এই দুনিয়ার ঈশ্বর, জিনি সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ শিল্পী, সৃষ্টির নেশায় মেতে ওঠার সময় প্রাথমিক স্তরে হাত পাকিয়েছিলেন ডাইনোসরের
মত বিকট জীব জন্তু বানিয়ে বানিয়ে | সৃষ্টি কলায় যখন তিনি স্নাতক হলেন তখন তাঁর হাত দিয়ে তৈরী হচ্ছে নারী, তাঁর সব চেয়ে
সুন্দর সৃষ্টি | বোধহয় তাঁর মনে হয়েছিল যে পুরুষ, যে স্বভাবতঃ নাবিক, চিরদিন এই পৃথিবী-রূপী দ্বীপে নির্বাসিত থাকতে চাইবে না |
তাই তিনি তৈরী করলেন নারী, পুরুষকে এই পৃথিবীতে নোঙ্গর করে রাখার জন্য |
এখানে কোনো কাজই দেখে নকল করা নয় |
চক ভাস্কর্য সাধারণ বোর্ডের উপর লেখার চক খোদাই করে তৈরী করা হয়, তাই মাত্র এক থেকে আড়াই ইঞ্চি লম্বা হয় | আপনি এখানে চক ভাস্কর্যের অতি বর্ধিত ছবি দেখছেন | একটি মূর্তি তৈরী করতে সাত থেকে আট ঘন্টা সময় লাগে | একটি ব্লেড এবং একটি সূঁচই হল এই কাজের মূল উপকরণ |
এর মধ্যে অনেক মূর্তিই ব্যক্তিগত সংগ্রহে রক্ষিত রয়েছে |
শিল্পী আর চক ভাস্কর্য বিক্রী না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এবং যদি সম্ভব হয় তবে আগামী দিনে কলকাতা শহরে একটি স্থায়ী প্রদর্শনী করার কথা ভাবছেন |
চক ভঙ্গুর মাধ্যম বলে খোদাই পর্ব শেষ করার পর মুর্তিটিকে শক্ত করার প্রক্রিয়া সারতে হয় | শিল্পীর কাছে প্রায় ৩৫ - ৪০ বছরের পুরানো চক ভাস্কর্য খুব ভাল অবস্থায় রয়েছে |
শিল্পীর কাজ দেখে যদি দর্শক বন্ধুদের মনে একটুও আনন্দ আসে তাহলেই এর সার্থকতা | শিল্পী তাঁর চার পাশের জগৎ থেকেই শিল্পের সৃষ্টি করেন | তাই তাঁর কাজ তাঁর জীবনের নানা অভিজ্ঞতারই প্রতিফলন |
|
|
|