প্রেরণাদাতা। টাঙ্গাইল নিবাসী সাবজজ কৈলাশগোবিন্দ দাশগুপ্তর সঙ্গে কবি অম্বুজাসুন্দরী বিবাহসূত্রে আবদ্ধ
হন। তিনিও তাঁর কবিতাপ্রতিভা-বিকাশে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন।
তাঁর কবিতা, বামাবোধিনী, নব্যভারত, সাহিত্য, সম্মিলন (ঢাকা রিভিউ ও সম্মিলন) প্রভৃতি পত্রিকায় নিয়মিত
প্রকাশিত হতো। তাঁর গল্প সেকালের বিখ্যাত “কুন্তলীন” পুরস্কারে ভূষিত হয়। বার্ধক্যে তিনি আধ্যাত্মিক
জীবনযাপন করেন।
তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “কবিতা লহরী” (১৮৯২), “অশ্রুমালা” (১৮৯৪), “প্রীতি ও পূজা” (১৮৯৭) ইত্যাদি।
অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “খোকা”, “দুটি কন্যা”, “ভাব ও ভক্তি”, “প্রেম ও পুণ্য”, “শ্রীকৃষ্ণলীলামৃত” প্রভৃতি।
কবি অম্বুজাসুন্দরী দাশ গুপ্তা -
জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার পাবনা
জেলার ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে। পিতা গোবিন্দ সেন
এবং কান্তকবি রজনীকান্ত সেন ছিলেন তাঁর
জ্ঞাতিভ্রাতা (খুড়তুতো দাদা)। কবি রজনীকান্ত
সেন ছিলেন অম্বুজাসুন্দরীর কবিতা রচনায়
অম্বিকাসুন্দরী দাশগুপ্তা - পাতার উপরে . . .
অধ্যাপক বিধুভূষণ গোস্বামী ও অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ ভদ্র সম্পাদিত “সম্মিলন” (ঢাকা রিভিউ ও সম্মিলন)
পত্রিকার কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩১৮ (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯১১) সংখ্যায় প্রকাশিত, "প্রার্থনা" শিরোনামের কবিতা
যার প্রথম পংক্তি "অন্তর্যামী জানিছ সকল"-এর শেষে কবির নাম লেখা রয়েছে "অম্বিকাসুন্দরী দাশগুপ্তা"।
এই নামের কোন কবির অস্তিত্ব আমরা আর কোনোখানে পাইনি। এই পত্রিকার আষাঢ় সংখ্যাতেই সে
যুগের বিশিষ্ট কবি অম্বুজাসুন্দরী দাশ গুপ্তার কবিতা প্রকাশিত হয়, যা পূর্বেই এই পাতায় অর্থাৎ
মিলনসাগরের কবি অম্বুজাসুন্দরী দাশগুপ্তার পাতায় তোলা হয়েছে। আমাদের অনুমান এই যে এই কবির
নাম ভুলবশতঃ “অম্বুজাসুন্দরী”-র বদলে “অম্বিকাসুন্দরী” ছাপা হয়েছে। এত বড় মুদ্রণ প্রমাদ দেখা যায় না
তাই আমাদের অনুমান ভুল প্রমাণিত হতে পারে। তাই, অকাট্য প্রমাণের অভাবে, আমরা কবিতাটি “কবি
অম্বিকাসুন্দরী দাশ গুপ্তা” নামের কবির স্বতন্ত্র পাতা তৈরী করে তাতেও প্রকাশিত করলাম।
কবি অম্বিকাসুন্দরী দাশগুপ্তার কবিতার পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন . . .।
আমরা মিলনসাগরে কবি অম্বুজাসুন্দরী দাশ গুপ্তার কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে
পারলেই এই প্রয়াসের সার্থকতা।
উত্স - যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, বঙ্গের মহিলা কবি, ১৯৩০
. ডঃ শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, ২০০৩
. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত “সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান”, ১৯৭৬।
. নমিতা চৌধুরী ও অনিন্দিতা বসু সম্পাদিত দামিনী, ২০১৩।
কবি অম্বুজাসুন্দরী দাশগুপ্তর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ৩০.১০.২০১১
"নব্যভারত" পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি কবিতার সংযোজন - ১০.৯.২০১৬
১১টি নতুন কবিতা সহ মোট ১৬টি কবিতার পরিবর্ধিত পাতার প্রকাশ - ৬.৮.২০১৮
...
যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তর উদ্ধৃতি - পাতার উপরে . . .
১৯৩০ সালে যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত তাঁর “বঙ্গের মহিলা কবি” গ্রন্থে, কবি অম্বুজাসুন্দরী দাশ গুপ্তা সম্বন্ধে
লিখেছেন - “১৩০৪ সালে বামাবোধিনী ডিপোজিটারী হইতে প্রীতি ও পূজা প্রকাশিত হইয়াছিল। সে হিসাবে
এই কবিতা গ্রন্থখানির বয়স তেত্রিশ বত্সর। ইহাতে প্রায় একশত খণ্ড কবিতা আছে। এই সকল কবিতার
মধ্যে আপনাকে ছাড়িয়া কবি বড় বেশি কোন কথা বলেন নাই। আপনার সুখ, দুঃখ, আনন্দ, সন্তান-স্নেহ,
স্বামী-প্রীতি ইহা লইয়াই বেশির ভাগ কবিতা রচিত হইয়াছে। কবি ঐ সকল রচনার মধ্য দিয়াও অনেক
সময় একটা অজানা অসীমের সন্ধান পাইয়াছেন এবং প্রকৃতির রসমাধুর্য্যের মধ্যে আপনাকে বিলাইয়া
দিয়াছেন, সেইরূপ স্থানেই তাঁহার কবিতার রূপ ফুটিয়া উঠিয়াছে ...”
অম্বুজাসুন্দরী দাস - পাতার উপরে . . .
১৯০১ সালের সাহিত্য পত্রিকার অগ্রহায়ণ ১৩০৭ (ডিসেম্বর ১৯০০) সংখ্যায় “অম্বুজাসুন্দরী দাস” নামে এক
কবির বৈষ্ণব ভাবধারার “বিষ্ণুপ্রিয়া” শিরোনামের একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। এই কবি নিজেকে
বলেছেন “অম্বুজাসুন্দরী দাস”, সম্ভবত নিজেকে একজন বৈষ্ণব পদকর্ত্রী বা বৈষ্ণব ভাবধারার দীনতা-ব্যঞ্জক
উপাধিধারী “দাস” হিসেবে বোঝাতে চেয়েছিলেন। বৈষ্ণব সাহিত্যের কবিরা নিজেদের “দাস” হিসেবে বলে
আসছেন প্রাচীনকাল থেকে। আমরা জানি যে কবি অম্বুজাসুন্দরী দাশগুপ্তা পরবর্তীতে আধ্যাত্মিক
জীবনযাপন করতেন এবং “সাহিত্য” পত্রিকায় তাঁর কবিতা নিয়মিতভাবে প্রকাশিতও হতো। তাঁর
“শ্রীকৃষ্ণলীলামৃত” নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল, এমনটা আমরা সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু
সম্পাদিত “সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান” গ্রন্থ থেকে জানতে পারি। শুতরাং আমাদের অনুমান এই যে, “কবি
অম্বুজাসুন্দরী দাস” ও “কবি অম্বুজাসুন্দরী দাশ গুপ্তা” এক ও অভিন্ন ব্যক্তি।