কবি অমিতাভ গুপ্তর কবিতা
মহাবীরের মূর্তির কাছে : পুরুলিয়ায়
কবি অমিতাভ গুপ্ত
বিন্দু বিন্দু ধরিত্রী (আগষ্ট ২০১০) কাব্যগ্রন্থ থেকে।
কয়েকটি পূর্ণিমা রইল এইসব অজস্র আকাশে
সবচেয়ে বেশি ফেলে--আসা
জীবনে জড়ানো রইল কোনো--এক সুদূর সমুদ্র দিয়ে গড়া
অন্তর্গূঢ় তরঙ্গটি যার আর ঝরে--পড়া নেই
জ্যোত্স্নায় আচ্ছন্ন নীলে যাকে চিরদিন শুধু ভালোবাসা যায়
যাকে নিবেদিত
আকাঙ্খাটি, প্রতিটি অন্তিম লগ্নে জাত পুনর্জাত
আকাঙ্খাটি, দিগন্তে ভেসেছে
যেন এরপরে সব আকাঙ্খাই পূর্ণ দেবদূত
হয়ে উঠেছিল
অনির্দেশ্য স্পর্শের আবেগে
কত--যে সৌন্দর্য কত রূপছায়া, আহত জলের বুকে বিকশিত হল
উচ্ছসিত ঘ্রাণ থেকে। স্বর্গভ্রষ্ট নৃত্যের মতন পাতাঝরানোর ধ্বনি
শোনা গেল
২
সব ধ্যান আজও একাকীর ?
এই যে পলাশ, আমারই
মতন মুগ্ধ দীর্ঘ
দিগন্তটিকে জড়িয়ে
ধরে তার দ্রুত দুবাহু
আমিও তেমনই ছুঁয়ে যাই
মানুষের গড়া সংশয়
আমিও পেরিয়ে চলে যাই
পাহাড়ের পটে ছড়ানো
তোমার করুণ হাসিকে
কবি অমিতাভ গুপ্ত
বিন্দু বিন্দু ধরিত্রী (আগষ্ট ২০১০) কাব্যগ্রন্থ থেকে।
কয়েকটি পূর্ণিমা রইল এইসব অজস্র আকাশে
সবচেয়ে বেশি ফেলে--আসা
জীবনে জড়ানো রইল কোনো--এক সুদূর সমুদ্র দিয়ে গড়া
অন্তর্গূঢ় তরঙ্গটি যার আর ঝরে--পড়া নেই
জ্যোত্স্নায় আচ্ছন্ন নীলে যাকে চিরদিন শুধু ভালোবাসা যায়
যাকে নিবেদিত
আকাঙ্খাটি, প্রতিটি অন্তিম লগ্নে জাত পুনর্জাত
আকাঙ্খাটি, দিগন্তে ভেসেছে
যেন এরপরে সব আকাঙ্খাই পূর্ণ দেবদূত
হয়ে উঠেছিল
অনির্দেশ্য স্পর্শের আবেগে
কত--যে সৌন্দর্য কত রূপছায়া, আহত জলের বুকে বিকশিত হল
উচ্ছসিত ঘ্রাণ থেকে। স্বর্গভ্রষ্ট নৃত্যের মতন পাতাঝরানোর ধ্বনি
শোনা গেল
২
সব ধ্যান আজও একাকীর ?
এই যে পলাশ, আমারই
মতন মুগ্ধ দীর্ঘ
দিগন্তটিকে জড়িয়ে
ধরে তার দ্রুত দুবাহু
আমিও তেমনই ছুঁয়ে যাই
মানুষের গড়া সংশয়
আমিও পেরিয়ে চলে যাই
পাহাড়ের পটে ছড়ানো
তোমার করুণ হাসিকে
অঙ্গবিদ্যা
কবি অমিতাভ গুপ্ত
বিন্দু বিন্দু ধরিত্রী (আগষ্ট ২০১০) কাব্যগ্রন্থ থেকে।
জলস্থলঅন্তরীক্ষ জানে আমি কেউ নই। শুধু
তুমিই সম্পূর্ণ দূরে সম্ভবত কেষ্টবিষ্টুপুরে
এখন বা বাঁশবাগানের ডালে আটকে পড়া পরন্ত রোদের
মতন অতীতে
কমলকুমারের ছোটগল্পসংগ্রহটি পাঠ করা শুরু হবে। রোগা মেয়ে
শান্ত মেয়ে তুমি
অথচ যে এতদিন বেঁচে আছি অসহ্য আয়ুর ভার পিঠে নিয়ে আজো বেঁচে আছি
সেও তো তোমার সঙ্গে আবার কখনো যদি দেখা হয়
তোমার শরীর সুস্থ হলে
লক্ষও করনি বুঝি বাঁশবাগানের পাড়ে পুরোনো পুকুরটির মূঢ় ম্লান হাসি
যেন সুহাসিনী নামে সব পমেটম স্ফুরিত হয়নি কোনো লাবণ্যেই। সে তো
ছোটগল্প নয়
পড়াশুনো শেষ হলে কমলকুমারের আঁকা জলছবি খুঁজে নেবে তোমার
অ্যালবাম
২
দেখেছি, বয়ন নেই। পশমের ছাঁদ মেখে তাঁত পড়ে আছে
