দুষ্ট কবির ধৃষ্ট কবিতা
*
ভাগ করিও না বাংলা কে আর          

ভাগ করিও না বাংলা কে আর, ভাগ কোরো না হে রাজ |
“ভাগের মা যে গঙ্গা পায় না”, তাহা কি ভুলিলে আজ ?

এই তো সেদিন মায়ের বক্ষ, চিরিয়া হইলো ভাগ |
সেই থেকে দেখ বাঙালীর মাথে, কাঙালীর পোড়া দাগ |

লহ নাই বুকে তুলিয়া সবারে, কর নাই আবাহন |
ইতর ভাবিয়া পরিহাসে দূরে, ঠেলিয়াছো ভাই বোন |

অনুজ-প্রতীম তাহারা সব আজ, মাঁগে নিজ নিজ ধাম |
তোমরা ব্যস্ত সবেতে দেখিতে, কে বা বাম কে বা ডান |

উত্তরে বীর গোর্খার নীড়, তিতি বিরক্তি ভরে,
আবার বঙ্গ মাঁগিছে ভঙ্গ, নিজ গৃহ রচিবারে |

ঘেরা-গর্জ্জন-শাল, বীর সাঁওতাল, বাংলা মায়েরই গরব |
তাহারাও নানা, সয়ে বঞ্চনা, পশ্চিমে আজ সরব |

পাতে নাই ভাত, কাজে নাই হাত, অপমান সারা মাথে |
কুশাসনে তারা, এতদূরে সরা, তীর-ধনু দুই হাতে!

এখনও সময় আছে হে রাজন! থামাও ত্রাস-অভিযান |
অবহেলা-বিষে তৃষিত মানুষে, দিও না গরল-পান |

দলীয় স্বার্থে, অসাধু অর্থে, আরও কত নিপীড়ণে,
হইতে হইবে জর্জর কি, বাংলার সাধারণে ?

সে ই শুধু রবে, যে নিরবধি গাবে, তোমারই জয়গান!
আর বাকি জনে, যাবে ধনে-প্রাণে! এ কোন্ তব বিধান ?

আরবার যদি বাংলার নিধি ভাঙনের দিকে যায়,
পর প্রজন্ম তোমার এ কর্ম, ক্ষমিবেনা কভু তায় |

কহে দুষ্ট কবি, করে সবে দাবী সমস্বরে, হে রাজন!
ত্যাগো এ শাসন, ত্রাসন, ভাষন, এই বেলা এই ক্ষণ ||

.     ************** কলকাতা, ২৮/০৬/২০০৯


.                                                  
সূচির পাতায় ফেরত
.      সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান এখানে ক্লিক করে   


৩২ বছরের বামফ্রন্টের কুশাসনই গোর্খাল্যাণ্ডের জন্য দায়ী | দার্জ্জিলিং এর মানুষ এখন আর
বাংলায় থাকতে চান না কেন ? সাঁওতাল অধ্যুষিত লালগড়ের মানুষ এতটাই বীতশ্রদ্ধ এই
প্রশাসনের উপর যে তাঁরা প্রতীকী তীর-ধনুক হাতে তুলে নিয়েছেন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন
চালাচ্ছিলেন | সেই সুযোগে মাওবাদীরা, যাঁরা মানুষের ক্ষোভ এবং হতাশাকে মূলধন করেই
ত্রাতার ভূমিকায় নামার চেষ্টা করেন, সেখানে ঢুকতে পেরেছেন | কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সামনে
রেখে বুদ্ধবাবুর সরকার এখন নন্দীগ্রামের কায়দায় দলীয় দখলদারীর খেলায় মেতেছেন | এখন
সেখানে যৌথবাহিনীর ত্রাসের সাথে সাথে তাঁর হার্মাদ বাইক বাহিনীও আবার ত্রাসের সূচনা
করছে | অখচ বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও সেখানে যাওয়া থেকে আটকে দেওয়া হচ্ছে |
সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, সেখানে যাওয়ার জন্য মামলা দায়ের
করেছে, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য! যৌথ বাহিনী ও ক্যাডারকূলের অত্যাচারের খবর যাতে
মানুষ না জানতে পারে তার জন্য সাংবাদিকদেরও নানা জায়গায় আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে |

আশ্চর্য হব না এর পর যদি এই এলাকার মানুষ গোর্খাল্যাণ্ডের মতন নতুন রাজ্যের
দাবী তোলে | তা যদি হয় তবে তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং তাঁর
দল সিপিএম |



