলে টেবিলে
গুঞ্জরিত হয়ে ফিরবে চাপা গুঞ্জন
তার জন্যে চাকরি যাবে তথ্য সচিবের
তার জন্যে আপন পদে ইস্তফা দিতে হবে তথ্য মন্ত্রীকে
এখন যে কবিতাটি লিখব আমি
তার জন্যে অপেক্ষা করছে
দুটো লোহার ঠান্ডা হাতকড়া
তার জন্যে অপেক্ষা করছে
একটি ঘাতক ছুরি
তার জন্যে অপেক্ষা করছে
ভাড়া করা গুন্ডাদের একটি কালো গাড়ি
তার জন্যে অপেক্ষা করছে
উচ্চাভিলাষী কয়েক জন জেনারেলের ষড়যন্ত্রের
একটি নির্মম নির্জন মধ্যরাত্রি –
এখন যে কবিতাটি লিখব আমি
তার জন্যে আমার সন্তানের জন্মের যন্ত্রণা মুখে নিয়ে
আমার প্রিয়তমা নারীর মতো
অপেক্ষা করছে আমার বাংলাদেশ॥

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি
সেই কবিতাটি এক্ষুনি বাজেয়াপ্ত করা হবে
এক্ষুনি বেআইনি বলে ঘোষিত হবে সেই কবিতার
প্রতিটি শব্দ
প্রতিটি দাঁড়ি কমা
প্রতিটি সেমিকোলন
এক্ষুনি নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হবে সেই কবিতার প্রতিটি চরণ।
এখন যে কবিতাটি লিখবো আমি
তার জন্যে মুহূর্তের মধ্যে সারাদেশ জুড়ে নেমে আসবে আরো
একটি উত্থানের প্রাক-মুহূর্তের স্তব্ধতা
নেমে আসবে রাইফেলের নলের মতো মৃত্যু –
আর সেই মৃত্যুর স্তব্ধতায় বাংলাদেশেরআবহমান সবুজ রং
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কবি অসীম সাহা
পৃথিবীর সবচেয়ে মর্মঘাতী রক্তপাত  
কবি অসীম সাহা। শিল্পী রাকিবুল্লাহ সরকার এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন,
ভিডিওটি সৌজন্যে
Bluz Arena YouTube Channel । কবিতার কথা
সৌজন্যে  
https://banglashikha.com/
আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে আমার মায়ের মুখ
একটি নিঃসঙ্গ একাকী প্রদীপের নিচে বেদনায় নুয়ে থাকা
আমার জন্মদাত্রীর এলায়িত দেহের ভঙ্গিমা
চৌকাঠে এলোমেলো বাতাসের আঘাতে উদাসীন
আমার প্রিয়তমা, আমার সন্তান, আমার একমাত্র উত্তরাধিকার।
এইসব ভাবতে ভাবতে আমার রক্তের ভেতরে জেগে উঠেছে
এক পরাজিত সৈনিকের আহত, ক্ষতবিক্ষত, ক্লান্ত-দেহের
অস্বাভাবিক স্থবিরতা।

অথচ আমাকে থামলে চলবে না।
আমার সামনে কোটি কোটি মানুষের গগনবিদারী চিৎকার
আমার সামনে বিস্তৃত দিগন্তের নিচে অনাবিল সবুজ ধানের ক্ষেত
আমার সামনে পাকা ধানের মতো জীবনের
অবিরত সম্ভাবনার সোনালী ভাঁড়ার

আমার চোখে জল নেমে আসে।
আমি অনেকদিন অসম্ভব বৃষ্টির বিপুল জ্যোৎস্নার মধ্যে
শিশুর মতো খেলতে পারি নি
দুরন্ত বলের মতো সহস্র স্বপ্নের মধ্যে আমার নিবিড় প্রেম
অশ্ব হয়ে ছুটতে পারে নি কোনোদিকে
শুধু রক্তলাল এ জীবন বহতা নদীর মতো
প্রয়োজনে ছুটে গেছে দৃশ্য থেকে অদৃশ্যের দিকে।
বুকের ভিতরে জেগে উঠেছে শতাব্দীর নীল আর্তনাদ
জেগে উঠেছে শোষণের সহস্র কাহিনী
.
কাল রাতে ওরা আমার দেহ থেকে সিরিঞ্জ সিরিঞ্জ রক্ত তুলে নিয়েছে
আমাকে ওরা এক নিঃসঙ্গ অন্ধকার রাতের থমথমে নিস্তব্ধতার মধ্যে
বেঁধে রেখে বলেছে, ‘শাট আপ। কথা বললেই গুলি করব!’

