চন্দনপিড়ির অহল্যা গো দৈবকিনী মা জননী মলেন কংসরাজের অত্যাচারে গর্ভে নিয়ে চক্রপাণি। আহা বোনকে মেরে কংসারাজা আপনাকে কি রাখা যায়। বল কৃষ্ণে কি ঐ কংসকারায় বেঁধে রাখা যায়। আহা মাঠে মাঠে লক্ষ কৃষ্ণ অগ্নি বাঁশের বাঁশী বাজায়॥
গঞ্জে গাঁয়ে পথে মাঠে বিবস্ত্রা দ্রৌপদী কাঁদে গো ওরে ভাই, দেখো, ভীম জনগণ হয়ে আগুয়ান দিতে দুঃশাসনে শেষবিদায় দিকে দিকে জাগছে কারা পাচ্ছে না কি তার ইসারা ওরে ভাই, দেখো, লেংটি-পরা সর্বহারার জয়ধ্বনি দিক্ কাঁপায়॥
কাসাবিয়াঙ্কার মতো কবি অজিত পাণ্ডে অসীমকৃষ্ণ দত্ত ও আবদুস সামাদ সম্পাদিত “আসানসোল শিল্পভূমি : কবি ও কবিতা” (২০০৫) কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া।
একদম নড়ো না বলছি যথক্ষণ আমি না আসি . পিতা বলে গেছেন। তাই আমি নড়ছি না অন্তত চাইছি না পুরুষানুক্রমে--- শুধু সময়ের ডেকে দাঁড়িয়ে . পালন করছি। অথচ পায়ের নীচে মাটি সরাচ্ছে নদী, বুক মাথা লক্ষ্য করে পাহাড় ছুড়ে ছুড়ে মারছে পাথর, আর পাথরগুলে জমে জমে আবার হচ্ছে পাহাড়। . আগুন ঘনিষ্ঠ হচ্ছে আমার চারপাশে আরো ---আরো ---আরো --- আমি পুড়ছি আর পিতা পিতা বলে আপ্রাণ চিত্কার করছি।