বিপরীত পথে হাঁটি
কবি আনজু বানু
( নমিতা চৌধুরী ও অনিন্দিতা বসু সান্যাল সম্পাদিত দামিনী কাব্য সংকলন থেকে নেওয়া )

কিছু বলার ছিল,
বলব ব’লে মুখ খুলতেই
কলার চেপে ধরল নাট্যকারের হাত।
তারপর আমার চেতনার মাটিতে
একটি মরুভূমির মঞ্চ সাজিয়ে বলল
এসো তোমার স্বপ্নময় চোখে
ধুতরোর মতো আদিম ফুল ফোটাই।
ব্যর্থ হয়ে কিছু ছিঁড়ে কিছু উড়িয়ে
এবশেষে তর্জনি দেখিয়ে বলল
এইভাবে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

কোথাও যাওয়ার ছিল,
যাবার জন্য পা বাড়াতেই
ঠিকাদার এসে সমীহ করে বলল
মা ঠাকুরুনরা যেখানে কাঁথা বিছিয়ে শুতেন
সেখানেই বিছানা পাতা দরকার।

মূর্খ নাট্যকারের ভুল অঙ্কের মঞ্চ দেখে
সেই শিক্ষায়, ঠিকাদারকে অমান্যকরে
ছুটে চলেছি গন্তব্যের দিকে।

.        ******************       
.                                                                             
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
কবি আনজু বানু-র কবিতা
*
নদীহীন রৌদ্রহীন
কবি আনজু বানু
( নমিতা চৌধুরী ও অনিন্দিতা বসু সান্যাল সম্পাদিত দামিনী কাব্য সংকলন থেকে নেওয়া )

ধূপ নয় দীপ নয় মাথা পাতা ছিল উজ্জ্বলতার কাছে,
ভাবিনি ভিতরে এত অন্ধকার জমাট বেঁধে আছে।
আশ্বিনী মেঘ যেই ভেসে গেল ফুলেদের অতিকাছ ঘেঁষে
অজানা রাগিনী এসে তক্ষুনি ভুলিয়েছিল হেসে।
তারপর অনের দূর বহুদূর পথ হেঁটে আসা,
অতি প্রলাপ ছল ছুতো রূপকথার কথা ভালবাসা।
পড়ন্ত বেলায় আজ মরা রোদে মাথা পেতে রাখা,
জয় নয় পরাজয় দেয়ালে আকাশ ঢাকা মন গ্লানিমাখা।
এখন শীতল জলের তলে শুধু তলিয়ে যাওয়া,
এমনই করে হারাবে কি সবকড়ি কুড়িয়ে পাওয়া ?
নিদ্রাহীন রাত কাটে প্রতিদিন দুঃস্বপ্নের খাটে,
মনীষা মান হারাবে কি সব অসম্মানের হাটে ?
কড়ি মানে অর্থ নয় সম্পদ নয় মর্যাদার কথা,
অন্ধকার অপ্রেম আর উজ্জ্বলতার মানে হৃদয়ের ব্যথা।
নীচু হয়ে ছায়া দেখা নিজেদের ছায়া লম্বা হয় কত,
নিরাশায় ডুবতে ডুবতে দূর দিগন্তে সূর্য নামে যত।
কোথায় সেই স্বপ্ন দেখা আশার কথা স্বয়ম্ভরা মন ?
দু-হাতে নেই নদীর ছোঁয়া দু-চোখে নেই রোদের কম্পন।

.                ******************       
.                                                                             
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*