সুমিত কুমার দামের কবিতা যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে। |
বীর (২০০৬ সালে একটি গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু 'প্রিন্স' অবলম্বনে লেখা) পাতাল কক্ষে খেলিছ একাকী মৃত্যুঞ্জয়ী প্রিন্স। জগত্-বাহ্যে উদাসী হয়ে পিতা-মাতা-আত্মীয়েরে অধীর করে অপলক দৃষ্টি মেলে খুঁজে গেছ বাপেরে - মায়েরে। হঠাত্ হঠাত্ ভয়ে কেঁদে উঠে পরক্ষণে কীটেরে হেলায় পাশে ফেলে বিহ্বল চোখে থেকেছ নিশ্চুপ। কীযে বিরাট কাণ্ড ঘটে চারপাশে, গোটা বিশ্ব ভয়ার্ত - আকূল, তোমাকে নিয়েই। সর্বজাতি - সর্বধর্ম বিধাতার প্রতি করেছে প্রার্থনা তোমার মঙ্গলে - তুমি উদাসীন, আপন খেলায় মগ্ন, খেয়ে নাও অন্ন-জল, দীর্ঘ সময়ের কালক্ষেপে। অবশেষে দেবদূত সম সেনানীর হাত যখন ছুঁয়েছে তোমায়, তুমি অবিচল সেনানীর বাহুমধ্যে, উঠে এলে পৃথিবীতে - আলোক বর্তিকা হয়ে, হাসি ও আনন্দে ।। ************** |
চিত্ত ব্যথাহত (আন্দামানের বাঙালীদের মিলনক্ষেত্র 'অতুল স্মৃতি সমিতি'র পত্রিকা শারদীয় উন্মেষ, ১৪১৩র সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত) সাগরের পাড়ের স্বপ্ন রঙ্গীন হাতছানি আর ভাল্লাগেনা। উগ্রতনু ঐ রূপসী যৌবন উন্মনা আর ভাল্লাগেনা। পালিয়ে বেড়াই - হারিয়ে যাই দূরদেশেতে আর ভাল্লাগেনা। লোক ক্ষেপিয়ে আমিত্বর ফলাও কারবার আর ভাল্লাগেনা। পরাজয়ের আতঙ্কে এখন বিজয়ী হতেও আর ভাল্লাগেনা। 'আমার তুমি - তোমার আমি' -শুধুই ফাঁকি আর ভাল্লাগেনা। কেন বাঁচা ! কার বিরহে থাকব বেঁচে - ভাবতে আর ভাল্লাগেনা। কায়ক্লেশ দুঃখ বরণ আর অনর্থ আহ্লাদ আর ভাল্লাগেনা। সবাই খারাপ, শুধুই আমি ভাল - বলতে আর ভাল্লাগেনা। সব পেয়ে তাই - কিছুই না পাই - বলতে আর ভাল্লাগেনা। ******* |
রং-বেরং |