মিলন সেনগুপ্ত   ১লা জুলাই ১৯৯১ তারিখে প্রথম, কলকাতার একাদেমী অফ ফাইন আর্টস এ চক
ভাস্কর্যের একক প্রদর্শনী করেন | তাঁর ভাস্কর্য্যের মধ্যে কিছু প্রতিকৃতি এই সাইটের
 মিলনের ভস্কর্য্য পাতায়
দেখতে পারেন | এখানে  
মিলনের চক ভাস্কর্য্য দেখতে  ক্লিত করুন |

এই সাইটটি তিনি নিজে পরিচালনা করেন | অনেকেই বলছেন যে সাইটটি বড্ড চোখে লাগছে | একটুখানি
যায়গায় অনেক কিছু ঢোকানো হয়ে গেছে | তার কথা হল এই যে, অনেক কিছুই যে পাঠককে বলার আছে |  
যে জাতির, নিজের ভাষার প্রতি সহজাত নাক শিটকানো মনোভাব, তাকে
 বাংলায় কমপিউটরে কাজকর্ম
করাতে হবে | তাকে বোঝাতে হবে এবং করে দেখাতে হবে যে বাংলায় ইনটারনেটের প্রায় সব কিছুই করা
সম্ভব | বাংলা ভাষা ব্যবহার না করলে, বাংলাকে অচিরেই যাদুঘরে ঠাঁই নিতে হবে | তাই কেবল নিজের
ভাস্কর্য বা নিজের কথা অন্যদের দেখানো-শোনানোই এই সাইটের উদ্দেশ্য নয় | এই সাইট ফেরত বাঙালীরা
যদি, বাংলায় তাঁদের নিত্য প্রয়োজনীয়, অন্তত ব্যক্তিগত কাজকর্ম, যতদূর সম্ভব বাংলায় করতে অনুপ্রাণিত
হন, তবেই এই ওয়েবসাইটটির সার্থকতা |

পশ্চিম বঙ্গে বাংলা ভাষার দুর্ভাগ্য, দুর্দশা, পরিনতি এবং রাজনৈতিক ধাপ্পাবাজী ইত্যাদি বিষয়ে বাংলা পত্র-
পত্রিকায় লেখা পাঠিয়ে আসছেন বহু দিন | কয়েকটি ছাপাও হয়েছে | বেশীরভাগই ছাপা হয় না কারণ তা
মূলত প্রতিষ্ঠান বিরোধী | তার সাফ কথা - ছাপা হবে না বলে কি লিখবো না ? তাই এই সাইটের
 আপনার
মতামত পত্রিকাটি অবতারণা | যাঁদের লেখা কোথাও ছাপা হচ্ছে না অথচ বিষয়টি খুবই সময়োপযোগী,
তাঁরা এখানে সর্বদা স্বাগত |

মিলন সেনগুপ্ত মনে করেন যে রাজনৈতিক নেতা বা সাধুবাব-গুরুদেবদের মত শুধু কথা বলে মানুষকে
প্রভাবিত করার কাজটি তার দ্বারা একেবারেই হয়ে ওঠে না | তাই হাতে কলমেও কিছু করার চেষ্টা করেন |
পাণ্ডাপাড়া মধুসূদন স্মৃতি ক্যানসার সোসাইটি, ১৯৯৭ সালে গঠন করে প্রতি বছর, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির
পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়ী গ্রামে একটি করে বিনামূল্যে ক্যানসার নির্ণয় শিবির অনুষ্ঠিত করে আসছেন |

মিলন সেনগুপ্তকে জীবিকার জন্য যেতে হয় সাগরে | চারি দিকে শুধু জল দেখে দেখে চিত্ত যখন বিকল হয়,
তখন বেরিয়ে আসে
জলবাসের কবিতা | যদিও সংখ্যায় অতি অল্প | নানা চিন্তা ভাবনা, সমুদ্রের মাঝে
জাহাজের দোলানী, জীবন ধারণের জন্য জলে নির্বাসন, সব মিলিয়ে মিশিয়ে মাঝে মাঝে কবিতার জন্ম দেয় |


সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের আন্দোলন তাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে | সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে
কবিতা লিখে এই সাইটের
 সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের... কবিতার পাতায় "দুষ্ট কবির ধৃষ্ট কবিতা" শিরোনামে
নিয়মিত প্রকাশিত করে আসছেন এবং অন্যান্য কবিদের রচিত সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের  কবিতার একটি বিশাল
সংগ্রহও তৈরি করে তুলেছেন | তিনি কৃষিজমি রক্ষা কমিটির, কলকাতার ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে
নিজের কবিতা একাধিক বার পাঠ করে এসেছেন | কৃষিজমির রক্ষা কমিটির পদযাত্রায় হেঁটে প্রতিবাদ
জানিয়ে এসেছেন
বহুবার | সিঙ্গুরের মানুষের সঙ্গে দেখা করে জানিয়ে এসেছেন তার সমর্থন |

২০১০ সালে বাংলার মানুষ "পরিবর্তনে"-এর পক্ষে রায় দিয়ে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস কে রাজ্যের শাসনভার তুলে দিয়েছেন।

কিন্তু পরিবর্তনের সাথে সাথেই এই আন্দোলন থেকে উঠে আসা সাহিত্য, বিশেষ করে গান, গাওয়া ও
বাজানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদিও সরকারী ভাবে নয়। বলা হয় শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে ও
বাজাতে। বোধহয় আন্দোলনের নেতা-নেত্রীরা আশংকা করেছিলেন যে এই গান শুনে রাজ্যে শান্তি বিঘ্নিত
হতে পারে। সবটাই অনুমানের উপর ভিত্তি করে লিখছি। প্রকৃত কারণটি আজো আমরা জানি না। তবে
সারা বিশ্বের ইতিহাস খুঁজলেও এমনটি পাওয়া যাবে না যে, এমন কোনো সফল আন্দোলন কোথাও হয়েছিল
যেখানে আন্দোলন থেকে উঠে আসা সাহিত্য, শিল্প ও সংগীতকে আন্দোলনকারীরা নিজেই চেপে দেবার
উদ্যোদ নিয়েছেন! সে যে কারণেই হোক না কেন!

আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আন্দোলন থেকে উঠে আসা সংগীত ও সাহিত্যের
আর কোনো মূল্য নেই সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের হোতাদের কাছে। সেই প্রতিষ্ঠিত সেলেব্রিটিরাই এখন
আসর মাতান যাঁরা পরিবর্তনের পূর্বে এই আন্দোলন সম্বন্ধে সম্পূর্ণভাবে উদাসীন থেকেছিলেন অথবা সক্রিয়
বিরোধিতা করেছিলেন, অথবা পূর্বতন সরকারের হ'য়ে বিভিন্ন ইস্তাহারে সই করে মানুষের কাছে সেই
সরকারের জন্য ভোট প্রাথনা করেছিলেন!

যে শিল্পীদের বাদ দিয়ে সেই আন্দোলনের কোনো অনুষ্ঠানই সম্পূর্ণ হোতো না, সেই শিল্পীদের অনেকেই আজ
ব্রাত্য এবং তাঁদের পরিকল্পিতভাবে কালের আস্তাকূঁড়ে ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা চলছে।

তবুও মিলন সেনগুপ্ত মনে করেন যে এই আন্দোলনকে সমর্থন করে তিনি কোনো ভুল করেন নি।




কবির সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা :-
srimilansengupta@yahoo.co.in      



.