সিঙ্গুরে দুষ্ট কবি আবৃত্তি শুনুন
আমি ছিলাম ছাপোষা, অতি সাধারণ
ঘর সংসারে মজে |
তোমাদের দুর্দশা দেখে মোর
জীবন বদলে গেছে ||
আমি পারিনি কিছুই করতে, কারণ
ভয়ে ভীত আমি ছিলাম |
আমি তোমাদের এত বাহাদুরি দেখে
নতুন মানুষ হলাম ||
তোমাদের জমি কেড়ে নেওয়া দেখে
শিরায় রক্ত ফুটেছে |
রাজকুমার ও তাপসী যাওয়াতে
বুক ফেটে হু হু করেছে ||
হারাধন বাগ স্বাধীন মানুষ
তিনি পরাজিত হন নি |
তাঁর মনের মত সমাজ বা দেশ
এখনও গড়ে ওঠে নি ||
মিষ্টি পায়েল দীপ জ্বেলেছ
সুমনের সুরে গানে |
বড় হয়ে তুমি আলোকিত ক'রে
থাকো সকলের মনে ||
আমি সাধারণ, অতি স্বাধারণ
পথে নেমে করি চিত্কার |
তোমাদের কাছে হাতে খড়ি মোর
কবিতায়, করি ধিক্কার ||
আমি ছন্দ-ছাড়া-মিলন ছিলাম
'সিঙ্গুর' দেখার আগে |
জমি লুঠ দেখে হয়েছি যে আমি
দুষ্ট কবি, রাগে ||
সিঙ্গুরের ভাই বোনেরা যে আগ
বাংলার বুকে জ্বেলেছ,
আজ সেটা বেড়ে দাবানল, দ্যাখো
শাসকের ঘুম কেড়েছ ||
এতকাল দেখে টিভিতে ছবিতে
সার্থক দু নয়ন |
আজ তোমাদের গাঁয়ে এসে মোর
ধন্য এ জীবন ||
. ************** কলকাতা ২০/৪/২০০৭ সূচির
পাতায় ফেরত
মিলনসাগর
নন্দীগ্রাম সজাগ থাকো আবৃত্তি শুনুন
ওই শুনছি আবার বুনছে জাল!
জিভের থেকে ঝরছে নাল!
শান দেয় দাঁত-নখের আগায়!
প্রশাসনের নাকের ডগায়!
হার্মাদরা ঘিরছে আবার,
চেনা-ছকে গ্রাম দখল নেবার!
অপারেশানটা শুরু থেকে শেষ!
টপ্ থেকে ভাই, আসছে আদেশ!
তাই, রুখবে তাদের পুলিশ কই?!
রুখবে কেনা-আমলা ওই!
শিশু - নারীদের এগিয়ে রেখে
দেখলে তো, কোনো লাভ নেই!
রাজার পোষা রক্ত-লোলুপ
পিশাচের দেহে হৃদয় কই?
দখল নিতে নন্দীগ্রামের
আসবে যে হার্মাদের দল,
হয় যেন শেষ, এটাই তাদের
দখলদারীর কর্ম স্থল |
তাই নন্দীগ্রামের সজাগ মানুষ
গরম করে রাখো কারতুজ |
রুখে দাও সেই মৃত্যুর নাচ
রুখে দাও সেই 'চোদ্দোই মার্চ' ||
. ************** কলকাতা ১৭/৪/২০০৭ সূচির
পাতায় ফেরত
'নন্দীগ্রামে নতুন করে হামলা করতে খেজুরি সিমান্তের সাতখণ্ড,
মানসিংবেড়, পানখাই, শেরখাঁচক ও বাহারগঞ্জের সেক্টরে
আবারও ভাজাচাউলি ও কেশপুর থেকে সিপিএম ভাড়াটে সশস্ত্র
বাহিনী এনে জড় করছে |' --- দৈনিক স্টেটসম্যান ১৭/৪/২০০৭
মিলনসাগর
করতে শেখো ভয়, হে টাটা! আবৃত্তি শুনুন
তোমার শুনি যাওয়ার পরে
খাওয়ার তো কেউ নাই!
তবু চীনের প্রাচীর গড়ে তোমার
মিটবে কোন খাঁই?
মিটবে কোন খাঁই, হে টাটা!
মিটবে কেমন খাঁই?
তোমার একলাখী-কার গড়তে বলো
আর কি কি চাই?
তোমার পুঁজির ঝনাত্ শুনিয়ে রাজার
মুড়ো চিবিয়ে খেলে!
তাঁর সর্বহারার দলকে নিজের
দালাল করে দিলে!
নিয়ে অহর্নিশি দেওয়াল ঘিরে
চৌকিদারীর বায়না,
তাঁরা অষ্ট প্রহর তোমারই নাম
না জপে জল খায় না!
সাপের ছুঁচো গেলার মত
দেখছি তোমার হাল!
এই সিঙ্গুর গাঁয়ের জমি নেওয়াই
হোলো তোমার কাল!
হোলো তোমার কাল, হে টাটা!
হোলো তোমার কাল!
বাঁচতে চাও তো ফেরাও জমি
খুইয়ো না আর কাল |
যাও বা ভূমি পূজা দিলে
পুলিশ ঘিরে থেকে!
পরদিনই সেই বেদি ভেঙে
গুঁড়িয়ে গেল রেখে!
মাঝে মাঝেই জ্বলতো খুঁটি
উপড়ে ফেলতো ব্যাড়া!
ভাবলে, ল্যাঠা চুকলো দিয়ে
পাকা দেওয়াল খাড়া |
পাকা দেওয়াল খাড়া, হে টাটা!
পাকা দেওয়াল খাড়া!
এখন দেখি বোমায়, গুঁতায়
সেটাও ভেঙে সারা!
জিঘাই টাটা, দুষ্ট কবির
বুদ্ধি নেবে নাকি?
এই, ব্যাড়ার কাজটা টাটা স্টীলেই
সেরে ফেল দেখি!
তাতেও শেষ রক্ষা কিন্তু
মোটেই হবার নয় |
বলি, বাংলা দেশের জেদকে তুমি
করতে শেখো ভয়!
করতে শেখো ভয়, হে টাটা!
করতে শেখো ভয়!
এই রাজা তো ডুবছেই, দ্যাখো
তোমার কি হাল হয়!
. ************** কলকাতা ১৯/৪/২০০৭ সূচির
পাতায় ফেরত
সিঙ্গুরে টাটার কারখানার জমির প্রাচীর দেওয়া শেষ কিন্তু....