তখনই সমস্ত পৃথিবী কাঁপিয়ে, সমস্ত চরাচর, বনভূমি কাঁপিয়ে
একটা ভয়ানক হাহাকার, মৃতদের কলরোল উড়ে এসে
আমার বুকের কাছে আছড়ে পড়েছে ;
আমি কেঁপে উঠেছি।
শৃঙ্খলিত জীবনের মর্মঘাতী অতীত যাতনা।
সাথে সাথে আমার শিথিল হাত
জড়াতে জড়াতে মুষ্টিবদ্ধ ইস্পাতে পরিণত হয়েছে
আমার কম্পিত করতলে ঘেমে উঠেছে শতাব্দী-লাঞ্ছিত মানুষের
এক অসম্ভব উজ্জ্বল রাসায়নিক বাল্ব।
আমি এক্ষুণি আমার বাল্ব ছুঁড়ে দেব
আজ কোন পরিত্রাণ নেই
কাল রাতে তোমরা আমার দেহ থেকে সিরিঞ্জ সিরিঞ্জ রক্ত তুলে নিয়েছ
আজ তার প্রতিশোধ
এক ফোঁটা রক্তের বিনিময়ে তোমাদের এক-একটা জীবনকে
আমি আমার স্বপ্নের আঘাতে ভেঙে টুকরো করে দেব।
আমার বুকের ভিতরে এক নিঃশংসয় নগরীর প্রজ্বলিত আভা
আমার বুকের ভিতরে একটি সমান পৃথিবীর সবুজ মানচিত্র
আমি এখন ইচ্ছে করলেই সমস্ত পৃথিবীকে
আমার হাতের মুঠোর মধ্যে নিয়ে আসতে পারি,
শুধু প্রয়োজন প্রতিটি ঐতিহাসিক রক্তবিন্দুর কাছ থেকে
মানুষের সভ্যতার ইতিহাস জেনে নেওয়া
আমি সেই রক্তবিন্দু থেকে সম্মুখের ইতিহাস অবধি
নিজের রক্তবিন্দুকে প্রবাহিত করে দিতে চাই
আমি একটি রক্তপাতহীন পৃথিবীর জন্যে
এই মুহূর্তে পৃথিবীর
মর্মঘাতী রক্তপাত করে যেতে চাই।

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
রক্ত, কত রক্ত নিলাম, রক্ত
তবুও কেউ হলোনা ভয়ের ভক্ত!
দিল দরিয়া লুটের টাকা ছড়িয়ে দিলাম কত
শক্ত ঘাড় মানুষগুলো কেউ হলোনা নত।---কি আশ্চর্য!

হাত ঝুম ঝুম পা ঝুম ঝুম নাদির শাহের চেলা
উল্টো মটাশ ভুট্টোপটাশ ইয়া-ইয়ার খেলা।
বন্দুক দিলাম, কামান দিলাম, বোমা দিলাম দানে
সব ভেসে যায় ভরাডুবি বাঙলা দেশের বানে ।---কি আশ্চর্য!

হাট ভেসেছে মাঠ ভেসেছে কোথায় রাখি কি
দেশশুদ্ধ দেশদ্রোহী আ মরে যাই ছি।
করাচী আর পিকিং কাঁদে গণতন্ত্রের শোকে
সামনে-পিছে ওয়াশিংটন রটায় মন্দ লোকে।---কি আশ্চর্য!

