.        রন্ধন-ঘরে
.        কেঁসেল বুড়ী  
.        গোভূত খায়  
.        গন্ধ গোকুল  
.        ঘড়া ঘড়া জ
.                বিনি
.        বাঁশের আ
.                ঝিঁঝি
.        ‘দিদি নাচবি ’
.                পিদু
.                কালো
.        কাজল পেড়ে
.        চিত্তির লিখে

.                     ******************     
.                                                                                              
সুচিতে...   


মিলনসাগর
.          দাঁড়ের পরে চুপ্,
.                সাড়া শব্দ নাই আর !
.         কুড়ি পদ না যেতে ঘটিযন্তর,
.        নিদুলী বুড়ি ঝেড়েছে ফুস্ মন্তর----
.                কুত্তোর ঘাড়ে
.            আর কে ঠেকায় কারে ?
.        ভুতুম ঘাড় মটকাতে হুকুম পাঠায়,----
.        শীত শীত লাগে কলাপাতার শিরদাঁড়ায় |

.                   জুনি ভেংচায় পিদুমকে,
.                       নেংটি কামড়ায় বেঞ্চিকে,
.        চাম্ চিকিতে টিক্ টিকিতে লেগে গেল খিটিমিটি |
.                   কালো বেড়াল চুনের ঘরে,
.                    চুলের দড়ায় ঝুলে মরে |
কবি উত্তম দাশ-এর কবিতা
যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
*
বিরু বাবু   
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(
শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং এখ্লাস্উদ্দিন আহমদ সম্পাদিত “দুই বাংলার ছড়া” ছড়া-সংকলন থেকে)


বিরু বাবু
বেড়িয়ে কাবু
.        হওনি
রোদে টোদে হি
.        যাওনি
রোগা টোগা কা
.        হইও না
গাছে টাছে ডালে
.        বেড়িও
বই টই ছবি ট
.        দেখছো
হিরে টিরে খুঁজে
.        পাচ্ছো
সায়েব টায়েব
.        দেখিয়া
মুর্গি টুর্গি ডিম
.        খাইয়াছো
রুটি- টুটি কেক্
.        চলবে
পান টান খেয়ে
.           ফেল্

.             ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
*
.                        পাই আমি পাখীকে,
.                পেয়ে যায় তাকে হিমে নিথর-উত্তর আকাশ,
.                পায় কত দূরের নিস্পন্দ-নীল পর্বত ;
.                পেয়ে যায় শীত-কাতর একা হরিণ
.                        রাজোদ্যানে ধরা!


আমারি মতো পরদেশী যে,
আর যার মধ্যে কোনো স্বপ্ন, কোনো কবিত্ব নেই,
.                সেই আমার গোবিন্দ খাসনামা---
.                সে শুনেছে ভোরে উঠে
.                গয়লা-পাড়ায় নেমে চলার পথে ;
রোজই সুধায় সে পাখীর খবর,
ফাঁদ পাতার মতলব দেয় সূর্যমূখী -বেড়ার ফাঁকে!


ঝরনা যেখানে সরু একগাছি আলোর মালা দিয়ে
.                বেড়ে নিয়েছে একখানি পাথর,
ঊষার এই মনের পাখী উড়ে বসে কি সেইখানে ?
.                রাত থাকতে পায় কি চায়ের পরশ
.                তার শিশিরে-মাজা নিকষ পাষাণ ?
বরফ-গলা নতুন নদী---উছ্ লে পড়ে, উল্ সে চলে---
সে কি ধরে নিয়ে যায় পিয়াসী পাখীর রূপের ছায়া ?


যুগান্তরের শীতের সকাল অকাল-বসন্তের ভোর রাতে
.                        পেয়েছিল যাকে
.                সেদিনের ঝরনাতলায় নতুন ঝাউবনে,
.                কোথা হতে এল সে পাখী কে জানে তা ?
আজকের ভোরাই ধ’রে যে পাখী করে আসা-যাওয়া
.                        ঘুম ভাঙানোর বেলায়
.                অস্বচ্ছকাচমোড়া আমার এই খোপটার বাইরে,
সে কি ঝরনার পাখী, না ঝাউবনের, না উপর-পাগাড়ের,
না ওই পাহাড়-তলার চা-বাগিচার নীচের জঙ্গলের ?
সে কি থাকে একলা কোনো পাথরের ফাটলে ;
না সে বাসা নিয়েছে আমাদের সঙ্গেই কাচমোড়া ঘরেই ?
*
সে আলো ভিক্ষে করছে,
একটুখানি সোনার আলো-মাখা দিন তারি প্রার্থনা,
ভোরবেলার সবাই কাঁদছে, দেখবে,
আলো চেয়ে,
গোলাপের কুঁড়ি সে অন্ধকারে কাঁদছে আর বলছে,
আলো দিয়ে ফোটাও।
ঐ যে খেতের মাঝে একটা কাস্তে, চাষারা ভুলে এসেছে,
সে ভিজে মাটিতে প’ড়ে মরচে ধ’রে মরবার ভয়ে চাচ্ছে আলো,
একটু আলো এসে যেন রামধনুকের রঙে
চারিদিকের ধানের শিষ রাঙিয়ে দেয়।