মিলনসাগর
*
শাসকের তরবারি          

শাসকের তরবারি
প্রজা নিপিড়ণে ভারি
প্রাণ মান সম্মান
সব কিছু লয় কাড়ি

মসনদ থেকে রাজা
পিছলে যতই পড়ে
শাসকের তরবারি
ততই কষে ধরে

পালাবার পথ নেই
বৃথা চেষ্টা কেন কর
প্রজা-রক্তে পিছিল মুঠো
মিছে আরো পাঁকে ভর

যে দেশে নারীর আঁচল
লুটায় রাজপথে
দুষ্ট কবি বলে
জেনো সে শাসক চলে
অস্তাচলের পথে



.     ************** এস. এস. রিভার এম্বলে, অস্ট্রেলিয়া,  ০৭/০৫/২০০৯



.                                                  
সূচির পাতায় ফেরত
.   সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান এখানে ক্লিক করে   



মিলনসাগর
*
জেগেছে মানুষ          

জেগেছে মানুষ জেগেছে আবার
টানা নিদ্রার প’রে
এক এক ক’রে খুলছে কপাট
দোরে দোরে ঘরে ঘরে |

দীর্ঘ আঁধার পেরিয়ে চোখেতে
আলোর ঝলমলানী,
চারিদিকে তাই ভাঙছে দ্যাখো
আঁধার-কুহেলি টানি |

এখনো গ্রহণে রবিশশি, কালো
মেঘ ছেয়ে আছে দ্যাখো,
যে মশাল জ্বেলে সরালে আঁধার
সে অনল জ্বেলে রেখো |

ভাঙো ভাঙো ভাঙো, ভাঙো সবে মিলে
শোষণের কালো হাত,
নতুন আলোকে আবাহন কর
আগত নব-প্রভাত |

জেগেছে মানুষ জেগেছে আবার
টানা নিদ্রার প’রে,
দুষ্ট কবি এ নবীন আলোকে
তারই জয়গান করে |



.     ************** কলকাতা,  ১৮/০৭/২০০৯

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনো ও ঝড়-আইলার পর বাংলার শাসকদের প্রতি
মানুষের ক্ষোভের প্রকাশ দেখে লেখা


.                                                                  সূচির পাতায় ফেরত
.                  সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান এখানে ক্লিক করে   



মিলনসাগর
*
ধিকি ধিকি ধিকি ধিকি জ্বলছে        


ধিকি ধিকি ধিকি ধিকি জ্বলছে
খড়ের গাদার অবশেষ |
ধিকি ধিকি জ্বলছে মনের
গহনতম কোণে পরমেশ |

ধূমায়িত বাতাসের কুহেলী
আধপোড়া গ্রাম-বাংলায় ,
অঝোরের অশ্রুধারায়
এ আগুন নিভিতে না চায় |

আশ্রয়হীনা জননীর
শিশু-মুখে দুধ নিঃশেষ!
বল্লভ কোথা কে বা জানে ?
সিঁদুরের প্রয়োজন হয়েছে কি শেষ ?

বয়ঃভারে শীর্ণার মুখ
তরাসে বিধুর পাণ্ডুর,
জীবন সায়াহ্নের কালে---
তাঁর কানে কোন নরকের সুর ?

পোড়া-গৃহে অবীরার বাস,
অভিবাস যুবকের কিশোরের,
শিশুদের কল-কেলি স্তব্ধ,
যেন চকিতে বেড়েছে ভার বয়সের |

মদন ভস্মে পরিনত
শিব নয় মানবেরই রোষে |
ক্ষুধাতুর পিশাচের নৃত্যে
প্রেম! গেছে আঁখি-জলে ভেসে |

রক্ষক মেতেছে অভিসারে!
অবলারে গ্রাসে যে যা পারে
রুখিতে যে যায় তারে ধ’রে
ক্ষমতার ফাঁদে বেঁধে মারে |   

রাজে-যমরাজে নাই ভেদ,
এই অরাজকে নাই তার খেদ |
বিভেদের নীতি বিতরণে,
আজ বাংলা জুড়ে নরমেধ |

দুষ্ট কবি অনুযোগে ---
হে বাণী! এ কেমন দিলে বর ?
দিলে ছন্দ যদি লেখনিতে
কেন দেখালে কালের এ বিবর!?


