*
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা
গুপ্ত। তিনি এই কবিতা গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয়
সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়। আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ মিলনসাগরে এই কবিতাগুলি পুনঃপ্রকাশিত
করার অনুমতি দেবার জন্য।
প্রণাম
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা।
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা গুপ্ত। তিনি এই কবিতা
গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয় সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়।

এই কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৬১ বঙ্গাব্দের বার্ষিক শিশুসাথী পত্রিকায়। কবিতাটি সুমন কুমার চট্টোপাধ্যায়ের হস্তাক্ষর
সংগ্রহ থেকে নেওয়া হয়েছে।

সোনা মুকুট ভাসাইয়া দাও
.                সন্ধ্যা মেঘের তরীতে।
চলে যাও রবি বেশভূষা খুলে
.        মরণ মহেশ্বরের দেউলে
.                চরম প্রণাম করিতে॥

.                  ****************               
.                                                                                                    
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
মিনতি
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা।
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা গুপ্ত। তিনি এই কবিতা
গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয় সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়।

এই কবিতাটি দেবসাহিত্য কুটির থেকে ১৩৬৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত শারদীয়া” সংকলনে মুদ্রিত হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরে
নির্দেশিত রচনাকাল “১০ শ্রাবণ ১৩৪০”।

হৃদয় লতায় আছে
.                নীরব মিনতি,
ফুটুক পূজার ফুলে
.                করুণ বিনতি॥

.                  ****************               
.                                                                                                
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
কথার ঝুলি
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা।
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা গুপ্ত। তিনি এই কবিতা
গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয় সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়।

এই কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের বার্ষিক শিশুসাথীতে। এই কবিতাটির সঙ্গে বর্তমান সংকলনধৃত আরো দুটি
কবিতার সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়, যদিও সে দুটি পাঠান্তর নয়। বোধ হয় রবীন্দ্রনাথ এই ভাবনাটি মনেমনে রেখেছিলেন, অনেক
সময়েই।

থা গোটাকত চেয়েছিলে তুমি
.                        তোমার কথার ঝুলিতে
জড়ো করে নিয়ে পাবে কোন্ ফল
.                        তুচ্ছ আখরগুলিতে।
ভুলিবার মতো জিনিষগুলোরে
.                        তুলিবার কেন চেষ্টা,
ধৃলির প্রাপ্য ধূলিরে না দিলে
.                        জঞ্জাল জমে শেষটা।

.                  ****************               
.                                                                                                  
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
লিখন
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা।
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা গুপ্ত। তিনি এই কবিতা
গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয় সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়।

এই চারটি কবিতা একসঙ্গে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৬ বঙ্গাব্দে, দেবসাহিত্য কুটিরের “চিত্রদীপ”-এ।


নামাবলীর খাতা তোমার বচন জড়ো করে,
স্বাক্ষরিতের কোন্ পরিচয় থাকে তাহার ’পরে।
অলস হাওয়ায় অশোক ফুলের পাপড়ি ধূলায় ঝরে
তাই কুড়িয়ে বেড়াও কেন সাজি ভরার তরে।


মেঘ আসে,
.        নিয়ে তার জলভার
যায় যবে
.        মুছে যায় স্মৃতি তার।


ছেঁড়া কথা জড়ো করে
.                কেন ভরো ঝুলিতে,
ধূলির যা ধন তাহা
.                যেতে দাও ধূলিতে।


কাগজের নৌকোয়
.                অক্ষর ভাসিয়ে
কোনোখানে কূল পাবে
.                মিথ্যাই আশা এ।

.                  ****************               
.                                                                                                   
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
আশীর্ব্বাদ
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা।
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা গুপ্ত। তিনি এই কবিতা
গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয় সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়।

এই কবিতাটি সংগৃহিত হয়েছে একটি ছিন্ন পত্রিকা “কলরব” থেকে। রচনাসময় বা প্রকাশকাল কিছুই জানার উপায় নেই---তবে
জানা যাচ্ছে যে “কবিতাটি শ্রীমতী দুর্গা দেবীর বিবাহদিবস উপলক্ষ্যে রচিত হয়েছিল। দুর্গাদেবী সাহিত্যসেবক ও ডাক্তার শ্রীযুক্ত
পশুপতি ভট্টাচার্যের সহধর্মিনী”। “কলরব” সম্ভবত হেমেন্দ্রকুমার রায় সম্পাদিত এবং উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির থেকে প্রকাশিত।

