মগজের যন্ত্রে যার একই প্রশ্ন বারবার
. গুঞ্জরিছে ------ “কেন ? কেন ? কেন ?”
আপেলের পানে তব দৃষ্টি গেল, তুমি নাহি গেলে,
. শুধাইলে শুধু অতঃপর
“বৃন্তচ্যূত হয়ে তুমি নিন্মপানে কেন নেমে এলে ?
. হে আপেল, দাও গো উত্তর |”
জবাব দিল না জানি, আপেল পড়িল ভিন্ন হাতে,
সযতনে ছিন্ন হ’ল ছুরিকায়, ভিন্ন হ’ল দাঁতে,
চেনার অতীত তীরে আপেলের হ’ল রূপান্তর |
ভাবিয়া দেখিলে তুমি, “হায় শুধু আপেল তো নহে,
নামে বেল, নামে তাল, নারকেলও নামে নিন্মপানে
ছিন্ন-হলে-বোঁটা | বৃষ্টি নামে, নদী নিন্মপানে বহে |”
তারপর খ্যাত হলে আবিষ্কার করি মধ্য-টানে |
কিন্তু ভাবি তুমি বন্ধু বসেছিলে যে বৃক্ষের তলে
. না হয়ে আপেলবৃক্ষ ডাব বৃক্ষ হ’ত যদি তাহা,
সেই আপেলের মতো যদি হায় বৃন্তচ্যূতি ফলে
. একটি বৃহৎ ডাব পড়িত তোমার টাকে আহা !
হয়তো পাইতে অক্কা টাকে সেই ডাবাঘাত লেগে,
অথবা ব্যান্ডেজ-বাঁধা মাথা লয়ে হাসপাতালে জেগে
ভাগিত বিজ্ঞানীবুদ্ধি, জাগিত না গবেষণা ভাব ;
করিতে না প্রশ্ন তুমি, “নিন্মপানে কেন এলে ডাব ?”
. -------এক নদী বহু তরঙ্গ
. *************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
সূর্যমুখীর প্রতি
অজিতকৃষ্ণ বসু
নিউটন ও ডাব
অজিতকৃষ্ণ বসু
বড় বৌ পান সাজে, গায়ে তার গয়না।
সা নি ধা পা মা গা রে সা গান গায় দাদারা,
তাই শুনে গেয়ে ওঠে ধোপাদের গাধারা।
নদী জলে ভেসে চলে মাল ভরা নৌকো,
হাল ধরে বসে মাঝি পালখানা চৌখো।
শেয়ালেরা শুরু করে হুয়া হুয়া গাইতে
বলে, “মোরা কিসে কম মানুষের চাইতে ?
বনে বনে আছে ঢের বাঘ, হাতি, হায়না,
আমাদের মত ভালো গান কেউ গায় না।”
. *************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
পাগলা গারদের ছড়া
অজিতকৃষ্ণ বসু
সুকান্ত আর কুকান্ত দুটি ভাই
কবি অজিতকষ্ণ বসু (অ.কৃ.ব.)
শনিবারের চিঠি, কার্তিক ১৩৫৫ (অক্টোবর ১৯৪৮) সংখ্যা থেকে নেওয়া
সুকান্ত আর কুকান্ত
চিচিং ফাঁক, চুরি-চৌকস চল্লিশ চোর সুদূর পথের বাঁকে
কবি অজিতকষ্ণ বসু (অ.কৃ.ব.)
শনিবারের চিঠি, ভাদ্র ১৩৫৫ (অগাস্ট ১৯৪৮) সংখ্যা থেকে নেওয়া
পাগলা-গারদের কবিতা