.     ************** কলকাতা,  ২০/০৭/২০০৯


মঙ্গলকোটে একজন শাসকদলের নেতা খুন হবার প্রতিশোধে, বিরোধী দলের
সমর্থকদের ঘর বাড়ী পুড়িয়ে দেবার ঘটনার পর লেখা | খুনীদের না ধরে এটাকেই যেন
ছুতো করেছে শাসকদল, বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করার | বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সবই দেখছেন
এবং ঘটে যেতে দিচ্ছেন |

.                                                                  সূচির পাতায় ফেরত
.                  সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান এখানে ক্লিক করে   



মিলনসাগর
*
জঙ্গলভূমি জাগ্রত হল      

জঙ্গলভূমি জাগ্রত হল
জনগণ গায় গান |
জন-গণ-মন গাইলেও কেন
জনতার নেই মান ?

অম্বরে রবি, চন্দ্রমা দুঃখে
অশ্রু ধারা বরিষান |
অনাহারে রত বনবাসী, শত
অম্বিকা করে সংগ্রাম |  

দর দর ঘামে সিঞ্চিত দেহ,
দক্ষিণা থাকে অকুলান |
দঙ্গল করে মঙ্গলদাতা,
দক্খলী চলে অভিযান |

ঝর ঝর ঝরে ঝঞ্ঝার মত
ঝঞ্ঝাট শত কোটালে |
ঝন্ ঝনে ভাঙে জমকা প্রাসাদ,
ঝটিকার রোষ-অনলে |

বুদ্ধিজীবীরা নিরস্ত্র হাঁটে,
বুজরুকি করে প্রশাসন |
বুলেটের দমে পথে ঘাটে ঠোকে,
বুট্ ভারি ভারি, দশানন!

বনভূমবাসী পরোয়া করে না,
“বঞ্চনা যাক্” --- হাঁকে দাবী |
বল্লম তীর শোভিত নেহারি,
বন্দে ছন্দে দুষ্ট কবি |


.     ************** কলকাতা,  ২৯/০৭/২০০৯

লালগড়ে মাওবাদী সাফ করার নামে সাধারণ মানুষের উপর পুলিশী নির্যাতন
চলছেই | গতকাল সেখানে মহিলাদের মিছিলের উপর লাঠি ও টিয়ার গ্যাস চলেছে |


.                                                         সূচির পাতায় ফেরত
.          সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান এখানে ক্লিক করে   



মিলনসাগর
*
হার্মাদের পর কি মাওবাদ !?    

এসেছিলেন কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে,
মানুষের আশা আকাঙ্খার প্লাবনে ভর ক’রে,
আমার সদ্য আসা যৌবনে |
সেদিনের সে উল্লাস, সে আনন্দ,
প্রৌঢ়ত্বের ভাঙা রেকর্ডের মাঝেও স্মৃতিতে উজ্জ্বল |

বিশ্বের ইতিহাস বলেছিল ---
সভ্যতার অভিজ্ঞতা বলেছিল ---
যে যায় লঙ্কায় সেই রাবণ!
সদ্য আসা যৌবনের গরম রক্ত এক কথায় তা উড়িয়ে দিয়েছিল |

বরাবরই ছিল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস!
পরে এল লাল সন্ত্রাস!
শাসক দলের পেটোয়া পুলিশের হাতে বন্দুক |
নব্য-বিপ্লবীদের হাতে বন্দুক |
নিন্দুকেরা বললো “হার্মাদ” !  
তিন যুগ পেরিয়ে তাদেরই মৌরুসী পাট্টা জমে উঠেছিল |
খুন, ধর্ষণ, দখলদারী!
বেশ চলছিল | সবাই মেনেই নিয়েছিল |

ভদ্রলোকেরা বলতো ---
বিকল্প কোথায় ? এদের সরিয়ে কাকে আনতে চাও হে ?

তাই, ওভাবেই চলছিল |
রুখে দাঁড়ালেন একদল মানুষ |
সিঙ্গুর!
নন্দীগ্রাম!

সেখানে নাকি বন্দুকধারীরাও গিয়েছিলেন |
যাঁরা নিজেদের মাওবাদী বলেন | লড়েওছিলেন | মরেওছিলেন |
তাঁদের নেতা বললেন |

তবুও মানুষ মূল স্রোতের দলগুলোকেই বেছে নিয়েছিলেন |
কারণ শত হলেও তাঁদের সাথে কথা বলা যায় |
তাঁরা সব সময় মুখ ঢেকে পিঠে বন্দুক ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়ান না |

বিশাল সংখ্যক বিরোধী দলের মধ্যে থেকে মানুষ একটিকেই বেছে নিলেন |
না |
একটি জোটকে!

দম্ভের চূড়া থেকে বলা হলো রামধনু জোট!

