কবি অজিতকৃষ্ণ বসু - “অ.কৃ..” ছদ্মনামেই সর্বত্র পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত রসসাহিত্যিক হলেও
জাদুবিদ্যা ও সঙ্গীতেও পারদর্শী ছিলেন। কবি জন্ম গ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার ঢাকা-গ্যান্ডেরিয়ায়। তাঁর
পড়াশোনা ঢাকার জগন্নাথ কলেজ ও কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজে সম্পন্ন হয়।

১৯২৬ সালে, মাত্র ১৪ বছর বয়সেই “খোকাখুকু” মাসিকপত্রে প্রকাশিত অনুবাদ-কবিতা দিয়ে তাঁর লেখার
জীবনের শুরু। কৌতুকরসের কবিতা-গল্প-উপন্যাসই তিনি লিখেছেন বেশি। “শনিবারের চিঠি”-তে ধারাবাহিক
ভাবে এবং ১৯৫৩ সালে বই আকারে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “পাগলা গারদের কবিতা”
 তাঁর  অন্যতম সেরা
রচনা। ইংরেজি কৌতুক-কবিতা লিখেছেন বম্বে থেকে প্রকাশিত “শঙ্করস উইকলি” পত্রিকায়।

তাঁর অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে কাব্যগ্রন্থ “ও এক নদী বহু তরঙ্গ”, “চন্দনপুরের কাহিনী” (১৯৬৬),
“অ.কৃ.ব’র বিচিত্র গল্প সংকলন” (১৯৭৬), “বিধাতা” (১৯৬৩), “ম্যারিনা ক্যানটিন” (১৯৬৭), “নন্দিনী সোম”
(১৯৬৬), “সৈকত সুন্দরী ও বহু পুরুষ” (১৯৬৭), “প্রজ্ঞাপারমিতা” (১৯৬৬), “শকুন্তলা সানাটোরিয়াম”, “শেষ
বসন্ত” (১৯৬৩) প্রভৃতি উপন্যাস। মার্ক টোয়েন এবং ন্যাথানিয়েল হর্নের নানা গ্রন্থ তিনি অনুবাদ করেছেন।

তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ডি জে কিমার ও ডাকব্যাক কোম্পানিতে বিজ্ঞাপন ও প্রচারের কাজে
র মধ্য দিয়ে
পরে গোবরডাঙা কলেজ ও আশুতোষ কলেজে ইংরেজির অধ্যাপনা করেন।

কবি জাদুসম্রাট সিনিয়ার পি সি সরকারের বাল্যবন্ধু ছিলেন এবং জাদুবিদ্যা নিয়ে লেখা “যাদুসাহিত্য”
(১৯৬৪) গ্রন্থের জন্য “নরসিংহ দাস” পুরস্কার পেয়েছিলেন। সঙ্গীতশিক্ষার হাতেখড়ি হয়েছিল কৃষ্ণচন্দ্র দে’র
(কানা কেষ্ট) কাছে। পরে তালিম নিয়েছেন
স্তাদ গুল মহম্মদ খাঁ ও তারাপদ চক্রবর্তীর কাছে।

এই পাতাটি, তাঁর জন্ম শতবর্ষে তাঁর প্রতি
মিলনসাগরের শ্রদ্ধার্ঘ্য। আমরা মিলনসাগরে  তাঁর কবিতা
প্রকাশিত করে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই প্রচেষ্টা
কে সার্থক বলে মনে করবো।

কবি অজিতকৃষ্ণ বসুর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন

.                     
উত্স:
 শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩
.        কলকাতার কড়চা, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২ জুলাই ২০১২    
    


আমাদের ই-মেল
- srimilansengupta@yahoo.co.in      


এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২৪.৭.২০১২

...