ভো বন্‌ বন্‌ ওঁয়াশিংটন বিনি সুতোর টান
বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর বঙ্গে এল বান
ইন্তি বিন্তি চ্যাক চুঁই
যাকে পাই তাকে ছুঁই
আসমানেতে কালোমেঘ চমকে উঠে পিলে
বাঙলাদেশের ঢাকিরা ঢাক বাজায় খালে বিলে।---কি আশ্চর্য!
কবি তুষার
চট্টোপাধ্যায়
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
আশ্চর্য হবার ছড়া  কবি তুষার চট্টোপাধ্যায় (২৬.৫.১৯৩৫ -
১১.৯.১৯৭৭)। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তরুণ সান্যাল সম্পাদিত, পরিচয়
পত্রিকার ভাদ্র আশ্বিন ১৩৭৮ (অগাস্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৭১) সংখ্যায় প্রকাশিত।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
খাঁটি সোনা মাটি, আমার স্বদেশ
সোনার বঙ্গভুমি
জয়টিকা ভালে স্বীয় ডাকনামে
স্বোচ্চার হ'লে তুমি
পাড়া-প্রান্তরে, গঞ্জ বাজারে
সূর্য সেনানী দাঁড়ানো কাতারে
ধর্মের কল বাতাসে নড়ছে
অপকীর্তির চূড়াটি খসছে
আামাব বাংলা রূপসী বাংলাদেশ
সোনালী সবুজে হলো তার উপোষ
অনাকারার যত সন্তান
সিধ্বি লগ্নে আঁখি-উত্থান
ঘরে ঘরে খুশি কন্যার মত
স্বদেশীরা আজ শির-উন্নত
যে-মাটি পেলব, মোনা-উজ্জ্বল
স্বদেশ বঙ্গভুমি,
সময় এসেছে বিজয় লগ্নে
ওষ্ঠ তোমার চুমি।
কবি সানাউল হক
ছড়া ঘরে ঘরে  কবি সানাউল হক। দীপেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় ও তরুণ সান্যাল সম্পাদিত, পরিচয় পত্রিকার
পৌষ-মাঘ ১৩৭৮ (জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী ১৯৭২) সংখ্যায়
প্রকাশিত।
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
এখন বালাই নেই ক্ষুৎ পিপাসার। গলাবন্ধ
কোটের দরকার ফুরিয়েছে এই শীতে। আত্মরক্ষা অর্থহীন,
অল্ত্রও লাগে না তাই। দেখুন সবাই শাদা চোখে
কিংবা ক্যামেরার যান্ত্রিক ওপার থেকে,
শহরের এক কোণে, শনাক্তের পরপারে উপাধানহীন
কেমন নিস্পৃহ শুয়ে আছি, কী প্রকার নিশ্চেতন,
রায়ের বাজারে।
এই যে করোটি দেখছেন, একদা এটাই ছিলো
স্বীকৃত আমার দামী মাথা আর সেই মাথার ভেতর
নানাবিধ চিন্তা পুঞ্জ পুঞ্জ
মেঘের মতন সূর্যোদয় কি সূর্যাস্তে
মোহন রঙিন
এবং গভীর বিবেচনা---
সেখানে ফ্রয়েড কাল মার্কস, রিল্কে, ডস্টয়ভস্কির
শান্তিপূর্ণ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে ছিলো না বাধা কোনো।
কবি শামসুর রহমান
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
তার উক্তি  কবি শামসুর রাহমান। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তরুণ সান্যাল সম্পাদিত, পরিচয় পত্রিকার পৌষ-মাঘ ১৩৭৮
(জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী ১৯৭২) সংখ্যায় প্রকাশিত। এই সংখ্যায় কবির নাম "সামসুর রহমান" দেওয়া ছিলো।
.
এই যে যমজ লাঠি, সরু, শাদা, এরাই আমার
দু'টি বাহু, কোনোদিন কী আবেগে ধরতো জড়িয়ে
দয়িতাকে। আর এই শূন্য জায়গাটায়
স্পন্দিত হৃৎপিণ্ড ছিলো, যা ওরা নিয়েছে উপড়ে পাশব আক্রোশে
আর এই মাত্র যেটা লোভাতুর কুকুর শেয়াল
পালালো সাবাড় করে, একেই তো জানতুম আমার নিজস্ব
কণ্ঠ ব'লে, যে-কণ্ঠে ধ্বনিত হতো বার বার অসত্য অন্যায়
ইত্যাদির বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো প্রতিবাদ, যে-কণ্ঠে ধ্বনিত হতো
কল্যাণের, প্রগতির কী সঞ্জীব জিন্দাবাদ আর স্বাধীনতা, স্বাধীনাতা।
এ জন্যেই জীবনের ফুটফুটে দ্বিপ্রহরে হলাম কংকাল।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
এই পাতার
পশ্চাৎপটের ছবিটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের
কিছু বিখ্যাত ছবির
কৃষ্ণকায় করা কোলাজ!
রয়েছে বাংলাদেশের বীর
নারী ও পুরুষ স্বাধীনতা
সৈনিকদের ছবির পাশে
ভারতীয় সেনাবাহিনীর
ছবিও, যাঁদের নিঃস্বার্থ
আত্মবলিদানের কথা
কখনোই ভুলবার নয়।
এই পাতার গান কবিতা ও
তথ্য,
কবি-গণসঙ্গীতকার
রাজেশ দত্তর গবেষণালব্ধ
সংগ্রহ।
HOME
বাংলা প্রথম পাতা। HOME BANGLA
কী ক'রে লুকাবে বলো এই সব লাশ?
এই সব বেযনেট-চেরা
বিষম নাপাম-পোড়া লাশ?
এ-তো নয় বালকের অস্থির হাতের
অত্যন্ত প্রমাদময় বানানের লিপি,
রবারে তুমুল ঘ'ষে তুললেই নিশ্চিত
মুছে যাবে। অথবা উজাড় ঠোঙ্গা নয় মিষ্টান্নের
কিংবা খুব ক্ষ’য়ে-যাওয়া সাবানের টুকরো
অথবা বাতিল স্পঞ্জ দূর
ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিলেই বেবাক
চুকে বুকে যাকে।
কী ক'রে লুকাবে বলো এত বেশি লাশ?