তাঁহার অসীম মঙ্গললোক হ’তে
.                তোমাদের এই হৃদয়-বনচ্ছায়ে
অন্তরেরি পরশ-রসের স্রোতে
.                দিয়েছে আজ বসন্ত জাগায়ে।
তাই সুধাময় মিলন-কুসুমখানি
.                উঠল ফুটে কখন নাহি জানি
এই কুসুমের পূজার অর্ঘ্য আনি
.                প্রণাম কর দুইজন তাঁর পায়ে।


.                                সকল বাধা যাক্ তোমাদের ঘুচে
.                                                নামুক তাঁহার আশীর্ব্বাদের ধারা
.                                মলিন ধূলার চিহ্ন সে দিক্ মুছে
.                                                শান্তিপবন বহুক্ বন্ধুধারা।

.                                 নিত্যনবীন প্রেমের মাধুরীতে
.                                                কল্যাণফল ফলুক দোঁহার চিতে
.                                সুখ তোমাদের নিত্য বহুক চিতে
.                                                নিখিল মনের আনন্দ বাড়ায়ে।

.                               ****************               
.                                                                                                    
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
শিরোনামহীন কবিতা ১
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা।
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা গুপ্ত। তিনি এই কবিতা
গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয় সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়।

এই কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৯ বঙ্গাব্দে, দেবসাহিত্য কুটিরের “মধুমেলা”য়।
 

নাকের উপর এই তো মাছি
বলে আমি দিব্যি আছি
থাদ্যে-অখাদ্যে যে ওদের
.                নেইকো কোনো বাছাবাছি।

তাই অভদ্র যখন আসে
.                গায়ের বড় কাছাকাছি
চাপড় মেরে জানাই তখন
.                সরে গেলেই আমি বাঁচি।

ভেবেছিলাম দৈনিকেতে
.                পত্র লিখে বিধান যাচি
টিকটিকিটা করল বারণ
.                ঠিক সময়ে পড়ল হাঁচি।

.             ****************               
.                                                                                                    
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
শিরোনামহীন কবিতা ২
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা।
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা গুপ্ত। তিনি এই কবিতা
গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয় সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়।

এই কবিতাটি দেবসাহিত্য কুটির থেকে প্রকাশিত হয় “মায়ামুকুর”-এ। প্রকাশ-কাল জানা যাচ্ছে না। এটুকু জানা যাচ্ছে যে ১৯৪১
সালে ডি.পি.আই. সংকলনটিকে অনুমোদন করেছেন।

কাশ হতে রবির পুণ্য আলো
.                উর্ধ্ব হতে ঝ’রে
দেবে তোমায় পরিপূর্ণ
.                প্রস্ফুটিত ক’রে।
ধরার রবি সে দীর্ঘকাল
.                রইবে না এই ভবে,
তবু তাহার আশীর্ব্বাদ তো রবে।

.             ****************               
.                                                                                                    
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
শিরোনামহীন কবিতা ৩
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা।
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা গুপ্ত। তিনি এই কবিতা
গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয় সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়।

এই কবিতাটি দেবসাহিত্য কুটির থেকে প্রকাশিত হয় “রূপরেখা” সংকলনে। প্রকাশ-কাল জানা যাচ্ছে না।

টুকরো দানের ঝুলিখানি
.                কেন ভরাও বহে
আখরগুলো আবর্জনা
.                জমাও কিসের মোহে।

নানা হাতের মুষ্টিভিক্ষা,
.                জীর্ণ কথার গুঁড়ো,
অনেকখানি তুষের বোঝা
.                কিছু না ক্ষুদ কুঁড়ো।

.             ****************               
.                                                                                                    
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
শিরোনামহীন কবিতা ৪
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থবহির্ভূত কবিতা।
এই কবিতাগুলি সংগ্রহ ও উত্সসন্ধান করে বিশ্বভারতীর গ্রন্থবিভাগকে নিঃশর্ত সমর্পন করেছেন সুভদ্রা গুপ্ত। তিনি এই কবিতা
গুলি পুনঃপ্রকাশিত করেন, তাঁরই সম্পাদিত পত্রিকা “কথাজাতক” এর দ্বিতীয় সংকলন গ্রীষ্ম ১৪০৯ সংখ্যায়।

এই কবিতাটি দেবসাহিত্য কুটির থেকে প্রকাশিত হয় “দেবদেউল” সংকলনে ১৩৬৬ বঙ্গাব্দে।

মাধবীর কানে কানে
.                বাতাস কহিল মৃদু স্বরে
নিজেরে জানো না তুমি
.                তোমারে আমরা জানি সবে।

.             ****************               
.                                                                                                    
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*