দুষ্ট কবির ধৃষ্ট কবিতা নিয়ে এখানে ক্লিক করে COMMENT করুন
টাটা ও সিঙ্গুর নিয়ে এখানে ক্লিক করে COMMENT করুন
মিলনসাগর
নতুন স্লোগান
'বন্দেমাতরম'
এখনও শুনি যখন
বুকে শিহরণ জাগে
আত্মায় তোপ দাগে
জন্মভূমি স্বাধীন করতে
পরাধীনতার শিকল ভাঙতে
গেয়ে এই অমৃত স্লোগান
ফাঁসির মঞ্চে জীবনের গান
গেয়েছিল তাঁরা
তাইতো আমরা
মুক্ত মানুষ এখন |
'ইনক্লাব জিন্দাবাদ'
দিন বদলের স্লোগানে মাত্
নিত্য জীবন যুদ্ধে লড়তে
শোষণের নিগড় কাটতে
এই স্লোগানে আকাশ ভরাই
মিটিং মিছিল
উতার চড়াই |
ষাটের দশকে
বাংলা হেঁকেছে
'আমার নাম তোমার নাম
ভিয়েতনাম ভিয়েতনাম'
সেটা ছিল শ্বাসে
সেটা প্রশ্বাসে
এখন সেসব
গেছে ইতিহাসে
এখন এসেছে নতুন স্লোগান
দুষ্ট কবি শুনে লিখে যান
'আমার নাম তোমার নাম
সিঙ্গুর ভাঙ্গর নন্দীগ্রাম'
এই ধ্বনিতেই কাঁপছে এখন
বাংলা দেশের শহর ও গ্রাম
যুগে যুগে যবে ধর্ম হেরে
অধর্ম সবে গ্রাস করে
অবতার রূপে আসেন জিনি
মানুষের মনে দেবতা তিনি
তাঁর হুংকার আমাদের গলে---
তাকেই তো লোকে স্লোগান বলে
. ************** কলকাতা ২৩/৪/২০০৭ সূচির
পাতায় ফেরত
মিলনসাগর
আমার রক্ত মাখা হাতে
হাতছানি দিতে দিতে
বলি ---
আয়রে আয়রে
আয়রে তোরা
শিল্প তালুক
বিরোধ করা
নন্দীগ্রামের
হতচ্ছাড়া
সব কাজ ছেড়ে
আয় বোস তোরা
গল্প করবো
চায়ের পর্ব
হাতে হাত রেখে
প্রেমের আবেগে
বাসর জাগবো মোরা
চল্
আড়ি আড়ি ছেড়ে
মিতালি করে
পুরানো সে দিনে
চল যাই ফিরে
ভুলে গিয়ে সব
হানাহানি রব
বসে শান্তিতে ঘর করা
আয় তোরা আয়
বেলা বয়ে যায়
আমরা দুজনে
কূজনে কূজনে
চলরে ভূবনে
রচি স্বর্গ সসাগরা
কি বললি?
শান্তি কোথায়?!
কেন, এই যে বলছি
শান্তি আমার
মুখের কথ্য
আমি যা বলি
সেটাই সত্য
এটাই দুশো
তিরিশ তত্ব
তাই
যা বলি আমি
তাই ই সত্য
অন্যথা হলে
মরবি নিত্য
চাই কি আবার
চোদ্দোই মার্চ
মৃত্যুর নাচ
পিশাচতত্ব
কি বললি?
সারা রাত ধরে
খেজুরির ধারে
কিসের আওয়াজ করে?
আরে ধূ-র,
ওটা
আতস বাজি
হার্মাদকুল
খেলছে বাজি
আনন্দেতে
মেতে আছে আজি
চোদ্দোই মার্চ
তোদের গ্রামে
ভুঁড়িভোজটা
দারুণ জমে
তাতেই
একটু এধার ওধার করে
কি বললি?
গ্রামেই তোরা
এখনো বন্দী?
হাটে বাজারে
স্কুলের পথে
ধরে ক্যালানোর
ফিকির ফন্দি?
আরে ধূ-র,
ওটা
সিকিউরিটি
পুলিশের ড্রেসে
পায়ে পরা চটি
তোদেরই ঘরে
আইনের বরে
চৌকিদারী করে
আয় আয় আয়
তবু তোরা আয়
শান্তিতে বসি আয়
শান্তির নামে
শান্তির ধামে
বৈঠক সারি আয়
নাহলেও ভালো
কি এলো গেলো
শুধু কাটা রাস্তা
সারিয়ে খাস্তা
করতে দে---
যাতে
তর তর করে
গাড়ি ভরে ভরে
হার্মাদ চ'রে
ঢুকে যেতে পারে
তোদের শোবার ঘরে
আয় বস এসে
শান্তিতে ঘরে
বৈঠক নিই সেরে
তার ঠিক পরে
হোলি খেলা তরে
ঢুকবো যে তোর ঘরে
দুষ্ট কবি
কাব্য ক'রে
রুখতে পারবে নারে
. *******************
কলকাতা ২৩/৪/২০০৭
...
. সূচির পাতায় ফেরত
প্রশাসন শান্তি বৈঠক করার জন্য আবার উঠে পড়ে লেগেছেন | নিত্য খেজুরির দিক থেকে
সারা রাত ধরে বোমাবাজি চলছে | নন্দীগ্রাম এলাকার বাইরে হাট বাজার করতে গেলেই
খিস্তি খেউর মারধোর লেগেই আছে | স্কুল পড়ুয়ারাও বাদ যাচ্ছে না | মুখে শান্তি বৈঠক
আর হাতে কলমে সন্ত্রাস চলছে দেখে বিরোধীরা বৈঠক বয়কট করেছে |
মিলনসাগর
মিছিলে কেন এসেছো?
এখন শিল্পী বুদ্ধিজীবীদের মিছিলে
প্রচুর যান জট্
কলকাতা শহরে
কিন্তু কেন?
কেন এত প্রতিবাদ?
মিছিলে কেন এসেছো?
নন্দীগ্রামের লড়াইয়ে সামিল?
নাকি হত্যালীলার বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ?
নাকি এই মৌকায় প্রচারের আলোয় আসা?
নাকি রাজার চালে বিপক্ষকে দুর্বল করা?
