কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত - এর জন্ম অবিভক্ত বাংলার নোয়াখালিতে | কর্মজীবনের শুরু মুনসেফ
এর চাকরি দিয়ে | পরে জেলা জজ হন |

তাঁর গল্পগ্রন্থ “টুটা-ফুটা” (১৯২৮) এ তাঁর প্রতিভার সাক্ষর দেখা যায় | তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা “বেদে”
(১৯২৮) এই সময়েই প্রকাশিত হয় | তিনি ন্যুট হ্যামসুন এর “প্যান” কাহিনী অনুবাদ করেন (১৯৩০) |

নরনারীর যৌনজীবন এবং উদাসীন বাউণ্ডুলের  জীবনযাত্রার  প্রতি আকর্ষণ তাঁর রচনাবলীর লক্ষ্যনীয়
বৈশিষ্ট্য | রবীন্দ্র ভাবমণ্ডল থেকে স্বাতন্ত্রের চেষ্টার ফলেই সম্ভবত সমাজের অন্ত্যজ জীবনের প্রতি আকর্ষণ
এবং মধ্যবিত্ত নীতিবোধের বিরোধিতা তাঁর রচনায় প্রধান্য পেয়েছিল |

প্রধানত তিনি ছোটো গল্পে কুশল | তাঁর রচনার মধ্যে রয়েছে “বিবাহের চেয়ে বড়” (১৯৩১),  “প্রাচীর ও
প্রান্তর” (১৯৩৩), “অকাল বসন্ত” (১৯৩২), “অধিবাস” (১৯৩২), “যতনবিবি” (১৯৪৪), “সারেঙ” (১৯৪৭) |  

তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “অমাবস্যা” (১৯৩০), “আমরা” (১৯৩৩), “প্রিয়া ও পৃথিবী” (১৯৩৬), “নীল
আকাশ” (১৯৪৯), “আজন্মসুরভি” (১৯৫১-৫২) |

তিনি কল্লোল পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত ছিলেন | তাঁর রচিত “কল্লোল যুগ” (১৯৫০) কল্লোল পত্রিকার
ও তার পরিমণ্ডলের একটি আন্তরিক পরিচায়ক |

তাঁর সাহিত্য জীবনের দ্বিতীয় পর্বে জীবনী রচনার প্রাধান্য দেখা যায় | ১৯৫০ থেকে তিনি রামকৃষ্ণ
পরমহংসের জীবনী রচনায় ব্রতী হন | তাঁর চার খণ্ডে বিভক্ত পরমপুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ (১৯৫১) গ্রন্থটি বাংলা
সাহিত্যের একটি অসাধারণ জনপ্রিয় গ্রন্থ |


উত্স :  ডঃ শিশিরকুমার দাস, সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী ২০০৩  



কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।      



আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ
srimilansengupta@yahoo.co.in





এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ১২.৭.২০১৩
পরিবর্ধিত সংস্করণ - ৬.৯.২০১৪
দ্বিতীয় পরিবর্ধিত সংস্করণ - ১
.১২.২০১৬

...