ফল খারাপ হয় নি |
কাঁধে বন্দুক ঝুলিয়ে না ঘুরলেও সেখানে রাজার দিন শেষ |
সেদিন যাঁরা মার খাচ্ছিলেন, এখন তাঁরাই রাজ করছেন, সেখানে |

এরপর এল লালগড় |
সেখানে স্বতস্ফূর্ত জনগণের আন্দোলন ভালোই দানা বাঁধছিল |
বুদ্ধিজীবীরা গিয়ে দেখা করে এলেন |
জানিয়ে এলেন সমর্থন |
কবিরা লিখলেন কবিতা |
দেওয়া হলো সুর |
গাওয়া হলো গান |
কিন্তু!
কখন যে আন্দোলনটি মাওবাদীরা হাইজ্যাক্ করে নিলেন বোঝাও গেল না |
এখন তো বোঝাই যায় না কোথায় জনগণ শেষ আর মাওবাদ শুরু!

আন্দোলন চলছে, চলবে |
জনগণের প্রতিবাদের জন্য সেখানে ভোট বয়কট হলো |
যাদের হেরে ভুত হবার কথা ছিল,
তারাই আবার জিতে গেলেন!
কারণ, বৃহত্তর মানুষ গোসা করে ভোট দিতে যান নি!
না! তাঁদের ভোট দিতে যেতে বারণ করা হয়ছিল!
যদি যেতেন, তাহলে আজ তাঁরাও রাজ করতেন |
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের মত |
নিজেদের হাতে চলে আসতো নিজেদের ভবিষ্যত গড়ার চাবিকাঠি |
নিজেদের উন্নয়ণের চাবিকাঠি |
আসে নি |

তাতে সেখানকার জনগণের কতটা লাভ হলো কে জানে |
কিন্তু মাওবাদীরা খুশি |
যে গণরোষের কালোমেঘ সেখানে দানা বেঁধেছে,
তা তাঁদের প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রশস্ত |
তাঁরা এখন জনগণের অভিভাবকের ভূমিকায় |
তাঁরাই বলে দেন, মানুষকে, মিডিয়াকে---
কে, কবে, কোথায়, কেমন ক’রে আন্দোলন করবেন |
কোন জনগণের নেতা কোথায়,
কবে কি করবেন! কোথায় দেখা দেবেন!
দিনে যৌথ বাহিনী মার্চ করে হাতে বন্দুক নিয়ে!
রাতে মাওবাদীরা মার্চ করে হাতে বন্দুক নিয়ে!
যেন কানা মাছি ভোঁ ভোঁ খেলা!
এঁদের মাঝে পড়ে জনগণই চিঁড়ে চ্যাপ্টা!
মাঝে মাঝে গুলি চলে |
লাশ পড়ে |

একের পর এক লাশ পড়ে |
প্ল্যান টা ঠিক কি ?
শাসক দলকে ক্ষমতা থেকে সরানো না কি তাদের মাথা ধড় থেকে সড়ানো ?
ভিন্ন রাজনৈতিক মতবাদের জন্য যদি এমন ক’রে মরতে হয়,
তাহলে ধর্মীয় দাঙ্গা কি দোষ করেছিল ?

তাঁরা যদি কোনোও দিন ক্ষমতায় আসেন,
তাহলে কি একটা কথাও বলতে পারবে কেউ |  
কবিতা লেখা তো দূরের কথা!
"প্রতিবাদ"-এর "প্রতি"টি শব্দই পড়বে "বাদ"!

জনগণ এখন চেপে আছে একটা বাঘের পিঠে!
নামতেও পারছে না! ছাড়তেও পারছে না!

কোনো প্রতিবাদও শোনা যাচ্ছে না |
আসলে যাঁদের হাতে বন্দুক, তাও আবার স্বয়ংক্রিয়,
যাঁদের ক্ষমতার উত্স বন্দুকের নল,
তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খোলাটা কি বুদ্ধিমানের কাজ!?

দুষ্ট কবির বুদ্ধি আছে, এ কথা কে কবে বলেছে!?
তাই তাঁর জিজ্ঞাসা ---
হার্মাদের পর কি মাওবাদ !?

.     ************** কলকাতা,  ০৪/০৯/২০০৯

.                                                                    
সূচির পাতায় ফেরত
.               এই কবিতাটি অথবা এই বিষয় সম্বন্ধে আপনার মতামত জানাতে এখানে ক্লিক করুন
.                    সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতা সম্পর্কে আপনার মতামত জানান এখানে ক্লিক করে  



মিলনসাগর