যদি প্রথমটাই সঠিক উত্তর না হয়
তাহলে আর যানজট্ করো না
পদযাত্রার পরে সোজা ঘরে ফিরে যাও
চুপচাপ নিজের বিছানায় বালিশে প্রেয়সীর বুকে
মাথা রেখে
অশ্রু বরিষণ কর
আইনক্স এ সিনেমা দেখ
বিগবাজারে শপিং করতে যাও
সায়েন্স সিটির অডিটোরিয়ামে রাজার ভাষণ শুনে হাততালি দাওগে
প্রতিবাদ করছো ভালো
নিত্য পড়ছি দেখছি শুনছি যে
তোমরা বামপন্থী
তোমাদের নাকি যাওয়ার যায়গা নেই
এদিকে বাম রাজার পাশে আর থাকা যাচ্ছে না
তার সারা গায়ে নন্দীগ্রামের ঢের হওয়া লাশের দুর্গন্ধ
আর ওদিকে বিরোধীরা অস্পৃশ্য
বাবরী মসজিদ গুজরাট কিউবা ইরাকের জন্য
তাদের পথে তেমনভাবে দেখ নি
তারা নাকি আবার ঘোর মৌলবাদীর দোসর
ওয়াটার ছবি করতে দেয় নি
বুঝি, তোমাদের চোখে
তাদের অনেক দোষ আছে
কিন্তু চেয়ে দেখো আজ
এই বাংলার খোলা আকাশের নিচে
যারাই অত্যাচারিতের পাশে দাঁড়িয়ে লড়ছে
তাঁরা সেই সব মানুষ
যারা তোমাদের মত ধোয়া তুলসি পাতার চোখে
চরিত্রহীন দুশ্চরিত্র বালখিল্য মৌলবাদীর দোসর
আসল প্রশ্ন এটাই
এখন কে আর্তের পাশে দাঁড়িয়ে লড়ছে
তার পাশে তুমি আছ কি নেই
উত্তর যদি না হয়
তবে তোমার এত কথা প্রতিবাদ মিছিল যানজট্
কবিতা নাটক ছবি স্লোগানের কোনো মানে নেই
শুধু মিডিয়া গরম করে দৃষ্টি আকর্ষণই সার
সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম সারা বাংলার তাতে ঘোড়ার ডিম হবে
এই অর্বাচীন দুষ্ট কবি মনে করে
শিল্পীর কোনো ডান বাম হতে পারে না
মানবতাবাদ ছাড়া আর সব বাদ
তবুও যদি বামপন্থী বলে দাবি কর
বলবো
দু এক টুকরো জমি নাম পুরস্কার সুয়োগের বিনিময়
এতদিন রাজার আলমারিতে
তোমরা শুধু পুতুল হয়ে সুখনিদ্রায় মগ্ন থেকেছো
তার বাঘনখ ঢাকতে মাঝে মাঝে সে
তোমাদের বাইরে এনে দেখাত মাত্র
ওদের বাবরী মসজিদ গুজরাট ওয়াটার থাকলে
তোমাদের আছে
মরিচঝাঁপি বানতলা ধানতলা আমলাশোল বিজন সেতু পশুখামার
বিনোদ মেহেতা চাঁদমনি গঙ্গাধর ভট্টাচার্য ছোট আঙ্গারিয়া
গ্রামে গ্রামে সন্ত্রস্ত বঞ্চিত ছাপোষা মানুষ এবং আরও অনেক ...
এমন কি সিঙ্গুর
তখনও তোমরা ব্যস্ত ছিলে মেলার মেলায়
এত ভার বইলে এত দিন ধরে
আর একটুতে আপত্তি কেন?
শেষ প্রশ্ন
তোমাদের এই প্রতিবাদের ঘটা কি স্বয়ং রাজার আদেশে?
নাকি যদি ব্যর্থ হয় বিরোধীরা---
রাজার কাছে ফিরে যাবার
খিড়কির দরজাটা ভেজিয়ে রাখছো?
দোহাই তোমাদের
একটু ভেবে চিন্তে কাজ কর
বাংলার হতভাগ্য মানুষদের লড়াইটাকে
দুর্বল করে দিও না
তুমি সমাজের বিবেক
যে কেউ ঘৃণ্য কাজ করলেই
তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া উচিত
তারা যে দলেরই হোক না কেন
কিন্তু যুদ্ধ যদি করতে হয়
এক হও
বাত্তেলা দেওয়া বন্ধ করে
নিজেকে প্রশ্ন কর
মিছিলে কেন এসেছো?
. ************** কলকাতা ২৪/৪/২০০৭ সূচির
পাতায় ফেরত
এই কবিতাটি সেই সব তথাকথিত বামপন্থী শিল্পী বুদ্ধিজীবীদের জন্য লেখা
যাঁরা নানা গণমাধ্যমে নানা সময় "ধরি মাছ না ছুঁই পানির" মত আচরণ
করছেন | নন্দীগ্রামের গণহত্যার প্রতিবাদ করছেন আবার পরক্ষণেই, যারা
আসলে ময়দানে নেমে যুদ্ধটা চালাচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশে কটুভাষণ করছেন,
যা এই সময় অতি অবাঞ্ছনীয় | সাধারণ মানুষকে যা বিভ্রান্ত করে | তাই
মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় এই মানুষগুলোকে শাসক দল থেকেই এই কাজে
নিযুক্ত করা হয়েছে কি না | এখন বিরোধীতা করতে হলে সবাই কে এক
সাথে মিলিত হতে হবে | বহুকাল আগে বিশ্বব্যঙ্কের প্রেসিডেন্ট রবার্ট
ম্যকনামারাকে কলকাতায় না নামতে দেবার ঘটনাটার মত না হয়ে যায়!
মিলনসাগর
নন্দীগ্রাম তোমাকে...
দুষ্ট কবির কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন . . .
"বাংলা জ্বলছে" অ্যালবামের এই গানটি দেবাশিস রায়ের সুরে এবং প্রবীর বল-এর কণ্ঠে শুনুন . . .
অসীম যাতনা শেষ হয়ে গিয়ে নিস্তার পেল যারা
অজানা কোন ভূতলে চির নিদ্রায় শুয়ে তারা
তারাও মাটির গন্ধে মিশে সুবাসিত করে যায়
নন্দীগ্রাম, তোমাকে কি আর কখনও ভোলা যায় ||
যে ফুটফুটে শিশুরা সেদিন খেলাছলে ছিল পাশে
তারা আজ কোনো পানা পুকুরের পাঁকে শায়িত আছে
হয়তো তাঁরা শাপলা হয়ে ফুটে চেয়ে দেখে তোমাকে
হয়তো কচুরিপানা হয়ে ভেসে খুঁজে ফেরে তার মাকে
তারাই চড়ুই শালিক হয়ে ফিরে খেলে তব আঙ্গিনায়
নন্দীগ্রাম, তোমাকে কি আর কখনও ভোলা যায় ||
যারা লাশের পাহাড় হয়ে গিয়ে মিশেছে মোহানায়
তাদের অশ্রু সাগরের জলে নুনের স্বাদ বাড়ায়
তারাও তোমার চরণ জোয়ারে জোয়ারে ছুঁয়ে যায়
নন্দীগ্রাম, তোমাকে কি আর কখনও ভোলা যায় ||
তোমাকে বাঁচাতে যে মায়েদের সব কিছু গেল সেথায়
এখন তাঁরা হয়তো নীরবে শায়িত কে জানে কোথায়
দক্ষিণা বাতাসে বয়ে এসে তারা সোনাদের চুমু খায়
নন্দীগ্রাম, তোমাকে কি আর কখনও ভোলা যায় ||
নদী খাল বীলে ভেসে গেছে যারা ঘুমিয়ে অতল জলে
গাঙচিল হয়ে ফিরে বসে তার নিঝুম ঘরের চালে
তৃষিত চোখে পাখিরা তোমাকে শুধু ফিরে ফিরে চায়
নন্দীগ্রাম, তোমাকে কি আর কখনও ভোলা যায় ||
তোমার শ্যামলা আঁচল মুখর যাদের শ্বাসে বাসে
তারা যে শুধু তোমাকেই এত মনে প্রাণে ভালবাসে
সে কথা তারা জীবন দিয়ে ইতিহাসে লিখে যায়
তাইতো তারা নানারূপে এসে তোমাকেই দেখে যায়
দুষ্ট কবি সাশ্রুনয়নে তোমাদের কথা লিখে যায়
নন্দীগ্রাম, তোমাকে কি আর কখনও ভোলা যায় ||
. ************** কলকাতা ২৫/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
মিলনসাগর
নন্দীগ্রাম বিচার চায় আবৃত্তি শুনুন
নন্দীগ্রামে রাজার নন্দী
ভৃঙ্গীরা নাচ ক'রে
শত শত স্বর রুদ্ধ করেছে
শত শত গেছে ম'রে |
নন্দীগ্রাম আজ চিত্কার ক'রে
বিচার চেয়ে মরে |
সেই আশা এই দুষ্ট কবি
অতি ক্ষীণ মনে করে |
পিশাচের রূপে দাঁড়িয়ে রাজা
রক্তমাখা করে |
তারই বিচার চাইতে কেন
যেতে হবে তারই দ্বারে ?