জানতে কি তোমরা
এত লাশ আপাদমস্তক মুড়ে ফেলবার জন্যে
ক'হাজার গজ
লাগবে মার্কিন,
পোড়াতে ক'মণ কাঠ? ভেবেছিলে এই সব লাশ
গাদাগাদি মাটির অত্যন্ত নিচে পুঁতে রাখলেই
অথবা নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দিলেই
তোমাদের হত্যাপরায়ণ
দিনরাত্রি মুছে যাবে বিশ্বস্মৃতি থেকে।
যখন রাস্তায় জঙ্গী জীপ ছুটে যায়,
আগলে দাঁড়ায় পথ মৃতদের ভিড় সবখানে---
কবি শামসুর রহমান
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .   
কী ক’রে লুকাবে?  কবি শামসুর রাহমান। রচনা ২রা অক্টোবর ১৯৭১। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
ও তরুণ সান্যাল সম্পাদিত, পরিচয় পত্রিকার ফাল্গুন ১৩৭৮ (মার্চ ১৯৭২) সংখ্যায় প্রকাশিত।
.
নিরস্ত্র নিরীহ যারা হয়েছে শিকার
মেশিনগানের, মর্টারের। অশ্বারোহী
যেন ওরা, হাওয়ায় সওয়ার,
আবৃত সুনীল বর্মে, পেতে চায় করোটির ট্রফি।

আদালতে সরকারী দপ্তরে
বেরোয় দেয়াল ফুঁড়ে অবিরল গুলিবিদ্ধ লাশ,
ঝুলে থাকে গলায় গলায়।
দোকানি সম্মুখে মেলে দিলে
কাপড়ের থান,
আলোকিত মেঝেতে গড়িয়ে পড়ে লাশ,
ষেন বা লুকিয়ে ছিল কাপড়ের ভাঁজে।
অথবা বিদেশী প্রতিনিধিদের ভোজসভায় হঠাৎ
প্লেটে ডিশে চিকেন স্যুপের পেয়ালায়
ন্যাপকিনে নিহত পুরুষ নারী শিশু
উদ্ভিদের মতো লেগে খাকে সারাক্ষণ,
রক্তাক্ত নাছোড়।

কী ক'রে লুকাবে বলো এত বেশি লাশ
শোকার্ত মাটির নিচে, গহন নদীতে?
২।১০।৭১
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংকলক, কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর কী সম্পর্ক?
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিলনসাগর.কম এর পরিচালক মিলন সেনগুপ্তর কী সম্পর্ক?
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সংকলক, কবি গণসঙ্গীতকার রাজেশ দত্তর কী সম্পর্ক?
মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে মিলনসাগর.কম এর পরিচালক মিলন সেনগুপ্তর কী সম্পর্ক?