আমার হাতে কোনও শাবল ছিল না, বাটালিও নয়, তবু, এতদিন তিলে তিলে গড়ে তোলা দুর্গ এক দুপুরের বৃষ্টিতে কীভাবে ধুয়ে গেল! আর ওই বিশাল পাথুরে অবরোধ-ই যে আড়াল করে রেখেছিল হার্মাদের মত এক খ্যাপা নদী, এতকাল . তা আমি জানতেও পারিনি।
সেই অর্গলহীন সজল সারাদিন, সারারাত আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে। ওই ভেসে যাচ্ছে আমার অঙ্গদ, শিরস্ত্রাণ, আবরণহীন ভাসতে ভাসতে আমি চড়তে পারছি গাঢ় দীঘিকার চেয়ে সজল তোমার দু চোখের ভাষা, আমি শুনতে পাচ্ছি সমুদ্রের নাভি থেকে উঠে আসা . মারমেইডস-এর গলায় তোমার গান, দিশেহারা, ওলোট-পালোট ঢেউয়ে ধুয়ে যাচ্ছে আমার গার্হস্থ্য-সন্ন্যাস, জোয়ারে জোয়ারে . এ তোমাকে কোথায় নিয়ে চলেছে, . আমার নীরবতা আমার ভাষা।
‘যাই’ বলতে নেই। বলো--- ‘আসি’। তাছাড়া আমি কি আর তেমন সন্ন্যাসী ? কিছুদিন ঘুরবো-ফিরবো তারপর ফিরে আসবো ঘরে, নির্বাসন মেনে নিয়ে . যাবো না যাবো না দ্বীপান্তরে। তুমি জানো, . আমার শোণিতে আছে ভ্রাম্যমান একটি মানুষ, সে দ্যাখে কোথায় পোষে ঝরে যায় নিঃশব্দে পারুল, কোন্ খানে গন্ধ করে হেনা, শহরের ইটকাঠ ছেড়ে মাঝে মাঝে ছুটে যাওয়া . কোনওদিন জানি ফুরোবো না। আমার শরীরময়---একটি সঙ্গে সর্পগন্ধা, সুগন্ধি বকুল--- ভুল হয়েছিল ? সে কি ভুল ?