ন্যায়ের আলয়ে প্রথমেই গিয়ে
মাথা কুটে তাঁরা পড়ে |
ন্যায়ও সেদিন তত্পরতায়
লেগেছিল উঠে প'ড়ে |
নিন্দুকে বলে - গেছে সে থমকে
অজ্ঞাত কল নেড়ে |
সুযোগে রাজা সাক্ষী প্রমাণ
ধুয়ে মুছে সাফ করে |
প্রকাশ্যে চুমু খেলে পরে দেশে
কোতোয়াল গিয়ে ধরে!
প্রকাশ্যে রাজা হত্যা চালালে
বিচারের গলা ধরে!
. ************** কলকাতা ২৭/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
আইন প্রতিষ্ঠা করার নামে নন্দীগ্রামে গণহত্যা ঘটানো হয় ১৪ই মার্চ ২০০৭, যা স্বাধীনতার পরবর্তি
সময়ে, এই বাংলায় সব চেয়ে কালা দিবস এ বিষয় কোনো সন্দেহ নেই | কলকাতার বার
এসোসিয়েশনের কিছু আইনজীবীর প্রার্থনা মঞ্জুর করে, মাননীয় কলকাতা হাইকোর্ট, CBI কে আদেশ
দিয়েছিলেন তদন্ত শুরু করার | সেই আদেশ বলে CBI ১৭ই মার্চ নন্দীগ্রামে গিয়ে তাঁদের কাজ শুরু
করেন | তা থেকে খবরে যে সব তথ্য বার হতে শুরু করেছিল তা জেনে সারা দেশের মানুষ স্তম্ভিত
হয়ে গিয়েছিলেন | কিন্তু কয়েকদিন পরেই কোনো কারণে মাননীয় হাইকোর্ট অন্য একটি আদেশ বলে
CBI কে তাঁর কাজ বন্ধ করতে বলেন | একের পর এক তার সুনানীও নানা কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে |
এতে নানা মহলে অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে এবং নন্দীগ্রামের মানুষের মনে বিচার পাবার যে আশা
জেগেছিল তাও হতাশায় পর্যবসিত হয়েছে |
CBI এর অনুপস্থিতিতে সমস্ত সাক্ষী প্রমাণ যে প্রকাশ্য দিবালোকে লাপাট করতে সুবিধা হয়েছে তা
সবাই দেখলেন | এমনিতেই গণহত্যার পরদিন পূর্বমেদিনীপুর বন্ ধ ডেকেছিলেন শাসক দল | খবরে
প্রকাশ তা নাকি করা হয়ে ছিল যাতে কেউ ঘর থেকে না বার হতে পারে এবং সেই সুযোগে
মৃতদেহ, গুলির খোল, গুলির দাগ, রক্তের দাগ ইত্যাদি যাতে পরিস্কার করা সম্ভব হয় |
সিঙ্গুরের অষ্টাদশী তাপসী মালিককে ধর্ষণ করে আগুনে পুড়িয়ে মারার কেসটির সম্বন্ধে আজকাল
আর কিছু শোনা যায় না!
ওদিকে জয়পুরের একটি আদালত চিএতারকা রিচার্ড গেয়ার এবং শিল্পা শেট্টির, এইডস সচেতনতার
অভিযানের একটি মঞ্চে চমু খাওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেছেন |
মিলনসাগর
সুকান্ত, সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের শ্রেষ্ঠ কবি! আবৃত্তি শুনুন
হে কবি সুকান্ত!
তুমি কি জানতে যে
তোমাদেরই বংশে আসবে
এই বাংলার ধ্বংসকর্তা?
তুমি কি জানতে যে
তোমাদেরই বংশে আসবে সে
যে "গরীব মানুষকে চাপা দিয়ে
বড়লোকের মোটরগাড়ী" বানাবার
সব আয়োজন পাকা করবে?
তুমি কি জানতে যে
তোমাদেরই বংশে আসবে সে
যে "বাংলার মাটি" কে
"দুর্বৃত্তের" হাতে তুলে দেবার জন্য
এই মহাশস্যমেধ যজ্ঞের
প্রধাণ পুরোহিত রূপে নিজেকে
নিযুক্ত করবে?
তুমি কি জানতে যে
তোমাদেরই বংশে আসবে সে
যার বিরূদ্ধে গরীব মানুষ রুখে দাঁড়িয়ে
প্রমাণ করবে যে সত্যিই
"বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি"?
হে দৈবজ্ঞ মহাকবি
তুমি কি সব জানতে?
তাই কি
তোমার কবিতায় এসব কথা
আগাম লিখে রেখে
বাংলার মানুষের কাছে
দায় মুক্ত
করে গেছ নিজেকে?
তুমিই সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের শ্রেষ্ঠ কবি
তাই "কবিতার স্নিগ্ধতাকে ছুটি দিয়ে
কঠিন গদ্য এনে" তোমাকে সেই
"ক্ষুধার রাজ্যের গদ্যময় পৃথিবীর
পূর্ণিমা চাঁদের মতো ঝলসানো রুটি"
খেতে চাওয়া মানুষের হয়ে
এই দুষ্ট কবি জানায়
সকৃতজ্ঞ প্রণাম ||
. ************** কলকাতা ২৮/৪/২০০৭ সূচির
পাতায় ফেরত
মিলনসাগর
বুদ্ধ, তুমি ঘুমোও কেমন করে? আবৃত্তি শুনুন
প্রজারা তোমার আদেশেই মরে |
ডান হাত বাঁ হাত বলে হুংকারে
লাইফ হেল হবে চার দিক ঘিরে
রাতেই তোমার ভাড়াটে গুণ্ডা
সাতটি মানুষ মারে!
