নন্দীগ্রাম কেন ? জ্যোতিবাবু ও বুদ্ধবাবুর শাসনে প্রতি পদে পদে কার্য এবং কথনে বাংলাকে এঁরা আবার করেছে খণ্ডিত | সি-পি-এম হলে 'আমাদের লোক' অন্যথা হলে আছে দুর্ভোগ বঞ্চিত হয়ে সর্ব সুযোগে, দণ্ডিত || বিরোধী পক্ষ ব'লে যদি চিহ্নিত কভু হ'লে ভগবানও এসে বাঁচাতে, পাবে অক্কা | শহরাঞ্চলে নীরব আভাস গ্রামে গিয়ে দেখো, খোলা সন্ত্রাস পার্টি-ধামা না ধরে দেখি, কেমনে পাও রক্ষা || সাংবিধানিক গণতন্ত্র এ যে শুধু নয় ক্ষমতা-যন্ত্র বুদ্ধবাবু কি মনে প্রাণে তা মানেন | শাসনে আসতে গিয়ে ক'রে বিপ্লব, খিড়কি দিয়ে 'ভোটাধিক্য' সার কথা, তা বুঝেছেন || তাই, তিরিশ বছর ধরে সংখ্যাধিক্য তরে সর্বঘটে ঢুকিয়ে মাথা 'দখলি-স্বত্ব' গড়ে | যখনি দেখেছে দখল হারায় সাম-দান-ডণ্ড-ভেদ ছড়ায় তাতেই বাংলা জতুগৃহ-রূপ ধরে || আজ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে অলীক-শিল্পায়নে সেই একই কর্ম করছে, খাটায়ে মুণ্ড | বেশী জমিহারা হবে বিপক্ষ চাকরী যেকটা পাবে স্বপক্ষ 'আমাদের লোক' না হবার, এই দণ্ড || এ ছাড়া আছে আরো বহু গুণ একটা যেমন, স্বজন পোষন তাতে শুনি, জ্যোতিবাবুই শ্রেষ্ঠ | বুদ্ধবাবু, পয়সা খান না শুনি, টাকা-কড়ি হাতেও ছোঁন না তাঁর শিল্পে মেশে কৃষকের তাজা রক্ত || দুই জনেরই শাসন কালে অপশাসন তুঙ্গে চলে দুষ্ট কবি মিলন বলে সত্য | জ্যোতি শুধু করতো মজা বুদ্ধ ভাঙ্গছে বাংলার মাজা বাঙ্গালী এদের রাজ্য দেবার, করছে প্রায়শ্চিত্ত || . ************** কলকাতা ২৩/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত মিলনসাগর |
দুষ্ট কবির ধৃষ্ট কবিতা |