নদী কেঁদে বলছে, আলো আসুক,
আমার বুকের তলা পর্যন্ত গিয়ে আলো পড়ুক।
সব জিনিষ চাচ্ছে যেন আপন আলোয় তাদের রং ফিরে পায়,
আপনার-আপনার হারানো ছায়া ফিরে পায়,
তারা সারা রাত বলছে, আলো কেন পাচ্ছিনে,
আলো কি-দোষে হারালেম।
আর আমি কুঁকড়ো সে-কান্না শুনে কেঁদে মরি,
আমি শুনতে পাই ধানখেত সব কাঁদছে,
শরতের আলোয় সোনার ফসলে ভ’রে ওঠবার জন্যে,
রাঙা মাটির পথ সব কাঁদছে,
যারা চলাচল করবে তাদের ছায়ার পরশ
বুকের উপর বুলিয়ে নিতে আলোয়।
শীতে গাছের উপরের ফল আর গাছের তলায়
.        গোল-গোল নুড়িগুলি পর্যন্ত   
আলো, তাপ চেয়ে কাঁদছে, শুনি।
বনে-বনে সূর্যের আলোয় কে না চাচ্ছে বেঁচে উঠতে,
জেগে উঠতে,
কে না আলোর জন্য কাঁদছে সারা রাত।
এই জগৎ সুদ্ধ সবার কান্না, আলোর প্রার্থনা,
এক হ’য়ে যখন আমার কাছে আসে,
তখন আমি আর ছোটো পাখিটি থাকিনে,
বুক আমার বেড়ে যায়,
যেখানে প্রকাণ্ড আলোর বাজনা বাজছে, শুনি,
আমার দুই পাঁজর কাঁপিয়ে তারপর আমার গান ফোটে,
“আ-লো-র ফুল!”
আর তাই শুনে পূবের আকাশ গোলাপি কুঁড়িতে ভ’রে উঠতে থাকে,
ভূতের কেত্তন   
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর


.        শিংশপা-তলায় টিনের ছাতে,
.                বাদলা রাতে
.        তাল-বেতালে বাদ্যি বাজায়
.                রাত বারোটাতে |
বুড়ি চোকায় অরন্ধন,
মাজে ----খন্ খ্ন  ঝন্ ঝন্ !
গোহাল ঘরে,
ঘরে গা সাফ্ করে,
য় আড়াই প্রহরে |
,
কাশ-পিদিম ফেরায় ছাতে |
. বলে উইচিংড়াকে---
.  হাস্ বি ? দিদি কাঁদ্ বি ?’
ষ্-----
-------
.  গিরগিটির
. যায় ----শেষা রাতে !!
পাহাড়িয়া     
অবনীন্দ্র
(
প্রমথনা

জেগে-ও
একটি পা
উত্তর-পা
.                                
.                


যে দিকে
সে দিক
যেখানটা
সে পথ


রূপ থে
বং ডঃ তারাপদ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত “কাব্যবিতান” কাব্য সংকলন থেকে)

রায় কিনারায় জেগে ওঠে পাখী,---
খা পাখী, কানে-শোনা পাখী!
. শ্বাস-মন্ত্র আগলে রাখে
.            কুয়াসার যাদু দিয়ে,
খীকে চিনতে দেয় না, দেখতে দেয় না!


য়েছে সূর্যমূখী ফুলের গাছ,
ড়া পেয়ে আসে সুর!
ভিজিয়ে ঝরে জল,
. ভোরে ভোরে গান!


, বুকভরা, ঘুম-ভাঙানো ভোরাই দিয়ে
.                ইসারা একটু ?

.                 ******************     
.                                                                                              
সুচিতে...   


মিলনসাগর
কুঁকড়ো
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(
বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত “আধুনিক বাংলা কবিতা” কাব্য সংকলন থেকে)

সোনালিয়া,
প্রায় সবই তো শুনলে, আরো যদি জানতে চাও তো বলি,
আর আমি বুঝি,
আমি না হ’লে সরস মাটির এই সুন্দর পৃথিবীর
বুকের কথা খুলে বলাই হবে না।

সকালের সেই শুভ লগ্নটিতে মাটি আর আমি যেন এক হ’য়ে যাই,
মাটির দিকে আমি আপনাকে নিয়ে যাই,
আর পৃথিবী আমাকে সুন্দর শাঁখের মতো
নিজের নিশ্বেসে পরিপূর্ণ ক’রে বাজাতে থাকে,
আমার মনে হয় তখন আমি যেন আর পাখী নই,
আমি যেন একটি আশ্চর্য বাঁশি,
যার মধ্য দিয়ে
পাহাড়তলির কুঁকড়ো।

.       ******************     
.                                                                                              
সুচিতে...   


মিলনসাগর