বুদ্ধ, তুমি ঘুমোও কেমন ক'রে?
আইন কানুনের দোহাই পেড়ে
অসংখ্য মানুষ মেরে
মায়ের কোলের শিশুদের কেড়ে
খুন ক'রে পা টেনে ধরে, চিরে
কত যে নারীর সবকুছ কেড়ে
কচুকাটা ক'রে বস্তায় ভরে
নদীতে ভাসিয়ে সারে!
বুদ্ধ, তুমি ঘুমোও কেমন ক'রে?
তোমারই প্রজা তোমারই ছোড়া
গুলি গোলা খেয়ে মরে
হাসপাতালের ডাক্তার ডরে
অথবা তোমার ভক্তির ভরে
রুগীর কাগজে কারচুপি করে!
বুদ্ধ, তুমি ঘুমোও কেমন ক'রে?
তুমি কি এখনও শিল্পের ঘোরে?
সালিমের মত শ্বাপদের ঘাড়ে
বাংলার গ্রামে গঞ্জে শহরে
ছাপোষা চাষীর সব কিছু কেড়ে
তাদের রক্তে হোলি খেলো, ঘুড়ে?
বুদ্ধ, তুমি ঘুমোও কেমন ক'রে?
এই এমন মৃত্যু নাচন
তোমার কোন সংসকৃতি ধরে?
দুষ্ট কবি কহে বারে বারে
এ কথা লিখেই গায়ে ঘৃণা ধরে!
বাস্তব ভাবো, হয় তা কেমন ক'রে?
সকল মানুষ অবাক, রাজা---
প্রশ্ন তোমায় করে!
বিবেকেরে কি দিলেই ছুটি ক'রে?
নাকি, কোনোদিনই এই বিবেক বালাই
ছিল না অন্তরে?
বুদ্ধ, তুমি ঘুমোও কেমন ক'রে?
. ************** কলকাতা ২৮/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
নন্দীগ্রামের গণহত্যার দিন যত মানুষ হাসপাতালের মুখ দেখতে
পেরেছিলেন, তাঁদের নানা কৌশলে ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে অসত্য বা
অর্ধসত্য লেখার চেষ্টা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে | প্রথমে চেষ্টা
হয়েছিল রোগীদের সেরে ওঠার আগেই হাসপাতাল থেকে বিদেয়
করার | কয়েক দিন আগে দেখা গেল কলকাতার SSKM হাসপাতালে
রোগীদের ছাড়পত্রে তাঁদের বাড়ীর ঠিকানায় নন্দীগ্রাম লেখা নেই এবং
গুলির আঘাতের কথাও উল্লেখ করা নেই যাতে ভবিষ্যতে এই
নন্দীগ্রামের মানুষগুলির, শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আদালতে দুর্বল
হয়ে যায় |
মিলনসাগর
তুই মুক্ত আবৃত্তি শুনুন
তুই মুক্ত রে তুই মুক্ত!
তুই শান্তি ফিরিয়ে বাঁচতে, যা লড়ে
গণতন্ত্রের শান্তির ভীত হল আজ নড়বড়ে |
তুই শান্তির পথ ছেড়ে এখন ক্রান্তি জড়িয়ে ধরে
কর মনকে শিকল মুক্ত |
তুই মুক্ত রে তুই মুক্ত |
তোর দায়বদ্ধতা পিছু টান গেছে ছেড়ে
এখন ঝাঁপিয়ে পরে শত্রুর প'রে
হুংকার ছেড়ে হা রে রে রে রে
কর নিজেকে দখল মুক্ত |
তুই মুক্ত রে তুই মুক্ত |
যুদ্ধ যখন লেগেছেই খোলাখুলি
তুই ছুড়ে ফেলে মুখে শান্তির বুলি
শান দেওয়া তোর কাস্তে তুলে
রুখে দাঁড়া তোর খেতের আলে
কর মাটিকে শাপদ মুক্ত |
তুই মুক্ত রে তুই মুক্ত |
শত্রু যখন বার বার এসে
ঘরের আব্রু দিয়ে যায় পিষে
নে দুই হাতে তোর বন্দুক তুলি
শান্তি কৃষ্টি সভ্যতা ভুলি
কর গ্রামকে পিশাচ মুক্ত |
তুই মুক্ত রে তুই মুক্ত |
দুষ্ট কবি অস্থির মতি
নিত্য দেখে তোদের ক্ষতি
ধিক্কার দিয়ে আকাশ বাতাস ভরায়
শান্তির এই পরিহাস দেখে লেখনী থমকে দাঁড়ায়
কর শান্তিকে ছল মুক্ত |
তুই মুক্ত রে তুই মুক্ত |
. ************** কলকাতা ৩০/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
গত কাল ভোর রাত থেকে খেজুরি ও সাতাঙ্গাবাড়ী থেকে শাসকদলের
ভাড়াটে বাহিনী, নন্দীগ্রামে আক্রমণ চালিয়ে ঘর বাড়ী পুরিয়ে দেয় |
দিনভর পাল্টা প্রতিরোধ করে গ্রামবাসীরা শত্রুকে তারিয়ে দিতে সমর্থ
হয় | এতে দুপক্ষেরই হতাহতের খবর পাওয়া গেছে | মুখ্যমন্ত্রী যখন
শান্তি বৈঠকে বসার কথা বলছেন তখন তাঁর দলের এই আচরণ কেন
সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে |
মিলনসাগর
ছানি আবৃত্তি শুনুন
বাঙালী জেনে গেছে
তোমার কথার অবাধ্য হলে
কী হতে পারে
এই দুষ্ট কবি জেনে গেছে
তোমার মত
রাজনৈতিক মৌলবাদীর
হাতে গণতন্ত্রের
কি হতে পারে
নন্দীগ্রামের অতগুলো প্রাণের
দায় তোমার মাথায়
সে তুমি সভা সমিতিতে
তোমার মাথায় টোকা দিয়ে
স্বীকার কর চাই না কর
নন্দনে তোমার সভাকবিকুল
ঘেরা রাজসিক আড্ডার
চায়ের কাপে
নন্দীগ্রামের ক্ষতবিক্ষত মুখগুলি
কি ভেসে ওঠে না?
তোমার চোখে
পুঁজির যে ছানি পড়েছে
তা কি এতই পুরু?
. ************** কলকাতা ৩০/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
গত কাল ভোর রাত থেকে খেজুরি ও সাতাঙ্গাবাড়ী থেকে শাসকদলের
ভাড়াটে বাহিনী, নন্দীগ্রামে আক্রমণ চালিয়ে ঘর বাড়ী পুরিয়ে দেয় |
দিনভর পাল্টা প্রতিরোধ করে গ্রামবাসীরা শত্রুকে তারিয়ে দিতে সমর্থ
হয় | এতে দুপক্ষেরই হতাহতের খবর পাওয়া গেছে | মুখ্যমন্ত্রী যখন
শান্তি বৈঠকে বসার কথা বলছেন তখন তাঁর দলের এই আচরণ কেন
সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে |
মিলনসাগর
আর কত রক্ত আবৃত্তি শুনুন
বুদ্ধ তোমার শিল্প গড়তে
আর কত তাজা রক্ত লাগে?
