শ্যামলজিত্ সাহার কবিতা যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে। |
|||||||||||
১। অভিমান ২। অফুরান |
|||||||||||
অভিমান নিস্তরঙ্গ জল ভাল লাগে না আমার | যেমন আকাশ তারা ছাড়া সব শূণ্য --- যাহোক জলের খুব কাছ দিয়ে যেতে গিয়ে চোখে পড়ে এই নিস্তরঙ্গ ছবি | হঠাত্ এমন শান্ত হওয়া শুভ নয় ; সমান উদ্বেগে আমি মুখ ঘোরাতেই জলের ছায়ার মাঝে হোঁচট খেলাম --- তাতে লাগলো আঘাত, যন্ত্রণায় মুখ সামান্য কুঁকড়ে গেল, সব স্বাভাবিক | অথচ জলের বুকে কত চলাচল --- একটু আগেই নৌকা তিরতির গেল ; জাল পড়লো বিছিয়ে, বহুদূর ব্যাপী | তবু কেন তরঙ্গের রূপ অন্তর্হিত --- যতো অন্ধকার হয় দিন অবসানে, ততো আর্ত অভিমান ফুটে ওঠে জলে! ************** |
|||||||||||
উপরে |
|||||||||||
অফুরান ব্যথা প্রমাণ করেছে জীবন রয়েছে | তাই এত আকুলতা বেঁচে থাকবার ---- মৃত্যু বুঝে বিলাসিতা, শুধুই সংশয় ; একটু একটু ক'রে শরীর ডুবেছে | মৃত্তিকার দিকে চেয়ে প্রাণের প্রত্যয় দুলেছে চাঁদিমা রাতে, ছামনি সরিয়ে | অবান্তর লেখা সব জঙ্গলে উড়িয়ে মায়া মুঠো ধরে চেপে, শুধু বলে গেছি ব্যথা, কষ্ট হয় আরো, অফুরান পথ খোলা রয়েছে সামনে, রৌদ্রের আধক আলো প্রমাণ করেছে --- প্রাণ ভালবাসি || ************ |
|||||||||||
মিলনসাগর |
|||||||||||
উপরে |
|||||||||||