পল্লীবল্লরীর ঝোপে কালো নক্ষত্রের মতো লোকায়ত বালিকা তোমাকে
আজ কতদিন পরে ধূলি দ্বারা ধূসরিত অপেক্ষাপ্রবণ পথে
বাঁক নিতে দেখলাম। লুকোনো লন্ঠন থেকে ছিটকে উঠতে চেয়েছিল
সেইসব ডাকহরকরা যারা তারাশঙ্করের
অলিখিত। কয়েকটি অবাক
গিরগিটির মতো আমি তখনো শুনেছি যেন বিশীর্ণ কার্পাসশিল্প থেকে বস্ত্র ওঠে
কবি অমিতাভ গুপ্ত
বিন্দু বিন্দু ধরিত্রী (আগষ্ট ২০১০) কাব্যগ্রন্থ থেকে।
জলস্থলঅন্তরীক্ষ জানে আমি কেউ নই। শুধু
তুমিই সম্পূর্ণ দূরে সম্ভবত কেষ্টবিষ্টুপুরে
এখন বা বাঁশবাগানের ডালে আটকে পড়া পরন্ত রোদের
মতন অতীতে
কমলকুমারের ছোটগল্পসংগ্রহটি পাঠ করা শুরু হবে। রোগা মেয়ে
শান্ত মেয়ে তুমি
অথচ যে এতদিন বেঁচে আছি অসহ্য আয়ুর ভার পিঠে নিয়ে আজো বেঁচে আছি
সেও তো তোমার সঙ্গে আবার কখনো যদি দেখা হয়
তোমার শরীর সুস্থ হলে
লক্ষও করনি বুঝি বাঁশবাগানের পাড়ে পুরোনো পুকুরটির মূঢ় ম্লান হাসি
যেন সুহাসিনী নামে সব পমেটম স্ফুরিত হয়নি কোনো লাবণ্যেই। সে তো
ছোটগল্প নয়
পড়াশুনো শেষ হলে কমলকুমারের আঁকা জলছবি খুঁজে নেবে তোমার
অ্যালবাম
২
দেখেছি, বয়ন নেই। পশমের ছাঁদ মেখে তাঁত পড়ে আছে
পল্লীবল্লরীর ঝোপে কালো নক্ষত্রের মতো লোকায়ত বালিকা তোমাকে
আজ কতদিন পরে ধূলি দ্বারা ধূসরিত অপেক্ষাপ্রবণ পথে
বাঁক নিতে দেখলাম। লুকোনো লন্ঠন থেকে ছিটকে উঠতে চেয়েছিল
সেইসব ডাকহরকরা যারা তারাশঙ্করের
অলিখিত। কয়েকটি অবাক
গিরগিটির মতো আমি তখনো শুনেছি যেন বিশীর্ণ কার্পাসশিল্প থেকে বস্ত্র ওঠে
রাস
কবি অমিতাভ গুপ্ত
এই কবিতাটি তোলা হয় কবি দিলীপকুমার বসুর অনুরোধে ঈদ-উল-ফিতর এর দিনে ৭ই জুলাই ২০১৬ তারিখে।
"সমস্ত দুয়ার আজ টলে যায় অর্গলের দিকে
তবুও রয়েছি আমি, কোন-এক পরিহাস কেশবকে নিজের নিরিখে
সাজিয়ে রাখব বলে
শেষহেমন্তের কোলে ঝাঁপান জুড়েছে
মজুরানী, অই তার হাতের নিটোল ভঙ্গি, অকস্মাৎ বেঁচে
ওঠা শিশুটির দ্রুত কলোচ্ছ্বাস
মনে হয়, আজও
গড়ে উঠেছে বিশাল রাসের মঞ্চ। চুড়ির আওয়াজ
মৃদুভাবে শোনা যাচ্ছে, নূপুরের। গ্রাম্য, নীচুপথে
বাঁক নিয়ে ফিরতেই চোখে পড়ে রাস পূর্ণিমার আলো
পড়েছে মসজিদে"
কবি অমিতাভ গুপ্ত
এই কবিতাটি তোলা হয় কবি দিলীপকুমার বসুর অনুরোধে ঈদ-উল-ফিতর এর দিনে ৭ই জুলাই ২০১৬ তারিখে।
"সমস্ত দুয়ার আজ টলে যায় অর্গলের দিকে
তবুও রয়েছি আমি, কোন-এক পরিহাস কেশবকে নিজের নিরিখে
সাজিয়ে রাখব বলে
শেষহেমন্তের কোলে ঝাঁপান জুড়েছে
মজুরানী, অই তার হাতের নিটোল ভঙ্গি, অকস্মাৎ বেঁচে
ওঠা শিশুটির দ্রুত কলোচ্ছ্বাস
মনে হয়, আজও
গড়ে উঠেছে বিশাল রাসের মঞ্চ। চুড়ির আওয়াজ
মৃদুভাবে শোনা যাচ্ছে, নূপুরের। গ্রাম্য, নীচুপথে
বাঁক নিয়ে ফিরতেই চোখে পড়ে রাস পূর্ণিমার আলো
পড়েছে মসজিদে"