তব রসনা-তৃপ্তি-লহুর মানুষ
কি সিঙ্গুর নন্দীগ্রামেই থাকে?
বললে সেথা শিল্প হবে না
নন্দীগ্রাম থাক আঁধারে |
তবুও কেন মৃত্যু তাদের
প্রত্যহ এসে বিদারে?
প্রতিহিংসায় জ্বলেও মুখে
"বৈঠকে বসো" বলছো |
চাষাভুষাদের কাছে হেরে গিয়ে
অন্তর্দাহে জ্বলছ |
তাই কি লেলিয়ে দিয়েছ তোমার
রক্ত লোলুপ পিশাচের দল?
তোমার কথা না শোনে যদি
দেখুক তবে কি হয় ফল?
বাংলা মায়ের আঁচল নিয়ে
মিছে ছিনি মিনি খেলছো |
সাবধান রাজা! দুষ্ট কবি
বলে তুমি ঠিক ডুবছ |
বাংলা তোমাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে
ইতিহাস কেন ভুলছো?
. ************** কলকাতা ৩০/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
গত কাল ভোর রাত থেকে খেজুরি ও সাতাঙ্গাবাড়ী থেকে শাসকদলের
ভাড়াটে বাহিনী, নন্দীগ্রামে আক্রমণ চালিয়ে ঘর বাড়ী পুরিয়ে দেয় |
দিনভর পাল্টা প্রতিরোধ করে গ্রামবাসীরা শত্রুকে তারিয়ে দিতে সমর্থ
হয় | এতে দুপক্ষেরই হতাহতের খবর পাওয়া গেছে | মুখ্যমন্ত্রী যখন
শান্তি বৈঠকে বসার কথা বলছেন তখন তাঁর দলের এই আচরণ কেন
সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে |
মিলনসাগর
বাংলা জ্বলুক
দুষ্ট কবির কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন . . .
"বাংলা জ্বলছে" অ্যালবামের এই গানটি দেবাশিস রায়ের সুরে ও অমিত রায় এবং প্রবীর বল-এর
কণ্ঠে শুনুন . . .
বাংলা জ্বলছে, তাই জ্বলুক
আরও জ্বলুক, আরও জ্বলুক |
নির্ঝঞ্ঝাটে ভদ্র বাবুরা
এখনও সুখ নিদ্রায়
ভীত, পথে নেমে হাঁটতে
বা শঙ্কিত নানা দ্বিধায়---
তাই জ্বলুক, বাংলা জ্বলুক
আরও জ্বলুক, আরও জ্বলুক |
বাঁচন মরণ লড়াই যখন
কড়া নাড়ে এসে দরজায়
অতি শিক্ষিত বাবুরা তখনও
শান্তির পথ হাতরায়---
তাই জ্বলুক, বাংলা জ্বলুক
আরও জ্বলুক, আরও জ্বলুক |
শাসক যখন শান্তিকে করে
পরিহাসে পরিনত
অশান্তিকেই মন্ত্র মেনে
শোষণেরে কও দূর হটো---
তাই জ্বলুক, বাংলা জ্বলুক
আরও জ্বলুক, আরও জ্বলুক |
দুষ্ট কবির লেখনির খোঁচে
মনের গহন জ্বলে উঠুক
সুখ-শান্তির ভ্রমে আছে যারা
কালের ডাকে পথে নামুক---
তাই জ্বলুক, বাংলা জ্বলুক
আরও জ্বলুক, আরও জ্বলুক ||
. ************** কলকাতা ২/৫/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
মুখ্যমন্ত্রী যখন শান্তি বৈঠকে বসার কথা বলছেন তখন তাঁর দলের লোকেরা দখল
নেবার চেষ্টায় চুড়ান্ত অশান্তির সৃষ্টি করছেন | এই আচরণ কেন, সেটাই বড় প্রশ্ন
হয়ে দাঁড়িয়েছে | বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু মহাশয় গত কাল শান্তি
প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনতে কোনো তৃতীয় ব্যেক্তির মধ্যস্থতা মানবেন না,
তা জানিয়ে দিয়েছেন | তিনি বিরোধীদের পাকিস্তানের সাথে তুলনা করেছেন!
দেখা যাচ্ছে যে ভদ্রলোক শ্রেণীর মানুষ বিরোধীদের ডাকে এখনও রাস্তায় বেরিয়ে
এসে প্রতিবাদ করতে, হয় দ্বিধাগ্রস্থ নয় আতঙ্কিত | এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী এখনও
বিরোধীদের প্রতিরোধের পথের ভাল মন্দ বিচারের চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই
যাচ্ছেন | এতে সাধারণ
মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন এবং পথভ্রষ্ট শাসক দলের হাত শক্ত হচ্ছে |
মিলনসাগর
হারিয়ে যাচ্ছে আবৃত্তি শুনুন
চারিদিক টগবগ্ করে ফুটছে
শান্তি বৈঠক
খেজুরি থেকে বোমাবাজী
সাতাঙ্গাবাড়ী দখল
ভূমি উচ্ছেদ কমিটির পালটা বোমাবাজী
সব ব্যাটা তৃণমূল
পঞ্চায়েত নির্বাচন
খেজুরিতে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার লোক
তাদের কি হবে
সিমিএমের সরকার
সরকার কেন রিলিফ দিচ্ছে না
নতুন করে রাস্তা কাটা
এবার তা সিপিএম এর একাউন্টে
বুদ্ধিজীবীদের নন্দীগ্রামে রিলিফ
কেন খেজুরিতেও নয়
বুদ্ধিজীবীদের উপর হামলা
গাড়ী ভাঙচুর
লাল ঝাণ্ডা
বাকিদের কটুক্তি
মন্ত্রীর উক্তি
যেন বোষ্টমীর কপালের ফাইনাল তিলক
ওটা ছাড়া বোষ্টমীই কমপ্লিট হয় না
ওরা রাজনীতি করছে
ওরা তাই কমিউনিস্ট বিরোধী
এতকাল তো ওদের অনেকেই
সিপিএমের হয়ে ভোট চেয়েছে
নির্বাচনে
বুর্জুয়া কাগজে ইস্তাহারে সই করে করে
নেতা মন্ত্রীদের পাশে থেকে
মঞ্চে দাঁড়িয়ে বা গাড়ীতে ঘুরে ঘুরে
না ওটা রাজনীতি ছিল না
বলছি ওটা রাজনীতি
বলছি না
হ্যাঁ
টিভির পর্দায়
কু-বুদ্ধিজীবীদের আড্ডা
বুদ্ধিজীবী বুদ্ধিজীবীর কাজিয়া
যেন কবিয়ালদের লড়াই
নন্দীগ্রামে ওদের কি কাজ
ওরা গান গাইবে নাটক করবে
ছবি আঁকবে ব্যাস
যে রাঁধে তার চুল বাঁধার কি ঠ্যাকা
দেশে গণতন্ত্র নেই
বলছি আছে
বলছি নেই
আছে
সি বি আই কে মনে পড়ে
হাইকোর্টে মামলা পিছোলো
মামলা আবার পিছোলো
আবার পিছোলো
পিছোলো
ছোলো
লো
এবার হলফনামা দেবার পালা
দুষ্ট কবি
যেন কালের জবানবন্দী
লিখতে বসেছে
উঠে যাচ্ছে
সব
কিছু কি হারিয়ে যাচ্ছে না
হারিয়ে যাচ্ছে
আসলটাই
জমি লুঠের ট্রেড সিক্রেট
তাপসী মালীক
চোদ্দই মার্চ
কার আদেশে
কারা কেন কত কোথায় কিভাবে
মারা হলো
পাচার হল
তার বিচারের কি হল
কারা শাস্তি পেল
সাক্ষী প্রমাণ
স্যানিটাইজেশন সারা
এত সময় দেওয়া হলো
মনমোহনের হাতেও কি রক্ত
এখন দৃষ্টি ঘুরিয়ে দাও
এত দিনে
সব পরিস্কার
অনেক কিছুই
হারিয়ে যাচ্ছে
. ************** কলকাতা ৩/৫/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
অনেক ঘটনা এক সঙ্গে ঘটে চলেছে | ১লা মে নন্দীগ্রামে রিলিফ দিতে
গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের উপর নক্কারজনক হামলা | পরিবহণ মন্ত্রী সুভাষ
চক্রবর্তী এই ঘটনাকে সগর্বে সমর্থন করেছেন | জমি দখলের লড়াই
তুঙ্গে | এ সবের মধ্যে অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে |
মিলনসাগর
তবে লজ্জা কেন? আবৃত্তি শুনুন
কৌরব সভায়
স্বামীদের হাত পা বেঁধে,
সে যে দড়ি দিয়েই হোক না কেন,
রাজাদেশে, দ্রৌপদীর কাপড় টেনে খুলতে
শুরু করেছিল দুঃশাসন |
কিন্তু এই অবধি লেখা হলে
বেদব্যাসের গলা কেঁপে উঠেছিল |
তারপর যা অবধারিত, তা তিনি
বলতে চান নি |
রাজসভায়, প্রকাশ্য দিবালোকে,
কুলনারীকে নগ্ন করার দৃশ্যের বর্ণনা তিনি
রুচি সম্মত মনে করেন নি |
তাই সেই দৃশ্যে ডেকে এনেছিলেন ভগবানকে |
তাতে আমরা রক্ষা পেয়েছি---
দ্রৌপদীর নগ্ন শরীরের চরম লাঞ্ছনার রগরগে
বর্ণনা থেকে |
কিন্তু সত্যিই কি বাঁচতে পেরেছি আমরা?
ভিডিও ক্যামেরার সামনে
নন্দীগ্রামের নারীরা
বলে গেলেন তাঁদের ধর্ষিত হবার বিবরণ!
প্রকাশ্য দিবালোকে বললেন
"আমাকে ওরা ধর্ষণ করেছে"
যেন তাঁর আর লজ্জা শরমের লেশমাত্র
অবশিষ্ট নেই!
হাজার হাজার বছরের সভ্যতায়
যে ক্রিয়া-প্রক্রিয়াগুলোকে অতি ব্যক্তিগত বলে
একান্ত গোপনীয়তার মোড়কে মুড়ে রাখা হয়েছিল
তা আজ এক পিশাচসিদ্ধ রাজার আদেশে
তারই সৃষ্ট পিশাচ-বাহিনীর দ্বারা,
যদি সর্ব সমক্ষে খুলে করা হয়---
সন্তানের সামনে, স্বামীর সামনে,
শশুর শাশুড়ির সামনে, প্রতিবেশীর সামনে,
তবে আর লজ্জার কি প্রয়োজন?
আর লজ্জা কার জন্য?
আর লজ্জা করার কি দরকার?
আর লজ্জা কেন?
উপরি পাওনা---
ধর্ষিত হতে হতে সন্তান, স্বামীর মরার দৃশ্য দেখা |
না, সেদিন ভগবানকে আমরা
আসরে নামাতে পারিনি কারণ
আমাদের, ব্যাসদেবের শালীনতাবোধ নেই |
দ্রৌপদী শেষ পর্যন্ত বিচার পেয়েছিলেন |
এই নারীরা কি পাবেন?
দুষ্ট কবি জানে না ||
. ************** কলকাতা ৬/৫/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
৩/৫/২০০৭ তারিখে পূর্ব মেদিনীপূরের চণ্ডিপুরে নন্দীগ্রাম থেকে আসা
অত্যাচরিত কিছু মহিলাদের দেখা গেল সরাসরি ক্যামেরার সামনে
অভিযোগ করতে যে তাঁরা ধর্ষিতা হয়েছেন ১৪ই মার্চ এর ঘটনায় |
তাঁরা এসেছিলেন ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে সাক্ষ্য দিতে |
কতখানি আঘাত পেলে নারীর সম্ভ্রমবোধ সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যেতে
পারে?
মিলনসাগর
এবার তাদের পালা
সাগরিকা হোড়-এর কণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন
রাজার বাণী রুখলো যারা
এবার তাদের রোখার পালা |
শিষ্ট প্রজার দমন সাথে
এবার তাদের যাতন মেলা ||
সমাজ বিবেক সজাগ রাখার
ব্রতে যাদের কলম চলা |
এবার তাদের খুঁজে খুঁজে
শুরু ভাতে মারার খেলা ||
কবি শিল্পী গায়ক নট
যাঁদের পথের-কাঁটা বলি |
সব কালেতেই তাঁদের ঝুলি
ভরা শুধু বিবেক বুলি ||
সে ধন মনের ক্ষুধা মেটায়
বাঁচার রশদ ভাতের থালা |
তাই তো সৃষ্টি ভেঙ্গে বেচে
চলে তাদের জীবন চলা ||
মুখ ভেঙানি চোখ রাঙানি
গা জোয়ারী কুত্সা গাওয়া |
এবার তাদের মুখের গ্রাসে
রাজার বক্র চোখের চাওয়া ||
এটাই হবে এটাই হবার
এটাই রাজ-দ্রোহের মজা |
মানুষ-মতো হলেও এটাই
আসল মানুষ হবার সাজা ||
হে নির্যাতিত মানুষ! জেনো--
তুমিই দুর্দিনের সীমা |
তোমার রুখে দাঁড়ানোতেই
সুদিন আবার ফিরিয়ে আনা ||
দুষ্ট কবির কাব্য থাকুক
কিম্বা নাহি থাকুক ধরায় |
কবি কেহ গা'বেই সদা
যুদ্ধে তোমার পাশে দাঁড়ায় ||
. ************** কলকাতা ১৫/৫/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত
এখন শান্তি বৈঠক করা নিয়ে শাসক দল বামফ্রন্টে বৈঠকের পর
বৈঠক চলছে | ইতি মধ্যে নন্দীগ্রামের মানুষ শাসক দলের তরফে
যোগাড় করা রিলিফ নিতে অস্বীকার করেছেন | ভূমি উচ্ছেদ
প্রতিরোধ কমিটির তরফে শাসক দলের দাগী নেতাদের ছাড়া
সব ঘরছাড়া মানুষকেই নন্দীগ্রামে ফেরার বন্দোবস্ত করা
হয়েছে | এই সব নেতাদের নামে সরাসরি ১৪ই মার্চ ২০০৭ এর
গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে |
মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধিজীবী মহলের সাথে বৈঠক করছেন | প্রতিবাদে
শামিল হয়েছিলেন বলে, শাসক দলের নানান নেতার
প্ররোচনামূলক উক্তির পরিপেক্ষিতে, সাধারণ বুদ্ধিজীবীদের মনে
তাঁদের কাজকর্মের ভবিষ্যত নিয়ে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে |
এ রাজ্যে শাসক গোষ্ঠির সাথে না থাকলে কি হয় তা সবাই
জানে |
মিলনসাগর
কেমন আছি! আবৃত্তি শুনুন
মোরা আছি
মোরা খাসা আছি
মোরা খাসা, ম'রে যেন আছি |
পাছে বোঝে ওরা
কোন দিকে মোরা
তাই ভয়ে ম'রে আছি |
কেউ বাড়ি এলে
নানা কথা-ছলে
বুঝি অতিথির "দল" !
বে-ফাঁস কিছু ব'লে
রাজ-দল-অনলে
কে পড়িতে চায় বল্ !
মোড়ে মোড়ে দেখো
দেখে মনে রেখো
আমরাই নিরপেক্ষ |
অন্যথা হ'লে
এই রাখি ব'লে
ফলটা ব্যায় সাপেক্ষ !
এ যাবৎ যথা
শিষ্টের কথা
বলে কবিবর দুষ্ট |
এমারজেনসি!
এর চেয়ে বেশী
ছিল কি মানুষ ত্রস্ত ?
. ************** কলকাতা ২১/৫/২০০৭ সূচির
পাতায় ফেরত
এমারজেনসির দিনগুলি মনে পড়ে?
মিলনসাগর
শান্তি বৈঠক ২! আবৃত্তি শুনুন
ভেস্তে গেল শান্তি বৈঠক
চালিয়ে যা ডন্ বৈঠক
নইলে ঢুকবে ভাড়াটে ঘাতক
খেজুরির দিক দিয়ে !
রাজা কি চান শান্তি ফেরাতে?
তাঁর প্রয়োজন জমি ও জিরেতে
অঞ্জলি দেবে সালেম টাটাতে
থামবে তোদের উচিত শিক্ষা দিয়ে !
"গণহত্যা" হয়নি বলছে
"হার্মাদ" কেউ যায়নি বলছে
প্রমাণ পায়নি, মন্ত্রী বলছে,
নন্দীগ্রামে "ধর্ষণ" আর "শিশুহত্যা"র বিষয়ে !
নিজে সভায় আসেনি রাজা
ঘাতকেরে ধরে দেয়নি সাজা
ওরে আজান দে, শঙ্খ বাজা,
যেতে হবে যে আন্দোলনকে চালিয়ে |
শান্তি শান্তি স-ব ভাঁওতা
"দখল" শুধু "দখল"-ই কায়দা
মগজ ধোলাই এর এটাই ফায়দা
বোঝার ক্ষমতা বাঙালী ফেলছে হারিয়ে |
দেখে হেথা বাম-ডানের বিভেদ
লজ্জিত আর যত ভেদাভেদ
দুষ্ট কবি মিলনের ক্ষেদ
এই সুযোগে দই টা মারছে নেপোয় !
. ************** কলকাতা ২৫/৫/২০০৭ সূচির
পাতায় ফেরত
গত কাল ফরওয়ার্ড ব্ লক নেতা অশোক ঘোষের উদ্দোগে
ডাকা সর্বদলীয় শান্তি বৈঠক ভেস্তে যায় | সফল হবে এমন আশা
কেউ অবশ্য করে নি | প্রথম থেকেই লক্ষ্য করা গেছে যে শাসক
দল সিপিএম এই বৈঠক কে সুনজরে দেখে নি | নিমন্ত্রিত দলের
মধ্যে আসল আন্দোকারীরাই ডাক পান নি, যেমন নন্দীগ্রামের
জমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি, জমিয়তে উলেমা ই হিন্দ,
পিডিএস এবং আরও অনেকে | যদিও প্রধান বিরোধী দল
তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সিঙ্গুরের
বেচারাম মান্না ও নন্দীগ্রামের শেখ সুপিয়ান বৈঠকে গিয়েছিলেন |
বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ ছিল এই যে বৈঠকের একটি
প্রস্তাবে নন্দীগ্রামে "গণহত্যা" কথাটি উল্লেখ করতে শাসক দলের
রাজি না হওয়া |
মিলনসাগর
চির বিদ্রোহী
চির বিদ্রোহী কবি নজরুল,
আজ তোমার জন্মদিনে
তুমি নাই, এই সত্যেরে,
বড় মূল্য দিয়ে, বাঙালী নিয়েছে মেনে |
সবহারাদের বন্ধুরা শেষে
এতকাল থেকে শাসকের বেশে,
আজ মুখোশ তাদের
পড়েছে ধরায় খসে |
সর্বহারাই আজ হাড়িকাঠে
অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়েছে |
বিদ্রোহের দামামা আবার
বাংলার বুকে উঠেছে বেজে |
আধেক বাঙালী এখনও ঘুমিয়ে
গভীর সুখ নিদ্রায় |
হে চির বিদ্রোহী! তাই দুষ্ট কবির
তোমাকেই মনে পড়ে যায় |
পরিচিত বেশে আরবার এসে
র'চে বিদ্রোহী কবিতা,
ভ্রান্ত সুখের শ্রান্ত ঘুমের
ঘোচাও কুহক বিমুঢ়তা |
কবি আছে থাক, কবিতাও থাক
তাতে তো আগুন জ্বলে না মনে |
"কে দেবে হৈদরী হাঁক, কাঁধে নেবে দুন্দুভি ঢাক
মৃত্যুকে কে ডাকবে আজ জীবন পানে?"
. ************** কলকাতা ২৫/৫/২০০৭ সূচির
পাতায় ফেরত
আজ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম দিন |
মিলনসাগর